কিবরিয়া সাহেবের আলো বিক্রয়ের গল্প

এক বস্তা আলো নিয়ে হাটে এসেছে কিবরিয়া সাহেব
লক্ষ্য, যদি কেউ ক্রয় করে আলোকিত হতে চায় !
ইদানিং অন্ধকারে ছেয়ে গেছে চারপাশ,
সূর্য আগের মতো আলো ছড়ায় না,
শুনেছি জোনাকিরাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
অদ্ভুত, অদ্ভুত সেই অন্ধকার
কেউ কোন কিছু দেখতে পায় না, তাও আলোর প্রতি কারো কোন আগ্রহ নেই।

ইদানিং দৃশ্যমান শয়তান মূর্তিহীন ঈশ্বরের জায়গা নিয়ে নিয়েছে
কিংবা দৃশ্যত সুখের কাছে অনন্ত অদৃশ্য  সুখের বিলুপ্তি ঘটেছে
সমাজ সভ্যতার আলো এখানে মলিন ফিকে হয়ে গেছে ,
মূক হয়ে গেছে কবিতার ভাষা
সঙ্গীত নাটক সিনেমা  আলোড়ন সৃষ্টি করে না তরুন তরুনির মধ্যে।
ফসফরাসের আলোয় কিছুটা আলোকিত ফনিল সমুদ্রের প্রতি মানুষের নির্লোভ দৃষ্টি
কিংবা তারাহীন আকাশের প্রতি  মানুষের নিরমুখ চাহনি,
কিবরিয়া সাহেবকে  চিন্তিত করে তুলেছে;
তাইতো, সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলো বিক্রয় করবে মানুষের মানবিকতার কাছে,
সমাজের সামজিকতার কাছে,  প্রকৃতির কাছে কিংবা শস্য মাঠের আলের কাছে,
নীল আকাশের কাছে, বৃষ্টি কিংবা মেঘের কাছে, বৃক্ষের কাছে,
হয়তোবা হঠাৎ উঠা ঘূর্ণি ধুলো ঝড়ের কাছে
আর এভাবেই আলোয় আলোকিত করবে কিবরিয়া সাহেব  ।

আর তাইতো এক বস্তা আলো নিয়ে হাটে এসেছে কিবরিয়া সাহেব
আশা, আপাতত বিক্রয়মূল্য না হলেও চলবে,
হাদিয়া দিয়েও যদি কেউ আলোকিত হতে চায় ।

( অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যার এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে উৎসর্গ করে)

৫৪১ বার দেখা হয়েছে

৪ টি মন্তব্য : “কিবরিয়া সাহেবের আলো বিক্রয়ের গল্প”

  1. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    ধন্যবাদ ভাই রেজা। মা-বাবা ব্যস্ত গতানুগতিক পাঠ্যপুস্তকের পড়া নিয়ে, এতে সঠিক জ্ঞানের আলো সন্তানের মধ্যে ঢুকছে না, আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যার এর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগ অনেক প্রশংসার দাবি রাখে, আরও ব্যাপক প্রচার হওয়া উচিত।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।