বিবর্তনবাদ – a Review (২)

[প্রথম অংশ না পড়ে থাকলে, বিবর্তনবাদ – a Review (১) প্লীজ পরে ফেলুন।

প্রথমপর্ব প্রকাশের পরে কিছু প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর।
> ‘বিশ্বাস’ হচ্ছে প্রমান ছাড়া কোন কিছুকে মেনে নেয়া। যেমন মুসলমানেরা আল্লাহকে ‘বিশ্বাস’ করে। তারা তাকে দেখে নাই, তাই করে। বিবর্তনবাদীরাও যে বিশ্বাসী তাই প্রমানের চেষ্টায় আছি.. দেখি প্রমান করতে পারি কিনা।
>> ‘বিশ্বাসের সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক নাই’। হয়তো সত্য। কিন্তু Richard Dawkins এর মত লোকেরাই ধর্মের বিরুদ্ধে লড়ে। [BBC-এর Hard Talk এ দেয়া তার সাক্ষাতকার দেখুন।] সুতরাং আমাদের বিশ্বাসেরও যৌক্তিকতা বের করার প্রয়োজন আছে। এটা মানি, যুক্তি ছাড়া আমরা যা কিছু বিশ্বাস করতে পারি।

তাহলে শুরু করছি…]

৩.০ আস্তিক বিবর্তনবাদ
সমস্ত বিবর্তনবাদী লোকেরা, বিশেষ করে বিজ্ঞানীরাই তাই বলে নাস্তিক নয়। হিউমেন জীনম প্রজেক্ট (Human Genome Project)-এর ডিরেক্টর Francis C Collins এই আস্তিক বিবর্তনবাদী দলের একজন সদস্য। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে দেয়া তার একটি উপস্থাপনার [১৫] উপর ভিত্তি করে তার পক্ষের যুক্তিগুলো উপস্থাপন করা হলো। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, কলিন্স কিন্তু কোন আস্তিক পরিবারের সদস্য ছিলেন না। পড়ালেখার প্রয়োজনে যে পরিবেশে তাকে থাকতে হয়েছে, তাও নাস্তিক বিবর্তনবাদীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। সুতরাং পারিবারিক বা পরিবেশের কারণে তিনি আস্তিকতাকে বেছে নেননি। ডাক্তার হিসেবে জীবন শুরু করার পরে, এক পর্যায়ে তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহন করেন।

৩.১ গানিতিক বিশ্ব
বিগ-ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট আমাদের এই মহাবিশ্বের ব্যাখ্যায় গানিতিক সূত্রগুলো অসাধারণ ভাবে কাজ করে। বিজ্ঞান পড়ার সময় ‘এটাই স্বাভাবিক’ হিসেবে ধরে নিলেও, কখনও আমরা ভেবে দেখিনি কেন সমীকরণগুলো এত সাধারন, এত সরল। নিউটনের মহাকর্ষজ বলের সুত্রে F = G (m1 x m2)/d^2 এ কেন d-এর ঘাত(power) 2.397 বা 1.734 কিংবা অন্য কোন জটিল সংখ্যা হয়নি। একই ভাবে সরল সমীকরণ গুলো ব্যাখ্যা করে
দুটি চার্জের মধ্যে আকর্ষণ/বিকর্ষণ বলের মান F = k_e (q1 x q2)/d^2
ভর ও শক্তির মাঝের সম্পর্ক E = m c^2
কণার ভরবেগ ও কম্পাংকের সম্পর্ক, p = h v [nu এর কাছাকাছি দেখতে v ব্যবহার করা হল]
স্থিতিশক্তি, গতিশক্তি, থার্মোডিনামিক্সের দ্বিতীয় সূত্রের মতো অনেক কিছু। অনুর মধ্যে ইলেক্ট্রন আর নিউক্লিয়াসের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াকে শুধুমাত্র একটি দ্বিতীয় মাত্রার ডিফারেন্সিয়াল সমীকরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করে, পদার্থের আচরণ নির্ণয় করা যায়। মনে রাখতে হবে, এই বিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে একটা বিস্ফোরণের মাধ্যমে। অথচ অবাক হবার মত সরল সমীকরণ দিয়ে, আমরা বিশৃংখলার মাঝে তৈরী একটা ব্যবস্থাকে বর্ণনা করতে পারছি। বিশ্বের সবকিছুকে গানিতিকভাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা তো ছিল না। এ যেন বিস্ফোরণের পেছনের যে সত্ত্বা, তার গনিত মনস্ক মনের অভিপ্রকাশের একটা গোপন পরিকল্পনা।

আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, সমীকরণগুলোতে যে ধ্রুবকগুলি, যেমন মহাকর্ষজ ধ্রুবক (G), আলোর বেগ (c), ইত্যাদি ব্যবহ্রত হয় সেগুলো কিন্তু যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে বা কোন ডিরাইভেশনের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় না। পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা এই মানগুলো, শুধুই মান। এবং এই মানগুলো এত সুক্ষভাবে এবং সাবধানে পছন্দ করা যে, এদের সামান্যতম এদিক সেদিক হলে এই বিশ্বে, জটিলতা ও জীবনের মত জটিল প্রক্রিয়া সংগঠিত হতে পারত না। উদাহরণ স্বরুপ, মহাকর্ষজ ধ্রুবকের মান যদি একটু বেশী হতো তাহলে বিগ ব্যাং-এর বিস্ফোরণের পরে আবার তা সংকুচিত হওয়া শুরু করতো। এতো ‘ফাইন টিউন্ড বিশ্ব’-এর ব্যাখ্যায় দুটি সমাপ্তি টানা যায়; এক, একই সাথে অসংখ্য বিশ্ব (multi-domain universe)[১৬] বিরাজ করছে ধ্রুবকগুলোর বিভিন্ন মান নিয়ে, এবং তাদের মধ্যে একটি, অর্থাৎ আমাদের বিশ্ব, আমাদের জীবনের জন্যে উপযোগী হয়ে তৈরী হয়েছে। আর দুই, সেই গনিত মনস্ক সত্ত্বা খুব সুক্ষভাবে মানগুলো পছন্দ করেছেন। multi-verse এর অস্তিত্বের সম্ভাবনা কেন কম বা নাই তা “Creation: The Law and Probability” [১৭] বইয়ে ব্যাখ্যা করা আছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, অন্ততঃ এখন পর্যন্ত কোনভাবে এই জাতীয় প্যারালাল বিশ্বের অস্তিত্ব প্রমান করা সম্ভব নয়।

৩.২ বিগ-ব্যাং ও মহাবিশ্ব
বিগ-ব্যাং প্রমান করে যে মহাবিশ্বের একটা শুরু আছে। আর জগত যেহেতু নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করতে পারেনা, তাহলে এমন কিছুর অস্তিত্ব থাকতে হবে যে এই জগতের সৃষ্টির পেছনে কাজ করেছে এবং সে এর(জগতের) অন্তর্ভুক্ত না। দুই লাইনের, খুবই সাধারণ একটি যুক্তি, কিন্তু এর গভীরতা অনেক। এই ‘এমন কিছু’র বর্ণনার সাথে আমাদের ধর্মগ্রন্থের স্রষ্টার নিশ্চয়ই মিল খুঁজে পাচ্ছেন?

৩.৩ ন্যায়-অন্যায় বোধ ও মানুষের বিশেষত্ব
বিশ্বের একজন স্রষ্টা থাকলেও কি করে আমরা বুঝব যে, স্রষ্টা আমাদের কাছ থেকে বিশেষ কিছু আশা করছেন অথবা তিনি আমাদের বিশেষ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন? তা না হলে, অন্য সব প্রানীকে বাদ দিয়ে, কি দরকারই বা ছিল আমাদের কাছে জীবন চলার পথ বাতলে দেয়ার?

লক্ষ্য করলে দেখব যে পৃথিবীর সমস্ত দেশ, জাতি, সমাজের, এমনকি ব্যক্তির মধ্যে ন্যায়-অন্যায়ের একটা অনুভূতি আছে। এর মানদন্ড ভিন্ন হলেও প্রতিটি মানুষ এই অনুভূতি নিয়ে জন্মায় এবং কোন একভাবে আমাদের মধ্যে ন্যায় কাজ করার একটা তাড়না কাজ করে। হতে পারে বিবর্তনের মাধ্যমে এটা আমাদের মাঝে এসেছে। প্রকৃতির খুবই অল্প সংখ্যক প্রানীর মধ্যে এই জাতীয় অনুভূতি থাকলেও, ন্যায়-অন্যায়ের বোধ নিয়ে কাজ করা দার্শনিকেরা শুধুমাত্র মানুষের এই অনুভুতিকে ‘নৈতিকতা’-র পর্যায়ে ফেলেন। এটা এতই স্বাভাবিক ভাবে আমাদের মাঝে ঢুকে যায় যে আমরা খেয়ালও করিনা। এমনকি স্কুলে না যাওয়া, ছোট্ট শিশুর মধ্যেও এই অনুভুতি কাজ। তারা হয়তো বলে বসে, ‘দেখ মা, ওকে আমার চেয়ে বেশী আইসক্রিম দিয়েছে’। এমনকি সেও বোঝে যে, তাকে সমান আইসক্রিম দেয়া উচিত এবং তা না দিয়ে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা নিজেরাও যখন অন্যের সাথে অন্যায়-আচরণ করি তখন হয় আমরা অনুতপ্ত হই, না হয় সেই আচরণের পেছনে একটা যুক্তি দাঁড় করাই। আমরা বলি না যে, “তোমার নৈতিকতার আমি থোড়াই কেয়ার করি”। এই ন্যায়-অন্যায় বোধের কারণে আমরা এমনও কাজ করে বসি যা সম্পূর্ণভাবে বিবর্তনবাদের বিপক্ষে যায়।

ষোড়শ শতাব্দির Dirk Willems (১৫৬৯)-কে নেদারল্যান্ডে আটক করা হয় খ্রীষ্টধর্মের ভিন্ন এক মতবাদে বিশ্বাস করার জন্যে। তার মৃত্যুদন্ড অবধারিত ছিল এবং এর অপেক্ষায় তাকে প্রাসাদের এক ঘরে বন্দী করে রাখা হয়। কোন এক শীতের রাতে তিনি পালাতে সক্ষম হন। এক প্রহরী তাকে পালাতে দেখতে পেয়ে ধরার জন্যে পেছন পেছন রওয়ানা হয়। বন্দি অবস্থায় তাকে দেয়া সীমিত খাবারে বেশ হাল্কা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পুকুরের পানিতে জমা বরফের উপর দিয়ে তাই সহজেই দুর্গের সীমানায় পৌছে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে অনুসরণ করা স্বাস্থ্যবান প্রহরীর ওজনে বরফ ভেঙ্গে যায় এবং ঠান্ডা পানিতে পরে প্রায় জমে যাওয়া প্রহরী, সাহায্যের জন্য ডার্ক-কে ডাকতে শুরু করে। ডার্ক সাহায্যের জন্যে ফিরে গেলেন এবং তাকে পানি থেকে উদ্ধার করলেন। সেই প্রহরীই তাকে আবার আটক করল এবং ফেরত নিয়ে গেল। কিছুদিন পরে ডার্ককে আগুনে পুড়িয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়[১৮]।

বিবর্তনবাদ তত্ত্বের আদর্শ অনুযায়ী ডার্কের উচিত ছিল নিজের জীনকে রক্ষার চেষ্টা করা এবং তিনি যা করেছেন তার সম্পুর্ণ উল্টো কাজটা করা। এবং একই আদর্শ সমর্থন করে প্রহরীর ব্যবহারকে, কারণ সে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে এবং এই কাজের উপরে তার অস্তিত্ব নির্ভর করে। অথচ এই কাহিনী পড়ার পরে আমাদের সবার মন, ডার্কের আত্মদানের এই কাজকে সাধুবাদ জানায় এবং প্রশ্ন জাগায় “কেন প্রহরী তার জীবন বাচানোর পরেও ডার্ককে ছেড়ে দিল না?”। বিবর্তনবাদ অনেক সময় আত্মদানের মাধ্যমে নিজের আত্মীয়ের বিস্তার বা প্রসারের ব্যাখ্যা দেয়, যে কিনা একই জীন বহন করে। কিন্তু সম্পূর্ণ অপরিচিত এক ব্যক্তির প্রতি এমন আত্মদানের ব্যাখ্যায় বিবর্তনবাদ অপারগ। মাদার তেরেসার মতো মহান ব্যক্তিদের এমন নিঃস্বার্থ আচরণ আমাদের মনকে নাড়া দেয় এবং অদ্ভুত ব্যাপারে হচ্ছে ধর্ম, আমাদের এই ধরনের আচরণের শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা দেয়।

৩.৩ অন্যান্য
বিবর্তনবাদের পক্ষে কলিন্স পরিচ্ছেদ ২.১ এবং ২.২-তে উল্লেখ করা যুক্তিগুলো উল্লেখ করেন। তার মতে স্রষ্টা, বিশ্ব সৃষ্টির সময় সবকিছুকে ‘ফাইন-টিউন’ করে দিয়েছেন এবং এর ফলেই বিবর্তনের মাধ্যমে আস্তে আস্তে মানুষের আবির্ভাব হয়েছে।

প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বাইবেলে উল্লেখিত বিভিন্ন অলৌকিক কাহিনী এবং পিতা ছাড়া ঈসা (আঃ)-এর জন্মের ব্যাখ্যায় তিনি সামান্য বিপদে পরেন। অলৌকিক কাহিনীর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমরা যদি ধরে নেই স্রষ্টা নিয়মের প্রবর্তক, তাহলে কোন একটা বিশেষ মুহুর্তের জন্যে তিনি সেই নিয়মের ব্যতিক্রম করতে পারেন”। দ্বিতীয় বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই ‘তার জানা নাই’ বলে তিনি উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বাইবেলের সবকিছু আক্ষরিক ভাবে না নেয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

৪.০ অবিবর্তনবাদি সৃষ্টিবাদ
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তিনটি ধর্মের (যাদের সামগ্রিকভাবে কিছু মৌলিক বিশ্বাসের মিল আছে) ধর্মগ্রন্থ আক্ষরিক অর্থে, অন্ততঃ মানুষকে সরাসরি স্রষ্টার সৃষ্টি বলে ব্যাখ্যা করে। জীবনের এবং চারপাশের জটিলতা, এই ধর্মে-বিশ্বাসী মানুষগুলোকে স্রষ্টা/ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনারের অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। বিবর্তনবাদের একপর্যায়ে, বানর শ্রেনীর প্রজাতি থেকে মানুষ সৃষ্টির যে ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দেন, তা, ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের বিশ্বাস ও বোধের বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীদের দেয়া ব্যাখ্যা সাময়িকভাবে বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও পরে সেগুলো ভুল প্রমানিত হয়েছে। ধর্ম-বিশ্বাসীরা তাই, অন্ততঃ বিবর্তন ব্যাপারে, বিজ্ঞানীদের উপরে কম আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। বিবর্তনের স্বপক্ষে বিভিন্ন ব্যাখ্যা/প্রমানের অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা তাদের পক্ষপাতের পরিচয় দিয়েছেন এবং ক্ষেত্রবিশেষে ছলনা/প্রতারণার সুযোগ নিয়েছেন।

৪.১ স্রষ্টার অস্তিত্ব
পরিচ্ছেদ ৩.১ থেকে ৩.৩-তে কলিন্সের উপস্থাপনায় স্রষ্টার অস্তিত্বের ইঙ্গিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এছাড়াও পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, জীবন ও প্রকৃতির জটিলতার ব্যাখ্যায় স্রষ্টা বা পেছনের এক চালিকা শক্তির ভূমিকা অত্যাবশ্যকীয়। পরিচ্ছেদ ১.২-তে দেয়া ব্যাকটেরিয়াল ফ্লাজেলার কথাই চিন্তা করা যাক। এত অসাধারণ দক্ষতা ও ক্ষমতা সম্পন্ন একটি যন্ত্র, কেমন করে নিজে নিজে তৈরী হতে পারে ভাবলেই অবাক হতে হয়। সেখানে অবশ্য এও ব্যাখ্যা করা আছে, বিবর্তনবাদীদের মতে কিভাবে ফ্লাজেলার আবির্ভাব হতে পারে। তাহলে এটা দিয়েই শুরু করা যাক কিভাবে কিছু বিজ্ঞানীর মনগড়া ব্যাখ্যা, সময়ের সাথে ভুল প্রমানিত হয় এবং অস্বাভাবিক জটিলতা কেন এখনও স্রষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

৪.২ ব্যাকটেরিয়াল ফ্লাজেলামের উল্টো-বিবর্তনঃ
ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের বিবর্তনের ব্যাখ্যায় একটা বড় ধাপ/জাম্প ছিল “Type III secretion system (TTSS) ব্যাকটেরিয়ার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একটি উপাদান, যা প্রায় ১০টি প্রোটিন নিয়ে তৈরী”। বিজ্ঞানীরাই একবারে ১০টি প্রোটিন যোগ করার এই প্রক্রিয়াকে পরে অযৌক্তিক প্রমান করেছেন। কারণ প্রকৃতপক্ষে, ব্যাক্টেরিয়ার মধ্য TTSS ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের পরে আবির্ভূত হয়েছে। এ ব্যাপারে সাইন্টিফিক জার্নালে আর্টিক্যাল আছে, কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায় TTSS ব্যাক্টেরিয়ার খুব সীমিত সংখ্যক প্রজাতির মধ্যে পরিলক্ষিত হয় আর ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলা তার থেকে অনেক বেশি প্রজাতিতে পাওয়া যায়। কারণ ব্যাক্টেরিয়ার চলাচলের জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংগ বা অংশ। শুধু উদ্ধৃতিতে বিশ্বাস করতে বললে, বিবর্তনবাদীদের ব্যাখ্যা দেয়ার ধরণ থেকে আলাদা কিছুই হলো না। ২০০৮ এর নভেম্বরে ‘জার্নাল অফ মলিকুলার বায়োলজী এন্ড ইভোলিউশ’ এ প্রকাশিত একটি আর্টিক্যালে[১৯] দেখানো হয়েছে কিভাবে ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলাম থেকে প্রোটিন হারিয়ে TTSS-এর উৎপত্তি হয়, অন্য পথে নয়।
[আর্টিক্যালটি বিনামূল্যে পড়া সম্ভব তারপরেও গুগলে তৈরী করা আমার সাইটে তা আপলোড করা আছে। এর সাথে এই প্রবন্ধে উল্লেখ করা সব আর্টিক্যালই আমি আপলোড করে রেখেছি ট্রান্সপারেন্ট থাকার জন্যে।]
তাহলে তিন বছর পরে (২০০৫ এ আদালতে হারের পরে) এখন আমরা আবার আগের প্রশ্নে ফেরত আসলাম। তাহলে ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলাম, যা কিনা মানুষের তৈরী করা যন্ত্রের থেকে বেশী কর্মদক্ষতা সম্পন্ন মাইক্রোস্কোপিক একটা যন্ত্র, তা কেমন করে তৈরী হলো? জাফলং-এ গিয়ে যদি আদর্শ ঘনকের আকারের, মোটামুটি মসৃণ পাথর দেখি তখন কিন্তু কেউই অনুমান করে না যে, প্রকৃতি এটা তৈরী করেছে বছরের পর বছর ধরে। কারণ আমরা সবাই প্রকৃতির কাজের সীমাবদ্ধতা জানি।

অনেকে স্নো বা বিভিন্ন ক্রিষ্টালের এরেঞ্জমেন্টের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন এসবতো প্রকৃতি বানায়। খেয়াল রাখতে হবে, রাসায়নিক বা ফিসিক্যাল সীমাবদ্ধতার(constraint) কারনে তৈরী স্ট্রাকচার আর মেকানিক্যালি ফাঙ্কশানাল স্ট্রাকচারের অনেক ফারাক। আগের দুই পদ্ধতিতে তৈরী বস্তুর সাথে অন্যকোন স্ট্রাকচারের নির্ভরশীলতা থাকেনা (যেমন রোটর এবং shaft) এবং এদের জটিলতা, অনেক অনেক কম।

৪.৩ পারস্পরিক নির্ভরশীল জটিল সিস্টেম
“প্রোটিন একটি অর্গানিজমের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান এবং তা কোষের সমস্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। অনেক প্রোটিনই এঞ্জাইম যা বায়োকেমিক্যাল বিক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং মেটাবলিজমের জন্যে প্রোটিন অপরিহার্য উপাদান[২০]। আর মেটাবলিজম হচ্ছে কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া, যা জীবন রক্ষার্তে জীবের মধ্যে সংগঠিত হয়[২১]”। অন্যদিকে, “প্রোটিনের মধ্যকার এমিনো এসিডের সিকুয়েন্স নির্ধারিত হয় জীনের মধ্যে রাখা জেনেটিক কোডের মাধ্যমে[২০]”।

জেনেটিক কোডকে কাজে লাগিয়ে এবং ২০টি স্ট্যান্ডার্ড এমিনো এসিড ব্যবহার করে প্রোটিন তৈরী করা হয় । চারটি অক্ষরের (U C A এবং G) বিভিন্ন কম্বিনেশনে প্রোটিন তৈরীর এমিনো এসিডগুলোর ক্রম(sequence) জীনের মধ্যে লেখা থাকে। ২০টি এমিনো এসিডকে নির্দেশ করতে কমপক্ষে (৪n যেখানে n =) ৩টি অক্ষরের সেট প্রয়োজন। ২৭০০০ এমিনো এসিড নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রোটিন গঠিত। তাহলে তাকে প্রকাশ করতে (২৭০০০x৩) ৮১ হাজার অক্ষর প্রয়োজন। শুধু মাত্র একটি প্রোটিনের জন্যেই এত কিছু। এসব বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাইকে বোঝানো, যে জেনেটিক কোডিং সিস্টেম কত জটিল। এরকমই আরেকটি জটিল ব্যবস্থা, জীনের কোড থেকে প্রোটিন তৈরী করে। এখন লক্ষ্য করুন, জেনেটিক কোড ছাড়া প্রোটিন তৈরীর মেকানিজম দিয়ে কোন লাভ নেই। আবার, প্রোটিন তৈরী মেকানিজম থাকা সত্ত্বেও যদি জেনেটিক কোড যদি না থাকে, তাহলে প্রোটিন তৈরীও সম্ভব না। আর, প্রোটিন জীবনের জন্য, তথা মেটাবলিজমের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এরকম দুটি পারস্পরিক নির্ভরশীল, জটিল ব্যবস্থা, একইসাথে, নিজে নিজে, পৃথিবীর একই জায়গায়, তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? এর উত্তরের চেষ্টায় আপনাকে তাদের আবির্ভাবের সময় মিলাতে হবে এবং জায়গাটাও এক হতে হবে। এর সাথে যুক্ত হবে জীন ও প্রোটিন তৈরীর ব্যবস্থার প্রাথমিক উপাদান থেকে তাদের তৈরীর সম্ভাবনা! সম্ভাবনা যেহেতু সবসময় একের সমান বা ছোট, তাই যত গুলো ‘এবং’ এর শর্ত আপনাকে পূরণ করতে হবে, সম্ভাবনা ততই ছোট হতে থাকবে। সুতরাং, ‘শুভ কামনা’ রইলো আপনার চেষ্টার ব্যাপারে।

[১। অনেকে বলতে পারেন, সমস্ত প্রোটিনতো জীন তৈরী করে না, খাবারের সাথে ও আমরা অনেক প্রোটিন গ্রহন করি। আমরা এখানে শুধু তৈরীকৃত প্রোটিনের আলোচনা করছি। তাছাড়া চিন্তা করে দেখুন, প্রথম জীবের কথা। তার জীবনের শুরুর আগে সে খাবেই বা কেমন করে।
২। U, C, A এবং G আক্ষরিক অর্থে অক্ষর নয়।]

৪.৪ জেনেটিক্স ও বিবর্তন
ধরে নেয়া যাক, প্রায় অসম্ভব ঘটনা সম্ভব হলো এবং কোন একভাবে এককোষী প্রানির আবির্ভাব হলো।

এখন, বিবর্তনের জন্যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তথ্য পরিবহনের প্রয়োজন। না হলে প্রত্যেক প্রজন্মকে অনেকটা শুরু থেকে শুরু করতে হবে এবং এলোমেলো ভাবে একটি জীবের সন্তানের বৈশিষ্ট্য নির্ণিত হবে। জীনমই জীবের গঠনসহ অধিকাংশ তথ্য সংরক্ষণ করে এবং এ কারণেই বিবর্তনের ব্যাখ্যায় জীনম একটি অপরিহার্য উপাদান। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, জীনম আবার নিজেই বিবর্তনের কারণ হতে পারে। আল্ট্রাভায়োলেট বা আয়নের রেডিয়েশন, ভাইরাস এবং অন্যান্য কিছু কারণে কোষ বিভাজনের সময় জেনেটিক তথ্য কপি করার সময় ভুল হতে পারে। এই প্রক্রিয়াকে বলে মিউটেশন। পরিবর্তিত জেনেটিক তথ্য নিয়ে, পরে প্রজন্ম আবির্ভাব হবে নতুন বৈশিষ্ট্যে। শিম্পাঞ্জীর দুইটি ক্রমোজমের ফিউশনের ফলে মানুষের উৎপত্তিও (পরিচ্ছেদ ১.১) মিউটেশনের একটি উদাহরণ।

এটা পরিস্কার যে, মিউটেশনের ফলে জেনেটিক তথ্য পরিবর্তিত হয়। মনে রাখতে হবে, পরিবর্তনের ফলে সবসময়ই ভালো কিছু নাও আসতে পারে। বরং এত সাজানো একটা ব্যবস্থায় অপরিকল্পিত পরিবর্তনে খারাপ কিছু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। মিউটেশনেরও সীমাবদ্ধতা আছে। বিজ্ঞানীরা এই প্রক্রিয়ার ফলে একটি প্রানীর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের দাবি করেছেন কিন্তু আমার জানা মতে, তারা এ পর্যন্ত কোন নতুন প্রানীর জন্ম দিতে পারেননি। বছরের পর বছর কাজ করে, জিপ্সী মথের তারা “receptor affinity and toxicity” পরিবর্তন করেছেন[২২, ২৩]। ভুল হলেও তা সংশোধনের কোন মেকানিজম আছে কিনা তাও গবেষনার বিষয়। কমিউনিকিশন লিঙ্ক গুলোতে অসংখ্য ভুল হয়, কিন্তু এতে error code বসানো থাকে, যা ভুল হলেও তা আবার ঠিক করতে পারে। এছাড়াও মিউটেশনের ফলে যদি ক্রমোজমের সংখ্যা পরিবর্তিত হয়ে যায়, মানুষের বেলায় যা হয়েছিল, তখন জেনেটিক কারণেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে নতুন প্রানীটি আগের প্রানীর সাথে প্রজননের ক্ষমতা হারায়। কাছাকাছি সংখ্যাক ক্রমোজম আছে এরকম দুটি প্রানীর কিছুক্ষেত্রে সন্তান হলেও সন্তানের আর প্রজননের ক্ষমতা থাকে না। গাধা ও ঘোড়ার সংকর মিউল বা খচ্চর-এর একটি উদাহরণ।

বিবর্তনবাদীদের মতে, এক মিলিয়ন বছর আগে মিউটেশনের ফলে ২৪ জোড়া ক্রমোজম থেকে ২৩ জোড়া ক্রমোজমের মানুষের উদ্ভব হয়েছিল। এই প্রক্রিয়া একজন মানব অথবা মানবীর ক্ষেত্রে হতে হবে। কারণ এটা একটা আকস্মিক(random) প্রক্রিয়া এবং একি সাথে একই ধরনের মিউটিশনে একজন মানব ও একজন মানবী তৈরী প্রায় অসম্ভব। মনে রাখতে হবে, ক্রমোজমের সংখ্যা একটু একটু করে কমতে পারে না। যাইহোক, দৈবক্রমে তৈরী হওয়া মানুষটির বংশবিস্তারের জন্যে সঙ্গির প্রয়োজন। তা না হলে সংগত কারণেই বিবর্তিত মানুষটি পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাবে।

অনেকে অবশ্য বলেন, ক্রমোজম পৃথক হওয়ার পরেও মানুষ ও মহিলা শিম্পাঞ্জীর মাঝে প্রজনন ছিল ভায়াবল। বিজ্ঞান অথবা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা অবশ্য সে কথা বলে না। বিভিন্ন রিসার্চ গ্রুপের বছরের পরে বছরের নিয়ন্ত্রিত চেষ্টাতে[২৪-২৫], অসংখ্য ব্যর্থতার পরে একটি দ্বিতীয় প্রজন্মের সন্তানের জন্ম হয়েছে। নির্দেশিত প্রবন্ধগুলো পড়লেই বোঝা যাবে, প্রাকৃতিক পরিবেশে এই ঘটনা ঘটা কতটা অস্বাভাবিক। তার উপরে মানুষ বা শিম্পাঞ্জীর প্রজনন আদৌ সম্ভব কিনা, নৈতিক কারণেই, এই ব্যাপারে কোন পরিক্ষা হয়নি। আর প্রমান ছাড়া, কোন উপসংহারে পৌঁছানো অবৈজ্ঞানিক। ‘বিবর্তন সত্যি’ বলে মানুষ ও শিম্পাঞ্জীর প্রজনন ভায়াবল হতে হবে এই জাতীয় কথা বলে, বিবর্তনের যথার্থতা প্রমান করাও অযৌক্তিক। এ যেন A থেকে B হয়ে C-তে যাওয়া সম্ভব প্রমান করার জন্যে বলা যে, ‘A থেকে B তে যাওয়া সম্ভব, পথটি পুর্ণ হতে হলে B থেকে অবশ্যই C-তে যাওয়ার একটি পথ থাকতে হবে’। বরং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হচ্ছে, এই প্রমানের জন্যে A থেকে B এবং B থেকে C-তে যাওয়ার আলাদা পথের প্রমান দেয়া। আর তাই যদি না হতো, তা হলে বিজ্ঞানীরা কেনই বা প্রমানের চেষ্টা করছেন যে ভিন্ন ক্রমোজম-সংখ্যা বিশিষ্ট প্রানীর প্রজনন সম্ভব।

মানুষ-শিম্পাঞ্জির ক্রমোজম নিয়ে আরও বিভ্রান্ত হতে চাইলে Nature News (মে, ২০০৪)-এর ‘Chimp chromosome creates puzzles’[২৬] পড়ার অনুরোধ রইলো। মানুষের আর শিম্পাঞ্জির জীনকে যত কাছাকাছি মনে হয়েছিল[৫,২৭] আসলে মোটেই তা নয়। Fujiyama[২৮]-এর প্রকাশিত নিবন্ধের উপরে ভিত্তি করে সেই খবরের উল্লেখ করা হয়,

“We already knew that around 98.5% of the base pairs that make up our DNA are the same as those in chimps. So the old idea was that all the things that differentiate us from apes, such as highly developed cognitive functions, walking upright and the use of complex language, should come from the other 1.5%.

Scientists had hoped this would mean the key genetic changes that enabled such traits to evolve would be easy to find. But the latest evidence suggests that the journey from ape to human was much more complex.”

* Nature জার্নালটির গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে কারো সন্দেহ থাকলে দয়া করে
http://en.wikipedia.org/wiki/Impact_factor থেকে এর রাঙ্কিং দেখে নিবেন।

অন্যযুক্তিগুলো আসছে খুব দ্রুত…

তথ্যসুত্রঃ (pdf ফাইল গুলো আপলোড করা আছে।)
[৫] J W Ijdo, A Baldini, D C Ward (1991) “Origin of human chromosome 2: an ancestral telomere-telomere fusion”. Proceedings of the National Academy of Sciences 88: 9051–5.
[১৫] Francis Collins, “God and the Genome”.
Please search ‘Francis Collins’ in google video.
[১৬] L. Susskind, (2005) The cosmic landscape: String Theory and the illusion of intelligent design. (New York, Little Brown and Company.)
[১৭] Fraser Watts, (2008) “Creation: Law and Probability” (Ashgate Publishing Ltd.) chapters available at google books
[১৮] http://www.goshen.edu/mqr/Dirk_Willems.html
[১৯] C Toft and M A Fares, (2008) “The evolution of the flagellar assembly pathway in endosymbiotic bacterial genomes”, Molecular Biology and Evolution 25(9): 2069-2076,
[২০] http://en.wikipedia.org/wiki/Protein
[২১] http://en.wikipedia.org/wiki/Metabolism
[২২] F Rajamohan, O Alzate, J A Cotrill et al, (1996) “Protein engineering of Bacillus thuringiensis -endotoxin: Mutations at domain II of CryIAb enhance receptor affinity and toxicity toward gypsy moth larvae”, Proc. Natl. Acad. Sci. USA 93: 14338–14343.
[২৩] J L Jenkins, M K Lee, A P Valaitis et al, (2000) “Bivalent Sequential Binding Model of a Bacillus thuringiensis Toxin to Gypsy Moth Aminopeptidase N Receptor”, The Journal Of Biological Chemistry 275(19): 14423–14431.
[২৪] E Zong and G Fun (1989) “The variety of sterility and gradual progression to fertility in hybrids of the horse and donkey”, Heredity 62: 393-406.
[২৫] O A Ryder et al, (1985) “Male mule foal qualifies as the offspring of a female and jack donkey”, Heredity 76: 379-381.
[২৬] Laura Nelson, (2004), “Chimp chromosome creates puzzles: First sequence is unexpectedly different from human equivalent”, Nature News, 27th May 2004. doi:10.1038/news040524-8
[২৭] J Wienberg et al (1990) “Molecular cytotaxonomy of primates by chromosomal in situ suppression hybridization”. Genomics 8: 347-350.
[২৮] A Fujiyama et al, (2004) “DNA sequence and comparative analysis of Chimpanzee Chromosome 22” Nature 429: 382-388.

৩,০৮৮ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “বিবর্তনবাদ – a Review (২)”

  1. আরিফ (১৯৯৪-২০০০)

    ধন্যবাদ জাহিদ ভাই, যদিও আমি বায়োলজীর স্টুডেন্ট না কিন্তু এধরনের প্রবন্ধ সবসময়ই আনন্দদায়ক। রেফারেন্স যোগ করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

    ১ম... 🙂

    জবাব দিন
  2. সাব্বির (৯৮-০৪)

    রিচার্ড ডকিন্স BBC তে "Virus of Faith" নামে একটা অনুষ্ঠান করেন। অনুষ্ঠানটা দেখলে ওনার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ধারনা পাবেন।

    @ধর্মপরায়ন জাতির পক্ষে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া কঠিন@(মোটামূটি এই হচ্ছে থিম)

    আপনার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে আপনার রাস্তা।দুটার সহবস্থান সম্ভব নয়(বিজ্ঞান এবং ধর্ম)
    ওনার রাগ করার আরেকটা কারন(আমার মনে হয়) বোধহয় ওনার সাফল্যে ভাগ বসানো নিয়ে।একজন বিজ্ঞানী ১৫-২০ বছর একটা কাজের পেছনে ব্যয় করেন।কেও ্যদি বলে সব এ এক দুই লাইনে লেখা ছিলো তাহলে রাগ করার ই কথা (আমি বোধহয় করতাম!!!!)

    জবাব দিন
  3. সাব্বির (৯৮-০৪)

    আপনাদের আলোচনা উপভোগ করছি কিন্তু আমার কাছে মনে হয় বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ন্যায়,নৈতিকতা না আনাই ভালো কারন বিজ্ঞান একটি অন্ধ মাধ্যম, আপনি ন্যায়,নৈতিকতা এর মতো সমস্যাসংকূল বিষয়(্যার সংগা সময়ের উপর নির্ভর করে!!!!!) নিয়ে এলে আলোচনার মোড় ঘুরতে বাধ্য।

    জবাব দিন
    • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

      সাব্বির,

      ধন্যবাদ। আমিও তোমার মতই। কম জানি।

      কলিন্সের হয়ে একটু বলি। উনি কিন্তু বলেননি, ন্যায়-অন্যায় বোধ স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমান করে। বরং উনি একটি উদাহরন দিয়ে দেখিয়েছেন তা কেমন করে বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে যায়। তিনি নিজেও জানেন, নিজের আত্মীয়ের জন্য লোকজন জীবন দেয় এবং যার যৌক্তিকতা বিবর্তনবাদ ব্যাখ্যা করতে পারে। কিন্তু নিজের জীবন বিপন্ন করে শত্রুকে সাহায্য করার যৌক্তিকতা কি? তোমার দেয়া ভিডিওতেও খেয়াল কর, নিজের জাতির বা জাতীয়তার বা মানসিকতার প্রানীরা একে অন্যকে শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে, সারভাইবেল-এর জন্য। আমি সেটা বুঝি এবং আমার মনে হয় কলিন্সও তা বুঝেন।

      ভিডিও-র স্রষ্টাবাদি লোকের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলে আমি বলব, এর চেয়ে অনেক কমবুদ্ধি সম্পন্ন লোক আছে। আমার প্রবন্ধে আমি অবৈজ্ঞানিক লোকের রেফারেন্স দিই নাই। কারণ কে কি বলল তা দিয়ে একটা ব্যবস্থাকে বিচার করা যায় না। তোমার cool voice-এর লোকটার ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের উপরে ভিডিও আছে। আমিতো তাকে উল্লেখও করি নাই।

      আমি একটু বিভ্রান্ত। একজন বলছ, 'বিশ্বাস আর বিজ্ঞান আলাদা' আবার একজন বলছ, 'ধর্ম আর বিজ্ঞান একসাথে সম্ভব নয়'। আমি নিজে করছি, আমার পরিচিত কমপক্ষে ৫০০ জন করছে। প্রকৃতপক্ষে, কোথায় এটা কনফ্লিক্ট করে ব্যাখ্যা করলে ভাল লাগত।

      Rachard Dawkins-এর প্রতি আমার অন্ততঃ কোন ক্ষোপ নাই। বরং মায়াই লেগেছে। bbc-এর panaroma-তে তার ইন্টারভিউ দেখো পারলে। তিন পর্বই দেখ।
      http://www.youtube.com/watch?v=Pm4HbqUKmY0

      বিজ্ঞানের ব্যাপারে ন্যায়-অন্যায় বোধ কাজ করেনা, তুমি যে চিন্তা করে এটা বলেছ তা ১০০% ঠিক। কিন্তু মানুষের ন্যায়-অন্যায় বোধ, বিশেষভাবে altruism-এর উৎপত্তি বোঝার জন্যে কিন্তু বিজ্ঞানীরা কাজ করছে। আমি রেফারেন্স দিতে পারব না এই মুহুর্তে, তবে গত সপ্তাহে একটা রিপোর্ট পড়ছিলাম যেখানে ape-দের নিজে না নিয়ে আরেকজনকে দেয়ার একটা প্রশিক্ষন নিয়ে কথা বলছিল। প্রক্রিয়াটা নিয়ে যদিও আমার কিছু সন্দেহ আছে তবুও তারা করেছেন।

      ভালো থেকো।

      জবাব দিন
      • সাব্বির (৯৮-০৪)

        “কলিন্সের হয়ে একটু বলি। উনি কিন্তু বলেননি, ন্যায়-অন্যায় বোধ স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমান করে। বরং উনি একটি উদাহরন দিয়ে দেখিয়েছেন তা কেমন করে বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে যায়। তিনি নিজেও জানেন, নিজের আত্মীয়ের জন্য লোকজন জীবন দেয় এবং যার যৌক্তিকতা বিবর্তনবাদ ব্যাখ্যা করতে পারে। কিন্তু নিজের জীবন বিপন্ন করে শত্রুকে সাহায্য করার যৌক্তিকতা কি? তোমার দেয়া ভিডিওতেও খেয়াল কর, নিজের জাতির বা জাতীয়তার বা মানসিকতার প্রানীরা একে অন্যকে শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে, সারভাইবেল-এর জন্য। আমি সেটা বুঝি এবং আমার মনে হয় কলিন্সও তা বুঝেন।“

        আপনার এই প্যারা এর বিপক্ষে কিছু বললেও যে সমাধানে আমরা পৌছুতে পারতাম তা আপনি দ্বিতীয় লাইনে বলে দিয়েছেন। ন্যায়-অন্যায় বোধ কোনো কিছুই প্রমান করেনা। ন্যায়-অন্যায় বোধ পুরোটাই সময়ের উপর নির্ভর করে। তাই আমি মনে করি ন্যায়-অন্যায় বোধ বৈজ্ঞানিক আলচোনায় না আনাই ভালো।

        “ভিডিও-র স্রষ্টাবাদি লোকের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলে আমি বলব, এর চেয়ে অনেক কমবুদ্ধি সম্পন্ন লোক আছে। আমার প্রবন্ধে আমি অবৈজ্ঞানিক লোকের রেফারেন্স দিই নাই। কারণ কে কি বলল তা দিয়ে একটা ব্যবস্থাকে বিচার করা যায় না। তোমার cool voice-এর লোকটার ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লাজেলামের উপরে ভিডিও আছে। আমিতো তাকে উল্লেখও করি নাই।“

        খুব ভালো।কিন্তু আমার মনে হয় আপনি মূল পয়েন্ট মিস করেছেন। “morality of mankind is plastic!”

        “আমি একটু বিভ্রান্ত। একজন বলছ, ‘বিশ্বাস আর বিজ্ঞান আলাদা’ আবার একজন বলছ, ‘ধর্ম আর বিজ্ঞান একসাথে সম্ভব নয়’। আমি নিজে করছি, আমার পরিচিত কমপক্ষে ৫০০ জন করছে। প্রকৃতপক্ষে, কোথায় এটা কনফ্লিক্ট করে ব্যাখ্যা করলে ভাল লাগত।“

        তেমন কোনো সমস্যা হয় না শুধু সভ্যতার উদ্দেশ্য দাঁড়ায় @ ত্রিকোন মিতি অংকের উত্তর জেনে অংক করার মতো @ । আপনি এই দৃষ্টিভংগী তে বিশ্বাসী হলে আলোচনা পয়েন্টলেস।

        “Rachard Dawkins-এর প্রতি আমার অন্ততঃ কোন ক্ষোপ নাই। বরং মায়াই লেগেছে। bbc-এর panaroma-তে তার ইন্টারভিউ দেখো পারলে। তিন পর্বই দেখ।
        http://www.youtube.com/watch?v=Pm4HbqUKmY0 “

        আমি এটা আগেও দেখেছি আপনি বললে আবার দেখবো। এটা পুরোটাই তার দৃষ্টিভংগী @ ধর্মীয় সমাজের ট্রিটমেন্ট সমাজের পক্ষ থেকে @ আমি সবাইকে অনুরোধ করবো দেখতে। এটা পুরো টাই সমাজ টু সমাজ ভ্যারী করবে। ব্যাক্তিগত ভাবে বাংগালী সমাজকে আমি করূনা করি তার সীমাবদ্ধতার কারনে। দেশ নাগরিক কে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে না পারলে নাগরিক রা ধর্মের দিকে ঝুকবেই। @ লারাই বাফি @।

        “বিজ্ঞানের ব্যাপারে ন্যায়-অন্যায় বোধ কাজ করেনা, তুমি যে চিন্তা করে এটা বলেছ তা ১০০% ঠিক। কিন্তু মানুষের ন্যায়-অন্যায় বোধ, বিশেষভাবে altruism-এর উৎপত্তি বোঝার জন্যে কিন্তু বিজ্ঞানীরা কাজ করছে। আমি রেফারেন্স দিতে পারব না এই মুহুর্তে, তবে গত সপ্তাহে একটা রিপোর্ট পড়ছিলাম যেখানে ape-দের নিজে না নিয়ে আরেকজনকে দেয়ার একটা প্রশিক্ষন নিয়ে কথা বলছিল। প্রক্রিয়াটা নিয়ে যদিও আমার কিছু সন্দেহ আছে তবুও তারা করেছেন।“

        এ আলোচনা(প্যারা) থেকে আমরা কোথায় যাচ্ছি বুঝতে পারছি না। আমার প্রশ্ন @ তো ?@

        সবশেষে আপনি বিজ্ঞানের ব্যাপারে কারো ভালো লাগা মন্দ লাগার অপ্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছেন বলে ধন্যবাদ। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি ১৮+ প্লাস কাউকে কিছু শেখানো যায় না। তাকে শিখতে হয়। শিখতে হয় শুন্য থেকে অথবা অবস্থানলেস কারো কাছ থেকে (যার লাভ ক্ষতির সাথে ফলাফলের কোনো সম্পর্ক নাই) । আমরা ইতিহাস ঘাটলে দেখি তাতে হাজার হাজার ভূল বায়াসড থাকার কারনে। কিন্তু এই যুগে (ইন্টারনেট।...।।... etc) এটা বোধ হয় কোনো যূক্তি না ।আপনি কোনো সমস্যাকে কোথায় দাড়িয়ে দেখছেন তা খুব বড়ো একটা ব্যাপার।

        জবাব দিন
        • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

          একই জিনিষ আমি আবার বলাতে চাই না।

          তেমন কোনো সমস্যা হয় না শুধু সভ্যতার উদ্দেশ্য দাঁড়ায় @ ত্রিকোন মিতি অংকের উত্তর জেনে অংক করার মতো @ । আপনি এই দৃষ্টিভংগী তে বিশ্বাসী হলে আলোচনা পয়েন্টলেস।

          মজা পেলাম। আমি exam hall-এ ত্রিকোনমিতির ফরমুলা দিয়ে অংক করার পরে আমার class-র এক ছেলে যে কিনা এর আগে ঐ বিষয়ে বহুবার ফেল করেছে, পেছন থেকে বলল, "দো্সত, আমারটাই ঠিক, বিশ্বাস কর"। আমি কি আমার answer বাদ দিয়ে এখন ওরটা উঠান শুরু করব? তুমি যদি বল "হা"। তাহলে আমারও যুকতি করা pointless.

          🙂 ভাল থেক।

          জবাব দিন
          • সাব্বির (৯৮-০৪)

            আমার মনে হয় এনালজী টা বেশ ভুল হলো। বিজ্ঞান যেসব উত্তর দিতে পারেনি আপনি তা ধর্মগ্রন্থে পেয়ে গেছেন!!!! মানে সূত্র বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন?

            @মানুষ ভুল করে করে শেখে।@ এই কথা সভ্যতার জন্যও প্রযোজ্য এবং শেখার একমাত্র উপায়।

            এই ব্যাপারে ricky gervais এর একটা জোকস আছে। ভিঞ্চি(উনি sketch করেছেন প্রথম) কে হেলিকপ্টার এর কার্যপ্রনালি জিজ্ঞেশ করলে তার উত্তর কি হতো তা নিয়ে।

            জবাব দিন
            • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

              আমার তিনপর্বের আলোচনায় কিন্তু আমি ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্স একটাও দেই নাই। দুইটা আয়াত উল্লেখ করেছি শুধুমাত্র ইসলামের দৃষ্টি-ভঙ্গি ফুটিয়ে তোলার জন্যে এবং এর মধ্য একটা আবার ছোট মাত্রায় বিবর্তনকে সমর্থন করে। সুতরাং, বিজ্ঞান বইয়ের সূত্র ব্যবহার করেওতো আমি কোন উত্তর পেলাম না।

              আমার অবস্থায় তুমি থাকলে কি করতা বলো। বিজ্ঞানীদের একদল, যারা এমনকি আস্তিকও না, প্রমান উপস্থাপন করছেন বিবর্তনের পক্ষে আনা যুক্তিগুলোর বিরুদ্ধে। আরেকদল বিজ্ঞানী তাকে প্রমানের চেষ্টায় এখনও শক্ত কোন প্রমান দাঁড় করাতে পারছেন না। এবং তাদের দাঁড় করানো আগের প্রমান, যেমন বললাম, ভুল প্রমানিত হয়েছে। দুই দলের দক্ষতা সমান, বিবর্তনবাদের প্রতি দুই দলেরই একই রকম বায়াস। তুমি এখন কোন দলকে অবিশ্বাস করবা বা বিশ্বাস করবা? ধর্মের কথা বাদই দিলাম।

              জোকসটা শুনি নাই তাই বুঝতে পারছি না। ভিঞ্চির ড্রইং খাতার মত করে যদি কোন একটা ধর্মগ্রন্থের কথা সত্যি বলে প্রমানিত হয়! তখনতো অনেকে বলবে, "ঐ বইয়ে এই সব লিখাছিল, লোকেরা তখন বুঝে নাই"। তোমার কথাই ঠিক, দৃষ্টি-ভঙ্গির উপরে নির্ভর করে!

              ভুল করে শিখলে আমার আপত্তি নাই। এখনও তো শিখতে পারল না। ২০০৮ পর্যন্ত ভুলই বের হল, আমার জীবদ্দশায় প্রমান করতে পারলে আমি তোমার দলে যোগ দেব। আগে প্রমান করুক। 🙂

              ভালো থেক।

              জবাব দিন
                • সাব্বির (৯৮-০৪)

                  বিজ্ঞানীদের অনুপাত ৫০-৫০ না এটুকু আমি নিশ্চিত।৫০% সম্ভবনা নিয়ে কোনো বিষয় ইউরোপে আন্ডারগ্রেড লেভেল এর সীলেবাস এ থাকার কোনো কারন নেই।

                  আমি জানি আপনি বিজ্ঞানীদের বিপক্ষে নন।আলোচনার খাতিরে ধরা যাক অনুপাত ৫০-৫০ ।তাতে করেও কি আপনার অবস্থান কোনো পক্ষে অথবা বিপক্ষে যাওয়া উচিত?!!!!

                  আপনি দেখবেন আমি বায়াসড শব্দটা বেশ কএক জায়গায় ব্যাবহার করেছি।আমার কমপ্লেইন সেখানে।আমরা কি চাই, না চাই তা দিয়ে বিজ্ঞানের রাস্তা আটকানোর অধিকার আমাদের নেই। কিছুদিন আগে ক্রিয়েশন সাইন্স মিউজিয়াম নামে একটি বস্তু বের হয়েছে usa তে।(খোজ নিন।মজা পাবেন)।

                  আমি নিজে যা করি তা হচ্ছে নিজে যা বুঝিনা তা বিষেশজ্জ দের হাতে ছাড়ি। আপনি যদি নিজে করতে চান(যা মোটামুটি অসম্ভব!!!!তার ভাস্টনেস এর কারনে) খুব ভালো কিন্তু আমার মনে হয় ফলাফল যাই আসুক তার সাথে নিজের স্বার্থ জড়িয়ে ফেলবেন না। ফলাফল ভুল আসতে বাধ্য।

                  ভালো থাকবেন ।

                  জবাব দিন
                  • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

                    সাব্বির,

                    আমি ভুলেও সৃষ্টিবাদী বিজ্ঞানীদের কথা বলিনি। তাদের বায়াসতো বিবর্তনবাদীদের বিরুদ্ধে। 'একই বায়াস' মানে বিবর্তনবাদের প্রতি একি বায়াস।

                    তুমি কি আমার রেফারেন্স দেয়া আর্টিক্যাল গুলো পড়েছো? তাদের বৈজ্ঞানিক কাজও তো তোমাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। তারাও কি হাসির পাত্র?

                    [১৯] C Toft and M A Fares, (2008) “The evolution of the flagellar assembly pathway in endosymbiotic bacterial genomes”, Molecular Biology and Evolution 25(9): 2069-2076,

                    [২৬] Laura Nelson, (2004), “Chimp chromosome creates puzzles: First sequence is unexpectedly different from human equivalent”, Nature News, 27th May 2004. doi:10.1038/news040524-8

                    [২৮] A Fujiyama et al, (2004) “DNA sequence and comparative analysis of Chimpanzee Chromosome 22” Nature 429: 382-388.

                    [৩২] Y Rak, A Ginzburg, and E Geffen, (2007) “Gorilla-like anatomy on Australopithecus afarensis mandibles suggests Au. afarensis link to robust australopiths”, The proceedings of The National Academy of Sciences of the USA, 104(16): 6568–6572.

                    জবাব দিন
  4. হোসেন (৯৯-০৫)

    পুরোটা পড়ে মন্তব্য করব,

    একটা জায়গায় চোখ আটকে গেল,......ধ্রুবকগুলির কথা বলেছেন সেগুলো বেছে নেবার ব্যাপারে স্ট্রিং থিওরী একটি ভালো মতবাদ সামনে এনেছে, অতিরিক্ত মাত্রাগুলি যারা স্ট্রিং এর চলন নিয়ন্ত্রন করে তারাই সম্ভবত এই মান গুলো নির্ধারনে ভুমিকা রাখে।


    ------------------------------------------------------------------
    কামলা খেটে যাই

    জবাব দিন
    • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

      হোসেন,

      তুমি কি 'মোহাম্মদ আলি' স্যারের মেশিনল্যাবে তোমার প্রফাইলের ছবি তুলেছ নাকি?

      যাইহোক, ধন্যবাদ।

      আমি এই ব্লগে এসে টাইট হয়ে গেছি। তিনবার ভেবে কথা বলি।

      অতিরিক্ত মাত্রাগুলি যারা স্ট্রিং এর চলন নিয়ন্ত্রন করে তারাই সম্ভবত এই মান গুলো নির্ধারনে ভুমিকা রাখে।

      বলতে কি তুমি বোঝাতে চাচ্ছ যে কোন সিস্টেম বা ইকুয়েশন দ্বারা মানগুলো সেট করা? নাহলে মাত্রা আবার 'ভূমিকা রাখে' জাতীয় কথা সহজে হজম করতে পারি না। যাই হোক, আমি জানতাম না। তুমি দয়া করে একটা রেফারেন্স দিও। তাতে সমীকরনগুলো থাকলে ভাল হয় এবং এর ফলে মানগুলো তারা কি পেয়েছে এবং আমরা কোন মান ব্যবহার করি যদি তুলনা করা থাকে খুব ভাল হয়।

      শুভেচ্ছা।

      জবাব দিন
  5. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    অনেক কস্ট করে লিখেছ, কিংবা হয়ত কোন কস্টই হয়নি।

    তবে আমার পড়তে কস্টই হচ্ছে একটু একটু। তবুও পড়ছি।

    মাহম্মদের পোস্টে একটা কমেন্ট করেছি, আবার করি

    মানুষ বড় আজিব, একটা জিনিস খুজে পায় (তৈরী করা নয়, খুজে পাওয়া), একটা নাম দেয়, এর পর অবাক হয়ে ভাবে এইটা এমন কেন? এরপর চেচামেচি শুরু করে (হাউকাউ)।

    আমি ঠিক করছি, এইগুলা কিছুই করুম না, তামাশা দেখুম।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
    • জাহিদ (১৯৮৯-৯৫)

      ফয়েজ ভাই,

      আমার বাংলা টাইপ স্পীড হচ্ছে ঘন্টায় এক প্যারা। অবশ্য এর মধ্য ডকুমেন্ট গুলি পড়া, ভিডিও দেখা অন্তর্ভুক্ত। গত দুই সপ্তাহ ধরে এইটার পেছনে আছি। সুতরাং আমার কষ্টের কথা মনে করে নিজেরটা লাঘব করেন।

      আপনার মত, আরেকজন এই কথা বলেছিলেন। ফসিল নিয়ে আলোচনা করার সময় উনি বলেছিলেন, 'যখনই নতুন কোন ফসিল পাওয়ার খবর পাওয়া যাবে আর বিজ্ঞানীরা কোন দাবী করবেন, তাদের কিছু সময় দিবেন। কয়েকদিন পরে তারাই বলবে, আগে কি ভুল হয়েছিল।' বিজ্ঞানীদের হেয় করার ইচ্ছা আমার নেই। তবে বেচারাদের দুর্ভাগ্য, এই একটা ব্যাপারে প্রকৃতি তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। এছাড়া, অন্য সমস্ত বিষয়ে তাদের কন্সেপ্ট, চোখ ধাঁধানো!

      জবাব দিন
  6. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    পড়ছি, তবে মনে হচ্ছে খানিকটা মাথার উপর দিয়ে গেল। :grr: বিয়াপার না, আবার পড়ুম, সামনের সপ্তাহটা পুরা ছুটি। :gulli:

    এখন পর্যন্ত কোথাও মনে হয়নি যে, লেখক বলছেন "আমার যুক্তি/দাবি মানতেই হবে"। এই জন্য জাহিদ ভাইরে :salute:
    বস, আশা করি, এই বিষয়টা ধরে রাখবেন আপনার লেখায়।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আরিফ (১৯৯৪-২০০০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।