সেই সময়

তখন প্রেমগুলো ডিজিটাল হয়ে উঠেনি। ক্লাশ সিক্সের ঐ এনালগ সময়ে বন্ধুর সাইকেলের পিছে চড়ে তার সাথে তার প্রেয়সীকে উপহার বা কার্ড দিতে ছুটে গিয়েছিলাম। “পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং গুঁড়ো করে দেব” গানের মতো এলাকার বড় ভাই এর হাতে ঝাড়ি খেয়ে আমাদের ফিরে আসা। 

এক বান্ধবীকেই ভালোবেসে ফেলেছিলো দুই কাছের ক্যাডেট বন্ধু। দুইজন এসে দুঃখের কথা বলেছিলো আমাকেই। ক্যাডেট কলেজ এর ছুটিতে গিয়ে এক বন্ধুর হয়ে ওকালতি করলাম, ব্যর্থ হলাম। পরের ছুটিতে অন্য বন্ধুর হয়ে আবার ওকালতি করলাম। এবারো যথারীতি ব্যর্থ।

……. “ঐ যে “পাইন” যাচ্ছে” -কোন বন্ধুর মুখে শুনেই রিকশার পেছনে আমার দৌঁড়। মনে সে কী ভালোবাসার দোলা! নিজস্ব নামের বদলে বন্ধুমহলে “পাইন” নামেই বেশি পরিচিত ছিলো সে। সামনে গিয়ে দেখি সে তো না, তার মতোই দেখতে হুবহু তার বড় বোন! ফিরে এসে বন্ধুদলের হাসির সাথে আমিও তাল মিলালাম।

এক বন্ধুর হৃদয়ঘটিত বেপার সেপার সামাল দিতে একবার নিজ শহর ছেড়ে বন্ধুদল রওনা দিলাম ময়মনসিং। রেলস্টেশনের সে গায়কের গানের কথা এখনো মনে আছে,

“মনের মানুষ আছে দূরে
মনে হয় সে নিজের ঘরে রে”…………..
একটা সফল অভিযান শেষে রাতের লোকাল ট্রেনে চাঁদের আলো দেখতে দেখতে আমাদের ফিরে আসা।

বড় হচ্ছি। ডিজিটাল হচ্ছি মানুষেরা। বারবার মনে হয় ঐ এনালগ সময়টাই ভালো ছিল।

১,৪৯৪ বার দেখা হয়েছে

১৯ টি মন্তব্য : “সেই সময়”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ইয়েন-পাইন, পাইন-ইয়েন, কেমন যেন একটা ছন্দ আছে 🙂

    বেশ ভাল লাগলো, চালিয়ে যাও :thumbup:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • ইয়েন (২০০১-০৭)

      😛 ভাই লেখাটা আগে একটা স্ট্যাটাসে দিয়েছিলাম। ভাবলাম ব্লগে তুলে রাখি। ব্লগের লিঙ্কটা পাইনকে ইনবক্স করসি। যদিও এখন "পাইন-ইয়েন/ ইয়েন-পাইন" হওয়ার কোন চান্সই আর নাই। তারপরেও বন্ধুটিকে ছোটবেলার স্মৃতি একটু মনে করায়ে দিলাম আর কি। :shy:

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ইয়েন (২০০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।