বিশ্বকাপ পূর্বানুমান-১

ফুটবলের বিশ্বকাপ মানুষকে যতটা আলোড়িত করে, ক্রিকেট বিশ্বকাপ হয়তো ঠিক ততটাই নিরুতসাহিত করে। যে দলগুলো সারা বছর ধরে নিজেদের ভেতর ৫০ ওভার, ২০ ওভার, ৫ দিন ইত্যাদি নানা ঘরানার ছকে খেলছে,তাদের নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনটাই অনেকটা হাস্যকর। প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড টোয়েন্টি টোয়েন্টি, দুই বছর পরপর আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ছাড়াও প্রতি বছরই ত্রিদেশীয় গোটা দুয়েক টুর্নামেন্ট লেগেই থাকে। তার উপর গত তিন বছর ধরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নামের এক ক্রিকেটিয় হিন্দি সিরিয়াল শুরু হয়েছে। ফুটবলের চ্যাম্পিয়নস লিগের হয়েছে বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া টোয়েন্টি টোয়েন্টির শীর্ষ দলগুলোকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ টোয়েন্টি টোয়েন্টি। ঘুরে ফিরে দশটা দেশের মধ্যে এতবার এত ছকে চেনা চেহারাগুলো বারবার দেখতে দেখতে আসলে বিশ্বকাপের বাড়তি কোন আবেদনই জাগছে না। জাগছে কেবল আইসিসির, কারণ যে অল্প কিছু টুর্নামেন্ট দিয়ে তাদের মোটা আয় হয় (বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বা আগে যেটা নকআউট কাপ ছিলো ও টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরাসরি আইসিসির আয়োজনে হয়) তার মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বকাপ একটা। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপও যে বেতোঘোড়া সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজে গত বছরই টের পেয়েছে বিশ্বক্রিকেটের মোড়লরা। সেই তুলনায় টোয়েন্টি টোয়েন্টি সোনার ডিম পাড়া হাঁস! তাইতো ফি বছরই হচ্ছে।
তারপরেও অনেকটা চক্ষুলজ্জ্বার খাতিরে হলেও ৫০ ওভারের ক্রিকেটের একটা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে হচ্ছে আইসিসিকে। এবারের সহ-স্বাগতিক ক্রিকেটের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা ভারত। বাংলাদেশও দর্শক আগ্রহের বিচারে ক্রিকেট এক নম্বরে। শ্রীলঙ্কাতে নিজেদের দেশের খেলা ছাড়া অন্য দেশের ম্যাচে লোক প্রায় হয়ই না। এই প্রমাণ আইসিসি পেয়েছে পূর্বের একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসরে। তবে বাংলাদেশের দর্শকদের অন্তত এই কলংকটা কেউ দিতে পারবে না! নকআউট কাপ বা মিনি বিশ্বকাপের পথচলা বাংলাদেশ থেকেই এবং প্রায় প্রতিটি ম্যাচই হয়েছিলো গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে। সেই সময় বাংলাদেশ কিন্তু শুধু দর্শক।
তাই নিয়ম মেনে চার বছর পর বিশ্বকাপ আসে। এবং এবারই যেহেতু বড়দের বিশ্বকাপ বাংলাদেশে ( এর আগে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ হয়েছে) প্রথমবারের মত,তাই আনন্দের বাড়তি আঁচ। সঙ্গে যোগ হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ ও জিম্বাবুয়েকে সিরিজ হারানোর ফলে তৈরি হওয়া প্রত্যাশার উঁচু প্রাচীর। সব মিলিয়ে মাঠের ও মাঠের বাইরের অংকে বিশ্বকাপটা আসলেই “জাতীয়” ও “সার্বজনীন” হয়ে উঠেছে। যার প্রমাণ টিকেট কেনার বিড়ম্বনা ও লাইনের দৈর্ঘ্যে।
সবদলই বিশ্বকাপের জন্য তাদের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে এবং বাংলাদেশেও এই নিয়ে খানিকটা জলঘোলা হয়েছে। অক্টোপাস পলের মত না হলেও আমারও এই বিশ্বকাপ নিয়ে কিছু পূর্বঅনুমান আছে, যেটা সিসিবির পাঠকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করছি।
বাংলা অথবা ইংরেজি, বর্ণক্রমে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া। আমার পুর্বানুমানেও হলদে ক্যাঙ্গারুরাই থাক। শুরুতেই একটা প্রশ্ন। অস্ট্রেলিয়া শেষ কবে বিশ্বকাপে কোন ম্যাচে হেরেছে এবং কার কাছে?
১৯৭৫, ১৯৮৭, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭। বিশ্বকাপের দশ আসরের ছয় বারের ফাইনালিস্ট, হ্যাটট্রিক সহ চারবারের চ্যাম্পিয়ন। এবং খুব সম্ভবত গত চার আসরের পর এবারই বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। ঘরের মাঠে অ্যাশেজ হার, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ হার নয় অস্ট্রেলিয়াকে ভোগাচ্ছে আসলে একগাদা বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের একসঙ্গে প্রস্থান। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাথু হেইডেন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্নরা যুগে যুগে জন্মান না। তাই তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সেই আকাশ ছোঁয়া প্রত্যাশা পূরণের চাপটা খুব ওজনদার হয়ে গেছে। আর লড়াই করার মানসিকতাটাও যেন কিছুটা মিইয়ে গেছে। সাম্প্রতিক অতীতে বেশ অনেকগুলো ম্যাচের কথাই বলা যায়,যেগুলো শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে ফস্কে গেছে। আগে দেখা যেত প্রতিপক্ষ যখন কোনঠাসা তখুনি অস্ট্রেলিয়ানরা মরণকামড় বসাতো, ফাঁসটা আরো চেপে ধরতো। কিন্তু এই অস্ট্রেলিয়া যেন একটু ভুল সময়েই ফাঁস আলগা করে দিচ্ছে, যে ফাঁকে শিকার পাচ্ছে ঘুরে দাঁড়াবার মওকা।তবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো ও নিয়মতান্ত্রিক পেশাদারিত্বের কারণে এই বিশ্বকাপেও তাদের কোনভাবেই হিসেবের বাইরে রাখা যাচ্ছে না।
প্রথমেই শেন ওয়াটসনের কথা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই মুহূর্তের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। দারুণ আক্রমণাত্মক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান যে কিনা ইনিংসটা লম্বাও করতে পারে রানের গতি স্লথ না করে। পাওয়ার প্লের পুরো সুবিধাটা নেয় এবং দলের জন্য দারুণ সূচণা এনে দেয়।আবার ডান হাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংটাও দেবে ১০ ওভারে ৪০ রানে দুই উইকেটের ভরসা। বাউন্ডারি লাইনে বা স্লিপে হাত থেকে ক্যাচও ফসকাবে না। সোজা কথা পূর্নাংগ একজন ক্রিকেটার। ওয়াটসনের মত একজন ক্রিকেটার দলে থাকা মানে যে কোন অধিনায়কের জন্যই বাড়তি আনন্দের। কিন্তু ইনিংসের গোড়াপত্তনে তার সঙ্গী ব্র্যাড হাডিন ঠিক সুবিধার নয়। হাতে মার আছে গড়টাও নেহায়েত মন্দ নয়। কিন্তু কেন যেন এই দুজনের জুটিটা ঠিক জমেনি।টিম পেইনও ঠিক ভরসা দিতে পারছেন না। তাই পেইন- হাডিনের জায়গায় অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরা ডেভিড ওয়ার্নারকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখতে পারতেন। টি২০তে কিন্তু নিউ সাউথ ওয়েলসের এই ছেলেটাই ওয়াটসনের ওপেনিং পার্টনার। তাই ওপেনিং এ অস্ট্রেলিয়া ফুল মার্কস পাচ্ছে না।
এবার আসা যাক মিডল অর্ডার। রিকি পন্টিংকে নিয়ে কিছু বলার নেই আবার আছে।পন্টিং পুল, হুক ধরণের ব্যাকফুট শটে খুব ভালো।স্লো মিডিয়াম বলে গতির তারতম্যে বোকা বনে শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়ে আউত হওয়ার অভ্যাসটা পুরানো। চামিন্দা ভাসের বলে এভাবে বেশ ক’বার আউট হয়েছেন পান্টার। তবে সেরা ফর্মের রিকি পন্টিং মিডল অর্ডারে অনন্য। কিন্তু অ্যাশেজ হারের জন্য মাথায় সমালোচনার কাঁটার মুকুট আর কড়ে আঙ্গুলের ইনজুরি নিয়ে পন্টিং কতটা পারবেন?মাইক হাসির ইনজুরি আছে। সেরে না উঠলে হয়তো বদলি হিসেবে শন মার্শ খেলবেন। আইপিএল এর প্রথম মৌসুম যারা দেখেছেন তাদের অন্তত জিওফ মার্শ তনয়ের ব্যাটিং ভোলার কথা নয়।মূলত বাঁহাতি ওপেনার হলেও মিডল অর্ডারের স্বচ্ছ্যন্দ। কদিন আগেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্রোতের বিপরীতে করেছেন সেঞ্চুরি। আর হাসি থাকলে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালটার কথা ভাবুন। অথবা সাইদ আজমলকে জিজ্ঞাসা করুন!মিস্টার ক্রিকেট নামটা তো এমনি এমনি তার সঙ্গে জুড়ে যায়নি!
এরপর মাইকেল ক্লার্ক। ব্যাঙ্গালোরে অভিষেক টেস্টেই কুম্বলে, হরভজনদের ঠেঙ্গিয়ে ১৫১ রানের ইনিংস। টিভিতে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো, এই ইনিংস নিয়ে বিশিষ্ট ক্রিকেট লিখিয়ে পিটার রোবাকের কথায়, “ সব আক্রমণই লাগামছাড়া হয় না।“ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রোডাক্ট।২৩ বছরে টেস্ট অভিষেক, বাংলাদেশের অনেকেই ২৩তম জন্মদিনের আগে ২৩টা টেস্ট খেলে ফেললেও অস্ট্রেলিয়ায় এটা বেশ অবাক করা বিষয়ই বটে। মাইকেল ক্লার্কের মধ্যে রিকি পন্টিং এর ব্যাটিং এর একটা ছাপ আছে। তবে ফর্মেও পন্টিং এর ছাপ স্পষ্ট। লম্বা ইনিংস খেলতে পারেন, বড় বড় ছক্কা না হাঁকালেও রানিং বিটুইন দ্যা উইকেট দারুণ আর পয়েন্টে মারাত্মক ফিল্ডার। স্টাম্পে নিশানা দুর্দান্ত। ব্যাট হাতে ভাল কিছু করতে চাওয়ার ইচ্ছে থেকেই ছোটবেলার ব্যাটিং গুরু নেইল ডি কস্তার কাছে তালিম নিতে ফিরেছেন। দেখা যাক বিশ্বকাপে সেই গুরুর তালিম কতটা কাজে লাগে।
ডেভিড হাসি, ক্যামেরন হোয়াইট। এই দুজন এমন ক্রিকেটার যাদের ভালো খেলাটা আসলে অন্যদের উপরে নির্ভর করে। টপ অর্ডারে মোটামুটি একটা সূচনার পর ৩৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৭ থেকে ৫০ ওভারে ২৮৭/৭। এই স্কোরের জন্য এই দুজন ক্রিকেটারকে চাই।অর্থাত একটা প্রাথমিক ভিত্তি থাকলে এই দুজন সেই পাঁচতলা বাড়িটা ২৫ তলা অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন। শেষ রঙের পোঁচটা দিতে ব্রেট লি, মিশেল জনসনের ব্যাট ও খারাপ নয়।ওয়াটসন থাকায় কোন অলরাউন্ডারকে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হয় না। তবে দলে থাকলে স্টিভেন স্মিথ, জন হেস্টিংসরা ভারতবর্ষে এসে কেমন করবেন তা বলা মুশকিল। সব মিলিয়ে মিডল ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং এর জন্য অস্ট্রেলিয়াকে লেটার মার্ক দেয়াই যায়।
তবে সমস্যা হচ্ছে স্পিন, এবং ভয়ংকর সমস্যা। স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল যদি ১০টা বছর পরে জন্মাতেন তাহলে কার কি ক্ষতি হতো! এই সব নাথান হরিজ, স্টিভেন স্মিথদের ঢাকা লিগেও কেউ দলে নেবে কি না সন্দেহ! ভারতীয় উপমহাদেশে খেলা বলে সবাই যেখানে স্পিন বোলিংকে শান দিচ্ছে সেখানে অস্ট্রেলিয়া পুরাই “সি” গ্রেডে। তবে পেস বোলিংটা চোখ জুড়ানো। ব্রেট লি, শন টেইট, মিচেল জনসন একসঙ্গে। আবার ওয়াটসনের বোলিংও আছে। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে ওভার রেটও একটা ব্যপার। চার পেসার ৪০ ওভার করলে অধিনায়ক ম্যাচ ফির একটা টাকাও পকেটে রাখতে পারবেন না। তাই স্পিনার দিয়ে কমপক্ষে ১৫ ওভার বোলিং করাতেই হবে আর সেখানেই বিপত্তি।
সব মিলিয়ে এই অস্ট্রেলিয়া দল আমার চোখে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলবে। কারণ খানিকটা ভঙ্গুর মিডল অর্ডার আর দূর্বল স্পিন আক্রমণ থাকলে যেটা হবে, প্রতিপক্ষ বড় রান করবে আর সেই রান তাড়া করতে গিয়ে মিডল অর্ডারের হোঁচটে লক্ষ্যের কাছাকাছি একটা জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। কিন্তু ছোঁয়া যাবে না। উদাহারণ, কমনওয়েলথ ব্যাংক সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে।
সবশেষে শুরুতেই যে প্রশ্নটা করেছিলাম তার উত্তর। ১৯৯৯ তে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে,লিডসে বি গ্রুপের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০ রানে হেরেছিলো অস্ট্রেলিয়া। এরপর এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে কোন ম্যাচ হারার স্বাদটা কেমন তা চেখে দেখার সুযোগ পায়নি অস্ট্রেলিয়া! কথা হচ্ছে, পাকিস্তানের পর তাদের হারের তেতো স্বাদটা কে চাখাবে?
(পরের পর্বে অন্যান্য দেশ)

১৫ টি মন্তব্য : “বিশ্বকাপ পূর্বানুমান-১”

  1. কিবরিয়া (২০০৩-২০০৯)

    ১ম। ইটা।। 😀
    এইটা এখন বাজিগররে ফরোয়ার্ড করুম।। তারপর টাকা পয়সা নিয়া ব্লাকে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়ার ম্যাচের টিকিট কিনুম।


    যেমন রক্তের মধ্যে জন্ম নেয় সোনালি অসুখ-তারপর ফুটে ওঠে ত্বকে মাংসে বীভৎস ক্ষরতা।
    জাতির শরীরে আজ তেম্নি দ্যাখো দুরারোগ্য ব্যাধি - ধর্মান্ধ পিশাচ আর পরকাল ব্যবসায়ি রূপে
    - রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

    জবাব দিন
  2. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    ব্যাপক হইসে বিশ্লেষণ :thumbup:
    ওয়াটসনের উপমহাদেশে রেকর্ডও তো ভালোই, আই পি এল কোনটায় জানি টানা ভালো খেলসিলো। স্পিনটাই ডুবায়া দিবে মনে হইতেসে। তাও গ্রুপিংটার জোরে আগায়া যাইতে পারবে মনে হয় কিছুদূর। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জন্য সমস্যা হইলো মানসিক ভাবে অন্য দলগুলা এখন আর এদেরকে অজেয় টাইপ ভাবেনা, একেবারেই। তারপরেও কওয়া যায়না কিছুই, কারণ এদের একটা দুইটা লোকই পুরা খবর কইরা দেয়ার ক্ষমতাঅলা। ইংল্যান্ডের সাথে চলতি সিরিজেই ওয়াটসনের ইনিংসটাতো সেরকম একটা ইনিংস। দেখা যাক...
    খুব ভালো প্রিভিউ হইসে সামীউর। দারুণ!


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    দারুন বিশ্লেষন হয়েছে, ক্রিকেট আগের থেকে অনেক কম ফলো করা হচ্ছে, এই রকম বিশ্লেষন পেতে থাকলে বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি তৈরী হয়ে যাব।

    আমার কাছে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে কোন পরিষ্কার ফেভারিট না থাকা, গত কয়েক বিশ্বকাপে যেমন ছিল অস্ট্রেলিয়া। আর এবার যদি অস্ট্রেলিয়া জিতেই যায় তাহলে সেটা হবে বড় অঘটন।

    অস্ট্রেলিয়ার দূর্লবতম দিক স্পিন বোলিং, কোন সন্দেহ ছাড়া। তবে এর পাশাপাশি পন্টিং, ক্লার্ক এর ফর্ম ও মাথাব্যথার কারন হতে পারে, তবে তার জন্য ওরা গ্রুপ পর্বে যথেষ্ঠ সময় পাবে। আর পেস বোলিং এ লি, টেইট আর জনসন আপাত দৃস্টিতে ভয়ানক মনে হলেও এরা স্টেইন বা মুরালির মত নির্ভরযোগ্য না। বিশেষ করে লি আর টেইট অনেকটা রিদম বোলার, এদের দিন খারাপ থাকলে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে দেয়, আইপিএল বেশ কয়েকবারই এটা দেখা গিয়েছে।

    আমিও মনে করি অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাবে, তবে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারলে আমি কখনোই অস্ট্রেলিয়াকে সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে চাই না।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. রায়েদ (২০০২-২০০৮)
    এবার যদি অস্ট্রেলিয়া জিতেই যায় তাহলে সেটা হবে বড় অঘটন।

    :thumbup:

    বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ হোক নিউজিল্যান্ড। তাইলে শিওর সেমিফাইনাল। 😛

    জবাব দিন
  5. মিশেল (৯৪-০০)
    তার উপর গত তিন বছর ধরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নামের এক ক্রিকেটিয় হিন্দি সিরিয়াল শুরু হয়েছে।

    শুধু এই একটা লাইনের জন্য তোরে পাচের উপর আরো দুই তারা..... বাংলাদেশের বিশ্লেষণের অপেক্ষায় রইলাম।

    জবাব দিন
  6. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাতিল করা হোক এবং সেই এক মাস ক্রীড়া সাংবাদিকদের তাদের জাস্ট ফ্রেন্ডদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ছুটি দেয়া হোক। :grr:


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  7. রাকেশ (৯৪-০০)

    পিচ্চিকাল থেকে অস্ট্রেলিয়া সাপোর্টার, তবে বুকে সাহস নিয়ে বলতে গেলে, রিভিউতে অস্ট্রেলিয়াকে বেশী মার্ক দিয়ে ফেলছেন।

    প্রথমে, ওয়াটসন আর ওয়ার্নার ওপেনিং হয়ত ভালই হবে, ওয়ার্নার জাওয়গায় হাডিন থাকলেও খারাপ হয় না। হাডিন মারতে পারে ভাল কিন্তু টিকতে পারে না।

    মিডলঅর্ডারের অবস্থা মারাত্মক বাজে, পন্টিং আর ক্লার্ক এক্সপিরিয়েন্সড কিন্তু গত কয়দিনে তাদের ফর্মের যে বাজে অবস্থা, এদের কাছ থেকে বড় স্কোর আসবে আসবে বলে অপেক্ষা করতে করতে আমি নিজেই টায়ার্ড হয়ে গেছি। মাইক হাসি না থাকাটা হল বোল্ড হওয়ার পর বোলারের থাবড়া খাওয়ার মত ফিলিংস।

    কিপিং চলনসই, এটা নিয়ে কনসার্নও না কারন অনেক বড় বড় সমস্যা দলে আছে।

    স্পিন অ্যাটাকের কথা বলছেনই, দম বন্ধ করে বইয়া থাকতে হবে ওই ওভারগুলাতে। ক্লার্ক কবে যেন ইন্ডিয়াতে পার্ট টাইম বোলিং করে ৪-৫টা উইকেট পাইছিল!

    পেস অ্যাটাক নিয়েও আমি আহামরি কোন আশায় নাই, ব্রেট লি আর শন টেইট শুধু নামেই আছে। লীর লাস্ট কয়েকটা ম্যাচ শুধু দেখলাম, মোটামুটি কিন্তু ফিটনেস অনেক দূরে। টেইট মাশরাফীর চেয়ে বাজে অবস্থায় আছে। জনসন যা একটু ভরসা, দেখা যাক।

    একটাই আশার কথা, গ্রুপটা সোজা পরছে অস্ট্রেলিয়ার - পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুই, কানাডা আর কেনিয়া 😀

    জবাব দিন
  8. সামীউর (৯৭-০৩)

    ওয়ার্নারকে দলে রাখে নাই। মার্কিংটা একটু বেশি হয়েছে, সেটা ইচ্ছে করেই কারণ অস্ট্রেলিয়া বলে। মোটামুটি এই দল নিয়েই কিন্তু তারা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতসে। এবং অস্ট্রেলিয়া বলেই বড়মঞ্চে তাদের জ্বলে ওঠার ক্ষমতাটার কারনে কিছু নাম্বার গ্রেস দিলাম 😀

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আব্দুল্লাহ্‌-আল-আমীন (৯৮-০৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।