কুয়াশার দেশে, উৎসবের শেষে

শীতকাল সময়টা আমার খুব অপছন্দের ছিল ক্যাডেট কোচিং এর কারনে। ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে যখন শীতে কাঁপতে কাঁপতে পড়তে যেতাম, সদ্য শেখা সমস্ত গালি মনে মনে বাবা মায়ের উপর ঝাড়তাম। আমার শীতবিরক্তি কেটে গেল ক্লাস সেভেনে থাকতে। এসিস্ট্যান্ট হাউস প্রিফেক্ট তাহসিন ভাইয়ের বক্তব্য ছিল হাউসে কোন “পোল্ট্রি” ক্যাডেট থাকবে না। সেই সুবাদে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী প্রতিদিন পিটিতে ১৫ টা পুশআপ দিয়ে পার পেয়ে গেলেও সপ্তম, অষ্টম ও নবন শ্রেণীর ৫০ টা পুশআপের কোঠা পূর্ণ হবার আগ পর্যন্ত কোন ছাড়াছাড়ি ছিল না। আর সপ্তম শ্রেনী অর্থ্যাৎ আমাদের জন্য ওটা ছিল শুরু মাত্র। পিটি শেষে হাউসের সামনে অনন্তকাল ধরে পুশআপ চলত। তাহসিন ভাই আমাদেরকে “হ্যান্ডস ডাউন” করিয়ে গোসল, ড্রেসিং, হেয়ার স্টাইল সমস্ত কিছু সারতেন। আমরা ঘর্মাক্ত শরীরে কংক্রিটের সাথে সখ্যতা করতাম।

 

সেবার প্রচন্ড কুয়াশা থাকার কারনে টানা নয়দিন কোন পিটি-প্যারেড হলো না। হাতির পাঁচ পা দেখে সেবার থেকেই শীতকাল আমার প্রিয় ঋতু হয়ে গেল। তাছাড়া আরো একটা ব্যাপার ছিল। স্টাইলিশ আজানুলম্বিত পুলওভার এর সুবাদে ভেস্ট পরা লাগত না শীতে। শর্ত প্রযোজ্য ছিল, চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা। যা হোক, ক্লাস সেভেনে ঐটাই ছিল বিশ্বজয়। স্কোয়াডে এভারেস্ট জয় করার ভাব নিয়ে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুটাকে বিড়বিড় করে বলতাম, “ জানিস, আজকে ভেস্ট পরি নাই”। বন্ধু অপরিসীম বিস্ময় আর শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত।

 

ডিসেম্বর মাসের ব্যাপারটাই আলাদা। আমার মত চোর স্বভাবের ক্যাডেটদের জন্য পোয়াবারো অবস্থা। প্রেপটাইমে চারভাগের তিনভাগ টাইম ব্লক টয়লেটে কার্ড খেলে কাটিয়ে যখন ক্লাসরুমে ফিরতাম, প্রেপ ডিউটি মাস্টারের জন্য একটা সাজানো উত্তর থাকত। “স্যার শীতকালে ছোট বাথরুম বেশি লাগে, জৈবিক সত্য স্যার”। অকাট্য যুক্তির পর স্যারের তেমন কিছু বলার থাকত না, মন খারাপ করে চলে যেতেন।

 

ডিসেম্বরের আকাশের অকৃপণভাবে ঢেলে দেয়া কুয়াশার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। একবার কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গনের বরইবাগান থেকে এক ব্যাগ বরই চুরি করে পালানোর সময় ধরা পড়তে পড়তে বেঁচে যাই মারাত্মক কুয়াশার কারণে। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পিটির আগে কলেজ চক্করের মাঝপর্যায়ে টুক করে হাউসে ঢুকে গিয়ে ২০ মিনিটের তীব্র সুখের দিবানিদ্রা তো আছেই। সবই কুয়াশার খেল। মাঝরাত্রে হাউসের ছাদের সিঁড়িতে বসে বুকের ভেতর থেকে সুখ নিয়ে বের হওয়া বিড়ির ধোয়াগুলোকে কুয়াশা যে নিজের বুকে আপন করে মিশিয়ে নিত সেটার কথা না বলি।

 

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের ভিতরেই সাধারনত ফাইনাল টার্ম পরীক্ষা বা বোর্ড পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। তারপর শুরু হত প্রাণপণ সমীকরন। কি উপায়ে কোন সমীকরনে ফেললে হাউস চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে তার ব্যাপক গবেষণাধর্মী হিসাব নিকাশ। বছর শেষে অবশ্য বোঝা যেত এসম সমীকরণের কোন দাম নাই, সবই পারফর্মেন্স। তবে সমীকরণের যে একেবারেই দাম নাই তা নয়। সমীকরণ করে অন্তত একটা ট্রফি জেতা যেত। হেলথ এন্ড হাইজিন ট্রফি। সাধারণত এই ট্রফিটা দেয়া হয় বছরের ‘সিক রিপোর্ট” খাতায় ক্যাডেটদের ক্যাডেট নম্বরের পাশে হাউসের নামের অদ্যাক্ষর গননা করে। বদর B, খায়বার K, হুনাইন H. যে হাউসের সিক রিপোর্ট সবচেয়ে কম হবে তারা হেলথ এন্ড হাইজিনে চ্যাম্পিয়ন। ডিসেম্বরে যেটা হতো সেটা হলো,  হাউসের সবচেয়ে চুরিবিদ্যায় পারদর্শী ক্যাডেটগুলো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগত। স্বেচ্ছায় নিজের শরীরের ক্ষতিসাধন করে হলেও। একবার ভর্তি হতে পারলেই বাজিমাত। ডিউটি স্টাফের দৃষ্টি গলে একবার সিক রিপোর্ট খাতা হাতে পেলেই খায়বার হাউসের ক্যাডেট অর্ধেক সংখ্যক K এর উপর কলম ঘুরিয়ে B , আর হুনাইনের ক্যাডেট H এর উপর কলম ঘুরিয়ে B বানিয়ে দিত। কুকর্মটা খায়বার করুক বা হুনাইন, তরবারীর কোপটা সবসময় পড়ে বদরের উপর। স্মরণকালে তাদেরকে কখনো হেলথ এন্ড হাইজিন ট্রফি পেতে দেখা যায় নি। তাদের যত সমীকরণ এই মূল্যবান দুই পয়েন্ট বাদ দিয়ে।

 

 

ডিসেম্বরের সবচেয়ে মজার জিনিস হলো অন্তহীন “ফ্রি ডে”। কোন ক্লাস নাই। খাও দাও, গবেষণাধর্মী আড্ডা দাও, মুভি দেখো, গল্পের বই পড়ো। বই পড়ুয়ারা মোটা মোটা বই জমা করে কাবার্ড ভর্তি করে ফেলত। আমি বিখ্যাত বই চোর। কখনো ধরা খাই নাই। কলেজ বা হাউস লাইব্রেরীর কাছে আমার এখনো কয়েক হাজার টাকার ঋণ রয়েছে। প্রতিটা রাতই মুভি নাইট। কালচার প্রিফেক্টকে মুভি ইনচার্জ স্যারের কাছে সুপারিশ করতে পাঠানো হতো যেন আনসেন্সরড দৃশ্যগুলো থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত না করা হয়। আমাদের লাল কালচার প্রিফেক্ট জালিস স্যারের কাছে সুপারিশ নিয়ে গিয়ে লজ্জায় বেগুনি হয়ে যেত।

 

সতি বলতে কলেজে ঢোকার পর থেকে আমার কাছে সুখের অপর নাম ছিল ডিসেম্বর। নিজের জন্য অনেক সময়। সারাদিন বলদের মত এথলেটিক্স গ্রাউন্ডে ঘাম বিসর্জন দিয়ে রাতে আশিকের MP5 প্লেয়ারের হেডফোনটা কানে গুজে দিয়ে কম্বলের নিচে হারিয়ে যেতাম অশরীরি জগতে। সে জগতে জ্যোৎস্না থাকত, কাকচক্ষু বিল থাকত, চারিদিক ঝাপসা করে দেয়া প্রবল বর্ষণ থাকত। ক্ষেত্রবিশেষে অচেনা অজানা দীর্ঘকেশী নীলবসনা কোন কিশোরীও থাকত। “রাতের ট্রেন” গানটা শুনতে শুনতে মনে হত গভীর রাতের শীতল বাতাস কেটে চলা অন্ধকার নির্জন রেলরোড ধরে ছুটে চলা এক ট্রেনের যাত্রী আমিও। এখনো ভাবতে অবাক লাগে। MP5 প্লেয়ার মাত্র একটা ছিল বলে সবার জন্য বরাদ্দ ছিল এক ঘন্টা। এই এক ঘন্টাতেই কিভাবে যেন এক সপ্তাহ সুখে বাঁচার খোরাক বুকে জমিয়ে ফেলতাম।

 

বাড়াবাড়ি রকমের নিবেদিতপ্রাণ এথলেট ছিলাম। বরাদ্দ সময়ের এক সেকেন্ডও বসে নষ্ট করতাম না। আসলে এই ব্যাপারটা আমার খুব প্রিয় একটা ব্যাপার ছিল। রাজকীয় একটা ব্যাপার ছিল এথলেটিক্সে। হাউসে রানিং সু ইস্যু হয়ে আসার সাথে সাথে দক্ষ জহুরীর মত নমনীয়তা, কাঁটার সুক্ষ্ণতা পরীক্ষা করে সেরা রানিং সু টা বেছে নিতাম। দ্বাদশ শ্রেনীতে যখন পড়ি সেবার অনাকাঙ্খিত একটা ঘটনা ঘটল। টেস্ট পরীক্ষায় গণিতে ফেল মারলাম। বিশেষ ভাল ছাত্র যে ছিলাম তা না। তবে অষ্টম শ্রেনীর পর থেকে কখনো অন্তত ফেলের মুখ দেখা লাগেনি। ফেল করে মারাত্মকভাবে হতাশ হয়ে গেলাম। গান, মুভি, আড্ডা কিছুই ভাল লাগে না। এমনকি এথলেটিক্স প্র্যাকটিসে যাওয়াও বন্ধ করে দিলাম। বন্ধুরা অনেক বুঝিয়েও রাজি করাতে পারল না। সেরকম এক দিন টিভি রুমে বসে একা একা মন খারাপ করা কিশোর প্রেমবিষয়ক একটা ইংরেজি মুভি (Bridge To Terabithia) দেখছিলাম। দেখার পরে মনটা আরো বিষন্ন হয়ে ছিল।

 

এমন সময় অদ্ভূত এক ঘটনা ঘটল। বাইরে বের হয়ে দেখি এথলেটিক্স গ্রাউন্ডে ঠিক হাত দুয়েক উপরে এক চিলতে কুয়াশা সরলরেখায় উড়াউড়ি করছে। গুটিকয়েক ক্লাস সেভেনের ক্যাডেট অতি উৎসাহে লাফালাফি করে কুয়াশা ছুয়ে দেয়ার প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছে। পিছনে শেষ বিকালের লাল সূর্যটা একটা অপার্থিব মায়া সৃষ্টি করেছে। হঠাৎ করে সব দুঃখ কেন জানি কর্পুরের মত উবে গেল। মন ভাল হতে আসলে তখন এতটুকু সুখই যথেষ্ট ছিল। রানিং সু টা হাতে নিয়ে দৌড়ে চলে গেলাম গ্রাউন্ডে। পাঁচ মিনিট সময় বাকি ছিল প্রাকটিস শেষ হবার। কিসের কি, ওয়ার্ম আপ ছাড়াই ২০০ মিটার হিট দিতে নেমে গেলাম ট্র্যাকে। স্টপওয়াচে যে সময়টা দেখাল সেটা আমার জীবনের সেরা টাইমিং।

 

এখনো প্রতিবার শীত এলে আমাকে প্রচন্ড টানে ঐ এথলেটিক্স ট্র্যকটা। না হতে পারি কোন উসাইন বোল্ট কিংবা ব্লেক। তবে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে রুক্ষ ট্র্যাকটার উপর দিয়ে দৌড়ানোর সময় কানের পাশ দিয়ে বাতাস কাটার ছন্দময় শব্দ, জুনিয়রগুলোর তীক্ষ্ণ উত্তেজিত চিয়ার্স দেয়া, যে বন্ধুটার সাথে গত দুবছর মান অভিমানে কথা বন্ধ সে যখন দম শেষ হয়ে যাওয়া আমাকে উৎসাহ দিতে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে করতে ট্র্যাকের পাশে দৌড়াতে শুরু করে, এক ক্রোশ দূরে লাল ফিনিশিং লাইনের ফিতার ওপারে আমার জন্য চকচক করতে থাকা নীল পতাকাটা ওগুলোকে ফিরে পাবার জন্য কয়েকবার মরে আবার জন্মানো যায়। এই আবেগুগুলোর জন্ম জানি এই চারদেয়ালের বাইরে কোথাও কখনো হয়নি। সম্ভব না।

 

এথলেটিক্স শেষ হয়ে যেত। চ্যাম্পিয়ন হাউসে বিশাল পার্টি হত। তৃতীয় হওয়া হাউসে তার থেকেও বিশাল পার্টি হত। আস্তে আস্তে ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়। পাতারা গাছের শাখা-প্রশাখায় নিজেদের উপস্থিতি জানিয়ে কুয়াশাদের বিদায় জানিয়ে দেয়।

 

 

অমৌসুমী এক কুয়াশার কথা দিয়ে শেষ করি। দিনটা ছিল ২রা জুন, ২০০৯। আমাদের কলেজ থেকে বিদায়ের দিন ছিল। বিভিন্ন কারণে  পুরো ব্যাচশুদ্ধো আমাদের মেজাজ খারাপ থাকায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোনমতেই কেউ কাঁদব না। কলেজ বাসে যখন উঠেছিলাম মনে হয়েছিল কোন পিকনিকে যাচ্ছি। আনমনেই পিছনের সিটটা ধরেছিলাম বিড়ি খাওয়ার সুবিধার জন্য। ট্রেডিশন অনুযায়ী জুনিয়ররা বাস ঠেলে কলেজ গেট পর্যন্ত দিয়ে আসে। হঠাৎ করে উইন্ড শিল্ড দিয়ে পিছনে তাকাতেই ঝকঝকে রোদের পৃথিবীটা কুয়াশায় ভরে গেল। সবকিছু ঝাপসা। বাসের ভিতরে বাইরে সবখানে কুয়াশা। সাতচল্লিশটা ছেলের প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছ থেকে কি যেন লুকাতে ব্যস্ত। বাস চলতে শুরু করে। কুয়াশাদের ভিড়ে কলেজ গেটের বিলবোর্ডটা ছোট হতে হতে একসময় হারিয়ে যায়।

 

 

এখন বড় হয়ে গেছি। আর কুয়াশা দেখি না। কুয়াশা নিয়ে আর কোন আদিখ্যেতা নেই। ওগুলোকে পাঠিয়ে দিয়েছি মনের ভেতরে ছয়টা বছরকে আগলে রাখার জন্য।

২,৭৪৬ বার দেখা হয়েছে

২৭ টি মন্তব্য : “কুয়াশার দেশে, উৎসবের শেষে”

  1. রেজা শাওন (০১-০৭)

    চমৎকার লেখা অনিক। কুয়াশা ব্যাপারটাই অন্যরকম। একমাত্র কুয়াশাহত'রা ছাড়া, অন্যরা এটা বোঝার ক্ষমতা রাখে না।

    পাবনা'র খুনে শীতকাল টা এখন কতভাবেই না খোঁজার চেষ্টা করি। মাইনাস টেম্পারেচারে জমে যাই শুধু। কুয়াশা আর পাওয়া হয় না।

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অসাধারন লিখেছো। শীতকাল আমারো প্রিয় সময়, তবে তোমার মত এভাবে আলাদাভাবে কুয়াশাকে অনুভব করা হয়নি কখনো।

    তোমার আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  3. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    তোমার লেখাটার অনেক জায়গা এতটা ছুঁয়ে গেল যে এখন চোখে কুয়াশা জমছে.....

    ....পাবার জন্য কয়েকবার মরে আবার জন্মানো যায়

    আবার ফিরে যেতে মন চাইছে সেই জীবনটায়।

    অসাধারণ লেখা তোমার।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  4. তানভীর (৯৪-০০)

    এরকম করে অনুভব করে এসেছি এতদিন, কিন্তু আমি জানি এরকম সুন্দর করে তার প্রকাশ করা আমাকে দিয়ে সম্ভব হত না।
    অনেক অনেক সুন্দর লিখেছ অনিক। দোয়া করি অনেক বেশি করে লেখালেখি কর এখানে। 🙂

    জবাব দিন
  5. ইসলাম (১৯৯৬-২০০২)

    স্কোয়াডে এভারেস্ট জয় করার ভাব নিয়ে পাশে দাঁড়ানো বন্ধুটাকে বিড়বিড় করে বলতাম, “ জানিস, আজকে ভেস্ট পরি নাই”। বন্ধু অপরিসীম বিস্ময় আর শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত।

    😀
    অসাধারন


    Islam, CCR (1996-2002)

    জবাব দিন
  6. শাইখ (০৩-০৯)

    কি মনে করায়ে দিলি রে!! মন্এ হচ্ছে লাপ্টপ এর স্ক্রিনে কুয়াশা পড়েছে, আসলে কুয়াশা আক্রান্ত হয়েছে চোখের রেটিনা.

    তোর লেখার একেক্টি লাইন থেকে কুয়াশা বিচ্ছুরিত হয়ে মনের প্রজেক্টরে কলেজের দিনগুলোর হলগ্রাফিক রিপ্লে দেখাইতেছে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : vorer shishir kona

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।