বাস্তবতার চাওয়া…..

ক্যাডেট কলেজ ব্লগের সব্বাইকে আসসালামুআলাইকুম … আমার ব্লগের ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সবাই ভালই আছেন। বেশ কিছুদিন ব্লগে বিচরণ করা হয় নাই। আসলে বাস্তবতার সাথে খাপ খাওয়াতে নিজের ফ্যামিলি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ছিলাম, আশা করি কেউই শহীদ ক্যাডেট হায়দার ফ্যামিলিকে ভুলে যান নাই। প্রথম যখন ব্লগে আসি তখন সবাই অনেক মনোবল ও সাহস দিয়ে গেছেন। বাস্তবতার সাথে মিলে মিশে যেতে অনেক ধরনের মনের শক্তি যুগিয়ে বলেছেন যে কোন সমস্যাতেই পাশে ও সাথে থাকবেন। আজকে সে প্রত্যাশা থেকেই আমার এই আর্জি। আমি কিছুদিন আগে এসিসিএ তে ভর্তি হয়েছি। ভাল মত ক্লাস করার চেষ্টা করছি, এটাতে সর্বপ্রথম সাহায্য করেন আমার মা ও দুই ফুপা-ফুপু মিলে আমাকে একটা গাড়ি কিনে দিয়ে। যাতে করে আমার জীবন যাত্রাকে আমি সহজ করতে পারছি। এখন ধানমন্ডি এলাকায় সন্ধ্যা থেকে রাতের ক্লাস করে বাসাতে নিশ্চিন্ত ও নিরাপত্তা সহকারে ফিরতে পারি। গাড়ির মুল শর্ত আমার নিরাপত্তার জন্য দেয়া গাড়ীর মেইন্টেনস করবেন আমার আর ড্রাইভার খরচ দিবেন ছোট ফুপু। এই চলাফেরা ও সন্ধ্যাকালীন ক্লাসের জন্য আমার মাষ্টার্সটা কমপ্লিট করতে পারছিলাম না। যাই হোক, কষ্টের মধ্যেও জীবনটা মোটামুটি চলে যাচ্ছে ভালমন্দ দিয়ে। বর্তমানে ভাল থাকা এবং ভালভাবে আমাদের সন্তানগুলোকে সুযোগ্য ও সুসন্তান করে যেন গড়ে তুলতে পারি তার চেষ্টাই করছি। কিন্তু পৃথিবীটা অনেক নির্মম ও নিষ্ঠুর। অনেক ইচ্ছার জলান্জ্ঞলী দিয়ে চলছি আমরা অসহায় তিনটা প্রানী। সামনের দিকে এগোতে হলে অনেক কিছুর প্রয়োজন পরে। সবসময় ও আমাকে বলত,সহজ চিন্তা-ধারা দিয়ে নিজের মত চলতে,সকল সহযোগিতা আল্লাহতালাই করবেন, কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না করে আল্লাহর কাছে থেকে বড় পুরষ্কার পাওয়ার আশা করতে। হ্যা, ও ঠিকই ওর পুরষ্কার নিয়ে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আমাদের কোথাও কিছু ব্যবস্হা করে যেতে পারলো না দেখে মৃত্যুর মুখে দাড়িয়েও আমাদের একলা বিপদে ফেলে রেখে যেতে চায় নাই।কারণ এই কঠোর দুনিয়াতে নিঃসার্থ ভাবে সহজেই যে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। তা তো সে বুঝতেই পেরেছিল সে অবস্হাতেও।আর এখন আমি বুঝতে পারছি পদে পদে প্রতিটা ক্ষেত্রে। শুধু সরকারিভাবে বরাদ্দ ক্ষণস্হায়ী বাসা ও সামান্য কিছু অনুদানের অর্থই দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেক ইচ্ছা করে বাচ্চাগুলোকে ভাল একটা স্কুলে পড়াই, ভাল গাইড লাইন দেই। ছোট বেলায় আমার নিজের মা আর বিয়ের পর থেকেই ও আমাকে গাইড লাইন তৈরি করে দিয়েছিল। ২৫ বছর বয়সে ৫২ বছরের বোঝা নিয়ে আর পেরে উঠছিনা। আমার সন্তানদের কিভাবে সঠিক পথে চালিত করবো, কিছু বুঝতে পারছি না। জীবনকে এগিয়ে নিতে হলে অর্থই যে এর মুলেই থাকে, এটা তো আগে বুঝি নাই। এত সামান্য টাকায় যে আর চলতে পারছি না। বাচ্চা ও নিজের সকল চাওয়াকে বিসর্জন দিয়ে চলছি প্রতিটা সময়। নিজের আত্নসম্মান ও আত্নরক্ষার্থে আর পেরে উঠছি না। আমার অনেক আত্নীয় ও বন্ধুরা আমারই কাছাকাছি কমবেশি বয়েসের তারা আল্লাহর রহমতে এখনও বাবামায়ের সংসারে জীবনযাপন করছে, অনেকের বিয়েও হয়নি। নতুনভাবে আগামীর স্বপ্ন দেখছে। আর সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য দুই নিয়ে একলা বেচে থাকার সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আগে পিছে কেউ নেই আমাদের সহায় হতে। প্রতিটা দিন উদ্ভট ও নোংরা মনমানসিকতার বহু কিছুর প্রস্তাব ও পরিচয় পেয়ে নিজেকে বহু দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে কতদিন বাচিয়ে চলতে পারবো, এখোনো জানি না। শুধু এতটুকু বুঝি বহু রটনা ও বিপদের মধ্যে থেকে যদি আত্মমর্যাদাকে জলান্জ্ঞলী দিয়ে দিতে হয়, তাহলে আমাদের সন্তানদের নিয়ে হয়তো দুনিয়াতে বেচে থাকাটাই দায় হয়ে যাবে। আমাদের গত কয়েকমাস ধরে বলা হয়ে আসছিল ‘এ এইস এস’ নামক বসুন্ধরার পিছনে একস্হানে পাচ কাঠার একটি করে প্লট দেয়া হবে। পনেরো লাখ টাকার বিনিময়ে তা আমরা নিতে পারবো। প্রথমে খুব ভাল লাগলো জানতে পেরে, যাই হোক আমরা আমাদের প্রিয়জনকে হারালেও সারাজীবন স্হায়ীভাবে আর্মী পরিবেশেই আমরা নিরাপত্তাসহকারে বাচতে পারবো। পরে চিন্তাভাবনা করে দেখলাম, প্রতিটা মাস চলতেই আমার কত কষ্ট করতে হচ্ছে। বাচ্চাগুলোর কত সাধ-আল্লাদ পুরণ করতে পারি না, আর প্লট কেনা তো অসাধ্য সাধন। যখন এই বাসা থেকে চলে যেতে বলবে কোথায় যাবো, কিভাবে বাচবো জানি না, আমি জানি না। কারণ আমাদেরকে আবাসন দেওয়া মাত্রই এই বাসাগুলো ছেড়ে দিতে বলবে। কিকরব কিভাবে কিস্তিতে টাকা দিবো, কিছুই জানি না। সব থেকে ভয় পাই কিছু মানুষের বাজে কথা ও বাজে দৃষ্টিকে। আমার এই ভয়কে দেখে সবাই তার মত করে সলিউশন বের করে দেয়, আমার সমস্যা কেউই বুঝতে চায় না বা পারে না। আমাদের মোটামুটি শহীদ সব ফ্যামিলি হয় নিজের কোর, ইউনিট, বন্ধু-বান্ধব, কোর্সমেট, আত্নীয়স্বজন কোথাও না হয় কোথাও থেকে সাহায্য সহযোগিতা আর্থিক সুবিধা থেকে শুরু করে গাড়ির সাপোর্ট থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার ও ধোপীর সাহায্যও পেয়েছেন, পেয়ে যাচ্ছেন। কোন কোন ফ্যামিলিকে তাদের পরিচিতজনেরা বেচে থাকার জন্য সাধ্য মত সুযোগ দিয়েছেন,যাতে করে সেই সব ফ্যামিলিগুলো নিজের জীবনকে চালনা করার সাহস পাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেকে অনেক সিনিয়র আর কোর্সমেটদের মধ্যে একটা রেসপন্সিবিলিটী থেকে ভাবীদের অসহায় পরিবারগুলো হেল্প পাচ্ছেন। আল্লাহর রহমতে কোন কোন আর্মী ভাইয়েরা মায়া করে সন্তানসহ পুরোপুরি কোন শহীদ পরিবারের দায়দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত হয়েছেন। প্রত্যেকে নিজের মত মত করে গুছিয়ে উঠতে পারছেন। অথচ দুর্ভাগ্য আমার ও আমার সন্তানদের। শুনতে হয়েছে আপনার দুইটা বাচ্চা তাই বয়স কম হলেও কেউ সেভাবে এগিয়ে আসেন না। আমাদের সন্তান তো কোন অবস্হাতেই বার্ডেন হতে পারে না। আমি তো এরকমভাবে এখনও ভাবছি না। আমার জীবনে ওর জায়গা অন্যকে দেবার কথা আমার ভিতরে নাই। আর অন্যকে মিথ্যা করে ঠকানোর ইচ্ছাও আমার নাই। আমি শুধু জানি আমাদের দুইজনের সন্তানকে ওর প্রমিজকে আমার সাধ্যমত, ওর মনের মত করে বড় করে গড়ে তুলতে হবে। কোন ভুল করে আমাদের তিনটা জীবনকে আমি নষ্ট করতে পারিনা। শত কথা-সব কর্মকান্ড দেখে চলছি, এখন এটা আমার অভিযোগ নয় আমার দুঃখের সেয়ারিংস। তানভীরকে দেখেছি নিজের সাধ্যমত অন্যকে সাহায্য করতে। আর আমাকে শুনতে হয় ভাবী আপনি দেখতে ভালো এজন্য অনেকের ঝামেলা হচ্ছে। আবার কোন কোন স্হানে কারো কারো উপকার নিতে চাই না বলে ‘না’ শব্দ বললে আমাকেই দোষের ভাগটা নিতে হয়। কোথাও কোন কূল কিনারা না পেয়ে এখন, আজকে নিজেদের ফ্যামিলির স্বার্থে বেচে থাকার জন্য আত্নসম্মানকে ভুলে এই ব্লগের কাছে আমার অদৃশ্য ভিক্ষার থলিকে দৃশ্যমান করে দিলাম। ক্যাডেট হায়দার বা শহীদ মেজর তানভীরের ফ্যামিলিকে বেচে থাকার জন্য, সন্তানগুলো মানুষ করার জন্য যতটুকু সম্ভব সহায়তা দিবেন। আপনাদের দেয়া পূর্ব আশ্বাস থেকেই আমার সকল লজ্জাকে বিসর্জন দিয়ে আজকে এই সাহায্য আবেদন করলাম।

২,২৮২ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “বাস্তবতার চাওয়া…..”

  1. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    ভাবী, আপনার অবস্থান টা শতভাগ না বুঝলেও, অনেক টা বুঝতে পারি, কারণ আমাকেও আপনার মত এতখানি কষ্ট সহ্য করতে না হলেও কষ্ট অন্যভাবে আমার সাথে ছায়ার মত ছিল কোনো একসময়। তবে আপনার আত্মসম্মান বোধের প্রসংশা না করে পাড়ছি না। এই জিনিসটা দেখবেন আপনাকে কতখানি অন্যদের চাইতে আলাদা করে, আপনাকে কতখানি উপরে উঠিয়ে দিবে। অনেক সময় সহানুভুতি অসহ্য লাগে, কিন্তু তাও আমি আপনার দূঃখে ব্যাথিত হচ্ছি। আমার সাধ্য খুব সীমিত, তারপর ও জানাচ্ছি, ভাবী, পাশে আছি। "সন্তানগুলো মানুষ করার জন্য যতটুকু সম্ভব সহায়তা দিবেন" এর প্রেক্ষিতে বলছি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এ পিটার প্যান ইনফ্যান্ট & গ্রামার নামে একটা স্কুল আছে যেখানে আপনার সন্তানেরা কখনো অবহেলিত হবেনা, গ্যারেন্টি আমি দিচ্ছি। আর ভাবী আপনার ইমেইল এড্রেস টা জানাবেন প্লীজ, সাধ্যমত চেষ্টা করব।


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    ভাবী,
    আপনার সাথে দেখা করা দরকার খুব শিগগিরি-একটা কাজে।কিভাবে দেখা করব(আপনার সুবিধামত সময়ে) জানালে খুব ভাল হয়।আর আপনাকে কথা দিয়েছিলাম যে আমি যদি পুলিশে ঢুকি তাহলে যেটুকু সাধ্য আছে তা দিয়ে আপনাকে সহায়তা করব।সৌভাগ্যবশত বিসিএস পুলিশে আমার চাকরি হয়েছে।ট্রেনিংটা শেষ করে আসি-আপনার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকানোর আগে তাকে আমার মুখোমুখি হতে হবে এটুকু কথা দিচ্ছি।তানভীর ভাই চলে গেলেও তার ভাইয়েরা এখনো আছে এবং ভালভাবেই আছে- আপনাকে যারা হুমকি দেয় এই কথাটা সেই নরকের কীটদের বোঝা দরকার।

    আমার ইমেইল আইডিঃ mash34th@hotmail.com

    জবাব দিন
  3. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    ইসসসসস ভাবী, আপনাকে কতদিন দেখেছি স্কুলে কখনো সেভাবে কথা বলা হয়ে উঠেনি।আজ ও বুঝতাম না আপনাকে চিনি, যদি না আপনার এই লিখা পড়ে ইন্টারেস্টেড হয়ে আপনার বাকি লিখা গুলো পড়তাম।সবগূলো লিখা পড়লাম বসে বসে।আপনি প্লীজ সব সময় হাসি খুসি থাকবেন, এভাবেই আপনাকে ভাল লাগে।


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  4. দিহান আহসান

    আপু এই কয়েকমাস খুব দৌঁড়ের উপর ছিলামরে।
    বাসা বদলানো, সেই সাথে সাংসারিক সামাজিকতা, আর বাচ্চারাতো আছেই।
    তোকে কল দিবো করে কাজ শেষে দেখা যায় তোদের তখন অনেক রাত 🙁
    সময়ের পার্থক্যতো আছে দেশের সাথে এইখানকার।
    আমার নাম্বারতো আছেই, আর আমিও ফোন করবো ইনশাল্লাহ।
    ভালো থাকিস রে।

    জবাব দিন
  5. শোয়েব (১৯৯৫-২০০১)

    ভাবী এর আগে আপনার সাথে কখনো কথা হয়নাই আমার, কিন্তু আপনার সবকটি লেখা আমি পড়েছি যখনই আপনি লিখেছেন। আমার নিজের জীবনটাও একটা অনিশ্চিত সংগ্রাম আর তিলে তিলে শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা। কিন্তু আপনাকে দেখে জেনেছি বুঝছি কিভাবে লড়াই করতে হয়। মাহবুব ভাবীর সাথে দেখা হয়েছিল আমার ব্যাংকক এ, উনার কাছেও শুনেছি অনেক কিছু। ভাবী মনোবল হারাবেন না। আমরা থাকতে আমাদের ভাইয়ের পরিবারকে অসহায় হতে হবে না। আমরা আছি।
    আমার ইমেইল sas996@yahoo.com।

    জবাব দিন
  6. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ভাবী, ঐ প্লটের টাকা জোগাড় করতে আশেপাশের অনেককেই সহজ একটি পদ্ধতি অনুসরন করতে দেখছি, সেটা হলো অগ্রিম ভাবে একটি ফ্লাট বিক্রি করে দেয়া, এ মুহুর্তে কিস্তির টাকাগুলো পরিশোধ করার (অনেক ক্ষেত্রে তার থেকে কিছু বেশি) পরিবর্তে সেই প্লটে বাড়ি বানানোর পর একটি ফ্লাট পেয়ে যাবে ন সেই ব্যক্তি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিলেটিভদের ভেতরেই কেউ এভাবে ফ্লাট নিচ্ছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাইরের লোক ও নিচ্ছে। এভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • প্রেরণা (অতিথি)

      ধন্যবাদ ভাই, আমিও শুনছি বেশ কিছু কথা। কিন্তু যেখানে অনেক বিবেচনা করে আমাদের এই সুযোগ দেয়া হয়েছে সেখানে কি এ ধরনের ট্রেড করা ঠিক? আমি অনেক সাধারণ রে ভাই, জানি না কতটুকু অন্যায় আমি করেছি ব্লগ গুলো লেখে। কিন্তু বিপদের সময় সাহায্য পাবার আস্বাশ পেয়েই ব্লগের কাছে জানালাম।

      জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        ভাবী, ট্রেড তো কোন না কোন ভাবে করতেই হবে, হয় জমি পাবার আগে অথবা জমি পাবার পরে ( বিল্ডিং উঠানো, সেটা ভাড়া দেয়া বা ফ্লাট বিক্রি করা)।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
        • তানজিনা মেহেদী অমী (অতিথি)

          ভাবী, আহসান আকাশ ভাই এর আইডিয়াটা ভাল। প্লট না কেনার চেয়ে এটা অনেক ভাল হবে। প্লট পেলে ওখানে কোন বিল্ডার্স যদি ফ্লাট করে আপনাকে ৪০%- ৪৫% ফ্লাট হ্যান্ডওভার করে, সেটা একটা ভাল ব্যাক আপ হবে, ভাবী। আর একটা কথা ভাবী, আপনি শেয়ার বিজনেস শুরু করেন। জিএমএফ এ অনেক আর্মি পার্সনের একাউন্ট আছে। অনলাইনে ট্রেড করা যায়। আপনি একাউন্ট খোলেন। আমি আপনাকে ইনফরমেশন দিব।

          জবাব দিন
  7. তোমাকে বলার কিছু নাই বোন । আমার অতি ক্ষুদ্র সামর্থ্য । বলা যায় কিছুই করতে পারবনা ।
    তারপর ও ইচ্ছে করে এই পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে তোমার রুমিকে তোমার কাছে এনে দেই ।
    কিন্তু আমাদের রুমিরা যে শুধু হারিয়েই যায় । আর ফেরত আসেনা । সেই ৭১ থেকে রুমিদের হারিয়ে যাওয়া শুরু । এখন ২০০৯ । এখনো রুমিরা হারিয়ে যাচ্ছে । আমরা তাদের ফেরার জন্য অপেক্ষা করেই যাচ্ছি ।
    শুধু এটুকু বলতে পারি ২৫ বছরে ৫২ বছরের যে বোঝা টানতে পারছ না । ৫২ বছরে পৌছে যখন ২৫ বছরের এই জীবন টার দিকে তাকাবে, তখন তোমার দুই চোখে থাকবে অশ্রু, আমি তোমার সাথে বাজি ধরে বলতে পারি তা হবে আনন্দ অশ্রু ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : প্রেরণা (অতিথি)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।