সাদাকালো ও আংশিক রঙীন গল্প

গল্প ১( দুষ্টামীর গল্প)
এক পিচ্চি মাইয়া খুবই উত্তেজিত হয়ে বাসায় আসল। সে ওকটি নতুন শব্দ শিখেছে। *েনিস। সে এসে মাকে ধরল।
-মা, মা *েনিস কি??
মা বেশ বিব্রত হলেন এবং প্রসংগ এড়িয়ে অনেক সাবধানে উত্তর দিলেন
-এটা যদিও ছেলেদের সম্পদ কিন্তু তুমি যদি দুষ্টামি না করে অনেক লক্ষী হয়ে থাক তাহলে বড় হয়ে তুমিও একটা পাবা
মেয়ে- কিন্তু আমি যে দুষ্টামি ছাড়া একদমই থাকতে পারি না?
মা- তাইলে বড় হইয়া অনেকগুলাই পাবা

গল্প ২ ( বুদ্ধির গল্প)
এক বিদেশি বাংলা দেশের এক রেস্টুরেন্টে এসে আস্ত এক মুরগীর অর্ডার দিলেন। পিচ্চি বেয়াড়াটা ভারি বেয়ারা হয়ে এক খানা ঠ্যাং খেয়ে মসলা দিয়ে ঢেকেঢুকে মুরগী এনে দিল।বিদেশি বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করল
– মুরগীর আরেক ঠ্যাং কোথায়?
ছেলেটা আধো ইরেজীতে বোঝালো যে বাংলাদেশের সব মুরগীই এক ঠ্যাংয়ের।বিদেশি বুদ্ধিমান। খাওয়া শেষে সে ছেলেটিকে ধরল
-আচ্ছা, আমাকে দেখাতে পারবা এক ঠ্যাঙের মুরগী?
ছেলেটা তাকে পাশের এক বাড়িতে এক ঠ্যাং তুলে বিশ্রাম নেয়া একটা মুরগী দেখিয়ে বলল
– এই যে দেখেন স্যার
বিদেশিটা বুদ্ধিমান। সে চট করে ‘হুপ’ জাতীয় একটা আওয়াজ করল, অমনি মুরগীটা দুই ঠ্যাঙ তুলে দৌড় দিল। বেযাড়া বালকটা সাথে সাথে বলল
– খাওয়ার আগে এইরকম ‘হুপ’ করলে ওই মুরগীরও দুই ঠ্যাং বাইর হইত।

গল্প ৩ (কৃপনের গল্প)
এক কৃপন গিয়েচে পাখা কিনতে। হাত পাখা। সে গিয়ে দোকানদার কে বলল
– একটা ভাল দেইখা পাখা দেন তো
দোকানদার দিল এবং বলল বিশ টাকা দাম
কৃপন- এর চেয়ে কমে নাই
দোকানদার- আছে, দশটাকা
কৃপন- না, আরো কম
দোকানদার- এর চেয়ে আপনে কন কয়টাকার মধ্যে চান?
কৃপন- এই ধরেন আট আনা।
দোকানদার চিকন আর পাতলা একটা পাখা দিল।
কৃপন- এইটা কি দিলেন? ভাংব না তো? বাতাস হইব তো?
দোকানদার- হইব, হইব ,গ্যারান্টি দিলাম।
কৃপন মনের সুখে পাখা নিয়ে বাড়ি গেল এবং বউয়ের সামনে ব্যাপক পাট নিয়ে যেই বাতাস করতে গেল অমনি পাখা গেল ভেঙে। রাগে দোকানদারের চৌদ্দগোষ্টি উদ্ধার করতে করতে করতে পাখা ফেরত দিতে আসল
কৃপন- ওই বাটপার, কইলি পাখা ভাংবনা এখন একবার নাড়া দিতে না দিতেই তো ভাইংগা গেল।
দোকানদার- এহ, আট আনার পাখায় আবার পাখা নাড়াইয়া বাতাস চান? এইডার সিস্টেম উল্টা। পাখা সোজা রাইখা যদি ঘাড় নাড়াইয়া বাতাস খাইতে অয়

গল্প ৪( কর্পোরেট গল্প)
আচ্ছা, বলেন তো সেক্রেটারী আর পরেসানাল সেক্রেটারীর মধ্যে পার্থক্য কি??
প্রতিদিন সকালে সেক্রেটারী বলে
-গুড মর্ণিং স্যার
আর পারসোনাল সেক্রেটারী বলে
– ইটস মর্নিং স্যার

গল্প ৫ (চাপাবাজের গল্প)
চাপাবাজদের গল্পের বিষয়বস্তু লাগে না। তারা চাপা চালিয়ে যেতে পারে। অনেকসময় মূল প্রসঙ্হই হয়ত ভুলে যায়। উদাহরণ দেই-
এক চাপাবাজ বন্ধুদের সাথে গল্প করছে
– আমি তো ভয়ে অস্থির। একে সুন্দরবনের মানুষখেকো বাঘ, তার উপর আমার হাত নাই অস্ত্র।কি করি, কি করি? হঠাত মনে হইল কি আছে জীবনে। ওর একদিন কি আমার একদিন।গিয়া ধরলাম ওর বুক। জোরছে দুইটা চাপ দিয়া ধরলাম দুইখান পা। দুই হাতে পা দুইখান দুই দিকে……
এমন সময় মোবাইল বেজে উঠল। ওইপাশের কার সাথে যেন আবার চাপাবাজি শুরু করল। একসময় সেটা শেষ করে বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বলল
– তা, কি যেন বলছিলাম?
বন্ধুরা- এই যে বুকে চাপ দিয়ে পা দুইখান দুই দিকে
চাপাবাজ- হ, হ মনে পড়ছে। পা দুইখান দুইদেকে ধইরা দিলাম এক *াপ।

৩,৪৫৪ বার দেখা হয়েছে

৪৫ টি মন্তব্য : “সাদাকালো ও আংশিক রঙীন গল্প”

  1. তাইফুর (৯২-৯৮)

    প্রথম গল্পটা নিশ্চই 'টেনিস' খেলা নিয়ে ... :-B
    আমার প্রান্তে লেখাটা পরিষ্কার আসে নি ... *েনিস এইভাবে এসেছে। :-B
    মেয়েটি কি তবে বড় হয়ে কুন্নিকবা হবে ?? O:-)


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ধুর্‌...সব কপি পেস্ট... 😛
    আমি একটা মৌলিক গল্প দিলাম... 😉

    বিয়ের আগেই মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে শুনে মা গেছেন প্রচন্ড খেপে। ভীষণ বকা-ঝকা করার এক পর্যায়ে মেয়েকে বলছেন,
    মা- তোকে না শিখিয়ে ছিলাম, ছেলে যদি তোর *ব্‌স এ হাত দেয় বলবি 'ডোন্ট' আর যদি *সি তে হাত দেয় বলবি 'স্টপ'...
    মেয়ে- আমি তো তাই করেছি...কিন্তু হয়েছে কি জান? দুষ্টুটা দুই হাত একসাথে দুইখানে দিয়েছিল...তাই আমি বলেছিলাম 'ডোন্ট স্টপ'...

    #গল্পের স্বার্থে কিছু কিছু টার্ম্‌স এর ক্ষেত্রে ইংরেজী ব্যবহৃত হয়েছে... B-)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।