একজন চিকির আত্মকাহিনী

(লেখকের বক্তব্যঃ আগেই বলে রাখি, আমি কোনো চিকি না। :shy: আমার ক্যাডেটজীবনে ‘দেখা’ এবং ‘শোনা’ চিকিদের ভালমন্দ ব্যাপারগুলোই এখানে প্রকাশের প্রয়াস পেয়েছি। ক্যাডেট কলেজে একজন চিকির অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলাই এই লেখার উদ্দেশ্য।)

আমি একজন চিকি। ক্যাডেটদের নিজস্ব সংজ্ঞায় আমি ‘চিকি’। ক্যাডেটদের বিচিত্র চিন্তাধারায় আমি চিকি। তাদের দৃষ্টিতে আমি অন্য সবার থেকে একটু আলাদা, একটু স্পেশাল, একটু স্থূল। আমার নাম শুনতেই কান খাড়া হয়ে
উঠে সবার, কপাল কুঁচকে উঠে অনেকের, চোখ সরু হয়ে যায় কারও। কারণ আমি চিকি। পুরুষ হয়েও মেয়েলি বৈশিষ্ট্য আছে নাকি আমার মাঝে। আচার-আচরণে যতোটা নয়, তার চেয়ে বেশি আছে শারীরিক গঠণে। আমি একটু ফর্সা-সুন্দর বলেই মনে হয়, অন্য ক্যাডেটরা আমার মাঝে একটা মেয়ের প্রতিকৃতি খুঁজে পায়। এইসব বিবেচনায় আমি চিকি।
চিকি মানে আকর্ষণীয়। বাইরের দুনিয়ায় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মানুষের যেমন আকর্ষণ, ক্যাডেট কলেজের গন্ডিতে আমার প্রতি অন্য ছেলেদের আকর্ষণও অনেকটা সেরকম।

ব্যাপারটা প্রথম আমি ফিল করি ক্লাস সেভেনে হাউস ফাংশনের সময়। নভিসেসের আগে নানা ঝামেলায় আমার শরীর-স্বাস্থ্যের সৌন্দর্যের যত্ন নিতে পারিনি। এরপর নভিসেস পেরিয়ে যখন আমি ক্যাডেট, ক্লাস টুয়েলভের ভাইয়ারা প্রায়ই আমাদের ব্লকে এসে গল্প করতেন, লক্ষ্য করতাম আমার প্রতি সবার একটু দরদভরা কন্ঠ। যাহোক, হাউস ফাংশন হলো। আমাকে নাটকে
একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেক্টার দিলেন AHP ভাইয়া, নারী চরিত্র। ওনি আমাকে বুঝালেন, ছোট ছেলেদের গলা চিকন হয়- মেয়েদের মতো কোমল- তাই আমাকে এই চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। কিন্তু ফাইনাল ডে’তে আমাকে শাড়ি পরানো হলো…!!
আমি মেয়ে সাজলাম ভালো কথা। কিন্তু এরপর থেকেই শুরু হলো উত্পাত। নাইন, টেন, ইলেভেন সব ক্লাসের ভাইয়ারা আমাকে ডাকতে থাকলেন; কখনো গ্রুপে, কখনো একাকী। বেশি কিছু না, একটুক্ষণ গল্প করা, ব্যস। অযথাই ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলত তারা, আমার ভাইবোনদের খোঁজ নিত, নিজের ফেমিলির গল্প বলতো। আমাকে হাসাতে যেন খুব ভাল লাগতো তাদের। আমার মুখে এক চিলতে হাসি তুলে দেবার জন্যে তাদের কতো প্রয়াস! :shy:
এইট-নাইনেও প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতা। আমার বদৌলতে স্কোয়াডে পানিশমেন্ট কম হয়, আমার রিকোয়েস্টে প্রেপগাইড সবাইকে ঘুমাতে দেন, আমার কাতরতায় পিটির দৌড়ের মাঝে কয়েক সেকেন্ড হাঁটতে দেয়া হয় ইত্যাদি। অনেকে আবার আমার শুভাকাংখী সেজে কথা বলতেন। আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বুঝাতেন, আমার সৌন্দর্যের জন্য আমাকে সবাই এতো গুরুত্ব(!) দেয়, 🙁 ক্যাডেট কলেজে মেয়ে নেইতো তাই সুন্দর ছেলেদের প্রতি সবার একটা আকাংক্ষা(?) থাকে, অতএব আমি যেন নিজের প্রতি খেয়াল রাখি, আমি যেন কাউকে প্রশ্রয় না দেই, যেন একটা আত্মসম্ভ্রম গড়ে নেই। এসব বুঝিয়ে বুঝিয়ে ‘শুভাকাংখী’ ভাইয়া আমার সাথে নিজের সম্পর্কের উন্নয়ন করেন।
আলম ভাইয়ের কাহিনীটাই বলি। তার সাথে আমার দহরম-মহরম হয়েছিল একবার হসপিটালে গিয়ে। হসপিটালে সাধারণতঃ সিনিয়র-জুনিয়র ভেদাভেদ কমই থাকে। সেই সুযোগে আমার অল্টারনেটিভ সিনিয়র আলম ভাইয়ের সাথে প্রায় বন্ধুত্ব হয়ে যায় আমার। ওনি কী ভাবতেন জানিনা। তবে আমার তাঁকে ভাল লাগতো, মনে হয় ভদ্র ছেলেই হবে। কিন্তু না, কদিন বাদে আমি
যখন ডিসচার্জ হই ওনার তখন সেকী আফসোস, পরের দিন ওনিও বেরিয়ে এলেন হসপিটাল থেকে।
যাহোক, ওনার বন্ধু সাকিব ছিলো আমার রুমমেট। এবার দেখলাম, ওনি কেবলই সাকিব ভাইয়ের বেডে এসে বসে থাকেন। রেস্ট আওয়ার, ছুটির দিন সবসময়। আড়চোখে আমাকে দেখেন, টুকিটাকি কথা বলেন। বন্ধুর সাথে কথা বলেন, নিজের গুণ প্রকাশ করেন। গুণগুণিয়ে গান গান, “যারাসি দিলমে দে জাগা তু, যারাসা আপনা লে বানা।”। আমি অবাক হয়ে ভাবি, এই উষ্ণ আহবান কি আমার উদ্দেশ্যে?
ঘটনা এসবেই শেষ নয়। একরাতে………
হ্যাঁ, একরাতের কথা বলি। আমি তখন টেনে, রুম লিডার ছিলাম আমার রুমের। ফলে জানালার পাশে শুতাম, বাকি ৩ ক্লাসমেট ভেতরে। …আমরা ভালভাবে দরজা বন্ধ করে শুতাম। যাহোক, সেদিন মাঝরাতে আমার যখন ঘুম ভাঙ্গলো, স্লিপিং ড্রেসের কিছুটা অগোছালো, জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে কেউ যেন আমার শরীরে মেদের উপস্থিতি পরীক্ষা করছে। তবে কি আমার চিকিত্বের খবর পৌঁছে গেছে অথরিটির মাঝেও? :bash:

প্যারেন্টস ডে’তে আমার পরিবার নিয়ে যেখানেই বসি, আশেপাশে পরিচিত সিনিয়রদের আনাগোনা দেখি। আমার মত আমার বোনেরাও নাকি বেশ সুন্দর। ওকে, বিপরীত লিঙ্গে নাকি আকর্ষণ হতেই পারে, কিন্তু আমার প্রতি তাদের আকর্ষণ কিসের? আমি অবাক হই, যখন দেখি তৌকির ভাই আমার জন্য একটা ভ্যানিলা আইসক্রিম নিয়ে এসেছেন। আমি কারণ জিজ্ঞেস করতেই একটা আমতা আমতা ভাব আসে তার চেহারায়, বলেন, “আমি আইসক্রিম খাইনা, তাই তোমাকে দিয়ে দিলাম।” আজব ব্যাপার, নিজে না খেলে সে এটা কিনলো কেন? আমি অবাক হইনা, আমি জানি, মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী, অতএব…। :-/

আমি উপস্থাপনা ভালই পারতাম, সুযোগও পেতাম সহজেই। তবে একটা ব্যাপার হতো, আমাকে স্টেজে দেখেই দর্শকের সারিতে বিভিন্ন আওয়াজের সঞ্চার হতো। আমি ভালই এনজয় করতাম বিষয়টা। আর খেলতাম
বাস্কেটবল, ইন্টার হাউসে মেডেলও পেয়েছি। ব্যস, এই ছিল আমার যোগ্যতা, পড়াশুনায় অত ভাল করিনি কখনোই। এভাবেই একদিন কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট হয়ে গেলাম। আমার সময়ে আমাদের কলেজে ICCLMM হলো, অনেকাংশে আমার ভূমিকা ছিলো। সেই সুবাদে পরিচয় হলো গার্লসের CP ফারজানার সাথে। পরবর্তিতে আরো ঘনিষ্ঠতা, অবশেষে প্রেম। 😡
আমাকে একটা স্মার্ট ছেলে বলে প্রশংসা করতো ফারজানা। ভাল, এবার আমার চিকিত্বের ‘সুপাত্রে কন্যাদান’ হলো।

আজ ফারজানা যখন আমার মসৃণ গালে হাত বুলিয়ে বাহবা দেয়, আমি তখন চুপিসারে স্মরণ করি ক্যাডেট কলেজের ৬ বছর এই ‘রুপযৌবন’ নিয়ে কী যাতনা সয়ে এসেছি আমি।

৭,১২৩ বার দেখা হয়েছে

৩৭ টি মন্তব্য : “একজন চিকির আত্মকাহিনী”

  1. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    ভাই লেখা পরে মজা পাইলাম যদিও উপরের ঘটনাটার জন্য মনটা একটু খারাপ


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
    • মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

      আপু স্যার কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের। বাংলার দীনেশ স্যার। উনি ডিটেইলস জানে না। শুধু এইটুকুই বলল।


      "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

      জবাব দিন
    • আলম (৯৭--০৩)

      বেশ হয়। 😕
      দেখি এডিটিং করা যায় কিনা।

      আমার ভয় লাগতেছিল, ব্লগ এডজুট্যান্ট সাহেব 'আপত্তিকর' কারণে এই লেখাটার উপর জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন কিনা। অবশেষে তাই হলো।

      লেখকের মতে, বাস্তব ঘটনাগুলো না-বলে লুকিয়ে রাখায় লেখকের কোনো কৃতিত্ব নাই।

      জবাব দিন
      • ব্লগ এডজুট্যান্ট

        আলম
        আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

        রেড বুকঃ
        নীতিমালা-৪

        এমন অনেক সেন্সেটিভ বিষয় রয়েছে- যেটা আমরা আমাদের নিজেদের আড্ডায় আলাপ করলে দোষ নেই- কিন্তু হুট করে যদি সেটা বাইরে চলে আসে- ঠিকমতন রিলেট করতে না পারার ফলে অনেকেই হয়তো ক্যাডেট কলেজ নিয়ে ভুল ধারণা পাবেন। এতদিন ধরে ভাল রেজাল্ট আর সফলতা দিয়ে যে সুনাম কামিয়েছে কলেজগুলো- সেগুলোর প্রতি আমাদের সবাইকে যত্নবান হতে হবে।

        নীতিমালা-৭

        এধরণের বিষয়গুলো লেখার সময় লেখককে যে কথাটা মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে ভাষাগতভাবে লেখাটি যেন কোনভাবেই অরুচিকর বা অশ্লীল না হয়ে যায়, বরং সুখপাঠ্য হয়।এ ধরণের ব্লগের ক্ষেত্রে কোনটার ব্যাপারে যদি মডারেটরদের মনে হয় ভাষাগত ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা’ তাদের নির্ধারিত মানদন্ড অতিক্রম করতে পারছেনা সে ক্ষেত্রে তারা ব্লগটি মডারেট বা পুরোপুরি মুছে দেবার অধিকার রাখেন।

        ************************
        আশা করছি আপনার ব্লগটি কেনো প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো বুঝতে পেরেছেন।

        আপনার সহযোগিতা কাম্য।
        ধন্যবাদ।

        জবাব দিন
  2. ব্লগ এডজুট্যান্ট

    বিষয়বস্তু আপত্তিকর হওয়ায় পোস্টটি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো।
    ভাবিষ্যতে লেখক কে বিষয়বস্তু নির্বাচনে আরো সতর্ক হতে অনুরোধ করা হলো।

    জবাব দিন
  3. শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

    চিকিবাজীর বিরোধিতা করাতে গতকাল mgcc er এক মেয়ে আমাকে Fantom(চিকির mgcc version) সম্পর্কে বিবিধ জ্ঞান দিল,ওরা এটার বেশ সাপোর্টেই মনে হয়!

    আর ক্যাডেট কলেজে চিকি ব্যাপারটা সর্বোচ্চ অশ্লীল পর্যায়ে চলে গেছে!এটা বন্ধ না করে সুনাম অর্জন করাটা তোখুবই চমৎকার আইডিয়া!


    People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

    জবাব দিন
  4. মনিরুজ্জামান মুন (২০০২-২০০৮)

    আমি এখানে মন্তব্য না করেই পারছি না,কাডেট কলেজ এ এই সমস্যা অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে,সহজ কথায় একেবারে শেষ পর্যায়ে উপনীত হযেছে,তাই চিকি শুনে নিজেকে আড়ালে নিয়ে যাবেন না দযা করে।
    এ বাপারে কাডেট কলেজ অথরিটি সুচিন্তিত ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখি।
    এ বাপারে যদি আমরা এখন থেকেই সচেতন না হই,তাহলে একদিন আসবে যখন আমরা কাডেট পরিচয দিতে কার্পন্যবোধ করব।
    এই লেখা যদি কাউকে আঘাথ করে তাহলে আমি দুঃক্ষিত

    জবাব দিন
  5. মুহিব (৯৬-০২)

    কি কমু? বুঝতাম পারতাছি না। ভাইডি তুই যেগুলা লিখেছিস এগুলা কিন্তু মিত্যা কতা না। কতাগুলা ফালায়া দেওন যায় না। তয় এগুলা নিয়া ব্লগে আমরা আলোচনা না করি। ব্লগে তো অনেক মেহমানরাও আসে, তাই না?

    জবাব দিন
  6. মো. তারিক মাহমুদ (২০০১-০৭)

    লেখা এবং কমেন্টগুলো পরে লগ ইন না করে পারলাম না ... ... অন্তত লেখককে ধন্যবাদ দিতেই কমেন্ট করছি। ধন্যবাদটা এ জন্য যে "বিষয় সিলেকশন" এর ক্ষেত্র খুবই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তবে ব্যাপারটা অনেক সেনসিটিভ - এটাও সত্যি। তবে সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে, এই ঘটনাগুলো আসলেই বাস্তব সত্য। আর সত্য লুকিয়ে রেখে "নিয়মাবলি" মেনে "সুনাম" ধরে রাখাটা যতটা জরুরী, তার চেয়ে সমস্যার সমাধান হওয়া ১০০ গুণ বেশি জরুরী। তাই আশা করি, পাঠকরা লেখকের মূল বক্তব্য বুঝতে চেষ্টা করবেন।

    আলম ভাই, আপনাকে অবশ্যই ধন্যবাদ। কিন্তু লেখাটাকে কিছুটা এডিট করে আর একটু মার্জিত করলে বোধ হয় ভাল হয়। তবে এই topicটা এমন যে এ বিষয়ে বাস্তব ঘটনা যেভাবেই লিখেন না কেন, হয়ত এডু স্যারের আপত্তি থাকবেই। আর "এডজুট্যান্ট যেন আপত্তি না করে" এভাবে লিখতে গেলে হয়ত বাস্তবটা আর বোঝা যাবে না ।

    [প্রকাশিত মতামত একান্তই ব্যাক্তিগত]

    জবাব দিন
  7. আমীন (০১-০৭)

    অনেকেই দেখি এই লেখার ধরন দেখে নাক সিটকাচ্ছেন।আমি মনে করি,এই বিষয়টা নিয়ে সকলের ভাবা দরকার।আমাদের সময়ে আমি দুজনকে দেখেছি জাস্ট এই কারনে কলেজ থেকে চলে যেতে।
    আজ যখন বাইরে চলি,বাইরের ফ্রেন্ডদের সাথে মিশি,তারাও বিষয়টা তোলে।সুতরাং ব্যাপারটা বাইরেও চলে আসছে।
    তো বলি কি,লেখাটাকে না নিয়ে সমস্যাটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার।তা না হলে ক্যাডেট কলেজের সুনাম আর থাকবে না বাইরে।

    লেখক খুব কমই বলেছেন বলে আমার ধারনা।
    লেখা ভাল হয়েছে।আর এ বিষয়টা নিয়ে কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  8. তোফায়েল (০৫-১১)

    আরিফ আমীন ভাইয়ের সাথে পুরোপুরি একমত। আমারা যারা কলেজে আছি, তারা আরো ভালো জানি ভেতরে কি হচ্ছে। লেখককে ধন্যবাদ,এরকম একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।

    জবাব দিন
  9. পাবন (২০০৪-২০১০)

    Awesome .............
    এর চেয়ে মার্জিত করা possible না ।
    করতে গেলে সবাই বুঝবে না ।
    সব কলেজ এর Internal Language ও এক না ।
    এখন প্রতি বছর [not all college] ৪-৫ জন College Out হচ্ছে ।
    it's a burning question now.


    Proud to be a Cadet,
    Proud to be a Faujian.

    জবাব দিন
  10. ইফতেখার (৯৯-০৫)

    লেখার স্টাইল আর কন্টেন্ট দুইটাই অনেক ভালো লেগেছে।
    কিন্তু নন-ক্যাডেট যারা ব্লগে আসেন তারা এটা পড়ে কী ধরণের বাজে ধারণা নিয়ে যেতে পারে সেটা সবাই বুঝতেই পারছি। এই পোস্টটাকে কি এমন ব্যবস্থা করা যায় না যাতে রেজিস্টার্ড সদস্য ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের উপায় থাকবে না?
    কারণ, আলম ভাইয়ের এই লেখার কন্টেন্টটা সত্যিই অসাধারণ হইছে এবং যেগুলা লিখেছেন তার এক বর্ণও মিথ্যা না।
    এ ব্যপারে তাই ব্লগ এডজ্যুটেন্ট এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

    জবাব দিন
  11. আসাদুজ্জামান (১৯৯৬-২০০২)

    ইয়ারলী একটা বিটিং হইত আমাদের কলেজে। সেইরকম বিটিং। হাউসের সামনে পিছে কোন গাছের মুগুর টাইপের ডাল অবশিষ্ট থাকত না। জিনিসটা শুনতে অমানবিক লাগছে??? লাগলেও কিছু করার নাই। এইটা আমাদের কলেজের একটা ট্রেডিশান।

    যখনি সিনিয়াররা আলামত পেত যে, ভ্যাকেশনে যেয়ে বিভিন্ন কলেজের পোলাপানদের সাথে মিশায় এই ধরণের কোন কু-অভ্যাস গড়ে উঠছে, একটু ভালো করে তদন্ত, তারপর ব্যাচ অনুসারে ফল ইন করানো, হ্যান্ডস ডাউন। লং আপ, পুশ আপ। এরপর শুরু হইত মাইর। বেদম প্রহার। মধ্যযুগীয় বর্বরতা, তাই মনে হচ্চে। হোক, কিছু করার নাই।

    সবই চলতো রুমের মধ্যে। ক্লাস ইলেভেন পর্যন্ত রুমগুলা ১০ সিটের হওয়ায় বিশেষ সুবিধা হত। হাউসের প্রতিটা ব্যাচকে আলাদা আলাদা ট্রিটমেন্ট দেয়া হত। আর বাইরে থাকতো গার্ড। ভেতরে প্রহার আর শিক্ষা দেয়া যে এইটা কোন কলেজ। এইখানে কি চলবে আর কি চলবে না। এই জিনিস যদি টের পাওয়া যায় তাইলে রক্ষা নাই।

    যাক এই সিসনাল মাইরটা বেশ কাজে দিত। বেশ। কারন ঐ ছোটবেলাতেই শিখিয়ে দেয়া হত ব্যাপারটার গুরুত্ব সম্পর্কে। তাই ওরা যখন আবার সিনিয়ার হোত তখন তারাও চেইনটা মেইনটেইন করতো। ফলশ্রুতিতে এইসব অনাচার কখনো প্রশ্রয় পেত না।

    আর ভাইয়া ডাকটা ছিল ঘৃনিত। শুরুতে কেউ ভুলে ডাকলে বলা হতো, অত সুর করে ভাইয়া ডাক কেন?? হাতে চকলেট দিয়ে কোলে বসায়ে আদর করবো, জুনিয়ারদের সাথে এত পিরীতি নাই। ভাই ডাকবা ভাই।

    আমাদের সিনিয়ার জুনিয়ার রিলেশানটা সত্যিই বেশ হার্ড ছিল। শুধুমাত্র জুনিয়ার প্রিফেক্ট হওয়ার সময়, ইলেভেন টুয়েলভের একটা ভালো বোঝাপড়া হত। এই কারনে আমাদের কলেজের একটা দুর্নামও আছে পানিশমেন্টের জন্য। কিন্তু এইটার ফল হল চরিত্রবান ক্যাডেট।

    জবাব দিন
  12. সালেহ (০৩-০৯)

    এখানে এত sensitivity-র প্রশ্ন আসে কি করে? চিকি একটা universal ক্যাডেট কলেজীয় সমস্যা, এটা নিয়ে লেখালেখি করলে তো লজ্জায় কুঁচকে যাবার কিছু নেই। আর এটা ক্যাডেট দের নিজস্ব ব্লগ, বাইরের মানুষ কি ভাববে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন আমি দেখি না।

    আমাদের কলেজেও এরকম দেখা গেছে, ক্লাস সেভেন এইটে তো বটেই, ক্লাস টুয়েলভেও ফ্রেন্ডরা তাকে চিকি বলতে ছাড়ে নি। একজনের ইলেভেন টুয়েলভের ক্যাডেট লাইফও যদি ‘চিকি’ গালি আর ফ্রেন্ডের খোঁচা খেয়ে কাটে, তার জীবনটা যে কীরকম দুর্বিষহ হয় তা আমাদের কল্পনারও বাইরে। এই সমস্যার আশু সমাধান প্রয়োজন।

    এই ব্লগকে যারা অশ্লীলতার দায়ে দুষছেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, লেখক ব্লগ লেখার মাধ্যমে ‘চিকি’ ট্র্যাডিশনের সাফাই গান নি, বরং চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের অসারতাকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, এত বড়, জ্ঞানীগুনি ইত্যাদি হবার পরও আমরা কলেজ থেকে এগুলো দূর করতে পারছি না।


    Saleh

    জবাব দিন
  13. সিয়াম (০৬-১২)

    আলম ভাইয়ের কাহিনীটাই বলি। তার সাথে আমার দহরম-মহরম হয়েছিল একবার হসপিটালে গিয়ে। হসপিটালে সাধারণতঃ সিনিয়র-জুনিয়র ভেদাভেদ কমই থাকে। সেই সুযোগে আমার অল্টারনেটিভ সিনিয়র আলম ভাইয়ের সাথে প্রায় বন্ধুত্ব হয়ে যায় আমার। ওনি কী ভাবতেন জানিনা। তবে আমার তাঁকে ভাল লাগতো, মনে হয় ভদ্র ছেলেই হবে। কিন্তু না, কদিন বাদে ............।

    জবাব দিন
  14. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    এই প্র্যাকটিসটা আমাদের সময়ও ছিল কিন্তু তখনও এটার সর্বোজনবোদ্ধ এ জাতীয় কোন নামকরন হয়েছিল বলে মনে পড়ে না।
    বেরিয়ে এসে হলেও এখন যে এটা নিয়ে কথা হচ্ছে, ব্যাপারটা ভাল।
    আশা করছি এই অভিশপ্ত প্র্যাকটিসটা দিনে দিনে কমে আসার.........


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
  15. Alalm :salute:

    You have brought forward a very important dark side of CC. We must admit the weak areas of a very good system of CC. You Know example of dirty/horrible end results (I should not mention here!!!) of this practice/mentality/behaviour.

    Can you find any similarity between this behaviour and the example given in: ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট এ্যান্ড হোয়ার টু ফাইন্ড দেম ??????

    Now, what can I / We / present cdts / Ex-cdts do?

    Do we want this to continue/ increase / stop????

    Let us ban the word চিকি or any word in use with the same meaning from CC. Let all Ex-cdts motivate present cdts if we meet them (if situation and time permits). There are cdts who use facebook/different blogs, so we can inform them if any time we personally communicate to them. In Re-unions we can discuss the hideous effects.

    Let us all start a fight :duel: :gulli2: :chup: against this unbecoming conduct in CCs. I am proud of CCs and want to remove any of the possibility which can pull CCs and cdts down.

    (I apologize for writing in English)

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রায়হান আবীর

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।