আমার ঘুমবেলা -২

কমেনট গুলো পড়ে মনে হলো নিদ্রাদেবীর সাথে বৃন্দাবনলী্লা সব কলেজেই একি ছিল । সাধে কি আর বলে সব রসুনেরই গোড়া এক ।

ঢেকির ধান ভাংগার গুনাবলির মতো আমিও বেশ গরবের সাথেই আমার ঘুম প্রীতি সভাব সাফল্যের সাথেই সামনে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম । মনে আছে কলেজে প্রায়ই প্রেপ শেষে বেয়ারার ডাকে ঘুম ভাংতো, কখন যে প্রেপ শেষ আর কিভাবে যে বাকিরা ঘুমের ঘোরে একজন আহত সেনানিকে যুধ্যের ময়দানে ফেলে আসতো তা আজো আমার কাছে রহস্য্ময় । তবে হাটুবাহিনির প্রশিক্ষন কেন্দ্রে ঘটনার পুনরাব্রিত্রি দেখে সান্তনা পাই ।ঐ দোযখেও ২য় টারমে রাতে বক্সিং অনুশীলনের ফাকে পিলারের সাইডে ঘুমন্ত আমাকে প্রশিক্ষক ই ডেকে তুলতো ( সেইদিন ই আমার কলেজ বন্ধুদের প্রতি পুরনো রাগ পানি হয়ে যায় ) । তবে দৈ্রঘে যেমনি হোক, গভী্রতায় কয়েকজন আমার কাছে রীতিমতো আইকন ছিল । তার একজন আমার হাউজমেট ( তিনি ক্লাশের ২য় সেরা ছাত্র হওয়া সত্তেও, তীব্রভাবে ইনডিসিপ্লিন (স্যারদের ভাষ্য অনুযায়ী)!! হওয়ায় সাধারন ক্যাডেট এবং আমাদের অনুপ্রেরনা ছিল) মিরযযা ( তার ফ্যামিলি টাইটেল) । আমাদের মিরযযা নিয়মিত ই গেমস এর আগে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষন গোঁ গোঁ করে কনফিডেন্তলি সাদা খাতাকে মোজা বানিয়ে তার পায়ে পরার চেষটা করত ! ভাগ্যিস অর রুম মেট ছিল ! আর শুনেছি আমাদের আলী বিএমএ তে একবার স্পটটৈসট পরিক্ষায় দুইটা প্রস্নের উত্তর ঘুমের ঘো্রে তার হাতে লিখে কলেজের নাম উজ্জ্বল করেছিল ( প্লাটুন কমানডার অবাক বিঃসয়ে তাকে কোন কলেজের জানতে চেয়েছিল ! সাবাস আলী ) । ঘটনা গুলা অবাক লাগ্লেও ১০০% সত্যি, বিঃশাস করুন আর নাই করুন।

তবে সবচেয়ে মজাদার ঘুম মনে হয় ছিল ২য় প্রেপ এ । আমার ই আরেক ঘুমকাতর বন্ধু একবার যখন এই মজার সময়ে অতল গহবরে তখন ইসলামিয়াত এর এক স্যার ( নাম মনে পরছেনা) স্নেহ ভরে তাকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন । নিসচিত ভাবে দুসট্ সহপাঠী ভেবে বন্ধু টি দুইবার সাবধান করে তৃ্তীয়বার  তাকে শায়েস্তা করতে উদ্দত হলেই সে সহপাঠীর পরিবরতে স্যার এর হাসি হাসি মুখ এবং সবার গগনবিদারি অটটোহাসি আবিষকার করেছিল । প্রেপ শেষ হওয়ায় স্যার ও মুচকি হেসে বলেছিল ” যা, রুম এ গিয়ে ঘুমা” …।

১,৫৯৫ বার দেখা হয়েছে

১৫ টি মন্তব্য : “আমার ঘুমবেলা -২”

  1. কিছু কিছু মাল টাইপ ক্যাডেটের ঘুম এখনও আমাকে প্রেপ টাইমের কথা মনে করিয়ে দেয়।আমাদের যারা প্রেপে ঘুমাত,তাদেরকে ধরার জন্য কতিপয় দুষ্ট প্রকৃতির স্যার খালি সুযোগ খুঁজতেন,কিভাবে ইডি লাগান যায়।

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    তৌহিদ ভাই, একটা ভিন্ন প্রশ্ন করি।কালাপাহাড় ভাই কি পরবর্তীতে রাজশাহী ভার্সিটি তে জেনেটিক্স এ ভর্তি হন?উনার কাহিনি আমি ২০০১ আইসিসিএলএমএম এ রাজশাহীর দোস্তদের কাছে শুনসি...হারানো দিনের স্মৃতি মনে করায় দিলেন বস...

    অফ টপিকঃঘুমের কি আনন্দ তা ক্যাডেট কলেজ আর বিএমএ তে(আমি ওইখানে ৩ মাস ছিলাম) না গেলে টের পাইতাম না...আহহহহহ ঘুম....মধুর ঘুম...

    অফ টপিক ২- স্রস্টা মানুষকে ৩ টা অতি আরামের জিনিস দিয়েছেন
    ক)ঘুম
    খ)খাওয়া
    গ)মুরুব্বিদের সামনে বলা যাবেনা

    গ ছাড়া বাকি দুইটা নিয়মিত করে থাকি...আহ,না খায়া থাকা যায় কিন্তু না ঘুমাইলে মাম..... 🙁

    জবাব দিন
  3. শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)

    আমি এখনো ঘুমাই......আফটারনুন প্রেপে!আর নাইট প্রেপে ঘুমাইতে গিয়া ভিপি স্যারের কাছে কি অপমানিতটাই না হইসিলাম!হে!হে!হে!


    People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

    জবাব দিন
  4. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    যেদিন থেকে আমার জন্য সকালে ওঠা (পিটির জন্য) বাধ্যতামূলক হল, সেদিন থেকেই কেন জানিনা সকাল বেলার ঘুমটা খুব প্রিয় হয়ে গেল। গুরুজনেরা বলতেন সকালের পড়া খুব ভালো মুখস্থ হয়, মাথায় থাকে। কিন্তু কিসের কি - কলেজে সকালে উঠে পড়ার চেষ্টা করে দেখছি, লাভ হয় নাই। ঘুমের কাছে পরাজয় মানছি। এখনও সকালের ঘুমটা আমার খুব প্রিয়।
    @তৌহিদ, ভাই তোমার লেখার স্টাইলটা খুব, খুব মনে ধরছে।

    কখন যে প্রেপ শেষ আর কিভাবে যে বাকিরা ঘুমের ঘোরে একজন আহত সেনানিকে যুধ্যের ময়দানে ফেলে আসতো তা আজো আমার কাছে রহস্য্ময়

    :)) :))

    প্লাটুন কমানডার অবাক বিঃসয়ে তাকে কোন কলেজের জানতে চেয়েছিল

    =)) =)) চালায়া যাও।


    Life is Mad.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহ্সান (৮৮-৯৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।