একটা কথা আমরা কি কেউ চিন্তা করেছি,যে প্রতি বছর আমাদের পড়ালেখার পরিমান প্রায় ১৫০% করে (শুধুমাত্র পরিমানে,কঠিন হওয়া তো বাদই দিলাম!) বৃদ্ধি পায়? কিন্তু বয়স আর কতই বাড়ে আমাদের? এবং এই চাপ সহ্য করে যারা শেষ পর্যন্ত আমাদের শিক্ষক হন,তাদের কাছে তো তা খুবই সোজা বলে প্রতীয়মান হয়,যার ফলে বাড়ে প্রেপ টাস্ক,পরীক্ষার সিলেবাস এবং বাসায় যায় ওয়ার্নিং।
কিন্ত ভালবাসা এবং যুদ্ধে সবই ঠিক। আমরা জানি। তাই কিছু অভিনব পদ্ধতি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি,যা আপনাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
১। ডিভাইড অ্যান্ড কনকুওরঃ পুরো পরীক্ষার হল কে ভাগ ভাগ করে নিন। এক একটি গ্রুপ এমন ভাবে সাজান যেন সবাই মিলে সব প্রশ্ন পারে। তাহলে দেখবেন সবাই উপকৃত হবে। যদি এমন হয় যে এক গ্রুপ পুরো নাসার বৈজ্ঞানিক এবং অন্য গ্রুপ আজ পর্যন্ত জানে না যে কার্বন বিদ্যুৎ পরিবাহী,তাহলে এই আর্টিকেল পড়ার কোন দরকারই আপনাদের নেই। মনে রাখবেন,আপনি কোন কিছু না পারলে আপনাকে সাহায্য করার জন্য আসে পাশের গাধারাই থাকবে,এক মাইল দুরের কোন জিনিয়াস থাকবে না।
২। যোগাযোগ রক্ষা করুনঃ কোন ভাবেই কমিউনিকেশন হারাবেন না। আল্লাহ যেহেতু আপনাদের হাতের আঙ্গুল,চোখের পাতা,ইত্যাদি অনেক ধরনের অঙ্গ দিয়েছেন তাদের সদ্ব্যবহার করুন। যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তাহলে ক্ষতি আপনারই। নিজের স্বার্থেই সাহায্য করুন,এবং নিন। আবার খেয়াল রাখবেন যেন ধরা না খান!
৩। গোলমাল করুন একসাথেঃসবাই যদি আলাদা আলাদা কথা বলেন,দেখা যাবে যে হলের ইনভিজিলেটরের কোন সমস্যাই হচ্ছে না আপনাদের থামাতে। কিন্ত যদি পুরা হল একসাথে কথা বলেন,কাকে ছেড়ে কাকে উনি থামাবেন??? !!!
৪। বার বার চেক করুনঃ আন্দাজে অবজেক্টিভ দাগাবেন না। কারণ অবজেক্টিভে ভাল করলে অনেক ভাল নম্বর পাওয়া যায়। সুতরাং বার বার চেক করে নিন। নিজের স্বার্থে।
৫। টয়লেটে যান সময়মতঃ আপনার এক্সাম পার্টনার পাশের রুমে? তাহলে তো আরও ভাল। দুইজন সময়মত টয়লেটে চলে যান,আরামসে ডাটা ট্রান্সফার করুন। (পরীক্ষার ১ ঘন্টা আগে শিডিউল সিংক্রোনাইজ করা বাঞ্ছনীয়)
৬। ফাঁদ তৈরি করুনঃ যারা ভাল ছাত্র তারা সাধারণত দেখা যায় যে স্যারদের প্রিয় পাত্র হয়। তাদের ব্যবহার করুন। লাগিয়ে দিন স্যারের সাথে গল্প করতে। স্যারও খুশি,পরীক্ষার্থীরা তো আরও খুশি!!!
৭। উত্তর দিন একসাথেঃ সবাই একসাথে উত্তর দিলে সবার একসাথে পরীক্ষা শেষ হবে,তাছাড়াও দেখাদেখির জন্য বাড়তি সময় যাবে না। তাই মিলিয়ে উত্তর দিন,কাভার করে পুরা পরীক্ষা দিন,ভাল ফলাফল পাবেন। আবার স্যার আসলে কিন্ত অন্য উত্তর লেখা শুরু করবেন,কারণ ওনাদেরকেও কিন্তু আল্লাহ মাথায় কিছুটা হলেও বুদ্ধি দিয়েছেন!
মোটামুটি এগুলোই আপনাকে সাফল্য এনে দেবে বলে আশা করি!
প্রথম 😀 😀 😀
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
😀 😀
The Bond Cadet
ছোট ভাই তোমার এই "স্ট্র্যাটেজি" গুলো শুধু মনে হয় ক্যাডেট কলেজেই কাজে দিবে। বাইরের জগত অনেক কঠিন। 🙁
বুয়েটে আমাদের ৩০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ইনভিজিলেটর থাকেন ৪ জন। সাথে কর্মচারী থাকেন ২ জন। ঘাড় নড়ালেই খবর আছে।
একই ডিপার্টমেন্টের বন্ধু থাকে ৪/৫ হাত দূরে। নিজের খাতা ছাড়া অন্য কারো খাতা দেখা তো অনন্ত জলিলের পক্ষেও অসম্ভব।
আর টয়লেট??? তুমি যাওয়ার আগে টাইম লিখে যাবা, কয়টায় যাচ্ছো। এসে আবার টাইম লিখবা কয়টায় ফিরে এলে। যাওয়ার সময় পিছে পিছে একজন কর্মচারী ও যাবেন তোমার সাথে।
এখন আমাকে কিছু নতুন "স্ট্র্যাটেজি" শেখাও যাতে এই পরিবেশে কাজে লাগে। 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ঐ ব্যাটা , শিখাইতে হবে ক্যান ? নিজেই সিস্টেম এর ছিদ্র বের কইরা নিবি । এই কাজ টা ক্যাডেট দের চেয়ে ভালো আর কে পারে?? :grr: :grr: :grr:
Cadets Do not plan,They improvise.
B-) (সম্পাদিত)
বহুত জ্ঞানী গুণীরা এই সমস্যা নিয়া অনেক চিন্তা ভাবনা করে অবশেষে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। আমরাও সে স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছি।
একদম দু'হাত তুলে আত্মসমর্পণ করেছি।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ছাত্রজীবন পড়াশোনা নিয়ে হা-হুতাশ করার জীবন। লেখা পড়ে মজা পেলাম।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:khekz:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
6 nambarer porikharthi ki tor mama lage na inv ijiletor tor chacha lage je hole boshe khajuira alap korbe? :party: amake chine thkle 1cap tea kha :teacup: :))