দোদুল্যমান

০১

জানালার পাশে বসে মাজেদ সাহেব আমলকী খাচ্ছেন আর রাস্তার খাদের আটকে থাকা পানিতে চড়ুই পাখির গোসল দেখছেন, একটুখানি একটা পাখি অথচ এর থেকেও ছোট তার মুখ, সেখানে কি সুন্দর করে খোদাই করা নাক, ঠোঁট, চোখ। নিজের অজান্তেই মাজেদ সাহেবের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো ” ফাবি আইয়া আলা রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান” – অতপর তোমরা সৃষ্টিকর্তার কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে?

মাজেদ সাহেব অনেকদিন চাকরী করেছেন, এখন স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন। পেনশনের টাকায় শ্বশুরবাড়ীর কাছ থেকে পাওয়া বাড়িতে সংস্কার করেছেন, এখন একতলা,দুইতলা ভাড়ার টাকা, আর তিনটা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের উপর ভর করে পায়ের উপর পা তুলে চলছেন। সম্প্রতি তিনি নামের শেষে খান যোগ করেছেন, মাজেদ সাহেবদের বংশ চাকলাদার, কিন্তু ‘মাজেদ চাকলাদারের’ থেকে ‘মাজেদ খান’ শুনতে আভিজাত্যপূর্ন। শ্বশুর বাড়ি থেকে আস্ত বাড়ি ঘাপিয়ে নিতে পারলে সামান্য ‘খান’ টাইটেল ঘাপায়ে নেয়া দোষের কিছু নয়। সেদিন কাদের সাহেব মেয়ের বিয়ের কার্ড পাঠিয়েছিলেন- উপরে লেখা মাজেদ চাকলাদার ও পরিবার। আরে ফকির্নির বাচ্চা আলহাজ কি তোর বাপ লিখবে? আলহাজ মাজেদ খান লিখলে সমস্যা কি?
রাগ করে বিয়েতে যাননি মাজেদ সাহেব, ফুল ফিরনি সেট উপহার পাঠিয়ে দিয়েছেন, উপরে লিখে দিয়েছেন- আলহাজ মাজেদ খানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।

টমেটো-তেতুলের টক ঝোল, আর টক দই দিয়ে কষানো গরুর গোশত দিয়ে দুপুরের খাবার সেরে মাজেদ সাহেব ভাত-ঘুম দেবার জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন। কিছুক্ষন পরে তার পাশে এসে শুয়ে পরলো স্ত্রী হামিদা খান। হামিদা খানকে জায়গা করে দিতে মাজেদ সাহেব এতটুকু হয়ে গেলেন, মানুষের দিনে দিনে বয়স বাড়ে, আর হামিদার শুধু বপু। হামিদা খান বিশাল শব্দ করে নাক ডাকতে থাকেন, মাজেদ সাহেব আস্তে করে উঠে বারান্দায় চলে যান। হামিদা খানের প্রতি শারীরিক আকর্ষন কিছুই বাকি নেই, হামিদা খানের বাবার সম্পত্তির জন্য বিবাহে রাজি হয়েছিলেন মাজেদ সাহেব। চল্লিশের পর পুরুষের সামান্য যৌবন ঢেউ আসে মনে, দুষ্টু রসিকতা, প্রেমালো আলাপের স্বাদ আহ্লাদগুলো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। অথচ বিগত যৌবনা স্ত্রীকে দেখে মাজেদ সাহেবের চোখে পানি চলে আসে। সম্পত্তির দিকে না তাকিয়ে অল্প বয়স্কা মিষ্টি একটা মেয়ে বিয়ে করা উচিত ছিল।

পাশের বাসার রফিক সাহেবের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিল, রফিক সাহেব আর বাচ্চাদের দেখাশুনা করতো জুলেখা, কাজের মেয়ে জুলেখার সাথে রফিক সাহেবের ইটিশ পিটিশের খবর পাওয়া যায় তার স্ত্রী হাসপাতাল থেকে ফিরলে, উঠানে নেমে গড়ান দিয়ে কেঁদেছেন ভদ্রমহিলা, বাতের ব্যাথায় ভুগেছেন দীর্ঘদিন আর এখন স্বামী বেহাত হয়ে যাবার মনব্যথায়।
মাজেদ সাহেব সেদিন গলা খাকারি দিয়ে বলেছিলেন- রফিক মিয়া, নিকাহ করার নিয়ত করেছো ভালো কথা, আমাদের জানাইতা, আমরা ভালো পরিবার দেখে নিকাহ’র এন্তেজাম করতাম, তাই বলে কাজের মেয়েকে স্ত্রীর সতীন বানাইবা? কাজটা কি ভালো হইলো রফিক সাহেব?
চা নিয়ে আসে জুলেখা, নতুন বউয়ের শোল মাছের মতো চকচকে চামড়া, সুতি শাড়ির নীচে নরম মাংসের দাপাদাপি। মাজেদ সাহেবের কপাল থেকে সরু ঘাম বেয়ে পরে, মাজেদ সাহেবের অব্যবহিত বিজয় নিশানে বাতাস লাগে, বুকের মধ্যে দপদপ করে। এমন মেয়ে পেলে কে না নিকাহ করে, মাজেদ খানের সুযোগ থাকলে মাজেদ খান দশ বার করত। মাজেদ খান জুলেখাকে বলল, তা নতুন বউ একখানা ধাঁধা ভাঙাও দেখি

“আল্লাহর কি কুদরত
গাছের মাথায় শরবত”

কঠিন ধাঁধার প্রেশারে জুলেখার ঘোমটা খুলে যায়, রফিক সাহেব একটা জানোয়ার চাষী, কানে, গলায় নিশানা রেখে দিয়েছেন জুলেখার। কোনমতে উঠে দাঁড়িয়ে মাজেদ সাহেব বললেন- উত্তর হইল ডাব, বুঝলা নতুন বউ? জুলেখা দ্রুত মাথায় কাপড় দিয়ে চলে যায়, মাজেদ সাহেব নিজেকে রফিক চাষী ভাবতে ভাবতে কল্পনার জগতে হারিয়ে যান।

০২

কুদরত সাহেবের বাসায় এসে পত্রিকা খুলে বসলেন মাজেদ খান, কুদরত সাহেব এলাকার মাথা, বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। মাঝে মাঝে এ বাসায় এসে কুদরত সাহেবের সাথে দেশ ও রাজনীতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন মাজেদ সাহেব। তবে সেটি মূলকথা নয়, কুদরত সাহেবের মেয়ে সীমা অতীব সুন্দরী, বাসায় আসলেই সীমা চা করে নিয়ে আসে। এটা ওটা নিয়ে গল্প করে।
– সীমা, তোমার বাবা কোথায়?
– চাচা, উনারা তো কেউ নেই, বরিশাল গিয়েছেন ধান তুলতে
– বাসায় কেউ নেই?
– না তো
– এক কাপ চা খাওয়াও দেখি।

বাসায় কেউ নেই শুনে মাজেদ সাহেবের মন যুবকের মতো দোলা দিয়ে ওঠে, যুবককালে একবার ফাকা বাসায় পাশের বাড়ির মেয়েকে ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনানোর কথা বলে নিয়ে এসেছিলেন মাজেদ সাহেব, একটু উশখুশ করে মেয়েটার রানে হাত দিতেই মেয়েটি ডান হাতে বিশাল একটা চড় বসিয়ে দিয়েছিলো মাজেদ সাহেবের গালে, থাক সেসব পুরানো দিনের কথা।

সীমা চা নিয়ে আসলো, কত আর বয়স ২৪-২৫, কি অপূর্ব লাগে দেখতে সীমাকে। সীমার পেছনটা নরোম খরগোশের পিঠের মতো নড়েচড়ে ওঠে, কোনমতে চা’য়ে চুমুক দিয়ে চোখ নামিয়ে নেন মাজেদ সাহেব। একদিনে অনেক বেশি হয়ে গেছে, বাসা ফাকা, সীমার পাজামাটাও বড্ড আঁটসাঁট- এ যেন পুরো একদিন টেস্ট খেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোন উইকেট না হারানো।
সন্তর্পনে সীমার হাঁটুতে হাত রাখেন মাজেদ সাহেব, নরম গলায় পড়াশুনার কথা জিজ্ঞাস করেন, সীমা আরো সাবধানে হাত সরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল – চাচা আমি আমার বান্ধবীর বাসায় যাবো, ঘর তালা দিয়ে যাবো।

এরপর আর কথা থাকে না, মাজেদ সাহেব রাস্তায় বেড়িয়ে আসেন, দূর থেকে দেখতে পান এলাকার মাস্তান লিমন সীমাদের বাড়িতে ঢুকছে। একটু ফাঁকা পেলেই এই হারামজাদা ফট করে ও বাড়িতে ঢুকে যায়, আরেকদিন জানালা দিয়ে দেখতে পান লিমনের কোলে বসে মোচড়া-মুচড়ি করছে সীমা। লিমনের কথা ভাবতেই নিজের কোল উত্তাল হয়ে ওঠে মাজেদ সাহেবের।
বাড়িতে এসে পাঞ্জাবী খুলে আয়নার সামনে দাঁড়ান মাজেদ সাহেব, পেটটা সামনে বেড়িয়েছে, চুলেও পাক ধরেছে সামান্য, কানের মধ্যে দুই গোছা পশমেই সাদা পাক ধরেছে, চুলের কলপ উঠি উঠি করছে।
রফিক সাহেবের যুবক দেহ, আর লিমনের তো পেটানো লম্বা শরীর- পরাজয়ের তিতা স্বাদ জিভের মাথায় অনুভব করেন মাজেদ সাহেব। সিদ্ধান্ত নিলেন কুদরত সাহেব ফিরলেই সীমা-আর লিমনের কোলে উঠাউঠির ব্যপারটা নালিশটা দেবেন। সাথে আরো দু-তিনজন মুরুব্বিকে নিয়ে যাবেন, মসজিদের ইমামকে পেলে আরো হয়, ইসলামি মহল্লায় এ কেমন বেল্ললেলাপনা? পেয়েছেটা কি?

০৩

আজ সীমাকে দু’দুবার করে ফোন করেও পাওয়া যায়নি, তৃতীয়বার ফোন ধরলো সে। মনে হয় মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে, ধরা ধরা গলা, এক সেকেন্ডে অন্য এক জগতে চলে গেলেন মাজেদ সাহেব, বিড়বিড় করে আবৃতি করে ফেললেন-

একদা রাতে নবীন যৌবনে
স্বপ্ন হতে উঠিনু চমকিয়া,
বাহিরে এসে দাঁড়ানু একবার
ধরার পানে দেখিনু নিরখিয়া।
শীর্ণ হয়ে এসেছে শুকতারা,
পূর্বতটে হতেছে নিশি ভোর।
আকাশ-কোণে বিকাশে জাগরণ,
ধরণীতলে ভাঙে নি ঘুমঘোর

ইচ্ছে হয় সারাদিন ফোন কানে ধরে সীমার গলা শুনতে, কি মনোহর। ভাটি অঞ্চলে আজ জোয়ার এসেছে, ফাটা মাটিতে মাথা তুলেছে নবীন ধানের শীষ।
– সীমা কেমন আছো?
– চাচা, মোবাইলে কেন ফোন দিয়েছেন?
– এমনিতেই
– বাসার ফোনে ফোন দেন, আব্বা বাসায় আছে।

খুট করে লাইন কেটে দিলো মাজেদ সাহেব, বুকের মাঝে বাজিলো কি সুখের ব্যথা। একবার যদি পাওয়া যেত সীমাকে, একবার যদি হাতে হাত নিয়ে বসে থাকা যেতো।
না পাওয়ার বিরক্তি নিয়ে টিভি খুলে বসলেন মাজেদ সাহেব, রেলমন্ত্রীর বিয়ে, হলুদের অনুষ্ঠান লাইভ দেখাচ্ছে, মাজেদ সাহেবের স্ত্রী হামিদা খান তার পাশে বসলেন। উত্তেজিত মাজেদ সাহেব বললেন
– দেখলা অবস্থা, বুড়ো বেটায় কি করতেছে?
– কি করতেছে?
– অল্প বয়স্কা মেয়েটারে ফুসলায়ে বিবাহ করতেছে
– মেয়ে ফুসলে গিয়ে বিয়ে করলে তোমার সমস্যা কি?
– একটা রীতি নীতি আছে না সমাজের? এইটা কোন কথা বুড়া ব্যাটা এই অল্প বয়স্কা মেয়েটারে বিবাহ করতেছে!
– তাতে তোমার কি? তাদের তো প্রেমের বিয়ে।
– প্রেম না কচু, চল্লিশের পরে পুরুষের ঠ্যালা দেয়, তখন নতুন প্রেম, নতুন স্ত্রীর খোঁজ করে পুরুষ।
– তোমার ও তো চল্লিশ পার হইছে, তুমিও খোঁজ করো নাকি? নাকি করা শেষ? কাউরে ফুসলাইতে পারো নাই নাকি?
– বাজে কথা বলা বন্ধ করো হামিদা, প্রেশারটা একটু হাই লাগতেছে, দ্রুত এক গ্লাস টক দই দাও।

হামিদা খান উঠে গেলে মাজেদ সাহেব চোখ বন্ধ করে কল্পনায় একবার লিমন একবার রফিক সাহেবের চরিত্রে অভিনয় করতে থাকেন, আর স্ত্রীর ফিরে আসার পায়ের শব্দ পেয়ে বিড় বিড় করে বলেন- শালা বুড়া ভাম কোনখানকার, খাটাশ, বুড়া বয়সে বিয়ের শখ।

১,৭৩৩ বার দেখা হয়েছে

২২ টি মন্তব্য : “দোদুল্যমান”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    বরাবরের মতই অনেক ভাল লাগলো গল্পটা। মাজেদ খানের জন্য সমবেদনা। বয়স তো মাত্র চল্লিশ। আমাদের মন্ত্রীসাহেব ৬৭তে এসে পারলে উনি তো সে তুলনায় কোপা সামছু... 😛


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
    • তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

      আসলে চল্লিশ পার হয়ে যাওয়া পুরুষ সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে থাকে, কিছুটা একাকীত্ব বোধ এবং একঘেয়ে সংসারের বাইরেও নতুন কিছুর লোভ তাদের চেপে ধরে, বিষয়টা যতটুকু শারীরিক ততটুকুই সাইকোলজিকাল। তবে এই অবস্থা থেকে পরস্ত্রীর প্রতি আক্রোশ এবং মুখর হয়ে ওঠা কাম্য নয়। B-)


      চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

      জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    😀 😀 😀 😀
    রেলমন্ত্রীর বিয়ে নিয়ে মনঃকষ্টের আসল কারন যে নিজের অক্ষমতার কাছ থেকে পলায়ন-প্রসুত, এই রকমের একটা ব্যাখ্যা আমারও ছিল।
    এখানে সাহিত্য সম্মত মিলটা দেখে পুলকিত বোধ করছি।


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

      পারভেজ ভাই আমার কাছে বিষয়টা একান্তই সাইকোলজিকাল মনে হয় অনেক সময়ে, কতটুকু ঠিক কে জানে, কিন্তু মানুষের বিবাহ, স্ত্রীকে নিয়ে মুরুব্বি বয়সে আক্রোশ ছড়ানোটা আসলে পরাজয় ঢাকার দূর্বল কৌশল।


      চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

      জবাব দিন
  3. তাওসীফ, brilliant লিখেছো! চমতকার গাথছিলে, পড়তে ভাল লাগছিলো, লেখাটার সাথে অনেকদূর যাবার ইচ্ছা হচ্ছিলো। মনে হলো হঠাত করে থামিয়ে দিলে। প্লিজ, এটাকে আরো টানো, অনায়াসেই এক্টা উপন্যাস হয়ে উঠবে।

    জবাব দিন
  4. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    এক কথায়, দারুউউউণ ! :clap: :clap: :clap: :boss: :boss: :boss:

    আরেকটা কথা,

    ‘মাজেদ চাকলাদারের’ থেকে ‘মাজেদ খান’ শুনতে আভিজাত্যপূর্ন। শ্বশুর বাড়ি থেকে আস্ত বাড়ি ঘাপিয়ে নিতে পারলে সামান্য ‘খান’ টাইটেল ঘাপায়ে নেয়া দোষের কিছু নয়।

    - এরা অন্য কোথাও গিয়া মরে না ক্যান? বলি, দেশে কি জাতে ওঠার মত সারনেমের আকাল পড়েছে নাকি? 🙁 :((
    সেই মীর জাফর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যার-তার নামের শেষে খান জুড়ে দিয়ে জাতে ওঠার চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানাই 😡 :gulli2:


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অসাধারণ তাওসিফ, যত পড়ছি ততো তোমার গল্প বলার স্টাইলে ততো মুগ্ধ হচ্ছি :hatsoff:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সামিউল(২০০৪-১০)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।