ক্যাডেট ইয়াসির
ইনটেক-২৬
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ
হালকা ফুলো ফুলো ছেলে হলেই যে ক্যাডেট কলেজে অচল আধুলী হয়ে যেতে হয় সেই ধারনায় পানি ঢেলে ইয়াসির ছিল এক টুকরো জীবন্ত আনন্দ। ওকে দেখেছি ষাঁড়ের মত ফুটবল মাঠে বার বার ডাইভ দিয়ে ডিফেন্ড করতে, টাইট বেল্ট লাগিয়ে হাই হিল মার্চ করার হাস্যকর চেষ্টা করতে দেখতে, টপ টপ করা পরা ঘাম নাকে মুখে নিয়ে টেবিল টেনিস খেলতে, ক্ষুধায় কাতর হয়ে এক্সট্রা পরোটা চাইতে।
কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে, বাংলা নাটক, আর দেয়াল ম্যাগাজিনের কাজের সময় গ্রীনরুমে ওর সাথে অনেক কথা হতো, আমার মতো পড়ার বাইরের এইসব কাজে ওর আগ্রহও ছিল সীমাহীন। আমাকে বলত- ভাই,টাক পরবার আর কত দেরী? আর হাসত, রাগ দিলেও হাসতো, বারবার শপ থেকে ন্যাড়া করে ছেড়ে দিলেও হাসতো।
লেফট্যানেন্ট সিরাজী দেশরক্ষা করার শপথ নিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেছিল, চমৎকার ছেলেটির কথা সবার মুখে মুখে, ছেলেটার হাসির কথা মিলিটারী একাডেমীর সমসাময়িক সবার মুখে।
গত পড়ন্ত শীতে আমার সাথে দেখা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেই আগের মতোই পুরানো ঢাকার বাড়িতে সিড়ির নীচের পুরানো মটরের মতো ঘড় ঘড় করে হাসছে আর আমাকে বলছে- ভাই চা খাবো, বিড়ি খাবো।
আজ লেফট্যানেন্ট সিরাজী না ফেরার দেশে চলে গেছে, কারো চোখে রেখে গেছে মায়াভরা চোখের টিপ্পনি, কারো কানে রেখে গেছে ঘড় ঘড় করে হাসা হাসির শব্দ।
না ফেরার দেশে ভালো থাকিস, যেমন ছিলি তেমনটাই থাকিস। মাঝে মাঝে ভালোবাসার শঙ্খ-চিল হয়ে আমাদের দেখতে আসিস।
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো
খুব ছোট একটি স্বপ্নের জন্যে
খুব ছোট দুঃখের জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো কারো ঘুমের ভেতরে
একটি ছোটো দীর্ঘশ্বাসের জন্যে
একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে।
ঘুমাও শান্তিতে লেফট্যানেন্ট সিরাজী :salute:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
অভিনন্দন ৫০*
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:boss: :boss: :boss:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সিরাজী ভাইকে আল্লাহ জান্নাত দান করুন, এই দোয়া করি। 🙁 🙁
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ক্যাডেটরা প্রচুর বাইক এক্সিডেন্টের শিকার হচ্ছে। সাবধানে বাইক চালানো উচিত।
শান্তিতে থাকুক ইয়াসির।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
উনার কাছে নানা ভাবে আমি কৃতজ্ঞ। একাডেমি তে যে পরিমাণ হেল্প পাইছি তা বলার বাইরে। উনার সাথে না মিশলে বোঝার উপায় নাই যে কি পরিমাণ মজার মানুষ উনি.. অনেক কাহিনী, অনেক স্মৃতি। বলার ভাষা পাচ্ছিনা কোন।
বাইক যারা চালান সবার প্রতি একটাই অনুরধ
স্পিড কন্ট্রলে রাখুন এবং হেলমেট পড়ে চালান
আল্লাহ ওর আত্মার শান্তি দিক
একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার
মনে পড়বে তোমায় বন্ধু
একজন তরতাজা তরুণের এমন হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নেয়া খুব কষ্টের।
টগবগে তরুণদের, বিশেষ করে সেনা কর্মকর্তাদের, প্রতি মিনতিঃ অনুগ্রহ করে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। বেপরোয়া মোটরবাইক চালিয়ে বাহবা নেয়ার প্রবণতা থেকে বিরত থাকুন। জীবন একটাই।
আল্লাহ সকলকে শান্তিতে রাখুন।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম