হরতনের রাজা- ইশকাপনের রানী


গ্লাসের বরফটা বারবার গ্লাসের দেয়ালে ঠোকাঠুকি করে অধাতব শব্দ করছে, তাতে সের্গেই এর চিন্তায় বাঁধা পরছে না। কয়েকশো প্রজাপতি হৈ হুল্লোড় করে ওঠে তলপেটে, বুকের কাছটায় হামাগুড়ি দেয় একটা পাখা ভাঙা ডাহুক। ওলগা তবে এমনটা করেই যাচ্ছে, শেষ রাতে ফোনে আসা মেসেজগুলো তাহলে ইনস্যুরেন্স আর ট্যাক্সি কোম্পানির প্রমোশন নয়, বরং একজন সাশা এর সাথে দেখা করার সময় ও ভেনুর আপডেট। সেদিন ভুল করে এপার্টমেন্টের চাবি গাড়িতে ভুলে যাওয়াতে হাতড়াতে হয়েছিল ওলগার হ্যান্ডব্যাগ, চাবির থোকার সাথে উঠে আসলো উপ-শহরের এক মোটেলে থাকার রশিদ। এতদিন ভেবেছে ” নাহ” এরকম কিছু হতেই পারে না, আজ বিকালে মোটেলের ক্যাশে অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে ” একজন সাশা আর একজন ওলগা পুরোটা দুপুর ছিলেন বটে” এবং তারা গত তিন মাস থেকেই নিয়মিত চেক ইন করেন মোটেলে।

গোলাকার ভাবে বরফের কিউবটাকে গ্লাসের চারিদিকে খেলতে থাকে সের্গেই, ফিরে যায় আরো বছর খানেক আগে, খুনের মামলায় পরে চারদিকে অন্ধকার দেখছে, যে মাফিয়া গ্রুপের সাথে কাজ করত তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আইনি সাহায্য এর বদলে বলছে গা ঢাকা দিতে। সের্গেই উপায় না পেয়ে পালিয়ে গেল চায়না। চীনা ভাষা না জানায় প্রায় দুই মাস পর কাজ পেল একটা ” সাপের খামারে” না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না, ব্রয়লার মুরগি যেভাবে পেলে পুষে বড় করা হচ্ছে ঠিক একই ভাবে লালন পালন করা হচ্ছে সাপ। প্রচণ্ড চাহিদা থাকার কারনে গড়ে উঠেছে এই কৃত্রিম সাপ প্রজনন ইন্ডাস্ট্রিগুলো, ডানে সাপ, বামে সাপ, ঝুড়িতে সাপ, বক্সে সাপ। এক সপ্তাহ পর গা- সওয়া হয়ে গেল, তখন বরং সাপগুলোর কিলবিল না দেখলে ভালো লাগতো না। সাপের সুপ আর সাপের তরকারী উঠে এলো নিয়মিত খাবারের লিস্টে।

এক বছর পর ফিরে এল লেনিনগ্রাদে, ওলগার জন্য সব সময় মন কেঁদেছে, কত শত উপহারের সাথে ওলগার জন্য এনেছিল ভেড়ার চামড়ার একজোড়া বুট, আর পশমের কানটুপি।

কল্পনার জগত চুরমার হয়ে যায় বারম্যানের কড়কড়ে গলায়-
– মশাই, এবারে আগে টাকা না দিলে আমি আপনার গ্লাসে পানিও ঢালছি না।
– চোপ হারামজাদা, হুইস্কি ঢাল, নয়তো তোর মগজ বের করে ফুটবল খেলবো আমি।

প্রচন্ড ভয় পেয়ে বারম্যান পিছু হটে, চিন্তায় ডুবে যায় আবার সের্গেই। প্রায় দেড় বছর হয়ে এল, গত খুনটা নিখুঁত ভাবে করা হয়নি, পেছনে ফেলে আসতে হয়েছিল অনেক অনেক হাতের ছাপ, প্রমান। একটা নিখুঁত খুন করার সময় বুঝি চলে আসলো।


ওলগা সের্গেইভনা, আধুনিক কুমার যাকে বলা হয়, একটা সিরামিক কোম্পানীতে চাকরি করছে অনেকদিন হয়ে গেল। গ্রাম থেকে উঠে আসা ওলগা লেনিনগ্রাদে এসে বেশ হকচকিয়ে যায়, চারদিকে গাড়ি, রঙ, বাতির ছটা, মানুষের গায়ে দামী কাপড়, পায়ে চামড়ার বুট, হাতে পশমের হাত মুজো। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে কষ্ট করে চাকরীতে ঢোকে ওলগা। সহজ সাধারণ ওলগার সাথে সের্গেই এর পরিচয় হয় কোম্পানীর একটি বাৎসরিক পার্টিতে, মানুষ আর মাছ খুব দ্রুত চকচকে জিনিসের প্রতি আগ্রহী হয়, সের্গেই এর মখমলের জুতো, কনিষ্ঠ আঙ্গুলে লাল রুবির রুপার আংটি, মুখে চুরুট, আর প্রশস্ত কাঁধ ওলগার মনের তীরে বার বার বাড়ি মেরেছে, প্রথম রাতে পরিচয়ের পর শোবার মতো মেয়ে ওলগা নয়, অথচ সের্গেই এর পুরুষত্ব এর কাছে হারতে হয় সেই রাতে, চোখ বন্ধ করে ওলগা অনুভব করে বেয়াদপ শরীর যাচ্ছে-তাই ভাবে সের্গেইকে সাড়া দিচ্ছে।

দিন গড়ায়, সময় থিতু হয়। কোন এক বরফ ঢাকা দিনে সাইনের কাজ টুকু সেরে বিয়েও করে ফেলে দুজনে। হুট হাট রাত্রি যাপনের সময়টা শেষ হয়ে শুরু হয় এক ছাদের নীচে বসবাস। বিলাসিতায় অভ্যস্ত সের্গেই এর সাথে খাপ খাওয়াতে সত্যি সমস্যা হয় ওলগার, মুখের উপর হুট করে বলে ফেলে- গ্রামের মেয়েদের মতো পুরানো কাপড় পরে বের হচ্ছ কেন? অথবা, গ্রামে কেউ কোনদিন ভালো কোন পারফিউম ব্যবহার করেনি?

সপ্তাহে দু-দিন সের্গেই এর সাথে বল নাচ অথবা সান্ধ্যকালীন আড্ডায় যেতে হয়, বড় মেকি লাগে ওলগার, দামী কনিয়াক, হুইস্কি, কাপড় ওকে ডাকে না, ওর বরং নেভা নদীর পারে গিয়ে দুটো ফানুশ ওড়াতে ইচ্ছে করে, কয়েকটা সী গালের উন্মত্ত ওড়াওড়ি দেখতে ইচ্ছে করে।

সেবার সের্গেই এর জুতোর বাক্সের মধ্যে প্রথম পিস্তল দেখে ওলগা, ভয়াল দর্শন কালো একটা জানোয়ারের মতো লাগে, মাঝ রাতে সের্গেই বের হয়ে যায়, ফিরে আসে ভোরে, গোসল করে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যায় সকালে, সেইসব দিনে টিভিতে কোন ধনকুবের অথবা কোন ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবর শোনা যায়। কিছুই বুঝতে বাকি থাকে না ওলগার, ওর মনে হয় সের্গেই এর হাতের আংটির রুবি জমাট বাঁধা রক্ত, চকচকে দামী স্যুটগুলোতে ছোপ ছোপ রক্ত, ঘরের প্রতিটি ওয়াইনের বোতল ভরা রক্ত। শেষ দিকে ওলগার মনে হয় প্রতিদিন বাসায় ফিরে কপালে বন্দুক ধরে ওকে ধর্ষন করছে সের্গেই…

অথচ এই বিত্ত, রোমাঞ্চ কিছুই চায়নি ওলগা, চেয়েছিল কারো কনুই চেপে ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরতে, ছুটির দিনগুলোতে ঘরে বিস্কুট আর পাউরুটি বানাতে। হুট করেই একদিন উধাও হয়ে যায় সের্গেই, জানা যায় হত্যা মামলার আসামী সের্গেই চীনে গা ঢাকা দিয়েছে।

বড্ড একা হয়ে পরে ওলগা, কাজ বাসা আর বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া- জীবনটা বড় ছকে চলে আসে, স্থির স্রোতহীন পানির মতো। মেট্রো রেলে একদিন পায়ের কাছে পরে থাকতে দেখে একটা ওয়ালেট, ওয়ালেট খুলে অনেকগুলো নেম কার্ড পায়, জানা যায় ভদ্রলোকের নাম সাশা আন্তোলিওভিচ। অয়ালেট ফেরত নিতে আসার সময় ভদ্রলোক একগাদা লিলি ফুল নিয়ে আসেন, জুতোর মাথা ফেটে গেছে তার, জ্যাকেটের চামড়া কয়েক যায়গায় উঠে গেছে, বেল্টটা বহু ব্যবহারে শাদাটে হয়ে গেছে। অথচ কি চমৎকার ভদ্রলোক, হাসি-খুশি একটি প্রান, কথা হয় ওদের, একদিন বিকালে কফিও খাওয়া হয়।

দিনগুলো আবার হাসি খুশি হয়ে উঠতে শুরু করে, মনে টিউলিপের রঙ্গ, শরীরে ঢেউ, দু-জন দু-জনের মানসিক শান্তির যায়গাটা খুঁজে পায়। প্রথম ঝামেলাটা হয় যখন ওরা মোটেলের রুম ভাড়া নেয়, অনেকখন ওলগার শরীর ঘেঁটেও তৈরি হতে পারে না সাশা, অইদিকে ওলগা একটা রিংরসার জন্য ছটফট করছে। অনেক পরে ওলগা বুঝতে পারে সাশা মিলনের জন্য তৈরি হতে পারে না, একটা নারীর পুরুষের মনোযোগের যায়গাটা সাশা পূরণ করে ফেলে কিন্তু নারীর শরীরের যায়গাটা সাশা কখনই নিতে পারে না।

ফুলের দোকানে ডেলিভারি ম্যানের কাজ করা সাশা আন্তোলিওভিচ তখন মাত্রই কাজে ঢুকেছে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ফুল ডেলিভারি দিয়ে বেড়ানোটা নিতান্তই মন্দ কাজ নয়, কত মানুষের সাথে পরিচয় হয়, কতজনের বিয়ের আসরের ফুল, কতজনের জন্মদিনের ফুল, নাম বিহীন ফুলের তোড়া নিয়ে বুকে কাপন ধরানো সুন্দরীর দরজার কড়া নাড়া, সব মিলিয়ে দারুন উপভোগ্য একটি কাজ। জীবন নিয়ে এত বেশি কিছু চিন্তা করার নেই।

কোন এক বরফ ঢাকা রাতে, ফুল দিয়ে ফিরছিল সাশা, পথের ধারে উলটে পরা গাড়ি, কোন ভাবে দরজা খুলে ভিতরে অজ্ঞান মারিয়াকে দেখতে পায় সাশা, চাকু দিয়ে সিটবেল্ট কেটে, নিজের ডেলিভারী ভ্যানে করে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসে, পরের দুইদিন জ্ঞান ফেরেনি মারিয়ার, দুটো নির্ঘুম দিন মারিয়ার ক্যাবিনে বসে রাত কাটিয়েছে সাশা, জ্ঞান ফিরলে মারিয়া কেঁদে কেটে অস্থির হয়, কান্নার জল মোছে সাশার সোয়েটারে।।

ধীরে ধীরে পরিচয় হয়, হয়ত মনের কোনে সাশার জন্য বিশাল সহানুভূতির একটা ডিব্বা আছে মারিয়ার। সময়মত হাসপাতালে পৌঁছুতে না পারলে হয়ত মারিয়া রক্ত ক্ষরণে মারাই যেত, হয়ত এইজন্যই সাশার জন্য একটা অনুভূতি জন্মেছে মারিয়ার। নয়ত বিশাল বিজনেস ব্যক্তিত্ব মারিয়ার কোন কারনেই ওর সাথে কফি খাবার কথা নয়।

অনেকটা সময় পেরিয়ে সাশা বুঝতে পারে মারিয়া সমকামী, পুরুষের প্রতি তার আগ্রহ শুন্যের কোঠায়, তবে সাশা আর মারিয়া একসাথে থেকে যায়, সাশা থেকে যায় জীবনের সচ্ছলতার বিলাসিতায়, আর মারিয়া থেকে যায় সমাজের কাছ থেকে সমকামী পরিচয় ঢাকার জন্য।

সাশার অক্ষমতা নিয়ে কোনদিনই মারিয়া কটু কথা বলেনি, কখনই কিছু আশা করেনি, বিষয়টা সাশাকে নির্ভার করে, প্রতিটা মানুষ কোথাও না কোথাও আটকা থাকে, শুধু এই ব্যক্তিগত শান্তিটুকুর জন্যই মারিয়াকে সাশা অনেক অনেক সম্মান করে।

আজ একখানি উপন্যাস পাঠ শেষ করিলাম
ইহাতে কোনো মনুষ্যচরিত্র নাই
কোনও জীবজন্তু নাই
গাছপালাও নাই
ইহার কোনো ভাষাও নাই

জীবনের প্রথম সময়টা বড্ড অভাবে কেটেছে মারিয়ার, দুই সপ্তাহ পরে ক্যাফেতে এক পিস চিজ কেক খাওয়া আর সাথে কফি খাওয়াটা ছিল একমাত্র বিনোদন। একটা অফিসে একটা সেক্রেটারি এর কাজ, অথচ মারিয়া প্রচণ্ড উচ্চাকাঙ্ক্ষী, মারিয়া কাপড় পরতে ভালোবাসে, নতুন জুতো কিনতে ভালোবাসে, নখে রঙ্ লাগাতে পছন্দ করে, কিন্তু ছোট চাকরী করে এসব হয়না, জীবনের গন্ডি ছোট হয়ে আসে প্রতিনিয়ত।

সের্গেই এর সাথে মারিয়ার পরিচয় বড় নাটকীয় ভাবে। জোর করে মারিয়ার ট্যাক্সি এর দরজা খুলে ঢুকে পরে, দেখে মনে হচ্ছিল কোথাও থেকে পালিয়ে বাঁচছে, দেখে ভদ্রলোক মনে হয়েছে। এইভাবেই পরিচয়, ডিনার- পরিচয় থেমে থাকেনি, মারিয়াকে নতুন কোম্পানীতে চাকরীটাও সের্গেই এর হাত ধরে, জীবনটা রঙ্গীন হয় মারিয়ার, সপ্তাহে দু দিন বাইরে ডিনার খাওয়া, বিভিন্ন যায়গায় নৈশ ভোজ, ভালো চাকরী ঠিক যা যা চেয়েছিল মারিয়া সবই ছিল।

সের্গেইর মতো পুরুষের সাথে থাকার পরে কোনদিনই কোন পুরুষের সাথে থাকতে রুচি হয়না। সের্গেই এর কাবার্ড জোড়া সুট, কত রকম জুতো, এডিকোলন, জীবনের অনেক কিছুই শিখেছে সের্গেই এর কাছ থেকে ও। তবু মেয়েদের প্রতি ওর ছিল পুরুষের থেকে বেশি দুর্বলতা, এক সময়ে বিষয়টা চাপা থাকে না, সের্গেই বোকা না, বহু কথা কাটাকাটি হয়েছে, অভিমান হয়েছে, তবু মারিয়া ফিরে আসতে পারেনি, সের্গেই এর প্রতি যতটুকু আকর্ষন ছিল, তার থেকে কয়েকগুন বেশি আকর্ষন ছিল ওর অফিসের সেক্রেটারী মেয়েটার জন্য।

অথচ সাশার দিকে তাকালে চোখ বন্ধ হয়ে আসে মারিয়ার, সামনে যে কাপড় পাচ্ছে সেটা পরেই বের হয়ে যাচ্ছে, মোজা থেকে বিকট গন্ধ, দু মাসেও হাত পায়ের নখ একবার কাটছে না, গোসল করার বালাই নেই, শেভ করার তাড়া নেই। তবু থাকা হচ্ছে, কোন বন্ধন ছাড়াই, না মানসিক না শারীরিক।

তুমুল অন্ধকারে আমরা
চোখের থেকেও বেশি
পায়ে ভরসা রেখেছি,
কি জানি কখন
পায়ের তলায় পিষে যায় ঘনঘাস
কিংবা, জুতোর সোলে
ঘুরেফিরে সেই আলো মাখামাখি
আর আমরা অন্ধের মতো, তর্কে বহুদূর…

কেউ কারোর ওপর ভরসা রাখতে পারছি না
অথচ, আমরাই…বিবাগী বৃষ্টিতে
মাথার থেকেও বেশি ভরসা রেখেছি
ছাতার ওপর,
আর রাস্তাঘাটে, পায়ের থেকেও বেশি
নির্বিকার পথের ওপর ।

জীবন থেমে থাকে না, সবাই সবার মতো করে চলতে থাকে। হয়ত ঘূর্নিপাকে ঘুরতে থাকে, তবু থেমে থাকে না।

১,৩৪৩ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “হরতনের রাজা- ইশকাপনের রানী”

  1. তাহমিনা শবনম (৮৪-৯০)

    তুমুল অন্ধকারে আমরা
    চোখের থেকেও বেশি
    পায়ে ভরসা রেখেছি,
    কি জানি কখন
    পায়ের তলায় পিষে যায় ঘনঘাস
    কিংবা, জুতোর সোলে
    ঘুরেফিরে সেই আলো মাখামাখি
    আর আমরা অন্ধের মতো, তর্কে বহুদূর…

    কেউ কারোর ওপর ভরসা রাখতে পারছি না
    অথচ, আমরাই…বিবাগী বৃষ্টিতে
    মাথার থেকেও বেশি ভরসা রেখেছি
    ছাতার ওপর,
    আর রাস্তাঘাটে, পায়ের থেকেও বেশি
    নির্বিকার পথের ওপর ।
    :teacup:


    আমি চোখ মেললুম আকাশে
    জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে

    জবাব দিন
  2. সামিউল(২০০৪-১০)

    গল্পটা অনেক ভাল্লাগসে, হামীম ভাইয়ের অন্যান্য গল্পের মতই। 😀

    কিন্তু আমি প্রথম দিকে কনফিউজড হয়ে গেসিলাম। কে পুরুষ আর কে নারী বুঝতে টাইম লাগসে। আমি এতদিন জানতাম, সাশা আর ওলগা দুইটাই মেয়েদের নাম।
    নো অফেন্স, সাশা গ্রে আর ওলগা কুরিলেঙ্কো এই নাম দুইটা জানেন নিশ্চয়ই?? 😛


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  3. টিটো মোস্তাফিজ

    অসাধারণ :hatsoff: :hatsoff:
    প্রথমবার মোবাইলে পড়লাম। শিরোনাম - হরতালের রাজা- ইস্কাপনের রাণী :-B (আইজকাল চোখে ভাল দেখিনা!)। হরতাল খুজতে খুজতে শেষ পর্যন্ত ধরে নিলাম শেষের কবিতাটা আসল ব্লগ। গল্পটা বোনাস। আজ পিসিতে দেখছি হরতনের রাজা-ইশকাপনের রানী। আমার মাথাটাই আউলায় গেছে। শীতের সকালে :teacup: খাও।


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  4. আপনারা যারা অনলাইনে কাজ করতে চান কিন্তু বিড করে কাজ পাচ্ছেন না তাদের জন্য সরাসরি oDesk Business Project । এখানে আপনাদের সরাসরি oDesk Hourly Job প্রদান করা হবে। আপনারা যারা অনলাইনে বিজনেস করতে আগ্রহি তারা আমাদের ফ্রি সেমিনারে অংশগ্রহন করুন। ফ্রি সেমিনারে অংশগ্রহনের জন্য নিচের ফর্মটি পূরন করুন। Mobile:01912083828
    https://docs.google.com/forms/d/13zZuBbBjg9dihbS4A-vr6N5YxWDsVH4tWTz7VizH9T8/viewform

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।