১
ফকিরাপুল প্রেসের গলি ১৩৭ নাম্বার বাসার দোতালা ছাড়ার অনেক কারণ আছে, আবার না ছাড়ার অনেক কারণ আছে। কোন দিকে পাল্লা ভারী সেটা নিয়ে প্রতিদিন একবার ভাবে সেলিম। ভাবনা ভাবনাতেই থাকে সিদ্ধান্ত আর নিয়ে ওঠা হয়না। অন্য এলাকায় যাওয়া যায়। কিন্তু ব্যচেলরকে কেউ বাসা দেয় না। আবার রুমে মেলে না, একলা মানুষ সেলিম দুই রুমের বাসা নিয়ে কি করবে। এর চেয়ে এখাইনেই ভালো আছে, প্রেসের ঘট ঘট শব্দ আছে বটে তারপরেও শান্তি। নীচ তলায় প্রেস, বিয়ের কার্ড ছাপানোর প্রেস।
খানার বিষয়টা একটু ঝামেলা হয় যায়। গলির মুখে কাদের মিয়ার হোটেলে খায়। মাস কাবারী খাওয়া যায়, কিন্তু সেলিম মাস কাবারী চুক্তিতে নেই। নিজের বিজনেসের কাজে এই খানে ওইখানে যেতে হয়, ঢাকার বাইরে যেতে হয়। ম্যাচের কাঠি দিয়ে কান খুটতে খুটতে কাদের মিয়ার হোটেলে ঢোকে সেলিম। এখন ভিড় নাই তেমন, দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত পা রাখার যায়গা থাকে না।
– আজকের মেন্যু কি রে সোহেল?
– কাঁচা টমেটো দিয়া পাবদা মাছ, খাসি, মুরগী
– মাছই দে, কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ দিস
– আচ্ছা।
২
আজ বুধবার, বিজনেসের অবস্থা ভালো না। সামনে শুক্রবার কিছু কামাই হবে। সেলিম মনে মনে হাসে, সবার বিজনেস শুক্রবার বন্ধ থাকে, আর সেলিমের বিজনেস শুক্রবার শুরু হয়। বিজনেস বলতে জাল টাকা চালানো, আর শুক্রবার জাল টাকা চালানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। জুমার নামাযের পর এলাকার ফেনসিডিলখোর পোলাপান মসজিদের জন্য টাকা তুলতে আসে চাদর নিয়ে, প্রতিরাতে ফেনসিডিল খাওয়া পোলাপানের শুক্রবার খুব প্রবল অপরাধবোধ জাগ্রত হয়, তখন তারা পঙ্গপালের মতো মসজিদে আসে, নামায পড়ে, সাহায্য তোলে, সিন্নি, খিচুড়ি বিতরন করে, আর সন্ধ্যা হলে আবার বোতলে ফিরে যায়। সাহায্য যখন তুলতে আসে তখন জাল ৫০০ টাকার নোট দিয়ে ৪০০ টাকা তুলে নিলেই হয়। চমৎকার ব্যবস্থা। যেদিন মসজিদ+ এতিমখানার ছেলেরা চাঁদা তুলতে আসে সেইদিন তো রমরমা বিজনেস। দানে দানে ডাবল দান। দানের টাকার সময় কেউ খেয়াল করে না টাকা আসল না নকল। এই পদ্ধতিটা একান্তই সেলিমের আবিস্কার। জাল টাকা চালানোই সেলিমের বিজনেস। গত চার বছর ধরে এই কাজই সে করে আসছে। কাগজের অভাবে বর্তমানে টাকা ছাপা বন্ধ আছে। কিন্তু আগের সব টাকাই এখনও বাজারে ছাড়া হয়নি। এই কাজে কামড়ে ধরে পরে থাকতে হয়, আস্তে আস্তে একখানা ১০০ দুইখানা ৫০০ ছাড়তে হয়, বড় দান যারাই মেরেছে তারই শিকের পিছনে আছে, সেলিম এখনও ধরা খায়নি। সেলিম একা কাজ করে, কচ্ছপের মতন একখান দুইখান নোট ছাড়ে বাজারে, তাও আসে পাশে সব কিছু দেখে, এই যেমন মসজিদে।
একটা ছোট সাইজ তরমুজ কিনে বাসায় আসে সেলিম। বিছানার চাদরে ঢাকা পরে আছে টাকা ছাপার মেশিনটা। কালি আছে, কিন্তু কাগজ নাই। আসল কাগজ ছাড়া নকল কাগজে ছাপায়ে লাভ নাই। দুই বছর আগে চার বান্ডিল কাগজ পাওয়া গিয়েছিল, এখন আর পাওয়াই যায় না, দেশের অবস্থা খারাপ। আর নোট তো শুধু ছাপায়েই শেষ না, শুকাইতে হয়, কাটতে হয়, বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে পিটাইতে হয়, বিছানার চাদরের নীচে রাখতে হয় এইগুলা করতে হয় যাতে নোট একটু পুরানো হয়। নতুন নোটে সবাই ধরা খায়, পুরান নোট কেউ সন্দেহ করে না, যত পুরান হবে তত লাভ। মাঝে মাঝে মাছের পানি ছিটায় সেলিম, তাতে ধীরে ধীরে ঘাম আর আশটে গন্ধ ধরে নোটে। নোটে যত জীবনের গন্ধ ধরে তত লাভ, তত কম সন্দেহ, ঘাম আর মাছের পানির গন্ধ আলা নোট সবাই আসল ধরে নেয়, নকল সন্দেহ করে সুন্দর মানিব্যাগ থেকে বের হওয়া ভাঁজ না পরা সুন্দর নোটকে।
৩
প্রথম যখন ঢাকা শহরে আসে তখন সেলিমের কিছুই নেই। বন্ধুর মেসে থাকলো কিছুদিন, বন্ধু ব্যাঙ্কে চাকরী পেয়ে মেস ছেড়ে চলে গেল, সেলিম পরল পানিতে। খাবার টাকা নেই, মেস ভাড়া নেই। সারাদিন রফিক মিয়ার চায়ের দোকানে বসে থাকে সারাদিন, বাকিতে চা খায়, কলা খায়, পানি খায়। রফিক মিয়ার চায়ের দোকানের বিপরীতে ছিল আসলাম সাহেবের প্রেস। প্রেসে কাজ চলত না, মেশিন পাতি সব ছিল কিন্তু কাজ ছিল না আসলাম সাহেবের, কিন্তু তাও কিছু ছেলেপিলে সব সময় আসলাম সাহেবের প্রেসে ভিড় করত। ধীরে ধীরে সন্দেহ হয় সেলিমের, প্রথমে ভেবেছিল গাজা অথবা ইয়াবা অথবা ফেন্সিডিল।
একদিন আসলাম সাহেবের একটা ছেলে দোকানে আসলো, চা খেল, সিগারেট কিনলো। টাকা দিতে পকেটে হাত দিল, কিছু পুরানো টাকার সাথে উঁকি দিল পাঁচশ টাকার একটা বান্ডিল। বেশি চকচকে বেশিই বড় বান্ডিল। সন্দেহ গভীর হয় সেলিমের। তালা চাবির দোকানে যায় সেই রাতে, মেকারকে বলে প্রেসের চাবি হারিয়ে গেছে, তালা খুলতে হবে। তাকে সাথে নিয়েই প্রেসে আসে সেলিম। তালা না ভেঙে চাবি বানাতে বলে মেকারকে। ৩০ মিনিট পর চাবি তৈরি হয়, প্রেসে ঢুকে হতাশ হয় সেলিম, সাধারন প্রেস অফিস আর মেশিন। তন্নতন্ন করে খোঁজে সে। শেষ পর্যন্ত কার্পেটের নীচ থেকে বের হয় এক বাণ্ডিল টাকা ছাপার কাগজ আর স্টোর রুম থেকে টাকা ছাপার মেশিন। টাকার লাইনিং, রং, আর কাটার যন্ত্রপাতিও খুঁজে পায় সেলিম। বুকটা দপদপ করতে থাকে, গলা শুকিয়ে আসে। আসলাম সাহেবের ড্রয়ারে দুটো নতুন বান্ডিলও পায় সে।
শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলে সেলিম।
পরদিন সকালে র্যাবের বিশেষ টিম ফকিরাপুলের এক প্রেস থেকে নকল টাকা উদ্ধার করে, সাথে গ্রেফতার করে আসলাম সাহেবকে। দৈনিক পত্রিকায় আসলাম সাহেব ও র্যাবের ছবি ছাপা হয়, সামনের টেবিলে নকল টাকার বান্ডিল। আসলাম সাহেবের দেয়া তথ্য থেকে গ্রেফতার করা হয় আরো ৪ জন যুবককে। তবে টাকা তৈরির কোন সরঞ্জাম পাওয়া যায় না।
৪
মেশিন, রং, কাগজ যায়গা পায় আসলামের রুমে। দুরুদুরু বুকে সেলিম খবরের কাগজ পড়ে, কাগজ পড়ে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে, যেন এইটি একটি পত্রিকা ফেলে দিলেই সকল খবর মুছে যাবে। সেলিমের ভয় লাগে, জেলের ভয়, মামলার ভয়। আকাশের যত তারা পুলিশের তত ধারা। একটার পর একটা মামলা দেখিয়ে পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেবে। রিমান্ডে কি হয় সেলিমের খুব ভালো করে জানা আছে।
ঘর তালা দিয়ে সেলিম কাওরান বাজার যায়। পতিতা দালাল কাশেম তার বাল্যবন্ধু। তার সাথে কথা বলেই এক সপ্তাহের জন্য মজিনাকে ভাড়া করে সেলিম।
– প্রতি রাইতে কাজ করবেন?
– হু
– তিন দিনের টাকা আগে দিতে হবে
– যেই দিনের টাকা সেই দিন নিবা। আগে কেন?
– আগে না দিলে আসবো না।
– কেন আসবা না?
– মাংস খাবেন আর মাংসের দাম দিবেন না আগে, এইটা কেমন কথা?
– বাজে কথা বলবা না, আমার একটা ইজ্জত আছে।
– এহহহ, কাজ করার এডভান্স দেয়ার টাকার নাই, আবার ভদ্দরনোক! ভদ্দরনোক আবার আলু-পিয়াজের দোষ। হা হা হা
– মজিনা বাজে কথা বলবা না। টাকা যা লাগে নিবা। আমার টাকার অভাব হবে না
– কুটিপতি আইছে রে, আমার কুটিপতি নাগর।
হাসির শব্দ দেয়ালে বাড়ি খেয়ে ভেঙে পরে, প্রতিটা ভাঙা অংশ সেলিমের বুকে ক্ষত সৃষ্টি করে। ক্ষতে আবার এসে পরে আরেকটা ভাঙা অংশ। সেলিম হুড়মুড় করে ভেঙে পরে। আসলেই টাকা দিয়ে মানুষের হিসাব হয়, টাকার পরিমান দিয়ে তাহলে ভদ্রলোকের বিচার হয়। ঠিক আছে, টাকা বানানো হবে। টাকা যখন এতই দামী।
৫
তিন দিনের ঘরে ফিরে আসে সেলিম। সব কিছু আগের মতোই আছে, কেউ ঘরে আসেনি, এলাকায় পুলিশও আসেনি, কেউ খোঁজও করেনি আসলাম সাহেবের প্রেসের। সেদিন দুপুরে মেশিন চালু করে সেলিম। নীচের প্রেসে বিয়ের কার্ড ছাপা হয়, আর উপরে ছাপা হয় পাঁচশ টাকার নকল নোট। সূক্ষ্ম করে কাটার দিয়ে নোট কেটে আলাদা করে সেলিম, দড়িতে ক্লিপ দিয়ে আটকে শুকাতে দেয়, তিনদিন পর শুকায় নোটগুলো। তিনদিন সেলিম ঘর থেকে একপা নড়ে না। শুধু পানি খেয়ে দিন পার করে।
প্রথম বারের নোট চালানোর কথাও মনে আছে সেলিমের। আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ফুটবল ক্লাবে হায়ারে খেলতে আসে অনেক। আবাহানী, আরামবাগ ক্লাবে। তাদের থাকার যায়গা ফকিরাপুল ও কাকরাইলেই বিভিন্ন হোটেলে। এরা সাথে করে নিয়ে আসে ডলার। ডলার ভাঙাতে হয় টাকার জন্য।
হোটেলের লবিতে প্রথম দিনের কথা
– হ্যালো স্যার, আই এম মানি একচেঞ্জ
– অহ রিয়েলি? ইউর রেট?
– স্যার, হোম সার্ভিস, বিগ ডিসকাউন্ট
– হাউ মাচ ফর ১০০ ডলার?
– স্যার, ব্যাংক রেট ৭০০০ টাকা মাই রেট ৭৫০০ টাকা।
সেই প্রথম টাকা চালায় সেলিম। মনটা ফুরফুরে হয়ে যায়। এরপর ভ্রমরের মতো এই হোটেল সেই হোটেলে টাকা চালাতে থাকে সে। দিনে দিনে অভিজ্ঞ হয়। তখন ১০০-২০০ ডলারে সে নকল দেয় না। একবারে ৫০০-৭০০ এক্সচেঞ্জে পুরা নকল গছিয়ে দিয়ে সেই হোটেল থেকে বিদায় নেয়।
এই লিস্টে যোগ হয়েছে বিমানবন্দর। প্রচুর মানুষ আসে, কেউ না কেউ ডলার ভাঙ্গায়। ১০০ জনকে জিজ্ঞাসা করে ৪ জন কাস্টমার পেলেও সেলিমের মাস চলে যায়। একা কাজ করায় সেলিমের ধরা খাবার সম্ভবনা নেই। আর নতুন নতুন সিস্টেমের কারণে সেলিমকে ধরা খুব কঠিন হয়ে যাবে, এক যায়গায় একবারের বেশি কাজ সে করেনা। মোবাইল ব্যবহার করে না, কোন কিছুর কোন প্রমান রাখে না।
বিমানের টিকেট কেনা একটি ভালো ব্যবসা। ৪০০০০ টাকার টিকেটে ১৫০০০ টাকা নকল দেয়াই যায়, এত নোট কেউ চেক করে দেখে না। এরপর সেই টিকেট কোন এজেন্সিতে অথবা লোকের কাছে একটু লসে বিক্রি করে দেয়। পদ্ধতি সব সেলিমের নিজের আবিস্কার।
৬
নতুন একটা রোগ হয়েছে সেলিমের ইদানীং। সে ফকিরাপুল পোস্ট অফিসের দোতালায় গিয়ে বসে থাকে, সেইখানে আড্ডা দেয়, গল্প-গুজব করে, চা সিগারেট খায় আর বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকে ফকিরাপুল গার্লস স্কুলের গেটের দিকে। জরী নামের একটি মেয়েকে বড্ড মনে ধরেছে তার, জরী এবার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেবে, এখনও কথা হয়নি শুধুই চোখাচুখি হয়েছে। সকল খবর সেলিম নিয়েছে। জরী যখন হাটে সেলিমের মনে হয় পৃথিবী নিশ্চুপ হয়ে গেছে, সেখানে শুধু জরীর হাঁটার আওয়াজ ভাঙ্গে, প্রতিবার পা তোলার সাথে সাথে ঝরে পরে বকুলের মতো নাম না জানা কিছু ফুল, জরীর শাদা স্কুলড্রেসে একটা হলুদ দাগ পরেছিল কিসের যেন, সেলিমের মনে হতে থাকে পৃথিবী বড় নোংরা হয়ে গেছে, সব কিছু হলুদ হয়ে গেছে, কাপড় হলুদ মানুষ হলুদ, চড়ুই পাখি হলুদ, ঘাস হলুদ, চা হলুদ, এমনকি ওয়াসার পানিও হলুদ।
সেবার তিনদিন স্কুলে এল না জরী। সেলিমের মনে হয় হয় তিনদিন তিন বছর হয়ে গেছে, সময় কাটে জেলখানার মতো, জেলখানায় ১০ মাসে বছর হিসাব হয়, সেলিমের মনে হয় ১৪ মাসে বছর। টিকতে না পেরে চায়ের দোকানে জরীর কথা জিজ্ঞাসা করে সেলিম
– গেদু ভাই, জরী আসে না কেন?
– আমি ক্যাম্বার কইমু?
– তিনদিন হয়ে গেল, দেখা নাই তার
– তুমার তো আর মাসিক হয়না, হেগো তো মাসিক হয়, এখন মনে হয় মাসিক্কা
– গেদু ভাই, আজে বাজে কথা বলবেন না। জরী আপনার মেয়ের বয়সী মেয়ে, একটু রেখে ঢেকে কথা বলেন।
কাঁপতে কাঁপতে বের হয়ে আসে সেলিম, পৃথিবীর সকল চায়ের দোকানকে তার আস্তাকুড় মনে হয়, প্রতিটি চায়ের দোকানদারকে ধর্ষক।
যে পথে জরী স্কুল ছুটি হলে বাড়ি যায়, সেলিম সেই পথে বার বার হাঁটতে থাকে, এ মাথা থেকে ও মাথা। সেলিমের মাথা ফাঁকা হয়, চোখ খুঁজে বেড়ায় কোন এক বারান্দা অথবা জানালায় জরীর মুখ।
সেলিমের পেছনে পেছনে হাঁটে এক যুবক। গত একমাস ধরে সে সেলিমকে লক্ষ্য করে আসছে, তার সন্দেহ সেলিমকে ঘিরে। সে লক্ষ্য করেছে সেলিমের রুম থেকে ঘটঘট শব্দ বের হয়েছিল, সেই শব্দ প্রেস মেশিনের না, না ভিজিট কার্ড না বিয়ের কার্ড না পোস্টার ছাপানোর। সে অধিক মনযোগে সেলিমের গতিবিধি লক্ষ্য করে, এই রহস্য তাকে ভেদ করতে হবেই।
সেলিম টের পায় না, সে তখনও পা তোলার সাথে সাথে ঝরে পরা বকুলের গন্ধে আছন্ন হয়ে আছে।
:brick:
কি কাহিনী জাহিদ ভাই?
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
ইটা ফালানো পজিটিভ ব্যাপার, অন্তত সিসিবিতে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইটা রাখা মানে প্রথম হওয়া। ফালানোর মানেও কি একই? রাজিব ভাই?
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
😀
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাইয়া,
তুমি খুব সুন্দর লিখেছ। যতক্ষণ পরেছি, ততক্ষণ সেলিমের মধ্যে ছিলাম...
বাপ্পি
বাপ্পি কেমন আছিস? কৈ আছিস? এলাকায় নাকি? ঈদ কেমন গেল? পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
বাহ! কোনও এক্সপেক্টেশন ছাড়া পড়লাম। ভাল্লাগসে!
কনপেনসেশন দাও এখন! 😛
সেদিন না দিলাম? আপনি সিসিবিতে আসছেন, খুব খুশি হইছি। দরকার হইলে আবার দেব
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
হামীম ভাই আবারো অসাধারণ লিখলেন।
তবে পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই যেন শেষ হয়ে গেল। একটু হতাশ হলাম।
এটার কি ২য় পর্ব আসবে নাকি???
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
নাহ এই এক্টাই পর্ব। ছোট গল্প তো তাই এইভাবে শেষ করলাম। পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
:hatsoff:
ফাঁকিবাজি মন্তব্য।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
how oft the sight of means to do ill deeds makes ill deeds done__ a magnificent piece of writing 🙂
আহা চমৎকার একটি পাঠক অভিজ্ঞতা। শেষের অনুসরণকারী কে হইতে পারে? সাংবাদিক নাকি ফেউ চিন্তা করতেসি! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সেলিম যেভাবে টেক ওভার করেছে, ঠিক সেইভাবে একজন টেক ওভার করার জন্য রেকি করছে।
ওই যে সাপেরা পুরানো হয়, একজন যায় একজনের বসবাস শুরু হয়।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
পুরা ফিল পাইলাম। উফ! সিরাম কিক! উপরের কমেন্টে নামকরণের ব্যাখ্যা লিখছিলা, বোঝা উচিৎ ছিল! চরম! :boss:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ ! পারফেক্ট ছোট গল্প ! :clap:
😀 ধইন্না
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
ওয়াও! দারুন লিখেছো :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান ভাই আপনার কমপ্লিমেন্ট আমি সবসময় খুব গোনায় ধরি। থ্যাঙ্কু
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
খুবই প্রাণবন্ত লিখা! :teacup:
সাবাস!
তোমার কাজ হল ছোট গল্প লেখা। আর কিছু না। অন্তত আর দশ বছর, তারপর উপন্যাস লেখার কাজে হাত দিবা।
দশ বছর পর বেঁচে থাকলে হবে ভাই। পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
খুবই চমৎকার লেখা। খুবই চমৎকার লেখনী এবং প্লট। গল্পটাকে সংযতভাবে ঠিক যতটুকু দরকার ততটুকুই লিখেছিস, বেশিও না কমও না। খুবই ভাল্লাগলো।
সামিয়াপা হল্যান্ড নিয়া একটা ব্লগ চাই, খুব মজা করে আসছেন দেখলাম। ব্লগ চাই দিতে হবে 😀
পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
গল্প খুব ভালো হইছে।
হাত পাকতেছে।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
চমৎকার লেখা, ভালো লাগলো. তবে হঠাৎ করে শেষ 🙁 . আর একটু লিখলে আরো কিছুক্ষণ পড়া যাইত . Keep it up
:clap: :clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আপনি ভাল লিখেন। গল্পের পরিবেশন আর কন্টেন দুটাই চমৎকার। "মুরাদ টাকলা" সিরিজের লেখা পড়ে মনে হল লেখকের প্রোফাইল ঢুঁ মেরে অন্য লেখা দেখে আসি কেমন। লিখতে থাকুন... আপনার পরবর্তি লেখার অপেক্ষায় থাকলাম 🙂