এনিম্যাল জোক্স ও অন্যান্য

এনিম্যাল জোক্স আমার খুবই পছন্দের জিনিস। খুব সাধারন একটা জোক যখন কোন প্রানীকে নিয়ে করা হয়, আমার কেন জানি খুবই হাসি পায়।
কিছুদিন আগে আলপিনের একটা জোকের কথা বলি। পুকুরের পাড়ে ব্যাঙ হাতে গ্রেনেড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, কুমির তা দেখে এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল
ঃকি ব্যাপার ব্যাঙ ভাই? হাতে গ্রেনেড কেন?
ঃওই জলহস্তিটার মুখে মারব?
“কেন, ও কি করেছে?” কুমির কিছুটা অবাক।
“ওর মুখের কাটাটা বিশাল বড়। আমার দেখতে ভাল লাগে না।” ব্যাঙের গম্ভীর উত্তর।
কুমির দাতে দাত চেপে বিনয়ী হাসি হেসে বল্লঃ হে হে, ভাল। খুবই ভাল।

সীমান্তে ইদানিং প্রচুর কড়াকড়ি। হাতি আর পিপড়া রাতের আধারে চুপি চুপি সীমান্ত পার হচ্ছে। হঠাৎ পিপড়ার সতর্কবানী।
ঃএক্ষুনি লুকিয়ে পড়।এক্ষুনি। সর্বনাশ হয়ে গেছে।
ঃকেন, কি হয়েছে? হাতির জিজ্ঞেসা।
ঃওরা আমাকে দেখে ফেলেছে।

সার্কাসের গাধা আর ধোপা বাড়ির গাধার দেখা হল রাস্তায় অনেকদিন পর। সার্কাসের গাধা অনেক শুকিয়ে গেছে, চোখের নিচে কালি।মালিক সারাদিনই খাটায়।অন্যদিকে ধোপা বাড়ির গাধার অনেক আরাম। কাজ কর্ম কম। ধোপার গাধা, সার্কাসের গাধাকে বল্ল, আমার মালিকের এখানে চলে আয়, কাজ কর্ম কিছু নাই।সারাদিন খাওয়া আর মাস্তি।
কিন্তু সার্কাসের গাধা আসতে নারাজ। “কক্ষনো না। আমি সার্কাস পাটির সাথেই থাকব।”
ঃকেন, সার্কাস পার্টির সাথে থাকতে চাস কেন? তোকে এত খাটায়?
সার্কাসের গাধা মাথা নিচু করে লাজুক হাসি হেসে বল্ল, সার্কাসের একটা মেয়ে আছে, রশির উপরে হাটার খেলা দেখায়। মালিক ওকে প্রতিদিনই বলে, খবরদার, যদি খেলা দেখাতে গিয়ে পড়ে যাস… তাহলে এই গাধার সাথে তোকে বিয়ে দিয়ে দিব…

সবশেষে কলেজ লাইফের একটা গল্প বলে শেষ করছি। ক্লাস টুয়েল্ভে ETD নামের একটা সাবজেক্ট ছিল। দুর্দান্ত সাবজেক্ট। ২০০ নাম্বারের মধ্যে ১৪০ প্র্যাক্টিকাল, ৬০ মার্ক থিওরী। বোর্ড পরীক্ষার আগে আগে ETD স্যারকে হাত করার জন্য ক্যাডেটরা নানান ধরনের পন্থা নিত। আমার এক ফ্রেন্ড (ধরি তার নাম হাসান) তার বাবাকে বল্ল পেরেন্স ডেতে যাতে উনি এলাকার একজন টেইলর(দর্জি) সাথে নিয়ে আসেন। আংকেল যথারীতি টেইলর নিয়ে হাজির। আমার সেই বন্ধু ঐ দর্জিকে নিয়ে সোজা চলে গেল ইটিডি স্যারের রুমে। সালাম দিয়ে স্যারকে বল্ল
ঃ স্যার, উনি আমাদের এলাকার সবচেয়ে ভালো স্যুট বানায়। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আপনাকে জন্য উনার হাতে একটা স্যুট বানাই। আপনি যদি একটু মাপটা দিতেন।
স্যার তো পুরাই বিগলিত। “আরে তোমরা যে মাঝেমধ্যে কি সব করো না… কোন মানে হয়” বলে উনি স্যুটের মাপ দিলেন।
হাসান দর্জ়িকে বল্লঃ “শোন, আমি বাসায় এসেই তোমাকে স্যুটের কাপড়টা দিয়ে যাব, একদম ফ্লাস্ট ক্লাস জিনিস যাতে হয়… ফিটিং-টিটিং পারফেক্ট চাই…”
হাসান ইটিডিতে ১৪০ প্র্যাক্টিকেলে ১৪০ ই পায়। তবে পরীক্ষার পরে ইটিডি স্যারের সাথে সে কখনোই দেখা করেনি। অবশ্য আমাদেরকে ও বলেছে যে বাসায় গিয়ে ঐ দর্জিকে সে ৫০ টাকা বকশিস দিয়ে এসেছিল, কষ্ট করে স্যুটের মাপ নেয়ার জন্য।

১,৮৬২ বার দেখা হয়েছে

১৬ টি মন্তব্য : “এনিম্যাল জোক্স ও অন্যান্য”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    জান্তব জোকসগুলো দারুন লাগলো, তবে ঐ স্যারের জন্য মায়াই হচ্ছে :)) :))


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. রিয়াজ (৯৮-০৪)

    < <<<<<মালিক ওকে প্রতিদিনই বলে, খবরদার, যদি খেলা দেখাতে গিয়ে পড়ে যাস… তাহলে এই গাধার সাথে তোকে বিয়ে দিয়ে দিব… >>>>>
    =)) =)) =)) =)) :clap: :clap:


    জানি সত্য নয়,শুধু কল্পনায়...ইচ্ছের ঘুড়ি আমরা ওড়াই...স্বপ্ন গুলো সত্যি হবে তারি অপেক্ষায়

    জবাব দিন
  3. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    এনি মাল জোক্সের একটা আমার অলটাইম ফেভারিট-
    কেচোর মা তার বাচ্চাকে বলল-ওই... তোর বাপ কইরে?
    বাচ্চা: বাপজানরে তো দ্যাখলাম এক লোকের সাথে মাছ ধরতে যাইতে..


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মামুন (২০০২-২০০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।