বেনামী …

রাস্তাঘাট হারতাল উপলক্ষে যথেষ্টই ফাঁকা !! চারপাশে কেমন যেন একটা শোক শোক ভাব !! খুব বাজে ধরনের আবহাওয়ায় মন-মেজাজ খুব বাজে থাকে !! মিশ্র আবহাওয়ায় থাকে মিশ্র ! কবিসাহিত্যিক রা ব্যাপার টা কে বলে গিয়েছেন প্রকৃতির লীলা ! এসব লীলা ফিলা আবার কি বিষয় !! , ভাবতে ভাবতেই জানালার কাচ নিচে নামিয়ে দিল মৈত্রী ! সামনেই ছোট খাটো একটা জটলা দেখা যাচ্ছে। ‘আজকাল মানুষের কি কোন কাজ নাই নাকি? কথা বার্তা ছারাই এরা দলা পাকিয়ে যায় কেন ?’–নিজের অজান্তেই মৈত্রীর মুখ থেকে বেরিয়ে এল ভিতরের কথাগুলো। মিনমিন করে আবার বলতে শুরু করল মৈত্রী ‘এভাবে চলতে থাকলে তো আজ সারা দিনেও বাসায় পৌঁছান যাবেনা। ট্রাফিক পুলিশ রা কই ? এদের কি বেতন দেয়া হয় তামাশা দেখার জন্য?’ বলতে বলতে সিট এ গা এলিয়ে দেয় মইত্রি। খুব পরিচিত এক ক্লান্তি এসে ভর করে তার সমস্ত রক্ত কণিকায়। হটাত করেই বিছানায় গা এলিয়ে দিতে ইচ্ছা হয় প্রচণ্ড ! এই প্রবল ইচ্ছাটুকুর জন্যই হয়তো সে বুঝতে পারেনা কখন সে ঘুমের অতলে চলে গিয়েছে।কিংবা বুঝতে চায়নিও হয়তো……

—মৈত্রী কেমন আছ?
—ভালো ! খবর কি তোমার ?
—বেশ ভালো আছি আমি
—তাহলে আমাকে ফোন করেছ কেন?ভালো থাকলে তো আমাকে ফোন করার কথা না
—তুমি দেখি এখনও আগের মতই হাব্লা আছ ! সব কিছু ভেঙ্গে না বললে বুঝতে পারো না।আমি ভালো থাকতে থাকতে ক্লান্ত। i mean bored, ভালো লাগছে না আর ভালো থাকতে। এজন্যই তোমাকে কল করা।
—তুমি কি আমার সাথে মশকরা কর ?
—0h cummon মৈত্রী ! তোমার সাথে যে মশকরা করতে পারবে সে মহাপুরুষ। আমি মহাপুরুষ না।আমি খুব ই সাধারন একটা ছেলে যে বাপের টাকায় ৩ টাকা দামের gold leaf বিড়ি খাই, বন্ধু দের পয়সায় মাঝ মধ্যে গাঞ্জাও খাই।

ভিতর থেকে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে মৈত্রীর । তারপর চাপা কষ্ট, ক্ষোভ আর প্রাচীন ভালবাসা টুকু চেপে রেখে বসে যাওয়া কণ্ঠে বলে
—কি চাও?
—তোমার কি ধারনা তুমি খুব আহামরি সামর্থ্যবতী নারী ? যে কোন কিছু চাইলেই দিতে পারবে? তবে শোন আমি এই মুহূর্তে তোমার বাচ্চার বাবা হতে চাই।

মৈত্রী বুঝতে পারে কথা বাড়িয়ে কিংবা রাগ করে লাভ নেই…… অসহ্য একটা অপমানদবোধ নিয়ে খুব নিচু কিন্তু তীক্ষ্ণ কণ্ঠে বলে উঠে
—বাজে কথা বোলো না । আহামরি সামর্থ্যবতী নারী হতে না পারলেও যখন চেয়েছ ঠোঁটে সস্তা লিপস্টিক মেখে তোমার সাথে দেখা করতে পেরেছি। ভুলে যেওনা যে তুমি সেটুকু ও পারো নি ।
—আমি কি করে সেটা পারব? বাংলাদেশে ছেলেরা সচরাচর ঠোঁটে লিপস্টিক দেয় না। যারা দেয় তারা হিজরা অথবা সাকিব খান।আমি কোন ক্যাটাগরিতেই পরিনা।( সিগ্রেট ধরানোর আওয়াজ)
—তোমার এসব নিম্ন পর্যায়ের বাজে কথা কখনই আমার পছন্দ ছিলনা।
—বাজে কথা নিম্ন পর্যায়ের ই হয়।উচু পর্যায়ের যেটা হয় সেগুলা হল ভাদাইম্মা কথা বার্তা।
—সেটা আবার কি ?? :/
—তুমি যেগুলা বল আর কি
—আমি ফোন টা রাখি? প্লিয?
–হুম, রাখো। আর ঝটপট তৈরি হয়ে নাও। তোমাকে সস্তা লিপস্টিক এ দেখতে ইচ্ছা করছে। ঠোঁট ভর্তি সস্তা লিপস্টিক নিয়ে বিকাল ৪ টায় টি ,এস ,সি তে চলে আসো। বাই।

মৈত্রী ঘড়ি দেখে।৩.১১ বাজে।রেডি হয়ে, মিরপুর থেকে যেতে লাগবে বেশ কিছুটা সময়।কি করে সম্ভব?

মৈত্রীর ঘুম ভাংলো ড্রাইভার এর ডাকে।
—আপা জাহাঙ্গীর গেট আইসা গেসি । আফনের নাম, ঠিকানা কন।
মৈত্রী ঘুম জড়ানো চোখে এপাশ ওপাশ তাকায়। ওই তো বিলবোর্ড টা দেখা যাচ্ছে। জলপাই আঁকাবাঁকা পোশাক পরা এক ছেলে কপালে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে তো ভীষণ অল্প বয়স মনে হয়। চেহারায় কেমন যেন একটা ভাব্লেশ সরলতা।এই ছেলের নাম কি?কোন মডেল টডেল নাকি ? আগে তো দেখিনি। দেখতে দেখতে ক্যাব আরও ২ কদম এগিয়ে যায়।
— identity plz
—মেজর সেলিম। ডি,যি,এফ,আই
—কি হয় আপনার?
—মামা
—কোথায় যাবেন এখানে?
—মামার বাসায়
হাত দিয়ে যাওয়ার ইশারা করল সানগ্লাস পরা লোকটা। গাড়ি আবার এগিয়ে চলল।কি সুন্দর রাস্তার ২ পাশ টা সাজানো।কত গুছানো।দেখে ঢাকা শহর বলে মনেই হয়না। হটাত করেই মৈত্রীর মনে পরে গেলো কিছুক্ষণ আগে ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের কথা।আবার উলটপালট হয়ে গেল সব। নিজের অজান্তেই চোখ ভারী হয়ে আসলো। অনেক দিন কাদা হয়না এই ভেবে মৈত্রী কান্না আটকানোর কোন চেষ্টাই করলোনা।

মৈত্রী কাঁদছে। শেষ কবে কেঁদেছে মনে নেই। শেষ কবে দেখা হয়েছিলো দু জনের সেটাও মনে নেই।তবে ওর শেষ দিনের কথাগুলো ছিল অনেক অন্যরকম।কথাগুলো এখনও মনে আছে মৈত্রীর।

—মৈত্রী তোমাকে সুন্দর লাগছে।
—সেটা আজ এত আয়োজন করে বলার কি আছে?
—কারণ আজকের পর তোমাকে আর দেখতে চাইবনা
—কেন নতুন করে প্রেমে পরেছ?
—হুম
—মেয়ের নাম কি?দেখতে কেমন?কথায় থাকে?কি পরে?
—কিছুই বলা যাবেনা। x-girl friend এর কাছে present girl friend এর কোন info বলতে হয়না।
—আমি ইতি মধ্যে x হয়ে গিয়েছি?
—হুম
—আর কখনও আমার সাথে দেখা করবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছ?
—হুম
—আমাকে ফাইনালি তুমি ছেঁড়ে দিচ্ছ?
—হুম
—আমার কথা তোমার আর কখনই হয়তো মনে পরবেনা , তাইনা?
—হুম
—তোমার কি মনে আছে ঠিক কতদিন তুমি আমার সাথে কাটালে?
—হুম
—এই ‘হুম’শব্দ টা আমার সামনে আর একবারও উচ্চারণ করবেনা।
—ঠিকাছে
—তুমি কি সত্যি আমাকে ছেঁড়ে দিচ্ছ?  r u serious?
—হ্যাঁ … তোমার সন্দেহ টা ঠিক কোন জাগায় ? যেখানেই থাকুক না কেন, আমি আর তোমার সাথে থাকছিনা। জীবন টা পানসে হয়ে গেছে। ভিন্ন taste দরকার।
—ওহ
—যাওয়ার আগে ১ কাপ চা খাওয়া যাক চল। আমার নতুন রানী আসতে এখন কিছু সময় বাকি আছে।

নিঃশব্দে মৈত্রী এগিয়ে গেলো। ১ কাপ, ২ কাপ, ৩ কাপ চা ও খেলো। তারপর চলে আসার সময় খুব আবছায়া কণ্ঠে কিছু শব্দ উচ্চারণ করল
—তুমি আজ প্রথম বললে আমাকে সুন্দর লাগছে। আমি খুশি হয়েছি।thanx.
—বিশাল একটা কষ্টের সাথে তোমার ওই খুশি টুকু ফ্রি ছিল আর কি
—তুমি আমার পাশে এসে একটু দাড়াও। ২ জনে ১ টা ছবি তুলে রাখি।
—মৈত্রী, তুমি মোটামুটি টাইপ এর সুন্দরি মেয়ে। আমি সুন্দরি মেয়েদের পাশে ছবি তুলিনা। কামলা গোছের লাগে দেখতে। তার চেয়ে তুমি দাড়াও। আমি তুলে দেই।আজকে fb তে profile picture দিয়ে দিও।
মৈত্রী ছবি তুলল। ১ টা, ২ টা নয়, অনেকগুলো ছবি। তারপর একটা রিক্সা ডাক দিল। চলে আসার আগে অভ্যাসবশতই বলল
—আসি।
—‘আসি’ না বল ‘যাই’। কারণ তুমি আর আসবেনা। এই যাওয়া ই শেষ যাওয়া।
বুকের ভেতর হটাত যেন কেমন করে উঠলো মৈত্রীর। আসলেই কি এই যাওয়া শেষ যাওয়া?আসলেই কি আর কখনও দেখা হবেনা? ভাবতে ভাবতে হুট টা টেনে দিল মৈত্রী। আর বলল
—রাতে কল দিও
—আজ আর তোমাকে কেন কল দিব?
—ওহ! বাই

বাসায় ফিরে সারা রাত অব্দি অপেক্ষা করেছে মৈত্রী। অথচ কোন কল আসেনি। এখন পর্যন্ত আসেনি।আর কখনই কি আসবেনা?…… এই ভাবনায় ঘেমে উঠতে থাকে মৈত্রী।জানালা দিয়ে আসা প্রচণ্ড বাতাসে এলোমেলো হয়ে যায় মৈত্রীর চুল… এলোমেলো হয়ে যায় মৈত্রী নিজেও।বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় মইত্রির।এখন বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে আর কখনই কোন কল আসবেনা… কেউ তার সস্তা লিপস্টিক দেখার জন্য তাকে টি, এস, সি তে ডাকবে না … খুব নিচু মানের কিছু রসিকতা আর কখনই কেউ তার সাথে করবেনা… হটাত করেই মৈত্রী নিজের ভিতর এক ধরনের অসহায়ত্ব অনুভব করে। বদলে যেতে থাকে তার চারপাশ।

—ড্রাইভার গাড়ি ঘুরাও
—কই যাইবেন?
—টি, এস, সি যাব
—ওহ

আজ অনেকদিন পর টি, এস, সি যাবে মৈত্রী… ওদিক টায় কখনও একা যাওয়া হয়নি এর আগে। আজ একাই যাবে। ব্যাগ থেকে ছোট্ট আয়না টা বের করে চোখ রাখল তাতে। না, এখনও ঠোঁটে বেশ কিছু লিপস্টিক আছে,জদিও হাল্কা হয়ে গিয়েছে।তাতে খুব বেশি কিছু আসে যায়না। গাড়ি চলতে থাকে…সাথে মইত্রিও……সাথে সবাই……থেমে নেই কেউ!

তীব্র গন্ধে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে মইত্রির।খুব চেনা এই গন্ধ।তবু মৈত্রী মনে করতে পারলনা ঠিক কোথায় শেষ এই গন্ধ পেয়েছিলো ?! আর কিসের ই বা গন্ধ!

পাশ থেকে দোলনচাঁপা হাতে ছেঁড়া হাফ প্যান্ট পরা টোকাই গোছের পিচ্চি টা বলে উঠল
—কিমুন আছেন ? (ফাঁকা দাঁতের এক অবলিল হাসি)
মৈত্রী বুঝতে পারলো গন্ধ দোলনচাঁপার।এক সময় খুব আয়োজন করে প্রতিদিন এই ফুল কেনা হত।এখন আর হয়না।মইত্রি উত্তর দিল
—ভালো। (ঠোঁটে হাল্কা হাশি নিয়ে) তুই কেমন আছিস?
—বালা। আইজ ফুল নিবেন না ? ওই যে ছ্যারা ডার লাইগা যে কিনতেন… আইজ আফনে একলা ক্যান ? ছ্যারা ডা কো ? (আবার ফোকলা হাসি)… কি জানি নাম ছ্যারা ডার??

হটাত করেই মৈত্রীর মাথার ভিতর সব তালগোল পাকিয়ে গেলো..খুব সুক্ষ একটা যন্ত্রণা অনুভুত হতে থাক্ল।সত্তি তো…… কি যেন নাম? কি নামে যেন ডাকতো মৈত্রী তাকে? অদ্ভুত তো! এমন ও হয় নাকি ভালবাস্লে?মইত্রি ভাবতে থাকে ‘কি করে এত সহজে নাম টা ভুলে গেলাম’… মৈত্রী খেয়াল করল —আজ অনেকগুলো দিন হয়ে গিয়েছে সেই নাম ধরে ডাকা হয় না। সেই নামে আর কোন চিঠি লিখা হয়না । কোন উপহারের বাক্সর উপর লাল নিল জরি কলম দিয়ে নামটা আর সাজানো হয়না…… শেষ যেবার দেখা হয়েছিলো, কথা হয়েছিলো, একটি বারের জন্য ও নাম টি ধরে ডাকার সুযোগ হয়নি মৈত্রীর…।ভেবে দেখল মৈত্রী–আজ সেই নাম টি ধরে হয়তো অন্য কেউ ডাকে। খুব আদর করেই ডাকে। ভালবাসা নিয়ে ডাকে। মৈত্রীর জানতে ইচ্ছা হয় সেই মেয়েটি ও কি তার মত কখনও এই নাম টি ভুলে যাবে? হয়তো হ্যাঁ, হয়তো না……নিজেকে বুঝাল মৈত্রী — যা হয় ভালর জন্যই হয়।নাম ভুলে যাওয়া তে ভালই হয়েছে। কিছু ব্যাপার ভুলে যাওয়া ই ভালো। কিছু মানুষ বেনামী হয়ে থাকাই ভালো।
তারপর এক মুহূর্ত ভেবে ফুল-আলা টোকাই ছেলে টা কে উত্তর দিল

—বেনামী
—(ফোকলা দাঁতের হাসি) এহহহহহহ !! কি বিসসিরি নাম (আবার হাসি) 🙂

 

২,৩৫৯ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “বেনামী …”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    বুঝি না আপু, এই রকম ছেলের জন্যও মেয়েদের মন কেমন করে??
    মাঝে মাঝে এইরকম হইতে খুব ইচ্ছে করে... 😛

    লেখাটা ভাল লাগলো... :clap:


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ব্লগে স্বাগতম তামান্না, লেখা ভাল লেগেছে। :thumbup: প্রথম লেখা বলেই হয়ত বেশ কিছু টাইপো রয়ে গিয়েছে, একটু খেয়াল রেখো আর লেখার মাঝে ... দিলে পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়, পারলে এভোয়েড করো।

    আশা করি তোমার কাছ থেকে নিয়মিত লেখা পাবো, হ্যাপি ব্লগিং 🙂

    ব্লগে নবাগতদের ফ্রন্টরোল দিয়ে বরন করে নেয়ার একটা সিস্টেম আছে, সেটায় সমস্যা থাকলে তুমি ১০টা মটর সাইকেল চক্কর দিইয়ে দাও :grr: :grr: :grr:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • তামান্না (২০০৩-২০০৯)

      হাহাহহাহাহা !!! আপনাদের মত বড় বড় লেখক বা লেখিকা ভাইয়া/আপু দের কাছে আমি খুবি ছোট আনারি একজন লেখিকা...আমার লিখা টা সময় নিয়ে আপ্নারা পড়েছেন এতেই ভাও লাগছে ভাইয়া।ইনশাল্লাহ নিয়মিতই লিখব। দোয়া করবেন। আর অবশ্যই এই ভুলগুলো আর না করার চেষ্টা করব ! 🙂 থ্যাংকস ভাইয়া।। 🙂


      ইচ্ছে করে জলদাসী হতে ! 🙂 কোণো এক মসৃণ পুকুরের স্থির পানির জলদাসী !!! 🙂

      জবাব দিন
  3. শিবলী (১৯৯৮-২০০৪)

    আসলে আপু সমস্যাটা এখানেই......এই বান্দর পোলাটার জায়গায় একটা ভদ্র পোলা হইলে মেয়েটা গাড়ি ঘোরাতে বলত না , চুপচাপ বাসায় গিয়ে শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয় খানিক সময় কাঁদত ,আর ছেলেটা টি এস সি এর যেখানে তারা আগে বসত, তার থেকে খানিক দূরে বসে একা একা অপেক্ষা করত। তোমরা ভাল ছেলেদের কখনো ততটা দাম দাও না, যতটা বান্দরদের দাও.........( ব্যক্তিগত অভিমত )

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    তামান্না তোমার এম জি সি সি ঠিক করো।
    আমি তো ভাবছিলাম নতুন আরেকটা সি সি হইলো নাকি!


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    পড়তেছি,
    বেশ কিছু টাইপো রয়ে গেছে।
    আরেকবার পড়ে দ্যাখো।
    ঠিক করে দিলে পড়তে আরাম লাগবে।

    নতুন ধরণের বাক্য বা শব্দ গঠনের প্রচেষ্টা দেখলাম। নতুনত্ব আছে। ভালো না খারাপ এই মুহুর্তে বলতে চাচ্ছি না।
    ১ম লেখায় স্বাগতম।
    লিখতে থাকো।
    আর ১ম লেখায় কিছু নিয়ম কানুন আছে।
    সামিয়া তোমারে ডিকটেড করবে।
    যাই বাকিটুকু পইড়া আসি।

    আইজকালকার পোলাপাইন দেখি বিশাল বদ; বাচ্চার বাবা হইতে চায়, খায় বাপের পয়সায় গোল্ডলিফ আবার বাবা হইতে চায়! এইগুলার গন্তব্য হইলো কচু গাছ।
    যাই দেখি তুমি কি করলা ছাগলাটার।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  6. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)
    পাশ থেকে দোলনচাঁপা হাতে ছেঁড়া হাফ প্যান্ট পরা টোকাই গোছের পিচ্চি টা বলে উঠল
    —কিমুন আছেন ? (ফাঁকা দাঁতের এক অবলিল হাসি)
    মৈত্রী বুঝতে পারলো গন্ধ দলঞ্চাপার।এক সময় খুব আয়োজন করে প্রতিদিন এই ফুল কেনা হত।এখন আর হয়না।মইত্রি উত্তর দিল
    —ভালো। (ঠোঁটে হাল্কা হাশি নিয়ে) তুই কেমন আছিস?
    —বালা। আইজ ফুল নিবেন না ? ওই যে ছ্যারা ডার লাইগা যে কিনতেন… আইজ আফনে একলা ক্যান ? ছ্যারা ডা কো ? (আবার ফক্লা হাসি)… কি জানি নাম ছ্যারা ডার??

    মেয়েটাকে টোকাই আপা বলে সম্বোধন করলে তার ছেলেবন্ধুকে কি করে ছ্যারা বলে???
    ভাই কিংবা স্যার হতে পারে...

    ক্যানো জানি মনে হলো লেখাটা নেশার ঘোরে লেখা। আশা করি খুব বেশি মাইন্ড করো নাই। আর নেশাও করো না কোন প্রকার।
    আর সেইদিক দিয়া দেখলে সার্থক। কারণ নেশা না কইরা নেশারু টাইপ লেখা বের হইছে।
    আর উপন্যাস বলছো এটাকে; তারমানে কি চলবে...
    মানে ১,২,৩ এরকম...
    খারাপ হয় না।
    চালিয়ে যাও।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • তামান্না (২০০৩-২০০৯)

      ভাইয়া, টোকাই রা আপামনিদের যথেষ্ট সম্মান ই করে !! ফুল বেশিরভাগ সময় আপামনিরাই কিনে !! খুব দুষ্ট ধরনের টোকাই রা ছেলেদের সামনা সামনি যথেষ্ট সম্মান করে! আড়ালে অনেক টা সময় এভাবেই কথা বলে ! 🙂


      ইচ্ছে করে জলদাসী হতে ! 🙂 কোণো এক মসৃণ পুকুরের স্থির পানির জলদাসী !!! 🙂

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।