একুশ নিয়ে … (আদিখ্যেতা নয় মোটেও)

একুশ এলেই আমরা বাংলা নিয়ে খুব মাতামাতি করি … বাইশ এলে আবার ভুলেও যাই। তেইশ থেকে বাংলিশ আবার শুরু … তাও তো মন্দের ভাল। বইমেলা, শহীদ মিনার তবু তো মনে করিয়ে দেয় একুশের কথা। আহ্লাদের আতিশায্যে লিখলামই না হয় একটা দুইটা কবিতা।

একুশ এলেই লিখতে বসি, লেখালেখি বেড়ে যায়।
একুশ নিয়ে লেখালেখির মাত্রা যেন ছেড়ে যায় …

তবে একথা সত্যি … একুশের চেতনা বলে যে শব্দটি উচ্চারিত হয় … তা মনের কোণে থেকেই যায়। চাইলেও ভুলতে পারি না। …

একুশটি রক্তকরবী প্রয়োজন আমার।
বিশুদ্ধ বাঙালীর পরিশ্রুত রক্তের মত লাল,
পতাকার বুকে উজ্জ্বল সুর্যের মত রক্তিম।

মায়ের মুখের ভাষায় কবিতা লেখার নিষ্কলুষ লোভে যারা
স্বপ্নাক্রান্ত মন্ত্রমুগ্ধের মত আত্মাহূতি দিয়েছিল
কিছু সার্থক বর্ণমালা ছিনিয়ে আনতে।
তাঁদের কন্ঠে ঠোটে উচ্চারিত হয়েছিল
স্লোগান – আগুনের ঝাঁঝ।
নিজের রঙতুলি দিয়ে তারা আঁকতে চেয়েছিল
মায়ের মুখ, মনের ক্যানভাসে।
মায়ের শাড়ীর চেনা গন্ধ ছিল তাদের
মিছিলে দাবী আদায়ের প্রেরণা

তাদের রক্তের আলোতেই আজ করবী রক্তিম।
শুধু তাদের জন্য –
বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে আমি
একুশটি রক্তকরবী খুঁজি।

৪,০৭৮ বার দেখা হয়েছে

৫৫ টি মন্তব্য : “একুশ নিয়ে … (আদিখ্যেতা নয় মোটেও)”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    তাইফুর ভাইয়ের কবিত্ব নিয়া আমার আর কোন সন্দেহ নাই । :boss:

    অফটপিক: সানাউল্লাহ ভাই এখন শিমুল ইউসুফ এর সাথে। এবিসি তে লাইভ চলতেসে।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)
    মায়ের মুখের ভাষায় কবিতা লেখার নিষ্কলুশ লোভে যারা
    স্বপ্নাক্রান্ত মন্ত্রমুগ্ধের মত আত্মাহূতি দিয়েছিল
    কিছু সার্থক বর্ণমালা ছিনিয়ে আনতে।

    তাদেরকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাভরা :salute:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  3. তাইফুর (৯২-৯৮)

    চরম সিরিয়াস পোষ্টটা কমেন্টে আইসা এহেন মাইর খায়া গেল ...
    বাপ্তেই জলে চোক বিজে যায় ... আয় ... আআয় ...
    এত কষ্ট কেন ... বালবাসায় ... আয়


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
    • রহমান (৯২-৯৮)

      কষ্ট পাইসনা দোস্ত। কবিতাডা আসলেই বালা অইছে :thumbup:

      এইসব মন্তব্য হইল আমাদের ব্লগের প্রাণ। এর লাইগ্যাই তো সিসিবিরে এত বালা পাই

      মায়ের মুখের ভাষায় কবিতা লেখার নিষ্কলুশ লোভে যারা
      স্বপ্নাক্রান্ত মন্ত্রমুগ্ধের মত আত্মাহূতি দিয়েছিল
      কিছু সার্থক বর্ণমালা ছিনিয়ে আনতে।
      তাঁদের কন্ঠে ঠোটে উচ্চারিত হয়েছিল
      স্লোগান - আগুনের ঝাঁঝ
      নিজের রঙতুলি দিয়ে তারা আঁকতে চেয়েছিল
      মায়ের মুখ, মনের ক্যানভাসে

      অসাধারণ লাগল :boss: :boss: :boss:

      জবাব দিন
  4. তাইফুর ভাই

    বেয়াদবী মাফ করলে একটা কথা বলি।
    একুশের কবিতায় বানান ভুল থাকলে ক্যাম্নে কী !!

    সুর্য্যের - সূর্যের
    তন্য তন্য - তন্ন তন্ন

    আপাতত এই দুইটা চোখে পড়ছে। ঠিক করে দেন 😀

    জবাব দিন
    • তাইফুর (৯২-৯৮)

      সিনামা বানানি বাদ দিয়া মাষ্টারী করা শুরু কর ...
      বাংলার মাষ্টার ...

      (কেম ... ধণ্যবাদ। তাড়াহুড়া কইরা কোনরকমে ব্লগ নামামু না বইলা আগেও একবার তওবা করছিলাম ... কিন্তু কি করুম ক' ব্লগের অংশ হইতে না পারলে ক্যামন জানি লাগে )


      পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
      মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

      জবাব দিন
  5. রকিব (০১-০৭)
    তবে একথা সত্যি … একুশের চেতনা বলে যে শব্দটি উচ্চারিত হয় … তা মনের কোণে থেকেই যায়। চাইলেও ভুলতে পারি না। …

    ঠিক ঠিক...
    ভালো লাগলো ভাইয়া।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  6. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    তাদের রক্তের আলোতেই আজ করবী রক্তিম।
    শুধু তাদের জন্য -
    বিশ্ব সংসার তন্য তন্য করে আমি
    একুশটি রক্তকরবী খুঁজি।

    দোস্ত এককথায় চমৎকার, সেরকম :boss:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  7. দিহান আহসান

    তাদের রক্তের আলোতেই আজ করবী রক্তিম।
    শুধু তাদের জন্য -
    বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে আমি
    একুশটি রক্তকরবী খুঁজি

    চমৎকার, তাইফুর ভাইয়া।

    অফটপিকঃ ভাইয়া, আপনি নাকি কালা কুর্তা বাহিনী তে আছেন, 😮
    সত্যি??? আপনার লিখা আর মন্তব্য পড়ে একদমি মনেই হয়না।
    আপনাকে :salute:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তাইফুর (৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।