১। মাইয়ার নাম মম। বাবার নাম প্রিন্সিপাল স্যার। দেখতে ক্যামন ছিল মনে নাই। অবশ্য ওই সময় মন অতো সুন্দরীও খুজতো না …… ‘অতেই চলবে’ টাইপ ছিলাম। আমাদের গেমস শেষ হবার পর টারজান স্যুইং এর রোপের নীচের মোটা গিট্টুটার উপর বইসা মম দোলা দোলা খেলতো। গিট্টুটার উপর ক্যামনে যে বসতো, আহারে। কত পোলাপাইনরে দেখছি ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে অথবা ছুটির দিনে ওই গিট্টু নিয়া তফসরা (গবেষণা) করতেছে। নজরুল হাউজের নীচতলার ডানকোনার রুমটার জানালার পাশেই পেয়ারা বাগান। মম আসতো পেয়ারা কুড়াইতে। আমরা তাড়াতাড়ি গোছল শেষ করে জানালার পাশে এ্যাম্বুশ পাইতা বইসা থাকতাম। মাইয়া আসলে গান ধরতাম, ‘তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে’, বাগানও আমার না, বাগানে ফুলও নাই আছে পেয়ারা, তবু গাইতাম। ভাল লাগতো।
২। শামীম সিদ্দিক ভাইয়ের কোন অপরাধ ছিল না। প্রিন্সিপাল অফিসে ঢুকে নিজের সপ্নটাই শুধু প্রকাশ করেছিলেন তিনি । ‘আমি যুগে যুগে কবি নজরুল হয়ে ফিরে আসবো’ বলার পর তিনি ঢাকা সিএমএইচ-এর সাইকিক ওয়ার্ড হয়ে বাড়ী চলে যান। গল্প সেইটা না, গল্প হইল, প্রিন্সিপাল প্যারেডের দিন সকাল, প্যারেডের আর ১৫ মিনিট আছে। সবাই দুইদিন ধরে ওয়াটার পালিশ করা বুট, চকচকে মেটাল আর ধোপদুরস্ত ইউনিফর্ম পরে যখন জুতা পালিশ বাচানোর জন্য হিলের উপর ক্লাউন টাইপ হাটছি, সেই সময় শামীম সিদ্দিক ভাইয়ের আগমন। সাদা হতে হতে প্রায় পিটি স্যু হয়ে যাওয়া তার বুট জোড়া দিয়ে আমার ক্লাসমেট কে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘ওই সারো্যার, যাও তো আমার বুট জোড়া ইট্টু মুজা পালিশ কইরা নিয়া আস’।
৩। কথায় কথায় বলস্ বলাটা ওমর বলস্ ভাইয়ের সভাব ছিল। তবে তার নামকরনের আর একটি ঘটনা জনশ্রুতিতে ছিল। নজরুল হাউজের মটো ছিল ‘চীর উন্নত মম শির, ইংলিশে ‘এভার ইরেক্ট ইজ মাই হেড’ …… তো ‘ইরেক্ট’ যদি ‘উন্নত’ হয় …… ওমর বলস্ ভাই নাকি নারী প্রসাধনী, নারীর দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য যে কোন কিছু, চুলের কাটা, নারকেল তেলের ডিব্বা, এক কথায়ে নারীর সংগে সম্পর্ক যুক্ত যে কোন কিছু দেখে ‘উন্নত’ করতে পারতেন ……
মম আসার পরও এই কথা ক্যান বলতেন? ;;)
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
ঠিক! ঠিক!
'তুমি রোজ বিকেলে আমাদের বাগানে, 'ফুল' হয়ে আসতে...' 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
মম ফুল হইতে যাইব কোন দুঃখে ?? মম তো আরেকটা পেয়ারা-ই ... 😀
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
নাহ্, আমি আসলেই গোনায় খারাপ x-( ...কারন আমার হিসাবে তো দুইটা..!!!!! :khekz:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ওরে না রে....... :khekz: :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
কলেজের এডা ছরা মনে পরল...একটু ইয়ে... যারা পরবেননা তারা পইরেন না
যখন আমার লিচু লিচু, সবাই আমার নিল পিছু
যখন আমার আম আম, তখন আমার কত দাম
যখন আমার ডাব ডাব,.....................( এই লাইন লেখা সম্ভব না )
এখন আমার গেছে ঝুলে, সবাই আমায় গেছে ভুলে
😀 😀 😀 😀 😀
এইটা কি আপনার নিজের জীবন থেকে নেয়া? 😀
সত্যিই বিচিত্র এই সেলুকাস! 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
=))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ওমর 'ব*স্' ভাই... :boss: :boss:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ফজলুল হক হাউসের দোতলার বাথরুমের জানলা থেকে টারজান সুইং এর জায়গাটা খুব সোন্দর দেখা যাইতো। আমাদের টাইমে শুধু মম না, মম রা আসতো 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তোরা কপাল নিয়া জয়েন দিছিলি ... 'রা' আসতো। আর আমরা একটা লইয়া কাড়াকাড়ি করিতাম।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
এক কথায়ে নারীর সংগে সম্পর্ক যুক্ত যে কোন কিছু দেখে ‘উন্নত’ করতে পারতেন
আমাদের কলেজেও সেইম কেস ছিলো বস। এক স্যারের কইন্যা ছিলো এমন আউলা ঝাউলা কুচকানো চুল, আমরা তারে ডাকতাম "ভালদেরামা" (কলম্বিয়া'র মিডফিল্ডার কার্লোস ভালদেরামা)।
লেখা পুরা গুল্লি :khekz: :gulti: :khekz: :gulti:
তোরা মাইয়ারে ডাকতি 'ভালদেরামা' আর আমরা ভালদেরামারে ডাকতাম 'খেজুর গাছ'।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ও মাই গাড..... 😮 😮 😀 😀
Life is Mad.
যেমন ডিকশনারী :khekz: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
:khekz: :gulti: :khekz: :gulti:
:khekz: :khekz: :khekz:
কলেজে থাকতে আমার একটা টকিং ডিকশনারী ছিল যেইখানে কুনু কিসু টাইপ কইরা "স্পিক" কইলে এক সুমধুর নারীকণ্ঠ সেই শব্দ উচ্চারণ করত।
পোলাপাইন সেই ডিকশনারী নিয়া যা যা কথা কওয়াইতো সেইগুলা আর নাই বা বলি-আইপি সুদ্ধা ব্যান খাওয়ার কুনু ইচ্ছা আমার নাই 😀
শুনতাম চাই... :((
=)) =))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
সেকি? খাইছে!!!...কিন্তু...তাহলে তো...তারমানে তারমানে...ওরে না রে নাহ্ 😕
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
অফ টপিক-আমি তখন কেলাস টেনে আর কবীর ভাইরা টুয়েল্ভে 😀 হুনাইন হাউসের অনেক বড়ভাই ক্যান্টিনে খাওয়ানোর বিনিময়ে আমর ডিকশনারী ধার লয়া যাইত। "ফা*" শব্দটা সরাসরি আইতনা দেইখা এট্টু ভিন্ন বানানে লিখা লাগত আর সেইটা শিখাইতে এক্সট্রা চার্জ নিতাম 😛
অভ্র কিবোর্ড টাইপ ...... ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ব্ল্যাক মেইল কইর্যা অন্যের থন খাওনের স্বভাব তোমার বহুত পুরানা... :grr:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
খবরদার আমারে নিয়া খ্রাপ কথা কইবেন না x-(
তাইফ বস,আপ্নি যে কইলেন মম পেয়ারা বাগানে আস ত।কিন্তু ফুল ছিল না ,পেয়ারা আছে।তয়,পেয়ারার ভাগ পাইছিলেন নাকি?পেয়ারা কি কাজি পেয়ারা ছিল নাকি দেশি লাল পেয়ারা?দেশি লালা হইলে ভাল আর কাজি হইলে টেস্ট না থাক্লেও দেখে মন ভরে যাওয়ার কথা একটু বেইদেশি বিদেশি লাগে এই আর কি :party:
বা প স্ :boss:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
উত্তেজক পোস্ট :gulli2:
প্রশমনের ব্যবস্থা করা লাগবে নাকি বড় ভাই ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
না রে পাগল :)) ব্যবস্থা আছে =)) =)) =)) =))
পিরা গিলাম এক্কেবারে...... =)) =))
মাম্মা আর মম ... হুম ভালোই মিল হইলো :gulti:
মাম্মা লিখা রিরাম হইসে 🙂