একজন ক্যাডেটের আত্মহত্যা

৩০ এপ্রিল ২০০৭
অন্যান্য দিনের মতই ডিউটি ক্যাডেট এসে সকালে আমাদের রুমে ডেকে গেল এবং আমরা যথারীতি আবার ঘুমিয়ে গেলাম ।
স্টাফের বাঁশি শুনে সাধারণত ঘুম থেকে উঠতাম । তারপর কোনভাবে ড্রেসটা চেঞ্জ করেই দৌড় । রাত জেগে সব বন্ধুরা মিলে গল্প করাটা অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় ভোরে উঠতে দেরী হত ।
প্রায়ই বিউগল দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে ফল-ইনে দাঁড়াতাম ।
রুমের সবাই ঘুমাচ্ছি । হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল । আশেপাশে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ভাবলাম পুরো হাউস হয়ত গ্রাউন্ডে চলে গেছে । আজকে খবর আছে 😕
যাই হোক সবাইকে তাড়াতাড়ি ডাকলাম ।

হঠাৎ পাশের রুম থেকে তাসমির এসে বলল যে কাসিম হাউসের জুনিয়র পলাশ নাকি ফাঁসি দিয়েছে । আমরা বললাম, “দেখ্ দোস্ত সকাল সকাল জোকস করিস না” ।
আসলেই যে বাপ্যারটি ঘটেছে সেটা দেখলাম রুমের বাইরে এসে । কাসিম হাউসের ক্যাডেটরা ধরাধরি করে পলাশকে নিয়ে যাচ্ছে । পিটিসু টা পড়ে আমিও দৌড় দিলাম হসপিটালের দিকে । আমাদের মেডিকেল স্টাফ বাদল ভাই বললেন পলাশের পালস নাকি খুবই লো ।

তারপর প্রিন্সিপাল, এ্যাডজুটেন্ট, ডিউটি মাস্টার ছুটে এলেন হসপিটালে । আমরা ক্যাডেটরা সব হতভম্ব । আসলে বুঝতে পারছিলাম না কি ঘটছে । এ্যাডজুটেন্ট স্যার সবাইকে হাউসে পাঠিয়ে দিলেন । তার আগেই মেডিকেল অফিসার স্যার পলাশকে মৃত ঘোষণা করে দিল । একটু লেটে ব্রেকফাস্ট করে একাডেমী ব্লকে গেলাম ।
জুনিয়র পলাশ সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয় । পলাশ কাসিম হাউসের ক্লাস এইটের ক্যাডেট । কলেজের কোন কিছুই তার ভাল লাগত না । বিশেষ করে জুনিয়র-সিনিয়র ব্যাপারটি । ভ্যাকেশন থেকে আসার সময় সে তার প্যারেন্টস কে গীতা ছুয়ে বলে এসেছিল যে তাকে যদি কলেজ থেকে নিয়ে আসা না হয় তাহলে সে মরে যাবে । অনেক ক্যাডেটই তো ক্লাস সেভেনে থাকতে চায় না কিন্তু পরে ঠিক হয়ে যায় আর এজন্যই পলাশের প্যারেন্টস খুব একটা গুরুত্ব দিয়েছিল না । কিছুটা মানসিক সমস্যাও ছিল জুনিয়রটার ।

নিজেকে এভাবে শেষ করে দেয়াটা ছিল পুর্ব পরিকল্পিত । পলাশ ফাঁসি দিয়েছিল শেষ রাতের কিছু আগে এবং টয়লেটের ফ্ল্যাশের সাথে কলেজ টাই বেঁধে । ভোরে রুমমেটরা তাকে খুঁজে না পেলে তাকে আবিস্কার করা হয় টয়লেটে । একাডেমী ব্লকে গিয়ে বসে থাকলাম । পুরো কলেজে তখন থমথমে অবস্থা । দুপুরের পর পুলিশ আসল এবং বিকালে পলাশের বাবা মা এসে মৃতদেহ নিয়ে গেল । তারপর পনের দিন ধরে চলেছিল তদন্ত । আর এদিকে রাতে ক্যাডেটদের এক হাউস থেকে অন্য হাউসে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল ভয়ে । আমি নিজে রাতে দুইটা তিনটা পর্যন্ত জেগে থাকতাম । তখন তো ক্লাস ইলেভেনে আর তাই ঘুরে বেড়াতাম কিন্তু এই ঘটনার পর থেকে আর সাহস হয় নি । হঠাৎ করেই কলেজে আম চুরি, মুরগী চুরি, ডাব চুরি, কলেজের বাইরে যাওয়া ইত্যাদি ভয়ে বন্ধ করে দিল ক্যাডেটরা । নাইট ডিউটি মাস্টার তিনতলায় তার নিজের রুমে না থাকতে পেরে দোতলায় হাউস প্রিফেক্টের রুমে ঘুমাত আর বেচারা হাউস প্রিফেক্টকে ফ্লোরিং করতে হত ।

অনেকদিন পলাশ যে রুমে ছিল এবং যে টয়লেটে ফাঁসি দিয়েছিল দুটোই বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়া হয়েছিল । আমাদের কলেজের ইতিহাসে এটাই প্রথম আত্মহত্যার ঘটনা । টিচার, ক্যাডেট থেকে শুরু করে অন্যান্য স্টাফরা পর্যন্ত রাতে চলাফেরা করতে ভয় পেতেন ।
ফাঁসি দেয়ার আগের দিন পলাশ ক্যান্টিনে খাওয়ার সময় ও তার বন্ধুদের বলেছিল যে সেটাই নাকি ওর শেষ খাওয়া তখন অবশ্য ওরা বুঝতে পারে নি । আমাদের মাহবুব এর কাছে পলাশের একটি ম্যাগাজিন ছিল যেটাতে ওর গার্লফ্রেন্ডের ছবি ছিল এবং ঐ ম্যাগাজিনটি ফাঁসির রাতে পলাশ মাহবুবের কাছে চাইতে এসেছিল । যদিও পলাশ হিন্দু কিন্তু সে নাকি কয়েকদিন ধরে “নেয়ামুল কোরআন” পড়ছিল । পলাশ কয়েকটি চিঠি লিখে গিয়েছিল যেখানে ও কাউকে তার মৃত্যুর জন্য দোষ দেয় নি ।

এখনো সেই রাতগুলির কথা মনে হলে শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে । ভয়ংকর কিছু সময় কেটেছে তখন । আমাদের যেন আর কখনোই এরকম ঘটনার সম্মুখীন না হতে হয় ।

১৫ টি মন্তব্য : “একজন ক্যাডেটের আত্মহত্যা”

  1. মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)
    এখনো সেই রাতগুলির কথা মনে হলে শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে । ভয়ংকর কিছু সময় কেটেছে তখন । আমাদের যেন আর কখনোই এরকম ঘটনার সম্মুখীন না হতে হয় ।

    ইনশাল্লাহ ............

    এই পোস্টটা পড়ে মনে পড়লো, বুয়েটে থাকতে আমাদের এক টিচার, নতুন জয়েন করেছিলেন, প্রায় সময়ই বলতেন, ভার্সিটিগুলোতে মানবিক বিষয়গুলোর মধ্যে সাইকোলজিও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বা প্রতিটা বিভাগে একজন হলেও সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া উচিত। ওনার যুক্তি ছিলো এখন লেখাপড়া এতো বেশী প্রতিযোগিতা মুলক হয়ে গিয়েছে যে, যে কেউই হঠাৎ করে নিজের হতাশাগ্রস্ত বা বেপরোয়া হয়ে যেতে পারে। বুয়েটে এমন প্রচুর উদাহরন প্রায় প্রতিটা ব্যাচেই আছে। অন্তত পক্ষে প্রতিটা বিভাগে যদি একজন করে যদি সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সিলর ধরনের কাউকে নিয়োগ দেয়া হত, যার সাথে ছাত্র-ছাত্রীরা মন খুলে কথা বলতে পারবে, স্যারের মতে, তাহলে তাদের মাঝপথে হতাশাগ্রস্ত হবার বা বেপরোয়া হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দেবার সম্ভাবনা অনেক কমে যেতো।

    ক্যাডেট কলেজে সাধারনত ক্লাসমেটরাই নিজেদের একে অপরকে দেখে রাখে। কিন্তু আমার ধারনা, শুধু ক্লাস সেভেন-এইটের জন্যে হলেও ক্যাডেট কলেজগুলোতেও সাইকোলজিস্ট বা কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়া উচিত। যারা এদের সমস্যাগুলো শুনবে এবং কলেজের সিস্টেমের সাথে সরাসরি ইন্টারফেয়ার না করে কিভাবে সমস্যাটা ডিল করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। আমি নিশ্চিত জানি না, তবে কিছু গল্পের বইতে পড়েছি, বাইরে অনেক দেশের স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা শোনার জন্যে কাউন্সিলর থাকে।

    ছাত্র-ছাত্রীদের এই রকম আত্মহত্যা করা বা চাপে পড়ে মানসিক ভারসাম্য হারানোর হার পরিসংখ্যানগতভাবে হয়ত কম, কিন্তু তারপরেও আমার মনে হয় ( সম্পুর্ন ব্যক্তিগত ধারনা ), এই ধরনের স্টেপ নেয়া উচিত।

    জবাব দিন
    • মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

      আমিও আপনার সাথে একমত। ক্যাডেট কলেজের সার্বিক পরিকল্পনায় এটা থাকা উচিৎ।

      আমরা যখন সেভেন এইটে ছিলাম তখন মানসিক অস্থিরতা জাতীয় সমস্যাগুলো কম বেশি সবার মধ্যেই ছিল। তবে সে সময় কিছু কিছু টিচারকে এগিয়ে আসতে দেখেছি। আসলে সেভেন এইটের ক্যাডেটদের সাথে টিচারদের আন্তরিকতা যদি ভালো থাকে তাহলে এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কমে যায়। এই আন্তরিকতার ক্ষেত্রে টিচারদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।

      জবাব দিন
  2. তাহমিনুল,

    আমি কোনদিন বিশ্বাস করি নাই এই রকম কোন কাজ আমার কলেজে হইতে পারে...
    আমি এই কথা শুনে রফিকুল ইসলাম স্যারকে ফোন করছিলাম। উনি নিশ্চিত করার পর আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম...

    আমাদের কলেজে আমি কখনো ভাবিনি কেউ এতটা সিরিয়াস বোকার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অসাধারণ সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক বিদ্যমান ছিলো।
    আমি নিজেই সিরিয়াস টাইপ মন খারাপ হইলে সিনিয়রদের কাছে গিয়া বলছিলাম... যেই ভাইয়ের হ্যাঙ্গার এর বাড়ি খাইলাম-- সেই গিয়া আমারে মেন্টাল সাপোর্ট দিলো...

    আমি জানিনা পলাশ এর বুকে কী এমন ব্যাথা জমে গিয়েছিলো... যা কাউকে জানাতে পারে নাই!!! খুব আফসোস হয় ! আজকে আবার মনে পড়ে গেলো।

    আমি ঐ ঘটনার কয়েকমাস পর সুযোগ পেয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। স্যারের সাথে দেখা করে একটু গভীরে শুনতে গিয়ে জানলাম, স্যাররা এখন নাকি ক্যাডেটদের সাথে হাউসে রাত ছাড়া কোন কথাবার্তা মেলামেশা করেন না...
    আমাদের সময় এইটা ছিল অনেক ডিস্টার্বিং তা সত্য, কিন্তু এই ঘটনাটা কি স্যাররা খানিকটা আঁচ করতে পারতেন না তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে--- যে সে কতটা অস্বাভাবিক??

    বুঝিনা। হবে হয়ত কিছু। আমার মন মানেনা।

    জবাব দিন
  3. নাজমুল (০২-০৮)

    ব্যাপারটা কলেজে থাকতে শুনেছিলাম।
    এই ঘটনার পর বোধহয় রাব্বির জেপি শিপ সিজ হয়, কারণ সে পলাশকে পুলিশ আসার আগে নামিয়ে ফেলে সেই কারণে।
    ব্যাপারটা খুব মন খারাপ করে দেয়
    কিন্তু ব্যাপার হলো যে ক্যাডেট কলেজে এমন কোনো টর্চার হয়না যে তার জন্য একজন আত্যহত্যা করবে
    ছেলেটা কম বয়সি বলেই হয়তোবা

    জবাব দিন
  4. মইনুল ভাইয়ের মন্তব্য শুনে আরেকটা কথা মনে হলো--

    উনার ব্যক্তিগত ধারণা হিসেবে উনি বলেছেন, কিন্তু আমিও একই কথা মনে করি। ক্যাডেট কলেজে সচরাচর বন্ধুরাই দেখে রাখে। কিন্তু মনের কথা খুলে বলার মত অন্তত একটা মানুষ খুব দরকার সেই সময়ে।
    সেভেন-এইট-নাইন হলো একটা ছেলেমেয়ের বেড়ে ওঠার আসল সময়। বয়ঃসন্ধিকাল... এইটা খুব সাবধানে সাপোর্ট না দিলে সেই কিশোর-কিশোরী দূর্বল/জটিল মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে...

    কেউ বলুক বা না বলুক, আমি জানি-- ক্যাডেট জীবনের শুরুর দু'বছর অত্যাধিক শারীরিক অত্যাচার আমার মাঝে কয়েকটা সমস্যার সৃষ্টি করেছে। (অল্পতেই ক্ষেপে উঠা... কেউ ডোমিনেট করতে চাইলে) আমি হিসেব করে নিজেকে সামলে চলতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে বল্গাহীন ক্রোধ জমা হয়। আল্লাহর রহমত আমি স্বভাবগতভাবে ইন্ট্রোভার্ট গোছের...

    সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট এর ব্যাপারটা মনে হয় খুব গুরুত্বপূর্ণ (আমি মনে করি)

    জবাব দিন
    • জাহিদ (১৯৯৯-২০০৫)
      ক্যাডেট জীবনের শুরুর দু’বছর অত্যাধিক শারীরিক অত্যাচার আমার মাঝে কয়েকটা সমস্যার সৃষ্টি করেছে। (অল্পতেই ক্ষেপে উঠা… কেউ ডোমিনেট করতে চাইলে)

      তুই কি শিওর যে ক্লাস ৭-৮-এর ওই সময়টার জন্য এরকম হয়? আমি এব্যাপারে তোর পক্ষে-বিপক্ষে কিছুই না, শুধু জানতে চাচ্ছি!

      জবাব দিন
      • জাহিদ,
        আমি মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ, আমি এমনিতেই এইজাতীয় আচরণের ব্যাপারগুলোতে সুক্ষ্ম দৃষ্টি রাখি-- সাইকোলজিক্যাল অবব্জার্ভেশন আমার নেশার মত। আমি নিজের প্রায় সমস্ত আচরণগুলোর ব্যাখ্যা পাই কিন্তু এইটার ব্যাখ্যা পাইনি।

        আমি ক্যাডেট জীবনের আগে খুব ঠান্ডা মতন ছিলাম। আর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠার জিনিসটাই আমার শুরু হয় ক্লাস সেভেন-এর দিকে। আমি টের পেতাম, আমার এইরকম রাগের অনেক ছোট ছোট প্রকাশ ঘটেছিল মুশফিকের সাথেই বিশেষ করে। আর আমি শুধু আমার ক্ষেত্রে না, অনেকের ক্ষেত্রেই এইসব অন্যরকম (ঘাউরামি জাতীয়) আচরণ লক্ষ্য করেছি যা আগে তাদের ছিলো না।

        ক্যাডেটরা খুব নাকি অ্যারোগেন্ট হয় !! (সবাই বলে-- নন-ক্যাডেটরা)

        জবাব দিন
  5. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    এ ধরণের ঘটনা একটা ঘটলে সেটাও কি অগ্রহণীয় নয় কি? এই ছেলেটা হয়তো ডঃ আতিউর রহমান হতে পারত ভবিষ্যতে-হয়তো নাসাতে ঢুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারত।

    সাইকোলজিস্ট থাকুক বা না থাকুক মানসিক সাপোর্ট খুব জরুরী-বিশেষ করে ক্লাস সেভেন এইটের ডর্ম লীডারদের ভূমিকা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।মাহমুদের মত আমারো মনে আছে-সারাদিন সুকান্ত ভাই আর মেহেদী ভাইয়ের পাঙ্গার উপর থাকলেও যখনি দেখতেন যে আমি মন খারাপ করে কান্নাকাটি করছি তখন উনারা উনাদের নিজেদের কষ্টের দিনগুলো শেয়ার করতেন আমাদের সাথে।ইমিডিয়েট সিনিয়ররা যতই ত্রাস থাকুক না কেন-অন্ততঃ কিছু সময়ের জন্য হলেও কিন্তু তাঁরা আমাদের নিয়মিত মানসিক সাপোর্ট দিতেন। আর সে কারণেই হয়তো সেই কঠোর সময়গুলো পার করতে পেরেছি।আমাদের পানিশ্মেন্ট দেবার পর বড় ভাইরা পরে বলতেন-"তোমরা বাসায় থাকলে তোমাদের বাবা-মা কি তোমাদের শাসন করেনা?তার মানে তো এই না যে তাঁরা তোমাদের শত্রু।এখানে তো বাবা মা নেই কিন্তু আমরা বড় ভাইরা রয়েছি।" এছাড়া এমনও দেখেছি অথরিটির কাছে কোন কিছু নিয়ে ধরা পড়লে সবচাইতে কড়া সিনিয়র ভাইটাই এগিয়ে আসতেন-এমনকী নিজের মাথায় শাস্তি নিয়ে হলেও।

    আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার কঠোর দিনগুলোর সাথী ব্ন্ধুদের আর সব বড় ভাইদের-যাঁরা না থাকলে ক্ষুদ্র আমার এই ক্ষুদ্রতম অবশানে আসাও হয়তো সম্ভব হতনা।সেই সাথে আশা করছি আর কোন পলাশের ঘটনা যেন না ঘটে আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

    তাহমিনুল-হৃদয় ছোঁয়া লেখার জন্য বিষাদ-মিশ্রিত ধন্যবাদ,ভাই!

    জবাব দিন
  6. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    Quantum Foundation ইতিমধ্যে ক্যাডেট কলেজ গুলোতে এধরনের কাউন্সেলিং প্রজেক্ট শুরু করেছে। আমাদের ঝিনাইদহতে অল্রেডি একটা সেশন হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে, ভাল ভাবে হবে, মোটিভেটিভ হবে - এই আশা রাখি।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।