ছোট ছোট ঘটনা…

আনেক দিন পর আজ লিখতে বসলাম…কি আর করা…দেখি কি লেখা যায়……
ছোট ছোট ঘটনা……। ভাল লাগা বা না লাগা সকলের …………

১. তখন ভিপি ছিলেন মাহাবুবুর রহমান স্যর… তিনি খুবই মজার মানুষ ছিলেন। তার আদেশ হলো কোন ক্যাডেট পাক্ষিক পরীক্ষার সময় করিডোরের উপর কোনো ব্ই রাখা যাবে না। ভুল করে বা তাড়াহুড়া করে কয়েকজন বায়োলজি বই রেখেছিল………গাজী আজমল এর বই……পরীক্ষা চলছে. ভিপি ক্লাসের মাঝে এসে জানতে চাইলেন এই বইয়ের মালিক কে……পিছন থেকে একজন বলে বসল “স্যার গাজী আজমল এর বই । এই কথা শোনার পর ভিপি হেসে ক্লাস থেকে বের হয়ে গিয়েছিল……।

২. এক বার কোন এক জুনিয়ার নাইট প্রেপ এর সময় স্যান্ডো গ্যাঞ্জি না পরার কারনে ডিউটি মাস্টার তাকে ভিপির রুমে নিয়ে যায়। ভিপি বলেছিল স্যান্ডো গ্যাঞ্জি পড়লে যদি গরম লাগে তাহলে বাবাকে বল একটা এসি কিনে দিতে। এসিটা শাটের ভিতরে নিয়ে ঘুরবে……।

৩. হাউস মাস্টার তখন বেলাল স্যার। রোজ রোজ তার হাউস অফিসের সামনে নেইম প্লেট থেকে বেলাল এর (বে) কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি থাকে শুধু “লাল”। হাউস বেয়ারা হালিম ভাইয়ের প্রধান কাজ হলো কিছু অতিরিক্ত “বে”বানিয়ে পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো।বেলাল স্যার হাউস বেয়ারা হালিম ভাই কে ডেকে বললেন “হালিম বেলালের ‘বে’ কৈ যায়”…। হালিম ভাইয়ের উত্তর ছিল “স্যার মনে হয় ক্যাডেট নিয়া যায়……

৪। আলক কুমার স্যার তখন ডাইনিং হলের ও আই সি.একবার ডিনারে ভাতে প্রচুর পাথরের কুচি পাওয়া গিয়েছিল। সেকেন্ড প্রেপ এর সময় ব্ল্যাক বোর্ড এ আজ়কের তাজা LOCAL খবর এর হেডলাইন ছিল “পাথরের মাঝে ভাতের কনা পাওয়া গেছে………

৫। এস এস সি পরীক্ষার ছুটির আগে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ফিল আপ করার জন্য টার্ম এন্ড এর ছুটিতে গিয়ে ফেরত আসার সময় সবাইকে ১০ কপি করে পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি আনার জন্য বলে দিলেন। জনৈক ক্যাডেট পাসপোর্ট সাইজের ছবির মাঝে বসা অবস্তায় তার পুরা বডির ছবি নিয়ে এসেছিল…। (এটা আমার মনে হ্য় ক্যামেরা ম্যানের ইচ্ছাক্রত ভুল……।) এই ছবি দেখে সবাই তো হাসা হাসি করছে। আর ফর্ম মাস্টার কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন…কিন্তু ঐ ক্যাডেটের উত্তর ছিল “স্যার টাকা দিয়ে ছবি যখন তুলব তখন শুধু মাথা টা তুলব কেন…তাই পুরা বডি টাই ফ্রেম এর মাঝে নিতে বলেছি…এবার বলুন ক্যাডেটের চিন্তা ধারা…

৬। বনিক স্যার ইংলিশ ফার্স্ট পেপার এর খাতা দেখা মানে ১০০% পাস নিশ্চিত.আনেকে আবার তাই আদ্ধেক উত্তর দিয়ে হলের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ত……একবার প্রশ্ন এসেছিল “WHAT IS BOGUS BOO…?এর উত্তর এ একজন ৩৩ বার একই লাইন লিখল ..”BOGUS BOO IS A BOGUS BOO IS A BOGUS BOO.”মজ়ার ব্যাপার হলো সে ১০ এর ভিতরে ৮ পেয়েছিল…

৭। আমার এক ক্লাসমেট কে parents day এর পরে senior রা জানতে চেয়েছিল কে কে এসেছিল। ঐ ক্যাডেট এর ঊত্তর ছিল”আমার খালাত ভাইয়ের আম্মা আর খালাত ভাইয়ের আব্বা এসেছিল।” এর মানে হলো খালা আর খালু।

২,২৯৭ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “ছোট ছোট ঘটনা…”

  1. জিহাদ (৯৯-০৫)

    ভাইয়া আমি ঠিক জানিনা কি হইসিল। এই নিয়ে তিনবার এই পোস্ট পাবলিশ করলাম। একটুক্ষণ পর দেখি আপনি আবার পেন্ডিং রিভিউতে দিয়ে রাখসেন। 😕


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  2. সিরাজ (৯৪-০০)

    জ়াহিদ ভাই আমি sorry তোমাকে pain দেবার জন্য।আমি আগে word এ type করে পরে এই খানে pest করেছিলাম.........।but english গুলো আসে নাই...।এরপর text এ করেছি...তাও english আসে নাই......।মাঝে ২ বার কারেন্ট গেল...।।computer offf......

    জবাব দিন
  3. “হালিম বেলালের ‘বে’ কৈ যায়”…। হালিম ভাইয়ের উত্তর ছিল “স্যার মনে হয় ক্যাডেট নিয়া যায়……

    =)) =)) =))
    অনেকদিন পর সিরাজের লেখা। চমৎকার।
    অফটপিকঃ
    দোস্ত অনেকদিন পর আজকে নাইমের বাসায় গেছিলাম আড্ডা দিতে। ও কইলো তুই নাকি মিশন থেইকা টাকা পয়সার সাথে সাথে বউ-বাচ্চা নিয়া আসার প্ল্যান করতেছিস?

    জবাব দিন
  4. সিরাজ (৯৪-০০)
    দোস্ত অনেকদিন পর আজকে নাইমের বাসায় গেছিলাম আড্ডা দিতে। ও কইলো তুই নাকি মিশন থেইকা টাকা পয়সার সাথে সাথে বউ-বাচ্চা নিয়া আসার প্ল্যান করতেছিস?

    বস এই সব গোপন কথা কি গোপনে বলা যায় না............হারামি...।তুই এক কাজ করিস সব দোকান চিনে রাখিস ঠিক মত যাতে করে প্রতিবারের মত সময় নস্ট না হয়......।।বুঝলি তো...।।

    জবাব দিন
  5. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    সিরাজ,
    জটিল লেখা হইছে...।
    খুবই মজা পাইছি...। চোখের সামনে পরিচিত ক্যারেক্টারগুলো যেন মুহুর্তের মাঝে ভেসে উঠলো...। এরকম লেখা আরো আশা করছি সিরাজ।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তারেক (৯৪/ক)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।