(সেই ঊননিশ’ তিপ্পান সালে টাইটেলটা লিখে রাখছিলাম , আজকে চেষ্টা
করব পুরোটা শেষ করে উঠতে )
বিয়ের ঠিক একমাস দশদিন পর জামাই উড়াল দিবে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের দিকে এমনটাই ঠিক হয়েছিল । দূর্ভাগ্য আমাদের , এই সময়টুকুতেই আমার ডিপার্টমেন্টের স্যারদের মাঝে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল পরীক্ষা নেয়ার । ফলাফল আমি ঢাকা আর সে ময়মনসিংহ । দুই বছর পর যাও বা সে ফিরল , স্যারদের স্বভাব বদল হলো না । যথারীতি আমরা দুইজন দুই জায়গায় । তাই পরীক্ষার পরপরই ইতুকি আপা (৯৫-০১) যখন ফোন করে জানতে চাইলেন সুন্দরবন যাবো কিনা আমরা মোটামুটি লাফিয়ে উঠলাম । যেহেতু ট্যুরিজম কোম্পানিটা ( বেংগল ট্যুর’স ) সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতাম না তাই কিছু খোঁজখবর করা , টাকা জমা দেয়া আর হাবিজাবি অন্য কাজ করতে করতেই যাওয়ার দিন ঘনিয়ে এলো । ঢাকায় রাত দশটায় ট্যুরিজম কোম্পানির অফিসের সামনে থেকে বাস ছাড়বে খুলনার উদ্দেশ্যে এমনটাই আমাদের জানানো হয়েছিল । আমরা ময়মনসিংহ থেকে দুপুরে রওয়ানা হয়ে এসে রাতে যোগ দেয়ার প্ল্যান করলাম । বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আম্মা ( আমার শ্বাশুড়ি ) সাবধানে থাকতে বললেন । জামাই একগাল হেসে বলে ” চিন্তা কইরো না । আমি ভালোই থাকব । সাথে করে ইন্সুরেন্স (আমাকে) নিয়ে যাইতেছি । বাঘ আসলে ওরে রেখে আমি দৌড় দিব , বাঘ ওরেই খাবে । ” সন্তানের বিপদ নাকি বাবা মা আগে থেকেই অনুভব করতে পারে। বিয়ের তিন দিন আগে থেকেই আমার বাবা কেন কান্নাকাটি শুরু করেছিল তা আমিও আজকাল ভালোই বুঝতে পারি ।
ইতুকি আপার পরিচিত আরো কয়েকজন ছিলেন আমাদের সাথে । খুব দ্রুতই ছোটখাট একটা গ্রুপ বানিয়ে ফেললাম আমরা । যাই হোক , দশটার বাস একটু দেরী করে প্রায় এগারটার দিকে ছাড়ল । যাত্রা হলো শুরু । ভোররাতে খুলনা পৌঁছে আমাদের জন্য অপেক্ষারত বোটে উঠে গেলাম । বেংগল ট্যুর’স-এর বোট আছে দুইটা ; এম ভি ডিংগী আর এম ভি ভেলা । এদের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা যথাক্রমে ৪৬ জন ও ২৬ জন । আমরা ছিলাম ছোট বোটে । প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি আমাদের কাছে এই বোটের ব্যবস্থাপনা তুলনামূলকভাবে ভালো বলে মনে হয়েছে । ক্লান্ত সবাই কোনমতে ব্রেকফাস্ট করে ঘুমাতে চলে গেলাম যার যার কেবিনে । ঘুম থেকে উঠে বোটের ডেক-এ চা খেতে গিয়ে চোখে পড়ল দুই ধারের সবুজ বন । অবশেষে পৌঁছালাম স্বপ্নের সুন্দরবন ।
আইটেনারি ( এর বাংলা কি হবে ?) অনুযায়ী কটকা আর কচিখালি ঘুরে দেখা হবে । প্রথমে ফরেস্ট অফিস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বনে ঢুকতে হয় । সারাদিন বোটে করে ঘোরাঘুরি , রাতে কোন একটা ফরেস্ট স্টেশনের সামনে নোঙর করে থাকা এই ছিল রুটিন । বনে ঢোকার পথেই চোখে পড়ল জোড়া কুমির । শীতের দিনে আরাম করে রোদে গা এলিয়ে বসে ছিলেন তারা । বিকেলের দিকে কাছাকাছি একটা চরে নামলাম সবাই । এ জায়গায় মূলত নানারকম পাখি দেখতে আসে সবাই । আমরা যখন পৌঁছলাম তখন পাখি খুব একটা ছিল না । তবে প্রচুর বক ছিল সেইখানে যার ছবি তুলতে গেলে অনেকটা কাদা মাড়িয়ে যেতে হয় । তাও গেলাম , কিন্তু ক্যামেরার লেন্সের ক্ষমতায় কুলালো না পরিষ্কার ছবি তোলার । লাভের লাভ একটাই হলো চমৎকার সূর্যাস্তের ছবি পেলাম । আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেইদিন থেকেই পূর্ণিমা ছিল । কাজেই অপূর্ব চাঁদের আলোয় ডেক-এ বসে থাকা কেউ মিস করিনি ।
পরদিন ভোরে ছোট নৌকায় করে কুয়াশা কেটে খালে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হলো । সাত সকালে পাখিদের হাঁকডাক আর মাঝে মাঝে দুই একটা হরিণ ছাড়া অবশ্য বেশী কিছুর দেখা মিলেনি । কিছুদূর গিয়ে কাঁকড়া শিকারীদের নৌকা চোখে পড়ল । এদিনের জন্য বরাদ্দ ছিল সকালে কটকা বার্ড ওয়াচ টাওয়ার হয়ে সি-বীচ পর্যন্ত আর বিকেলে কচিখালি রিজার্ভ ফরেস্টে হাঁটাহাঁটি । বুনো পথে যাওয়ার সময় চোখে পড়েছে সিডরের তান্ডব । গাছপালা আর বন বিভাগের ঘরগুলো দেখে মনে হয়েছিল যে গোড়া থেকে মুচড়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে কেউ । ওয়াচ টাওয়ারে কিছুক্ষণ হাউকাউ করে সি-বীচের দিকে গেলাম । পানিতে ঘন্টাখানেক লাফঝাঁপ দিয়ে আমরা দুইজন হাঁটতে হাঁটতে গ্রুপ থেকে একটু দূরে সরে যাচ্ছিলাম । তখনই একজন গাইড ডাক দিলেন বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে । কিছুক্ষণ আগেই নাকি এখান দিয়ে একটা বাঘ হেঁটে গিয়েছে , বাচ্চাসহ । ভাবলাম , বাঘের কপাল খারাপ । নইলে এমন ” ইজি লাঞ্চ ” মিস করে !
বিকেলে কচিখালি রিজার্ভ ফরেস্টের সময়টুকু আমি সবচেয়ে বেশী উপভোগ করেছি । জোয়ারের সময় পানি চলে আসে বলে জঙ্গলের মাটি সবসময়ই ভেজা আর ছড়ানো ছিটানো শ্বাসমূল । এর মাঝে দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে একটা দুইটা হরিণ । কাছাকাছি মোট তিনটা ” টাইগার ডেন ” ছিল । একটু উঁচু এই জায়গাতে বাঘ তার শিকার এনে খায়/খেত। মোটামুটি দূর্গম পথ , জোরে কথা বলতে মানা , সামনে পিছনে পাহারা এইসব নিয়েই ঘন্টা তিনেক বেড়ালাম । জাহাজে ফিরে সেইদিন রাতে বার-বি-কিউ ডিনার আর ট্যালেন্ট শো হলো ;;;
পরদিন সকালে আবার খাল ধরে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো । এইবার অবশ্য একটা বক অনেকক্ষণ ধরে আমাদের সঙ্গ দিল , ফটোসেশনের জন্য পোজও দিল । জাহাজে এসে আমাদের ফেরার পথ ধরতে হলো । বোনাস হিসেবে হাড়বাড়িয়া ইকো পার্ক ( স্মৃতি থেকে লিখছি , নামটা ভুলও হতে পারে ) – এ একটু সময়ের জন্য থামলাম । এইখানেও একটা ওয়াচ টাওয়ার আছে । বাঘের পায়ের ছাপও দেখলাম আবার । চমৎকার করে সাজানো গুছানো জায়গা । আবার ফিরে গেলাম জাহাজে । এইবার অবশ্য আর থামাথামি নেই , সুন্দরী সুন্দরবনকে বিদায় জানিয়ে একবারে খুলনা । সেখানে অপেক্ষারত বাসে চড়ে ঢাকা । আপনাদের জন্য কিছু ছবি দিলাম ।
এডিট করার চেষ্টা করছি । দেখি কতক্ষণে ঠিক করতে পারি 🙁
বনে গিয়েও কেডস এত পরিষ্কার!
খুবই সুন্দর হইছে...যেতে ইচ্ছা হচ্ছে 🙁
আমি কিন্তু বলি নাই কেডসের রংটাই এইরকম 😀
আমিও সুন্দরবন যাপো :(( :(( :((
প্রথম লেখা দারুন হইছে, আর... থাক ব্যাচমেট বইলা বললাম না, বাকিরাই বলুক :grr:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আমিও যাপো :((
ট্যাগে মির্জাপুর না লাগাইলে খেলুম না :grr:
পরের ধনে পোদ্দারী না কৈরা নিজে লিখতে বয়।
লেখা - ছবি দুইটাই ভালো হৈসে।
কন ভাই , আরেকটু জোরে কন । নাইলে তো কথা কানে যাবে না 😀
থ্যাংকু ।
যাক বিয়ের ১ মাস ১০ দিনের মাথায় শুধু আমার জামাই একা ঊড়াল দেয় নাই।
@সামিয়া, কেডস পরিস্কার রাখার মত মিশন ইম্পসিবল কাজ গুলো মনে হয় মগকক(৯৬-০২) এর কপিরাইটেড। আমাদের লিটা কেও এইগুলো করতে দেখতাম।
আমার বহুদিন সুন্দরবন যাওয়ার ইচ্ছা। ছবিগুলো দেখে বেড়ে গেল।
কিন্তু ১০ ফ্রন্টরোল কই?
উপরে এক ক্লাসমেট কমেন্ট করছে , পইড়া দেখো । যদি কিছু শিক্ষণীয় পাও B-)
প্রথম ব্লগের অভিনন্দন... :clap:
লেখা – ছবি দুইটাই ভালো হৈসে... :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ডরাইয়া ডরাইয়া দিসি আজকে । থ্যাংকু ভাই 😀
সুন্দরবনে যাইতে মঞ্চায়; আহা কেউ যদি নিয়া যাইতো।
আপু, বড় মিয়ার একখান ছবি তুলতে পারলে দারুণ হইতো। 😀
শুভ ব্লগিং !!
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
একবার গিয়া নিজের পায়ে কুড়াল মারছি । আর একবার যাওয়ার আগে মরা যাবে না 🙁 দেশে গেলে ঘুইরা আসিস । বড়মিয়ার টিকিটারও দেখা পাই নাই , তয় ভিডিও দেখছি বোটে 😕
খুবই সুন্দর হইছে…যেতে ইচ্ছা হচ্ছে 🙁
থ্যাংকস 🙂 পারলে দেখে আইস ।
যাক অবশেষে লেখা দিলা।
ভ্রমণকাহিনী খুব ভাল পাই। সুন্দরবন যাওয়া লাগে।
হ ভাই দিলাম তো একখান 🙁
একবার সুন্দরবনের এক সাইডে পদধূলি দিয়া আসছিলাম, কিন্তু গভীরে যাওয়া হয় নাই। 🙁
ইচ্ছা আছে তাড়াতাড়ি সুন্দরবনে একটা ট্যুর দিয়া আসার। দেশে থাইকা যদি এইসব যায়গায় না যাওয়া হয় তাইলে কেম্নে কি! 😕
লেখা আর ছবি- দুই-ই ভালো হইছে। শুভ লেখালেখি মিলা, এখন ধুমায়ে ব্লগিং শুরু করে দাও। 🙂
আমি আবার যাইতে চাই সুন্দরবনে 🙁
লেখা তো দিলাম ভয়ে ভয়ে । দেখা যাক কতদূর যায় ।
ব্লগিং এ স্বাগতম তোমাকে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
থ্যাংকু ভাই 🙂
কাকড়া খাইসিলি নাকি তোরা 😕 ইয়াক্ :gulti:
লেখা ছবি দুইটাই উমদা হইসে :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
চিংড়ি খাওয়ার সময় ইয়াম!! ইয়াম!! কৈরা কাকড়া খাওয়ার সময় ইয়াক করেন কিল্লাই 😉
🙂
কাঁকড়া খাই নাই , ছবি তুলছি খালি । জামাই খাইতে চাইছিল , দেই নাই 😀
স্টার্ট :frontroll: তারপর অন্যকথা।সুন্দরবন যাওয়ার লোভ বেড়ে গেল।কাকাড়া ব্যাপক মজার।আমাদের সিংপ্রুর সৌজন্যে প্যারেন্টস ডেতে খেয়েছিলাম বাট একটু হেসিটেশন ছিল তাই মজা পাইনি।তারপর বর্ষায় গ্রামে গিয়ে অনেকগুলা ধরে ভুনা করে(রন্ধনশিল্পী খালাত ভাই) রীতিমত দুপুর আর রাত কাকড়ার উপরই ছিলাম।ভাত দিয়ে ত খেয়েছিই,কোরবানীর গোস্তের মত মুড়ি দিয়েও :khekz:
লেখা এবং ছবি দুইটাই সুন্দর হইছে আপু :clap: আর শুভ ব্লগীং 🙂
অফটপিকঃ পিকনিকের সময় থেকেই সন্দেহ হচ্ছিল তবে নিশ্চিত ছিলাম না কিন্তু আজকে আপনার প্রোফাইল দেখে নিশ্চিত হলাম আপনি আমার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র। পিকনিকের সময় একজন বলল আপনি ইংরেজী ডিপার্টমেন্টের কিন্তু তখনি সন্দেহ হইছিল। আর আজকে একদম নিশ্চিত হইলাম আপনাকে ডিপার্টমেন্টেই দেখছি 🙂
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ইক্টু আগেই কইতেছিলাম কেউ ডিগবাজী দিতে কয় না , মনে হয় বাঁইচা গেলাম এই যাত্রা । কিসের কি , কপালে আছে ফ্রন্টরোল , যামু কই :bash:
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: X ২
লক্ষী জুনি 😀
বাঘের পায়ের দাগ দেইখা ডরাই 😕 তয় সুন্দরবন যাইতে সত্যই মঞ্চায় :dreamy:
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
লেখা ছবি দুইটাই অতি উন্নত মানের হইসে।
হ্যাপী লেখা লেখি।
অ ট ডাইরেক্ট এবং ইনডাইরেক্ট ক্যাডেট হিসাবে ব্লগিং শুরু করার জন্য ফ্রোন্ট্রলের পরিমান দ্বিগুন করার দাবী জানাই।
থ্যাংকু ভাই । কিন্তু এইডা কি কইলেন :-/ মাথায় রেজিস্টার করতে পারতেছি না :grr:
দাবীর সাথে সহমত জ্ঞাপন করি 😉 :grr: :grr:
আপনারা খ্রাপ লুক :((
আমি আগে ডাইরেক্ট ক্যাডেট ; এইক্ষেত্রে ইন ডাইরেক্ট ক্যাডেটের বেইল নাই :grr:
এই নাদান বাচ্চাটা মাথা কুটে আর আপনে দাঁত বের করে হাসেন 🙁
আহা সুন্দরবন! কচিখালি, কটকা, হিরণপয়েন্ট! শেষ গেছিলাম ২০০৭ এর শীতে।
ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে সুন্দরবন যাবার সবচাইতে মজা হলো রিভার ক্রুসিং আর খানাপিনা। দুইটাই গলা পর্যন্ত হয়! আর বিচিত্র ধরনের সহযাত্রী এবং তাদের বিচিত্র কাজকারবার থাকে বোনাস হিসাবে। তবে বাঘা খসরু ভাইয়ের (খসরু চৌধুরী) গল্প শুনে বুঝছি এইভাবে যাওয়ার মধ্যে আসল সুন্দরবনের কোন শিহরণ নেই। আসল সুন্দরবনের মজা পাওয়া যায় নাকি রায়মঙ্গলের দিকে মানে আরো দক্ষিন-পশ্চিমে গেলে, নৌকা বা ইঞ্জিন বোটে করে। কিন্তু ট্যুর কোম্পানি ওইসব দিকে যায় না।
লেখা ও ছবি ভালো পাইলাম। 🙂
আমার বন্ধুয়া বিহনে
যাইতে তো চাই ভাই , কিন্তু শুনছি গ্রুপ ছাড়া যাওয়া খুব একটা নিরাপদ না 😕 কি আর করা ,ট্যুরিজম কোম্পানির বদৌলতে ছিঁটেফোটা যাও বা দেখলাম আমি তাতেই মুগ্ধ 🙂
যখন পোস্ট করছিলেন তখনই পড়ছিলাম। লেখা ও ছবি দুইটাই খুবই সুন্দর হইছে। বিশেষ করে এই ধরণের ট্যুরে সবাই ছবি দিয়েই খালাস হয়, আপনি যত্ন করে অনেকটুকু লিখলেন।
সুন্দরবন কখনও যাই নাই। যেতে হবে।
আমি ডজার না B-)
সুন্দরবন ঘুইরা আইস । দেশের মাঝে এত দারুণ সব জায়গা আছে তবু যাওয়া হয় না ।
আহ, সুন্দরবন.......বারবার যেতে ইচ্ছা করে
আমিও আবার যাইতে চাই :((
সুন্দরবন নিয়ে লেখা আর আমি পড়ি নাই......... হইতেই পারে না। আসলেও শিরিন মন্তব্য করা হয়নি, কিন্তু বেশ আগেই পড়েছি। এ নিয়ে তিনবার গিয়েছি। আরো যাবো। শেষবার ছিলাম সুনামির দিন!! তবে টের পাইনি। সুন্দরবন, বঙ্গোপসাগর আর আমাদের পাহাড়- এই তিনটাই আমাকে বারবার টানে। তবু উপভোগ করা শেষ হয়না।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
প্রিন্সিপাল স্যার লেখা পড়ছে :tuski:
বঙ্গোপসাগর আর সুন্দরবন যাওয়া হলেও পাহাড়টা এখনো বাকি আছে আমার । প্ল্যান করে করে আর যাওয়া হয় না । তাই ভাবছি এরপর প্ল্যান ছাড়া হুট করে বের হয়ে পড়ব , বাকি আল্লাহ ভরসা 😀
লেখা বড়ই সুস্বাদু হইছে। পরথম বলগ ভালা হইছে। হেপী বলগিং।
অফ টপিকঃ ক্লাশ ইলেভেনে এক্সকার্শনে গিয়েছিলাম সুন্দরবন হিরন পয়েন্টে। অনেক কথা মনে পড়ে গেল। যাত্রাপথে জ়েসিসি-তে রাত্রিযাপন। জ়েসিসিতে আমাদেরকে ৫০জনকে যেখানে রাখা হয়েছিল, সেখানে বাথরুমের অবস্থা ছিল সাংঘাতিক রকমের শোচনীয়। এর পরের এক কিংবা দুই রাত আমরা ছিলাম খুলনা বিএনএস তীতুমীর-এ। আহ সে কি শান্তি। অনেকগুলো টয়লেট সেখানে। হা হা হা। ওল্ড মেমোরীজ। পুরানো সেই দিনের কথা ... ।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
থুক্কু, একটা কথা কইতে ভুইলা গেছিলাম। লাষ্টের ছবিতে জুতা পরার কায়দা কানুন দেইখা বড়ই মজাক পাইছি।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
৫তারা দাগাইছি।
আরেকটা তারা থাকলে সেইটা শেষের ছবিটার জন্য দিতাম। :))
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
এমনে পচাঁইলেন :((
জুতা কি আর সাধে অইরকম কইরা পরছি , ঠ্যালায় পইড়া এই অবস্থা 🙁
সুযোগ পাইলে একবার জঙ্গলে কাদার মাঝে ঘুইরা আইসেন । আর মনে কইরা ছবি আপ্লোড কইরেন ;;) (সম্পাদিত)
যদিও মনে হলো যে লেখাটা একটু তাড়াহুড়ো করেই শেষ করা হয়েছে, তবুও বলবো, লেখাটা পড়ে আর ছবিগুলো দেখে খুব ভাল লেগেছে। সুন্দরবনে দু'বার গিয়েছি, প্রথমবার বহু আগে, সেই ১৯৮৫ সালে, আর দ্বিতীয়বার ২০০১ সালে। লেখাটা পড়ে সেসব স্মৃতি মনে ভেসে উঠলো...
আমিও দুবার গিয়েছি সুন্দরবন।
প্রথমবার এক্সকারশনে ৮৩-তে। আর দ্বিতীয় বার ২০০৮-এ সপরিবারে।
সিকি শতাব্দীরর ব্যাবধানে সুন্দরবন কতটা বদলেছে সেটা আবিষ্কারেই বেশির ভাগ সময় কেটেছে, মনেপরে।
আচ্ছা, সিসিবি থেকে একটা সুন্দরবন ট্রিপের ডাক দিলে ক্যামন হয়?
সাথে রামপাল দেখা।
আর এই নিয়ে ধারাবাহিক ব্লগ লিখালিখি......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.