সেভিং প্রাইভেট রায়ান মুক্তি পাওয়ার পর স্টিভেন স্পিলবার্গের একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। ছবিটার শুরু হয় যুদ্ধ দিয়ে। সরাসরি কাহিনীর মধ্যে না ঢুকে প্রথম ১০ মিনিটের বেশি খালি যুদ্ধ। স্পিলবার্গ বলেছিলেন, যুদ্ধ আসলে কোনো রোমান্টিক বিষয় না। এর মধ্যে সৌন্দর্যের কিছু নাই। তাই এর ভয়াবহতা বোঝাতেই কিছুণ খালি যুদ্ধই দেখানো হয়েছে।
যুদ্ধ আসলে কাউকেই ছাড়ে না। নারী বা শিশুদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই যুদ্ধে। এর শিকার সবাই। দেখেছিলাম লাইফ ইজ বিউটিফুল ছবিটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বন্দি শিবিরে থেকেও বাবা সব কিছু থেকে আড়াল করে রাখে ছোট ছেলেটিকে। ফলে শেষ পর্যন্ত বাবার মৃত্যু হলেও একধরনের ফিল গুড অনুভূতি হয় ছবিটা দেখে। মুহাম্মদ দেখলাম এই ছবিটির জনর করেছে ওয়ার কমেডি। আমার পছন্দ হয়েছে এটি।
আসলে যুদ্ধের মধ্যে রোমান্টিকতা যেমন থাকে না, কমেডিও থাকে না। বাস্তব অন্যরকম। আর ছোটদের ভুলিয়ে রাখলেই আসলে তারা যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বেঁচে থাকতে পারে না। যুদ্ধ এমনই এক জিনিষ। কথাগুলো মনে হল নতুন একটা ছবি দেখে। ‘দি বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস’।
৮ বছরের ব্রুনোর কাহিনী। বাবা নাজি কমান্ডার। পদোন্নতি পেয়ে চলে যান দূরের একটি গ্রামে। ব্রুনো সেখানে একাকী। ব্র“নো জানেনা ঠিক পাশেই বন্দী শিবির। একদিন দেখা যায় ৮ বছরের স্মুয়েলের সাথে। সে ইহুদী, বাবার সাথে বন্দী।
ব্রুনো একদিন লুকিয়ে দেখে ফেলে বন্দী শিবির নিয়ে একটি প্রপোডান্ডা মূলক প্রামান্য চিত্র। ব্রুনো দেখে যে, সেখানে বন্দীরা কাজ করে, ভাল খেতে পায়, বিকেলে ফুটবল খেলে, একটা ক্যাফে আছে আড্ডা দেওয়ার। ব্রুনো বিশ্বাস করে। গৃহশিক ব্রুনোকে শিখায় ইহুদিরা কত বড় শত্রু। তার বাসায় যে লোকটা কাজ করে একদিন ব্রুনো জানতে পারে এই লোকটি আসলে একজন চিকিৎসক। তারপরেও ৮ বছরের ব্রুনোর কাছে যুদ্ধের বিভীষিকা স্পষ্ট হয় না।
ব্রুনো কমান্ডারের পুত্র। যুদ্ধের ভয়াবহতা তার গায়ে লাগার কথা না। স্মুয়ের জানে তার অবস্থা। তারপরেও দুজনের মধ্যে হয় বন্ধুত্ব। কাটাতারের বেড়ার দুপাশে দুজন-অসাধারণ এক দৃশ্যকল্প তৈরি করেন পরিচালক।
ব্রুনোর মা সব জানেন। তিনি মেনে নিতে পারেন না সবকিছু। চিমনির ধোয়া দেখে তিনি বুঝতে পারেন কি এসব। থাকতে চান না তিনি ছেলে মেয়েদের নিয়ে। এইটুকু বোঝেন যে ছেলে-মেয়েদের এ থেকে দূরে রাখতে হবে। এখন আর ব্রুনো যেতে চায় না।
শেষটা আর না বলি। দেখার আগ্রহ কারো তাতে বাড়তে পারে। কারো হয়তো কমবে। তবে এই ছবি সবারই দেখা উচিৎ।
Written by Novel:
John Boyne
Screenplay:
Mark Herman
Starring Vera Farmiga
David Thewlis
Rupert Friend
Asa Butterfield
Jack Scanlon
Music by James Horner
Cinematography Benoît Delhomme
Editing by Michael Ellis
Distributed by Miramax Films
Release date(s) Flag of IrelandFlag of the United Kingdom September 12, 2008
Flag of the United States November 7, 2008
Running time 94 min.
Country UK/US
Language English
Gross revenue $27,478,896
১ম নাকি 🙁
তাই তো মনে হচ্ছে।
২য়
দেখতে হয়তো... 😐
:thumbup: :thumbup:
😛 😛
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
পোস্টারটা দেখেই বুকের মধ্যে কেমন হাহাকার জাগলো ।
দেখতে হবে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আসলেই, তীব্র হাহাকার।
দুঃখের সিনেমা দেখব না, এমনি জীবনে দুঃখ-কষ্ট কম না ।
:thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আপ্নের্কিদুক্ষো?
দুক্ষোর কাহিনী কইতার্পারিনা ।
খাইছে , এত্তগুলা ব্লগ কখন আসলো!!! 😮 😮 😮
আমি তো এতক্ষণ চীজ বাড়ি হ্যায় মাস্ত নিয়া পৈরা ছিলাম। 😀 😀 😀
শওকত ভাই, চমৎকার রিভিউ। ছবিটা দেখে মুভিটা দেখার ইচ্ছা অনেক বেড়ে গেল।
Lines may divide us
but hopes will unite us
ধুর! মন্তব্য আর উদ্ধৃতি উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে! ~x( ~x(
:grr: :grr:
দেখুম না এই ছবি। কইলাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
'লাইফ ইজ বিউটিফুল' আমার সারাজীবনে দেখা সবচেয়ে ভালো কিছু ছবিগুলির একটা।
এই পরিচালকের আগে কোন ছবি দেখিনি, তবে কাহিনী শুনে মনে হচ্ছে এটাও ভালো লাগবে। আইএমডিবি তে গিয়ে দেখলাম রেটিং বেশ ভালো। অনেক প্রশংসা আছে।
ছবি'র ট্যাগলাইনটা খুব পছন্দ হইছে- lines may divide us, but hope will unite us.
এই ছবির নিজস্ব একটা ওয়েব সাইট আছে। আগ্রহীরা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এখানে।
আমারও। বুক ভেঙ্গে দেয়া একটা দৃশ্য আছে, যেটা একবার দেখলে বাকী জীবন সাথে থেকে যাবে।
কি থেকে যাবে ভাইয়া??বুক ভাঙ্গা??!! 😮 😮 :(( :((
দেখুম্নাতাইলে 🙂
দৃশ্যের কথা বলছি। বুক জায়গা মতই থাকবে।
পোস্টারটা ব্যাপক লাগল!
ছবিটা দেখতেই হবে। এ ধরণের সিনেমা খুব ভাল লাগে।
সেভিং প্রাইভেট রায়ান সম্পর্কে স্পিলবার্গের কথাগুলো খুব ভাল লাগল। সত্যিই তো, এতো স্পষ্ট করে যুদ্ধের ছবি বোধহয় আর কোথায় ফুটিয়ে তোলা যায়নি।
লাইফ ইজ বিউটিফুল খুব ভাল লেগেছিল। আশা করেছিলাম এটা সমালোচকদের কাছেও অনেক প্রশংসা পাবে। কিন্তু আশানুরূপ প্রশংসা পায়নি। এর একটা কারণ আপনিই বলে দিয়েছেন। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্ল্যাপস্টিক কমেডি করার চেষ্টা বোধহয় অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। অনেকে বলেছে, চার্লি চ্যাপলিনের অনুকরণ করতে গিয়ে রবার্তো বেনিনিয়ি ব্যর্থ হয়েছে।
life is beautiful এর মত খুব কম মুভি ই দেখেছি........তবে এইটারো থিম ভালো মনে হচ্ছে,রেটিং ভাল,বাকিটা দেখেলেই বোঝা যাবে.........
Life is beautiful অামারও প্রিয় ছবিগুলের একটা। বিশেষ করে বাপের অনুবাদ করার দৃশ্যটা এখনো মনে অাছে। এই ছবিটাও দেখতে হবে। Schindler's List ও কিন্তু ভাল ছবি। বিশেষ করে এর থিমটা, অামাদের দেশের জন্য কিন্তু প্রযোজ্য। কিভাবে খারাপের মধ্যে থেকে ভাল করা যায়।
যুদ্ধের উপর অারো দুটা প্রিয় ছবির নাম না বলে পারছি না। Platoon - এ Army life খুব বাস্তবভাবে দেখিয়েছে। আর একটা হল Savior.
কয়েকদিন আগে দেখলাম। আসলে মুভি দেখে আপনার রিভিউটা স্বার্থক মনে হচ্ছে। যারা দেখেননি দেখে ফেলেন; ছুঁয়ে যাবার মতো চলচ্চিত্র।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..