প্যারাসুটের বিকল্প হিসেবে ছাতা ব্যবহার করা যায়

একটু চোখ বন্ধ করুন । ঘুরে আসুন কলেজ হসপিটাল থেকে । 😀

…………………………………………………………………………………

ঘুরা নিশ্চয়ই হয়ে গেছে । এই বার আমার লেখা পড়ুন । 😀

কলেজ হসপিটালে অ্যাডমিট থাকার অভিজ্ঞতা কম বেশি হয়তবা সবারি আছে ।এটাও হয়ত মনে আছে কলেজে সর্বরোগের একমাত্র ঔষধ ছিল প্যারাসিটামল যা ক্যাডেট কলেজের মেডিকাল অফিসার দিতেন ।তবে আমাদের ক্যাডেট কলেজের ব্লগের মেডিক্যাল অফিসার অনেক ভাল ।তিনি প্যারাসিটামলের সাথে মাঝে মাঝে আমাদের সিভিট ও উপহার দেন । 😀 কলেজ হসপিটাল ক্যাডেট কলেজের বেহেশত খানা হিসেবে পরিচিত ।একমাত্র ক্যাডেট কলেজ নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাডেট রা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতো যে আল্লাহ আমাকে জ্বর দাও অথবা এমন কোন রোগ দাও যাতে আমি হসপিটালে অ্যাডমিট থাকতে পারি ।শুনেছি অনেক ক্যাডেট নাকি রসুন পন্থা অবলম্বন করতো জ্বর আসানোর জন্য ।শুনেছি বোগোলের নিচে অনেকক্ষণ রসুন দিয়ে রাখলে নাকি জ্বর হয় ।জানিনা এর সত্যতা কতটুকু।তবে আমি একবার আমার জ্বর আসানোর জন্য বাথরুমে অনেকক্ষণ গোসল করেছিলাম ।তখন বাংলাদেশের একটা ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছিলো ।সেই সিরিজ টা শান্তিমতো হসপিটালে বসে দেখার জন্য আমি এই পন্থা অবলম্বন করেছিলাম ।যদিও ব্যর্থ হয়েছি ।জ্বর হয় নি । হসপিটালে অ্যাডমিট হওয়া মানেই একটা আলাদা শান্তি ।পিটি প্যারেড,প্রেপ কোন কিছুর ঝামেলা নাই ।সারাদিন শুধু খাও আর ঘুমাও।হসপিটাল থেকে যখন রিলিজ হতাম তখন এক দিক দিয়ে মন খারাপ লাগতো এই ভেবে যে আবার পিটি,প্যারেড, প্রেপ শুরু করতে হবে আর এই ভাবে ভাল লাগতো যে বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হবে ।বন্ধুদের সাথে ফাজলামি, আড্ডা এই জিনিস গুলো খুব উপভোগ করতাম ।এই গুলোর মাধ্যমে আমি নতুন করে রিচার্জ হতাম ।হসপিটালে শুধু খাওয়া আর ঘুম দিয়ে তো সময় ঠিক ঠাক মতো পার হয় না ।হসপিটালের এর ভিতর দাবা ,ক্যারামের সিরিজ হতো ।আর আমাদের ছিল (এখনো আছে মনে হয় ) নির্মল আনন্দদানকারী চাপাবাজ মেডিক্যাল এটেনডেন্ট ফজলু ভাই ।অনর্গল একটানা চাপাবাজি করতে পারতেন সে ।তার চাপাবাজিগুলো আমাদের হাসির খোরাক দিতো ।তিনি খুব সুন্দর করে লালনশাহ এর গানো গাইতেন পারতেন।তিনি খুব সুন্দর বাঁশিও বাজাতেন । আমাদের সময় হসপিটালে শুধু বিটিভি ছিল ,ডিশের লাইন ছিল না ।ডিশের লাইন শুধু হাউস গুলোতে ছিল ।এখন বর্তমানে হসপিটালেও ডিশের লাইন দিয়ে দিয়েছে ।বিটিভিতে যখন বাংলা মুভি দেখাতো আর ওই সময় যখন ফজলু ভাই ডিউটি থাকতেন তখন উনার এক্সপ্রেশন ছিল অন্য রকম ।তাতে মন হতো যেন উনিই এ্যাক্টিং করছেন ।ফজলু ভাই নাকি ক্যারাটি জানতেন । তার ওস্তাদ এর নাম ছিল সুনীল বঙ্গোপাদ্ধায় । 😛

ফজলু ভাই এর একটি বিখ্যাত চাপা যা না শেয়ার করে পারছি নাঃ

ফজলু ভাই নাকি এক বড় লোকের মেয়েকে ভালবাসতেন ।তাদের ভিতর অনেক দিন ধরে প্রেম ।কিন্তু মেয়ে পক্ষের বাবা মা এতে রাজি নয় ।তাই সে ওই মেয়ের বাসাতেও যেতে পারে না ।একদিন উনার ওই মেয়েকে দেখতে খুব ইচ্ছা হল । ওই মেয়ে থাকতো ৫ তলায় ।তো ফজলু ভাই ওই রাতে ওই মেয়ের বাসার সামনে গেলো ।দড়ি বেয়ে বেয়ে বাড়ির ৫ তলায় উঠলো ।তারপর ওই মেয়েকে নিয়ে বাসার ছাদে গেলো । অনেকক্ষণ গল্প করলো ।তারপর হঠাৎ দেখা গেলো ওই মেয়ের বাবা – মা বাড়ির ছাদে এসে হাজির ।

আমরা তখন ফজলু ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম যে এরপর কি হল ?

তখন ফজলু ভাই বললেনঃতখন আমি প্যারাসুটে করে বাসার ছাঁদ থেকে নিচে নামলাম ।

আমরাঃফজলু ভাই আপনি প্যারাসুড পেলেন কিভাবে ?

ফজলু ভাইঃ আরে বাড়ির ছাদে একটা ছাতা ছিল ।ছাতা আর প্যারাসুড তো একই ।প্যারাসুটের বিকল্প হিসেবে ছাতা ব্যবহার করা যায়।তোমরা চাইলে বাসায় পরীক্ষা করে দেখতে পারো । :khekz:

আমরা মনে মনে বললাম আপনার কথা শুনে হাত পা ভাঙবো নাকি ?

ভেবেছিলাম এই খানেই লেখাটা শেষ করবো কিন্তু লিখতে লিখতে আরও অনেক মজার সৃতি মনে পড়লো ,যে গুলো শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না ।শিরোনাম আর পরিবর্তন করলাম না ।শিরোনাম টা খুব পছন্দ হইছে 😀

এক এক্সকার্সনে গিয়ে অ্যাডজুটান্ট স্যার আমাদের ঠিক ঠাক মতো থাকার ব্যাপারে সতর্ক করতে গিয়ে বলে ফেলেছিলেনঃ

Don’t fall, don’t die.If u die,then I will kill u =))

 

সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে ।পুকুরে প্রতিযোগীদের ড্রাইভ ।হঠাৎ অর্ধেক পুকুরে যেয়ে একটা প্রতিযোগী ক্যাডেট এর চিৎকারঃ বাঁচাও, টায়ার লাগবে । এমন ভাবে বলছিল যেন এক নন সুইমার পানিতে পরে গেলে যেমন অবস্থা হয় সেই রকম । 😀

সেই ক্যাডেট আমার হাউসের না । আমি সিরাজী (লাল) হাউসের ক্যাডেট ।সিরাজী হাউস একটানা ১৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো সুইমিং এ ।আর ওই ক্যাডেট

ছিল রেজা শাওন ভাই এর হাউসের। :Dরেজা শাওন ভাই এই ব্লগের নিয়মিত পাঠক এবং লেখক ।তিনি এই লেখা পড়লে এসে বলে যাবেন তিনি কোন হাউসের । 😛

 

এই বার একজন খাদক ক্যাডেট এর কাহিনী বলি ।আমি ২৬ তম ব্যাচ ।২৯ তম ব্যাচে একজন খাদক ক্যাডেট আসল ।এসেই মোটামুটি খাওয়ার ব্যাপারে কলেজে ব্যাপক নাম কুরালো :Pসকালে ব্রেকফাস্টে সর্বচ্চ মনে হয় তখন ২৭-২৮ টি ব্রেড খাবার রেকর্ড ছিল শুনেছিলাম ।ওই খাদক ছেলেটি ছিল আমার হাউস এর ।আমাদের হাউসের সব টেবিল লিডাররা ঠিক করলো যে ওকে দিয়েই রেকর্ড ভঙ্গ করাতে হবে ।তো যে কথা সেই কাজ, বিভিন্ন টেবিল লিডারদের উদ্যোগে যেদিন সকালে ব্রেড ছিল ওই দিন বিভিন্ন টেবিল থেকে খাদক কে ব্রেড সাপ্পলাই দেয়া হল।তো খাদকের খাওয়া শুরু হয়ে গেলো ।রেকর্ডের অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছে গেলো সে । ডিউটি ক্যাডেট বেল দিয়ে দিয়েছে ।খাবার টাইম শেষ । কিন্তু খাদক খেয়েই চলেছে । তাকে যে রেকর্ড ভাঙতে হবে । :Pরেকর্ড হতে যখন ১টা ব্রেড বাকি তখন মেস ওআইসি খাদকের সামনে হাজির ।

-কি ব্যাপার তোমার খাওয়া শেষ হয় নি?

– রেকর্ড হতে আর ১টা ব্রেড বাকি আছে । 😛

মেস ও আইসি তো শুনে হা । ছেলে এসব কি বলে ?কিন্তু ওই খাদক কিন্তু ঠিকি রেকর্ড ভেঙ্গেছিল 😀

তারপরে একদিন প্যারেন্টস ডে তে ওই খাদক খেতে খেতে অজ্ঞান হয়ে গেছিলো ।পরে জ্ঞান ফিরার পর সে আবার খেতে চেয়েছিল ।এই কথাটা ওর ব্যাচমেট দের কাছ থেকে শুনা । 😀

 

বাংলা সাবজেক্টে আমার কলেজে অনেক দুর্বলতা ছিল ।সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্যার এর একটি পাক্ষিক পরীক্ষা ছিল।স্যার যেদিন ক্লাস এ পাক্ষিক পরীক্ষার নাম্বার দেন সেই দিন এর কিছু ঘটনা বলছি।

-শরিফ কে দাঁড়াও।

-স্যার বলুন ।

-তুমি আর তোমার বাবা-মা কি এতো দিন বিদেশে ছিলে? 😛

-কেন স্যার?

– তুমি তো বাংলার কিছুই জাননা ।তুমি বাংলায় ২ পেয়েছ ।

পরে খাতা খুলে দেখি আসলেই ২ পেয়েছি ।

ওই পরীক্ষায় অনেকেই ৫,৮, ১০ এই রকম করে পেয়েছিল ।

স্যার আরও একটি পাক্ষিক পরীক্ষা নিয়েছিলেন। ওই পরীক্ষাতে স্যার ২টা প্রশ্ন দিয়েছিলেন ।একটা প্রশ্নে ছিল ১০ মার্ক আর অন্য প্রশ্নে ছিল ১৫ মার্ক ।ওই পরীক্ষার নাম্বার দেয়ার পরে আমার এক বন্ধু তার খাতা খুলে দেখে যে প্রশ্নে ছিল ১০ মার্ক সেটাতে সে ৯ পেয়েছে আর যে প্রশ্নে ছিল ১৫ মার্ক সেটাতে সে ০ পেয়েছে 😛

এখন পাশ করার জন্য ১ মার্ক লাগবে ।তখন সে স্যার এর কাছে গেলো ।স্যার এর কাছে যেয়ে বলল স্যার আর ১ নাম্বার দিয়ে আমাকে পাস করিয়ে দেন ।তখন স্যার হেসে হেসে বলেন,”আরে বোকা বলে কি? শুন্য ও তো একটা নাম্বার ।” :khekz:

তাহাজ্জত স্যার এক পরীক্ষায় একবার একটা দরখাস্ত লিখতে দিয়েছিল ঢাকার কোন এক কলেজ বরাবর ।তো আমি খুব সুন্দর করে দরখাস্ত লিখি ।ওই দিন পরীক্ষার আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন এর স্টেডিয়াম এর কথা কিভাবে যেন মাথার ভিতর ঢুকে গিয়েছিল।তো দরখাস্ত শেষ করার পরে ঢাকার কোন কলেজের কথা কিভাবে যেন মনে পড়ছিল না ।আর পরীক্ষা শেষ হতেও আর বেশি সময় নেই। মাথার ভিতর ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়াম এর কথা ঢুকে আছে ।এর ফলে যা হবার তাই হল ।লিখে দিয়ে এলাম কলেজের জায়গায় ঢাকা ইডেন কলেজ । 😛 পরীক্ষা দিয়ে মনে হল এ কি করলাম আমি ?এইবার কপালে খবরি আছে ।তো যেদিন পরীক্ষার খাতা দেয় সেদিন খাতায় দেখি ওই দরখাস্তে প্রথমে ১০ এর ভিতর স্যার ৮ দিয়েছিল ।পরে ওই কলেজের নাম খেয়াল করাতে আমাকে ১০ এর ভিতর ২ দিয়েছে ।পরে স্যার আমাকে ডেকে বলেঃ মন কি সব সময় ইডেন কলেজের দিকে থাকে নাকি ? 😛

এক বড় ভাই এর কাহিনী শুনছিলাম ।ওই সময় পরীক্ষায় একটা প্রশ্ন আসছিল যে পদ্মা নদীর মাঝে উপন্যাস অবলম্বনে জেলেদের জীবন চিত্র অঙ্কন করো ।

ওই ভাইয়া নাকি সুন্দর করে পেন্সিল দিয়ে জেলেদের,নৌকার আর নদীর ছবি একে জেলেদের জীবন চিত্র অঙ্কন করে দিয়েছিলেন =))

 

ক্লাস ৭ এ থাকতে আমার ঘন ঘন চোখের পলক পড়তো ।অনেক সিনিওর ভাইয়া সতর্ক করে দিয়েছিলেন এই পলক পরার বদভ্যাস কমাতে ।তো একদিন একাডেমীতে যাবার সময় আমার কোন ভাবে একটু লেট হয়ে গেছিলো ।একাডেমী ব্লকে যাবার সময় হঠাৎ নাদিরা ম্যাদাম এর সাথে দেখা ।নাদিরা ম্যাদাম হেঁটে যাচ্ছেন ।আমি ম্যাডাম কে সালাম দিলাম ।আর ওইখানেই বিপত্তি টা ঘটে ।ম্যাডাম আমার সালামের উত্তর দিতে গিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থেমে যান ।তখনি বুঝে নিয়েছি যা হবার তা হয়ে গেছে ।ম্যাডাম হয়ত মনে করেছেন আমি উনাকে চোখ মেরেছি ।ম্যাডাম দাঁড়িয়ে গেলেন জন্য আমিও দাঁড়িয়ে গেলাম ।এর পর বিপত্তি টা আরও বেশি ঘটে ।কেমন যেন একটা ভয় কাজ করতেছিলো ।সেই ভয়ে আমার চোখের পলক আরও বেশি করে পরছিল ।ম্যাডাম এর দেখি চোখ বড় বড় হয়ে আসছে আস্তে আস্তে ।আমার মনে হচ্ছিলো আমার হাত টা চোখের উপর দেই যেন ম্যাডাম আমার চোখ না দেখতে পারেন ।পরে অনেক ক্ষণ পর ম্যাডাম বলেন তোমার চোখের পলক কি বেশি পরে ?আমি বললাম জি ম্যাডাম ।ম্যাডাম বললেন এইটা ঠিক করো ।আমি বললাম জি ম্যাডাম।পরবর্তিতে আমি অনেক কষ্ট করে এই বদভ্যাস তা নিয়ন্ত্রণে আনি

 

গনিতের আব্দুর রফিক স্যার ।আমরা ক্লাস এ ঘুমালে স্যার কিছু বলতো না ।স্যার পড়িয়ে যেতেন ।আর আমাদের ক্লাস এ অনেকেই ঘুমাতো ।আর পরীক্ষার আগে স্যার যখন Self Study দিতেন তখন স্যার স্যার এর মতো উনার ডায়াস এ ঘুমাতেন আর আমাদের অনেকে ডেস্কে মাথা দিয়ে ঘুমাতেন।A সেকশন এর তখন ফর্ম লিডার ছিল রাজু ।রাজুর ডেস্কের কাভার বন্ধ করার সময় একটা বিকট শব্দ হয়েছিলো ।এতে করে স্যার এর ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল ।তখন স্যার এসে রাজুর কান ধরে বলেছিলেনঃ

-তুমি যখন ঘুমাও আমি তখন ডিস্টার্ব করি ? :))

আব্দুর রফিক স্যার একদিন তার মুখের মোচ কেটে ফেললেন ।ক্লাস এর একজন স্যার কে প্রশ্ন করেছিলঃ স্যার আপনি মোচ কাটলেন কেন ?

স্যার বললেনঃদুনিয়া বদলে যাচ্ছে ।আমি না বদলে পারি? 😀

 

 

২,৪৭৭ বার দেখা হয়েছে

৩৩ টি মন্তব্য : “প্যারাসুটের বিকল্প হিসেবে ছাতা ব্যবহার করা যায়”

  1. নাজমুল

    ফজলু ভাইয়ের প্রেমের কাহিনী মনে হয় ব্যাচ ভেদে পরিবর্তিত হয়। আমাদের কাছে যে কাহিনী কইছিল সেইটা একটা বিশেষ শ্রেনীর সাহিত্যের ক্যাটাগরিতে পড়ে, যা এখানে ছাপার অযোগ্য...... 😉

    জঘন্য হাতের লেখার জন্য বাংলার সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্যার আমারে মাঝে মাজেই বকা জকা করতো। একদিন হাতের লেখা চর্চা করতে কারো একটা খাটা আইনা দিলো। জিগাইলাম কার খাতা? স্যার কইলো তার মেয়ের। সাথে সাথে আরো ২-৩ জন বলে উঠলো "স্যার, আমারো হাতের লেখা প্র্যাকটিস করা লাগবে?"

    সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্যারের একটা বিখ্যাত উক্তি ছিলো, "বাংলা সাহিত্যে মানসম্পন্ন ঔপন্যাসিক মাত্র ২ জন; ১ম জন শরৎচন্দ্র, ২য় জন সৈয়দ নুরুল ইসলাম"

    পরীক্ষার খাতায় চিত্রাংকনের কথায় মনে পড়লো, আমাদের এস এস সি পড়ীক্ষায় ইংরেজী ২য় পত্রে একটা রচনা আসছিলো "Jackfruit". খালেল বসেছিল আমার ডান দিকের ১ সিট পিছে। পরীক্ষার খাতা একটু আগে জমা দিয়ে দেয়ায় বাইর হইয়া যাওয়ার সময় দেখি, খালেদ খাতায় কাঁঠালের ৩টা ছবি আঁকছে। ১টা পূর্ণাংগ, ১টা লম্বচ্ছেদ, ১টা প্রস্থচ্ছেদ। খালেদ এস এস সি তে ইংরেজী ২য় পত্রে লিখিত অংশে আমাদের ব্যাচের সর্বোচ্চ নম্বর পাইছিল।

    আরো টুকরো টুকরো ঘটনা মনে পড়তেছে। লিখতে পারলে কোন এক সময় পোস্ট আকারে দিয়ে দিব......

    @শরীফঃ তোমার লেখাটা ভালো লাগলো......

    (পকক/ '৯২-'৯৮)

    জবাব দিন
  2. রেজা শাওন (০১-০৭)

    কী চমৎকারভাবে টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো তুলে এনেছ...!! লেখা ভাল হয়েছে। আরও লেখা আসুক।

    আর তুমি যে সুইমারের কথা বলেছ, সেও সিসিবির নিয়মিত লেখক। সে নিজে থেকেই তার বীরত্বগাঁথা স্বীকার করুক। সেটাই ভাল হবে। 😀 😀

    জবাব দিন
  3. ফখরুল (১৯৯৭-২০০৩)

    যা শুনেছো ভুল শুনেছো। আমার চোখের সামনে ৯৭ থেকে ২০০২ পর্যন্ত ভাসানী হাউস একটানা সুইমিং চ্যাম্পিয়ান ছিল। আর ক্লাস সেভেনে শরিফুল ভাই ফাত্তাহ ভাইদের মত কিংবদন্তী সাঁতারু দেখেছি। তাঁরা নিশ্চয়ই আগের বছরগুলোতে হাউসকে সেকেন্ড বা থার্ড বানান নি। তাই তোমার অবস্থানকালে সিরাজী হাউসকে ১৪বার টানা চ্যাম্পিয়ান দেখা অসম্ভব।

    জবাব দিন
  4. ইকবাল (০৪-'১০)

    শরীফ ভাই... আপনাদের লিডিং এ তিতুমীর হাউস চ্যাম্পিয়ন হইছিল।মনে আছে? হাউস প্রিফেক্ট শাহিন ভাই আমারে অফার দিসিল যদি কোনভাবে পঞ্চম হইতে পারি তাইলেই কোঁক। আলহামদুলিল্লাহ দুই ইভেন্টে দুইটা কোক জিতসিলাম 😛

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : শরিফ (০৩-০৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।