ইমরান ভাই এর কলেজ তাণ্ডব !!!!!!

কিছু দিন আগে রাজশাহীতে সকল এক্সক্যাডেট নিয়ে হলো গেট টুগেদার ।সেই খানে ইমরান ভাই এর সাথে পরিচয় ।ইমরান ভাই পাবনা ক্যাডেট কলেজ(আমার কলেজ) এর ১৪ তম ব্যাচ এর একজন এক্সক্যাডেট।গেট টুগেদার এর অন্যতম স্পন্সর ।উনার বাড়িও পাবনা ।সবসময় পাবনার ভাষায় কথা বলেন ।উনার সাথে পরিচিত হবার পর উনার কাছ থেকে তার কলেজ লাইফ এর কিছু মজার ঘটনা শুনি ।সেই ঘটনা গুলো মোটামুটি বর্ণনা করছি :

১)একদিন ইমরান ভাই ও উনার সাথে দুইজন বন্ধু মিলে গেমস টাইম এ ডাব পারতে যান ।যথারীতি উনারা ডাব গাছে ।

হঠাৎ করে স্টাফ এর হুংকার : ইমরান গাছ থেকে নামো বলছি ।তা না হলে তোমার খবর আছে ।
ইমরান ভাই : আমার কাছে কিন্তু এখন অনেক ডাব ।বেশি প্যাঁচাল পারলে ডাব দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিব ।এখান থেকে যান ।ডিস্টার্ব করবেন না ।
স্টাফ হতবাক হয়ে অন্য স্টাফ দের ডাকতে দৌড়ে চলে গেলেন ।ইমরান ভাই দের সময় গেমস পিরিয়ড শেষ হতো বিগল এর ধ্বনির মাধ্যমে ।

যে বিগল বাজায় ইমরান ভাই তাকে বলে রেখেছিলেন :মিনিমাম দেড় মিনিট যদি তুই বিগল না বাজাস তাইলে তোর খবর আছে ।

স্টাফ যেতে না যেতেই ইমরান ভাই এর সেই প্রতীক্ষিত বিগল এর ধ্বনি শুরু হল ।স্টাফ সহো পুরো কলেজ সাবধান ।কেউ নড়াচড়া করছে না ।এই সুযোগে ইমরান ভাই ও উনার দুই বন্ধু সবার সামনে ডাব এর বস্তা নিয়ে দিলেন এক দৌড় ।সবাই দেখছে ।সাথে স্টাফ ও দেখছে ।কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেনি ।কারণ তখন বিগল এর ধ্বনি হচ্ছিল ।বিগল শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ।বিগল এর ধ্বনিও শেষ ;ইমরান ভাই এর ছাদে আম রাখাও শেষ ।

বিগল শেষ হবার সাথে সাথে সব স্টাফ রা একসাথে ,”ইমরান ডাব কোথায় ?”

ইমরান ভাই বলেন ,”কিসের ডাব?আমি তো কিছু জানি না ।”

পরে স্টাফ রা পুরো হাউস চেক করে কোন ডাব পায় নি।

২)একদিন ইমরান ভাই ফর্ম এ সিগারেট খাচ্ছেন ।তো হঠাৎ এক স্যার এসে ইমরান ভাই কে দেখে ফেলেছে ।ইমরান ভাই স্যার কে দেখে দিলেন টয়লেট এর দিকে দৌড় ।স্যার ও ইমরান ভাই এর পিছে পিছে দিলেন দৌড় ।টয়লেট এ এসে স্যার ইমরান ভাই কে ধরে ফেললেন ।

স্যার এবার ইমরান ভাই কে বললেন :ইমরান এইবার তো তুমি আমার কাছে হাতে নাতে ধরা পরলে ।এখন?

ইমরান ভাই :জি স্যার ধরা পড়লাম ।

স্যার প্রশ্ন করলেন:আর কয়টা সিগারেট আছে?

ইমরান ভাই : স্যার আপনার ভাগ্য খারাপ ।এইটাই ছিল শেষ সিগারেট ।

ইমরান ভাই :স্যার মাফ করে দেন ।

স্যার :তোমার কোন মাফ নাই।

অতঃপর স্যার প্রিন্সিপাল এর কাছে রিপোর্ট করে ইমরান ভাই এর ৫০০০ টাকা জরিমানা আর প্যারেন্টস কল এর ব্যবস্থা করালেন ।আর নোটিশ দেয়ালেন ,” টয়লেট এ স্মোকিং করে হাতেনাতে ধরা পড়ার জন্য ক্যাডেট ইমরান কে ৫০০০ টাকা জরিমানা আর প্যারেন্টস কল দেয়া হল ।”

অবশেষে এল সেই প্যারেন্টস ডে এর দিন ;দুঃখিত প্যারেন্টস কল এর দিন ।প্রিন্সিপাল এর রুম এ ইমরান ভাই ও উনার প্যারেন্টস ।

ইমরান ভাই :যিনি আমার নাম এ কমপ্লেইন করেছেন উনাকে একটু ডাকলে ভাল হয় ।

অবশেষে প্রিন্সিপাল এর রুম এ সেই রিপোর্টকারী স্যার এর উপস্থিতি ।

ইমরান ভাই :স্যার আপনি তো আমার নাম এ রিপোর্ট করছেন ।তো আপনাকে আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই ।

স্যার :বলো তোমার প্রশ্ন ।

ইমরান ভাই :আপনি আমার নামে নোটিশ লেখাইছেন যে,”টয়লেট এ স্মোকিং করে হাতেনাতে ধরা পড়ার জন্য ক্যাডেট ইমরান কে ৫০০০ টাকা জরিমানা আর প্যারেন্টস কল দেয়া হল ।”আপনার যে সব বন্ধু স্মোকিং করে তাদের কাছে শুনে দেখেন তো কেউ শর্ট টয়লেট এ গেলে স্মোকিং করে কিনা? লং টয়লেট এ গেলে স্মোকিং করে ।আপনি আমাকে হাতে নাতে ধরলেন কিভাবে ?তার মানে কি আপনি………………………. 😛

এই রকম বিব্রতকর প্রশ্নের বেরাজালে আটকে পড়ে স্যার চাপের মুখে ইমরান ভাই এর জরিমানা মউকুফ করাতে বাধ্য হয় ।

৩)কলেজ এ নতুন এক স্যার এসেছেন ।লেকচার দেয়া শুরু করেছেন ।হঠাৎ খেয়াল করেন একটা ছেলে অন্যদিকে তাকিয়ে বসে আছে ।তার ডেস্কে এর উপরে কোন বই খাতা নেই ।এমতাবস্থায় ——

স্যার :এই ছেলে তোমার নাম কি?

ইমরান ভাই:স্যার ,ইমরান ।

স্যার :তোমার বই,খাতা কই?

ইমরান ভাই :স্যার ডেস্কের এর চাবি আনিনি ।

ক্লাস এর অন্য ছাত্র এর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ :এই তোমাদের কারো কাছে এক্সট্রা বই আছে?

একজন এর সাড়া পাওয়া গেল ।ওই ছাত্রের কাছ থাকে বই নিয়ে স্যার যখন ইমরান ভাই কে বই দিতে যাচ্ছেন তখন ——-

ইমরান ভাইঃস্যার আমি অন্যের বই পড়ি না ।

৪)কলেজ এ নতুন ইংরেজি শিক্ষক(কায়সার স্যার) এসেছেন ।ইমরান ভাই কায়সার স্যার এর কাছে পারসোনালি দেখা করতে গেছেন ।

ইমরান ভাই :স্যার আপনি বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কেমন পারেন ?

স্যার কিছুটা অবাক হয়ে :কেন হঠাৎ এই প্রশ্ন ?

ইমরান ভাই :স্যার একটা বাংলা প্রেম পত্রের ইংরেজি অনুবাদ করতে পারবেন ?

স্যার ছিল খুব ফ্র্যাঙ্ক ।তিনি বললেন ,”সবাই তো প্রেম পত্র বাংলায় দেয় কিন্তু তুমি ইংরেজিতে দিবে কেন?”

ইমরান ভাই :যাকে প্রেম পত্র দিব সে তো আর বাংলা বুঝবে না ।তাকে হয় হিন্দি না হয় ইংরেজিতে চিঠি লিখতে হবে

স্যার :তা মেয়েটা কে?

ইমরান ভাই :মেয়েটা হচ্ছে শিল্পা শেঠী

ইমরান ভাই এর কথা শুনে স্যার মুচকি হেসে চলে গেলেন ।

৫)ধারাবাহিক গল্প বলা প্রতিযোগিতায় ইমরান ভাই এক জন প্রতিযোগী ।প্রতিযোগিতার ৩য় বক্তা হচ্ছেন ইমরান ভাই ।১ম দুই প্রতিযোগী খুব কষ্ট করে বিভিন্ন চরিত্র আবিষ্কার করলেন এবং গল্পটাকে একটা ভাল দিকেই মোর নেয়াচ্ছিলেন ।৩য় বক্তা হিসেবে ইমরান ভাই এসে গল্পের সব চরিত্র বিভিন্ন ভাবে মেরে ফেললেনচতুর্থ বক্তা হিসেবে যিনি আসলেন তিনি খুব বিপদে পড়লেন এবং ৩০ সেকেন্ড এর বেশি গল্প চালিয়ে যেতে পারলেন না । 😀

৬)ইমরান ভাই যখন ক্লাস ৯ এ তখন রাতের বেলা ক্লাস ১২ এর সাথে ক্লাস ৯ এর একটা ঝামেলা হয় ।রাত ১ টার সময় প্রিন্সিপাল হাউস এ আসেন ।কলেজে অনেক দুস্তামি করলেও প্রিন্সিপাল স্যার এক জন প্রিয় পাত্র ছিলেন ইমরান ভাই ।কলেজ এ গেমস এর সমার্থক শব্দ ছিলেন ইমরান ভাই ।ফুটবল আর ক্রিকেট এর ক্যাপ্টেন ছিলেন ইমরান ভাই ।তো প্রিন্সিপাল স্যার এর সাথে ইমরান ভাই এর কিছু কথোপকথন ——

প্রিন্সিপাল স্যার :এত রাতেও তোমাদের জন্য আবার আমাকে হাউস এ আসতে হল ।এখন আমাকে একটা নামের লিস্ট দাও যে কারা কারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল ।

ইমরান ভাই তখন ওই ঘটনার সাথে ক্লাস ১২ এবং ক্লাস ৯ এর যেসব ক্যাডেট সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের সবার নাম দিলেন ।সেই সাথে তিনি স্যার দের কাছে কলেজে সব চেয়ে ভাল ছেলে বলে পরিচিত ২ জন ক্লাস ৯ এবং ক্লাস ১২ এর ক্যাডেট এর নাম ওই লিস্ট এ দিয়ে দিলেন

সেই লিস্ট দেখে প্রিন্সিপাল স্যার :ইমরান তোমার সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু তোমার এই লিস্ট এ আমি এমন ৪ জন ছেলেকে দেখছি যাদের আমি ভাল বলে জানি এবং তারা এই ঘটনায় জড়াবে বলে আমার মনে হয় না ।

ইমরান ভাই :আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত সব ক্যাডেট এর নাম দিয়েছি ।এখন বিচার করলে আপনার সবাই কে বিচার করতে হবে আর তা না হলে সবাই কে মাফ করতে হবে ।

পরের দিন স্টাফ লাউঞ্ছে এই ব্যাপারে মিটিং হয় ।আর লিস্ট এ ওই ৪ জন ভাল ক্যাডেট এর নাম দেখে সবাই অবাক হয় ।অনেক আলোচনার পর সবাই কে মাফ করে দেয়া হয় ।

ইমরান ভাই এর ওই বুদ্ধিমত্তার জন্য সবাই মাফ পায়

তো ইমরান ভাই এর আর কলেজ এ থাকতে ভাল লাগছে না ।এবার হাউস মাস্টার এর সাথে ঝামেলা করার ইচ্ছা হয়েছে ।হাউসমাস্টার এর রুম এর সামনে যে রুম আছে ওই রুম এর জানালায় অনেকগুলো পিটি সু ঝুলিয়ে রাখলেন যাতে হাউসমাস্টার উনার রুম থেকে বেরিয়ে ওই পিটিসু গুলো দেখলে রেগে যান ।তো হাউসমাস্টার রুম থেকে বেরিয়ে ওই জুতা গুলো খেয়াল করেন নি এবং চলে যাচ্ছিলেন ।এতে করে ইমরান ভাই এর তো মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেল।তিনি তখন তার খাটের তক্তা দিয়ে জানালার কাচ ভাঙতে শুরু করলেন ।এবং ভাঙা কাচ গুলো আবার ভাঙতে শুরু করলেন ।কাচ ভাঙার শব্দ সুনে হাউসমাস্টার ছুটে চলে এলেন ।দেখলেন যে, ইমরান ভাই কাঁচ ভাঙছেন ।হাউসমাস্টার তখন এই দৃশ্য দেখে হাউসবেয়ারা কে কর্কশ কণ্ঠে ডাক দিয়ে বললেন,” তোমরা থাকতে ইমরান কে কেন কাঁচ কুড়াতে হচ্ছে ?যাও কাঁচ তুলে বাইরে ফেলে দাও ।” এতে করেই বোঝা যায় যে হাউসমাস্টার ইমরান ভাইকে কত টা ভয় পেতেন । 😛

অনেক ধরনের ইন্ডিসিপ্লিন কাজ করে যখন কলেজ আউট হতে পারছেন না ইমরান ভাই তখন একটা শেষ পন্থা বেছে নিলেন ।এবার আর লাইব্রেরি এর সামনে গিয়ে আরিফ ভাই আর ইমরান ভাই স্মোকিং করা শুরু করলেন ।আরিফ ভাই ইমরান ভাই এর ব্যাচমেট এবং ইমরান ভাই এর বিভিন্ন কাজের এর সঙ্গী ।তাদের স্মোকিং করতে দেখে লাইব্রেরিয়ান হাউস মাস্টার কে কমপ্লেইন করে ।হাউসমাস্টার ইমরান ভাই আর আরিফ ভাই কে ডেকে পাঠান ।ইমরান ভাই আর আরিফ ভাই উলটা হাউসমাস্টার কে তাদের কাছে আসতে বলেন ।হাউসমাস্টার ভিপি স্যার কে জানান এবং ভিপি স্যার উনার দুই জন কে ডেকে পাঠান ।একইভাবে ইমরান ভাই আর আরিফ ভাই উলটা ভিপি স্যার কে তাদের কাছে আসতে বলেন ।ভিপি স্যার এবার এডজুটেন্ট স্যার কে কমপ্লেইন করেন ।এডজুটেন্ট স্যার ভাইয়াদের ডেকে পাঠান ।এই বার উনারা এডজুটেন্ট এর কাছে যেতে রাজি হয় (আর্মি পারছোন তো) ।

এডজুটেন্ট এর রুমে গিয়ে ভাইয়ারা বলেন ,” আমরা আর কলেজ এ থাকব না ।আমাদের কলেজ আউট করার ব্যবস্থা করেন ।”এডজুটেন্ট স্যার বলেন “কলেজ আউট হলে লাখ টাকার উপরে জরিমানা দিতে হবে ।”ইমরান ভাই বলেন ,”মাত্র ৫০০০ টাকা দিব ।”(ইমরান ভাই যেন কই থেকে খোজ পাইছিলেন যে কলেজ আউট হতে গেলে প্রতি বছর মাত্র ৫০০০ টাকা করে দিলেই হয় এবং একটা ডকুমেন্টও সংগ্রহ করে রেখে ছিলেন ।)এডজুটেন্ট স্যার বললেন ,” এটা কি মাছের বাজার নাকি যে দামাদামি করছ ?” ইমরান ভাই বলেন ,”আমরা ডকুমেন্টও সংগ্রহ করে রেখেছি ।এই নিন ডকুমেন্ট।এডজুটেন্ট স্যার ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে বললেন ,”আমি তোমাদের আর এই ডকুমেন্ট দিব না।এখন কি করবা?”ইমরান ভাই হাসতে হাসতে বল্লেন,”এটা তো ফটোকপি ।আসল কপি তো আর্মি হেড কুয়ার্টারে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং কলেজ আউট হওয়ার ব্যাপারে দরখাস্তও দিয়েছি । এখন আপনারা দরখাস্ত দিন। অনেক কথা হবার পরে এডজুটেন্ট স্যার বলেন,”ঠিক আছে আমি দরখাস্ত করবো । “ইমরান ভাই বলেন ,” আপনাদের এখানে ফ্যাক্স আছে না ।ফ্যাক্স করেন।”এডজুটেন্ট স্যার বললেন,”তোমার কথা মত করতে হবে ?” ইমরান ভাই বললেন ,”না ঠিক তা নয় ।ফ্যাক্স করলে প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন হতো ।”এডজুটেন্ট বললেন, ” না আমি দরখাস্ত পাঠাবো ।”

 

এই ভাবে ক্লাস XI এ থাকতে ইমরান ভাই কলেজ থেকে চলে যান ।আমি এই কাহিনীগুলো ইমরান ভাই এর কাছ থেকে শুনেছি । ইমরান ভাই মানুষ হিসেবে খুব রসিক এবং ক্যাডেটদের বিভিন্ন অনুস্থানে তিনি টাকা খরচ করতে দ্বিধা করেন না ।যেদিন রাজশাহীতে সকল এক্সক্যাডেট নিয়ে হলো গেট টুগেদার হয় তার আগের রাত্রিতে আমরা জিয়াউল কবির ভাইয়ার (গেট টুগেদার এর অন্যতম আয়োজক এবং স্পন্সর ) বাসায় ছিলাম গেট টুগেদার এর কিছু কাজ করতে ।ওই রাত্রিতেই ইমরান ভাই জিয়াউল কবির ভাই(এক্স-পিসিসি) এর বাসায় আসেন এবং উনার কাছ থেকেই এই গল্প গুলো শুনি ।ওই রাত্রিতে জিয়াউল কবির ভাই এর বাসায় সুমন ভাই(এক্স-বিসিসি),জামিল ভাই(এক্স-পিসিসি),নাহিদ ভাই(এক্স-পিসিসি),ওমর(এক্স-পিসিসি) ছিলেন যাদের গেট টুগেদার এর পিছনে অবদান অতুলনীয় ।জিয়াউল কবির ভাই এর বাসায় ওই রাতে না থাকলেও সাহেদ ভাই (এক্স-পিসিসি,জিয়াউল কবির ভাই এর ব্যাচমেট),সিফাত(এক্স-এমজিসিসি),কলি(এক্স-এমজিসিসি) এর অবদান ভোলার নয় এবং অনেক পরিশ্রম করেছেন ।এছাড়াও মিকু ভাই(এক্স-এফসিসি), বদরুল ভাই(এক্স-এফসিসি),জিয়া ভাই(এক্স-এফসিসি),গালিব ভাই(এক্স-এসসিসি) ও আরও নাম না জানা অনেক ক্যাডেট এর অবদান এবং অনুপ্রেরণা ছিল অনস্বীকার্য ।গেট টুগেদার এর ওই দিন টি আমার লাইফ এর একটি অন্যতম স্মরণীয় দিন এবং আমি ওই দিন টা কখনই ভুলবো না ।দোয়া করি যেন মরণের আগ পর্যন্ত এই ক্যাডেট পরিবার এর সঙ্গেইথাকতে পারি ।কখনও যাতে আলাদা না হই ।

(ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এইটাই আমার ১ম লেখা ।ভুল ভ্রান্তি মার্জনার চোখে দেখবেন ।) 🙂

২,১২৫ বার দেখা হয়েছে

৫৭ টি মন্তব্য : “ইমরান ভাই এর কলেজ তাণ্ডব !!!!!!”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    মজা পেলাম, কলেজের টিচারদের কথা চিন্তা করলে আমার মাঝে মাঝে দুঃখই হয় 😛

    ব্লগে স্বাগতম শরীফ... এবার হাত খুলে লেখা শুরু করো, হ্যাপি ব্লগিং।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ব্লগে স্বাগতম।

    পোস্ট টা বেশ কয়েকবার পড়েছি এবং আমি দুঃখিত পোস্টের ব্যাপারে কিছু অপ্রিয় কথা আমাকে বলতে হচ্ছে লেখকের আমার আমাদের সিসিবির সব স্বার্থ বিবেচনা করে।

    প্রথমত সিসিবিতে লেখার বিষয়বস্তুর ব্যাপারে লেখকের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। এখানে গুরু গম্ভীর আলোচনা যেমন হয় তেমনি হালকা চালের আড্ডা কিংবা কলেজের মজার স্মৃতিচারণ এসবও হয়। তবে স্মৃতিচারণ ব্লগের বেলায় লেখকের কিছু বিষয়ে দৃষ্টি রাখা আবশ্যক যেটা এই ব্লগে ব্যাহত হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এই পোস্টটা পড়ে আমার খারাপ না ভালো লেগেছে তার বিচারে আমি যাবো না, তবে ইনফরম্যাল আড্ডায় এ জাতীয় গল্প যে আমি আমরা সবাই করি সেটা স্বীকার করে নিচ্ছি আগেই। তবে তার পরেও কেন আমি আপত্তি তুলছি?
    প্রথমত ক্যাডেট কলেজ ব্যাচ কিংবা কলেজের নিজস্ব গ্রুপ আছে ফেসবুক কিংবা ইয়াহুতে। সেখানে ইনফরম্যাল আড্ডায় যা বলা যায় কমিউনিটি ব্লগে সেটা বলা যায় কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন থাকছেই। সবকিছুর শেষে এই সিসবি কিন্তু বাইরের মানুষের কাছে ওপেন এবং তারা এর মাঝে দিয়ে ক্যাডেট কলেজ দেখতে পায়।
    আমার আপত্তির জায়গা লেখকের ভিউ পয়েন্টে এবং উপস্থাপনায়। ঘটনা গুলোর আলাদা পর্যালোচনায় গেলাম না, তবে পোস্ট টা যেহেতু জনৈক মহামানব(!!) এর নামে উৎসর্গ করা অতএব তাকে বিশেষ কিছু হতেই হবে। সুতরাং তিনি লেখকের কাছে সুপার হিরো , তা না হোক নিদেন পক্ষে বস লেভেলের অনুসরণীয় লোক। যিনি স্যার স্টাফ এডজুট্যান্ট দের দৌড়ের উপর রাখতেন। লেখকের কাছ থেকে যার সবচেয়ে ভালো গুণ যেগুলো পাওয়া গেলো,

    ইমরান ভাই মানুষ হিসেবে খুব রসিক এবং ক্যাডেটদের বিভিন্ন অনুস্থানে তিনি টাকা খরচ করতে দ্বিধা করেন না ।
    ইমরান ভাই এর ওই বিচক্ষণতার জন্য সবাই মাফ পায় ।
    কলেজ এ গেমস এর সমার্থক শব্দ ছিলেন ইমরান ভাই ।ফুটবল আর ক্রিকেট এর ক্যাপ্টেন ছিলেন ইমরান ভাই ।

    ভালু, ভালু। এই গুণ গুলো একটা লোকের শিরোনাম হওয়ার জন্য যথেষ্ট কিনা চিন্তা করতেসি !!!!

    যাহোক ১ নং ঘটনা আর ৪ নং ঘটনা থেকে তার রসবোধের কিঞ্চিত পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্য ঘটনা থেকে মূলত কী পরিচয় পাই!!!

    :আমাকে এই সব ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না ।যান তো এখান থেকে (মুখে বিরক্তির চিহ্ন )।
    আপনি আমার নামে নোটিশ লেখাইছেন যে,”টয়লেট এ স্মোকিং করে হাতেনাতে ধরা পড়ার জন্য ক্যাডেট ইমরান কে ৫০০০ টাকা জরিমানা আর প্যারেন্টস কল দেয়া হল ।”আপনার যে সব বন্ধু স্মোকিং করে তাদের কাছে শুনে দেখেন তো কেউ শর্ট টয়লেট এ গেলে স্মোকিং করে কিনা? লং টয়লেট এ গেলে স্মোকিং করে ।আপনি আমাকে হাতে নাতে ধরলেন কিভাবে ?তার মানে কি আপনি
    কলেজ আউট করালেও আমি পাবনাতেই থাকব ।তখন দেইখেন আমি কি করি ?

    বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলের চেয়ে আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

    শেষের নাম্বার ছাড়া কাহিনীর মাঝে বেয়াদবির নমুনা দুর্দান্ত। বাপের টাকা থাকলে গরম দেখিয়ে রাজার মতো ক্যাডেট কলেজে থাকতে পারি , এই জ্ঞান সবাইকে দিয়ে দেয়া হলো ।আদতে কতটুকু ঠিক!! আড় ঠিক হলেই এই ব্যাটা সবার রোল মদেল হয়ে গেলো সেটা খুবই দুঃখজনক। স্যারদের সাথে মুখে মুখে কথা কাটাকাটি করা বেয়াদবি গলা কী ক্যাডেট কলেজের চিরন্তন রূপ। একটা লোক নিজে থেকে কলেজ থেকে বের হবার জন্য একের পর এক নির্লজ্জ আবাল গিরি করছে আর তাকে কাঁধে তুলে ধেই ধেই করে নেচে পোস্ট দেয়াতে আমি বিরক্তই হয়েছি।

    আমি ব্যাক্তিগতভাবে ইমরান সাহেবকে চিনি না, কিংবা তার চরিত্রের পুরা রূপটাও আমি জানি না। কিন্তু এই ব্লগের প্রেক্ষিতে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি এই জাতীয় বদমাইশ পোলাপান (দুষ্টু না খেয়াল কইরা) চার পাঁচটা থাকলে একটা ব্যাচ কিংবা ক্যাডেট কলেজ না পুরা প্রজন্মই ধ্বংস হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। আর হ্যা এক জন লোকের নাম ধরে ব্যাক্তিক বিশ্লেষণও আমার কাছে অস্বস্তি কর মনে হয়েছে। এই জাতীয় ব্যাপারে নাম পরিচয় যতটা উহ্য রাখা যায় ততোটাই ভালো।

    পরিশেষে ভাই শরিফ, তোমার জন্য কিছু কথা। এটা তোমার প্রথম ব্লগ। সেখানে এসে আমি খুব রূঢ়ভাবেই হয়তো কিছু কথা বলে ফেললাম, তবে তোমাদের এই বয়সে হয়তো একটা লোক রসিক (!!!) কিংবা কলেজে একটু উল্টা পাল্টা কাজ করলেই সুপারহিরো হয়ে যায়, কিন্তু এই ধারণাটা যাচাই বাছাইয়ের একটু দরকার আছে। সুপার হিরো মনে করো তাকেই যে সবকিছু মেইন টেন করবে (দুষ্টামিও করবে অবশ্যই) , কিন্তু এই জাতীয় অর্ধ শয়তানের বৈশিষ্ট ধারী কোন ব্যাক্তি নয়।

    আমি তোমার লেখাকে নিরুৎসাহিত করছি না। তবে এ জাতীয় বিষয় নিয়ে লেখার আগে বিষয়বস্তু বিবেচনা আর তার সুন্দর উপস্থাপনা সেই সাথে ভালো খারাপ দিক গুলোর যৌক্তিক বিশ্লেষণ জরুরি।

    তুমি আমার অনেক ছোট। সেই হিসাবেই বড় ভাই হিসাবে যেচে পরে কিছু উপদেশ বিলি করলাম।

    তোমার চিন্তা মন দীপান্বিত হোক এই কামনা রেখে গেলাম।

    আর হ্যা আবারও বলছি ব্লগে স্বাগতম। দেখ, শিখো তারপরে লিখো।

    শুভকামনা।

    জবাব দিন
    • শরিফ (০৩-০৯)

      ভাই আমি নতুন ব্লগ লিখতে আসছি ।হয়ত আমার অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে ।কিন্তু সম্মান নামক জিনিসটা আমরা সবাই ক্যাডেট কলেজ থেকে শিখছি ।ইমরান ভাই আপনার অনেক সিনিওর ।আপনি উনাকে কতটুকু সম্মান দিয়ে কথা বলেছেন দয়া করে একটু জানাবেন ।আপনি একজন ব্যক্তিকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন ।আমার এই লেখাতে আমি কাউকে আক্রমণ করে কিছু লিখিনি ।আর ব্যক্তিগতভাবে আমার কাউকে ভাল লাগতেই পারে ।আপনি এভাবে বলতে পারেন না।আর এই ব্লগটা সবার জন্য ওপেন ।আমার এই ব্লগ এর চেয়ে আপনার ওই কমেন্ট এ ক্যাডেট কলেজ এর প্রতি বিরূপ ধারণা হবে কারণ আপনি সিনিওর কে সম্মান দিয়ে কথা বলেন নি।আপনার ইমরান ভাই কে ভাল লাগতে নাও পারে ।কিন্তু আপনার ইমরান ভাই কে ন্যূনতম সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত কারণ তিনি আপনার সিনিওর ।এখনো সিসি ব্লগ এ আম চুরির গল্প,স্যারদের নিক নাম দিবার গল্প,কলেজ পালানোর গল্প,জুনিওরদের পানিশমেন্ট দিবার গল্প আরও ইত্যাদি গল্প হয় আর এইটা সবাই উপভোগ করে ।আমার এই ব্লগ এ কাউকে ইমরান ভাইকে অনুসরণ করার জন্য বলিনি ।তার কিছু গল্প আমার ভাল লেগেছে আর সেইটা আমি শেয়ার করেছি ।হয়ত আমার উপস্থাপনে,শব্দচয়নে অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে ।কিন্তু আমার লেখায় আমি কাউকে আক্রমণ করে কথা বলিনি ।আপনি ইমরান ভাই কে আক্রমণ করে কথা বলেছেন।আপনার কমেন্ট দিবার পূর্বে উপরের কমেন্টগুলো দেখবেন ।সবাই এর আমার লেখার উপর মোটামুটি পসিটিভ ধারণা ছিল।আমার লেখা আপনার ভাল লাগেনি বলে আমার বিন্দু মাত্র মন খারাপ হয় নি ।মন খারাপ হয়েছে ইমরান ভাইকে আক্রমণ করে কথা বলার কারনে ।ধন্যবাদ ।ভাল থাকবেন । (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)
        এক জন লোকের নাম ধরে ব্যাক্তিক বিশ্লেষণও আমার কাছে অস্বস্তি কর মনে হয়েছে।

        আমার কমেন্টে এই কথাটা কি খেয়াল করেছো? যদি খেয়াল করো তাহলে বুঝতে পারবে আমি নিজেও কারো নাম ধরে সমালোচনা করার পক্ষপাতী না। সো ব্যাক্তি ইমরান ভাইকে জাজ করার কিংবা পারসোনাল এটাকের অভিযোগ যদি করে থাকো সেটা দুঃখজনক। আমার কমেন্টের কোথাও আমি সরাসরি ইমরান ভাই এটা ইমরান ভাই ঐটা এমন কিছু কি বলেছি??? একারণে সিসিবিতে এ ধরণের স্মৃতিচারণ পোস্টে বিতর্কিত ঘটনার ক্ষেত্রে নাম পরিচয় আড়াল করাকে উৎসাহিত করা হয়।

        আমি ব্যাক্তিগতভাবে ইমরান সাহেবকে চিনি না, কিংবা তার চরিত্রের পুরা রূপটাও আমি জানি না। কিন্তু এই ব্লগের প্রেক্ষিতে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি

        এই কথাটা আমি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছি। আমি আবারো বলছি আমি ইমরান সাহেবকে চিনি না। উপরের কমেন্টে তার নামে যা বলেছি তার সবটাই তোমার ব্লগে বর্ণিত তার কার্যালোকের উপর। হতে পারে এর বাইরে হয়তো ইমরান ভাইয়ের আরেকটা সুন্দর রূপ আছে। কিন্তু তার প্রকাশ ব্লগে ঘটেনি।

        সম্মান দেয়ার কথাটা আসলো কেন?? যদি ব্যাপারটা এমন হতো ইমরান ভাই আমার সাথে কথা বলছেন , মুখের উপর আমি তাকে কিছু বলতেসি তাহলে অসম্মানের ব্যাপার আসতো। এখানে উনার যেসব গল্প বলা হয়েছে তার বিভিন্ন দিক থেকে আমি কী খুঁজে পেয়েছি তাই শুধু বলেছি। লক্ষ্য করো ১,৪ কিংবা ৫ নাম্বার কিংবা ৬ নাম্বারের ব্যাপারে আমি কোন অভিযোগ তুলিনি। কিন্তু যেগুলি নিয়ে অভিযোগ তুলেছি এবং কোট করেছি তোমার কি মনে হয় না সেটা ঐ বৈশিষ্ট্যগুলোকে ফুটিয়ে তোলে।

        যাহোক, আমার এতগুলো কথা বলার আসল উদ্দেশ্য ছিলো মূলত আমি মনে করেছি ইমরান ভাইয়ের প্রতি তোমার ভালো লাগার ব্যাপারটা কিছুটা অন্ধ( যদিও আমি জানি না অন্য কোন কারণ আছে কিনা।) যদি পোস্টে উল্লেখিত কথাগুলৈ তার সম্পর্কে ধারণা হয়। এবং আমার কোট করা অংশগুলোতে আমি মনে করি ক্যাডেট নন ক্যাডেট না, এই জাতীয় ঘটনায় কারোরই গর্বিত বোধ করা উচিত না, এমনকি আমার শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিও যদি এই কাজ করে থাকেন তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ব্যাহত হবে। তবে তোমার কমেন্ট থেকে বুঝতে পারি তুমি আমার কমেন্টের আসল টোন ধরতে পারনি বরং আমার কমেন্টকে ইমরান ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিষেদাগার ধরে নিয়ে আমার প্রতি বিরূপ ধারণা নিয়েছো। যা হোক টোন ধরানোর উদ্দেশ্যও আমার নাই।

        আরেকটা ব্যাপার যেটা আমি আঘেও বলেছি আবারও বলছি, আম চুরির ঘটনা, স্যারদের নিক নাম দেয়া কিংবা কৈশোরিক চাপল্যের যে কোন ঘটনাই সিসিবিতে সবাই মজা নিয়ে পড়ে ( আমিও)। কিন্তু দুষ্টামি আর বেয়াদবির মাঝে সীমারেখা আছে। বিষয় নির্বাচনে সেদিকে খেয়াল করাও জরুরি। কিংবা হতে পারে আমার কাছে যা খারাপ মনে হচ্ছে সেটার মাঝে তুমি দোষের কোন কিছু খুঁজে পাচ্ছো না।

        যা হোক, ভালো থেকো।

        জবাব দিন
        • শরিফ (০৩-০৯)
          বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলের চেয়ে আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

          শেষের নাম্বার ছাড়া কাহিনীর মাঝে বেয়াদবির নমুনা দুর্দান্ত।

          একজন সিনিওরকে আপনার এই ভাবে বলা কি ঠিক হয়েছে ভাইয়া?আপনি কথাটাকে আরও অন্যভাবেও বলতে পারতেন ।আর আমি ছোট ।তবু আপনার ওই কথায় আমার একটু খটকা লেগেছিল ।আপনার ওই কথায় মনে হয়েছিল ইমরান ভাই এর বাপ মিথ্যাবাদী ।যদিও আপনি সেই অর্থে কথাটি বলেন নি ।আর যেটা বলেছেন সেটাও আমার খারাপ লেগেছে ।আর ভাই টাকার গরমে ইমরান ভাই ওইসব কাজ নাও করতে পারেন ।হয়ত শুধু মজা পাবার জন্যও করতে পারেন ।এমন অনেক ঘাড়ত্যারা ক্যাডেট আছেন যারা এই রকম কাজ করে থাকেন শুধু মজা পাবার জন্য এবং তারা অনেক গরিব ।আপনার কথার টোন আমি বুঝতে পারছি ।আপনার কথাগুলো আমার খারাপ লাগেনি ।আমিও বুঝতে পারছি এই রকম লেখা ওপেন জায়গায় দেয়া ঠিক না ।আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি ।এই জন্য ক্ষমা প্রার্থী ।কিন্তু ভাই আপনার "way of expression " টা আমার ভাল লাগেনি ।আপনার ওই কথা

          বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলের চেয়ে আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

          শেষের নাম্বার ছাড়া কাহিনীর মাঝে বেয়াদবির নমুনা দুর্দান্ত।

          ইমরান ভাই এর প্রতি অসম্মান করে কথা বলা আমার কাছে মনে হয়েছে ।আপনি ওই কথাটা অন্যভাবেও বলতে পারতেন ।ভাল থাকবেন । (সম্পাদিত)

          জবাব দিন
          • পিয়া(০৩-০৯)

            শরিফ,ব্যাচমেট হিসেবে,এবং ভাল বন্ধু হিসেবে,আশা করি আমি কিছু বলার রাইট রাখি।আমরা সবাই এখন এক্স ক্যাডেট,সেই সাথে সবাই পরিনত মানুষ। :-B কে কি বলছে,কি বুঝাতে চাইছে,এটা বুঝি।কোনটা ভাল,কোনটা খারাপ,এইটাও বুঝি।এই ভাইয়াও কিন্তু তোর সিনিয়র,যা বলছেন,নিশ্চই বুঝেই বলছেন,যা আমরা বয়সের কারনে বুঝতে পারছিনা।তর্কে কোথায় সীমা টানতে হয়,এটাও বুঝতে হবে। আমিন ভাইয়া যা বলতে বা বোঝাতে চাইছেন,সেটা কি খুব যুক্তিহীন?স্যারদের থ্রেট করা কি খুব ভাল কিছু?দুস্টামি আর বেয়াদবির পার্থক্য যে কেউ ধরতে পারে।
            আর এটা ব্লগ,এখানে যখন আমরা ব্যাক্তিগত ভাললাগার কথাটা লিখেই ফেলি,তা কি আর ব্যাক্তিগত থাকে?সবাইকে জানতে দিতে হলে,সবার মতামতটা এ্যাকসেপ্ট করার মানসিকতাও থাকতে হবে।কাজেই,

            ।আর ব্যক্তিগতভাবে আমার কাউকে ভাল লাগতেই পারে ।আপনি এভাবে বলতে পারেন না।

            এটা বলার কোন জায়গা নাই,bro...
            n he has got a point,এই ব্লগ পাবলিক ও পড়ে।তাদের খুব একটা ভাল ধারনা হবে বলে আমি মনে করিনা।কারন,বললাম ই তো,দুস্টামি আর বেয়াদবির পার্থক্য যে কেউ ধরতে পারে।আরেকটা কথা,এখানে লেখা যখন হয়,তখন যে কমেন্ট করে,সে কিন্তু তোর লেখার বিষয়েই বলে,বলবেই,কারন তুই তার জন্যে,তাদের জন্যেই লিখেছিস।
            যাই হোক,আমরা ছোট মানুষ,ব্লগ এ নতুন,ভুল হলে ভাইয়া আপুরা বলবেন,এইটাই নরমাল।আমাদেরও দিন আসবে,জুনিয়র আসবে,আমরাও বলব।
            সরি,ফ্রেন্ড হিসেবে অনেক কিছু বল্লাম,নাথিং পারসোনাল,নো হার্ড ফিলিংস। O:-) O:-) আমি আসলে চাচ্ছিলাম,এই অস্বস্তিকর তর্কটা থামুক।lets behave a little more matured..coz da contents r public..
            আরেকটা কথা,প্রথম লেখাতেই কিন্তু তুই অনেক লাইমলাইট পেলি।এটা কিন্তু একদিক থেকে ভাল। 😛 😛 ব্যাড পাবলিসিটি ইজ বেটার দ্যান নো পাবলিসিটি। 😉
            ভাইরা সব,অনেক হইসে,এইবার সব চলেন অফ যাই।রকিব ভাইএর দোকান থেকে সবার জন্যে এক কাপ চা। :teacup:

            জবাব দিন
          • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

            শরিফ, অস্বস্তিকর তর্কটার সমাপ্তি টানতে চাইছি। আমার যেটা ভুল হয়েছে প্রথমত ব্লগে আগে তোমার সাথে কখনো ইন্টার একশন হয়নি। তাই প্রথম ইন্টার একশন হিসাবে আমার ভাষা একটু রূঢ় হয়ে গেছে। সেজন্য দুঃখিত। ব্যাক্তিগত ভাবে আঘাত করা কিংবা ব্লগ লেখা নিরুৎসাহিত করা আমাড় উদ্দেশ্য ছিলো না। আমার কাছে যেটা পয়েন্ট ছিলো, তুমি ছোট মানুষ। বয়সের কারণে অনেক জিনিস হিরৈজম আকর্ষণ করে। যেটা ফয়েজ ভাই ও বলেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছিল তোমার এই ভালো লাগাটা ভুল (অবশ্যই তোমার ব্লগ পড়েই)।
            আমার আগে যারা কমেন্ট করেছিল তারা হয়তো তোমার প্রথম ব্লগ বলে তোমাকে নিরুৎসাহিত করতে চায় নি, কিন্তু এই ভুলগুলি যদি থেকে যায় এবং ভুলকে ঠিক ভাবতে শুরু কর সেটা বড় ক্ষতি। এই ভাবনা থেকেই মূলত আমার প্রথম কমেন্ট টা করা।মানছি আমার বিশেষণের ব্যভারগুলো একটু তীব্র হয়ে গিয়েছিলো, যদিও সেগুলো ছিলো কাজগুলোর প্রতিক্রিয়া, ব্যাক্তি ইমরান ভাই নয়। কিন্তু সেটার পিছনে রসদ কিন্তু তোমার লেখাই আমাকে জুগিয়েছে। নিচে জিহাদ বলেছে, একই কথা আমি বলবো, স্যারদের সাথে খুব বাজে বিভেব আমিও করেছি ছোট থাকতে ক্যাডেটদের কাছে সাময়িক হিরোইজমের মোহে। কিন্তু আজ একযুগ পরে দাঁড়িয়ে যখন সেই ঘটনা দেখি আমি কখনৈ সেই ঘটনায় গর্বিত নই বরং লজ্জিত। তাই যখন বড় ভাই তার কলেজ লাইফের এই জাতীয় কথাগুলি শেয়ার করেন আমার প্রিডিটারমাইনড ধারণা ছিলো হি ইজ প্রাউড অফ ইট।আর তুমি তার দ্বারা বেশি মাত্রায় প্রভাবিত। আমি শুধু ব্লগের রসদ জোড়া দিয়ে চরিত্র চিত্রণের প্রয়াস পেয়েছি যেটা আসলে বাস্তবিক নাও হতে পারে। হয়তো কথাগুলো ইমরান ভাই হালকা চালে বলেছেন, কিংবা গল্পে অতিরঞ্জন থাকতে পারে, সময়ের সাথে সাথে গল্প বদলায়। তবে এতকিছুর পরেও আসলে আমি মূল জায়গা থেকে সরতে পারছি না।
            যা হোক অনেকেই বলেছে আমি নতুন করে বলছি না, শুধু বলবো, এই জাতীয় অস্বস্তিকর তর্ক পারসোনালি নিও না। জিনিসটা হচ্ছে ভিউ পয়েন্টের। আর তুমি অনেক ছোট। তোমার বয়সে আমি তো কম্পিউটার অনই করতে পারতাম না (সিরিয়াস)। সেখানে তুমি অনলাইনে লেখালেখির চেষ্টা করছো একে আমি সাধুবাদ জানাই।
            আবারো বলছি এই সাময়িক বিতর্কে হতাশ হয়ো না। জানো শিখো প্রতিদিন,লিখো ।
            শুভকামনা রইলো।

            জবাব দিন
  3. নাহিদ (১৯৯৬-২০০২)

    Amin, ami sorry j ami evabe likhsi. technical prblm. bt plz read my comment.

    u r my batchmet, sei odhikar e kisu kotha bolte chai. lekha ti pore 2/1 ta jaygay amaro khotka legese. mane oi sentence gulo na thakle valo hoto mone hoese. "taka khoroch" er bapar tai jmn. na thaklei valo hoto bapar ti, no doubt. r arkta bapar holo, "bichokhkhonota". doubtlessly eta bichokhkhonota" na. intelligency hote pare boro jor.

    bt tarporo ami lekhok k personally bole dileo ekhane kisu bolini, karon, ami lekhok k chini. valo sele. se ashole ja bolese ta Imran Vai er proti valobasha tei bolese. r ai tuku bolar odhikat tar ase. oboshshoi tar ase. eta blog. ekhane jar jar nijer blog account e, kauk valo ba kharap bolar odhikar sobar e ase. tar jodi kauk valo lage,kono bapar e, brother, amr mone hoy se ta bolte pare. vasha goto kisu bapar e vul thakte pare. shikhte din. r amn to na j se ai lekha dea kono khoti kore felese karo. ja hok amr egulo main kotha na.

    amr main kotha aita,

    apnar montobbe apni bolesen, বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলের চেয়ে আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।. Amin, protesting u brother. na. apni eta bolte paren na. apni eta bolte paren na. u hav no right. apni jodi Imran vai k chine thaken, take oposondo kore thaken, tao apni tak evabe bolte paren na. r dari, koma gula jayga moto use koren. apnar lekha pore mone hosse bap e beyadop, mioththabadi. bt i m sure apni ta bolenni. bt ja bolesen tao grohonjoggo na.

    CCB te onekei ashen baire theke, apni ekbar vebe dekhen shojol er lekhar chaite apnar comment tao ki tak kom vul dharona debe cadet college sompork? Imran vai er moto cadet ki nai r? CC te amn sele ki paoa jayna jara jotheshto ghar-terami kore? amra omon Cadet der k ki evabe treat kori jvabe apni koresen?

    Amin, sorry bro. apni amr batchmet. bt apnar ai comment er tibro birodhita korsi. apni ekhane niropekhkho vabe bolte parenni, j keu porle bolbe ekhane bakti-akromon hoese.

    eta CC blog. ekhane j cadet likhte ashe, se tar cadet mentality neai likhte ashe. ekhane se senior der shomman kore likhe, junior der valobashe lekhe, ekhono CC er excadet ra tease nea golpo kore, ED nea golpo kore, Sir der beat dea nea fun kore. r eta tara korbei. kauk oshomman na kore golpo ase amader, am churir golpo, card khelar golpo, college theke palanor golpo, mishty churir golpo, junior punishment er golpo, punishment khaoar golpo, amra ta korbo na?

    Shojol er puro lekha te je sob ghotona uthe eshese ta ki ghote nai? CC er bivinno forum e amra ki amn golpo kori na? tarporo apnar kharap lagtei pare, bt tai bole apni "বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলের চেয়ে আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।......শেষের নাম্বার ছাড়া কাহিনীর মাঝে বেয়াদবির নমুনা দুর্দান্ত।" amn comment korben? Imran vai apnar senior. lekhay clearly dea ase 14th batch er vaia. PCC er 14th batch apnar senior. apni jokhon class 7 e tara tokhon 12 e. eta apni janen. tarporo evabe directly tak "বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলে" bola ta ki apnar thik holo?

    Amin, amr kotha gulo onk tai personally hoe galo. bt apnar comment ta pore onekei vul dharona nite paren r apnaro kisu vul dhorea dea uchit bole amr mone hoese. Senior is always senior. apnar valo laguk ba na laguk, jar jeta prappo shomman tak ta dite hobe. apni Imran vai k chenen na, apniii bolesen, then tak shomman na koren bt "বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলে" bole oshomman apni ontoto korte paren na.

    brother, plz remove ur comment. eta thik na. ami khub honestly bolsi, apnar comment tya Cadet der internal relation maintain kore na. ami khub koshto peye comment ti likhsi. kono din shopneo vabini kono cadet er reverse e reply dite hobe. amk maf korben sobai. Amin valo thakben and agn requesting, PLZ REMOVE UR COMMENT BRO. onnorao valo thakben. Happy Blogging.

    জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        সবাইকে বলবো বিচক্ষনতার সাথে নিজস্ব গন্ডিটা বুঝে নিতে।

        একজন ক্যাডেটের পরিমিতি বোধ বেশী হবার কথা নয়, বয়সের কারনেই, বেয়াদবীর মাপকাঠিতেও ভিন্নতা থাকে, একজনের কাছে যা চরম বেয়াদবী, আরেকজন হয়ত তা নিজক কৌতুক হিসেবেই ভাবছে। ক্যাডেটদের মধ্যে "হিরোইজম" কাজ করে, স্যারের কাছে হিরো হওয়া, জুনিয়রদের কাছে হিরো হওয়া, আর হিরো হবার জন্য একেকজন একেক ধরনের পদ্ধতি বেছে নেয়, তাঁর পদ্ধতি যার কাছে পছন্দ হয় সে তাঁর কাছে হিরো হয়ে যায়। একেকজনের হিরো বেছে নেয়ার ইচ্ছা একেক রকম।

        টাকা গরমে ইমরান ভাই (ভাইই বলছি, ব্যাচ জানিনা যেহেতু) অনেক কিছু করছেন বলে বলেছে আমিন, কিন্তু টাকার গরম নাও হতে পারে। হয়ত ইমরান ভাই এসব করেছেন নিজক মজা পাবার জন্য, বাবা হয়ত গরীব ছিলেন এবং ইমরান ভাই বুঝতে পারছিলেন না তাঁর এইসব কাজ কলেজে এবং পারিবারিক ভাবে কি কি ধরনেআই"ইম্প্যাক্ট" ফেলতে পারে। এগুলো তাঁরা কাছে স্রেফ "মজাই" ছিল। হয়ত বলছি এ কারনে, আমাদের ব্যাচে যারা ইমরান ভাই টাইপ কাজ করে আমাদের বিপদে ফেলত এবং অজস্র পানিশমেন্ট খেতে হত তাঁরা কেউই পয়সাওয়ালা বাবার সন্তান ছিল না, স্রেফ মজা করার জন্যই এসব করতো, কারন তার কাছে "একটু মজা করি, বাকীটা পরে দেখা যাবে টাইপ" । আমরা এগুলো নিয়ে এখন মজার গল্প করি, সবচেয়ে দুস্ট (কিংবা বেয়াদব) বন্ধু গুলো এখন সবচেয়ে ভদ্র, সবচেয়ে সফল বন্ধু।

        হয়তো ইমরান ভাইয়ের ব্যাপারটাও এমনি ছিল। অন্যরকমরা সবসময় অন্যরকমই থাকে। মিশে যেতে পারে না পুরোপুরি।

        তবে আমীনের একটা ব্যাপারে আমি সমর্থন করি, সিসিবি একটা ওপেন প্ল্যাটফর্ম, এখানে নন-ক্যাডেটরাও প্রায়ই আসেন, যাদের অনেকেই সবসময় খুঁত খুজে বেড়ান ক্যাডেটদের। তাই এক্স-ক্যাডেট আড্ডাতে যা অকপটে বলে ফেলা যায় তা ব্লগে তার সব শেয়ার করা আমি সমর্থন করি না, কারন একজন নন-ক্যাডেট একজন ক্যাডেটের "টিউন" ধরতে পারবে সবসময়ই তা বলা যায় না। তা আশাও করা ঠিক না।

        তাই বিষয় নির্বাচনে সবধান হওয়া উচিৎ বলে মনে করি।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      নাহিদ, ব্যাপারটা খুবই বিব্রতকর যখন ক্যাডেট কলেজ ব্লগে ব্যাচমেটরা আপনি আপনি করে বলে। যাহোক, আমি তুমি/তুই ব্যভার করতে গিয়েও করলাম না, একবার আমার সৌজন্য বোধ নিয়ে কথা উঠে গেছে, সেটা ইউস করলে হয়তো সভ্য ভব্যতা জ্ঞান নিয়েও কথা উঠে যাবে।

      প্রথম কথা হলো, আপনি বলেছেন আপনি লেখককে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনেন বলে তাকে সেভাবে বলেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেখকের বা ইমরান ভাই কারো সাথেই আমার ব্যাক্তিগত পরিচয় নাই। আর কোথাও আমি কি বলেছি লেখক খারাপ ছেলে? বরং আমার কাছেও তাকে সহজ সরল ভালো ছেলেই মনে হয়েছে। ইমরান ভাইয়ের প্রতি তার অন্ধ ভক্তিটা ভুল মনে হয়েছিল বলে ক্যাডেট বড় ভাই হিসাবেই তাকে কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম। যাহোক সেটা কেউই যে ভালোভাবে নেয়নি সেটা বুঝাই যাচ্ছে।

      দাঁড়ি কমার ব্যবহার ভুল করার জন্য দুঃখিত। আমি যা বুঝে নিয়েছেন আমি আসলে তাই বলেছি। তবে আপনি বলেছেন,

      apnar montobbe apni bolesen, বেয়াদব মিথ্যাবাদী বাপের টাকায় মাস্তানি দেখানো বখে যাওয়া ছেলের চেয়ে আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।. Amin, protesting u brother. na. apni eta bolte paren na. apni eta bolte paren na. u hav no right.

      আমার রাইট নাই ?? কোন কোন ঘটনার বেসিসে বলেছি সেটা তার উপরে কোট করেই উল্লেখ করেছি। আপনি যদি বলেন, আই হ্যাভ নো রাইট, তাহলে একটা এনালোজিতে যাই।
      সাকা চৌধুরিকে চিনে না এমন কেউ নাই। এই রাজাকার বদমাইশ ব্যাটা হলো চিহ্নিত খারাপ লোক। তবে বেশ রসিক লোক। রাজনীতি মহলে মাঝে মাঝেই অশ্লীল কৌতুক করেন অবলীলায়। দুর্ভাগ্য ক্রমে এই ব্যাটা আবার এক্স ক্যাডেট। এখন যদি কোথাও সাকারে নিয়া কথা হয়, সেখানে আমি আপনি কিংবা যে কোন ক্যাডেট (তার জুনিয়র) তাকে রাজাকার বদমাইশ লুইচ্চা বলে, আপনার যুক্তি অনুযায়ী দাড়ায়, উই হ্যাভ নো রাইটস। কারণ সাকা আমাদের ক্যাডেট কলেজের সিনিয়র ভাই। তারে সম্মান দিয়া কথা বলতে হবে। তার নামে কিছু বলা যাবে না।

      কথাটা কি খুব হাস্যকর লাগছে? যদি হাস্যকরও হয় আপনার কথা অনুযায়ী এটাই ঠিক। আদতে কি তাই হওয়া উচিত। ক্যাডেট বড় ভাই যদি এমন কোন কাজ করেন যেটাতে আমি মনে করি তিনি আমার কাছে সম্মান রাখতে পারেন নাই, আই হ্যাভ এভরি রাইট টু ক্রিটিসাইজ হিম।

      আমি আঘেও বলেছি ইমরান ভাইকে ছিনি না। এতসব ঘটনা শুনে তিনি আমার শ্রদ্ধা হারালেও তিনি যদি আমার সামনে আসেন তাকে অসম্মান করে আমি কিছু বলবো না । কিন্তু তার খারাপ কাজের সমালোচনা করতে পারবো না সেটা তো কোনভাবে ডিফাইন না।

      আমার মনে হয়নি, আমার কমেন্ট দ্বারা কোনভাবে বাইরের কেউ ক্যাডেট কলেজ বা ক্যাডেট সম্পর্কে ভুল ধারণা নিবে।

      apni ekhane niropekhkho vabe bolte parenni, j keu porle bolbe ekhane bakti-akromon hoese.

      নিরপেক্ষ ভাবে বলতে পারেন নি বলতে কী বুঝিয়েছেন?? নিরপেক্ষতার প্রশ্ন আসে তখন যখন দুই পক্ষ থাকে। এখানে ইমরান ভাইয়ের বিরোধী পক্ষ কে যার আমি পক্ষ নিয়েছি??? ব্যাক্তি আক্রমন হয়েছে কোথায়, আমি প্রত্যেকটা কাজ ধরে কোট করে বলেছি, "এই কথার প্রেক্ষিতে আমি বলছি", আমার কি অন্য কোন রেফারেন্সের বশে বলা শুরু করেছি ইমরান ভাই এই ইমরান ভাই ঐ??? ইমরান ভাইরে না চিনলে কীভাবে আবার তার বিরোধী পক্ষ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা যায় সেটা আমি বুঝি নাই।

      Shojol er puro lekha te je sob ghotona uthe eshese ta ki ghote nai? CC er bivinno forum e amra ki amn golpo kori na?

      অবশ্যই করি। একথা আমি আমার কমেন্টের শুরুতেই স্পষ্ট করে বলেছি। এমনকি সিসিবিতে স্মৃতিচারণ মূলক ব্লগও লেখা হয়েছে অনেক। তার সংকলন ও আছে। কিন্তু সেখানে স্পর্শ কাতর বিষয়গুলোতে নাম বপরিচয় এড়ানো উৎসাহিত করা হয়েছে। সেটা হলে বোধ করি আমি ইমরান ভাইয়ের নামও নিতাম না। তার কাজকেই ক্রিটিসাইজ করতাম যা এখনো করছি।

      Imran vai er moto cadet ki nai r? CC te amn sele ki paoa jayna jara jotheshto ghar-terami kore? amra omon Cadet der k ki evabe treat kori jvabe apni koresen?

      অবশ্যই আছে। তার ঘাড় ত্যাড়ামির ব্যাপারে আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু শিক্ষকদের সরাসরি থ্রেড দেয়া যে আমি আউট হইলেও পাবনায় থাকবে, এইটারে দুষ্টামি বা ঘাড় ত্যাড়ামি বলে না। এইটা হলো সোজা বাংলায় মাস্তানি। স্যারকে মুখে উপর বলা যান তো এখান থেকে, এটা দুষ্টামি না। এইটা বেয়াদবি। এই সিম্পল সীমারেখা বুঝাইতে ব্যর্থ হইছি বইলা দায় স্বীকার করে নিলাম।

      পরিশেষে কমেন্ট মুছার আমার ক্ষমতা নাই। আর কমেন্ট মুছার প্রশ্নই আসে না। আমি যা বলেছি তাতে মোছার মত কিছু ঘটেছে বলে আমার মনে হয় নাই।

      ভালো থাকবেন।
      ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
  4. আদনান (১৯৯৭-২০০৩)

    মজার লেখা। আমাদেরও একজন বস-টাইপ ইমরান ভাই (ঝকক ১৯৯৪-২০০০) ছিল। এবং উনার কান্ডকীর্তিও অনেকটা এমনই ছিল। গানবাজনাও করত, রকস্টার। খুব পাংগা দিত বলে ভয় পেতাম, আর এরকম উড়াধুড়া টাইপ ছিল বলে পছন্দ করতাম। এখন ডাক্তার। আর তার চমৎকারত্ব এখনও তেমনই আছে!

    সমালোচনাগুলি পড়ে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলছি:- পৃথিবীতে কোনো মানুষই নিখুঁত নয়। ক্যাডেটরাও না। তাদের অনেক খুঁত থাকতেই পারে। আর যাদের খুঁত নিয়ে খুতখুত করার স্বভাব আছে তারা করবেই। এটাও মানুষের নানাবিধ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটির মধ্যে পড়ে। তাই বলে আমরা মজার মজার কিছু গল্প "বাইরের লোক কি মনে করবে" ভেবে কেন মিস করব? গল্পটাকে সঠিক মাত্রায় সরেস করার জন্য যেই 'টোন' আবশ্যক সেটা ব্যবহার না করলে, striking point গুলি বাদ দিয়ে দিলে আর কি বা থাকল বাকি? আর quotation তো কোটেশন-ই, সেটা তো আর বদলানো যায় না। বড়জোর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু তাতে যদি গল্পের আসল স্বাদ নষ্ট হয়, তার চেয়ে বরং সেই গল্প না বলাই ভাল। আর বললে, বলার মত বলা/বলতে দেওয়া উচিৎ।

    মনে রাখতে হবে, এই ব্লগ আগে ক্যাডেটদের, তারপর পাবলিক-এর। আর স্মৃতিকথা ক্ষেত্রটি তো exclusively ক্যাডেটদের। কারণ এখানে সাধারণভাবেই ক্যাডেটীয় অসাধারণ টোণের ছড়াছড়ি থাকবে। পাবলিক ওটা পড়ে বুঝলে ভাল, না বুঝলে মুড়ি খাক গে!

    জবাব দিন
    • রকিব (০১-০৭)

      আদনান ভাই, অবশ্যই এটা এক্সক্লুসিভলি ক্যাডেটদের ব্লগ, এই ব্লগ আগে ক্যাডেটদের, তারপর পাবলিক-এর। কিন্তু পাবলিককে মুড়ি খেতে বলাটা ভালো লাগলো না। কারণ সেক্ষেত্রে বরং সিসিবিকে আগাগোড়াই রেজিস্টার্ড বানানো উচিৎ ছিল যেখানে কন্টেন্টগুলো দেখতেও লগ ইন করতে হবে। কথাটায় প্রবল আপত্তি জানাচ্ছি।

      আর আপনি বোধহয় আমিন ভাই কিংবা ফয়েজ ভাই কারো পয়েন্টই ধরতে পারেন নি। আমি ক্যাডেট কলেজে আমার উপরে মোট ৫ টা সিনিয়র ইনটেক পেয়েছি (আপনাদেরটা সহ); প্রতি ব্যাচেই দুর্দান্ত কিছু পাবলিক ছিলেন, যারা অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো ডিসিপ্লিন ভাংতেন, ডেয়ারিং ছিলেন, এমন কী কলেজ পালিয়ে বাইরে থেকেও ঘুরে এসেছেন। আমার নিজের ব্যাচমেটদের মধ্যেও এমন ছিল। ইডির রেকর্ড আর বন্ড সাইনিং এর লিস্টি নিয়ে প্রতিযোগিতাও হতো। মনে করে বলেন তো, তাদের কেউ কী কখনো এমন ভাবে কোন স্যারকে বলেছেন যে, "কলেজের বাইরে গেলে আপনার খবর করে দেবো"। এই জিনিসগুলোর ব্যাপারেই আপত্তি। এখন আপনার কাছে যদি এগুলো ক্যাডেটিয় দুষ্টামি মনে হয় তবে আমার কিছু বলার নাই।
      আরেকটা ব্যাপার মনে হয়, এইটা আড্ডাকালে ইমরান ভাই হয়তো ঠাট্টাচ্ছলেই বলেছিলেন; কিন্তু একটু আধটু ঘুরপাক খেয়ে তা ব্লগে পোষ্ট হবার সময় সিরিয়াস টোনে এসে পড়েছে। যাউজ্ঞা, আপাতত অফ যাই।

      আর শরিফের উদ্দেশ্যে বলা--- তুমি হয়তো অনেকের আপত্তির স্থানটুকু বুঝতে পারছি। তোমার লেখার হাত ভালো, তুমি লেখালেখিটা ধরে রাখো। যদি মনে করো তোমাকে এখানে লিখতে মানা করেছে, তাহলে ভুল ভাববে ভাই। তোমাকে বরং উৎসাহিতই করা হচ্ছে যাতে বিতর্কিত কিছু এসে তোমার লেখার যে সৃজনশীলতা সেটাকে ব্যহত না করে। অতএব, বেশি বেশি লেখ। হ্যাপি ব্লগিং !


      আমি তবু বলি:
      এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

      জবাব দিন
  5. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    এই লেখাটা পড়ে আমি একটা জিনিষ অনুধাবন করতে পারলাম। তা হলো আমাদের দেশে শামীম ওসমান টাইপের লোকজন কেন নেতা হয় এবং জনগনের (সবাই নয়) কাছে জনপ্রিয় হয়।

    আশা করি তোমার দ্বিতীয় লেখা শীঘ্রই দেখতে পারব।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
      • ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

        শরীফ তুমি ব্যাপারটাকে ব্যক্তিগতভাবে নিও না। আমি সত্যিই উপকৃত তোমার এই ব্লগটা পড়ে। তোমার বয়স কম। আজকে তুমি যা ভাবছো কালকে ব্যাপারটা সেভাবে নাও দেখতে পার। আমার ধারণাই বদলাচ্ছে প্রতিদিন। আমি কিভাবে উপকৃত সেটা বলছি। ধর আমি সাকা্কে নিয়ে একটা কাল্পনিক উপন্যাস লিখতে চাই। সেক্ষেত্রে তোমার ইমরান ভাইয়ের জায়গায় সাকাকে কল্পনা করে নিব। আমি মনে করি ব্লগে সব রকম লেখা আসা উচিত। আমাদের অন্তর্জগতে আমরা তো বদলাচ্ছি অহরহ। এখন এই মুহূর্তে আমার চিন্তার পরিশুদ্ধতা বা অপূর্ণতা থাকলে কেন আমাকে লুকিয়ে রাখতে হবে।

        আমি জানি বাংলায় এতোখানি লেখা কত পরিশ্রমের ফসল। তার উপর নতুন হিসেবে এক ধরনের জড়তা তো থাকেই। তুমি হয়তো ভাবছো অনর্থক একটা বিতর্কে জড়িয়ে গেলে। আমরা কিন্তু বুঝেছি সেটা তোমার উদ্দেশ্য ছিল না। ্নিতান্ত বিনোদন দেওয়াই তোমার উদ্দেশ্য। ব্যক্তি মানুষ তুমি কিন্তু বিতর্কিত নয়।

        ব্লগ পলিসির জন্য এখানে একটা ভাল মানুষী টাইপের ইমেজ তৈরি করা হয়। আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা দেশের সমস্যা নিয়ে এতো মাথা ঘামাই কিন্তু ক্যাডট কলেজের ভেতরের সমস্যা এড়িয়ে চলি। আজকে ভারতে ragging এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠছে। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভিতরে কি হচ্ছে তা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।

        থাক আর না বড় করি। তোমার পরের পোস্ট চাই কিন্তু।


        “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
        ― Mahatma Gandhi

        জবাব দিন
  6. জিহাদ (৯৯-০৫)

    শরীফ, ব্লগে স্বাগতম। আমিন ভাই হয়তো তোমার প্রথম ব্লগ হিসেবে একটু রুঢ় কমেন্ট করে ফেলেছে, কিন্তু তোমার ব্লগ পড়ে ইমরান ভাই সম্পর্কে কেন যেন আমিও খুব একটা উচ্চ ধারণা পোষণ করতে পারছিনা। এই ধরণের হিরোইজম স্কুল পড়ুয়া বালকদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। আমি নিজেও হয়তো অনেক স্যারের সাথে বেয়াদবি করে ফেলেছি কলেজে থাকতে। কিন্তু এখন সেসব কথা ভাবলে অনুশোচনা হয়। কলেজে থাকতে কিন্তু সেসব ব্যাপারই নিজের কাছে ঠিক মনে হতো।
    তুমি হয়তো এত কিছু ভেবে চিন্তে লেখাটা পোস্ট করনি। নিছক মজা করার উদ্দ্যেশ্যই লিখেছো। তবে এই ধরণের ব্লগ এরকম ওপেন প্ল্যাটফর্মে দেয়ার আগে আরেকটু ভেবে চিন্তে লেখা যেতে পারতো। ভবিষ্যতে আশা করি আরেকটু গুছিয়ে ব্লগ লিখবে। ভালো থেকো।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  7. নাহিদ (১৯৯৬-২০০২)

    Bundhu Amin, ami "Tui" kore bolsi toke. ashole ota ami prothomei korte cheyesi. bt jehetu kisuta mukho-mukhi obosthan, tai tor obosthan ta ki hobe montobbo porar por, amr bishoy e, ta bujhte parsilam na. Bondhu tok dhonnobaad. amr pisutan ta tui shorea dili boro mon er porichoy dea. Ashole sob kisur por etai cadet's spirit. Ai jonno ami majhe majhei boli, Allah amr jobon theke 36 year kere nea agn 6 year er Cadet life jodi dite chan, ami bina didhay ta nea nebo Amon oshadharon kisu frn pabo bole. amon oshadharon kisu srity frn der sathe pabo bole. Baktigoto kritoggotay toke bondhu ai para ta lekha. az tor sathe ba any cadet er sathe amr torko-bnitorko hotei pare, bt ai bondhon ta always e otut thakbe, eta Allahr kase amr core of Heart theke ekta chaoa.

    Bondhu mul bishoy nea ami kotha barabo na, amr mone hoy amr kotha ta tui dhorte parishni. jeta vul, seta vul e. ekta vul kokhonoi onno karo kase thik hote parena. tor points gulo thik ase. oboshshoi ekjon baba/ma channa tar shontan rules break koruk. ta jevabei hok na kano. nisok mojar udeshsheo keu kono fault korle, jodi tate karo khoti hoy, sei fault k shomorthon kora jayna. tor shomvoboto montobber eta ekta karon. ami tor sathe ekmot.

    bt ami bolesi, uni amader senior. jono-bissinno manush non. karon shojol er lekha theke eta porishkar j onekei tak chenen, janen.

    SAKA Chowdhury ekjon cadet silen bote bt he was against our Independence. with tht he was a repist, killer. onk ma-bon er shomvrom haranor sathe sathe onk desh-premi mohan manush er khun er sathe se sorasori jorito. j tak ghrina korte j parbe na tar manushikota neai proshno uthbe. tar political pol er lok-jon o ami sure, ai bapar gulo uthle, take hate kore. bt dosto, ekhane j senior vai er bapare kotha hosse tar sathe SAKA'r tulona kora ta ki thik?

    Amar mul points silo dosto, Imran vai is a cedet. hote pare tar onk fault silo cadet life e (j fault gulor onk guloi onk cadet e tar life e korese). now he is an active ex-cadet vaia jar sathe hoyto kalk tor o dekha hote pare. tar bapar e tor apotti thaktei pare. bt seta tui lekhok er sathe personally kotha bole thik kore nite parti.

    facebook er jogot e, ekhon karo sathe jogajog howa 1/2 din er bapar maximum. bt ekjon senior vai, tak evabe direct sobar samne oi adjective use na kore tui lekhok k mail e ba msg e janay dite parti. ate ki holo dekh, j ai blog ta porbe tar e kintu senior vaia tar bapar e biporit ekta dharona jonmabe. ki lav bondhu? lekhok k sabdhan kora ta main, jate se bujhe shune lekhe, bt ta korte jeye tui ki kaj ta aro better vabe korte parti na?

    dosto, ai post e etai amr tor montobber jobab e last comment. ami chaina amader majhe ojotha kono durotto toiry hok. amk vul bujhish na. ami tor ai bapar tak protest koresi j, lekhok k sabdhan kore dite tui Imran vai k oi adjective gulo use nao korte parti. ami khub strongly blv kori, tor vaia k oivabe bola ta thik hoyni. Foyez vai er lekha ta kheal kor. unio lekhok k careful hote bolesen. bt tar bolar dhoron ta amr mote appropiate. amr mone hoy tui bujhte peresish ami ki bolte cheyesi.

    Valo thakish bondhu. amr vul gulo k khoma sulov drishty te dekhish. nahid.djmc@gmail.com eta amr fb mail address. asha korsi fb e kotha hobe. valo thakish.

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      হ্যা, এখন কতো ভালো লাগছে পড়তে।
      আসল ব্যাপার হলো শরিফ অনেক ছোট ছেলে। কয়েকদিন আগে প্রায় একই ঘটনা আমি ফেস করেছি এখানে আসা এক ছোট ভাইয়ের মাঝে। সে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার হয়েও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অসৎ লুইচ্চা কলিগকে গুরু বলে ডাকতো। কারণ ছেলেটা সহজ সরল। সাময়িক ঐ ব্যাটার করা কিছু মজার ঘটনাতে প্রলুব্ধ হয়েই সে গুরু নাম দিছে। যা হোক ঐ ছেলের সাথে নানা বিষয়ে কথা বলে তার ভুলগুলো ভাঙিয়ে দেয়ার পর সে বুঝতে পেরেছে। এখন শরিফের কাছে তার লেভেলের ম্যাচুইরিটি প্রত্যাশা না করলেও আমি ক্যাডেট হিসাবে আমার কনফিডেন্স ছিলো সে সমালোচনা নিতে পারবে। যাহোক সেটা আমার ভুল।
      বুঝতে পারলাম তোর কথার জায়গাটা। আর যদি বলি বিশেষণের ব্যাপারটা , আমি বলবো আমার সে ছিলো ঐ আচরণের বিরুদ্ধে কখনৈ ব্যাক্তি ইমরান ভাইয়ের বিরুদ্ধে নয়। আমি উপরে কোন এক কমেন্টে বলেছি আবারও বলছি, ইমরান ভাই নামটার সাথে এমনভাবে এই ব্লগ জড়ানো তাতে তার নাম সরিয়ে কমেন্ট করার কোন উপায় ছিলো না। কিছু কিছু বিশেষণ খুব বেশি তীব্র হয়ে গেছে। কিন্তু তুই লক্ষ্য করলে দেখবি সেগুলো কোন ঘটনার কনসিকোয়েন্সে বলেছি।
      যা হোক ত্যানা প্যাচালে সেটা প্যাচতেই থাকবে। থাকুক এই বিষয় এখানে।
      তুইও ভালো থাকিস।
      আর খোমাখাতায় রিকোয়েস্ট পাঠাইছি।

      জবাব দিন
  8. শরিফ (০৩-০৯)

    ভাইয়া এবং আপুরা আমি আমার ভুল নিজেই বুঝতে পেরেছি ।ছোট মানুষ হিসেবে অনেক কিছু বুঝতে অনেক সময় লাগে ।আসলে কাউকে ভাল লাগলে তার খারাপ দিক গুলোর কথা খেয়াল থাকে না ।কিন্তু আমাদের এই খারাপ দিকগুলো খেয়াল করা উচিৎ ।দোষটা আমারই ।ইমরান ভাই হয়ত আড্ডার ছলে অনেক কিছুই বলেছে ।হয়ত অনেক গল্প বানিয়ে বলেছে ।কিন্তু আমার এই ভাবে শেয়ার করা ঠিক হয়নি ।যাতে করে বাইরের মানুষের প্রতি খারাপ ধারণা হবে ।সেই কারণে আমি আমার লেখা মুছে দিয়েছি ।কিন্তু ব্লগ টা রিমুভ করতে পারলাম না ।আমিন ভাই আপনার fb id টা আমাকে দিয়েন ।আর ব্লগ টা কমেন্ট সহ কিভাবে রিমুভ করা যায় একটু জানিয়ে দিয়েন ।পরিশেষে সবার সুস্থতা কামনা করে আমার বিতর্কিত পোস্টের এইখানেই ইতি টানলাম ।

    জবাব দিন
    • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

      তুমি ভুল বুঝতে পেরেছ এটা দেখে ভালো লাগলো। তবে পুরো লেখা না মুছে আপত্তিকর অংশগুলো এডিট করে দিলেই হতো। কমেন্ট সহ ব্লগ সরানোর অধিকার কোন ইউজারের নেই। তবে কেউ তার পোস্ট রিমুভ করতে চাইলে এডু স্যাররে (ব্লগ এডজুট্যান্ট) রিকোয়েস্ট পাঠাইতে হয়। তবে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত বড় ভাইয়ের নাম সরিয়ে এবং আপত্তিকর অংশটুকু সরিয়ে পোস্টটাকে রাখা যেতে পারে। (তবে লেখকের ইচ্ছাই শেষ কথা।)
      ফেসবুকে ইংরেজিতে আমিন শিমুল (Amin Shimul) কিংবা আমার মেইল আইডি amin1861@yahoo.com লিখলেই আমার আইডি পাবে।
      আমার একটা কমেন্ট থেকে এত বড় ভজঘট পেকে যাওয়ায় একটু খারাপ লাগছে। তবে শরিফ ভ্রাতা তুমি লেখালেখি থামালে আসলেI আরো খারাপ লাগবে। লেখালেখি চলুক।
      শুভ ব্লগিং।

      জবাব দিন
      • শরিফ (০৩-০৯)

        ধন্যবাদ ভাইয়া ।এডু স্যাররে (ব্লগ এডজুট্যান্ট) রিকোয়েস্ট পাঠাইতে হবে কিভাবে আমি জানিনা ।আমার এই ব্লগ টা পুরোটাই বিতর্কিত হয়ে গেছে ।সেই কারণে এই ধরণের পোস্ট আমি সরানোর পক্ষে ।তা না হলে হয়ত একদিন ইমরান ভাই এই ধরনের পোস্ট দেখে খুব বিব্রত হবেন ।আর বলবেন,"আড্ডার ছলে আমি যা বলেছি তা পোস্ট দেয়ার কি দরকার?" কারণ আমি উনাকে না জানিয়ে লিখেছি ।কলেজ লাইফ এ হয়ত অনেক অনৈতিক কাজ করেছেন ।কিন্তু এখন ইমরান ভাই মানুষ হিসেবে অনেক পরিবর্তিত ।কয়েক মাস আগেও পকক এর পুনর্মিলনিতে অন্যতম sponsor ছিলেন ।কিছুদিন আগে রাজশাহীর get together এর অন্যতম sponsor ছিলেন ।মানুষ হিসেবেও অনেক ভাল ।অনেকদিন পর হয়ত ক্যাডেটদের পেয়ে আবেগের বশে অতিরঞ্জিত হয়ে গল্প বলেছিলেন ।কিন্তু একটি কথা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে,যে কেউ উনার সাথে কথা বললে উনাকে ভাল লাগবেই ।ভুল হয়েছে আমারি ।আড্ডার ছলে উঠে আশা গল্পকে এই ভাবে ব্লগ এ না লিখলে আমি ভাল করতাম ।সবার প্রতি শুভকামনা ।

        জবাব দিন
  9. সাহেদ (৮৯-৯৫)

    সজল,
    প্রথম লেখাতেই সুপার হিট। এজন্যই এতো সমালোচনা । সবার দেখানো ভুল গুলো নিতান্তই তোমার বয়সের জন্য । কারো কমেন্ট এ মন খারাপ করো না । নেক্সট টাইম সমালোচনা গুলো মাথায় রেখে লিখলে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিতে পারবা । অল দি বেস্ট :thumbup: ।


    সাহেদ (৬০৫) ১২ তম ব্যাচ পিসিসি

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জিহাদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।