ঈশ্বরের এক আজব সৃষ্টি: আমার বাবা-মা

প্রাক-কথন: নিজের কাছে দায়বদ্ধতার সূত্র থেকেই এই লেখার সূচনা। অনুভূতিগুলো একান্ত আমার, কথাগুলো নিজের, হয়তবা আরও অনেকের সাথে মিলে যেতে পারে; কিন্তু কথাগুলোর চাপ অনেকদিন জমিয়ে রেখে কেমন যেন এক দমবদ্ধ অবস্থার সম্মুখীন হই প্রতি মুহূর্তে। তাছাড়া আছে শঙ্কা, ভয়, হারিয়ে যাওয়ার ভয়। মানবের অকিঞ্চিৎকর জীবনে যদি অকস্মাৎ হারিয়ে যাই, অথবা যাদের উদ্দেশ্যে বলা তারা যদি হারিয়ে যায় তাহলে যে সারা জন্মই বৃথা। নিজেই দোষী হয়ে যাব নিজের কাছে। সময় থাকতে উপযুক্ত কর্ম না করার মনোপীড়ণের ভাগী হতে চাই না। তাই লেখার ডায়রি আর পেন্সিলটাকে কাছে টেনে নিলাম। লেখাটা আর কাউকে নিয়ে নয়, আমার বাবা মাকে নিয়ে। যেই মাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে সম্বোধন করলেও, তন্মধ্যে সবচেয়ে পছন্দ ‘মাবুলু’, আর তার সাথে মিলিয়ে বাবাকে ডাকতাম ‘বাবুলু’।

আমার বাবা: এখন ষাটোর্ধ আমার বাবা। জীবন যুদ্ধের দীর্ঘ সময়ের যোদ্ধা। নিজের যুদ্ধ সবসময় নিজেই করে গেছেন। কখনও কারও কাছে কোন রকম সাহায্য বা সুবিধা পাওয়ার আশা করতে দেখিনি। উল্টো আমাদেরকেও আত্মনির্ভরশীলতার দীক্ষা দিয়েছেন। হয়তবা বাল্যকাল থেকেই সংসারের নানা ঘাত প্রতিঘাতে তার এই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা।

দাদা মারা যান, তখন বাবা মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়তেন। দাদীর ছিল তের সন্তান। ছোট ছোট এত ছেলেমেয়েকে মানুষ করার কষ্ট করতে গিয়ে কয়েকটাকে খোয়ারে আটকে রাখতেন; কোথায় কোনটা চলে যায় এই ভয়ে। ছোটবেলাতে বাবা মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন আত্মীয়ের বাসায় চাকর বাকরের মত মানুষ হন আমার বাবা। তাদের গৃহস্থালির নানা কাজ, নিজের ছোট দুই বোনকে যত্ন-স্নেহে বড় করার পাশাপাশি নিজের পড়ালেখাও চালিয়ে গেছেন আত্মপ্রত্যয়ের সাথে। ইন্টারের পর ঢাকায় চলে আসেন। চাকরী নেন। পাশাপাশি নাইট কলেজে পড়াশোনা করে বি কম পাশ করে আরও বড় চাকরীতে আসতে পারেন। ছোট ভাইয়ের পড়ার খরচ বহন করার জন্য নিজে বিয়েও করেন দেরিতে। এই হল আমার বাবা। যাকে অসৎ পথে কিছু আয় করতে দেখিনি। অর্থ-বিত্তের চাকচিক্য না থাকলেও আমাদের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে তাই সততার দীক্ষা ছিল সর্বদা।

ছোটবেলা থেকেই আমাদের দুই ভাইয়ের কাপড় চোপড় তথা বাইরের চাকচিক্য না থাকলেও আমাদের পড়ালেখার ব্যাপারে বাবা-মা সবরকম কষ্ট সহ্য করে খরচ করতে কুণ্ঠা করেন নি। প্রতিদিন আব্বু অফিস থেকে আসলে হাতে একটা না একটা ফলের ঠোঙা দেখেছি। আটপৌরে সংসারে পোলাও কোরমা না হলেও আমাদের দুই ভাইয়ের পুষ্টিতে যেন কোন ঘাটতি না হয় তার ব্যাপারে বাবা মা দুই জনকেই সবসময় সচেতন দেখেছি।

আমার মা: মায়ের কথা কি লিখব! মায়ের প্রতি ছেলেদের নাকি সবসময় এক স্বার্থপরতা কাজ করে। যেই মার গায়ের মা মা গন্ধ সবসময় আমার মাঝে মাদকতা জাগায়, যার স্নেহার্দ্র পরশ আমার দুঃখ, আমার শঙ্কা, আমার ভয়, আমার সব খারাপ অনুভূতিকে পরপারে পাঠিয়ে দেয় তাকে নিয়ে কি এই স্বল্প পরিসরে লেখা সম্ভব? আমি জানি সম্ভব না। তারপরেও যতটা পারব চিত্রস্থ করার চেষ্টা করব।

নানা-নানীর দশ সন্তানের মধ্যে মা তৃতীয়, মেয়েদের মধ্যে প্রথম। তৎকালীন যুগের পরিবারের বড় মেয়েদের মত ছোট থেকেই স্বার্থত্যাগের শিক্ষায় শিক্ষিত। অল্প বয়স থেকেই ছোট ভাইবোনদের জন্য অনেক বাসনাকে অতৃপ্ত রেখে দিতে হয়। মায়ের পাশাপাশি সংসারের অন্যতম কর্ত্রী হয়ে যেতে হয়। তা আমার মা ছোট থেকেই করে এসেছেন। অন্যের সাধ মেটাতে নিজের ছোট ছোট আনন্দ-ইচ্ছাগুলোকে যে অন্তরেই দাফন করতে হয় তার উপলব্ধি ছোট বয়সেই আত্মস্থ করেন। বিয়ে করে শহরের মেয়ে থেকে গায়ের বধূতে পরিণত হন। কিন্তু জীবন-লব্ধ ত্যাগের শিক্ষাকে আরও অম্লান করে চলেন। তন্মধ্যে আমার বাবা মার সংসার আলো করে আসে আমার বড় ভাই। দুইজনের ছোট্ট সংসারে নতুন অতিথি। চাকরির কারণে বাস পরিবর্তন। এরকম করেই চলতে থাকে সংসারের ঠেলাগাড়ি। পাশাপাশি সংসারের প্রয়োজনে মা চাকরিতে যোগদান করেন। বড় ভাইয়ের পাঁচ বছর পরে সংসারে আমার আগমন। আর কিছুদিন পর পুরো পরিবারের ঢাকায় স্থানান্তর।

নিজের অফিস, ছোট দুই বাচ্চাকে বড় করা, সংসারের হাজারও কাজ। বেশির ভাগ সময়ই কোন কাজের লোক পাওয়া যেত না। শত প্রতিবন্ধকতার ভিড়ে মা আমার হার মানেন নি। নিজের শত কষ্টকে উপেক্ষা করে সংসারের ডিঙিটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সবসময় সহযাত্রী ছিলেন আমার বাবা। আমাদের বাসা ঢাকার উত্তর প্রান্তে। আধপাকা এ বাড়িতেই আমার শৈশব, কৈশোর সব। যখন একটু বড় হলাম, স্কুলে যাওয়ার সময় আসল। তখন এদিকে কোন ভাল স্কুল ছিল না। পরে বড় ভাই আর আমাকে ফার্মগেটে এক স্কুলে ভর্তি করানো হল। মায়ের অফিস কাকরাইল, বাবার সড়ক ভবন। ভোরে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানানো, আমাদের দুই ভাইয়ের টিফিন, আমাদেরকে তৈরি করা; এত সব করে সকালে বাসে বাদুড়-ঝোলা হয়ে স্কুলে দিয়ে আসতেন বাবা-মা। তারপর অফিসে যেতেন। আবার যখন স্কুল ছুটি হত, স্কুল থেকে অফিসে নিয়ে যেতেন মা, মাঝেমাঝে বাবা। তারপর মায়ের অফিস শেষ হলে তিন জনে বাসায় ফিরতাম। বাবা ফিরতেন আরও কিছুক্ষণ পর। ঢাকা শহরের দূরত্বের যাদের ধারণা আছে, তারা নিশ্চয় অনুধাবন করতে পারবেন একজন নারীর পক্ষে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে কি অমানুষিক কষ্ট করেছেন আমার মা। বাসায় ফিরেও ইতি নেই। কখনও সকালেই দুপুরের খাবার রান্না করে রেখে যেতেন। কাজের লোক না থাকলে ঘরদোর পরিষ্কার, আরও নানা ফ্যাঁকড়া তো লেগেই থাকত। তারপরেও কখনও তাকে ভেঙে পড়তে দেখি নি। সহ্যশক্তির একেক স্তর অতিক্রম করে যেন নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়।

এত কিছুর পরেও এখনও সারাদিন ‘ছেলে’ আর ‘ছেলে’। আমি যখন ক্যাডেট কলেজে ক্লাস সেভেনে যাই, প্রথমে নয়দিন কলেজে ছিলাম। আমার মা তখন দুপুর খেতেন না, তার ছেলে কি খাচ্ছে না খাচ্ছে সেই চিন্তা করে। আমাদের ছোট্ট সংসারে আমি ঘুমতাম আব্বু-আম্মুর সাথে। মায়ের গায়ে পা তুলে না দিলে ঘুম আসত না। ছুটিতে আমি বাসায় আসলে আম্মু আমাকে পাশে নিয়ে শুতেন। আমার পা তুলে নিতেন নিজের গায়ে। তারও যে অভ্যাস। তারও যে ছেলেকে রেখে ঘুম আসে না। মাঝেমাঝে আমার চুলে বিলি কেটে দেন। আমার হাতটা নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে আপন ধ্যানে আদর করেন। মায়ের মন বোঝার ক্ষমতা কি বিধাতা আমাদের দিয়েছেন, না তা ধারণ করার মত যোগ্যতা আমরা অর্জন করেছি!

মা আমার জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছেন খুবই সাধাসিধাভাবে। কখনও নেইল পলিস বা অন্যান্য প্রসাধন ব্যবহার করতে দেখতাম না। হালাক হয়ত লিপস্টিক দিতেন, তাও কয়দিন হাত গুনে বলে দেওয়া যাবে। বাবার শত অনুরোধেও নতুন নতুন শাড়ি কাপড় কেনার আগ্রহ দেখাতেন না। জীর্ণ স্যান্ডেলটাকে মুচির কাছে সেলাই দিয়ে আবার ব্যবহার করতেন। একজন মেয়ে কিভাবে নারী জীবনের এইসব স্বাভাবিক চাহিদাগুলোকে অতিক্রম করে একজন পরিপূর্ণ জননীতে রূপান্তরিত হন তা আমার আজও বোধগম্য নয়।

আমার বাবা-মা: যদি হিন্দু হতাম তাহলে হয়ত বলতাম পূর্বজন্মে আমি আর আমার ভাই খুব বড় কোন পুণ্য করেছিলাম তাই হয়ত ভগবান এই জন্মে এমন পিতামাতার সংসারে জন্মানোর ভাগ্য দিয়েছেন। কিন্তু মুসলমান বলে আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করি, এক পার্থিব জীবনে এমন মানুষের সান্নিধ্যে আসার তৌফিক দিয়েছেন, তাদের সন্তান হয়ে জীবন যাপনের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেছেন।

মানুষ কিভাবে এত নিঃস্বার্থ হতে পারে বুঝি না। আপন পর সবার সাহায্যে বাবা মাকে সর্বদা অগ্রগামী দেখেছি। নানা-নানীর সেবায় বাবাকে যেমন দেখেছি, দাদীর সেবায় মাকেও বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করতে দেখি নি। ঢাকায় বাসা হওয়ায় আত্মীয় স্বজন কাজের খাতিরে তথা বিনোদনের তাগিদে আমাদের বাসায় এসেছেন। নিজের বিছানা তাদের জন্য ত্যাগ করে মাটিতে শয়ন করা আমার বাবা মার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। কেউ যদি হাসপাতালে থাকতেন, বাবা মা দৌড়ে গেছেনে তাদের সাহায্যার্থে। টাকার সাহায্য খুব বেশি করতে না পারলেও তাদের উপস্থিতি দিয়ে যতটা সম্ভব করে গেছেন পরের জন্য। প্রতিদানে কি পেয়েছেন? কখনও হয়তবা কাছের মানুষের কাছ থেকে অনেক দুঃখ পেয়েছেন। হয়ত কাছের মানুষ তারাই যাদের ব্যবহারের ক্ষীণ তারতম্যেই আমরা কষ্ট পাই। কিন্তু তারপরেও কারও দুঃখের সময় বাবা-মা কে কখনও পিছপা হতে দেখি নি। উল্টো আমাদের দুই ভাইকে শিক্ষা দিয়েছেন মানুষের বিপদে এগিয়ে যেতে, প্রতিদানের আশা না করে।

নিজেরা ঠিকমত না খেলেও ছেলেদের খাওয়া পরার যেন কোন কমতি না হয় তার প্রতি সবসময় লক্ষ্য রেখেছেন। অনেক কিছু হয়ত আমাদের পছন্দ, তাই তারা সেগুলো খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যাতে ছেলেরা বেশি খেতে পারে। তাই এখনও বাসায় পছন্দের মাছ রান্না হলে দেখি বাবা-মা মাছের পিস ভাগ করে খান, যাতে ছেলের কম না পড়ে! আমাদের খাইয়েই তারা তৃপ্তি পেয়েছেন। বছরান্তে বা ঈদের সময় তারা নুতন কাপড় না কিনলেও ছেলেদের জন্য সবসময় নুতন কাপড়ের সংস্থান করেছেন। নিজেদের জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকী না পালন করলেও ছেলেদের জন্মদিনটাকে মনে রেখেছেন। তাদের ছোট বড় আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়েও ছেলেদের ছোট ছোট চাহিদাগুলোকে সবসময় বড় করে দেখেছেন। আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণের মাঝেই তাদের আশা পূরণের চেতনা খুঁজে নিয়েছেন। আমাদের অসুখ করলে বা পরীক্ষা থাকলে রাতের ঘুম হারাম করে পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। মানবজীবনের সংকীর্ণতাগুলোকে অতিক্রম করে ভরিয়ে তুলতে চেয়েছেন সন্তানের জীবনটাকে।

আমি জানিনা মানুষ কিভাবে এমন হয়। কিভাবে তারা এমন হতে পারে। জানিনা পৃথিবীর সব বাবা-মাই এমন হয় কিনা। জানিনা কোনদিন তাদের পায়ের নখের তুল্যও হতে পারব কিনা। হয়ত সম্ভব না। তারা নিজেদের মানব সংস্কৃতির এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, আমার বা আমাদের মত স্বার্থপর, সংকীর্ণ-চিত্তের মানুষের পক্ষে তার দর্শনলাভ করা তথা সমকক্ষতা অর্জন করা অসম্ভব।

পাদটীকা: লেখার শেষে নিজের ছোট্ট একটা স্বপ্নের কথা বলি। খুব ইচ্ছা আছে খোদা যদি সামর্থ্য দেন, নিজের যদি যোগ্যতা হয়, তবে বাবা-মার কোন এক বিবাহ বার্ষিকী খুব ঘটা করে পালন করব। কাছের দূরের সবাইকে নিমন্ত্রণ করব। সবাইকে দেখাব, “দেখ, এই আমাদের বাবা-মা। নিজের জীবনের সব দুঃখ কষ্ট হাসি মুখে বরণ করে যারা কেবল দিয়েই গেছেন, বিন্দুমাত্র প্রতিদানের আশা না করে। নিজের জীবনকে সন্তানদের জন্য বিলিয়ে দিয়েও যাদের ত্যাগের ভাণ্ডার নিঃশেষ হয় না। দেখ, এই আমদের বাবা-মা, এরা আল্লাহর এক আশ্চর্য সৃষ্টি। এদের মত মানুষও পৃথিবীতে আছে। তোমরা দেখে যাও, এই আমাদের বাবা-মা।”

জানিনা বিধাতা কবে আমাকে সেই সামর্থ্য দেবেন। বা আদও দেবেন কিনা। না অকিঞ্চিৎকর জীবনে মনের এই কথাগুলো না বলেই চলে যেতে হবে অজানার দেশে। না যাদের কে বলতে চাই তাদের পাব না। এই শঙ্কা, এই ভয়, এই দায়বদ্ধতা থেকেই এই লেখা। হয়ত লেখাতে অনেকেই আত্মহংকার খুঁজে পেতে পারেন। তাতে আমার কোন লজ্জা নেই। আমার বাবা-মা আমার অহংকার। তারপরে আমার ভাই, ভাবী, আমাদের ছাপোষা সংসার। সরাসরি বাবা-মাকে কোনদিন বলা হই নি, তাই এখানেই বলি,

“বাবা ও মা, আমার মাবুলু-বাবুলু, আমি তোমাদের অনেক অনেক ভালবাসি, তারথেকেও বেশি শ্রদ্ধা করি।”
উৎসর্গ: আমার বড় ভাই, বাঁধন, ওরও অনুভূতি আমার মত, কিন্তু প্রকাশ কম। তাই বড় ভাই আর আমার পক্ষ থেকে লেখাটা আমাদের বাবা-মাকে উৎসর্গ করলাম। আর উৎসর্গ করলাম, পৃথিবীর সেই সব বাবা-মাকে, সন্তানদের জন্য, সবার জন্য করেও যারা ক্ষান্ত দেন না, প্রতিদানের আশা ব্যতিরেকে। যারা শুধু দিয়েই যান…দিয়েই যান…দিয়েই যান…

০৩.০১.২০১২

২,২৫৫ বার দেখা হয়েছে

২৬ টি মন্তব্য : “ঈশ্বরের এক আজব সৃষ্টি: আমার বাবা-মা”

  1. মুসতাকীম (২০০২-২০০৮)

    ৫ তারা... এককথায় অসাধারন :boss: :boss: :boss:

    বাবা-মাকে পেইন ছাড়া এখন পর্যন্ত বিশেষ কিছু দিতে পারি নাই।

    ~x( ~x( ~x(


    "আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"

    জবাব দিন
  2. নবী

    ইচ্ছা আছে খোদা যদি সামর্থ্য দেন, নিজের যদি যোগ্যতা হয়, তবে বাবা-মার কোন এক বিবাহ বার্ষিকী খুব ঘটা করে পালন করব। কাছের দূরের সবাইকে নিমন্ত্রণ করব। সবাইকে দেখাব, “দেখ, এই আমাদের বাবা-মা। নিজের জীবনের সব দুঃখ কষ্ট হাসি মুখে বরণ করে যারা কেবল দিয়েই গেছেন, বিন্দুমাত্র প্রতিদানের আশা না করে। নিজের জীবনকে সন্তানদের জন্য বিলিয়ে দিয়েও যাদের ত্যাগের ভাণ্ডার নিঃশেষ হয় না। দেখ, এই আমদের বাবা-মা, এরা আল্লাহর এক আশ্চর্য সৃষ্টি। এদের মত মানুষও পৃথিবীতে আছে। তোমরা দেখে যাও, এই আমাদের বাবা-মা।”

    ভাইয়া মনের আশা পূরন হোক ।

    জবাব দিন
  3. লেখাটার জন্য ধন্যবাদ । আমার সাথে এক জায়গায় মিল নেই। আমি সব সময় মনে হয় আমার বাবা মা কে নিয়ে খুব আনন্দের কিছু দিন কাটাতে মহান আল্লাহ আমাকে সময় দেবেন । আমি সেই দিনটির অপেক্ষা করি।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সুষমা (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।