বুলু! আমার বুলু!

তখন কেবল নতুন নতুন পড়া শিখেছি। “অ তে অজগর আসছে তেড়ে”। “আ তে আমটি আমি খাব পেড়ে”। প্লাস্টিক বইয়ের পাতার রঙিন ছবিগুলো, শব্দগুলো, আর এলোমেলো অক্ষরগুলো নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছিল আমার মস্তিষ্কের অন্তর্জালগুলোতে। অনুভূত পৃথিবীটাকে, আশেপাশের কাছের-দুরের মানুষগুলোকে, অনুভূতিগুলোকে ধীরে ধীরে প্রকাশ করার যোগ্যতা অর্জন করছি। এমন সময় জানলাম, বাসার চিরচেনা জগতটাকে পাশে রেখে, প্রিয়জনগুলোর সান্নিধ্য ছেড়ে কোন এক জায়গা, স্কুলে নাকি যেতে হবে। ছোট্ট আমি, দুর্বল আমিতো ভয়েই সারা। সবাইকেই নাকি যেতে হয় ঐ জায়গায়। লেখাপড়া করে নাকি মানুষ বড় হয়। সুমন মামার মত নাকি বড় বাড়ি হয়। গাড়ি হয়। আমি তখন জীবনে বড় হওয়ার আশাকে বাক্সবন্দী করে দাদু ভাইয়ের ঘরে, দাদীর আচলের আড়ালে, বিনু ফুর সাথে রান্নাবাটি খেলতে, বড় চাচীর সাথে পাড়া বেড়াতেই মনস্থ করেছি। এই সময়টাতেই ঘটল আমার জীবনের প্রথম অঘটন!
হঠাৎ করেই অনুভব করলাম আমার মা টা যেন কেমন মোটা হতে শুরু করেছে। সবাই যেন কি সব বলাবলি করে। আমি জিজ্ঞেস করলে বলে পেটে নাকি বালিশ বেধে রেখেছে। আমি আম্মুকে বলতে আম্মু খালি হাসে। সবাই বলে আমার নাকি একটা বোন হবে। আমার নাকি খেলার সাথী নেই, তাই আল্লাহর কাছে চেয়ে আমার জন্য একটা বোন নিয়ে আসবে। আমি তো কিছুই বুঝি না। মনের মাঝে নতুন খেলার সাথী পাওয়ার হালকা রোমাঞ্চ। বোনটাকে কবে নিয়ে আসবে তার জন্য আম্মুর কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর। এভাবেই চলে যাচ্ছিল ছোট্ট আমার দিনপঞ্জি।
এভাবে কয়েক মাস কেটে গেল। আম্মু আরও বেঢপ মোটা হতে থাকল। আম্মু কেমন যেন হয়ে গেছে। ঠিকমত আমার খোজ নেয় না। আম্মুর গায়ে পা তুলে না দিয়ে আমি কখনও ঘুমাতে পারিনা। আম্মুকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে গায়ের ওম ওম ভাবটা নিজের দেহে ছড়িয়ে না দিলে আমার যেন আঁশ মেটে না। আম্মুর গায়ের গন্ধটা কেমন যেন ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। সাথে ছোট্ট ছোট্ট ছড়া, রূপকথা, লাল পরী, নীল পরীর গল্প, পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়ে উড়ে আসা রাজপুত্রের গল্প শুনতে শুনতে যেন ঘুমন্ত রাজপুরীতে রাজকন্যাকে বাচাতে আমিই ছুটে যেতাম। স্বপ্নের দেশের ভেলায় চড়ে রাক্ষস-খোক্কসের দেশ থেকে মেঘের দেশে চলে যেতাম। কখনও বা “হাট টিমা টিম টিম, তারা মাঠে পাড়ে ডিম” আওরাতে আওরাতে এই আজব জীবের পরিচয় অনুসন্ধানে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তাম। সেই আম্মুটা এখন কেমন যেন আগের মত আমাকে ছড়া বলে না। মাঝে মাঝে নিজেই নিজের সাথে কথা বলে। আমি বাইরে গেলে আগের মত বকা খাই না। আব্বুও কেমন যেন অনেক ঠাণ্ডা মেজাজের হয়ে গেছেন। আগের মত জোরে কথা বলেন না। কখনও বা রাতে এসে আমার আদর্শলিপিটা খুলে আমায় বোঝানোর চেষ্টা করেন। চারপাশের এই অসংখ্য ছোটখাটো পরিবর্তনগুলোই সমষ্টি হয়ে আমার কাছে ধরা দেয়। আমাকে আরও রহস্যের জালে আবদ্ধ করে ফেলে।
দিনটি ছিল কোন এক শুক্রবার। সকালে উঠেই আমি চলে গেছি পাশের বাসার প্রজাপতির সাথে খেলতে। আমার ছোট্ট বান্ধবী। হঠাৎ বিনু ফু হন্তদন্ত করে আমায় খুঁজতে আসল। বলল মায়ের নাকি শরীর খারাপ করেছে। তাকে নাকি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে আব্বু। আমি বাসায় আসতেই ছোটকা বলল, আমি নাকি আম্মুর কথা শুনিনা। পড়ালেখা করিনা। সারাদিন টো টো। তাই নাকি মার শরীরের এই অবস্থা। আমি তো কেঁদেই খুন। মা তো আমার একটাই। আল্লাহর কাছে কত বললাম, এইবার মা ভাল হয়ে গেলে আর কোনদিন দুষ্টামি করব না, সব সময় ভাল ছেলেটি হয়ে থাকব। অশ্রুমাখা নয়নে বিধাতার সাথে আমার কঠিন সন্ধি। আর আম্মুর কিছু হলে সারাজীবনের আড়ি। আর কখনও কিছু চাইব না। কক্ষনও না। না! না! না! তিন না!
স্মৃতির পাতায় দিনটি এখনও উজ্জ্বল। বাবা মাকে নিয়ে হাসপাতালে। আমি কানতে কানতে না খেয়েই আধো ঘুমে। হঠাৎ সোরগোলের আবছায়া। তার সাথে আমার নামের প্রতিধ্বনি আমাদের বাড়িটার দেয়ালে দেয়ালে। ঘুম থেকে উঠে শুনলাম আমার নাকি একটা বোন হয়েছে। সবাই দেখি খুব হাসিখুশি। বিনু ফু সাজুগুজু করছে। দাদীকেও দেখলাম পান চিবোতে চিবোতে সবাইকে তাগাদা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। সবাই নাকি হাসপাতালে যাবে। ছোটকাকে পাঠানো হয়েছে রসগোল্লা নিয়ে আসার জন্য। বাসায় কেমন যেন একটা উৎসব উৎসব ভাব। যেই আমাকে দেখছে, আমায় সুসংবাদ জানাতে ভুলছেনা। কে নতুন আসবে, যে তার জন্য চারপাশের আবহাওয়ার এমন আকস্মিক পরিবর্তনগুলো আমায় ছুঁয়ে গেল।
বিনু ফুর কোলে বসে, রিকশায় চেপে, আর সবার মত আমিও হাসপাতালে গেলাম। মনে হালকা ভয়, হালকা উচ্ছ্বাস, নতুন খেলার সাথীটাকে দেখার অধির আগ্রহ। যেই ঘরে আম্মুকে রাখা হয়েছে, তার বাইরে আব্বুকে কার সাথে যেন কথা বলতে দেখলাম। আমায় কাছে নিয়ে চুলে হাত বুলিয়ে আদর করে দিলেন। আব্বুকে খুব খুশি দেখলাম। বলল আম্মু ঘরের ভিতরে আছে। একজন একজন করে ভিতরে যেতে বললেন।আমি দাদীর সাথে প্রথমেই ঢুকে গেলাম। আম্মু বোধহয় একটু চোখ বন্ধ করে ছিলেন। আমরা ঢুকতেই চোখ মেলে তাকালেন। আমি দৌড় দিয়ে আম্মুর কাছে যাচ্ছিলাম। এর মাঝেই এক নার্স আমায় আটকে দিলেন। বললেন আম্মুকে বেশি জ্বালাতন না করতে। খুব নাকি ক্লান্ত। আম্মু নার্সকে বলল, আমাকে কাছে পাঠাতে। আমি কাছে যেতেই আম্মুকে জড়িয়ে কান্না। গন্ধ শুকে দেখলাম সব ঠিক আছে। সেই গন্ধ। সেই ছোঁয়া। মা আমার বেচে আছে। আমার কান্না দেখে আম্মু বলেন, “বোকা ছেলে! কাঁদিস কেন?” আমি কি আর বোঝাতে পারি, কেন কাঁদি! মা যে আমার কি তা আমি ঐদিনই প্রথম উপলব্ধি করলাম।
একটু পর তাওয়েলে করে একটা পোটলা মতন জিনিস, একটা নার্স নিয়ে আসল। আমাকে সড়ে দাড়াতে বলল। এই পোটলাটাই নাকি বাচ্চা। আমার বোন। আম্মুর পাশে এসে শুইয়ে দিয়ে গেল নার্স। আমি একটু উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। তাওয়েলে জড়ানো কেমন যেন লালচে লালচে দেখতে। ঘুমাচ্ছে মনে হয়। আম্মু পুচ্চিটাকে একটা চুমু খেলেন। এর মাঝে আমাদের অন্যসব আত্মীয়রা এক এক করে দেখে যেতে লাগলেন। পিছির নাক কার মত, চোখ কার মত, সেসব নিয়ে তুমুল বাক্যবিনিময়। ঐ পিচ্চিকে দেখে, কে যে কার সাথে মিল খুঁজে পেল, আমি তার মাথামুণ্ড কিছুই অনুধাবন করতে পারলাম না। আমার কাছে সবই তখন বিস্ময়, কুয়াশা আবৃত। আমার ইচ্ছা করছিল আম্মুর পাশে একটু শুয়ে থাকার। গায়ে পা তুলে দিয়ে পরীদের গল্প শোনার। কিন্তু কেউ আমাকে সে সুযোগ দিল না। বড় ডাক্তার এসে সবাইকে বকা দিয়ে বের হয়ে যেতে বললেন। আম্মুকে বিরক্ত করতে নিষেধ করলেন।আমরা সবাই বের হয়ে আসলাম। সন্ধ্যা পার হয়ে যাচ্ছে দেখে আব্বু আমাদের বাসায় পাঠিয়ে দিলেন। আম্মুকে নাকি কাল বা পরশু ছেড়ে দিতে পারে। মাকে ছাড়া প্রথম আমি বিনু ফুর সাথে ঘুমালাম।
আম্মু ফিরে আসল দুদিন বাদে। কোলে পিচ্চিটা। আশেপাশের বাসার সবাই দেখতে আসলেন। আবার একি গবেষণা, একি আলোচনা। নিজেকে কেমন যেন পর পর লাগা শুরু করল। আগে বাসায় আমি ছিলাম সবার ছোট। কেউ আসলে আমাকেই আদর করত। লজেন্স দিত। চার আনার লজেন্স। আট আনার লজেন্স। কেউবা আবার কাঠি লজেন্স। কোলে বসিয়ে কত প্রশ্ন করতেন। আমিও বুদ্ধিমান সেজে, বড় মানুষের মত কথা বলে সবার বাহবা কুড়াতাম। আর পিচ্চিটা আসার পর, সবাই কেমন যেন আমাকে ভুলে গেল। সবাই ভিতরে যেয়ে পিচ্চিটাকেই দেখতে লাগল। আমার দিকে কেউ ফিরেও তাকাল না। সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু থেকে স্থানান্তর, ছোট্ট আমাকে বেশ বড় রকমের নাড়া দিয়ে গেল।
কেউ আমায় সরাসরি বলল না। তাও আমি বিনু ফুর সাথে রাতে ঘুমানো শুরু করলাম। আব্বু-আম্মু। আবার পিচ্চিটা। খাটে আমার জায়গা কোথায়! আম্মু আমাকে আগের মতই তার পাশেই ঘুমাতে বললেন। কিন্তু আমি যেন উপলব্ধি করলাম, মায়ের পাশে, আমার পরম প্রিয় জায়গাখানা আজ হাতছাড়া। মাঝে মাঝে রাতে ঘুম ভেঙে যেত। আমার নড়াচড়ার শব্দে বিনু ফু জেগে যেতেন। জিজ্ঞাসা করতেন ভয় পেয়েছি কিনা। আমি কিছু বলতাম না। চোখ ভেঙে কান্না আসত। মায়ের গায়ে পা তুলে না দিলে, যে আমার ঘুম আসে না। মায়ের গায়ের গন্ধ ছাড়া যে সব জায়গায় আমার অপরিচিত মনে হয়। আমার রাক্ষস-খোক্কস-দৈত্য-দানোর জগতটা হঠাৎ করেই কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যায়। নিশ্চিত জীবনটা হঠাৎ করেই অনিশ্চয়তার গ্রাসে অস্তিত্বের সংকট অনুভব করে।
আমি যেন দিন দিন কেমন হতবিহবল, নিশানা হীন, পথহারা পথিকের মতে হয়ে গেলাম। মাঝে মাঝে খারাপ লাগলে মায়ের কাছে ছুটে যেতাম। কখনও কখনও মা সময় দিতে পারতেন। জড়িয়ে ধরে আমার চুলে মাথা গুজে দিতেন। আমার জীবনটা কেমন আনন্দ-সুখে বিলীন হয়ে যেত। কখনও দেখতাম পিচ্চিটাকে নিয়ে তিনি ব্যস্ত। কখনও খাওয়াতে। কখনও কাপড় পাল্টাতে। কখনও ঘুম পাড়াতে। ছোট্ট একটা মানুষকে যে কেন এত প্রাধান্য দিতে হবে, তা আমার বোধগম্য হত না।
পিচ্চিটার নাম রাখা হল বেশ ঘটা করে। বাবা ছাগল কিনে আনলেন। আমি ছাগলের দড়ি ধরে কয়েক চক্কর দিলাম। ওটাকেই কেটে-কুটে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো হল। আর পিচ্চির নাম রাখা হল সাদিয়া আফরোজ। মা ডাকে বুলু। মা এত আদর নিয়ে ডাকতেন, আমার বড্ড মেজাজ খারাপ হত। কৈ, আমাকে তো এত আদর করে ডাকেন না। এত স্নেহ করেন না। ছোটকা টাও কেমন ফাজিল। আমাকে বলে কিনা, আমাকে নাকি ছোটবেলায় রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে। আমি নাকি আব্বু-আম্মুর আসল ছেলে না। কুড়িয়ে পাওয়া। তাই নাকি আমায় আদর করে না। আমি কাঁদতে কাঁদতে আম্মুর কাছে নালিশ দিলাম। মা ছোটকাকে কি বকা!
তাও কেন যেন সন্দেহ আমার মনে দানা বাধতে থাকল। আসলেই আমি মনে হয় কুড়িয়ে পাওয়া। তাই আর আমার খোজ নেন না মা। আদর করেন না। বাবাও কেমন যেন, আগের মত আদর করেন না। মাঝে মাঝে পড়াশোনা না করে পাড়া বেড়ালে বকা দেন। শাসন করেন। আমি যেন বানে ভেসে এসেছি। কেউ আমার আপন না। কেউ আমাকে ভালবাসে না। আদর করে না। এমনই এক দিনে সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললাম।
আমাদের বাসাটা ছিল দোতলা। আম্মুদের ঘরটা ছিল পূবদিকে। জানালার পাশেই বিছানা। যখন আশেপাশে কেউ থাকবে না, খালি হতচ্ছাড়াটাকে জানালা দিয়ে গড়িয়ে দিলেই চলবে। যখন ও থাকবে না, সবাই আবার আমাকে আদর করবে। আবার আমি আম্মুর পাশে ঘুমাবো। রাজপুত্র, রাজকন্যাদের গল্প শুনব। আবার আমি সবার আদরের বাবু হয়ে উঠবো।
কঠিন সংকল্প নিয়ে আম্মুদের ঘরে গেলাম। আম্মু নিচে। দাদুকে রান্নায় সাহায্য করছেন। বিনু ফুও কলেজে গেছে। পিচ্চিটা একা, খাটে শুয়ে খেলছে। আপন মনে। আমি দরজাটা ভাজ করে খাটে উঠলাম। পিচ্চিটাকে কোলে নিয়ে জানালার কাছে গেলাম। নিচে ফাঁকা। কেউ নেই। চিন্তা করতে করতে পিচ্চিটার দিকে তাকালাম। আমার দিকে কেমন যেন মিটমিট করে তাকাচ্ছে। ছোট্ট ছোট্ট আঙ্গুলগুলো দিয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করল। কেমন আশ্চর্য সরল একটা হাসি দিল। দাতহীন সরল মুখটাই কেমন যেন একটা মায়া সৃষ্টি করল। হঠাৎ করেই রূপকথার লাল পরী, নীল পরী বাস্তবতায় আমার কাছে ধরা দিল। আমাকে আপন করে বোকা বানিয়ে দিল। তখনই প্রথম উপলব্ধি করলাম, আমার রূপকথার ছোট্ট রাজকন্যা তো আমার কোলে। ছোট্ট ছোট্ট হাত। ছোট্ট ছোট্ট পা। তারচেয়েও ছোট্ট আঙ্গুল। সরল শুভ্র মুখ। ছোট্ট সুন্দর হাসি। কল্পনার পরীরাও বুঝি ঈর্ষায়-লজ্জায় মুখ লুকল। আমি জড়িয়ে ধরলাম আমার ছোট্ট রাজকন্যাটাকে। আমার পরী। আমার বুলু। বুলু! আমার প্রাণের স্পন্দন…
০১.১০.২০১১

১,৭৪৪ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “বুলু! আমার বুলু!”

  1. সাইফুল (৯২-৯৮)

    লেখাটা পড়ে ভাল লেগেছে কিন্তু অবাক হচ্ছি যে ঐ বয়সে কি আসলে তোমার ছোটবোন কে জানালা দিয়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা করেছিল কিনা? 😕
    যদি করে থাকে তুমি ত ভাই ভয়ঙ্কর ছিলা... x-(

    জবাব দিন
  2. সামিয়া (৯৯-০৫)

    চমৎকার হয়েছে। এই বিষয়টা আর তার সমাধান নিয়ে লেখা আসা উচিৎ, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যা। বাচ্চাদের খুব সেন্সিবলি হ্যান্ডেল করতে হয় এই সময়টায়।

    জবাব দিন
    • সন্ধি (১৯৯৯-২০০৫)

      ধন্যবাদ 🙂

      যদিও আমি নিজেই বাসার ছোট, কিন্তু চারপাশের অনেককেই দেখেছি এই সমস্যাটাই ভুগতে...অনেকে বড় হয়েও ছোট ভাইবোনদের সাথে ঠিক মত মিশতে পারে না, এমনও দেখেছি...আর ছোটবেলার এই সময়টা আসলেই অনেক স্পর্শকাতর। বাকিদের অভিজ্ঞতা জানতে আগ্রহী...

      জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সন্ধি (১৯৯৯-২০০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।