পিলখানা হত্যাযজ্ঞ: চিন্তাঝড় ৩ ‌‌– গুজবের ময়না তদন্ত

সিরিজের অন্যান্য পোস্ট:
চিন্তাঝড় ১: বিডিআর বিদ্রোহ — প্রথম প্রহর‌‌ — কী কারণে? কারা? ঠিক এখনই কেন?
চিন্তাঝড় ২ : পিলখানা হত্যাযজ্ঞ — কারা, কেন, কীভাবে?

ঢাকা এখন গুজবের শহর। অনেক ধরণের আকাশকুসুম গুজব উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে বাতাসে। তারই একটি হল কথিত এক সেনা জেনারেলের একটি প্রচারণা যেটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ব্লগে এটিকে জনৈক সেনা জেনারেলের ইমেইল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আলোচনার সুবিধার্থে প্রচারণার লেখককে ‘জেনারেল’ হিসেবেই সম্বোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। ইমেইলটি আমার নজরে এসেছে বেশ কয়েকদিন আগেই। এক বন্ধু পাঠিয়েছিল। এ ধরণের ‘অসাধারণ’ প্রচারণাকে আমি সাধারণত গুরুত্বের সাথে নিইনা। পড়াটাকেও এমনকি মনে করি মূল্যবান সময়ের অপচয়। ধরেই নিয়েছিলাম এমন আকাশকুসুম তত্ত্বে অন্তত শিক্ষিত কোন মানুষের ভাবান্তর হবে না। কারণ, ইতিপূর্বে এমনই উদ্ভট থিওরী প্রচার করা হয়েছে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার পর। বলা হয়েছিল শেখ হাসিনা নাকি নিজেই নাটকটি সাজিয়েছিলেন; নিজের চার পাশে ডজনখানেক বিধ্বংসী গ্রেনেড ফাটানো ছিল যেটির অংশ! সারা দেশ ব্যাপী যখন জঙ্গীরা সিরিজ বোমা হামলা করেছিল, তখন জোট সরকারের ক্ষমতাসীন শ্রেনীটি প্রচার চালিয়েছিল এটা নাকি ‘ভারতীয় হিন্দু জঙ্গীদের কাজ’! বাংলা ভাই যখন উত্তর বঙ্গের জেলায় জেলায় জীবন্ত মানুষদের কেটে পুড়িয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখছিল, জোট সরকারের মহাক্ষমতাধর খালেদা-নিজামীরা প্রায় দু’বছর ধরে দেশবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করে গেছেন ‘বাঙ্গলা ভাই এর আসলে কোন অস্তিত্বই নেই, তিনি নাকি মিডিয়ার সৃষ্টি’! জেনারেল সাহেবের এই প্রচারণাটি পড়েও আমার তেমনই মনে হয়েছে প্রথমটায়। আমার বিশ্বাস ছিল, এত বেশী দুঃখ কষ্টের ঝড় এই জাতির ওপর দিয়ে বয়ে গেছে যে আমরা ঠেকে না হলেও ঠকে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু শিখেছি অতীত থেকে। তাই আমার বিশ্বাস ছিল, বাঙ্গালীর কাছে অন্তত এ ধরণের উদ্ভট প্রচারণা হালে পানি পাবেনা। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে এই উদ্ভট তত্ত্বটিই এখন শেকড় গেড়ে বসতে শুরু করেছে কারো কারো মনে। এমনকি, তাদের মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে বুদ্ধিমান যুক্তিবাদী কিছু মানুষ তত্ত্বটি খানিকটা যেন বিশ্বাসও করে ফেলেছেন এর মধ্যে।

আসলে যে কোন মিথ্যা প্রচারণার সুবিধাটি বোধ হয় এই জায়গায়। আপনি এক চিমটি সত্যের সাথে এক মুঠো মিথ্যে মিশিয়ে তাকে প্রচারণার জোয়ারে ভাসিয়ে দিন, বারবার বলতে থাকুন, তত্ত্বের বিরুদ্ধে তত্ত্ব দাঁড় করান, এবং আরেকটু বুদ্ধিমান হলে সেটি ইংরেজী ভাষায় এবং ছাপার অক্ষরে লিখুন। আর তার সাথে যদি কিছু সাধারণ তথ্য যোগ করে তাকে ক্রমিক নম্বর দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! ইংরেজীতে কি কেউ আর মিথ্যে বলে? তাও আবার সামরিক উর্দি পরে? এতেও যদি ব্যর্থ হন, তাহলে শেষ চেষ্টা হিসেবে এটিকে দু’টি রাজনৈতিক শক্তির লড়াই অথবা দুই নারীর চিরন্তন বিবাদ হিসেবে তুলে ধরুন। ভরসা রাখতে পারেন যে বেশীর ভাগ মানুষই তিত বিরক্ত হয়ে তখন বলবে ‘যা হয় হোক, এটা দু’জনের কামড়াকামড়ি, আমরা বাপু অতো রাজনীতি বুঝিনা, বুঝতেও চাইনা’। ফলতঃ যা হওয়ার তা‌ই হবে, সত্য চাপা পড়ে থাকবে, যেমনটি চাপা পড়ে থেকেছে ৩৮ টি বছর। আর কবরের নিস্তব্ধতায় মৃত্যুর ওপার থেকে সুবিচার বঞ্চিত শহীদদের আত্মা গুমরে কেঁদে যাবে, আমাদের তা শোনা হবেনা কখনই; আমরাও জম্বি কিংবা পাপেট হয়ে জীবনের বাকী দিনগুলো পার করে দেবো। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও তাই অনুভব করছি এই প্রচারণাটির একটি ময়না তদন্ত হওয়া দরকার।

এই মুহুর্তে কয়েকটি বিষয়ই মূলতঃ সব আলোচনা ফোরামগুলোর বিতর্কের বিষয়:

(১) প্রধানমন্ত্রীর শক্তি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল কিনা
(২) সাধারণ ক্ষমা হত্যাকারীদের সাহসী করেছে কিনা এবং এর সুযোগ নিয়ে তারা আরও বেশী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে কিনা
(৩) ঘটনার মোকাবেলায় অত্যাধিক সময় নেয়া হয়েছে কিনা
(৪) সেনাবাহিনীর পিলখানায় ঢোকার জন্য সরকারের অনুমতির দরকার ছিল কিনা
(৫) সরকার নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে কিনা; অথবা ঘটনার মূল অপরাধীদের পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে কিনা [জেনারেল সাহেবের প্রচারণাটি সেই লাইনেই, যেটির প্রসঙ্গে একটু পরে আসছি]

মাঠ গরম করা প্রশ্নগুলোর দিকে দৃষ্টিপাত করবো পরের কোন পোস্টে সময় পেলে। কিন্তু তার আগে বর্তমান পোস্টে আমি শুধু উপরের ৫ নম্বর বিষয়টিই আলোচনা করবো, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ ইমেইল প্রচারণাটির সম্ভাব্য ক্ষতিকারক প্রভাব বিবেচনায়।

ক.
জেনারেল সাহেবের এই ইমেইলটির (প্রচারণাটির) কনটেন্টে যাওয়ার আগে এটির কিছু উপরি বৈশিষ্ট্যে দ্রুত একটু নজর বুলিয়ে নেয়া যাক। প্রথমেই যেটি চোখে পড়ে তা হল ইংরেজী ভাষার ব্যবহার। প্রচারণাটির শুরুর কয়েক অনুচ্ছেদের সাথে মাঝখানের অনুচ্ছেদের ইংরেজীর মান এবং স্টাইলে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। প্রথম অংশটি, হতাশাব্যঞ্জক হলেও সত্যি, ভুল ইংরেজীতে লেখা। অনেকটা যেন ডিকশনারী সামনে নিয়ে বাংলা থেকে হুবহু ইংরেজী করা, ভাষার মূল টোন বা coherence এর ব্যাপারে কোন ধরণের সচেতনতা ছাড়াই। মধ্যভাগের ইংরেজী তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভিন্ন, অন্তত স্টাইলের দিক থেকে। শেষ ভাগে বেশ জোরে শোরে আল্লাহর নামে কিরা কসম কাটার প্রবণতা (‘what were said in this mail in the name of Allah are true’!) লক্ষ্য করা যায়, অনেকটা জামাত শিবির হিজবুত তাহরীর লিফলেটের মত। উপসংহারে আমার অনুমান, প্রচারণা ইমেইলটি সম্ভবত একাধিক মানুষের মিলিত প্রচেষ্টার ফল।

খ.
জেনারেল সাহেব বলেছেন:

ক্রম#১: Before 2002, only very average army officers were posted to BDR. Those officers used to pass time and wait for retirement. The scenario was changed in late 2002, when army started to pump in outstanding officers to BDR to shape up the national border and curb cross-border crime and smuggling.

জেনারেল সাহেবের ভাষায় ব্যাপারটি দাঁড়াল এরকম যে ২০০২ এর আগে (সম্ভবত বোঝাতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়) শুধুমাত্র অযোগ্য অফিসারদেরই বিডিআর এ পোস্টিং দেয়া হতো। এবং, ২০০২ এর পরে (অর্থাৎ জোট সরকারের সময়) ভাল অফিসারদের সীমান্তে পোস্টিং দেয়া শুরু হয়। জানতে ইচ্ছে করে এই তথ্যের উৎস কি? ব্যাপারটি কি সত্যিই তাই? শেখ হাসিনা যখন সামরিক অফিসারদের সাথে সেনা কুঞ্জে বৈঠক করলেন, তখন প্রায় সব অফিসারই দুঃখ করেছিলেন কিভাবে দুই সরকারের আমলেই পোস্টিং প্রোমোশন বদলী রিক্রুটিং ইত্যাদি বিষয়ে রাজনীতিকরণ হয়েছে (এখানে দেখুন সেনাকুঞ্জের সেই সভার অডিও রেকর্ড: ফাইল#৬)। অথচ, আমাদের জেনারেল সাহেব বোঝাতে চাইলেন জোট সরকারের আমলের সব নিয়োগই নাকি ভালো/যথার্থ হয়েছে। এর থেকে এই জেনারেলটি রাজনৈতিকভাবে কোন্ জোটের মুখপাত্র, সেটি বুঝতে বুদ্ধিমান পাঠকের কোন অসুবিধা হয় কি? প্রসঙ্গত, এই সভাটিতে বেসামরিকদের মধ্যে কেবল শেখ হাসিনা এবং বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন; তারপরও গোপনীয় এই সভাটির অডিও রেকর্ড কারা প্রকাশ করলো (এবং কি উদ্দেশ্যে) এবং কেন বেছে বেছে কিছু খন্ডিত অংশ প্রকাশ করলো সে বিষয়ে প্রশ্ন করার মত যথেষ্ট যৌক্তিক বোধ কি আমাদের আছে? পাঠকই মনস্থির করুন। সে প্রসঙ্গে এক ব্লগার মন্তব্য করেছেন:

How can the PM trust the army again with national security when her confidential conversations with the best and brightest of the army are being leaked out to the public causing serious breach of national security by letting our enemies know about the discord and showing a perception of vulnerability in the national army currently? (এখানে)
গ.
জেনারেল সাহেব দাবী করেছেন (আবারও কোন সূত্রের উল্লেখ ছাড়া):

ক্রম#১: So, to guard our beloved land, army started pumping very good officers into BDR. Before 2002, the BDR jawans were very rich through the earning of smuggling. Their sepoys and naiks and havilders had buildings and house that even officers can only dream of. After 2002, smuggling and its sharing by BDR jawans started coming down.

অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন: জোট সরকারের সময় সীমান্তে চোরাচালান ইত্যাদি নাকি কমে গিয়েছিল। এই ‘অসাধারণ’ তত্ত্বের পক্ষে কি প্রমাণ তিনি দাখিল করলেন? তার ভাষায় ‘Capture of smuggling figures, if you can manage, will rightly prove that’। এখানে ভুল ইংরেজীতে অস্পষ্ট ভাষায় জেনারেল সাহেব যেটি বোঝাতে চেয়েছেন সেটি সম্ভবত এই যে – ধরা পড়া চোরাকারবারীর সংখ্যা (যদি কেউ খুঁজে বের করতে পারে!) তার উপরোক্ত দাবীকে সমর্থন করে! প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে – সংখ্যাগুলো তিনি নিজে খুঁজে পেয়েছেন তো? পেলে জনগণকে সেটি কবে জানাবেন?

যেটা উল্লেখ করা জরুরী এখানে, তা হল, ষড়যন্ত্রকারীদের দলীয় এজেন্ডার গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসতে ভাসতে জেনারেল সাহেব একটি অদ্ভুত কান্ড করে বসেছেন। তিনি বুঝে কিংবা না বুঝেই জনগণকে জানানোর চেষ্টা করেছেন যে – বিডিআর-এ সেনাবাহিনী থেকে প্রেষণে পাঠানো অফিসাররা অত্যন্ত দুর্নীতিপরায়ন এবং অযোগ্য। (যদিও তিনি ২০০২ এর আগের এবং পরের অফিসারদের মধ্যে একটি ক্ষীণ পার্থক্য টানার চেষ্টা করেছেন)। একটু ব্যাখ্যা করে বলি। আমরা জানি, বিডিআর এর জওয়ান এবং তাদের ডিএডি-রা সেনা অফিসারদের সরাসরি কমান্ডে কাজ করেন। সুতরাং, বিডিআর সদস্যরা যদি দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকে, তার মানে দাঁড়ায় – সে দুর্নীতিতে সেনা কর্মকর্তারাও দোসর। আর ঘুষ ও দুর্নীতির সাধারণ নিয়ম হল যে যত বড় অফিসার তার বখরা ততো বেশী। সেই হিসেবে, জেনারেল সাহেবের বক্তব্য অনুযায়ী জওয়ানরা যদি একটি বাড়ি বানায়, তাহলে অফিসারদের একাধিক বাড়ি বানানোর কথা। তাঁর আরেকটি অভিযোগও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জেনারেল সাহেবের কথা সত্যি হয়ে থাকলে সেনাবাহিনীতে অযোগ্য এবং অদক্ষ অফিসারেরও তাহলে কমতি নেই। এটি আমাদের জন্যও ‘নতুন খবর’। তাহলে কি এটাই ধরে নিতে হবে যে মিলিটারি একাডেমী থেকে নিম্ন যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসাররাও কমিশন পাচ্ছেন বা পেয়েছেন? কিংবা, সরকারী খরচে পরবর্তীতে গরীব এই রাষ্ট্রটির পক্ষ থেকে যে সব ব্যয়বহুল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, তারও একাংশ কি তাহলে অপচয় করা হচ্ছে অযোগ্য এই সব অফিসারদের পেছনে?

জেনারেল সাহেবের উত্থাপনকৃত অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর। তাই আমার জানার আগ্রহ হচ্ছে, জোট সরকারের আমলে (যখন নাকি তার ভাষায় সবকিছু ঠিকঠাক ছিল) ‘২০০২ এর আগ পর্যন্ত সীমান্তে নিয়োগকৃত অফিসারদের’ দূর্নীতির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভেতর কি কি আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল? আমার ধারণা, জনস্বার্থ এবং স্বচ্ছতার লক্ষ্যে দেশবাসীও সেটি জানতে চায় এখন। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে তেমন পদক্ষেপ না নেয়া হয়ে থাকে জোট শাসনামলে, তাহলে তা বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি-লালন সম্বন্ধে কি অনুসিদ্ধান্ত দাঁড় করায় জনগণের সামনে? কিংবা এই কথিত জেনারেলের রাজনৈতিক সম্পৃক্তি সম্বন্ধেই বা কি সত্য উম্মোচন হয় আমাদের সামনে?

আমার এও জানার কৌতুহল হচ্ছে: জেনারেল সাহেব যে ঢালাওভাবে সেনাবাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অফিসারদের (২০০২ পূর্ববর্তী অফিসারদের) দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে কালিমা লেপনের চেষ্টা করলেন, সেটাকে আমাদের প্রফেশনাল এবং দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন অন্যান্য অফিসাররা কিভাবে দেখবেন? এসব অভিযোগ তো আমার না, কিংবা মিডিয়ারও না, স্বয়ং জেনারেল সাহেবের। তিনিই সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিরুদ্ধে গুরুতর এই সব রটনা করছেন হঠাৎ জনপ্রিয়তা লাভকারী ইমেইলটির মাধ্যমে। এবং সেনাবাহিনীর অনেককে দেখছি সেটি (বুঝে বা না বুঝে) স্বতোপ্রণোদিত হয়ে সর্বত্র বিলি করে বেড়াতে। আমাকে কেন এটি খন্ডন করতে হচ্ছে আজ? তাঁরাই বরং খন্ডন করুক এসব অভিযোগ এবং আমাদের জানাক এই বস্তাপচা প্রচারণাটি আসলে কতটা আমলযোগ্য!

ঘ.
তিনি আরও বলেছেন:

ক্রম#২: Whenever there is an encounter with BSF, always we are the winner . . . as long as army officers lead BDR, BSF will never win any single battle, they will always be in the loser’s end and India will not be able to pump in drugs, fake currency and other harmful things into Bangladesh. The DADs of BDR are the worst losers. They are educated officers but can’t do anything because of army officers.

এখানে তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যে ইঙ্গিতটি দিতে চেয়েছেন তা হল এই: পিলখানা ঘটনার পেছনে ‘ভারত দায়ী’। বিএনপি-জামাতী-রাজাকার-আলবদরদের বহু ব্যবহারে জীর্ণ অনেক পুরনো একটি কায়দা এটি। এক্ষেত্রে (তার উল্লেখিত) চোরাচালান প্রসঙ্গে একটি বিষয় আমাদের মনে হয় মনে রাখা দরকার। তা হল, চোরাচালানীতে সবচাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাষ্ট্র নিজে। কারণ, এর ফলে রাষ্ট্র বঞ্চিত হয় কোটি কোটি টাকার ট্যারিফ (tariff) থেকে। এই কথাটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেমন সত্য, ভারতের ক্ষেত্রেও তেমনি সত্য। কাজেই, সীমান্তে চোরাচালানকে নিষ্কন্টক করতে গণতান্ত্রিক ভারত সরকারের এত বেশী উৎসাহী হওয়ার কোন কারণ তো দেখিনা। ভারী ভারী তত্ত্ব না আউড়েও শুধু কমনসেন্স দিয়েও যে কেউ এই ব্যাপারটি বুঝতে পারবেন। এক্ষেত্রে এমনটিও হতে পারে যে তিনি শুধু BSF কে দায়ী করতে চেয়েছেন (বিডিআর এর ডিএডি-দের সহযোগী দেখিয়ে), পুরো ভারত সরকারকে নয়। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়। ভিন্ন দেশের মাটিতে এসে বিএসএফ এতো বড় একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেললো? আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কি করছিল তখন?

ভারতকে জড়িত করার এই অপচেষ্টার সবচাইতে দুর্বল অংশটি হল:

১) রাজনৈতিকভাবে ভারতের সাথে বন্ধুভাবাপন্ন একটি সরকার এখন বাংলাদেশের ক্ষমতায়। এই সরকারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ট্রানজিট ইত্যাদির মাধ্যমে বৈধ ভাবেই কয়েক হাজার গুণ বেশী অর্থ পুরো পাঁচ বছর ধরে তারা উপার্জন করতে পারবেন, যদি সেটাই তাদের মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে। সেখানে নিজেদের মূল্যবান ট্যারিফ বিসর্জন দিয়ে বিডিআর এবং তাদের নিজেদের বিএসএফ জওয়ানদের বাড়ী গাড়ী করে দেয়ার জন্য তারা হঠাৎ এত উতলা হয়ে উঠবেন কেন যে তার জন্য তারা এমনকি এতো বড় মাপের একটি হত্যাকান্ড ঘটাতেও পিছপা হবেন না? আমরা সবাই জানি ভারত সরকার এখন ট্রানজিটের পক্ষে। বিডিআর এর প্রয়াত ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ নিজেও ট্রানজিট এবং ট্রানশিপমেন্টের পক্ষে ছিলেন (ডিফেন্স স্টাফ কলেজে দেয়া তাঁর এই প্রবন্ধটি পড়ুন)। আমাদের বর্তমান সরকারও এমন পদক্ষেপের বিরোধী নয়। সকল পক্ষ যেখানে রাজী, সেখানে ভারত সরকার বৈধ পথে না এগিয়ে এমন একটি আন্তর্জাতিক কেলেংকারীর ঝুঁকি নেবে কেন? আমার পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে সেনাবাহিনীর বুদ্ধিমান অফিসারদের এবং দেশবাসীকে এসব ছেলে ভুলানো গল্প বলে ভোলানো সম্ভব আজকাল!

২) এই গোষ্ঠীটি কেন দেশবাসীকে বারবার ভারতীয় জুজু দেখানোর চেষ্টা করেন, সে বিষয়ে আমার একটি থিওরী আছে। শক্তিশালী ভারত রাষ্ট্রকে দায়ী করার সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল, আমরা চাইলেও তাদের বিচার করতে পারবো না। কারণ, এভাবে যদি কোনো রাষ্ট্রের বিচারই করা যেত তাহলে আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বৃটেনের সরকার প্রধানরা থাকতেন আফগানিস্তান এবং ইরাকের কাঠগড়ায়। আর ভারত জুজুকে সামনে নিয়ে আসার আরেকটি বড় সুবিধা হল: এক সময় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ভীড়ে পুরো বিষয়টিই হারিয়ে যাবে, আর মূল অপরাধীরা চিরদিনই থেকে যাবেন আড়ালে। কি চমৎকার! ভারত বিদ্বেষও ছড়ানো গেল, নিজেদেরও রক্ষা করা গেল অপকর্মের দায়ে দন্ডিত হবার হাত থেকে।

৩) এই গোষ্ঠীটির নাড়ীর টান যেই দিকে সেই পাকিস্তানের ব্যাপারটিই লক্ষ্য করুন। আমাদের দেশের এই গোষ্ঠীটি (এই জেনারেল যার অনুসারী বলে সন্দেহ হচ্ছে এখন) কিন্তু কখনো কোন অপকর্মের জন্যই এমনকি ভুল করেও কখনো পাকিস্তান, ISI বা ধর্মীয় মৌলবাদী কোন গোষ্ঠীর দিকে আঙ্গুল তোলেননা, যাঁদের কিনা সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল ‘৭১ আর ‘৭৫ এ বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে চক্রান্তমূলক প্রতিটি হত্যাকান্ডের পেছনে (এখানে, এখানে এবং এখানে দেখুন)। আমাদের জেনারেল সাহেবও, তার এই দীর্ঘ ইমেইলটির এক জায়গাতেও, অন্তত সম্ভাবনার খাতিরে হলেও, সে প্রশ্নটি একটি বারের জন্যেও তোলেননি। কেন? এই দেশে নিরীহ নিরস্ত্র নারী পুরুষদের গণ হারে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের ইতিহাসটি (১৯৭১) কোন্ গোষ্ঠীটি ধারণ করে? ভারত? নাকি পাকিস্তান আর তাদের দোসর রাজাকার আল‌-বদর জঙ্গীরা?

ঙ.
জেনারেল সাহেব দাবী করেছেন:

ক্রম#৫: RAB arrives at Pilkhana gate at about 10am and ready to move in. Home Ministry said a stubborn “No”.
Troops of Mirpur Cantt and Dhaka Cantt arrives at Pilkhana by 11:30am. They seek permission to go in. Again a big “No”

শুনতে চটকদার “No” এবং “big NO” দিয়ে প্রচারক সাহেব ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন বুঝলাম না। সিদ্ধান্তগত একটি “yes” কিংবা একটি “no” এর পেছনে সময় এবং পরিস্থিতি ভেদে অনেক রকম কারণ থাকতে পারে, ব্যাখ্যা থাকতে পারে। সে সব হতে পারে ‘যৌক্তিক’, ‘সম্ভাব্য’ থেকে শুরু করে পুরোপুরি ‘অযৌক্তিক’ ‘অসম্ভাব্য’, ‘উদ্ভট’, এবং ‘মতলবী’। মানুষ ভেদে এবং তাদের যৌক্তিক বিচারের ক্ষমতা ভেদে একেকজন তার একেকটি পছন্দ করে নেন। কেউ গ্রহণ করেন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাটিকে, আবার কেউ করেন সবচেয়ে উদ্ভটটিকে। কে কেমন ব্যাখ্যায় ভর দিতে চাইছেন তা থেকে সে মানুষটির সম্বন্ধেও অনেক বিষয়ই স্পষ্ট হয়ে যায়। যেমন: তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী, গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ (কিংবা সেটির অভাব), বহুদিনের লালন করা অন্তর্গত গোঁড়ামী (prejudice), সুযোগসন্ধানী মনভাব, ছিদ্রান্বেষণের প্রবণতা, ক্ষোভকে পূঁজি করা ষড়যন্ত্রের দ্বিতীয় ভাগের প্রতি vulnerability/susceptibility, নিজেদের বিচার বুদ্ধি বিষয়ে অত্যন্ত উঁচু ধারণা (‘আমরাই সবচেয়ে ভাল বুঝি’ ধরণের সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স), একইসাথে জনপ্রতিনিধিদের ইনফেরিওর মনে করা (সেনাকুঞ্জের সভায় ১৫ কোটি মানুষের প্রধানমন্ত্রীর সাথে কিছু সেনা কর্মকর্তার সংযমহীন আচরণ যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ) ইত্যাদি। এটি তেমনই একটি ঘটনা যা থেকে প্রচারক জেনারেল মহোদয় সম্বন্ধে আমরাও অনেক কিছু জানতে পারছি!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন সামরিক আক্রমণের প্রশ্নে বারেবারেই ‘না’ বলেছেন সেই বিষয়ে তিনি বেশ কয়েকবারই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত সেনা অফিসার থেকে শুরু করে সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই পরিস্থিতির আলোকে সে সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেছেন। সব পন্থার সাথে সব সমর বিশেষজ্ঞরা যে একমত হবেন, এমনটা আশা করাও বোধ হয় বালকসুলভ। তার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে এইটুকু বলবো যে এটি এদেশের সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, বিদেশী কূটনৈতিক মহল সহ সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি জামাতে ইসলামীও প্রথম ক’দিন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনই জানিয়েছিল (লিন্ক) পরবর্তীতে হাওয়া বুঝে মত পাল্টানোর আগে! এ বিষয়ে RAB এবং সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক tactical capability, তাদের প্রস্তুতি এবং রিসোর্স এর অভাব, এই মাপের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পূর্ব অভিজ্ঞতার অভাব, viable ট্যাকটিকেল অপারেশন পরিকল্পনার জন্য যথেষ্ট সময়ের অভাব, অবশিষ্ট জিম্মি অফিসারদের প্রাণহানির সম্ভাবনা, মানব ঢাল হিসেবে তাদের পরিবার এবং সাধারণ বিডিআর জওয়ানদের ঢাল হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা, আশে পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানির সম্ভাবনা, সশস্ত্র বিদ্রোহকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে না চাওয়ার সিদ্ধান্ত – ইত্যাদি অনেক কারণ থাকতে পারে, এবং ছিল। সমর অভিজ্ঞ জেনারেল সাহেবকে সেটা বুঝিয়ে বলতে হচ্ছে বলে কিছুটা অস্বস্তিই বোধ করছি। যে সেনাবাহিনীর এতগুলো গোয়েন্দা সংস্থা থাকার পরও এই মাপের ইন্টেলিজেন্স ফেইলিওর হয়, সেই সেনাবাহিনীকে শহরময় ট্যান্ক, এপিসি (যে সব এমনকি তাদের হাতের কাছেও ছিলনা) ট্রুপ নিয়ে দৌড় ঝাঁপ করতে দেয়ার আগে যে কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার দু’বার ভাববেন, এটাই তো যৌক্তিক। আমরা জনগণও সরকারের কাছে সেই প্রজ্ঞাই প্রত্যাশা করি। পিলখানার ভেতর ও বাইরের নাগরিকদের জীবন রক্ষার দায়িত্ব যেমন সরকারের রয়েছে, তেমনি সরকারের ওপর ১৫ কোটি মানুষের পক্ষে গণতন্ত্র রক্ষারও গুরু দায়িত্ব (আমানত) রয়েছে। অত্যন্ত ঘোলাটে পরিস্থিতির মাঝে (এত বড় ইন্টেলিজেন্স ফেইলিওর যার সাক্ষাৎ প্রমাণ) গণতান্ত্রিক সরকার যদি আরেকটি ‘৭৫ সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি উম্মোচন করতো নিজেদের অর্বাচীনতা দিয়ে, আমরা জনগণ কি তাদের কোন দিন ক্ষমা করতাম? তেমনি, সেনা অভিযানের ফলে ব্যাপক প্রাণহানি হলে সেটিও কি ক্ষমাযোগ্য হোতো? এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমার পরবর্তী পোস্ট “পিলখানা হত্যাযজ্ঞ: চিন্তাঝড় ৪ ‌‌– বিতর্কের ময়না তদন্ত” এর জন্য তোলা থাকলো। তাই পূনরাবৃত্তি এড়াতে সেই দিকে এখন যাচ্ছিনা।

সাধারণ ক্ষমা ঘোষণায় এবং সময় ক্ষেপনের ফলে বিডিআর বিদ্রোহীরা যদি বেপরোয়া হয়ে আরো বেশী সংখ্যক খুন খারাবি করেই থাকতো (জেনারেল সাহেবের ভাষ্য অনুযায়ী), তাহলে এত জন অফিসার এবং নারী পুরুষ ও শিশু সেখান থেকে জীবিত বের হলেন কিভাবে? এঁরা তো এই জওয়ানদের হাতের নাগালেই ছিলেন! অন্যদেরকে খুঁজে খুঁজে মারা হল, এঁদের কেন মারা হলো না? বুলেট ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে? নাকি হত্যাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল এঁদের বাঁচিয়ে রেখে এখনকার তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা যাতে করে জীবিত অফিসারদের সাহায্য নিয়ে হত্যাকারীদের এবং তাদের কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ নথিভুক্ত করতে সুবিধে হয়!! জেনারেল সাহেব কি তাই বোঝাতে চাইলেন?

উপরে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করলাম, আমার বিশ্বাস জেনারেল সাহেব নিজেও তা বিলক্ষণ জানেন। তবুও জেনে বুঝে তিনি সরকারের “না” সিদ্ধান্তটিতে ঠিক কি ধরণের রং চড়াতে চাচ্ছেন, সেটিই আসলে মূল প্রশ্ন। প্রচারণাটিতে এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের সাথে নব নির্বাচিত সরকারকে জড়িত করার একটি সুষ্পষ্ট প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। সরকারের বিরুদ্ধে অপবাদমূলক এই থিওরীতে তিনটি বড় বড় ফাঁক রয়ে গেছে:

১) যখন এই ঘটনা ঘটে তখন এই সরকার তার দু’মাসও পুরো করেনি। এখনো এই সরকার বিভিন্ন দফতর এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বগুলো বুঝে নিতেই ব্যস্ত। এমন এক অবস্থায়, সরকারের যখন নিজেরই পায়ের নিচের মাটি শক্ত হয়নি, তখন তারা কেন এমন একটি ভয়াবহ জাতীয় সংকট সৃষ্টি করার ঝুঁকি নেবে? তাও কিনা সেনাবাহিনীর এতগুলো অফিসারকে হত্যার মাধ্যমে পুরো প্রতিরক্ষা বাহিনীকে চরমভাবে উত্তেজিত করার ঝুঁকি নিয়ে? আর সরকারের কি কোনভাবে জানার সুযোগ ছিল যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মীয় পরিজনদের হত্যা এবং নিপীড়নের খবর পেয়ে হঠকারী কোন অভ্যুত্থানের পথে পা বাড়াবে না?

২) সেনা বাহিনী এবং সীমান্ত রক্ষী বিডিআর-কে ছেঁটে ফেলা বা দুর্বল করাই যদি এই হত্যাযজ্ঞ নাটকের মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে (যে থিওরিটি কিছু কিছু অতি বুদ্ধিমান বর্তমানে প্রচার করছে), তবে সেই ষড়যন্ত্র কি সরকারের এভাবেই বাস্তবায়ন করার দরকার হয়? মনে রাখতে হবে বর্তমান সরকার নিরন্কুশ জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছে। আইনগতভাবে তার হাতে এখন এমন ক্ষমতা রয়েছে যার বলে এই সরকারের জন প্রতিনিধিরা চাইলে খোদ সংবিধানও পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন, কোন ধরণের আইনী বাধা ছাড়াই। বিডিআর আর সেনাবাহিনীকে কিংবা দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে যদি দুর্বল করাই সরকারের উদ্দেশ্য হয় তবে তা বাস্তবায়নের জন্য বৈধ আরও হাজারটা উপায় আছে। বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে, অফিসার ছাটাই করে, বদলী করে ইত্যাদি উপায়েই তা খুব সহজেই কোন ধরণের সন্দেহের জন্ম না দিয়েই করা যেতে পারে। এবং সেভাবে উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সরকারের হাতে এখনো রয়েছে পুরো পাঁচটি বছর। এত উপায় হাতে থাকতে সরকার কেন নিজেদের জন্য এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্থুল পথে পা বাড়াবে?

৩) যত সতর্কভাবেই করা হোক না কেন সব অপরাধই কোন না কোন সূত্র রেখে যায়। সঠিক তদন্তে সে সব বেরিয়ে আসে। আর এত বড় মাপের একটি অপরাধ, যেটি দিনের আলোতে পনের কোটি মানুষ এবং মিডিয়ার সামনে কয়েক ডজন (এমনকি কয়েক হাজারও বলা যেতে পারে) অপরাধীর যোগসাজশে করা হয়ে থাকে, তার সব সূত্র কি কারও পক্ষেই মুছে ফেলা সম্ভব? আমরা সবাই জানি, তা সম্ভব না। তদন্তে এর সমস্ত সূত্র ধরা পড়তে বাধ্য। যেটি উল্লেখ্য এখানে তা হল, গত মাত্র ৫০ দিন ছাড়া আইন শৃঙ্খলা এবং বিভিন্ন তদন্ত সংস্থাগুলো গত ৭ (সাত) বছর ছিল অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির নিয়ন্ত্রণে যাঁরা একে নিজেদের পছন্দের লোকজন দিয়ে ঢেলে সাজিয়েছিলেন একেবারে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত। ৭ বছরের মধ্যে প্রথম ৫ বছর এই সংস্থাগুলো সাজানো হয়েছে জোট (বিএনপি) সরকারের নির্দেশে, আর শেষ ২ বছর হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে। তদন্তকারী সমস্ত সংগঠনের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত যেখানে প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক শক্তির দ্বারা সাজানো, সেখানে এমন একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অপরাধে এই সরকার নিজেকে কেন জড়িত করতে চাইবে যেখানে তদন্ত প্রক্রিয়ার সব স্তরের ওপর তাদের নিরন্কুশ নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে?

চ.
তিনি বলেছেন:

ক্রম#৫:Govt sends nanok and others and they enter courageously into BDR Pilkhana and safely come back and they are not held hostage. Night comes. sahara and nanok enter BDR and all lights are off. sahara visits families of army officers without nanok as seen on TV channels through BTV footage. She does not, we repeat DOES NOT meet any army officer of BDR.

অস্ত্রধারী জওয়ানদের সাথে আলোচনা করতে সাহারা খাতুন নিরস্ত্রভাবে ঢুকেছিলেন। যখন টানটান উত্তেজিত সশস্ত্র এই বাহিনীটির সাথে দর কষাকষি চলছে (যাদের কব্জায় রয়েছে কয়েক’শ নারী পুরুষ), তখন সাহারা খাতুনের কি উচিত হতো অফিসারদের দেখতে যাওয়ার আবদার ধরা? জেনারেল সাহেব কি এটাই বলতে চাইছেন? তার পরেও তিনি যত জনকে পেরেছেন বাড়ী বাড়ী গিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন ভোর রাত পর্যন্ত।

ছ.
তিনি আরও বলেছেন:

ক্রম#৫: THIS WAS BECAUSE AT THAT TIME BDR WAS COMPLETING THE TOTAL KILLING OF ALIVE OFFICERS AND THIER FAMILIES UNDER THE EYES OF NANOK AND MASS GRAVES WERE BEING PREPARED. Please refer to the Ntv exclusive with major Mokarram on 28th evening. He said that he heard the voice of home minister entering into the kote when he was surrounded by BDR gunmen.

তাই যদি সত্যি হবে, তাহলে মেজর মোকাররম নিজে বেঁচে ফিরলেন কিভাবে? কি উদ্ভট এই জেনারেলের প্রচারণা! এ বিষয়ে এখানে এবং এখানে দেখুন। জেনারেল সাহেব বলছেন হত্যা, কবর খোদাই ইত্যাদি নাকি ঘটেছে নানক আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর চোখের সামনে! কি হাস্যকর কথা! যদি তাঁরা অপরাধীই হবেন, তবে যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাস্থল ত্যাগ না করে তারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকবেন কেন? গণহত্যা এবং কবর খোঁড়া তদারকীর জন্য? সেটি করার জন্য বিদ্রোহীদের মধ্যে কি লোকের অভাব পড়েছিল? ঘটনার হোতা হিসেবে নিজেরা জড়িত হয়েও (জেনারেল সাহেবের ভাষ্য অনুযায়ী) scene এ থাকতে চাইবেন কেন? প্রবল ক্ষমতাধর একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী (পাঁচ বছরে ক্ষমতায় থেকে যাঁরা অনেক কিছুই পেতে পারেন) তাদের মন্ত্রীত্ব, জীবন এবং স্বাধীনতা বিপন্ন করে এমন একটি কাজ কেন করবেন বোকার মতো? বিডিআর বিএসএফ জওয়ানদের (জেনারেল সাহেবের উপরোক্ত যুক্তি অনুযায়ী) বাড়ী গাড়ি করে দেয়ার জন্য? আইজি নূর মোহাম্মদ সাহেবও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। তাহলে জেনারেল সাহেব কি বোঝাতে চাইছেন আইজি সাহেবও এই হত্যাকান্ড, কবর খোদাই এবং হত্যাকারীদের পলায়ন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত, অথবা নিদেন পক্ষে এতে তাঁর মৌন সমর্থন ছিল! (যদিও আমরা জানি তার নিজের কন্যার স্বামী এই হত্যাকান্ডের প্রথম শিকারদের একজন)!

জ.
তিনি বলেছেন (আবারও, কোন সূত্র বা তথ্য প্রমাণ ছাড়াই):

ক্রম#৫: NON-MILITARY AMBULANCES ENTER AND LEAVE PILKHANA A NUMBER OF TIMES AND TAKES AWAY SO MANY DEAD BODIES…BUT THE TOTAL STILL REMAINS 7. Only 5-7 other bodies appear from canal behind BDR naturally floating. IT WAS BECAUSE ABOUT 32 KILLERS WERE TAKEN AWAY BY THOSE AMBULANCES.

জেনারেল সাহেব নিজেই অভিযোগ করেছেন উপরের একটি পয়েন্টে যে হাজার হাজার বিডিআর সদস্য এরই মধ্যে পালিয়ে গেছে। রেকর্ডকৃত সেনাকুঞ্জ টেপের ভাষ্য অনুযায়ী ৭০০০-৯০০০ বিডিআর জওয়ান উপস্থিত ছিলেন পিলখানায়। ৫ নম্বর গেট এবং বিভিন্ন স্থানের কাঁটাতার টপকে হত্যাকারীরা এবং বেশীর ভাগ বিডিআর জওয়ানের নির্বিঘ্নে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। যেখানে হাজার হাজার বিডিআর সদস্য কোন রকম ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে সপরিবারে নির্বিঘ্নে সহজেই পালিয়ে যেতে পারেন অন্যান্য পথ দিয়ে, সেখানে নন-মিলিটারী এ্যাম্বুলেন্সে চড়ে সমস্ত মিডিয়ার তীক্ষ্ণ নজরদারীর ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে দিয়ে ৩২ জন মূল হত্যাকারীকে পালিয়ে যেতে হবে কেন? তাও আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সক্রিয় তত্ত্বাবধানে? অন্যান্যদের সাথে মিলে গিয়ে ৫ নম্বর গেট দিয়ে পালাতে কোন অসুবিধে ছিল কি? আর ‘৩২ জন হত্যাকারী’ – এই সংখ্যাটি জেনারেল সাহেব কোথা থেকে জানলেন? কেমন করে জানলেন? হত্যাকারীরা পালিয়েছিল কিনা, তাদের পালাতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল কিনা, অপরাধী আটক মূল উদ্দেশ্য ছিল নাকি রক্তপাত এড়ানো মূল উদ্দেশ্য ছিল, সেনা অভিযান চালালে আসল হত্যাকারীদের আদৌ জীবিত ধরতে পারার কোন সম্ভাবনা ছিল কিনা – সে সব বিষয় নিয়ে হাজারটা বিতর্ক হতে পারে। তদন্তের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের পক্ষে কোন সিদ্ধান্তে আসাই কঠিন। প্রসঙ্গত প্রশ্ন করা যেতে পারে, হত্যাকারীদের জীবিত পালাতে দিয়েও (জেনারেল সাহেবের অভিযোগ অনুযায়ী) তদন্তের কি তেমন একটা ক্ষতি হয়েছে এখন পর্যন্ত? এ ক’দিনে তদন্ত এবং গ্রেফতারের যে সব দ্রুত অগ্রগতির খবর আমরা পাচ্ছি তাতে কি মনে হচ্ছে যে হত্যাকারীরা পালিয়েও বেঁচেছে? কিংবা, মূল ষড়যন্ত্রকারীদের ধরা কি এখনো অসম্ভব? এখানে, এখানে এবং এখানে দেখুন।

ঝ.
এর পর তিনি বলেছেন:

ক্রম#৫: Nanok in a media briefing in front of Pilkhana declares that “It was a big conspiracy” and lac lac crore taka were distributed in Pilkhana.” DEAR MEDIA, HE WAS RIGHT. BECAUSE EACH DAD WORKING AT PILKHANA GOT TK 25 LAC between 22 and 24th February, distributed by nanok’s men.

মনে রাখতে হবে জেনারেল সাহেব তার এই ইমেইলটি লিখেছিলেন বেশ কিছুদিন আগে। তখনো বিষয়টির প্রাথমিক তদন্তও তেমনভাবে শুরু হয়নি। সেইরকম এক সময়ে ২৫ লাখ টাকার এই সুনির্দিষ্ট অংকটির কথা জেনারেল সাহেব কোথা থেকে জানলেন? কিভাবে জানলেন? যেভাবেই জেনে থাকুন, দেরী না করে তার উচিত ছিল এসব তথ্য ইন্টারনেটে দেয়ার পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের দেয়া। তাতে উপকার হতো তদন্তের, যদি তিনি আদৌ তা চেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে মূল তদন্তে ভরসা না থাকলে তিনি অন্তত সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত কমিটির কাছে হলেও তো এই ‘অসাধারণ’ তথ্যটি দিতে পারতেন!

ঞ.
তিনি শেষের দিকে বলেছেন:

ক্রম#৭: BCS officers in BDR, and no officer from army, would ensure that another Rakhkhi Bahini could be in the making.

জেনারেল সাহেব, দয়া করে নতুন কিছু ভেবে বের করুন প্লীজ। মনে করবেন না দেশের সব মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে। উপরের ঙ দেখুন।

উপসংহার:
এই সিরিজে আমার আগের পোস্টটিতে ঘটনার সন্দেহভাজন কারা হতে পারেন সেটি তদন্তের একটি সূত্র হিসেবে অগ্রীম ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম এই বলে:

ঘটনার জন্য দায়ী মূল ব্যক্তিরা স্বাভাবিকভাবেই এখন দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন। কারণ, তাদের পরিকল্পনা মত ঘটনা এগোয়নি, অন্তত এখনো তাই মনে হচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করার আরেকটি আপাত সহজ উপায় আছে। তারা হয়তো এখন জোর চেষ্টা করবেন এ ঘটনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট তৃতীয় শক্তির দিকে জাতির নজর ফেরানোর . . . অবান্তর গুজব ছড়িয়ে।

কখনো ভাবিনি সে সন্দেহ এত দ্রুত বাস্তবতায় রূপ নেবে।

সাধারণ মানুষ হিসেবে সেনাবাহিনীর এত সব জটিল বিষয় আশয় বুঝি না। তবে গবেষণার পদ্ধতিশাস্ত্রের একটি cardinal rule এর কথা জানি। তা হল: উপস্থাপিত কোনো তথ্যমালায় এবং সেই সবের ভিত্তিতে সাজানো বিশ্লেষণে যদি কোন সুস্পষ্ট মিথ্যাচার ধরা পড়ে তবে তা পুরো থিসিটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। সে অর্থে, কথিত জেনারেল সাহেবের প্রচারিত ইমেইলটির ব্যাপারে এত কিছু তুলে ধরবার পরও কেউ যদি তাতেই বিশ্বাস স্থাপন করতে চায় এবং তাকে “নিখাদ সত্য” (হ্যাঁ পাঠক, বিচিত্র হলেও সত্যি, এমন অভিধাও কেউ কেউ যুক্ত করেছেন বস্তাপচা এই প্রচারণাটির পক্ষে) বলতে চান, তবে সেটি তাদের অভিরুচি। আমি কেবল দুঃখিত হবো তাদের অযৌক্তিকতা, prejudice, চিন্তার অস্বচ্ছতা এবং আষাঢ়ে গল্পে বিশ্বাস স্থাপনের অসীম ক্ষমতা এবং আগ্রহ দেখে।

শেষ করার আগে, কথিত এই জেনারেল সাহেবকে কয়েকটি উপদেশ দেবার লোভ সংবরণ করতে পারছি না। প্রথমত: মিথ্যাচার যদি করতেই হয়, তবে তাকে অনুরোধ করবো আল্লাহ-খোদার নাম টেনে এনে কিরা-কসম কেটে তিনি যেন দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আর অপমানিত না করেন। শুনেছি ধর্মে আছে যে – মোনাফেক চেনার অন্যতম উপায় হচ্ছে সে কথায় কথায় আল্লাহর নামে কসম কাটে। এমনকি খ্রীষ্ট ধর্মেও নাকি বলা আছে যে – Thou shalt not take the Lord’s name in vainদ্বিতীয়ত: জেনারেল সাহেব যেহেতু তার এই অসাধারণ তত্ত্বটি দেশের সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, সেহেতু এটি ইংরেজীর পরিবর্তে বাংলায় লিখলে মনে হয় অনেক বেশী কার্যকর হতো। অন্তত তাতে ভিন্ন ভাষায় লিখতে গিয়ে তিনি ভাষাগত যে লজ্জাজনক ভুলগুলো করেছেন, তা দেখে আমাদের হয়তো (একজন জেনারেলের ভাষা এবং intellect এর মান দেখে) এমন বিব্রত হতে হতো না। রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে – আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনী, তার পর ইংরেজী শিক্ষার পত্তন! আশা করি জেনারেল সাহেব তার পরবর্তী প্রচার-প্রচারণার সময় বিষয়টি মনে রাখবেন।
===============

প্রিয় পাঠক,
এই পোস্টটি মূলতঃ মুক্তাঙ্গন এবং পাশাপাশি সিসিবি‌-তে একই সাথে দেয়া হল। এ মুহুর্তে সিরিজের আরও দু’টি পোস্ট লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় (এবং কিছু ব্যক্তিগত সংকটের কারণে) দু’টি সাইটে একইসাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা আমার পক্ষে একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বিনীত অনুরোধ থাকবে, যদি সম্ভব হয়, মুক্তাঙ্গনেও আপনার মতামতের একটি কপি দিয়ে রাখার জন্য। যদি সেটা বেশী অসুবিধাজনক হয়ে যায়, তাহলে এখানে অন্তত আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করবো। যত দ্রুত পারি এই আলোচনায় যোগ দেয়ার চেষ্টা করবো, কারণ এখানে আমাদের সবার মাঝে মতামত আদান প্রদানের এ অমূল্য সুযোগ থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত করতে চাইনা নিজেকে।
ধন্যবাদ।

১০৩ টি মন্তব্য : “পিলখানা হত্যাযজ্ঞ: চিন্তাঝড় ৩ ‌‌– গুজবের ময়না তদন্ত”

  1. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    একেবারে পয়েন্ট আউট করে কথিত জেনারেল সাহেবের সব জারিজুরি ফাঁস করে দিয়েছেন। এমনকি কাহিনী দেখে আমার মনে হচ্ছে:
    এটা বিএনপি-জামাত পন্থী কেউ লিখে কোন এক জেনারেলের নামে চালিয়ে দিয়েছে। হতেও পারে। 😀

    আর একজন আর্মি অফিসার কিভাবে তদন্ত কার্যক্রমে কোন সহায়তা না করে সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন গুজব ছড়িয়ে বেড়ায় সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। এজন্যই বোধহয় মেনেও নিতে পারছি না।

    আমার মতে এ ধরণের উদ্দেশ্যমূলক এবং উস্কানিমূলক মেইল যারা করছেন তাদের খুঁজে বের করেও তদন্ত প্রক্রিয়ায় সোপর্দ করা উচিত। যারা দায়িত্ব নিয়ে এগুলো করছেন তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।

    জবাব দিন
  2. Dear Raihan
    a very thoughtful writeup . i like to share some of my opinions with you related to this. I also received this mail but i did not know it was written by a general . who ever wrote this it is true that he intentionally mixed fact with guesstimate , i wont say he mixed it with lie . like posting of officers . it is true that army had been posting good and qualified officers for last couple of years . it was based on a philosophical change of the army . but i dont think any one can specify any date time. it was more of an organic change ,not based on a sudden decision .
    if you see the audio files of senakunja meeting you will see the file extension is probably wmr. this type of file is generated if it is recorded thru a nokia phone . i think . this conversations were recorded by disgruntled young officers by their cellphone and shared with without understanding the implication maybe .
    it is true that corruption by the bdr lessened considerably off late .here also no time frame can be specified .it was also organic . like the more liberal import policy , fencing of the border by india and even officers disinterest all contributed .
    about prime ministers decision to mediate and go for political solution i have my own opinion . i believe government specially pm was not briefed properly by her aides. she was not awre of the magnitude of the incident .on 25th by 1100 hrs i knew that around 30 officers are already dead . this decision to settle things politically was taken not thinking the greater good of the country but the image of the government . and it is here where things went seriously wrong . even if 5000 lives were lost at one point on 25th when it was clear that the amnesty has not worked force should have been used . it would have saved BDR as an organization , weapons would have not been stolen . now we all are at risk the weapons stolen specially grenades maybe used anywhere anytime causing havoc . believe me this is just the beginning . also now the existence of bdr is at stake . because all over bangladesh they revolted the next day which might not have taken place .and operationally bdr was better than army in many aspects .
    you can talk to lt.col enayets wife she said in front of sahara khatun the door of their cell in the kote where with them were many other family members were there was closed she never tried to free them .
    please ask yourself what did we achieve thru negotiations .
    about intel failure on 24th pm went to bdr .she attended the parade not the darbar . it is customary for the defence minister to attend darbar once a year during bdr week ,police week , ansar vdp week etc . that they if you by any chance get to see any tv footage you will se number of army personnel deployed for her security was more than usual . i guess things were expected that day .intel didnot think they had a backup plan for next day .or intel informed people but it was not heeded .
    on what grounds were nanok and mirza azam selected .mp for that area is taposh ,and mirza azam is the in law of shaikh abdur rahman the jmb kingpin who was apprehended by col gulzar who also is killed .
    the turning point in this incident was the forceful entry of the armed forces on 27th morning at peelkhana . i was there and everything happened in front of my own eyes . how that i will explain later . dont feel like writing now .
    stay well brother
    Mahrab
    3rd intake
    comilla cadet college

    জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে-পিলখানা হত্যাযজ্ঞ যাদের ষড়যন্ত্রের ফল, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দেয়া। ষড়যন্ত্রের সাফল্য নির্ভর করছিল সেনা বাহিনীর হস্তক্ষেপের উপর...ভেবে দেখুন, সেনাবাহিনী যদি শক্তি প্রয়োগ করত, সেক্ষেত্রে অনেক সত্য কিন্তু চাপা পরে যেত এবং প্রকৃত সত্য না জানার কারণে সাধারণ জনগণও বিডিআর এর পক্ষ নিত...ফলাফল-গৃহযুদ্ধ!
    বর্তমানে নানান গুজব, উস্কানি দিয়ে সেনাবাহিনীকে ক্ষেপিয়ে দেবার চেষ্টা সেই ষড়যন্ত্রের পার্ট টু বলেই মনে হচ্ছে...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. সাইফ (৯৪-০০)

    রায়হান ভাই,সহমত।শওকত ভাই এবং সানা ভাই এর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।রায়হান ভাই এর এই লেখাটা কি প্রিন্ট মিডিয়া তে দেয়া যায় না,কারন ব্লগ আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা আমাদের দেশে খুব কম,বাজারে এতসব অপ প্রচার চলছে যে ,সবাই বিভ্রান্তির ধুম্রজালে ঘেরা,আর কথিত ই মেইল্টি খুওব সহজেই অনেক কে বিভ্রান্ত করতে পারে,সরকারের ভুমিকাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে সেনাবাহিনিকেও সমূহ সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে।আর তাতে করে হয়ত ষড়যন্ত্রকারিদের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য বাস্তবআয়িত হবে।আর এই ই মেইল্টি এমন এক সময়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে সময় কিনা সবাই আবেগাপ্লুত,এই মানসিক সঙ্কটের সময়ে যে কোন ধরনের প্রোপাগাণ্ডা খুব সহজেই মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করে সংঘাতের সৃস্টি করে..।...।কারন সবাই তখন বিবেকের পরিবর্তে আবেগ দ্বারা পরিচালিত হন......আর সেই সুযোগটি ই কথিত ই মেইল কারি নেয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন............
    তাই আমি সি সি বি র সবাই কে আহবান করব,সবাই যেন সবার পরিচিত,অপঅরিচিত সকলের কাছে বন্ধুদের কাছে রায় হান ভাই এর এই দারুন বিশ্লেষন ধর্মি লেখাটি পৌছে দেই............।
    রায়হান ভাইকে :salute: :salute: :salute: :salute:

    জবাব দিন
    • I received the same email from a friend earlier this week and was surprised that these baseless rumours are being spread. It is unfortunate that the judgements of many intelligent people can be clouded by blind followings.

      I totally agree with Saif and it would be a good idea if this can be published on both electronic and paper based media.

      The patriotic rational minds should fight an intellectual battle against this false, fabricated and disgusting material.

      Muyeed
      CCC/M299

      জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কেন জানিনা এসব আলোচনা আর ইফেক্ট করে না, ঘটনার প্রথম দিন থেকে যুদ্ধাবস্থায় পিলখানায় অবস্থান নেওয়া, কিছুক্ষন পরপর গুলির শব্দশুনে মনে হওয়া এই বুঝি আরো কিছু প্রান চলে গেলো, মন্ত্রী মহোদয়ের ভিতরে প্রবেশ এবং একজন মাত্র সেনাসদস্যকে নিয়ে বেরিয়ে আসা, সারারাত ধরে সাইরেন বাজিয়ে আম্বুলেন্সের চলাচল দেখা, দু'দিন পর নিখোজ ও নিহতদের খোজে আসা আত্মীয় স্বজনদের আহাজারি শোনা আর তাদের তালিকা তৈরি করা... গনকবরের পাশে দাড়িয়ে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীদের হাতে একটি একটি করে মৃতদেহ উঠে আসতে দেখা আর তার গননা রাখা, মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ... পিলখানার ভিতরে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় ধংসের ভয়াবহতা, মৃতদেহ দাফনের সময় স্বজনদের আহাজারি শোনার পর থেকে কোন আলোচনাই আমাকে আর ছুয়ে যায় না। এজন্য নিজেকে খুবই দুর্ভাগা মনে হয় কারন এ সকল কিছুতেই আমার থাকতে হয়েছে, নিজের চোখে দেখতে হয়েছে সব কিছু, জীবনের অনেক কিছুর মানেই বদলে গেছে তারপর থেকে, তাই যখন সহকর্মীর হবু স্ত্রী তার বিয়েতে গহনার বদলে পিস্তল কিনতে চায় তখন সেটাকেই সবচেয়ে প্রাসংগিক ও যুক্তিযুক্ত কথা বলে মনে হয়।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি আকাশ, তোমাকে গত কয়েকদিন কি অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

      তবু তোমার শেষ অংশ নিয়ে বলি :

      তাই যখন সহকর্মীর হবু স্ত্রী তার বিয়েতে গহনার বদলে পিস্তল কিনতে চায় তখন সেটাকেই সবচেয়ে প্রাসংগিক ও যুক্তিযুক্ত কথা বলে মনে হয়

      তাহলে অবিশ্বাসের মাত্রাটা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, সেটা তোমার এই মন্তব্যে বোঝা যায়। আমাকে কোনো কোনো সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ভাবীরা যখন প্রশ্ন করেন, ভাই আপনারা কি করলেন; তখন আমাদের মুখ লুকানোর জায়গা থাকে না। ঠিক। ওইরকম সময়ে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ কঠিন।

      তাহলে ভাবো পিলখানায় যদি সেনা অভিযানে সরকার সম্মত হতো, তার বিনিময়ে উভয়পক্ষে আরো কতো জীবনহানি ঘটতো? কারণ সে সময় দুপক্ষই ছিল মরিয়া। ঘটনায় জড়িত ও ক্ষতিগ্রস্ত উভয় পক্ষকে মুখোমুখি না করার সরকারের সিদ্ধান্ত তাই আমার কাছে সঠিক মনে হয়। কারণ সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সারা দেশের বাস্তবতাকে মাথায় নিয়ে। এতে সেনাবাহিনীর অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু সেনা অভিযান হলে এই ক্ষতি কম হতো এমন দাবি শুধুই ওই সময়ের (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠা করা কঠিন।

      আমার মনে হয়, পিলখানায় বর্বরতা ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞের তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কমপক্ষে গত ১০-১৫ বছরে বিডিআর-সামরিক বাহিনী-পুলিশ-আনসারে নিয়োগ পাওয়া বিশেষ করে জওয়ান-সৈনিক-কনস্টেবলদের প্রত্যেকের ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ খোঁজখবর (স্ক্যানিং) নেওয়ার সময় এসেছে। দেশরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই সব বাহিনীতে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক বা উগ্রবাদী গোষ্ঠী ঢুকে পড়েছে কিনা সেটা দেখা দরকার। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে পিলখানা হত্যাযজ্ঞ এবং এতে অংশগ্রহণকারীদের বয়স (মিডিয়ায় যা দেখা ও বোঝা গেছে) অনুমান করেই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। এটা নিরপেক্ষভাবে করা গেলে আমি মনে করি কোনো সেনা কর্মকর্তার হবু স্ত্রী বা কর্মরতদের স্ত্রীরা পিস্তল কিনতে চাইবেন না।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        সানা ভাই, আমি নিজেও মনে করি সেনা অভিযান না চালানোর সিদ্ধান্ত যথেষ্ঠ যুক্তিযুক্ত ছিল, আর ষড়যন্ত্রকারীরাও মনে চাচ্ছিল সেনা অভিযান চালানো হোক(নিজস্ব মতামত) আর যারা ২৬ তারিখ বিকালে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এসেছিল তাদের বেশ কয়েকজনের সাথে বের হবার পরপরই কথা হয়েছিল, তারাও বলছিল সেনা অভিযান চালানো হলেই তাদেরকেও মেরে ফেলা হতো। তবে বিডিআরদের মনে হয় আরও চাপের মুখে রাখা যেত, যতদূর জেনেছি রাস্তায় ট্যাঙ্ক আসার পরেই ওরা পালাতে শুরু করে...কোন আলোচনা বা সমঝোতায় নয়...
        ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রত্যাশা একটাই, পুরো ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং কাউকে বলির পাঠা না বানিয়ে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদান, যাতে ভবিষ্যতে আর এমন পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
        • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

          আমিও তোমার মতোই আশায় আছি :

          পুরো ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং কাউকে বলির পাঠা না বানিয়ে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদান, যাতে ভবিষ্যতে আর এমন পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়।

          আরেকটা বিষয় আকাশ। এরকম একটা কথা আছে না, মিথ্যা দিয়ে তুমি কিছু মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারো। কিন্তু দীর্ঘদিন সবাইকে বোকা বানানো অসম্ভব। আমি নিশ্চিত সত্য বেরুবেই, আজ নয়তো কাল। সেটা যার জন্য যতো মধুর বা কষ্টের হোক না কেন।


          "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

          জবাব দিন
    • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

      @ সানা ভাই
      @ আকাশ

      কেন জানিনা এসব আলোচনা আর ইফেক্ট করে না

      এখানে আকাশের কথাটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একমত হবেন কিনা জানিনা, কোন এক জায়গায় নিশ্চয়ই আমাদের ইস্যুটিকে address করায় কিছু ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। কারণ, আলোচনাটা কেন যেন ঘুরপাক খাচ্ছে 'সিদ্ধান্তগুলো' ঠিক কি বেঠিক ছিল তার ভেতরই। বিবেকবান মানুষেরা বিষয়টি নিয়ে বলছেন ঠিকই, কিন্তু কোথাও নিশ্চয়ই ঠিক কথাগুলো ঠিক ভাবে বলা হচ্ছেনা। কোথাও একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়ে যাচ্ছে। এ যেন পুরোপুরি দু'টি ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সীতে আলোচনা চলছে। সারা দেশের মানুষ আজ outraged, তারা সবাই সহানুভুতি এবং সংহতির হাত বাড়াতেই চাচ্ছে, বাড়িয়েই আছে--সেই প্রচেষ্টায় আমার দৃঢ় বিশ্বাস কোন অসততা নেই। কিন্তু সমব্যাথীর এ সমবেদনায় প্রকৃত সান্ত্বনা খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। কারণ সমব্যাথী আমরা সবাই হয়তো এই দগদগে ক্ষতের প্রকৃত গভীরতা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হচ্ছি। তাই যদি না হবে তবে কেন সারা দেশের মানুষ মিলেও এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারছি না? ২৫ ফেব্রুয়ারী তো জাতির হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কেবল শুরু মাত্র . . . । খুব বেশী দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই আমাদের সবার সঠিক পথ সঠিক ভাষা খুঁজে পেতে হবে। কিন্তু কিভাবে?

      জবাব দিন
      • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

        রায়হান : তোমার পর্যবেক্ষনে কিছুটা সত্যতা আছে। অবশ্যই একটা বড় অংশ এখনো ২৫ ফেব্রুয়ারিতে আটকে আছে। কারণ এই রকম একটা বড় ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে সেনাবাহিনীসহ দেশের মানুষের আরো কিছুটা সময় লাগবে।

        পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি তৈরিও করছে একটা গোষ্ঠী। মেইলে যেমন, মিডিয়াতেও তেমনি। তদন্ত নিয়ে একেক পত্রিকায় একেক ধরণের প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে। কারো সন্দেহের আঙ্গুল সরকারের দিকে, অন্যদের বিএনপি, জামাত, জঙ্গিদের দিকে। এরকম একটা খবর যেমন ফ্লাইট বিলম্ব করিয়ে হত্যাকারীদের বাইরে পাঠিয়ে দেয়ার তথ্য। অথচ ওই প্রতিবেদনে ফ্লাইট নম্বরটি পর্যন্ত নেই। যখন সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনা কর্মকর্তাদের অডিও বা তোমার উল্লেখিত ওই সেনা কর্মকর্তার মেইলটি বন্যার মতো দেশ ভাসিয়ে দিচ্ছে। তখন তোমার বিশ্লেষণ পড়ার জন্য এই পোস্টই হিট সংখ্যা দেখো। হয়তো মন্তব্য কম। আমি অবশ্য তোমার অনুমতি ছাড়াই ওফা এবং ২১তম ব্যাচের গ্রুপ মেইলে আগের মতো লেখাটি দিয়ে দিয়েছি।

        ক্ষুদ্র হলেও মানুষের একটা অংশ সত্য জানার চেষ্টা করছে। যুক্তিগুলো মিলাতে চাইছে। তুমি যদি এ পর্যায়ে হতাশ হয়ে যাও, তাহলে বিপদ। লিখতে থাকো। এটা এক ধরণের তাত্ত্বিক তদন্ত। তর্ক-বিতর্ক, তথ্য-বিশ্লেষণের মাধ্যমে যৌক্তিক একটা পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা।
        তোমার লেখাতেই আছে, ২১ আগস্টের কথা, কিবরিয়া হত্যা, উদীচী, ছায়ানট, নারায়নগঞ্জ বোমাসহ একের পর এক বোমা হামলা, জঙ্গিবাদের উত্থানের কথা। এসব ঘটনাতেই অতীতে ভারতকে জড়িত করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আজ দেরিতে হলেও আমরা জানি, এর কোনোটাতেই ভারত জড়িত ছিল না। আর ভারতপন্থী হিসেবে সিলমারা আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ট্রানজিট, বন্দর, বিনিয়োগসহ নানা স্বপ্নে বিভোর ভারতীয় নেতৃত্ব বা "র" সেই সরকারকে বিপদে ফেলতে এমন কান্ড ঘটাবে- এটা প্রমাণ করা কঠিন।

        আরেকটা বিষয়, '৭৫-এর পর আমার পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের ভেতরে প্রভাবশালী সব গোষ্ঠীতে "র" এর চাইতে "আইএসআই"-এর প্রভাব যে কতোটা জোরালো তার সর্বশেষ একটা প্রমাণ দশ ট্রাক অস্ত্র পাচারের ঘটনা

        তোমার কথার সঙ্গে কিছুটা দ্বিরুক্তি হলেও মন্তব্যের জন্য দুঃখিত।


        "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

        জবাব দিন
  6. আচ্ছা তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন যে সরকার যে ধরনের পদখেপ নিছে সেটা যুক্তিযুক্ত ছিল।আপনি তাহলে এখন কিভাবে প্রমান করবেন যে আসলে এই ঘটনা টা কে বা কারা ঘটাইছে?
    এখন অনেকে অনেক কথা বলবে ...অনেক ধরনের গুজব ছরাবে...।আপনি কি ভাবেন যে যারা মূল পরিকল্পনা কারি তাদের আপনি খুব সহযে ধরে ফেলবেন...তারা ত এখন দেশে নাই...।।
    আমি অই ইমেইল টার সাথে একমত নই... কিন্তু সরকার যে ভাবে পুরা বেপারটাকে টেকেল কোরছে সেটা ছিল খুব কাচা.. এইজন্নে আংঙ্গুল এখন তাদের দিকে ঊঠবে...।
    ইতিহাস ঘাটেন...।এই ধরনের ঘটনাই সময়ক্ষেপন করলে চলেনা...আপনি কয়জনকে ধরবেন ...কি প্রমান এর ভিত্তিতে ধরবেন...
    আপনি হয়তো অনেক্কে শাস্তি দিতে পারবেন কিন্তু মূল পরিকল্পনাকারিদের আর পাবেন না।
    বিদ্রহের ঘটনা একটা ডাল ভাত না যে আননি খস গল্প করে কাটাএ দিবেন...।ইতিহাসে যোখন কোন বিদ্রহ...যেভাবে শুরু হয়...সেভাবেই এটাকে ঠান্ডা করতে হয়।

    জবাব দিন
  7. সাজ্জাদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    আপনারা কি লেখক এর এই comment টা খেয়াল করেছেন?

    "IG police freely moved in because his daughter and son in law capt haider was inside. he ensured the rescue of his daughter, married 82 days earlier. She can always get a new husband and forget the old one!"

    এটা মাযহার কে নিয়ে বলা হয়েছে। ওই লোকের স্পর্ধা বলতে হয়। এটা এই লিঙ্ক থেকে নেওয়া হয়েছে।
    http://www.facebook.com/topic.php?topic=7082&post=29389&uid=54222455826#post29389

    ওই লোক যে মিথ্যা কথা বলতেছে তার প্রমাণ হলো পরে যখন এটা forward করা হয় তখন এই line টা মুছে forward করা হয়।

    এই comment টার পর মানুষ কেমনে এই লোকের কথা বিশ্বাস করে? মানুষ এর কি সামান্যতম বুদ্বিও নাই।

    জবাব দিন
  8. সাজিদ (১৯৯৩-৯৯)

    রায়হান ভাই, খুবই ভালো লাগলো আপনার অত্যন্ত সুন্দর বিশ্লেষণ এবং ক্ষুরধার যুক্তিসমৃদ্ধ লেখাটি পড়ে। কিন্তু এই বিতর্ক, সংলাপ আর কলমযুদ্ধের ডামাডোলে আমরা মনে হয় একটা ব্যাপার ভুলে যাচ্ছি। বন্যা, সাইক্লোন, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষসহ যেকোন প্রকার প্রাকৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্যোগের সময় এই সেনাবাহিনী বার বার আমাদের আপামর জনসাধারনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ জাতির এই চরম সংকটাপন্ন মুহূর্তে কার দোষ, কার ষড়যন্ত্র এসব তর্কের বাইরে আমাদেরকে আরো একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে যে এই সেনাবাহিনীর মূল চালিকাশক্তি যে অফিসারবৃন্দ তাদের মনোবল আজ অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে। তাই এই সেনাবাহিনীর পূর্বের গৌরব ও মনোবল ফিরিয়ে এনে আবারো তাকে জাতির সেবায় কিভাবে নিয়োজিত করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে। আমি আপনাকে তাই অনুরোধ করব বর্তমান সমস্যার থেকে উত্তোরণ করে কিভাবে আবার সেনাবাহিনীকে তার পূর্বের গৌরব এবং দক্ষতার অধ্যায়ে ফেরত নেওয়া যায় এ বিষয়ে আলোকপাত করে কিছু লিখুন। ধন্যবাদ।


    অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
    জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
    কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।

    জবাব দিন
    • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

      @ সাজিদ,
      জরুরী একটা পয়েন্ট। এটাই উপরের মন্তব্যে কিছুটা ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলাম। সাইফ এর পোস্টটা ('আমাদের কি বেঁচে থাকা. . .') এদিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই এক ধরণের bridging এর অভাব রয়েছে মনে হয়, যেটা দ্রুত পূরণ করতে হবে। দুরত্ব দু'পক্ষ থেকেই, অনেকটাই ঐতিহাসিক কারণে। কিন্তু এভাবে তো চলতে পারেনা।

      এই সেনাবাহিনীর মূল চালিকাশক্তি যে অফিসারবৃন্দ তাদের মনোবল আজ অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছে।

      moral এর যে বিষয়টি বলছো, সেটা আসলে মূল সংকটগুলোর একটি। আমাদের টক শো কলামগুলো এখনো এই 'অদৃশ্য' ক্ষতির ধরণটা মনে হয় চিনেই উঠতে পারছেনা। এই বিষয়ে জানতে হবে, জানাতে হবে, প্রতিকারমূলক নতুন দৃষ্টিভঙ্গী খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু কিভাবে? এটা এমন সংকট যা সেনাবাহিনীর একার পক্ষেও কাটিয়ে ওঠা একটু কঠিন, হয়তো অসম্ভবও। এই চ্যালেঞ্জ পুরো জাতিকেই একসাথে মোকাবেলা করতে হবে মনে হচ্ছে। সে কাটিয়ে ওঠার ধরণ বা পদ্ধতি হয়তো আমাদের চেনাজানা সব কিছু থেকে আলাদা হতে পারে, একেবারে নতুন কিছু। তা যদি না করতে পারি আমরা, তাহলে তো সবই খরচের খাতায় গেল! এই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি কিন্তু কোন কিনারা খুঁজে পাইনি।
      কারো কোন ধারণা বা পরামর্শ আছে এ বিষয়ে?

      জবাব দিন
  9. শাওন (৯৫-০১)

    বিশ্বাস করেন রায়হান ভাইয়া...ঐ ই-মেইল টা পরে আমার ঠিক আপনার মতই মনে হয়েছিল। কিন্তু এত্ত সুন্দর করে এবং এতো বিশ্লেষণধর্মী উপায়ে কোনো লেখা লেখার মত যোগ্যতা বা সক্ষমতা নেই। এমনকি সামরিক বাহিনীতে থাকা অনেক বন্ধু বা আত্তীয়রা যখন আবেগাপ্লুত ছিল তখন তাদেরকে শুধু উপস্থাপনার সক্ষমতার অভাবে বুঝিয়ে বলতে পারিনি কিছু। যদিও মানুষ যখন আবেগাপ্লুত থাকে তখন তার মনে কোনো যুক্তি কাজ করেনা।

    ধন্যবাদ রায়হান ভাইয়াকে......


    ধন্যবাদান্তে,
    মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
    প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

    ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

    জবাব দিন
  10. :salute: লেখককে স্যালুট।
    ইমেইলটা আমাকে যে বন্ধু ফরোয়ার্ড করেছিল তার বুদ্ধি নিয়ে উপহাস করে একটা পাল্টা মেইল দিয়েই আমি আমার দায়িত্ব সারি। কিন্তু লেখক অসম্ভব পরিশ্রম করে ধারাবাহিক একটা লেখা লিখে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন।
    নতুন প্রজন্মের এই পরিশ্রমী ও অনুসন্ধিৎসু মনোভাবই আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
    লেখককে অপরিসীম কৃতজ্ঞতা।

    জবাব দিন
  11. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ভাইয়া, আমি মনযোগ দিয়ে আপনার পর্ব গুলো পড়ছি, আপনি যে শ্রম দিচ্ছেন তা এক কথায় অসাধারন। নিজে এই রকম কাজ করতে পারিনা, তবে যারা করে তাদের স্যালুট করতে আমার কোন কার্পন্য নেই।

    ২ তারিখ আমাদের ব্যাচে এক বন্ধু অনেকদিন পরে ফোন দিয়ে আমাকে বলেছিল এই মেইলটার কথা। সে এতই উত্তেজিত ছিল যে, মেইল ফরোয়ার্ড করেই চুপ করে থাকেনি, নিশ্চিত হতে চাইছিল আমি পরব কিনা আর আমার মন্তব্য কি হতে পারে। তার আগ্রহ পানি ঢেলে ছিলাম, আর বলেছিলাম এইসব নিয়ে অহেতুক মাতামাতি না করে, সে যেখানে কাজ করে তার স্বাভাবিক পরিবেশ ধরে রাখতে পারলেই দেশের অনেক উপকার।

    আপনাকে একটা অনুরোধ করব, আপনার সিরিজ টি শেষ করে সব মিলে একটা ই-বুক বের করার জন্য। তাহলে সব গুলো এক মলাটে আসবে। একটা দলিল হবে।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  12. সালাম রাইহান ভাই,

    আপনার লেখা পড়ে অনেক কষট পেলাম। আমার মনে হয়েছে ................ আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই। আপনার ঠিকানা জানালে খুশি হব। একটা কথ।, সারা দেশ ঘা পরে জেনেছে, সেনাবাহিনির এই অসহায় সনতনেরা তা এব

    Sorry vai, I failed to write in Bangla and not having energy to learn now:

    What you are knowing these days about the incident, many members of the army started knowing all those much before, starting from early morning of 25th Feb. Yet, manything you don't know, what, possibly they know correctly. Where a military officer can never be dare to misbehave with anyone senior to him, may be senior by a single day, not only with PM, also with chief, they behaved same way as you heard. What does that mean? Think................... Is that emotion, survivability, or what? The writeup you talked about, (What you say General's writing), I also read. I felt, it was an effort of himself to battle with the hostile media. Once the general people from the roof top or through window could see the incidents themselve, our media and our intelligence failed, do think it is possible. Never. You may please take tsome people and visit that area, you shall find eye witness.
    May Allah help this country

    জবাব দিন
  13. রায়হান ভাই,
    আপনার এনালাইসিসটার জন্য ধন্যবাদ।
    নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন দিয়ে বিচার করলে, এই কথিত সেনা অফিসারের মেইলটা যেমন একপেশে, আপনার এনালাইসিস টা ও একপেশে।
    আর্মি ঢুকলে কি হত, বা না ঢুকে কি হয়েছে, সে প্রশ্ন অবান্তর। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
    কে এ কাজটা করেছে সেটা বের করা আমাদের দায়িত্ব নয়। তদন্তকারিরাই তা করবে।

    এখন আমাদের সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে এটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমন। আমাদের সবার উচিত এই মুহুর্তে ঐক্যবধ্ব হওয়ার। ব্যক্তি সার্থ্য ও দলিয় সংকির্ণতার উর্দ্বে উঠার।

    জবাব দিন
  14. আমার ধারনা বিডিআর এর ঘটনায় কোন ষড়যনত্র ছিলনা। আ‌‍র্মি অফিসার আর তাদের বউদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সাধারন সৈনিকরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাঙালীরা এমনিতেই বর্বর হয়ে গেছে, তারা এখন শুধু মানুষ মারেনা, মানুষ জবাই করে। সর্বক্ষেত্রে একই অবস্হা, বিডিআরতো কোন এক্সেপশন নয়।

    জবাব দিন
  15. Rayhan vai, excellent write up in very good bangla. But I have to say that your writing is not impartial. The way the writer of the e-mail tried to show some logics with out any valid references, in the same way you also tried to counter those logics without any valid references. The difference between two writings are only the use of language, nothing else.

    In your writing very cleverly you tried to undermine the ARMY officers mentioning various bad languages about their qualifications, which is not at all correct.

    "জেনারেল সাহেব, দয়া করে নতুন কিছু ভেবে বের করুন প্লীজ। মনে করবেন না দেশের সব মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে"

    I took only two lines from your writing.

    The JMB and the other Islamic militants follow a shrewd technique which is found in your writing. They capture some part of the lines from Quran and misguide others. You also did the same thing. You took few lines from the e-mail and shown in a wrong pattern. No where on that mail that officer (or anyone else) mentioned the officers till 2002 in BDR were corrupted.

    "Before 2002, only very average army officers were posted to BDR. Those officers used to pass time and wait for retirement. the scenario was changed in late 2002, when army started to pump in outstanding oficers to BDR to shape up the national border and curb cross-border crime and smuggling."

    This was his writing in his mail, where he clearly stated that officers who are very average and waiting for retirement were posted earlier. As they are serving for the last few periods of their service, therefore they were not much energetic like the young and brilliant officers. He never mentioned during Awami League period BDR was corrupted more, or during BNP period BDR was less corrupted. He gave a time phrase before 2002. It not only indicates Awami period from 96-01. It also includes 91-96 BNP period. That e-mail writer never tried to blame any political party in his mail, which you have done.

    He has shown some logics against Nanok, Mirza Azom, PM mentioning some incidents. You have given counter logics from your mind with good language which are very good to hear. But you could not prove those logics as fake basing on those mentioned incidents.

    It is obvious that no body knows which is the real reason for this incident accept the persons behind this conspiracy. Everyone is giving his own ideas. Here we are our own judge. As an educated person this is our responsibility to grab the correct thing from various informations. But to prove someone wrong if I show some wrong logics, may be with very good language but without correct/valid references, then I am also wrong and misguiding others. This is completely my personal opinion, others may not agree with me.

    The audio clips you received in facebook or in other links are obviously posted by the officers of ARMY. They have not done anything wrong. That meeting/address was not a confidential meeting. It was PM's open address to all the ARMY officers. PM and Motia chy were not only civilians present in that address. Numbers of media personnel were present there, both from electronic and print media. They captured the whole address but highlighted only few portions in the media. Very few newspapers only highlighted in short that officers were angry and asked various questions to the PM. No media has shown the real expressions of the officers. That is why officers posted the audio clips taken in their mobile phone. Those are short and in various part this is true. But those are not tempered/changed. Whatever the officers asked to the PM are posted there. No body I believe tried to undermine Government or any political party with those clips. But you tried to bring out a wrong expression out of those clips and tried to undermine the officers.

    The behaviour shown by the ARMY officers to PM was obviously out of discipline and ARMY customs. But you should understand in which condition they have done like this. We need to breach the discipline in some occasions for the betterment of the nation, for the betterment of people of the nation; the way we broke the discipline/rule against Pakistani government in 1971. If we would have considered maintaining discipline/rules in 1971 to be loyal citizens as per your writing, then we would not be a citizen of independent Bangladesh now.
    In your writing various times you tried to highlight about the language of the mail. Remember it was a mail, not a story for a newspaper or for a writing competition. Here the writer tried to express his mind. If he can do it with grammatically wrong English even there is no problem I believe. But several times you tried to undermine him mentioning he has used wrong English. Was it a clever way to bring the readers of your blog in your support?

    The writer of the e-mail mentioned in his mail that:

    "We are not asking you to believe this email. We are requesting you to use your judgement.

    Please let the People of Bangladesh know what your judgement say. Do something for the nation...in exchange of 140+ lives of your families.... your officers...your sisters...martyred at Pilkhana by .......

    If your judgement concludes that what were said in this mail in the name of Allah are true, please forward to all possible contacts. Let the world know what you understand to be the truth.. it is your responsibility as a human being. is not it?"

    He requested to use your judgement on this mail. He never told to believe him or that mail blindly. If you do not believe you can show your logics. But, is it necessary to attack him personally? Moreover mentioning him as a General of ARMY, where as you are not sure about his identity.

    Last but not the least, no where in that mail we have found it is written by a General. The salutation on the e-mail was:

    "From an Army Officer: Our beloved People of Bangladesh"

    But You mentioned it is a writing of a general. Was not it an intentional mistake just to humiliate the ARMY officers proving the standard of a General (one of the most high rank) so bad?

    I do not know whether you have some enmity with ARMY or not, but in your writing several times you tried to humiliate ARMY. So far my knowledge goes, in every organisations there are good & bad people. But for few bad people we can never blame the whole organisation. Moreover an organisation like ARMY which is always extending his hands to help the nation in any kind of crisis, should not be humiliated in this manner. Remember ARMY is a part of this nation. If we humiliate any part of our country, it is a humiliation to the whole nation. Please do not humiliate the country just to express yourself as a big scholar/intellectual.
    I

    জবাব দিন
    • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

      মনসুর,

      তুমি লিখেছো:

      In your writing very cleverly you tried to undermine the ARMY officers mentioning various bad languages about their qualifications, which is not at all correct.
      “জেনারেল সাহেব, দয়া করে নতুন কিছু ভেবে বের করুন প্লীজ। মনে করবেন না দেশের সব মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে”

      আরো বলেছো:

      I do not know whether you have some enmity with ARMY or not, but in your writing several times you tried to humiliate ARMY. So far my knowledge goes, in every organisations there are good & bad people. But for few bad people we can never blame the whole organisation.

      হাঁটুতে বুদ্ধির বিষয়টিতে সকল সামরিক অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন এরকম তোমার মনে হল কেন বলো তো? এটি সুনির্দিষ্টভাবে জেনারেল সাহেবকে উল্লেখ করে বলা। তাতে তোমার মাথায় "সমস্ত সেনাবাহিনীর বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে" এই জাতীয় চিত্রকল্প যদি তেরী হয়ে থাকে, তবে সেটা তোমার নিজের perception এর সমস্যা, আমার নয়। এক্ষেত্রে তোমার কথাটাই তোমাকে ফিরিয়ে দিই - "সব প্রতিষ্ঠানেই নির্বোধ এবং বুদ্ধিমান থাকে"। সেক্ষেত্রে একজনকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করলে তাতে বাকি সবার আক্রান্ত বোধ করার কোন যৌক্তিক কারণ আছে কি?

      তুমি বলেছো:

      He never mentioned during Awami League period BDR was corrupted more, or during BNP period BDR was less corrupted. He gave a time phrase before 2002.

      আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির কথা কি মুখ ফুটে জেনারেল সাহেবকে বলতে হবে? ২০০২ এর পরে বাংলাদেশে ক্ষমতায় কে ছিল? জর্জ বুশ? ২০০২ এর আগে ক্ষমতায় কে ছিল? টনি ব্লেয়ার?
      জেনারেল সাহেব বলেছেন ২০০২ এর আগে (এমনকি তোমারও ভাষায়) 'average and not much energetic' অফিসারদের বিডিআর এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই যে ঢালাওভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অফিসারকে 'average', 'not much energetic' হিসেবে তোমার জেনারেল আর তার সপক্ষে তুমিও প্রচার করলে - তাতে কি সেনাবাহিনীর সম্মান কিছু বাড়লো? নাকি ঢালাওভাবে একটি নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমের কিছু অফিসারদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে তুমি নিজের fairness এবং দায়িত্বশীল মন মানসিকতার পরিচয় দিলে? জেনারেল সাহেব যখন বলেন যে ২০০২ এর আগে বিডিআর জওয়ানেরা যথেচ্ছ দুর্নীতি করে বাড়ীগাড়ি করতো তখন তা তাদের কমান্ডিং সেনা অফিসারদের ভূমিকা, সততা, কিংবা নিদেন পক্ষে দুর্নীতি লালন সম্বন্ধে কি ইঙ্গিত দেয়, যদি জেনারেলের যুক্তিকে সত্য ধরে নিই? এর পরেও কি তুমি বলবে যে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছি আমি, তোমার এই জেনারেল নয়? তাছাড়া প্রশ্ন হল, এই অফিসাররা average কিনা সেই রায় দেয়ার এখতিয়ার কার? জেনারেলের? নাকি তোমার?

      বলেছো:

      He has shown some logics against Nanok, Mirza Azom, PM mentioning some incidents. You have given counter logics from your mind with good language which are very good to hear. But you could not prove those logics as fake basing on those mentioned incidents.

      জানতে ইচ্ছে করছে fact এবং logic এই শব্দগুলোর মানে তোমার কাছে কি? হত্যাকান্ড, কবর খোঁড়াখুড়ি চলেছে নানক-সাহারার চোখের সামনে (!) - এটা fact? ৩২ জন (!) হত্যাকারীকে পরিকল্পিতভাবে পালিয়ে যেতে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - এটা fact? হত্যাকারীরা ২৫ লাখ করে টাকা পেয়েছে - এটা fact? যদি এগুলো factই (! )হয় তবে সেই ফ্যাক্ট এর উৎস কি? এমনকি একটি সূত্রও কি জেনারেল সাহেব উল্লেখ করেছেন? হ্যাঁ, তিনি এর সত্যতার পক্ষে কিরা-কসম কেটেছেন, এটা অবশ্য ঠিক! এবং মনে হচ্ছে তোমার মত একটি শিক্ষিত ছেলের কাছে কিরা-কসম কেটে যে কেউ (এমনকি নাম পদবী পর্যন্ত না জানিয়ে) কোন কিছু বললেই তা সত্য হয়ে যায়!
      আর, পেছন দিয়ে দিনের আলো এবং রাতের অন্ধকারের মধ্যেও পরিবার পরিজন নিয়ে হাজার হাজার মানুষের পালানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হত্যাকারীরা "এম্বুলেন্সে চড়ে" (!) মিডিয়ার সামনে (!) দিয়ে পালিয়েছে - এইটা তোমার কাছে "logic" মনে হল? এটা লজিক হলে তা কোন্ মানের লজিক? সুকুমার রায়ের শ্রী কাক্কেশ্বর কুচকুচের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে - "সাত দুগুণে চৌদ্দের চার আর হাতে রইলো পেন্সিল"!!!

      শুনেছি যে সত্যবাদী মানুষ কোন কিছুকে ভয় করেনা। একজন honourable officer যিনি দেশ রক্ষার জন্য এমনকি জীবন দেয়ারও শপথ নিয়েছেন, তিনি এই ইমেইলটি বেনামে লিখলেন কেন বলো তো? একবারও কি প্রশ্ন করেছো - তার উল্লেখিত "facts" (!) এর কোন source যদি সত্যিই তার হাতে থেকে থাকতো, তবে একজন দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে তিনি সেগুলো তদন্ত কমিটির কাছে না দিয়ে ইন্টারনেটে প্রচার করছেন কেন? এক্ষেত্রে আবারও মনে করিয়ে দিই সরকারী তদন্তের উপর যদি ভরসা না থাকে, তিনি অন্তত সে সব source এর খবর (যদি আদৌ থেকে থাকে কিছু) সরাসরি সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্ত কমিটির কাছেও তো দিতে পারতেন। যে জনগণের ওপর উনার এত ভরসা (!) সেই জনগণকে তিনি এই source গুলোর ব্যাপারে অন্ধকারে রাখছেন কেন? এমনকি নিজের নামটিও জানানোর মত সৎসাহস নেই কেন তার?

      বলেছো:

      The audio clips you received in facebook or in other links are obviously posted by the officers of ARMY. They have not done anything wrong.

      আমি অত্যন্ত শংকিত হলাম দেখে যে তুমি এভাবে চিন্তা করো।

      বিডিআর এর কথিত বিদ্রোহটিকে দল মত নির্বিশেষে সকলেই ষড়যন্ত্র বলেছে। কেন? এর একটি প্রধান কারণ ছিল যে দরবার হলে অভিযোগ প্রকাশের সুযোগ থাকতেও বিডিআর জওয়ানেরা তাদের সমস্ত নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল বলে। আমাদের সামরিক বাহিনী বা রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণ কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারেনি যে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর মধ্যে (অভিযোগ প্রকাশের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও) শুধু 'কিছু ক্ষোভের' কারণে তারা আইন ভঙ্গ করতে 'বাধ্য' হয়েছে। দল মত নির্বিশেষে প্রায় সকলেই একারণে বলেছেন যে এভাবে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে "তথাকথিত ক্ষোভপ্রকাশ" এর উদ্দেশ্য ছিল সুপরিকল্পিতভাবে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সমস্ত চেইন অব কমান্ডকে ধ্বংস করে একে শেষ করে দেওয়া। এবার, এই একই আলোকে প্রধান মন্ত্রীর সাথে সভায় গুটিকয় অফিসারের আচরণ এবং এই টেপ বাজারে ছাড়ার উদ্দেশ্যটি ব্যাখ্যা করো তো?

      প্রধানমন্ত্রী সেনাকুঞ্জে গিয়েছিলেন কথা বলতেই, কথা শুনতেই। হল ভর্তি হাজারখানেক শোক বিহ্বল বিক্ষুব্ধ অফিসারের মুখোমুখি হয়েছেন, একা। একে বলে courage, একে বলে leadership। সেটাও যদি আমরা recognise করতে না পারি, তবে বলতে হবে আমাদের decency এবং honour এ কোন বড় ধরণের ঘাটতি আছে। প্রধানমন্ত্রী কি একবারের জন্যও বলেছেন যে তিনি তাদের কথা/দাবী শুনতে চাননা? কিংবা তিনি কি অভিযোগ শুনতে শুনতে উঠে চলে গিয়েছিলেন? নাকি বলেছেন এসব দাবীর কিছুই তিনি মানবেন না, যে, সমস্ত আভ্যন্তরীন নিয়ম কানুনকে কাঁচ কলা দেখিয়ে এই টেপটি প্রকাশ করা জরুরী হয়ে পড়লো?

      একথা অনেকেই মানবেন যে সেনাবাহিনীর ভেতরেও কমান্ডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে অন্য অফিসারদের/সেনাদের ন্যায় অন্যায় অনেক অভিযোগ থাকতেই পারে। এই সব সদস্যদের কি তাহলে উচিত হবে এসমস্ত অভিযোগ এখন থেকে জনসমক্ষে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে প্রকাশ করা? তাহলে বরং এক কাজ করো। আজ থেকে এই সব দরবার করার ট্রেডিশন তুলে দাও। অফিসারদের একের বিরুদ্ধে অপরের ক্ষোভ, প্রতিষ্ঠানের ভেতরের ক্ষোভ, সেনা সদস্যদের একজনের অন্যদের বিরুদ্ধে যত ক্ষোভ অভিযোগ (যে সবের কথা টেপটিতেও কিছুটা উঠে এসেছে) - সব না হয় এখন থেকে প্রেস কনফারেন্স করেই দেয়া শুরু হোক। সরকার প্রধানরা সে সব খবরের কাগজ পড়েই না হয় জেনে নেবেন। দেশের শত্রুরাও সে সব পড়ে ড্রইং রুমে বসে হাততালি দিক। দরবার করে আর সময় নষ্ট করা কেন? রুলস রেগুলেশন, কোড, ডিসিপ্লিন এসবের তো তাহলে কোন দরকার নেই, এমনকি সেনাবাহিনীতেও! এই টেপটির উদ্দেশ্য কি দেশের ভেতর/বাইরের শত্রুদের কাছে এই message দেয়া যে এই দেশের সরকারের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে, vulnerability রয়েছে? যাতে করে শত্রুরা এখন নতুন মতলব ভাজতে পারে? চমৎকার দায়িত্বশীলতা ও দেশপ্রেম! দেশ যখন থমথমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মত নিরাপত্তা হুমকীর সম্মূখীন আর severe এই সংকটে ছড়িয়ে দেয়া টেপটিকে তুমি বসে বসে defend করছো? তাও সেটা কেমন আঙ্গিকে ছড়ানো হল সেটা একবারও প্রশ্ন করছো না? প্রায় তিন ঘন্টার এই মিটিংয়ের ঠিক কতটুকু cover করা হয়েছে এই টেপটিতে সেটাও কি লক্ষ করোনি? এডিট করে বেছে বেছে সেনা কর্মকর্তাদের (who are supposed to be officers and gentlemen) কোন্ অংশগুলো ছড়ানো হয়েছে বলো তো? তাতে সেনাবাহিনীর সম্মান আর ইমেজ খুব বৃদ্ধি পেয়েছে কি? সেনাবাহিনীকে কে বা কারা কি প্রক্রিয়ায় ডোবাচ্ছে এবং কিভাবে ডোবাচ্ছে সেটাও না বুঝে লেগে পড়েছো তাদেরই হয়ে ওকালতি করতে? আমাকে বলছো আমি নাকি ভাবমূর্তি নষ্ট করছি? টেপ রিলিজকারীরা কি ভাবমূর্তির আর কিছু আস্ত রেখেছে যে নতুন কারও দরকার হবে সেটা নষ্ট করার জন্য? সত্যিই কি সবাই এত অন্ধ হয়ে গেছে?

      লিখেছো:

      That meeting/address was not a confidential meeting. It was PM’s open address to all the ARMY officers. PM and Motia chy were not only civilians present in that address. Numbers of media personnel were present there, both from electronic and print media.

      এটা কি সত্যি বললে তুমি? পত্র পত্রিকার মাধ্যমে যা আমরা জানি - তা হল কেবলমাত্র গুটিকয়েক ক্যামেরাম্যান এবং আর্মির একজন প্রেস ফটোগ্রাফার উপস্থিত ছিল অনুষ্ঠানটির প্রথম কয়েক মিনিটের ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য। এই ফুটেজগুলোই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমরা দেখেছি। তুমি কি বলতে চাচ্ছো যে মিডিয়াকে সেখানে সার্বক্ষণিকভাবে উপস্থিত থাকার এবং রেকর্ড করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল? তাই? তাহলে একটু বোঝাও তো আমাদের - কেন কতিপয় অফিসারের মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণকৃত রেকর্ডগুলোই আমাদের শুনতে হচ্ছে? কোন মিডিয়ার কাছে এর বিস্তারিত ফুটেজ বা রেকর্ডকৃত অডিও নেই কেন? এই বিষয়গুলো কি তুমি জানোনা? নাকি জানতে চাওনা? এর পরেও যদি তোমার হাতে কোন তথ্য থেকে থাকে (যেমন: কোন্ কোন সম্পাদক/সাংবাদিকের অনুমতি ছিল সেখানে উপস্থিত থাকার এবং রেকর্ড করার, তাদের নাম ধাম ইত্যাদি) তবে অবশ্যই সে সব জানাবে আশা করি। যাতে, পত্রিকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আমাদের ভুল থাকলে সেটা আমরা সংশোধন করার সুযোগ পাই।

      লিখেছো:

      They (the electronic and print media) captured the whole address but highlighted only few portions in the media.

      এভাবে সমস্ত মিডিয়াকে এক পাল্লায় ফেলে তাকে সেনাবাহিনীর বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দেয়াটা কি ঠিক হল? তুমি কি বলতে চাচ্ছো পুরো মিডিয়া এখন আওয়ামী লীগের পকেটে! বলতে চাচ্ছো দেশে এখন আর একটিও free media নেই! আর সেগুলোর সবই সেনাবাহিনীর পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে! জোট সরকারের সময় যে এক গুচ্ছ ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া গজিয়ে উঠলো সেগুলোর কথা কি তুমি ভুলে গেলে? এভাবে একটি বাহিনীকে তুমি সারা দেশের পপুলার মিডিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়ে কি দায়িত্বশীলতা এবং যৌক্তিক মানসিকতার পরিচয় দিলে? আর মিডিয়া যে সেনা কর্মকর্তাদের ন্যায্য ক্ষোভের কথা পরবর্তীতে তুলে ধরেনি, সেটাও কি সত্য? সেনাকুঞ্জ সভার পরদিনই প্রকাশিত এই রিপোর্টটি দেখো: http://www.eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2009-03-02 )

      তুমি আরও লিখেছো:

      But You mentioned it is a writing of a general. Was not it an intentional mistake just to humiliate the ARMY officers proving the standard of a General (one of the most high rank) so bad?

      এ বিষয়ে আমি আমার মূল পোস্টের শুরুতেই ব্যাখ্যা করেছি। আবার পড়ে দেখো। এই প্রচারক ব্যক্তিটির Rank নিয়ে কিছু confusion অন্তত আমার দিক থেকে (নানা কারণেই) ছিল, সে কথা সত্যি। আমার কাছে আসা কিছু কিছু সূত্রে তাকে "জেনারেল" হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছিল (পোস্টে লিন্ক দিয়েছি)। তার ইন্টেলেক্ট বা ভাষার মান নিয়ে প্রশ্ন জাগলেও তাকে তার প্রাপ্য সম্বোধনগত সর্বোচ্চ সম্মান জানাতে আমার দ্বিধান্বিত হওয়ার কোন কারণ ছিলনা। বলতে পারো অনেকটা erring on the side of caution থেকেই। তাছাড়া তিনি সত্যিই "জেনারেল" হয়ে থাকলে, এই সম্মানটুকু তাকে না দিয়ে 'জনৈক অফিসার' বলে সম্বোধন করলে এই তুমিই হয়তো প্রশ্ন করতে তাকে তার প্রাপ্য সৌজন্যটুকু দেখাইনি বলে। আর তিনি একজন সাধারন অফিসারও যদি হয়ে থাকেন, তার পরও প্রশ্ন থেকে যায় - যে অফিসারকে তৈরী করতে প্রশিক্ষণ দিতে এই দরিদ্র রাষ্ট্রটির এত অর্থ এবং সময় ব্যয় হয়, সেই 'অফিসার' এর কাছ থেকে ন্যুনতম শুদ্ধ ভাষায় (এমনকি নিদেন পক্ষে শুদ্ধ বাংলায়) একটি ইমেইল (যেটি কিনা জনসাধারণের কাছে প্রচার করার জন্য লিখিত) কি আমরা আশা করতে পারিনা? দেশে এমন বহু মেধাবী তরুণ আছেন যারা আর্মিতে অফিসার হওয়া তো দূরের কথা, এমনকি ঢোকার সুযোগটি পর্যন্ত পায়না। সেখানে একজন অফিসারের কাছে ন্যুনতম যৌক্তিক মানের একটি প্রচারণা আশা করা কি খুব বেশী চাওয়া? যাঁদের হাতে কিনা দেশ তার সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা এবং হাজার হাজার তরুণ মেধাবী অফিসারদের মেধা ও মনন গড়ার দায়িত্ব দিয়েছে? আমার কাছে এখনো বিস্ময়কর ঠেকছে যে প্রচার পত্রটি তিনি ইংরেজীতে লিখলেন কেন! এই জেনারেলটিকে সামরিক বাহিনীর একজন সাধারণ অফিসার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেও তাতে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি কি কিছু বাড়ে?

      এ প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্ন মনে এসেছে; আশা করি তার ব্যাখ্যা পাবো। এই অফিসারটি 'জেনারেল' নয়, এ বিষয়ে তুমি দেখা যাচ্ছে খুবই নিশ্চিত। এর মানে কি এই যে তুমি এই অফিসারকে চেনো অথবা তার সঠিক rank সম্বন্ধে জানো? জানলে সেটা আমাদেরও জানাবে কি যাতে আমরা ভবিষ্যতে শুদ্ধভাবে তাকে সম্বোধন করতে পারি?

      অনেকদিন আগে শোনা একটা কথা মনে পড়ে যাচ্ছে: "you do not need to wear a uniform to be a man of honour". তেমনিভাবে ইউনিফর্ম গায়ে চড়ালেই সম্ভবত কেউ man of honour হয়ে যায়না। কোন মানুষ সত্যিকারের honourable কিনা তা প্রকাশ পায় তার আচরণে, কথাবার্তায় আর তার কার্যক্রমে।

      তোমার মঙ্গল কামনা করছি। যেখানেই থাকো ভালো থাকো।
      রায়হান

      জবাব দিন
      • Rayhan Vai, as you asked for the answer, I am writing. I am not in a mood to discuss or write so many things which has no value in the judgement of those criminals. I have lost my friend, my colleagues in this incident. What my mental condition is that can be understood by the ARMY officers only. I was not interested to reply on your writing also. But as I felt humiliated being an ARMY officer that is why I replied.

        Yes I am confirm that the writer of that mail is not a General. Because a general of our ARMY will never give such a mail without his name and identity. Moreover I am confused whether he is an officer of ARMY or not. Because ARMY officers will never submit a mail without his identity. If we do some mistake even, we have the guts to admit our fault. We are always ready to accept punishment for our mistakes. As you are not also confirm about his identity therefore you could very well criticise him mentioning as the writer. In that case you would have criticised a person not an organisation.

        "In the post atrocity spin war, one letter that has been circulated very consistently around blogs and forums was this letter from a supposed general. This letter makes some very serious accusations against the government with an aura of authenticity.

        While conspiracy theorists and arm chair investigators are having a field day, blogger shadakalo got into action and debunked some of these myths and speculation.

        Here is the original letter from the ‘general’:

        Here is how Shadakalo debunks it.

        Another line of argument that is making round is it is in India’s interest to have Gen Shakil killed because he was against Transit to India.

        But facts point otherwise. Gen Shakil is on record supporting transit facilities to India. Here is an article written by Gen Shakil for National Defence College arguing why transit facilities should be allowed to India."

        I pasted the copy of writing following your given link. These are not the writings of that e-mail writer. Here the blogger mentioned the e-mail writer as general. But the link he provided as original letter from the general is same as we all have seen. Where the salutation is an officer not mentioning the rank. The link you provided in your blog for the original mail it is also same. In your writing also you stated that he was mentioned as general in various blogs, that is why you want like to call him as a general. But did you not see the original mail? Then how can you call him a general?

        You should agree with me that when I say "Mr X" is a corrupted man, the blame goes on his shoulder only. Here Mr X is a serviceman of "Y" organisation. Now if I say "Mr X" of "Y" organisation is a corrupted man then the blame come to the organisation also. If it is proved that "Mr X" is corrupted, then you can say either of the above sentences. But If it is not proved then you should not mention the organisation for the sake of that organisation. Here about your writing, the identity of that e-mail writer is not confirmed. Do not you think you could to omit the general salutation here as in no where of that mail the writer mentioned him as a general?

        I always expect whole hearted support from any ex cadets in any of the occasions, may be as an ARMY officer, may be just as an ex-cadet. More than 50% ARMY officers are ex-cadets. So when we see some writing in Cadet College Blog little bit against ARMY, I personally get hurt more. Which will not happen if I see same or worse writing against ARMY in any other blogs. I agree that in your writing you never humiliated ARMY as a whole. But you humiliated a general of the ARMY which is a humiliation to the ARMY. If it would be really a general then I could not blame you. But none of us is confirm about his so, I get the scope to blame you.

        Now about the audio tapes. Yes we the officers have broken the rule/discipline posting the tapes. But the fact here is, no officer has done it to humiliate government or any political party. These are the small clips recorded by mobile phone. This are circulated so that we get the justice. So that we get the people's support. You all know that on 25-26 feb 09 media only highlighted the sayings of the BDR's. Which took all the citizens against ARMY. But from 27 feb 09 when everyone came to know the real story, then the all the people understood that this incident was a big conspiracy. But all the citizen do not think it is a conspiracy. Many of us still believe that it happened for the misbehave of ARMY officers.

        Zeyt বলেছেনঃ
        মার্চ ৭, ২০০৯ @ ৭:৪৮ অপরাহ্ন
        আমার ধারনা বিডিআর এর ঘটনায় কোন ষড়যনত্র ছিলনা। আ‌‍র্মি অফিসার আর তাদের বউদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সাধারন সৈনিকরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাঙালীরা এমনিতেই বর্বর হয়ে গেছে, তারা এখন শুধু মানুষ মারেনা, মানুষ জবাই করে। সর্বক্ষেত্রে একই অবস্হা, বিডিআরতো কোন এক্সেপশন নয়।

        When an ex-cadet can think like this, then you should consider how many people of our country can have the same feelings like Zeyt. This is the reason for which young officers posted those clips, just to inform everyone the real incident. Here in most of the clips the saved officers from Pilkhana stated the incident what happened on 25 & 26 feb 09. Then they asked some questions. In few questions PM answered nicely which is totally supporting the present government. If someone with a bad intention manipulated the clips and posted, then why they have left those portions which supports the government? Again I agree this is a breach of military discipline posting the audio tapes. But when your brothers are killed in this manner, your vabi's are tortured, your children are tortured then you can not expect discipline. Our claim was, we could save them if we were allowed to operate in Military manner. Yes I agree in that case the no of dead people could be more. But if we were allowed to operate then no of dead would be more from the conspirators, not from the innocents. BDR and ARMY these are two forces. Both the force has their separate rules and regulations. no where it is written that in any kind of crisis we should wait for the political solution. We have clear cut rule, when you are attacked, save yourself. When a part of your force is attacked, help them and save them. Our objection was on that issue. why we were not allowed to save our brothers?

        You may tell that if ARMY would have attacked then many innocent BDR would have lost their life's. But to me no body inside PILKHANA was innocent. Only few (max 50, as per the statements of rescued officers in media) started the conspiracy. Rest around 9000 BDR just observed and later many of them joined the conspirators. In a force if you support a mutiny even, you are at fault. So those who were innocent they did not save others and try to stop the mutiny. So they are also defaulter. I agree there were many BDR who saved officers/their family's life. They are only the innocents, including few shaheed BDR's sacrificed their life even. But these no are not a big no. For the sake of conspirators life we could save many life. At least we could save the honour of our ladies which are much more costlier than the life's.

        These are the few reasons for for which officers went against senior officers including CAS, PM, and government. This is breach of discipline, but you should understand when you have question about your own security, your family's security, your child's security, how much discipline can you expect? Moreover do not forget "necessity knows no law". But do not try to mishap this necessity with the BDR jowans necessity. Here the officers necessity is for their life, for their honour. But the BDR's necessity was for comfort. We the ARMY personnel know how much effort we give for the soldiers comfort. We do not take food unless we can ensure their food. Now again I know few of us will raise question about the standard of food we have, and the standard they have. But you should know the standard provided for troops are free, but the standard we the officers maintain are from our own salary, not free. Only dry ration is provided to officers in low price where the standard is same as the troops ration. So if a soldier is telling officers are not considering their requirements, then that may be believed by a person out of force, but not by us.

        Sorry i have written many things replying your question. I could not not write it in Bangla or even in a good English. This is my limitation. Still I can not console myself for that incident. I always think my brothers were dying and asking help from me, but I could not go, my ARMY could not go to save them. i do not know whether I/my ARMY could save them or not, but we could have the satisfaction that we have tried.

        জবাব দিন
        • Mansur (92-98) bhaia,
          same way i do feel.....
          still cant forget anything......n now feeling worst..after viewing other people's comments..n analysis of the fact!!!wow if cadets think in such a way i really dont have any words to express......!!!;(
          regret...regret.......plz if u cant feel the pain plz dnt hurt the poeple's feelings..bcaz in ths blog thr r lots of poeple who hav lost their near n dear one....n ur this words make them feel d worst!!!whoever wrote the mail...he atleast tried to defend some of the facts n if u dont want to believe tht..dont but dnt try to turn it other way around by accusing the officers!!!!

          জবাব দিন
        • রাহাত (২০০০-২০০৬)
          We do not take food unless we can ensure their food. Now again I know few of us will raise question about the standard of food we have, and the standard they have. But you should know the standard provided for troops are free, but the standard we the officers maintain are from our own salary, not free. Only dry ration is provided to officers in low price where the standard is same as the troops ration. So if a soldier is telling officers are not considering their requirements, then that may be believed by a person out of force, but not by us.

          EXACTLY IT IS SO.

          জবাব দিন
    • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

      মনসুর : তোমার মন্তব্যেও কিন্তু ওই নাম-ঠিকানাহীন ই-মেইল লেখকের পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে পক্ষপাত প্রকাশ পেয়েছে। আসলে প্রতিটি ঘটনাকে নানা দিক দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায়। ই-মেইল লেখক একভাবে বিষয়টাকে উপস্থাপন করেছেন। সময় ধরে ধরে, যেন প্রতিটি ঘটনা তিনি যেভাবে বলছেন সেভাবে ঘটেছে। আর ওই মেইলের তথ্যকে রায়হান তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গীতে কাটাছেড়া করেছে। আমি বা তুমি কোনটা গ্রহণ করবো সেটা যার যার দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে।

      তবে আমি তোমার দেয়া একটা তথ্যের বিষয়ে সঠিক বলতে পারি। সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনা কর্মকর্তাদের দরবার কাভার করা নিয়ে মিডিয়া সম্পর্কে তোমার তথ্যটি পুরোপুরি অসত্য। সভা শুরুর আগে টিভি চ্যানেলগুলো শুধু কিছু ফুটেজ নিয়েছে। ওই কয়েক মিনিট ছাড়া মিডিয়ার কোনোরকম উপস্থিতি সেনাকুঞ্জের ধারেকাছে সেখানে ছিল না। দরবার চলাকালে সেনাকুঞ্জের কয়েকশ মিটার দূরে মসজিদের কাছে মিডিয়ার লোকজন অপেক্ষা করেছে। আর ওই দরবার নিয়ে সংবাদপত্রে যতোটুকু খবর ছাপা হয়েছে, সেটা সভায় অংশ নেয়া লোকজনের কাছ থেকে সেকেন্ডারি সোর্সে সংগ্রহ করা। ই-মেইলে, ই-মেইলে ছড়িয়ে দেয়া অডিও ক্লিপগুলোকে ওই সভার একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য কার্যবিবরণী হিসাবে ধরে নেয়া যায়। আমি বরং অবাক হয়েছি, রায়হান মিডিয়ার লোক না হয়েও মিডিয়ার ওইদিনের কাজটা তার জবাবে এতোটা যথার্থভাবে তুলে ধরলো কিভাবে?

      তাই মিডিয়ার ওইদিনের কাজ সম্পর্কে অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে তোমার পরবর্তী পর্যবেক্ষণ :

      They captured the whole address but highlighted only few portions in the media. Very few newspapers only highlighted in short that officers were angry and asked various questions to the PM. No media has shown the real expressions of the officers. That is why officers posted the audio clips taken in their mobile phone. Those are short and in various part this is true.

      নিয়ে এবার কি বলবে তুমি নিজেই সে সিদ্ধান্ত নাও।


      "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

      জবাব দিন
  16. রাজীব (১৯৯৪-২০০০)

    রায়হান ভাই.........।।
    লেখা্র জন্য ধন্নবাদ।
    Zeyt.................
    Who ever u r. If u kindly look towards other people's comments, I am sure u wont find any similarity with u, as the comment u did can only be done by an ignorant person. I wish and pray u r not belonged to that group. Even though how did u comment like that I even cant imagine which is a comment of a mad person. Pl correct urself.

    জবাব দিন
  17. @ মনসুরঃ

    নিরপেক্ষ থেকেই লিখতে হবে এ ধারনার সাথে সহমত পোষন করা মুশকিল। নি্রপেক্ষ মানে কোন পক্ষ না নেয়াকে বুঝায় হয়তো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কেউ যদি বলতেন, ভাই আমি নিরপেক্ষ তাহলে, তাকে লোকে সন্দেহের চোখে দেখতো। জাতীয় জীবনে এমন কিছু সংকটকাল আসে মাঝে মাঝে যেগুলিতে নিরপেক্ষ থাকার কথা বলা মানে, সুবিধাবাদের চর্চা করা।

    জনাব মনসুর সাহেবের মন্তব্যের বিষয়ে আমার প্রতিমন্তব্য দেয়ার পূর্বে বলতে চাই, রায়হান রশিদের পোষ্টটি একটি বিশ্লেষন মাত্র। এখানে অনেক দূর্বলতা থাকতে পারে, চিন্তার অস্পষ্টতা থাকতে পারে, ঘটনার পরম্পরাকে ঠিক ঠিক ভাবে বোঝার ক্ষেত্রে, একটা তথ্যকে আরেকটা তথ্যের সাথে লিংক করার ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকতে পারে কিংবা তথ্য উপাত্তের সূত্রগত বিভ্রান্তিও হয়তো থাকতে পারে।

    কিন্ত যেটা তিনি করেছেন তা হলো, নিজ দায়িত্বে এবং স্বনামে একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক নারকীয় ঘটনার পরম্পরাকে ধরতে চেয়েছেন। আমরা মনযোগ নিবদ্ধ করে সেই ই-মেইল এবং তার এই সমালোচনাটা পড়েছি। অপরদিকে ই-মেইলকারী/গণ বেনামে থেকেছেন এবং কোনরূপ তথ্য উপাত্তের ধারে কাছেও না ঘেঁষে একটা বক্তব্য মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন। একারনে বিষয়টিকে অনেকে গুজবের তালিকায় রেখেছেন।

    নিরপেক্ষতা এখানে পোষ্টের লেখকের ছিল না, নিরপেক্ষতা এখানে ই-মেইল প্রদানকারীর ছিল না, নিরপেক্ষতা মনসুর সাহেবের মন্তব্যে নেই এবং আমার মন্তব্যেও নিরপেক্ষতা থাকবে না।

    প্রথমেই আপনি বলছেন যে, রেফারেন্সিং এর কথা। সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে যা কিছু তথ্য উপাত্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে এই পোষ্টে লেখক তার লিংকগুলো দেয়ার চেষ্টা করেছেন বক্তব্যের স্বপক্ষে সূত্র হিসেবে। সেক্ষেত্রে একটি ই-মেইলের সাথে ঠিক এই ধরনের বিশ্লষনমূলক একটি লেখার কিছু পার্থক্য থাকবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত এটা কি শুধুই একটি ই-মেইল ছিল, নাকি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ঘটনার একটি নিম্নমানের বিশ্লেষন ছিল, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল দুনিয়াব্যাপী। তাই দু’টি লেখাকে নিয়ে আপনার তুলনামূলক মন্তব্যটা বোধগম্য হল না। কারন এই পোষ্টেই বেশ কিছু রেফারেন্স দেয়া হয়েছে যা ই-মেইলটিতে একেবারেই নেই।

    দেখলাম, আপনি এই পোষ্টের লেখকের একটিমাত্র লাইন নিয়ে বেশ চিন্তিত। যদিও আমি স্বীকার করি যে এই লাইনটাকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে অনেকেই ভুল মেসেজ পাবেন। কিন্ত লেখকের এই পোষ্টটি একটি ধারাবাহিক সিরিজ যা এখনো চলমান। ঘটনার নানা ডাইমেনশন তিনি নিজের মত অনুযায়ী ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন এবং অনেকেই তা মনোঃসংযোগ করে পড়ছেন। ফলে আপনার মন্তব্য লেখকের সামগ্রিক বিশ্লেষনের আলোকে করা হলে আমরা উপকৃত হতাম। কারন ই-মেইলটির অন্ততঃ দশটা প্যারাগ্রাফ ধরে ধরে লেখক সমালোচনা করেছেন। অপরদিকে আপনি কিন্ত খুঁজে পেয়েছেন কেবল একটি লাইন।

    যা হোক, মনে হয়েছে, আপনার পুরো মন্তব্যের ফোকাসটা ছিল এই যে, তোমরা দেখ, লেখক আর্মিকে আন্ডারমাইন করে এই লিখাটা লিখেছেন, এই কথাটা বেশ কৌশলে আপনিও ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। আমার মনে হয় নিজের নাম ধাম ব্যবহার করে কেউ এ কাজ করতে চাইবেন না যেক্ষেত্রে বেনামে লিখার সুযোগ রয়ে গেছে। ফলে আপনার এই যুক্তিটা কি খোঁড়া নয়? আপনার ভাষায় JMB and the other Islamic militant দের সেই “shrewd technique” এর আশ্রয় আপনি কি নেননি? তা না হলে ধরে ধরে আপনি পোষ্ট লেখকের যুক্তি খন্ডন করতে পারতেন বা অসাড়তা প্রমান করতে পারতেন। কিন্ত তার কোন চেষ্টা করেছেন এমনটা মনে হয়নি। বরং পোষ্ট লেখককে ব্র্যান্ড করার চেষ্টা করেছেন যা উদ্বেগের কারন হতে পারে।

    আলোচনা চলতে থাকুক, কারন আমরা বিশ্বাস করি মতামতের এ ধরনের পারস্পরিক আদান প্রদান ও সংঘর্ষ সত্যের কাছাকাছি আমাদের একদিন নিয়ে যাবে।

    আপনাকে ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
    • জিহাদ (৯৯-০৫)

      বুঝলাম । মাছ না হয়ে মাছের কষ্ট বোঝা যাবেনা। কিন্তু এই এনালাইসিসের ঠিক কোন কোন জায়গায় কোন কোন ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে দয়া করে যদি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতেন তাহলে সবার জন্যই উপকার হতো।


      সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

      জবাব দিন
  18. সাজ্জাদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    মনসুর এর কথা শুনে মনে হচ্ছে সে খুবই upset এরকম একটা analysis দেখে। তথাকথিত army officer এর মেইলটা একটা propaganda। আর রায়হান ভাই এর এই লেখাটা কোনো কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা না, এটা হলো ওই army officer মেইল এর জবাব। আর মনসুর এর লেখা দেখে মনে হচ্ছে যে সেও ওই মেইলটার মত একি tone এ কথা বলতে চাচ্ছে। মনসুর এর প্রতি বিশেষ অনুরোধ আমার ওই তথাকথিত মেইল থেকে কয়েকটা লাইন কেন মুছে মেইলটা ফরওয়ার্ড করা হয়েছে? একটু জবাব দেবেন কি?

    আর এখানে ফুয়াদ নাম এ একজন এর কমেন্ট দেখে মনে হল যে সে এই post এর ব্যাপারে আসলে কিছুই না বুঝে আবোল তাবোল বকা শুরু করেছে। ওনার প্রতি অনুরোধ, ঠিকমত এই post টা আবার পড়ুন।

    জবাব দিন
  19. মনসুরের মন্তব্যের যাথার্থ্য অনুধাবনের জন্য রায়হান রশিদের লেখাটা আরো একবার ভালো করে পড়লাম। না, এরকম মনে করার কোনো কারণ খুঁজে পেলাম না যে, সেনাবাহিনীকে খাটো করার কোনো চেষ্টা এই পোস্টে আছে। বরং মনসুরের মন্তব্যের একটা অংশ পড়েই কিঞ্চিৎ চমকে উঠতে হলো, যেখানে বলা হয়েছে:

    The behaviour shown by the ARMY officers to PM was obviously out of discipline and ARMY customs. But you should understand in which condition they have done like this. We need to breach the discipline in some occasions for the betterment of the nation, for the betterment of people of the nation; the way we broke the discipline/rule against Pakistani government in 1971. If we would have considered maintaining discipline/rules in 1971 to be loyal citizens as per your writing, then we would not be a citizen of independent Bangladesh now.

    এখানে (নজরটান বর্তমান মন্তব্যকারীর) শৃঙ্খলাভঙ্গের পরিপ্রেক্ষিত বোঝাতে গিয়ে একই বাক্যের মধ্যে যেভাবে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান গ্রহণের উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে একটু ধন্দে পড়তে হয়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আর এখনকার সরকার কি তেমনি দুই প্রতিপক্ষ? মনসুর নিশ্চয়ই সে-কথা বোঝাতে চায়নি।

    মন্তব্যের উপসংহার টানা হয়েছে এভাবে :

    Remember ARMY is a part of this nation. If we humiliate any part of our country, it is a humiliation to the whole nation. Please do not humiliate the country just to express yourself as a big scholar/intellectual.

    সেনাবাহিনী যে দেশ আর দশেরই অংশ, সে-কথা কে না জানে! সবাই তা মানেও। বরং সেনাবাহিনীর লোকজনই নিজেদের আর-সব নাগরিক থেকে আলাদা ভাবে -- এরকম একটা অভিযোগ সাধারণ্যে উচ্চারিত হতে শুনেছি।

    পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে রায়হান রশিদের তিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়ে তাকে বড়ো পণ্ডিত/বুদ্ধিজীবী মনে হয়নি আমাদের; নিজেকে সেভাবে উপস্থাপনের কোনো চেষ্টাও তার এই লেখাগুলিতে নেই। বিশেষ করে আলোচ্য পোস্টটি লেখার মধ্য দিয়ে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে রায়হানের দায়িত্বশীলতারই পরিচয় পাওয়া গেল। স্বীকার করতেই হবে, মনসুরের কল্পনাপ্রতিভা আছে।

    সে যাই হোক, মন্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। ব্লগ তো দ্বিধাহীন মতপ্রকাশেরই জায়গা। তার মন্তব্যের উত্তরে রায়হানের বক্তব্য আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।

    জবাব দিন
  20. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    @মনসুর ভাই,
    zeyt সম্ভবত কোন এক্স ক্যাডেট নন।এখানে শুধু এক্স ক্যাডেটরা লিখলেও বাইরের সবাই মন্তব্য করতে পারেন।আমি বাইরের সম্মানিত ব্লগারদের সাথে কোন পার্থক্য করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি না, কেবল এটুকু বলছি যে তাঁদের তুলনায় সেনাবাহিনীর লোকজনের সাথে আমাদের যোগাযোগটা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি হবার কারণে zeyt এর মত উদ্ভট মন্তব্য করার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।আর ওই টাইপ এক দুই পিস সব জায়গাতেই থাকে এটা নিয়ে ভুল ভাবার অবকাশ নেই-দেশের মানুষ জানে যে এটা যড়যন্ত্র,বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়।

    ভাল থাকবেন ভাইয়া।

    জবাব দিন
  21. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কেউ যদি বলতেন, ভাই আমি নিরপেক্ষ তাহলে, তাকে লোকে সন্দেহের চোখে দেখতো। জাতীয় জীবনে এমন কিছু সংকটকাল আসে মাঝে মাঝে যেগুলিতে নিরপেক্ষ থাকার কথা বলা মানে, সুবিধাবাদের চর্চা করা।
    আমার মত,

    ১) প্রধানমন্ত্রীর শক্তি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল , কারন সিদ্ধান্তটি ছিলো আওয়ামী রাজনৈতিক। আওয়ামী নেতারা হিরো হতে পেয়েছিলেন। কারন, এই রুপ জাতীয় সংকটে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে অতি দ্রুত সর্বদলীয় আলোচনা করা যেতো সেটা প্রধানমন্ত্রী করেন নি। উনি সোজা কথায় ভুল করেছেন এবং ব্যথতার জন্য পদ্যত্যাগ করা উচিত ছিলো।

    (২) সাধারণ ক্ষমা হত্যাকারীদের সাহসী করেছে এবং এর সুযোগ নিয়ে তারা আরও বেশী হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে চ
    (৩) ঘটনার মোকাবেলায় নিসন্দেহে অত্যাধিক সময় নেয়া হয়েছে
    (৪) সেনাবাহিনীর পিলখানায় ঢোকার জন্য সরকারের অনুমতির দরকার ছিল
    (৫) সরকার নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে কিনা সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ তবে সরকার ঘটনার মূল অপরাধীদের পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে

    জবাব দিন
    • মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

      এই মাহমুদ কে? ~x( 😮 😮 😮

      ভাই,

      কমেণ্ট লিখার সময় কলেজে অবস্থানের সময়টা দয়া করে উল্লেখ করবেন।

      আমি তো এই বিতর্ক দেইখা পুরা "টাসকি" খাইছি।

      আপ্নে যে-ই হোন, আসল পরিচয়টা দিয়েন......


      There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

      জবাব দিন
  22. @মাহমুদ,
    প্রধানমন্ত্রীর শক্তি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল কিনা সেই প্রশ্ন আমাদের বহুকাল তাড়িয়ে বেড়াবে। তবে আপনার ভাষায় বিদ্রোহ দমনের পন্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নে আমি আপনার সাথে একমত নই। সন্দেহাতিত ভাবে বলা যায় আমরা যে মাপের সাফল্য আশা করেছিলাম তা পুরোপুরি পাইনি তবে আমাদের মনে রাখতে হবে আলোচনার ভিত্তিত

    জবাব দিন
  23. ইন্টেলিজেন্স-কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স|ফোরামে আর্মি অফিসারদের ডিবেটে খুব মজা পাচ্ছি| সবাই আসল ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে আসল জেনারেল না নকল জেনারেল, তার বানাল ভুল না শুদ্ব, সে ভাল না মন্দ এসব নিয়ে কথার তুবড়ি ছুটাচ্ছে| ঠিক একই কাজ করেছে অথর্ব ডি.জি.এফ.আই ও এন.এস.আই'র অফিসাররা, নয়তো আজ এতজন অফিসার এভাবে প্রান হারাতো না|
    নিজেদের কলিগদের প্রান বাচাতে যারা ৩৪ ঘন্টায় ৪ মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে নাই তারা যখন ইন্টেলিজেন্স-কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ডিবেট করে তখন ছেলে বেলায় পড়া একটি কবিতার শেষ লাইনটি মনে পড়ে-বাবু তোমার জীবন ষোল আনাই মিছে|
    নোট: আমি নিজে আর্মি অফিসার বা ক্যাডেট নই|

    জবাব দিন
    • তৌফিক (৯৬-০২)
      নিজেদের কলিগদের প্রান বাচাতে যারা ৩৪ ঘন্টায় ৪ মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে নাই

      একজন সোলজার সবসময় অর্ডার মানবে। বাংলাদেশ আর্মি ঠিক এই কাজটাই করেছিল। আপনি এই ব্লগে একটু ঘুরাঘুরি করলেই বুঝতে পারবেন। বন্ধু আর কলিগদের জন্য কতটা দূর যাওয়া যায় তা রেজিমেন্টাল জীবনের অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝা যায় না। আপনার কথা পড়েও একটা কথা মনে আসছে- চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। এখন যেমন আপনার বুদ্ধি বেড়ে গিয়ে আপনার মনে হচ্ছে ৩৪ ঘন্টার চেয়ে কম সময়ে ৪ মাইল পথ পাড়ি দিলেই এতোগুলো প্রাণহানি হতো না।

      একটু মন দিয়ে পোস্টটা পড়ুন, তাহলেই বুঝবেন এই পোস্টে কি করা উচিৎ ছিল আর কি করা হয়েছে- এই নিয়ে কচলাকচলি নাই। যা আছে, তা শুধুই কারণ অনুসন্ধান এবং ঘটনা পরবর্তী বিষয়সমূহের বিশ্লেষণ।

      আপনার আমার ভাইবোনেরাই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আর্মি ধোয়া তুলসী পাতা- এই দাবী আমি করছি না। শুধু বলতে চাই, আপনার আমার চেয়ে উনারা দেশসেবা কম করেন না, আমার ব্যক্তিগত মতামতে বেশিই করেন। একটা উদাহরণ দেই, আমার বন্ধুবান্ধব যারা আর্মিতে আছে আর যারা বাইরে কাজ করছে, বেতন কিন্তু বাইরে কাজ করারাই বেশি পায়। আর্মির লোকজনের কাজের সময়ের ঠিক নাই, তাবুঁতে থেকে দেশের ভোটার লিস্ট, ভিজিএফ কার্ডের লিস্ট করতে হয়। আমি এও বলছি না, বাইরে যারা কাজ করে তাদের কাজ অগুরুত্বপূর্ন। শুধু একটা কথাই বলতে চাই, উনাদের কাজের মূল্যায়ন করুন। ধন্যবাদ না দিতে পারেন, কটাক্ষ করবেন না দয়া করে।

      জবাব দিন
  24. @মাহমুদ,
    প্রধানমন্ত্রীর শক্তি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল কিনা সেই প্রশ্ন আমাদের বহুকাল তাড়িয়ে বেড়াবে। তবে আপনার ভাষায় বিদ্রোহ দমনের পন্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নে আমি আপনার সাথে একমত নই। সন্দেহাতিত ভাবে বলা যায় আমরা যে মাপের সাফল্য আশা করেছিলাম তা পুরোপুরি পাইনি তবে আমাদের মনে রাখতে হবে আলোচনার ভিত্তিতে এত বড় মাপের একটি জিম্মি পরিস্থিতির অবসানের জন্য ৩০/৩৫ ঘন্টা কিন্তু খুব বেশি সময় নয়। বিশ্বের নানা কোনে উদ্ভুত জিম্মি পরিস্থিতির আলোকে কথাটি বললাম(দুক্ষিত এই মুহুর্তে হাতের কাছে কোন reff নেই তবে পেলে জানাব)। তাছাড়া আমাদের মনে রাখতে হবে যে এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা, পূর্ব পরিকল্পনা বা ট্রেইনিং এই সরকারের ছিলনা। পত্রপত্রিকায় যতটুকু দেখেছি তাতেও ঘটনাস্থলে সাধারন ফোর্স বাদে কোন স্পেশাল এন্টি টেরোরিজম ফোর্স এর বা (সুনিদৃষ্ট পরিকল্পনা সহ)কোন কমান্ডো বাহিনীর উপস্থিতির উল্লেখ নেই। নিম্নবর্ণীত ঘটনাগুলি তাই পুরো জাতীর এক বেসামাল(off gaurd) অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।

    ১। সেনাকুঞ্জ থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডিং থেকে জেনেছি প্রাথমিক অবস্থায় সকল বাহিনী প্রধানদের পরামর্শ সত্যেও প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র ভয় দেখাবার খাতিরে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার মোতায়েনের মত (আমার দৃষ্টিতে) একটি অকার্যকর পদক্ষেপের কথা ভেবেছেন। এসব ঘটনা থেকে আমাদের সরকার এমনকি এর সামরিক উপদেষ্টা মন্ডলির এরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিশেহারা ভাবই প্রকাশ পায়। তবে একই সাথে তাদের তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নেয়ার সদিচ্ছাও সুস্পষ্ট হয়।

    ২। সেনাকুঞ্জের রেকর্ডিং থেকে আরো জেনেছি কোন পরিকল্পিত সেনা অভিযান ছাড়াই (সম্ভবত) প্রধান ফোটকের খুব কাছাকাছি অবস্থান নেয়ার কারনে দুই জন সেনাসদস্য আহত হন এবং একজন মাথায় বুলেটবিদ্ধ হয়ে প্রাণ দেন।

    ৩। যতদূর জানি সেনাবাহিনী ও RAB এর উপর পিলখানা ঘেরাও করে রাখার দ্বায়িত্ব থাকা সত্যেও ৫ নম্বর গেট দুদিন ধরেই সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় ছিল।সেনাবাহিনীর সকল সাজোয়া বহর রাইফেল স্কয়ার আর নিলক্ষেতেই মোতায়েন ছিল। ৫ নম্বর গেট সংলগ্ন সরু রাস্তায় কোন বাহিনীরই চোখ ছিল না যদিও এই গেটটি দরবার হল থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে। সামরিক অভিযানের এই বিশাল ফাকটি ইচ্ছাকৃত বা সরকারের আদেশক্রমে কিনা তা আশা করি তদন্তে বেরিয়ে পড়বে তবে যদি ধরে নেই এটি ইচ্ছাকৃত নয় তবে আবারো সামরিক অভিযানে সমন্বয়হীনতা আর পরিকল্পনাহীনতারই আভাস পাই।

    তাই সার্বিক বিচারে আমার বিশ্বাস রাজনৈতিক সমাধানের মাধমে আমরা একটি বড় রকমের রক্তগঙ্গা এড়াতে পেরেছি।

    @মনসুর
    আপনি লিখেছেন

    “You may tell that if ARMY would have attacked then many innocent BDR would have lost their life’s. But to me no body inside PILKHANA was innocent. Only few (max 50, as per the statements of rescued officers in media) started the conspiracy. Rest around 9000 BDR just observed and later many of them joined the conspirators. In a force if you support a mutiny even, you are at fault. So those who were innocent they did not save others and try to stop the mutiny. So they are also defaulter.”

    ঠিক এই কারনেই শক্তি প্রয়োগ না করার প্রধানমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। আজ এই হৃদয় বিদারক ঘটনা আমাদের দেশের দুটি বাহিনীকে মুখোমুখি করেছে ঠিকই তবে পিলখানায় আটকা পড়া অফিসারগ্ণ যেমনি আমাদের দেশের অমুল্য সম্পদ তেমনি এই ৯০০০ (কিছু পত্রিকার রিপোর্টে ৬০০০) সিমান্ত রক্ষিও আমাদের দেশেরই সন্তান। তাই এক বাক্যে তাদের সবার মৃত্যুদন্ড ঘোষনা আমাদের কারোই কাম্য হত না। এমনকি সামরিক বাহিনীর চাপের মুখেও না। শান্তিপূর্ণ মিমাংশার বদলে প্রধানমন্ত্রী যদি সেদিন তড়িঘড়ি কোন সিদ্ধান্ত নিতেন তবে আজ তিনি সেনাকুঞ্জে উত্তেজিত অফিসারদের পরিবর্তে হয়তো রাজপথে উত্তেজিত জনতার মুখোমুখি হতেন। জনগন অবশ্যই প্রকৃত অপরাধিদের এবং ইন্ধন দাতাদের বিচার চায় তবে বাহিনীর আইনে যাই থাকুক শুধুমাত্র বিদ্রোহের অপরাধে এক সাথে ৮৯৫০ (আপ্নারই ভাষায় ৯০০০-৫০) সন্তান হত্যা করাটা সমিচিন হত কি?

    ২৫শে ফেব্রুয়ারির পর থেকে আমাদের সবার দিনগুলি এক উৎকন্ঠার মধ্যে কাটছে। সীমান্ত রক্ষিরা অস্ত্র সমর্পনের পরেও সেই উৎকন্ঠা কিছুমাত্র কমেনি বরং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উৎকন্ঠা অতি কষ্টে অর্জিত আমাদের এই গণতন্ত্র হারাবার ভয় থেকে। সেই ভয় আরো বাড়ে যখন আমরা সেনাবাহিনীর মধ্যে এরুপ অযৌক্তিক উষ্কানিমূলক ই-মেইল সমর্থনের প্রবনতা লক্ষ্য করি।এমনিতেই (কোন অজ্ঞাত কারণে) সেনাবাহিনীর এই আগুনে ঘি ঢালার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উষ্কানির অভাব নেই। জামাতের কিছু নেতার ২৫/২৬ তারিখে শান্তিপূর্ণ মিমাংসার সমর্থনে বিবৃতি পেশ করা সত্যেও দুদিন পর ১৮০ ডিগ্রি মোড় নেয়া তারি প্রমাণ। তার উপর এই ভয়টি রীতিমত আতঙ্কের আকার ধারণ করে যখন শুনি আমাদেরই সেনা অফিসারেরা সকল code of decipline ভঙ্গ করে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অসংযত আচরন করেন এবং তা জানানোর জন্য ইন্টারনেটে এসব রেকর্ডিং ছেড়ে দেন। আতঙ্কিত হই সেই রেকর্ডিংএ দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ কোন সেনা কর্মকর্তার কথায় যখন প্রতিশোধের সুর শুনতে পাই।

    জনগন সব সময়ই আশা করে জাতীর সবচেয়ে কঠিন-ক্রান্তিলগ্নেও আমাদের সেনাবাহিনীর চিত্ত থাকবে পর্বতের মত অটল। তাই তাদেরই এভাবে সকল নিয়ম অগ্রাহ্য করে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়তে দেখলে সমগ্র জাতীর আত্মবিশ্বাসেই যেন কিছুটা ভাটা পড়ে।

    জবাব দিন
  25. "একজন সোলজার সবসময় অর্ডার মানবে। বাংলাদেশ আর্মি ঠিক এই কাজটাই করেছিল"
    ------
    ১০০ শ'র ও বেশি অফিসার ও তাদের পরিবারের প্রান বাচানোর জন্য "অর্ডার" পাওয়া গেল না..?

    "চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। এখন যেমন আপনার বুদ্ধি বেড়ে গিয়ে আপনার মনে হচ্ছে ৩৪ ঘন্টার চেয়ে কম সময়ে ৪ মাইল পথ পাড়ি দিলেই এতোগুলো প্রাণহানি হতো না "
    -------
    আমার মত আনেকেরই বিশ্বাস, সেনা প্রধানের দেয়া ২ ঘন্টার মধ্যেও অপারেশনে গেলে এত
    প্রানহানি, মানহানি হত না, বেচে আসা আফিসাররা বলেছেন রাতের আধারে টর্চ দিয়ে ড্রেন,বাথ রুম, আলমারীর পিছনে লুকিয়ে থাকা আফিসারদের খুজে খুজে হত্যা করা হয়েছে, নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে রাতে| লাশ গুলোকে গণকবর আর ড্রেনে ফেলেছে সময় নিয়ে| জীবিত না হোক লাশ উদ্বার করার জন্য হলেও অপারেশনে যাওয়া দরকার ছিল| একজন জীবিত অফিসারের চেয়ে তার লাশের মর্যাদা কম কিসে|সেনা বাহিনী কলিগদের সেই মর্যাদা রক্খায় ব্যার্থ হয়েছে|

    "একটা উদাহরণ দেই, আমার বন্ধুবান্ধব যারা আর্মিতে আছে আর যারা বাইরে কাজ করছে, বেতন কিন্তু বাইরে কাজ করারাই বেশি পায়। আর্মির লোকজনের কাজের সময়ের ঠিক নাই, তাবুঁতে থেকে দেশের ভোটার লিস্ট, ভিজিএফ কার্ডের লিস্ট করতে হয়"

    ------ তুলনামুলক কম বেতন, ভোটার লিস্ট, ভিজিএফ কার্ড, ডাল-ভাত জাতীয় সস্তা দেশ প্রেমের উদাহরন একজন এক্স-ক্যাডেট দিবে ভেবে অবাক হই | খুশি হই মুক্তিযুদ্ব, পার্বত্য অন্চল, সীমান্তে বি.এস.এফ কে সমুচিত জবাবের ইতিহাস জেনে| স্যালুট...

    "একটা কথাই বলতে চাই, উনাদের কাজের মূল্যায়ন করুন। ধন্যবাদ না দিতে পারেন, কটাক্ষ করবেন না দয়া করে "

    -----হাজার মাইল দুরে থেকে টি.ভি পর্দায় বেচে আসা অফিসার ও নিহত অফিসারদের শেষ সময়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে বিভিন্ন কথোপকথন শুনে এই আমি অনেকবার কেদেছি, যদিও এরা কেউ আমার কিছু না| যেই আমি কোনদিন একটি ইদুর মারার সাহস করিনি, সেই আমিই সেদিন মনে মনে ভেবেছি ওদেরকে বাচাতে যুদ্ব করব|শুধুই ভাবনা.....চরম হতাশা থেকেই বলেছিলাম ওদের কলিগরা করছেটা কী?অসহায় অফিসাররা মরনের আগে যেনে যেতে পারলো না তার প্রিয় কলিগরা তাদেরকে এভাবে মরতে দিবে না, যুদ্ব করছে তাদের বাচানোর জন্য...সবাই মরে, মরতে হবে, সেই মরন বড় সুখের হয় যখন মনে হয় "some body cares"|কটাক্ষ শুধু তাদেরই জন্য যারা বলছে "যা হবার হয়ে গেছে, অপারেশনে না যাওয়া ভালই হয়েছে"

    জবাব দিন
  26. ইফতেখার (৯৫-০১)
    বেচে আসা আফিসাররা বলেছেন রাতের আধারে টর্চ দিয়ে ড্রেন,বাথ রুম, আলমারীর পিছনে লুকিয়ে থাকা আফিসারদের খুজে খুজে হত্যা করা হয়েছে, নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে রাতে| লাশ গুলোকে গণকবর আর ড্রেনে ফেলেছে সময় নিয়ে|

    কথাটা কি সত্যি ? যদি তাই হয়ে থাকে, তাইলে তো বিরাট একটা প্রশ্ন রয়ে গেলো।

    জবাব দিন
    • কথাটা কি সত্যি ? যদি তাই হয়ে থাকে, তাইলে তো বিরাট একটা প্রশ্ন রয়ে গেলো।

      -------
      সত্য বলেই মানব কারন মরনকে জয় করে বেচে আসা মেজর মুনিরের ভাষ্য ছিল|
      পরদিন পিলখনা গেটে ডুকরে ডুকরে কেদে উঠে একজন লে:কর্নেলের ভাই বলছিল ঘটনার দিন বিকাল ৪ টায় এস.এম.এস করে বলেছিল আমি একটি ম্যানহোলে লুকিয়ে আছি, আমাকে বাচা| এই ছিল তার শেষ এস.এম.এস |

      জবাব দিন
  27. @ মনসুর, মাহমুদ, এম.এইচ.কবির, মাহরাব, মেহদি হাসান রাহি, বুলবুল, ফুয়াদ

    আপনাদের মন্তব্য থেকে এটুকু স্পষ্ট যে আপনারা একটি রাজনৈতিক সমাধানের বিপরীতে একটি সামরিক সমাধানের পক্ষপাতি ছিলেন বা আছেন। আপনাদের কয়েকজনের লেখা পড়তে পড়তে আমার মনে একটি প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। আশা করি তার সুস্পষ্ট উত্তর পাবো।

    পিলখানা পরিস্থিতি নিরসনে রাজনৈতিক সমাধানের বিপরীতে একটি সেনা অভিযানের সাফল্যের (সফলতার মাপকাঠি?) সম্ভাবনা কতটুকু ছিল সেটি বিতর্কের বিষয়। যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই যে অন্তত ৬০‌-৭০ ভাগ সম্ভাবনাও ছিল সেনা অভিযান সফল হওয়ার, তার মানে দাঁড়ায় এই যে অন্তত ৩০-৪০ ভাগ সম্ভাবনা ছিল সেনা অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক প্রাণহানি হওয়ার। সে ক্ষেত্রে প্রাণ হারাতেন:

    ১) জিম্মি নারী এবং পুরুষেরা। একথা নিশ্চয়ই ধরেই নেওয়া যায় যে অস্ত্রে সজ্জিত বিডিআর জওয়ানেরা নিশ্চয়ই তাদের শেষ শক্তিটুকু দিয়ে চেষ্টা করতেন নিজেদের রক্ষা করতে এবং একমাত্র অর্বাচীন ছাড়া যে কেউই মানবে যে সেরকম পরিস্থিতিতে তারা শেষ পর্যন্ত ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতো এই সব জিম্মি নারী পুরুষ শিশুদের। যে নিষ্ঠুরতার সাথে তারা সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে, তাতে শত ভাগ নিশ্চয়তার সাথেই বলা যায় যে জিম্মি নারী পুরুষেরা সেখান থেকে জীবিত বেরিয়ে আসতে পারতো না।

    ২) প্রায় নিশ্চিত ভাবেই প্রাণ হারাতেন অন্তত হাজার খানেক বিডিআর জওয়ান, যাদের অনেকেরই এই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা প্রশ্ন সাপেক্ষ। এমনকি তাদের কয়েকজন সেনা অফিসারদের এবং তাদের পরিবারদের সাধ্যমত বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলেও আমরা জানি।

    ৩) প্রাণ হারাতেন পিলখানার আশে পাশের সাধারণ মানুষ। ঠিক কত জন, সেটা সম্ভবত কল্পনারও বাইরে। সেই সঙ্গে আশেপাশের মানুষদের (যারা বেশীর ভাগই নিম্ন বিত্তের) ঘরবাড়ীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো সে কথাও বোধ হয় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

    আমার বিনীত প্রশ্ন হল - আপনাদের সেনা অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেয়ার অর্থ কি এই দাঁড়াচ্ছে না যে উপরে উল্লেখিত এই তিন শ্রেনীর মানুষদের জীবন আপনাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়? এই জীবনগুলোর ব্যাপারে কোন রকম ঝুঁকি (সেটার সম্ভাবনা ৩০ ভাগ হলেও) নেওয়ার অধিকার কি আপনাদের আছে? একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যতটুকু বুঝি, সেনা বাহিনীর দায়িত্ব দুর্বলকে রক্ষা করা, দেশের মানুষকে রক্ষা করা। সেক্ষেত্রে আপনাদের সহযোদ্ধাদের জীবনের মূল্য কি দেশের আর জনগণের চাইতে বেশী?

    এক্ষেত্রে একটি কথা না বলে পারছিনা। আমরা সাধারণ জনগণ কিন্তু আজকে সেনা বাহিনীর এই দুর্দিনে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। দরিদ্র এই দেশের সাধারণ মানুষগুলো, যাদের অনেকেই হয়তো অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটান, সেই সব খেটে খাওয়া মানুষেরাও তাদের শীর্ণ হাতটি প্রসারিত করেছে এই সব স্বজন হারানো সেনা সদস্যের পরিবারের প্রতি গভীর ভালবাসায়। তাদের এই ভালবাসা এবং মমতায় কোন ফাঁক নেই। তারা একবারের জন্যও এই প্রশ্নটি করেনি যে - কেন তাদের সন্তানদেরকে স্কুলে যাওয়ার পরিবর্তে দু'বেলা লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হয় দু'মুঠো চালের জন্য। বিডিআর শব্দটির সাথে এদের বেশীর ভাগেরই পরিচয় সম্ভবত এই সূত্রে যে তাদের চালানো দোকান থেকে অল্প মূল্যে তারা চাল সংগ্রহ করতো এক সময়। আমরা এই তুলনা একবারও করিনা যে আমাদের কারো মৃত্যু হলে রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে সমাহিত করা হবে কিনা, সরকার আমাদের বাড়ী দেবে কিনা, আজীবন ক্ষতিপূরণ দেবে কিনা, আমাদের পুত্র কন্যাদের পড়াশোনার খরচও বহন করবে কিনা। আমরা একথা মনে রাখি না যে, আমাদের সন্তানদের মৃত্যুর তদন্ত হয়না, বিচার হয়না, এমনকি পত্রিকাতেও স্থান পায়না আমাদের খবর। আমরা আমাদের সকল অপ্রাপ্তি আর পার্থক্যের চিত্রটি ভুলে গিয়ে আমাদের সমবেদনার হাতটি প্রসারিত করি। সেখানে ইউনিফর্ম আর ক্যান্টনমেন্টের উঁচু দেয়ালগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আমরা বিশ্বাস করি, সেনাবাহিনীতে যারা কাজ করেন, তারা আমাদেরই ভাই, আমাদেরই সন্তান। আজকে সেনা পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের খবর শুনলে তাই আমাদের হৃদয়েও রক্তক্ষরণ হয়।

    আমার প্রশ্নটি খুব সহজ। আশা করি তার উত্তর পাবো। আমরা আপনাদের নিজেদের অংশ বলে মনে করি। মনের কোন কোণায় এই ভাবনাটুকুর স্থান দেইনা যে আমাদের জীবনের মূল্য আপনাদের স্ত্রী পুত্র কন্যাদের জীবনের চেয়ে কিছুমাত্র বেশী মূল্যবান। আপনারাও কি আমাদের জীবনকে সমান মূল্যবান মনে করেন? মূল্যবান মনে করলে আমাদের জীবনের উপর ঝুঁকি নেওয়ার কথা এত সহজেই বলে ফেলেন কিভাবে?

    আপনাদের হাতে বিশ্বাস করে আমাদের জীবন রক্ষার ভার আমরা দিয়েছি। তাই উত্তরটি জানতে ইচ্ছে করে।

    জবাব দিন
    • @অস্মিতা

      আপনার লেখায় মানুষের জন্য প্রচুর মমতা, নাইটি;গেল, মাদার তেরেসাদের কথা মনে পড়ে যায়|
      পিলখনায় জিম্মি,হত্যা,কমান্ডো,কালাসনিকভ,এএমসি, ট্যা;ক এসব যুদ্ব যুদ্ব ঘটনার পাশেই আপনার মতো মমতাময়ী কারো উপস্হিতি, আহা ভাবতেই ভাল লাগে|মরতে মন চায় না| আপনার প্রশ্নের উওর আছে তবে সেগুলো কখনো আপনার মনে ধরবে না, চলুন চেষ্টা করি..

      ১। রোগী মারা যেতে পারে,তার আপনজনরা পথে বসবে,পড়শীরা কষ্ট পাবে এই ভয়ে কী জীবন
      রক্খাকারী সার্জারী থেকে বিরত থাকা উচিত? আপনার মতে বিপদজনক সার্জারী নয়
      কবিরাজ ডেকে ঝার-ফুকেইতো হবে| হয় অস্মিতা..???

      ২| ৩০ লাখ সাধারন মানুষের জীবন ও হাজারো নারীর ইজ্জত যেতে পারে জেনেও অনেকে যুদ্ব
      করে| করে না অস্মিতা..??? করে..|রাজনৈতিক সমাধানের কথা কেউ ভাবেনি|ভাবলে
      আমরা স্বাধীন হতাম না|অনেক জাতি স্বাধীন হতে পারতো না|
      সে দিন আমরা কোন জুট মিল বা গার্মেন্ট শ্রমিকের দাবী নয়, একটি বর্বর হামলার মুখে
      পরেছিলাম|পল্টন ময়দানে ভাষন দানকারী পলিটিশিয়ান নয়, দুর্দান্ত সাহসী সেনাপতির কাজ
      ছিল এটা|

      অস্মিতা, আমার কোন যুক্তিই আপনার মনে ধরবে না|কষ্ট আমার.. বি.এম.এ'র পাহার কেটে যেখানে লেখা আছে "চির উন্নত মম শির" সেখানে আপনার প্রিয় সাদা গোলাপ রোপন করার সাথে আমি একমত নই|
      ভাল থাকুন...কথা হবে..

      জবাব দিন
  28. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    রায়হান : তুমি বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিলের ট্রানজিট এবং ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে লেখাটার মূল কপি এর আগে দিয়েছিলে। লেখাটা গত ৭ মার্চ ২০০৯ জামাতের পত্রিকা নয়াদিগন্ত অনুবাদ করে ছেপেছিল। গত কয়েকদিন ওদের আর্কাইভে ওইদিনের পত্রিকাটি ছিল না। আজ পেয়েছি। এখানে আগ্রহী পাঠকদের জন্য লিংক দিলাম।

    ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে উপস্থাপিত তার লেখাটি :

    ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট : বাংলাদেশে এর প্রভাব


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  29. @ এম এইচ কবির,

    নিচের উদ্ধৃতিগুলোতে আপনার মন্তব্য তুলে দেয়া হল (বিপরীতে আমার বক্তব্য):

    আপনার লেখায় মানুষের জন্য প্রচুর মমতা, নাইটি;গেল, মাদার তেরেসাদের কথা মনে পড়ে যায়|

    মাদার তেরেসা, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল! মন ভাল করে দিলেন। যাই হোক, দুঃখজনক হলেও সত্যি, এর বিপরীতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে তুলনীয় একটি উদাহরণই খুঁজে পেলাম। সারভান্তের ডন কিহোতে (Don Quixote) এর কথাই কেবল মনে পড়ছে। জীর্ণশীর্ণ একটি ঘোড়ার পিঠে চড়ে যিনি ভেড়ার পাল দেখলেই ছুটে যেতেন রণ হুন্কার দিয়ে। যাই হোক এই বেলা পরিষ্কার করে নিই যে, কিহোতের উদাহরণটি আপনাদের মত কয়েকজনের জন্যই ব্যবহার করা হল, পুরো সেনাবাহিনীর (এই মর্মন্তুদ ঘটনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যারা পনের কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে ধৈর্য্যের সাথে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে গেছে এবং যাচ্ছে) উদ্দেশ্যে নয়।

    রোগী মারা যেতে পারে,তার আপনজনরা পথে বসবে,পড়শীরা কষ্ট পাবে এই ভয়ে কী জীবন রক্খাকারী সার্জারী থেকে বিরত থাকা উচিত? আপনার মতে বিপদজনক সার্জারী নয় কবিরাজ ডেকে ঝার-ফুকেইতো হবে| হয় অস্মিতা..???

    রোগীটি কে সে বিষয়ে আপনার আদৌ কোন সুষ্পষ্ট ধারণা আছে কিনা, হুটহাট সেনা অভিযানকে "সার্জারী" বলা যায় কিনা, তাতে "আদৌ কারো" জীবন রক্ষা পেত কিনা সেটি নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন আছে, কিন্তু সেগুলো আপনি নিজেকে করেছেন বলে মনে হচ্ছে না। এখানে ক্রিটিক্যাল "রোগীটি" কি কয়েকজন সেনা অফিসার? আটকে পড়া জিম্মি নারী পুরুষ, আশেপাশের সাধারণ মানুষ? নাকি বৃহত্তর গণতন্ত্র এবং দেশের ভবিষ্যত? রাজনৈতিক সমাধানকে ঝাড়ফুঁক আপনি ভাবতেই পারেন। তাতে গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি আপনার মনভাবই আরেকবার স্পষ্ট হয়। ভাবতে অবাক লাগে পনের কোটি মানুষের এই দেশে এইভাবে জনবিচ্ছিন্ন থেকে দেয়াল ঘেরা একটা জায়গায় বসে মনের মধ্যে 'যুদ্ধ যুদ্ধ' কয়দিন খেলবেন!!
    তবে একটি কথা বোধ হয় মনে করিয়ে দিলে ভাল হয়। এই ঝাড়ফুঁক দিয়েই বিশ্বব্যাপী বহু সামরিক উর্দিধারী বীর পুরুষদের ভাগ্য ইতিপূর্বে জনগণকর্তৃক নির্ধারিত হয়েছে। গত শতাব্দীর পৃথিবীর ইতিহাসটা একটু দেখে নেবেন। কোন সভ্য দেশেই ডন কিহোতের ছেলেমানুষী 'রণ হুন্কার মানসিকতা' দিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর (গণতন্ত্রের) ভাগ্য নির্ধারিত হয়না। সশস্ত্র সংগ্রাম হলেও তা হয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে, বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনকে মাথায় রেখেই।

    তবে আপনার মনকষ্টের জায়গাটি বোধ হয় কিছুটা বুঝতে পারি। যুদ্ধ না হলে "বীরত্ব" দেখাবার সুযোগ কই? বীরত্বের প্রকৃত সংজ্ঞা আপনার কাছ থেকে জানতে ইচ্ছে করছে। এটা আমরা বুঝতে পারি যে সহকর্মী/বন্ধুর সাহায্যের ডাক পেলে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে, অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে দু'রাউন্ড গুলি ছোড়াছুড়ি করতে পারলে মনের মধ্যে এক ধরণের সান্ত্বনা হয়। নিজের কাছে অন্তত এই স্বস্তিটুকু পাওয়া যায় যে 'যা হোক কিছুটা অন্তত করার চেষ্টা করেছি'। কিন্তু আপনাদের সেই সান্ত্বনাটুকু দিতে (so that you can feel good about yourself!!) সাধারণ নারী পুরুষের এবং দেশের গণতন্ত্রের ওপর এত বড় ঝুঁকি নিতে হবে সেই 'আবদারটুকু' মানতে পারছিনা।

    ২| ৩০ লাখ সাধারন মানুষের জীবন ও হাজারো নারীর ইজ্জত যেতে পারে জেনেও অনেকে যুদ্ব করে| করে না অস্মিতা..??? করে..|রাজনৈতিক সমাধানের কথা কেউ ভাবেনি|ভাবলে আমরা স্বাধীন হতাম না|অনেক জাতি স্বাধীন হতে পারতো না| সে দিন আমরা কোন জুট মিল বা গার্মেন্ট শ্রমিকের দাবী নয়, একটি বর্বর হামলার মুখে পরেছিলাম|পল্টন ময়দানে ভাষন দানকারী পলিটিশিয়ান নয়, দুর্দান্ত সাহসী সেনাপতির কাজ ছিল এটা|

    তাই? দেশ স্বাধীন হয়েছিলো 'অসম সাহসী কোন সেনাপতির' নেতৃত্বে? নাকি রাজনৈতিক নেতৃত্বে? নিজের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে এ-ই শিখলেন? ১৯৭১ এর সশস্ত্র সংগ্রাম কি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ('৫২, নির্বাচন, বৈঠক, ৭ই মার্চ) আগে হয়েছিল? নাকি পরে? আর সশস্ত্র সেই সংগ্রামও কি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে হয়নি (যা সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের দাবীটিকে বৈধতা দিয়েছিল)? নাকি আপনি এখনো ভেবে বসে আছেন যে কয়েকজন সেনাপতি 'আচানক' আকাশ থেকে পড়ে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছিল? এই জাতীয় ইতিহাস আপনাদের কে পড়ায়?

    বি.এম.এ’র পাহার কেটে যেখানে লেখা আছে “চির উন্নত মম শির” সেখানে আপনার প্রিয় সাদা গোলাপ রোপন করার সাথে আমি একমত নই|

    এক কাজ করুন, সাদা গোলাপের দরকার নেই। বড় সড় একটি ট্যান্ক সাজিয়ে রাখুন। অথবা নিদেন পক্ষে কয়েকটি গাদা বন্দুক রোপন করুন, সেখান থেকে বড় বড় বন্দুকের গাছ হবে। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে বেশ 'ঢিসুম ঢিসুম ঠা ঠা ঠা', 'সোলজার-সোলজার' খেলতে পারবেন। বলা যায়না জর্জ ডব্লিউ এর মত (বম্বার জ্যাকেট পরা) কাউকে হয়তো পেয়ে যেতে পারেন সেই খেলায় (যেমনটি তিনি করেছিলেন ইরাক ক্যাম্পেইনের পর এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে সেজেগুজে হাজির হয়ে)!

    'চির উন্নত মম শির' কথাটির অর্থ আপনার কাছে কি - সেটি জিজ্ঞেস করতেও ভয় হচ্ছে এখন। তবে আমার বিনীত নিবেদন এই যে - রাজনৈতিক প্রজ্ঞাহীন খালি মাথার "শির"কে আপনার মত কয়েকজন "উন্নত" ভেবে নিয়ে প্রবল আত্মতুষ্টির সরোবরে (বন্দুক নিয়ে) ভেসে বেড়াতে পারেন। তবে দেশের সাধারণ মানুষ তাকে কতখানি "উন্নত" ভাববে সে বিষয়ে হলফ করে কিছুই বোধ হয় বলা যায়না। তবে এইটুকু বলতে পারি যে, আপনাদের সেই "উন্নত শির" এর কাছে গণতন্ত্রের এবং দেশের নিরীহ সাধারণ নারী পুরুষের 'শিরচ্ছেদ' হয়ে যাক, সেটা বোধ হয় কারোই কাম্য হবে না।

    ভাল থাকুন। "উন্নত" থাকুন।

    জবাব দিন
    • @অস্মিতা,

      সে দিন আমরা কোন জুট মিল বা গার্মেন্ট শ্রমিকের দাবী নয়, একটি বর্বর হামলার মুখে পরেছিলাম|পল্টন ময়দানে ভাষন দানকারী পলিটিশিয়ান নয়, দুর্দান্ত সাহসী সেনাপতির কাজ ছিল এটা|

      " সে দিন" বলতে আমি পিলখানা ম্যাসাকারের দিনটির কথা বলেছিনাম| আপনি ধরে নিয়েছেন আমি ১৯৭১ এর কথা বলছি|বাক্য গঠনের আসাবধানতার সুযোগ নিয়ে আপনি লিখছেন...

      তাই? দেশ স্বাধীন হয়েছিলো ‘অসম সাহসী কোন সেনাপতির’ নেতৃত্বে? নাকি রাজনৈতিক নেতৃত্বে? নিজের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে এ-ই শিখলেন? ১৯৭১ এর সশস্ত্র সংগ্রাম কি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার (’৫২, নির্বাচন, বৈঠক, ৭ই মার্চ) আগে হয়েছিল? নাকি পরে? আর সশস্ত্র সেই সংগ্রামও কি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীনে হয়নি (যা সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের দাবীটিকে বৈধতা দিয়েছিল)? নাকি আপনি এখনো ভেবে বসে আছেন যে কয়েকজন সেনাপতি ‘আচানক’ আকাশ থেকে পড়ে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছিল? এই জাতীয় ইতিহাস আপনাদের কে পড়ায়?

      দেশ স্বাধীন হয়েছিলো ‘অসম সাহসী কোন সেনাপতির’ নেতৃত্বে? নাকি রাজনৈতিক নেতৃত্বে? নিজের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে এ-ই শিখলেন?

      -----মুক্তি যুদ্বের সর্বাধিনায়কের নাম কি জেনারেল ওসমানী নয়..? এর মধ্যে কী এই পদটিও দলীয় কাউকে দান করে ফেলেছেন? রাজনৈতিক নেতারাতো একলাফে পগাড় পার,পাশের দেশে বসে কোল বালিশে হেলান দিয়ে বি.বি.সি আর স্বাধীন বা;লা বেতারে কখন দেশটা স্বাধীন হবে আর দেশে গিয়ে কোন পদটা তাকে দেওয়া হবে সেই খবর নিতে ব্যাস্ত ছিলেন|আর নিজ দেশের ইতিহাসটা আমি নিজেই খুজে বের করেছি, ভারত/পাকিস্তানের দুতাবাসের পয়সায় যাদের স;সার চলে, সে রকম কারো লেখা ইতিহাসে মন বসে নাই|

      নাকি আপনি এখনো ভেবে বসে আছেন যে কয়েকজন সেনাপতি ‘আচানক’ আকাশ থেকে পড়ে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছিল? এই জাতীয় ইতিহাস আপনাদের কে পড়ায়?

      -----বীর শ্রেষ্ঠরাই কিন্ত আচানক আকাশ থেকে পরার জন্য হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছিল|আপনার প্রিয় রাজনৈতিক নেতারা দেশ ছেড়ে হাজার মাইল দুরে চলে গিয়েছিল|বীর শ্রেষ্ঠদের কতজন আপনার প্রিয় রাজনৈতিক নেতা...??? কতজন সেক্টর কমান্ডার আপনার রাজনৈতিক নেতারা..? ভাগ্য আমার ভাল, আপনার ইতিহাসের গুরুদের ছাএ ছিলাম না|

      ১৯৭১ এর সশস্ত্র সংগ্রাম কি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার (’৫২, নির্বাচন, বৈঠক, ৭ই মার্চ) আগে হয়েছিল? নাকি পরে?

      ---বা;গালী জাতির স্বাধীনতার ইতিহাস বলতে গিয়ে শুরু করেছেন '৫২ থেকে, আপনার ইতিহাসের গুরুদেরকে বলবেন নতুন করে ১৭৫৭ সাল থেকে যেন পাঠদান শুরু করেন| আপনি নিজেকে স্বাধীনতার ইতিহাসের মহাসমুদ্র ভেবেছেন? নেমে দেখলাম-মাএ হাটুজল...!!!

      ভাবতে অবাক লাগে পনের কোটি মানুষের এই দেশে এইভাবে জনবিচ্ছিন্ন থেকে দেয়াল ঘেরা একটা জায়গায় বসে মনের মধ্যে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ কয়দিন খেলবেন!!

      ---আমি জনবিচ্ছিন্ন...!!!!আটলান্টিকের অপর পাড়ে থেকেও দেশ আমার বুকে, স্বপ্নে, মন ও মননে...|চার দেয়াল..? আমার দেয়াল অনেক স্বচ্ছ|আমার আকাশ অনেক বড়| আপনি খুবই জনযুক্ত অস্মিতা...?? কিভাবে...? জানতে ইচ্ছে করে|

      জবাব দিন
      • ফয়েজ (৮৭-৯৩)

        @ আস্মিতা এবং এম, এইচ কবির

        আপনাদের পয়েন্ট গুলো উপভোগ করছি, তবে আমার মনে হচ্ছে আপনারা সেনাবাহিনী আর রাজনৈতিক নেতাদের পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড়া করাতে চাইছেন। এটা কি ঠিক হচ্ছে? এরা তো প্রতিপক্ষ নয়, বরং একটা সার্বভৌম দেশের জন্য একে ওপরের পরিপূরক। আপনাদের কথা সেই যেন "ব্যারাক" আর "নন-ব্যারাক" দ্বন্দ। আমাদের সৌভাগ্য মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দ্বন্দ ছিল না, থাকলে দেশ স্বাধীন হত কিনা কে জানে?

        মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর অবদান কে অস্বীকার করে? কে অস্বীকার করে রাজনৈতিক নেতাদের প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব? কে অস্বীকার করে সাধারন মানুষের মুক্তিযুদ্ধের সামনে থেকে অংশগ্রহনের এবং ত্যাগের ইতিহাস কে? এদের একটি ছাড়াও কি স্বাধীন দেশ হত? এখন কে বেশি আর কে কম, এটা নিয়ে ঝগড়ার কি কারন আছে?

        আমাদের এই এক সমস্যা, একটা সমস্যা নিয়ে কথা শুরু করি, কিন্তু কলহপ্রিয়তা আমাদের অন্য দিকে নিয়ে যায়। আর মুক্তিযুদ্ধ, এটা তো কলহ করার সবচেয়ে পছন্দের একটা টপিক। আর হবে নাই বা কেন, আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন যে এটাই।

        ভাল থাকুন, শুভ ব্লগিং।


        পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

        জবাব দিন
        • আহসান আকাশ (৯৬-০২)
          এরা তো প্রতিপক্ষ নয়, বরং একটা সার্বভৌম দেশের জন্য একে ওপরের পরিপূরক।

          :thumbup: :thumbup: :thumbup:


          আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
          আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

          জবাব দিন
        • @ ফয়েজঃ

          মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর অবদান কে অস্বীকার করে? কে অস্বীকার করে রাজনৈতিক নেতাদের প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব? কে অস্বীকার করে সাধারন মানুষের মুক্তিযুদ্ধের সামনে থেকে অংশগ্রহনের এবং ত্যাগের ইতিহাস কে?

          আপনার VIEW টা ভাল লাগল।

          জবাব দিন
        • আমাদের এই এক সমস্যা, একটা সমস্যা নিয়ে কথা শুরু করি, কিন্তু কলহপ্রিয়তা আমাদের অন্য দিকে নিয়ে যায়।

          দু:খিত| দুজনে ঠেলা-ঠেলি করতে গিয়ে "গোল পোষ্ট টা" সরিয়ে ফেলেছি|জায়গা মত নিয়ে আসবো|একটু ব্যাস্ত আছি|

          জবাব দিন
  30. @ এম.এইচ.কবির

    মুক্তি যুদ্বের সর্বাধিনায়কের নাম কি জেনারেল ওসমানী নয়..? এর মধ্যে কী এই পদটিও দলীয় কাউকে দান করে ফেলেছেন?

    মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, এটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইলেন? জেনারেল ওসমানী কি সে অগ্নিগর্ভ দিনের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং নেতৃত্ব - যা তিলতিল করে দেশের মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল (যার অংশ জনগণ, রাজনীতিবিদ, ছাত্র শ্রমিক সকলে) - তার বাইরে থেকে হঠাত উদয় হওয়া কোন ব্যক্তিত্ব? ১৯৭১ এর পটভূমিতে জেনারেল ওসমানীর দায়িত্বের উৎস কি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার নয়? নাকি এটি জেনারেল ওসমানীর পক্ষ থেকে মুজিবনগর সরকার-বিচ্ছিন্ন কোন স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ? তিনি কি প্রবাসী সরকারের অধীনস্থ ছিলেন না? সেটিই যদি আপনি বোঝানোর চেষ্টা করে থাকেন, তাহলে বিনীতভাবে জানতে চাইবো: ১৯৭১ পূর্ববর্তী সারা বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক গণ জাগরণ (যা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরী করেছে), সেই জাগরণকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জেনারেল ওসমানী ঠিক কোন্ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছিলেন?

    আর স্বাধীন বাংলার প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বকে সম্মান জানালে সেটি "দলাদলি" কেমন করে হয় বলুন তো? নাকি আপনিও সেই গোষ্ঠীরই অংশ যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব বলে প্রচার করে একে ছোট করার চেষ্টা করেন? বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দিনের সেই সব দিনগুলোর নেতৃত্ব কি কেবলই আওয়ামী লীগ নামের একটি দলের? তাঁরা কি আপনার আমার স্বাধীনতার নেতা নন?

    রাজনৈতিক নেতারাতো একলাফে পগাড় পার,পাশের দেশে বসে কোল বালিশে হেলান দিয়ে বি.বি.সি আর স্বাধীন বা;লা বেতারে কখন দেশটা স্বাধীন হবে আর দেশে গিয়ে কোন পদটা তাকে দেওয়া হবে সেই খবর নিতে ব্যাস্ত ছিলেন

    শহীদ তাজউদ্দীন, শহীদ নজরুল ইসলামের মতো মানুষেরা যাঁরা সর্ব অর্থেই দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তারা পাশের দেশে বসে বালিশে হেলান দিয়ে বিবিসি আর স্বাধীন বাংলা বেতার শুনছিলেন? আর দেশটা তাদের যুদ্ধকালীন নেতৃত্ব ছাড়াই আপনা আপনি স্বাধীন হয়ে গেল? বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দিনের মাপের নেতা একটি জাতির বহু বছরের পূন্যের ফল। আজকে জেনারেল ওসমানীর ভূমিকাকে বড় করতে এই মানুষগুলোকে ছোটো করতে চাচ্ছেন! ভাবি, ওসমানী সাহেব নিজে বেঁচে থাকলে না জানি কি বলতেন। হয়তো বলতেন, এই লজ্জা কোথায় রাখি! আর, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দিন বা নজরুল ইসলামদের মত মানুষদের স্বাধীন দেশে পদ লাভের জন্য চিন্তিত হতে হবে কেন‌ যেখানে তাঁদের একজন সারা বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, আরেকজন প্রধানমন্ত্রী, আরেকজন (ভারপ্রাপ্ত) রাষ্ট্রপতি!

    বীর শ্রেষ্ঠরাই কিন্ত আচানক আকাশ থেকে পরার জন্য হাজার মাইল পাড়ি দিয়েছিল|আপনার প্রিয় রাজনৈতিক নেতারা দেশ ছেড়ে হাজার মাইল দুরে চলে গিয়েছিল|বীর শ্রেষ্ঠদের কতজন আপনার প্রিয় রাজনৈতিক নেতা…??? কতজন সেক্টর কমান্ডার আপনার রাজনৈতিক নেতারা..? ভাগ্য আমার ভাল, আপনার ইতিহাসের গুরুদের ছাএ ছিলাম না|

    বহু বছর ধরেই সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি "সামরিকায়িত ইতিহাস" লেখার আয়োজন চলছে। আপনার মন্তব্যটি বোধ হয় তারই ফলাফল। এই বিষয়ে অবিশ্রুতের বিশ্লেষণটি পড়ে দেখতে পারেন।

    বীর শ্রেষ্ঠদের মাঝে রাজনৈতিক নেতা নেই, একথা সত্যি। সাধারণ ছাত্র, কৃষক বা বীরাঙ্গনা নারীদেরও নাম নেই। তাতে কি কোনভাবে প্রমাণিত হয় যে এঁদের বীরত্বও কিছু কম ছিল? আবারও জিজ্ঞাসা করি - 'বীরত্ব' শব্দটির মানে আপনার কাছে কি? আনিসুল হকের 'মা' পড়ুন, নীলিমা ইব্রাহীমের 'আমি বীরাঙ্গনা বলছি' পড়ুন, জাহানারা ইমামের 'একাত্তরের দিনগুলো' পড়ুন। হয়তো বুঝবেন 'বীরত্ব', 'ত্যাগ' এই ধারণাগুলো ইউনিফর্ম এবং ব্যাজধারীদের একক সম্পত্তি নয়।

    আমার মন্তব্যগুলোতে বার বার চেষ্টা করেছি - সেনাবাহিনীকে জনগণ থেকে আলাদা করে দেখাবার, তাদেরকে সাধারণ জনগণ থেকে শ্রেষ্ঠ প্রচার করবার যে সুপরিকল্পিত আয়োজনটি চলে আসছে বহু বছর ধরে এবং সাম্প্রতিক পিলখানা ঘটনায় কয়েকজন অতি উৎসাহী যে শ্রেষ্ঠম্মন্য বিচ্ছিন্নতাকে আরেকটু উসকে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ‌ - সেই প্রক্রিয়াটিকে প্রশ্ন করতে। আমার মন্তব্যের বিপরীতে বার বারই আপনাকে দেখছি এমন একটি কোণা বেছে নিতে যেখানে সাধারণ জনগণ এবং তাদের নেতৃত্বের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাওয়াই একমাত্র খোলা পথ। আপনি কোনভাবেই এদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারছেন না কেন? আপনার উপরের কয়েকটি মন্তব্যের কোথাও দেশের বেসামরিক নাগরিক, তাদের গণতান্ত্রিক চেতনার সপক্ষে একটি শব্দও নেই কেন? সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার প্রতি কোন ধরণের আমল কিংবা তাদের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রক্রিয়াটির প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা বা শ্রদ্ধা প্রকাশ পায় না কেন? আপনার মন্তব্যে সেনা বাহিনী এবং জনগণ সবসময়ই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায় কেন? কিংবা আমাদেরকেও একইভাবে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে বাধ্য করতে চান কেন? এই প্রবণতার উৎস কি জানতে ইচ্ছে করে।

    বা;গালী জাতির স্বাধীনতার ইতিহাস বলতে গিয়ে শুরু করেছেন ‘৫২ থেকে, আপনার ইতিহাসের গুরুদেরকে বলবেন নতুন করে ১৭৫৭ সাল থেকে যেন পাঠদান শুরু করেন| আপনি নিজেকে স্বাধীনতার ইতিহাসের মহাসমুদ্র ভেবেছেন? নেমে দেখলাম-মাএ হাটুজল…!!!

    '৫২, নির্বাচন ইত্যাদি ঘটনাগুলো উঠে এসেছিল আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ এর সশস্ত্র সংগ্রামের পূর্বে রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিকট-অতীত প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে। বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসের পূর্ণাঙ্গ ক্রম রচনা করতে তারিখগুলো দেয়া হয়নি। তবে আপনি ১৭৫৭ কে বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রথম ক্রম বলে ভাবেন দেখে বেশ কৌতুক বোধ হল। বাঙ্গালী জাতির সংগ্রামের ইতিহাসটি কি আসলে এতই নতুন? নাকি ইংরেজরাই এই ছোট্ট বদ্বীপটির প্রথম আধিপত্যকারী শক্তি? যদি বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার ইতিহাসের ক্রম সন্ধানই করতে হয়, তাহলে আসুন আরেকটি পৃথক পোস্টে তা শুরু করি। '৭১ এর সশস্ত্র সংগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে এই মুহুর্তে ১৭৫৭ কে টেনে না আনলেও বোধ হয় চলে। আর, ১৭৫৭ এর জুন মাসে পলাশীর আম্র কাননে অস্ত্রের ঝনঝনাটিই কেবল শুনলেন, পেছনের দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটি আর দেখলেন না! কিংবা বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেয়া যে বিপ্লবী "অগ্নিযুগ", সেটাও কি সামরিক সেনাপতির নেতৃত্বে হয়েছে বলবেন? জানা ছিল না যে ক্ষুদিরাম, সূর্য সেন, প্রীতিলতারা আসলে একেকজন rank প্রাপ্ত সামরিক অফিসার ছিলেন!!

    আমি জনবিচ্ছিন্ন…!!!!আটলান্টিকের অপর পাড়ে থেকেও দেশ আমার বুকে, স্বপ্নে, মন ও মননে…|চার দেয়াল..?

    এবার আপনাকে সত্যিই ধন্যবাদ আমার মনে খানিকটা স্বস্তি এনে দেওয়ার জন্য। আপনি আপনার আগের মন্তব্যে "মরতে মন চায়না" বলে যেভাবে আহাজারী করেছিলেন, তাতে খানিকটা মনকষ্টেই পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম যে আপনি হয়তো পিলখানার আশেপাশেই জীবন বাজি রেখে আপনার সহযোদ্ধাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছিলেন। আপনি কয়েক হাজার মাইল দূরে, আটলান্টিকের ওপারে, শারিরিকভাবে নিরাপদে আছেন জেনে বেশ স্বস্তি বোধ করছি। অবশ্য, নিন্দুকেরা বলতেই পারেন যে কয়েক হাজার মাইল দুরে বসে নির্বিচারে দেশের সাধারণ নারী পুরুষদের 'জান কোরবান' করে দেয়ার আহবানটি খুব সুবিধাজনক বীরত্ব প্রদর্শনের একটি সুযোগ (যেমনটি আপনি অভিযোগ এনেছেন '৭১ সালে পাশের দেশে বসে থেকে বিবিসি শোনা 'সুবিধাবাদী' রাজনৈতিক নেতৃবর্গের প্রতি)। যাই হোক, আমি সেই সব নিন্দুকদের আবেদন করবো আপনাকে যাতে তারা ভুল না বোঝে। কয়েক হাজার মাইল দুরে থেকেও দেশ আপনার 'বুকে, স্বপ্নে, মন ও মননে' পড়ে সত্যিই ভাল লাগলো। আটলান্টিকের ওপারে বসে যেই দেশটির স্বপ্ন আপনি দেখেন, সে দেশটির স্বপ্ন দেখতে হলে ইউনিফর্ম পরার প্রয়োজন হয়তো হয়না। তেমনিভাবে, কেবল ইউনিফর্ম পরলেই কেউ সেই স্বপ্ন দেখার অধিকার থেকে বঞ্চিত হননা। এটাই বোঝাবার চেষ্টা করেছি আমার মন্তব্যগুলোতে। যদি ব্যর্থ হয়ে থাকি, তবে নিশ্চয়ই সেটি আমারই ব্যর্থতা, ঐক্যের স্বপ্ন দেখা মানুষদের নয়।

    ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  31. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    @ অস্মিতা এবং এম.এইচ.কবির,

    ধন্যবাদ আপনাদের আলোচনার জন্য। খুবই উপভোগ্য এই আলোচনা থেকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার সূত্র বেরিয়ে আসছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও গভীর বিশ্লেষণের সময় এসেছে হয়তো। সেনাবাহিনী এবং জনগণ, যারা এক সয়ম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশটি স্বাধীন করেছিল জীবন বাজি রেখে, তারা কিভাবে সময়ের ফেরে পরস্পরের কাছ থেকে এত দূরে ছিটকে পড়লো সেটা আসলেই আমাদের ইতিহাসের জরুরী প্রশ্নগুলোর একটি। একটি মহল হয়তো সবসময়ই ছিল, হয়তো দু'পক্ষেই, যারা সবসময় সক্রিয় থেকেছে এই দুরত্বকে তৈরী করতে এবং জিইয়ে রাখতে। পারস্পরিক অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা এবং দ্বন্দ্বের এই অমোঘ চক্রটিকে না ভেঙ্গে মনে হয়না সামনে এগিয়ে যেতে পারবো আমরা।

    জেনারেল ওসমানীর বিষয়টি উঠে এসেছে আপনাদের আলোচনায়। এখানে ছোট্ট একটি পাদটীকা যোগ করছি:

    জেনারেল ওসমানী কেবল একজন মেধাবী সমরনায়কই ছিলেন না, তাঁর একটি রাজনৈতিক জীবনও ছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসার থাকাকালে তিনি বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে (যেটি তখন একটি নাজুক রাজনৈতিক ইস্যু, অন্তত পশ্চিম পাকিস্তানীদের চোখে) সমুন্নত করার লক্ষ্যে এমন অনেক আভ্যন্তরীন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা তৎকালীন উম্মাতাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্বন্ধে তাঁর সচেতন বোধকেই প্রমাণ করে। এই তথ্যটি হয়তো অনেকেরই অজানা যে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর জেনারেল ওসমানী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন এবং ১৯৭০ এর নির্বাচনে দলটির পক্ষ হয়ে লড়ে পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলীতে আসনও জয় করেছিলেন। মুজিবনগর সরকার যখন গঠিত হয়, সেই সরকারের সি-ইন-সি হিসেবে নিযুক্ত হন জেনারেল ওসমানী, যে দায়িত্ববলে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সামরিক দিকটি তদারক করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টিতে।

    জবাব দিন
  32. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    অস্মিতা এবং এম এইচ কবির এর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তাঙ্গনে ছাপানো অবিশ্রুতের এই মন্তব্যটি তুলে দিচ্ছি:

    আপনাদের দু’জনের মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়ার সূত্র ধরে লিখছি :

    এক. মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় ১৭ এপ্রিল। এই সরকারে কোনও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী ছিলেন মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ। এই কমান্ডার ইন চিফ-এর বাংলা প্রতিশব্দ কখনোই সর্বাধিনায়ক নয়। আমরা বাঙালিরা অনেক সময়ই বিশেষণের পর বিশেষণ লাগিয়ে চলি, আতাউল গণি ওসমানীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, তাকে আমরা সাধারণভাবে অনেকেই সর্বাধিনায়ক বলে থাকি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি সরকারের প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
    যখন যুদ্ধ চলে তখন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরাই যুদ্ধরত দেশটির সর্বাধিনায়ক হয়ে থাকেন, এটি মুক্তিযুদ্ধরত দেশগুলির ক্ষেত্রে আরও বেশি সত্য। প্রধান সেনাপতি হিসেবে ওসমানী কেবল নিয়মিত বাহিনীগুলিরই প্রধান ছিলেন না, গেরিলা বাহিনীগুলিরও প্রধান ছিলেন, তাকে সর্বাধিনায়ক হিসেবে বিশেষায়িত করার ভুলটি সম্ভবত এখান থেকেই ঘটেছে এবং পরে তা আরও পল্লবিত হয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আতাউল গণি ওসমানী নাগরিক কমিটির প্রার্থী হলে বিষয়টি আরও প্রচারণা পায়। কেননা তখন নাগরিক কমিটি ও ওসমানীকে সমর্থনকারী বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ তাদের সব প্রচারপত্রে ওসমানীকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে প্রচার করে। আমার জানা মতে, মুক্তিযুদ্ধের যে-সব দলিলপত্র রয়েছে, তাতে তাকে এভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এবং আমার মতে, করা সঠিকও নয়।

    দ্বিতীয়ত. পাকিস্তান থেকে যে-সব সামরিক কর্মকর্তা নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দেন তাদের রাজনৈতিক সচেতনতা লক্ষ্যণীয়ভাবে তীব্র। কিন্তু এদের সংখ্যা খুবই কম। আর যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যারা যোগ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে কারও কারও পাকিস্তানের ইনটেলিজেন্ট-এর হয়ে যোগ দেয়াটা অস্বাভাবিক নয়। প্রত্যক্ষ যুদ্ধে সামরিক না বেসামরিক গেরিলারা কারা বেশি সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন, তা নিয়ে যদি আমরা কূটতর্কের সূচনা করি, তা হবে খুবই দুঃখজনক। এই মুহূর্তে আমার পাবনার নওগাঁর যুদ্ধের কথা মনে পড়ছে, ওই যুদ্ধে পলাশডাঙা যুব শিবিরের নেতৃত্বে পাকিস্তানীদের একটি পুরো রেজিমেন্টের সবাইকে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে নিহত করা হয়। এটি ছিল একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে আবদুল লতিফ মির্জা কিন্তু কোনও পুরষ্কার বা পদক পাননি।

    তৃতীয়ত. ইতিহাস নতুন করে মোড় নেয়ার সময় সব সময়েই একটি নতুন তারিখ বা সাল বেছে নেয়, এর মধ্যে দিয়ে সে আগের পর্বের সঙ্গে নতুন পর্বের উত্তরণ বলি আর পৃথকীকরণ বলি, তার সূচনা করে। সেই হিসেবে, আমাদের ইতিহাসের নতুন পর্বের তাৎক্ষণিক আলোচনার জন্যে পলাশীর প্রান্তর কোনও অতি জরুরি পর্ব নয়, যদিও ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের জন্যে তা খুবই প্রয়োজনীয় একটি উদাহরণ ছিল। পলাশীর প্রসঙ্গই যখন উঠেছে তখন দ্রষ্টব্য হিসেবে বলি, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে মুসলমানিত্বকে বড় করে তোলার জন্যে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে আমরা টেনে আনি; কিন্তু পরিহাসের ব্যাপার হলো, ওই যুদ্ধে সিরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন মুসলিম সেনাপতি মীরজাফর আর দেশের জন্যে জীবন দিয়েছিল মীর মদন, মোহনলালরা। তার মানে যারা পলাশীর প্রান্তরের কথা জোর গলায় বলার চেষ্টা করে, তারা নিজেরাও পলাশীর চেতনা সত্যিকার অর্থে অনুভব করে না অথবা ধামাচাপা দিতে চায়। যারা সিরাজের পাশে মোহনলালকে দেখতে পায় না, তাদের পক্ষে কি সম্ভব অগ্নিযুগের বিপ্লবী মুক্তির চেতনা অনুভব করা? সম্ভব নয়। তাই তারা পলাশীর কথা বলেন, তারপর চলে আসেন একেবার পাকিস্তান আন্দোলনে!


    @ এম.এইচ.কবির

    আপনি লিখেছেন:

    আপনার ইতিহাসের গুরুদেরকে বলবেন নতুন করে ১৭৫৭ সাল থেকে যেন পাঠদান শুরু করেন

    আমি জানিনা আপনি কোন্ মতাদর্শের অনুসারী তবে আপনার আলোচনায় স্বাধীনতার ইতিহাস ১৭৫৭ থেকে শুরু করার ব্যপারটি বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে আমার কাছে। আপনি এই বিষয়টির ব্যাপারে কতটুকু সচেতন জানিনা, জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ১৭৫৭ সনটার উপর বিশেষ জোর দেয়ার চেষ্টা করে। কেন এমনটা করে সেই আলোচনায় এখন বরং না যাই। এ বিষয়ে গোলাম আযমের একটি বই আছে, যেটার নাম পলাশী থেকে বাংলাদেশ (প্রকাশক: জামায়াতে ইসলামী) (এখানে দেখুন)। তার মানে এই নয় যে আমি বলছি যে আপনি জামায়াতের সমর্থক, কিংবা ১৭৫৭ নিয়ে আলোচনা করলেই কেউ জামায়াত হয়ে যায়। তবে ১৭৫৭‌-কেন্দ্রিকতার যে অনেক ব্যাখ্যা হতে পারে, এবং ইতিহাসবোধের একটি রাজনৈতিক ডাইমেনশনের প্রতি এটি ইঙ্গিত করে - সেটা তুলে ধরাই আমার এ মন্তব্যের উদ্দেশ্য।
    ভাল থাকুন।

    জবাব দিন
    • @রায়হান রশিদ

      আমি জানিনা আপনি কোন্ মতাদর্শের অনুসারী তবে আপনার আলোচনায় স্বাধীনতার ইতিহাস ১৭৫৭ থেকে শুরু করার ব্যপারটি বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে আমার কাছে। আপনি এই বিষয়টির ব্যাপারে কতটুকু সচেতন জানিনা, জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ১৭৫৭ সনটার উপর বিশেষ জোর দেয়ার চেষ্টা করে। কেন এমনটা করে সেই আলোচনায় এখন বরং না যাই। এ বিষয়ে গোলাম আযমের একটি বই আছে, যেটার নাম পলাশী থেকে বাংলাদেশ (প্রকাশক: জামায়াতে ইসলামী) (এখানে দেখুন)। তার মানে এই নয় যে আমি বলছি যে আপনি জামায়াতের সমর্থক, কিংবা ১৭৫৭ নিয়ে আলোচনা করলেই কেউ জামায়াত হয়ে যায়। তবে ১৭৫৭‌-কেন্দ্রিকতার যে অনেক ব্যাখ্যা হতে পারে, এবং ইতিহাসবোধের একটি রাজনৈতিক ডাইমেনশনের প্রতি এটি ইঙ্গিত করে - সেটা তুলে ধরাই আমার এ মন্তব্যের উদ্দেশ্য।

      -----আবদুল গাফফারও কিন্ত "পলাশী থেকে ধানমন্ডি" নাটক লিখেছেন| এটা উল্লেখ না করে গোলাম আযম-জামাতকে টেনে আনার উদ্দেশ্যটা কী জানতে পারি...??? এখনতো দেখছি মানবাধিকার কর্মীর আড়ালে আপনার নিজের রাজনৈতিক মুখোশটাই খসে পড়ার যোগাড় হয়েছে..!!
      ** গোলাম আজম,গাফফারদের দল-নেতা-আদর্শ সবগুলোই আমার দারুন অপছন্দ, বলতে হয় দেশের কোন নেতার সততা বা দলীয় আদর্শ আমাকে আকর্ষন করতে পারেনি, সরি...**

      জবাব দিন
      • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

        @ এম.এইচ.কবির

        ১৭৫৭ সালের ব্যাপারে আপনার উৎসাহ (সজ্ঞান কিংবা অজ্ঞান), এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকেও সেখান থেকে শুরু করার সমস্যা বিষয়ে উপরে অস্মিতা এবং অবিশ্রুতের মন্তব্যেই যথেষ্ট বলা রয়েছে বলে মনে করি। পড়ে নেবেন। আমার মন্তব্যের উদ্দেশ্যও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা রয়েছে উপরে। সেটা পড়েও না বুঝে থাকলে জানতে চাইবেন; চেষ্টা করবো বুঝিয়ে বলতে। ১৭৫৭ নিয়ে অতি-অবসেশন যারা প্রদর্শন করেন, গোলাম আযমেরা তাদের একাংশ। কৌতুহলোদ্দীপক সেই অবশেসন আপনার মধ্যেও কিছুটা লক্ষ্য করেছি, তাই সে বিষয়ে সচেতন করে দিতে চেয়েছিলাম আপনাকে। তাতে আপনার আক্রান্ত বোধ করার কারণটা তাই সত্যিই অস্পষ্ট যেখানে আপনি নিজেই দাবী করেছেন গোলাম আযমদের রাজনীতির সাথে আপনি একমত নন। আপনি সম্ভবত "পলাশী থেকে ধানমন্ডী" শিরোনামে "পলাশী" শব্দটি দেখেই লাফিয়ে উঠে থাকবেন। নাটকটি দেখা থাকলে এই হাস্যকর তুলনাটি করতেন না বলে আমার ধারণা। গাফ্ফার চৌধুরীর "পলাশী থেকে ধানমন্ডি" আর গোলাম আযমের "পলাশী থেকে বাংলাদেশ" দু'টির মধ্যে কি আসলেই কোন তুলনা চলে? প্রথমটি বঙ্গবন্ধুর জীবনীধর্মী নাটক যেখানে "পলাশী" উঠে এসেছে মূলতঃ একটা metonym হিসেবে জাতির ইতিহাসে নেতৃত্ব আর বিশ্বাসঘাতকতার প্যাটার্ণটি তুলনা করতে; আর পরেরটি বাংলার ইতিহাস রচনার ছলে মনগড়া মতলবী (জামাত-ফ্রেন্ডলি) ইতিহাসতত্ত্ব!

        গাফফার চৌধুরী আমার পছন্দের লেখকদের তালিকায় পড়েন না, কিন্তু তাকে ঘাতক দালালদের নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের সাথে তুলনা করার আগে সম্ভবত দু'বার ভাববো। আর যারা এই দুই শ্রেনীর মধ্যে কোন পার্থক্য খুঁজে পান না (বা পেতে চান না), তাদের সাথে কোনও আলোচনায় যাওয়াটাও মনে হয় সময়ের অপচয়। আমার কল্পিত "রাজনৈতিক মুখোশ" উম্মোচনে আপনার উল্লাস দেখে এই দুঃসময়েও হাস্যরসের খোরাক জোগানোর আপনার এই মহৎ প্রচেষ্টাটুকুর জন্য অন্তত সাধুবাদ। সেই সাথে মুখোশবিদ্যায় আপনার মত একজন বিশেষজ্ঞ পারদর্শীর কাছ থেকে নিশ্চয়ই আমরা সবাই অনেক কিছু শিখতে পারবো, সেই প্রত্যাশাও থাকলো। এই পোস্টটি লেখার সময়ই অনুমান করেছিলাম যে এক শ্রেনীর পাঠক থাকবে যারা বেতিব্যস্ত হয়ে উঠবে - এর "রং" কিংবা "দল" নিরূপণে, এবং সে অনুযায়ী একে ব্র্যান্ডেড করে প্রচার করতে - তাই অবাক হচ্ছি না ততোটা। এই পোস্টটিকে দলীয় মতাদর্শী পোস্ট হিসেবে label করে দেয়ার যে কিছু স্ট্র্যাটেজিক সুবিধা আছে কারও কারও পক্ষ থেকে, সেটা বুঝি। কিন্তু সেই সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে যে কথাগুলি সত্য মনে করি তা বলতে কোন দ্বিধা বোধ করিনা, অন্তত নিজের দিক থেকে। আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে - গোলাম আযম বা যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গী, তাদের সহচর পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করতে গিয়ে সেটি কোন্ দলের পক্ষে বা বিপক্ষে গেল তা নিয়ে মোটেই ভাবিত নই। আর আপাত balance (!) রক্ষা করতে গিয়ে একটি জীবনীধর্মী নাটক আর মতলবী ইতিহাস তত্ত্বের মধ্যে তুলনা করতেও রাজী নই।

        জবাব দিন
  33. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আমাদের গ্রুপ মেইল থেকে একটি মেইল তুলে দিলাম। ইংরেজির জন্য দুঃখিত।

    BDR personnel DO go for UN missions!
    Have a look at this list from Bangladesh Police website showing BDR personnel dispatched for Bangladeshi contingent.

    http://www.police.gov.bd/index5.php?category=210

    There are 30 of them in this small contingent of 119 deployed in Ivory Coast. If you scroll down, you'll see 29 personnel (serial 69 to 97) from BDR down in the sections. The 30th was in the advance team (first section); DAD Touhid (serial 6).


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  34. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    আজ দুটি ইমেইলে পাওয়া দুটি পরস্পরবিরোধী লেখার পিডিএফ ভার্সন ও লিংক এখানে যুক্ত করলাম। পিলখানায় সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ড নিয়ে এর একটির লেখক বিখ্যাত সুনিতা পল আর অন্যটি বলা হচ্ছে সাউথ ব্লকের (ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) বক্তব্য।

    সুনিতা পলের লেখা : পিডিএফ

    সাউথ ব্লকের বক্তব্য : লিংক


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        পড়ে দেখলাম... পড়ার সময় তো দুটোকেই যুক্তিযুক্ত মনে হয় কিন্তু শেষে এসে মনে হয় আরও একটি 'ষড়যন্ত্র তত্ত্ব' এর উদয় হলো, আসল সত্য কি আমরা আদৌ জানতে পারব কখনও?


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
      • সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

        ভালো বলেছ আকাশ।

        আর রায়হান, সুনিতা হচ্ছে সেই ছদ্মনাম যে নামে এর আগে লেখা হয়েছিল উলফার টাকায় চলে প্রথম আলো!! এই নামে আসলে কেউ আছে কিনা সন্দেহ। বিশেষ মহলের স্বার্থে তিনি বিশেষ বিশেষ লেখা বিশেষ বিশেষ সময়ে লেখেন!!


        "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

        জবাব দিন
        • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

          হঠাত করেই যেন সুনিতা পাল নামের এই কলামিস্ট এর আবির্ভাব, যিনি বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক অত্যন্ত বিতর্কিত সব থিওরী নিয়ে হাজির হচ্ছেন। এত "প্রসিদ্ধ" কলামিস্ট (তাঁর নিজেরই বর্ণনায়), অথচ ৫৭ বছর বয়সী এই সাংবাদিক-কলামিস্টের শুরুর দিককার (ধরা যাক বছর বিশেক আগের) কোন লেখা অনেক খুঁজেও পেলাম না! সাম্প্রতিক এক লেখায় সুনিতা পাল জনৈক "সালাহ উদ্দিন শোয়াইব চৌধুরী" সম্পাদিত Weekly Blitz পত্রিকাকে বাংলাদেশের "most influential newspaper" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। মজার ব্যাপার হল, Weekly Blitz এর সাইটটিতে গেলে অত্যন্ত কৌতুহলোদ্দীপক একটি ব্যাপার চোখে পড়ে। Weekly Blitz এর ওয়েবসাইটটি যারাই তৈরী করেছেন এবং চালাচ্ছেন, তারা নিজেরাই ওয়েবসাইটের meta description এ (ব্রাউজারের উপরের দিকে লক্ষ্য করুন) নিজেদের সম্বন্ধে "Weekly Blitz 1 Most Influential Newspaper in Bangladesh" হিসেবে কথাগুলো জুড়ে দিয়েছে। বিষয়টা একটু হাস্যকরও বটে। সুনিতা পাল সালাহ উদ্দিন শোয়াইব চৌধুরীকে "internationally known award winning anti-jihadist journalist" হিসেবে বর্নণা করেছেন তার একাধিক লেখায়। বলাই বাহুল্য, সুনিতার বহু লেখাতেই (প্রায় প্রতিটিতেই) Blitz সম্পাদকের প্রতি তার "অকুন্ঠ" সমর্থন প্রকাশ পেয়েছে। আশা করি দু'জন একই ব্যক্তি নন!!

          জবাব দিন
          • রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

            সুনিতা পালকে নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ওয়ালী-উর-রহমান এর একটা পর্যবেক্ষণ এই মাত্র চোখে পড়লো। ছাপা হয়েছে এখানে। লেখাটির অংশবিশেষ উদ্ধৃত করছি:

            কয়েকদিন আগে আমেরিকান ক্রনিকলে সুনীতা পালের যে পোট্রেট ছিল এখন সেটি বদলে গেছে। এখন এক কৃষ্ঞকায় বোবা এবং বধির নারী হিসেবে সুনীতা পালকে চিহ্ণিত করা হয়েছে। জীবন-বৃত্তান্ত ঠিকই আছে। আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর আমেরিকায় ছিলাম কূটনৈতিক জীবনে, এছাড়া বছরে একবার যাই। তখন এইসব ক্রনিকলের সুনাম শুনিনি। ইদানিং বাংলাদেশে এইসব ক্রনিকলের উদ্ধৃতি খুব ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ কয়েকজন লেখক ডিজিটাল বাংলাদেশের খুউব ফায়দা লুটছেন। আমার কয়েকজন তরুণ বন্ধু, যাদেরকে আমি ‘সাইবার বাগ’ বলে ডাকি, তারা শুরু থেকেই সুনীতা পালকে অস্তিত্বহীন বলছিলেন। কয়েকটি পত্রিকা সুনীতা পালকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছেন দেখে আমি ওদেরকে এতদিন পাত্তা দিইনি। ধবধবে সাদা একজন নারী কি করে এখন প্রকৃত সাউথ ইন্ডিয়ান হয়ে গেলেন দেখে আমিও সংশয়িত হলাম। এমনকি ‘আমাদের সময়’ পত্রিকায় যে সুনীতা পালের পোট্রেট আমরা দেখেছি, বর্তমানের সুনীতা পালের সঙ্গে এর কোনো মিলই নেই। হায়রে মহান সংবাদ বিশ্লেষক! . . . আমার মনে হয় ঢাকা থেকেই কেউ একজন এই কাজটি করে যাচ্ছেন। কারণ বিভিন্ন লিংক থেকে প্রাপ্ত একজন তথাকথিত সাংবাদিকের বিষয়বস্ত্তর সঙ্গে সুনীতা পালের লেখার যথেষ্ট মিল খঁুজে পাওয়া যায়। যে সমস্ত ব্যক্তি এবং ঘটনা নিয়ে সুনীতা পাল কলম চালাচ্ছেন, সে সম্পর্কর্ে ভারতের কোনো সাংবাদিকের আগ্রহ থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না।
            সম্মানিত পাঠকদের জ্ঞাতার্থে আমি সবিনয়ে জানাতে চাই যে, আপনারা প্রকৃত সংবাদকেই মূল্যায়ন করুন। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছাইপাশ পত্রিকা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ খেলা বন্ধ হোক।
            জবাব দিন
  35. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    প্রথম আলোতে ২৩ মার্চ, ২০০৯ প্রকাশিত খবরটি সত্যের কাছাকাছি। তদন্তকারীদের ঘণিষ্ট আমার সূত্র এর সত্যতা জানিয়েছে।

    প্রথম আলো : ২৩ মার্চ, ২০০৯ : এক

    প্রথম আলো : ২৩ মার্চ, ২০০৯ : দুই


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  36. এটি একটি একপেশে বিশ্লেষণ৷ অন্যগুলো যদি বি.এন.পি-জামাত, রাজাকার-আলবদরদের প্রপাগাণ্ডা হয় তাহলে এটি হচ্ছে একটি দেশবিরোধী আওয়ামী প্রপাগাণ্ডা৷

    জবাব দিন
  37. রাহাত (২০০০-২০০৬)

    I have read a lot and have understood a lot.
    Well, my idea is, this goddamn email is generated by someone of djuice generation. Like when we chat in messenger and try to give caps lock while to say something very strongly. Part of this email, as posted by the writer, seems so. A general in no way is going to write like that.
    Well, a General is not spineless to seek for public opinion in this way. And for gods sake, (if he was General), did not think in this way that after receiving his mail, people will come out on the roads to ask for a Military action inside PILKHANA. That idea is totally ridiculous. The real General in Bangladesh followed the
    government's order and let his 57 or more officers and BDR jawans to be killed and perhaps saved a lot more.
    Bangladesh is not USA that we have state-of-the-art intelligence wings to bring out each and every crime that is going to take place. If you are going to tell about intelligence failure, then the CIA & FBI should top the list. Because, being a superpower country, they failed to stop the 9/11 attack.
    Propagandas are more dangerous than the real damage in some cases. This email may have caused much danger than the real BDR crisis had done. I plead to all Bangladeshis, please do not spread this type of things, our nation is not at good shape right at this moment. One single mistake may cause such a damage, which may be outside our limit to refurbish.
    Then I should say something about the media's role on that occasion. They have shown their highest degree of professionalism about making the things more horrible. As a civilized citizen, I also support "peoples right to know", but in case of SOME incidents.......I will request the intellectuals to revise it a bit.
    Whoever has planned the BDR shootout, someone else wanted to light his cigarette with the fire from PILKHANA. We have to find out those also. Otherwise in another national crisis, they will hit again.
    Writer elder brother, you have certainly humiliated the army by saying

    জেনারেল সাহেব, দয়া করে নতুন কিছু ভেবে বের করুন প্লীজ। মনে করবেন না দেশের সব মানুষের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে।

    I am not sure that from which source you have confirmed that the sender was a General and EVEN he was from army or not. If you have written your blog for giving anti-logics to the sender of the mail, then it was okay(in my concept), but thinking the mail sender a Real General; shows that you are also a victim of the propaganda.
    Civil authority and Military forces are co-operatives of each other. If anything, which is going to breach the civil-military relationship, please sort that out then and then.
    We do not want our nation to be in civil war. We all are Bangladeshis, good and bad. We want live as fellow countrymen.
    The post is really informative. Thanks for such a nice post.

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।