‘যুদ্ধাপরাধ’ ইস্যুতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামিল হতে চাইলে

ইতোমধ্যেই সিসিবি-র কয়েকজন সদস্য যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। সিসিবি-র সদস্যদের যতটুকু চিনি, সত্যি বলতে কি, তাতে একটুও অবাক হইনি। আর সবার মতো আমি নিজেও একজন স্বেচ্ছাসেবক। আরও অনেকেই আছেন, যাঁরা তাঁদের সাধ্য এবং সময় মত নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বর্তমানে। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, আমাদের আরও অনেক বেশী জনবল দরকার, এই সুনির্দিষ্ট ইস্যুটির ধরণ এবং ব্যাপ্তির কারণেই। তাই, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামিল হতে আগ্রহীদেরকে আগাম স্বাগতম এবং অভিনন্দন। যোগাযোগ করলে তাঁদেরও স্বেচ্ছাসেবক-তালিকায় যুক্ত করে নেয়া যেতে পারে। সেখান থেকেই কাজগুলো ভাগ করে নিতে পারি আমরা সবাই মিলে। তাতে কারও ওপরই আর অতিরিক্ত চাপ পড়বে না।

এখানে একটি অনুরোধ করবো সবাইকে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করার সময় নিজের সম্বন্ধে একটু বিস্তারিত জানিয়ে লিখলে ভাল হয়। আশা করি কেউ তাতে আহত বোধ করবেন না, এবং অনুধাবন করতে পারবেন এই অতিরিক্ত সাবধানতার কারণ। যোগাযোগের ঠিকানা:

wcsf [dot] workgroup [at] gmail [dot] com

এমনকি গতকালও আরেকটি নতুন বিষয়ের উদ্ভব হয়েছে, বৃটেনে অবস্থানকারী এক প্রধান (কথিত) যুদ্ধাপরাধীকে কেন্দ্র করে, মানহানি মামলা সংক্রান্ত। অনেকেই সন্দেহ করছেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা কোন পূর্ব-নির্ধারিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে যাঁরাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন (বা বলতে পারেন) তাঁদের সবার কন্ঠরোধের স্থায়ী পরিকল্পনা করছেন। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই বিস্তারিত জানিয়ে মুক্তাঙ্গনের সবার পক্ষ থেকে সাহায্যের জন্য লেখার আশা রাখি। এর জন্য আমাদের হয়তো সব প্লাটফর্ম থেকে সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। সিসিবি-কে পাশে পাবো আশা করি। এমন পরিস্থিতিতে প্লাটফর্মগুলোর একসাথে কাজ করা অত্যন্ত অত্যন্ত জরুরী।

(প্রিয় মডারেটর: বিভাগের ঘরে ‘নোটিশ বোর্ড’ নির্বাচন করেছি,‍ যুতসই আর কিছু না পেয়ে। এখন মনে হচ্ছে, এই বিভাগটি হয়তো এডমিনদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে থাকতে পারে। ঠিক করে দিলে বাধিত হবো।)

২৮ টি মন্তব্য : “‘যুদ্ধাপরাধ’ ইস্যুতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামিল হতে চাইলে”

  1. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    সঙ্গে আছি।
    মেইল করবো আজই।

    রায়হান ভাই, অনেক ধন্যবাদ।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  2. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    ভাইয়া আমিও আছি।

    আমি আবার একটু ডজার টাইপের, কাজ কাম করতে ডর লাগে। তাই আমি আছি লাইনের একদম শেষ মাথায় (ক্যান যে বুদ্ধিজিবীদের গালি দিতে গেছিলাম 🙁 )

    কি ধরনের ইনফরমেশন মেইল করবো এটা বুঝতে পারি নাই, কন্ট্রাক্ট ডিটেইল? যুদ্ধের সময় তো আমার জন্ম হয় নাই, তাই ইনফরমেশন এর সংগে মানহানী ব্যাপারটা প্যাচায় ফেলেছি।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  3. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    যুদ্ধাপরাধী চক্রের সাম্প্রতিকতম অপতৎপরতার বিরুদ্ধে মুক্তাঙ্গনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ-পোস্ট:

    গার্ডিয়ানে দেলওয়ার হুসেইনের নিবন্ধে যুদ্ধাপরাধী চক্রের কালো থাবা, রুখে দাঁড়ান

    সিসিবি-কে বিনীত অনুরোধ করবো ব্লগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিজেদের প্রতিবাদী অবস্থান, দেলওয়ার হুসেনের সাথে সংহতি এবং নিজেদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করে পোস্ট লেখার। এই বিষয়টি নিয়ে আওয়াজ তোলা জরুরী।

    এখনই সময়।

    জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    কতটুকু কি করতে পারব জানি না... তবে সাথে আছি।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  5. শাওন (৯৫-০১)

    জানিনা কি করতে পারবো। হয়তো কোন সহযোগিতাই করতে পারবোনা। তাও সঙ্গে থাকতে চাই। আজকেই ইমেইল করেছি।


    ধন্যবাদান্তে,
    মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
    প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

    ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

    জবাব দিন
  6. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    আরেকটি বিষয়ে সিসিবি'র সবার প্রতি অনুরোধ:

    http://www.nirmaaan.com/forums/viewforum.php?f=17

    যুদ্ধাপরাধ স্ট্র্যাটেজি ফোরামের এই অংশটাতে প্রাসঙ্গিক সমস্ত খবর, নিবন্ধ, ব্লগ এবং রিপোর্টগুলো জোগাড় করা হচ্ছে। সময়ের কোন বাধা নেই ‌- সে সব আজকের বা গতকালকের হতে পারে, আবার পাঁচ বছর আগেরও হতে পারে। কিন্তু সব তথ্য হাতের নাগালে থাকা জরুরী। পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না সে বিষয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। আমরা বাকিরা সে সব সাজিয়ে নিতে পারবো।

    উপরের লিন্কে দেয়া পাতাটির বিন্যাস দেখলেই স্পষ্ট হবে ঠিক কি ধরণের তথ্য খোঁজা হচ্ছে। যে কেউ নিবন্ধন ছাড়াই যে কোন লিন্ক (পারলে এর কনটেন্টটুকুও কপিপেস্ট করে) সেখানে "NEW TOPIC" বোতামটি ক্লিক করে তথ্য সংযোজন/পেশ করতে পারবে। প্রতিটি সাবমিশনই চূড়ান্তভাবে ফোরাম ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবার আগে অবশ্যই মডারেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে, যুক্তিগ্রাহ্য কারণেই।

    এই কাজটি সবাই মিলে করতে পারলে ধীরে ধীরে একটা বিশাল তথ্যভান্ডার গড়ে উঠতে পারে, যেটা সবারই কাজে লাগবে। কারণ, এভাবে যে আর্কাইভ গড়ে উঠবে, তা থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে গতি প্রকৃতিগুলো আমরা খুব সহজেই এক জায়গাতেই মনিটর করতে পারবো, এবং সে অনুযায়ী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে পারবো। আর যারা এসব বিষয় নিয়ে লিখতে আগ্রহী (এমন লেখায় এখন মিডিয়া ছেয়ে যাওয়া দরকার) তাদের জন্যও এটা হতে পারে একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-ভান্ডার।

    এই মুহুর্তে এই দিকটাতে আমাদের সাহায্য দরকার। স্বেচ্ছাসেবক ওয়ার্কগ্রুপটিকে নানা কারণে খুব রেস্ট্রিকটেড করতে হচ্ছে, শুধু তাদের মধ্যে সীমিত রেখে যারা যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন। একটু কড়া ডিসিপ্লিন এবং কমিটমেন্ট দরকার হবে সেখানে, কাজের গুরুত্ব বিবেচনা করেই।

    কিন্তু এখানে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা নিজের সময় ও সুবিধামতো সাহায্য করতে আগ্রহী। তাই, এই আর্কাইভ নির্মাণে যদি তারা প্রত্যেকে এককভাবে হাত লাগান, তাহলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ হয়। হাতের নাগালে তথ্য না থাকায় (যেমন: কবে কে কোথায় কি বিষয়ে কি বলেছিল ইত্যাদি) এই মুহুর্তে আমাদের প্রচুর সময় নষ্ট হচ্ছে সে সব খুঁজে বের করতে।

    সবার প্রতি আবেদন থাকলো।

    জবাব দিন
  7. রায়হান রশিদ (৮৬ - ৯০)

    অনুরোধ করবো পোস্টটি স্টিকি থেকে সরিয়ে নেয়ার। ইতোমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবক হতে ইচ্ছুক এমন বহু মানুষ এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের নিয়েই আপাতত আমরা কাজ শুরু করতে পারি মনে হয়। এখানে মুক্তাঙ্গনের একটি মন্তব্যের প্রতিফলনই যেন দেখতে পাচ্ছি আমরা, যেখানে ইনসিডেন্টাল ব্লগার লিখেছেন:

    কেন যেন মনে হচ্ছে চৌধুরী মুঈন-উদ্দিনরা বুঝি একটা বড়ো ভুলই করে বসলো এবার । . . . কেন যেন মনে হচ্ছে দেলওয়ার হুসেইনের এই ঘটনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রচেষ্টার আন্দোলনের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে। কেন‍‍ যেন মনে হচ্ছে এবার সত্যিই গা ঝাড়া দিয়ে জেগে উঠবে আমাদের ঘুমন্ত প্রজন্ম। এবার ওরা শুধু যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের ডজনখানেক মুঈন-উদ্দিনদেরই তাড়া করে থামবে না, বাংলাদেশে তাদের দোসর ভাই বেরাদরদের বিরুদ্ধেও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে জোরেশোরে মাঠে নামবে ওরা। কোন ধরণের সরকারী সমর্থন কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক আশির্বাদের তোয়াক্কা না করে। ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে আবারো জেগে উঠুক নতুন প্রজন্ম, গর্জে উঠুক। আর বাক্য-অপচয় নয়, এখন সময় হোক কর্মের।

    সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

    জবাব দিন
  8. রকিব (০১-০৭)

    বোধহয় অনেকটা দেরী করে ফেললাম। আসলে প্রতিদিন একবার করে পোষ্টটাতে ঢুকেছি, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়েছি। নিজের কাছেই বারবার জিজ্ঞেস করেছি আমার কি করা উচিৎ। ঘুরেফিরে একটা ছোট্ট উত্তর ফিরে পেয়েছি; যুদ্ধপরাধীদের বিচারের সাথে কোনভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে নিজেকেই ঐ অপরাধীদের চেয়ে কোন অংশে কম মনে হবে না। আমি আছি, যেভাবে পারি সময় দেবার সর্বোত্তম চেষ্টা করবো, শুধু সিসিবি না, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটা শহীদের প্রতি এটা আমার অঙ্গীকার।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রকিব (০১-০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।