Assuming, I was with you guys on the 4th of June, 2010

সর্বপ্রথম ৪ঠা জুন পালন করেছিলাম সেই ১৯৯৭ এ। তখন আমরা কলেজের সবচেয়ে জুনিয়র। ক্লাস এইটে পড়ি যদিও, ক্লাস সেভেন আসেনি তখনও। দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গিয়েছিল কলেজ লাইফের। সবথেকে জুনিয়র থাকা অবস্থাতেও বেশ প্রতাপে সেই ৪ঠা জুন পালন করেছিলাম। সেটার পরিসমাপ্তির কথা অন্যবারের জন্য তুলে রাখলাম। তবে সেই ট্র্যাজিক পরিনতিতে আমরা যতটাই দুঃখ (?) পাইনা কেন, ৪ঠা জুন উদযাপন করাটা আমাদের জন্য ফরজের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। আর তারই ধারাবাহিকতার একটা অংশ হিসেবে এবারও বরাবরের মতন আমরা ৪ঠা জুন পালন করেছি। “বরাবরের মতন” শব্দগুলো ভুল হল। “বরাবর” মানে কলেজ থেকে বের হবার পর সাত বছর আমরা যা করেছিলাম এবারের ৪ঠা জুনটা তার থেকে কিছুটা আলাদা ছিল। কারণ এবার প্রথম বারের মতন ৪ঠা জুন পালন করতে আমরা ফিরে গিয়েছিলাম আমাদের সোনালী অতীতে। প্রথম বারের মতন ৪ঠা জুন পালিত হল ক্যাডেট কলেজে।

শাহরিয়ার বরাবরই দায়িত্বশীল ছেলে। এবারের ৪ঠা জুনের সব আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব ছিল ওরই। এই দায়িত্ববান ছেলে দুসপ্তাহ ধরেই সবাইকে ফোন করে ৪ঠা জুনের আয়োজনের চেষ্টা করছিল। টিসার্ট বানানো, সেটার সাইজ মিলানো (কারো বড় দেহ কিন্তু টিসার্ট পরে ছোট সাইজের, আবার কারো ছোট দেহ কিন্তু হাটু পর্যন্ত ঢোলা টিসার্ট না পরলে ই-স্টাইল হয়না), গাড়ির আয়োজন, খাওয়া দাওয়া, সেগুলোর ব্যবস্থাপনা, সবকিছুর সময় নিয়ন্ত্রণ (আমরা আবার অনেক সময়ানুবর্তি কিনা) সর্বপরি সবাইকে তুষ্ট রাখা (শাহরিয়ার আবার খুব ভাল এন্টারটেইনার, সম্ভবত রবীন্দ্রসঙ্গিত গেয়ে সবাইকে বিনোদন দিচ্ছিল) সবই ছিল ওর একার হাতে। তবে, অন্যান্যবারের মতন এবারো শাহাদৎ আর জাহিদের টিসার্টের ব্যাপারে কাজ করতে দেখা গেছে। টিসার্ট বানানোর ব্যাপারে ওদের অভিজ্ঞতা অতুলনীয়। দুঃখজনক হলেও শাহাদৎ যেতে পারেনি ব্যবসায়িক জটিলতার (?) কারণে। শাকির আর নাকিবের কাছ থেকে স্বতস্ফূর্ত সহযোগিতা পাওয়া গেছে। শাকিরের উপস্থিত মাইক্রোবাস জোগাড় আর নাকিবের কলেজ এ্যাডজুডেন্ট এর কাছ থেকে অনুমতি নেয়া শাহরিয়ারের কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।

আগের দিন রাতে একটা মোটামুটি লিস্ট দাঁড় হয়ে গিয়েছিল শাহরিয়ারের কাছে। ফেইসবুক ইভেন্টের মতন- অনেকে অংশ নিচ্ছে, অনেকে নিচ্ছে না আবার অনেকে নিতেও পারে নাও নিতে পারে। দোনামোনা পার্টিকে নিয়েই যত বিপত্তি। সেই দোনামোনা পার্টিকে আবার ফোন করে কনফার্ম করা হল। দোনামোনা পার্টির সবাইকেই ‘অংশ নিচ্ছেনা’ তালিকায় ফেলে দিতে হল। আর অংশ নিচ্ছে এমন তালিকা থেকে রাত ১.৩০ এ বাদ পড়ল করিম। শাহরিয়ারকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে করিম বলল, দোস্ত আমি না গেলে কি পোলাপাইন মাইন্ড করবে?

সকাল ৮টা ৩০এ সবাই জড় হলাম শাহাবাগে। শাহরিয়ার, জাহিদ, শাকির, নাকিব, নওফেল, এমরান, আহসান, শাহীন, রাহাত মিলিয়ে নয় জন হলাম। কলেজ থেকে বের হবার পর প্রত্যেক ৪ঠা জুনে আমাদের উপস্থিতি হত ২৮-৩০ জনের মতন। ৩৮ জনের একটা ইনটেকের জন্য সংখ্যাটা অস্বাভাবিক বেশী। কিন্তু অনেকের বিদেশে চলে যাওয়া এবং অনেকের “কাজ” থাকায় এবারই ব্যতিক্রম ঘটল…. যাহোক, মুজিব এসেছিল সবার সাথে দেখা করতে। ও যেতে পারেনি ওর ডিউটি পরে গিয়েছিল ডিএমসি-এর বার্ণ ইউনিটে। ওর “সাধারণ মানুষের পাশ দাঁড়ানো” দেখে আমরা আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম (অনেককে নাকি গোপনে চোখের পানিও ফেলতে দেখা গেছে!!!)। ঠিক ৯টার দিকে আমরা ৯ জন আহসানের গাড়ি আর ভাড়া করা মাইক্রো নিয়ে রওয়ানা দিলাম কুমিল্লার উদ্দেশ্যে। আলম, গাজী, রেজা, আশিক এই চারজন কুমিল্লাতেই ছিল। ওখানে পৌছে আমরা মিলিত হব।

কাল ঢাকায় কিযে হয়েছিল জানিনা, রাস্তায় ছিল ভয়াবহ জ্যাম। ঢাকা থেকে কুমিল্লায় পৌছুতে মোটামুটি দুই/সোয়া দুই ঘন্টা লাগে। কাচপুর ব্রীজ ক্রস করতেই বেজে গেল সাড়ে দশটা। ঠিক তখনি করিমের মনে হল ওরও উচিত আমাদের সাথে কলেজে যাওয়া। শাহরিয়ারের কাছে এল “পরবর্তীকালে বহুল আলোচিত” করিমের ফোন, “দোস্ত, তোরা কই? আমারে নিয়ে যেতে পারবি?”। সেই জ্যাম ঠেলে আবার ব্যাক করে ওকে নিয়ে যাওয়া অসম্ভবের পর্যায়ে ছিল।

কুমিল্লা পৌছুতে পৌছুতে বেজে গেল দুপুর একটা। যাওয়ার সময় জার্নি কেমন হল? সেটা সবথেকে ভাল বলতে পারবে ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত তিশা পরিবহনে ঢাকা-কুমিল্লার নিয়মিত যাত্রীরা। যাদের বদ দোয়ায় আমাদের হয়ত পরকালে পুলসিরাত পার হতে সমস্যা হবে। তবে আগে আমরা স্বীয় বাসযাত্রীদেরই অতিষ্ট করে ক্ষান্ত হতাম। আর এবার? নিজেদের গাড়ি ছাড়িয়ে অন্য গাড়ির যাত্রিদের ও…. এমনকি ট্রাক ড্রাইভারও বাদ যায়নি;) কুমিল্লায় পৌছানেরা পর ক্ষিধায় পেট চোঁ চোঁ। আলমরা হাজির। খেতে গেলাম কুমিল্লার বিখ্যাত (!) গায়ক আসিফের বাংলা খাবারের রেঁস্তোরাতে। চিকেন বিরিয়ানি আর গরুর ঝাল ভুনা। এক কথায় অসাধারণ। পেট পুরে খাওয়া দাওয়ার পর গেলাম আলমের বাসায়। চলল রসমালাই আর স্পঞ্জ রসগোল্লা পর্ব। শাহরিয়ার আবারো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সবাইকে রসমালাই বিতরণ করার এবং যথারীতি…. যাহোক অনেকেই পরবর্তীতে রসমালাই না পাওয়ার দাবি জানিয়েছে কিন্তু ঘটনা এখনো তদন্তনাধীন। মিষ্টি পর্ব শেষে এল জাম ভর্তা। মিষ্টি আর জাম ভর্তার কম্বিনেশনে কি কি হতে পারে তা নিয়ে চলল জল্পনা কল্পনা। সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারা রাশেদকে আমরা তখন অনেক বেশী মিস করেছি।

৪ঠা জুনের সাথে বৃষ্টির একটা রোমান্টিক সর্ম্পক আছে। আজ পর্যন্ত (১৯৯৬ থেকে) এমন কোন ৪ঠা জুন পাইনি যেদিন বৃষ্টি হয়নি। ক্যাডেট কলেজে ছিলাম বলেই বোধহয় ট্র্যাডিশন ব্যাপারটা আমাদের অনেক পছন্দের। কখনো কখনো হয়ত এমন হয়েছে আকাশে কাল মেঘের কোন দেখা নেই। আমরা বৃষ্টির জন্য সারাদিন অধির আগ্রহে অপেক্ষা করেছি- শেষ বিকেলে হয়ে গেল এক পশলা বৃষ্টি। প্রকৃতি ট্র্যাডিশন পছন্দ করে কিনা জানিনা, তবে আমাদের কখনো নিরাশ করেনি। যাগোক, এবছর আর এক পশলা বৃষ্টি নয়। হল ঝুম বৃষ্টি। সেই ঝুম বৃষ্টিতে আমরা কলেজে পৌছুলাম বিকেলে। আহসানের গাড়ি তখন নাকিব চালচ্ছিল। কলেজ গেটের গার্ডের ভাব মারা উড়ে গেল যখন নাকিব তাদের থেকেও বেশী ভাব (!) মেরে বলল, ক্যাপ্টেন নাকিব। সোজা চলে এলাম হাউসে। এরপর চলল হাউস ভিজিট। কথা ছিল এবার সবাই একসাথে তিন হাউস ঘুরব। কথামতন তিতাস হাউসে সবাই এক সাথে ঘুরেও এলাম। গোমতীতে এসে হঠাৎ খেয়াল হল, তিতাসের কেউ নাই। তারা তিতাস হাউসেই লটকে আছে। গোমতীরাও যখন তাদের হাউসেই লটকে গেল, তখন মেঘনা হাউসে গেল শুধু মেঘনার পোলাপান। হাজার হোক, আমাদের সময়ের চ্যাম্পিয়ন হাউস- একটু লোনলি তো হবেই ;)। যাহোক, হাউজ ভিজিটে গিয়ে হাউস বেয়ারাদের ছাড়া আর কাউকেই চিনিনা। হাউস বেয়ারা মোখলেস ভাই স্বভাব সুলভ গাম্ভীর্যের সাথে বলল, যদি পারমিশন নিয়া আসেন তাহলে তো ভাল, না নিয়া আসলে তাড়াতাড়ি ঘুইরা চইলা যান। নওফেল থাকতে না পেরে বলেই ফেলল, আপনি বরং এডজুডেন্টরে বইলেন এই ব্যাচটা বড়ই ইনডিসিপ্লিন। কলেজে থাকতেও ছিল, এখন আরো বেশী হয়ে গেছে। স্যার দু চারটারে ধইরা ইডি দেন। হাউস বেয়ারা এমন বেয়ারা ছেলে দেখে আর ঘাটাল না।

হাউসে গিয়ে সবথেকে মজা পেলাম ক্লাস সেভেন দেখে। তাদের সবারই জন্ম হয়েছে ১৯৯৬ এর পরে। আমাদের সবার এক রকম টিসার্ট দেখে তারা খুবই মজা পেয়েছে। এইরকম বুড়া বুড়া (!!) পোলাপানের কান্ডকারখানা দেখে মজা পাওয়াটাই অবশ্য স্বাভাবিক। সেই সব কান্ডকারখানা এখানে আর উল্লেখ্য করলামনা। হাজারহোক, এটা একটা “সামাজিক” ওয়েবসাইট। হাউস ভিজিট দিয়ে চলে এলাম ডাইনিং হলে। বৃষ্টি কিছুটা ধরে এসেছে। চলল ফটোসেশন আর… । সেখান থেকে মসজিদ, হাসপাতাল হয়ে অফিসার্স মেসের সিড়িতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় শাহরিয়ারের কাছে ফোন এল। জানা গেল, করিম নাকি কলেজ গেটে!!!!! ওকে গার্ড ঢুকতে দিচ্ছেনা। সে বাসায় বসে থাকতে না পেরে বাসে চেপেই কুমিল্লাতে চলে এসেছে!!! এই না হলে আমাদের করিম!! তাকে হৈ হৈ করতে করতে নিয়ে আসা হল।

শাহরিয়ার বাংলার মাহিন ম্যাডামকে ফোন করে চা খাওয়ার দাওয়াত আদায় করল। কিন্তু শাহীন ছাড়া আর কেউই ম্যাডামের বাসায় যেতে চাইলনা কারণ ম্যাডাম শুধুই শাহরিয়ারকে আসতে বলেছেন। পরে অবশ্য ম্যাডাম যখন জানতে পারলেন শাহরিয়ার আর শাহীন ছাড়াও আরও অনেকে আছে, তাদেরও আসতে বললেন। আমরা সব ছাড়তে রাজি আছি, কিন্তু মাগনা দাওয়াত ছাড়তে নই। যথারীতি মুহূর্তে সবাই ম্যাডামের বাসায় হাজির। ম্যাডাম আমাদের সবার জন্য নাস্তার আয়োজন করতে শুরু করলেন। রান্নাঘর থেকে টুং টাং শব্দ ভেসে আসছে। আমরা সবাই “মুখে মুখে” শাহরিয়ারকে দিয়ে ম্যাডামকে কষ্ট না করার কথা জানালাম কিন্তু মনে মনে…এখানেও কিন্তু সেই দায়িত্ববান শাহরিয়ার দায়িত্বের সাথে টি-বয়ের কাজ কাঁধে তুলে নিয়েছিল। হয়ত বাসন কোসনও ধুয়ে দিত, কিন্তু সময় ছিলনা বলে সেটা সম্ভব হয়নি। কলেজের আবহাওয়া যে এক্স-ক্যাডেটদের ডি.এন.এ তে থাকা প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য কে প্রকট করে তুলতে পারে সেটা ম্যাডামের ছোট্ট ছেলের প্রতি করিমের সখ্যতা গড়ার চেষ্টা থেকে বোঝা যায়। সে প্রসঙ্গে আর নাই বা গেলাম।

আর সব কটা দিনের মতনই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল। তবু অন্য সবদিনের সন্ধ্যা থেকে কিছুটা যেন আলাদা। সেই চেনা পরিবেশ, চেনা গন্ধ। কতদিন হয়ে গেল কলেজ ছেড়েছি তবু এখনো কিছুই ফিঁকে হয়ে যায়নি। শুন্য হয়ে থাকা ফর্ম গুলোতে ঘুরতে ঘুরতে সবাই কেমন যেন নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। তবে বিষন্নতা খুব বেশী সময় ধরে স্থায়ী হতে পারলনা। গাড়িতে করে কলেজ গেট দিয়ে বের হতে না হতেই শুরু হয়ে গেল “আড্ডা” যার বিষয়বস্তু কোন অবস্থাতেই প্রকাশযোগ্য নয়। আহসানের গাড়ি শুরু থেকেই নাকিব চালাচ্ছিল। বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর নাকিবের কাছে “কে বা কারা” ফোন করল। ওপাশের কথা তো শুনতে পেলাম না। শুধু শুনলাম নাকিবের কথা,
… … … … … … … … … …
না না, আমি তো ড্রাইভ করছিনা। আমার ফ্রেন্ড করছে।
… … … … … … … … … …
বিশ্বাস করছনা? কথা বলবা আমার ফ্রেন্ড এর সাথে?
… … … … … … … … … …
আমি তো শুধুই ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে চালিয়েছি। আমি আর্মির ক্যাপ্টেন না? সুবিধা হবে ভেবেই সেখানে আস্তে আস্তে চালিয়েছি……… [আমাদের হবু ভাবী অর্থাৎ নাকিবের হবু বউ ভীষণ ভাল বলেই জানি। নিশ্চয়ই নাকিব ক্ষমা পাবে। আর আমাদের নাকিবের মতন অসাধারণ ছেলে আর হয়ই না। তাই নিশ্চয়ই আমিও ক্ষমা পাব………]

এরপর? ঢাকায় পৌছুলাম রাত নটায়। একে একে গাড়ি থেকে নেমে যেত লাগল সবাই যার যার বাসার কাছে। আবার বিছিন্ন হয়ে গেলাম ঠিকই। কিন্তু প্রত্যাশাটা মিলিত রয়ে গেল এক জায়গাতেই- পরের বছর ৪ঠা জুনে আবার অসাধারণ দিনের তালিকাটা খানিকটা বড় হবে। সাধারণ এই দিনটিকে যারা কষ্ট করে অসাধারণ বানিয়েছে তাদের কাউকে ধন্যবাদ দিব না। কাউকে না কাউকে তো কষ্ট করতেই হবে। তা না হলে, সাধারণ দিন অসাধারণ হবে কি করে?

[ডিসক্লেইমার: এ গল্পের শুধু একটি চরিত্রই কাল্পনিক- দ্য ন্যারেটর]

২,৭২৬ বার দেখা হয়েছে

৩৫ টি মন্তব্য : “Assuming, I was with you guys on the 4th of June, 2010”

  1. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    এইসব মানি না। আমি ধরে নিতে পারি নাই। তুই ছিলিনা ছিলিনা ছিলিনা। x-( x-( x-(
    আমাদের পোলাপান ও গ্যাদারিং করছে এবং আমিও ছিলাম না ছিলাম না ছিলাম না...
    x-( x-( x-(

    জবাব দিন
  2. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    এত্ত পোলাপান সব কুমিল্লাতে গেল, আমি কুমিল্লাতে (ক্যাডেট কলেজের ঠিক পাশে) থেকেই টের পেলাম না... :dreamy: :dreamy:

    ৪ঠা জুন অবশ্য আমাদের কলেজের ইব্রাহিম, সিনা, জাকির, ফারহান ঢাকা থেকে কুমিল্লা চলে এসেছিল। ছোট খাট একটা গেটটুগেদার বলা যায়।

    জবাব দিন
  3. রাশেদ (৯৯-০৫)

    শামস ভাই আছেন কেমন?
    পুরা লেখাটা শেষ করার আগে টের পাই নাই লেখক কল্পনার আশ্রয় নিয়েছে, খালি ভাবতাছিলাম শামস ভাই মাত্র বিদেশ গেল আর এত তাড়াতাড়া দেশে আসল কেমনে 🙂


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  4. লেখাটি পড়তে পড়তে অনেক খানি আনমন হয়ে গেলাম to be frank,i was with u in 1996 for the shortest possible time.সবার মনে আছে আশা করি ৯৬ intake এ সব কলেজে কিছু হতভাগা কাডেট ফাইনালি জএন করে নি,ভরতি হবার পর তাদের ফেরত পাথিয়ে দেয়া হয়েছিল দুইবার পরিক্ষা দেআর অপরাধে.and i was one of those unfortunate guys though 1st time i appear from class five(adviced by coaching centre to gather experience).yes i could gather enough experience.as i was supposed to write mohseen,SCC(96-02),but its my hard luck that my dream was killed right there hahaha.still i remember this 4th june.after getting news of CCB from my gr8 friend ahsan(bcc) i am regular here though i didnt comment anywhere so far.but today i just couldnt check my temptation to share my tragedy. dont know my comment will be published or not ,but again i want to say that cadets are really great....go ahead ccb and spl 96 batch.once upon a time i was with u also,for a very short time and still i m with u for my lifetime.(অভ্র এখনও শিখে উথি নি হাহাহাহা)

    i

    জবাব দিন
  5. শামস (১৯৯৬-২০০২)

    প্রিয় মোহসীন ইমরান,
    ১৯৯৬ সালে আমরা যখন ক্যাডেট কলেজে ঢুকি, আমাদের সাথে ১১জন ছিল যারা জয়েন করেনি। সেই ১১ জনের আক্ষেপ আমাদের প্রায় সময়ই করতে হয়েছে পরবর্তী ৬ বছর। ব্যাচের strength কম থাকায় অনেক সময়ই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাই, সেই ১১জনকে কোন না কোন সময় আমরা ঠিকই মিস করেছি।

    ক্যাডেট কলেজে পড়ার কল্যানে আমাদের মাঝে যে ক্যাডেটীয় গুনাবলী (/দোষাবলী) সৃষ্টি হয়, সেটা অনেক নন-ক্যাডেট দের মাঝেও দেখেছি। সম্ভবত প্রায় সব ক্যাডেটদের সার্কেলেই এরকম প্যারা-ক্যাডেট/সেমি-ক্যাডেট আছে। তাদের প্রতি আমি ভীষণ শ্রদ্ধাশীল কারন যেসব শিখতে আমার ৬ বছর লেগেছিল, সেসব তারা আপনাতেই জানে। হয়ত তোর SCC (96-02) এর আনুষ্ঠানিক সিল টা নাই, কিন্তু সবসময় আসলে সিল দিয়ে সবকিছু হয় না।

    ওয়েলকাম হিয়ার মাই ফ্রেন্ড :salute:

    জবাব দিন
  6. রকিব (০১-০৭)

    পাশে না থাকলেও মনে হয় কলেজের বন্ধুরা সব সময় পাশেই আছে; হয়তো দৃশ্যমান নয়, তবুও আছে।
    ভালো লাগলো ভাইয়া।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  7. আন্দালিব,শামস,রাকিব ধন্যবাদ I শামস বন্ধু উল্লেখিত চলচ্চিত্রের ওরা ১১ জনের মধ্যে আমিও ছিলাম রে I৯৬ সালে পূরণ না হলেও আমার কাডেট হবার সাধ কিন্তু পূরণ হইছে ২০০২ সালে,তাও একবারে বি এম এ কাডেট :frontroll: I এইবার ও মাফ চাইছি,এই জন্যই কবি বলেছেন যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই,যাহা পাই তাহা .....ঠিক কইছি না আহসান,মেহেদী?হাহাহাহা 😀 I অনেক দিনের পুরনো কথা বলে খুব ভালো লাগলো I সিসিবি রে আজকে অনেক খানি আপন মনে হইতেছে :thumbup: I

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।