আজকে আমার কলেজের এক ভাইয়ের সাথে বাইরে ডিনার করতে গিয়েছিলাম। বহুদিন পর তারে ঘর থেকে বের করতে সক্ষম হলাম এবং একটা খাওয়াও পাইলাম। ডিনার এর পুরা ২টা ঘন্টা শুধু আমরা সিসিবি নিয়ে আলোচনা করলাম। সিসিবি আগে কেমন ছিল, কেমন ব্লগ আসতো, কে কি লিখতো, কেমন কমেন্টস এর ঝড় হইতো, প্রিন্সিপাল, এ্যাডু ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক অনেক গল্প করলাম আর মনে মনে আফসোস হল। সিসিবি র স্বর্নযুগ কি মিস করলাম।
এখানে এসে সবার লেখা পড়লে খুবই আনন্দ লাগে। মাঝে মাঝে কিছু কিছু কথা আমাদের স্মৃতির এত দরজা খুলে দেয় যে বলার কিছু খুজে পাওয়া যায় না। খুব বেশি সুন্দর হয় আমাদের এই স্মৃতির দুনিয়া। ফেলে আসা দিনগুলো খুব যত্ন করে সাজানো থাকে মনের ভিতর। ঠিক যেন মিষ্টির বাক্সের মতো, একবার খুললে শুধু একটা খাওয়া যায় না। (সংগৃহিত) কলেজের সব কিছুই কেমন যেন ছক হয়ে বেধে আছে। উকি দিলে হাজারো সব স্মৃতিগুলো হাতছানি দিতে থাকে।
২০০২ সাল। এমসিসি তে আইসিসি এ্যাথলেটিক্স। মেজর গাফ্ফার আমাদের এ্যাডজুটেন্ট। সেবার আইসিসিতে চরম মজা করলাম। কিন্তু মজা আর মজা থাকলো না যখন শেষ হল কম্পিটিশন। রেজাল্ট অতি মাত্রায় খারাপ এবং এ্যাডজুটেন্ট রেগে আগুন। কলেজে আমাদের নিয়ে ফেরত যাবেননা, আমরা যেন কোনদিন আর মুখ না দেখাই ইত্যাদি আরো অনেককিছু। রাগে কি করবেন বুঝতে পারছেন না। অবশেষে আমাদের জন্য একটা উপযুক্ত শাস্তির সন্ধান পেলেন। সব এ্যাথলেটকে ফলিন করিয়ে নিয়ে গেলেন স্কোর বোর্ডের সামনে। তার কথাগুলা এখনো ভুলিনি
“নিচে তাকিয়ে আছ কেন সবাই। উপরে তাকাও স্কোর বোর্ডের দিকে। লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। সবাই এটলিস্ট দুইয়ের ঘরে স্কোর নিতে পেরেছে। তোমরা তাও পারনি। ও, না তোমরাও পেরেছ কিন্তু তার আগে একটা শুন্য আছে।”
সেবার আমরা সর্বসাকুল্যে আট পেয়েছিলাম। কিন্তু আট পাওয়াতে যত না কষ্ট ছিল আর চেয়ে বেশি কষ্ট পাইলাম স্যারের অপমানে। সব ক্যাডেট কলেজের সবাই তখন মাঠে হাজির এবং প্রেসটিজ পুরাই পাংচার। পরে কোন ফোরাম হইলে আমাদের এই ঘটনা মিস যায় না।
১ম। 😀
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
:teacup: খেয়ে নাও।
The Bond Cadet
স্মৃতি তুমি বেদনা 🙁
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই, স্মৃতি শুধু বেদনাই না, স্মৃতির মত আনন্দায়কও আর কিছু নাই।
The Bond Cadet
:ahem: স্মৃতির রঙ্গিন কাচেঁ সবই সুন্দর দেখা যায় 😉
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
স্মৃতি হিসেবে খুব একটা খারাপ না ভাই।
কই গেছিলি খেতে?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
কোপা এন্ড কোং
The Bond Cadet
আইসিসিএলএমএম ২০০৩ এ আমার গীটার প্রসেসরের এডাপটার ঝামেলা করতেসিল প্র্যাকটিস সেশানে। এ্যাডজুট্যান্ট শহীদ স্যার (কুমিল্লা) প্রথমে শুরু করলো সৈনিক ও তার রাইফেলের যত্নের উপমা দিয়ে। এরপরে যতই সময় পার হতে লাগলো ততই বিভিন্ন পশুর বাচ্চারা খেলা করতে লাগলো। আমার মা নিষিদ্ধপল্লীতে গেল। আড়চোখে সামনে তাকায় দেখি পরের প্র্যাকটিস সেশানের জন্য অপেক্ষমান ময়মনসিংহ দাঁড়ায় হা করে মজা দেখতেসে! :(( :((
২০০২ এর এ্যাথলেটিক্সে আমরা মাধ্যমিকের ছুটিতে! তৃতীয় নাকি দ্বিতীয় হইসিলাম মনে নাই!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আই সি সি এল এম এম ২০১১ এ যখন এম জি সি সি প্র্যাকটিসে আসে,তখনও আমরা স্টেজের পেরেক মারতেসি। প্রিন্সিপাল এল এম এর ১২ ঘন্টা আগে আমাদেরকে দিয়ে স্টেজের ডিজাইন মোট ৫ বার চেঞ্জ করাইসিল! :bash:
আমাকে আমার মত থাকতে দাও...