রোমিও

মিলি, আমি এখনো দাঁড়িয়ে আছি ঠাঁয়।
আমার তৃষিত চোখ তোমার ওই ক্ষুদ্র জানালায়
চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত হয়, তবুও যায়না আশা।
মিলি, কিছুই চাইনা আর। শুধু একটু ভালোবাসা।
তোমার বাড়ির পিছে বড্ড দুর্গন্ধ আর বড় বড় ছনঘাস,
ঝাঁড় ঝাঁড় বনকচু, দেয়ালটা নোনাধরা, ঝুলে থাকে শেওলার আঁশ।
থকথকে কাদা, শামুকের ছড়াছড়ি, মশামাছি থাকে এন্তার।
তবুও দাঁড়িয়ে থাকি, অবসন্ন শরীরে আমার
সহস্র এনোফিলিস অবিরাম ছড়ায় ম্যালারিয়া।
একবার দেখো মিলি, ও মাই ডার্লিং, প্রিয়তমা-প্রিয়া।
তোমার কাজল চোখ ঝিলের জলের মতো ভাসাভাসা,
আর গোলাপের মতো রাঙ্গা ঠোঁট; তোমার চেহারাটা খাসা।
যদি বিয়ে কর হানমুনে যাব টেকনাফ।
আর যদি ছ্যাকা দাও, ছয়তলা থেকে দেব লাফ।
লক্ষী—মিলি। কিন্তু তোমার বাবাটা না বড্ড একগুঁয়ে।
সারাদিন বারান্দার ইজিচেয়ারটায় থাকে শুয়ে,
আর শব্দ পেলেই ‘হুম্ম্’ বলে তুলে ধরে রাঙ্গা দুটি চোখ।
কি যে মারাত্মক রাগী উনি! আর তার ভয়ানক রোখ্!
টাকটা দেখার মতো, লাইট রিফ্লেক্ট করে; যেন একেবারে গাছপাকা বেল।
হঠাৎই টেম্পার্ড হয়ে হাঁক ছাড়ে, “হুইজ দ্যাট স্কাউন্ড্রেল?”
থাক তার কথা সোনা; একবার জানালাটা খোলো, এইদিকে চাও।
বড় বড় চোখদুটো মেলে একটু তাকাও।
প্লী—জ মিলি! দুপুর একটা বাজে, এখনো দাঁড়িয়ে আছি ঠাঁয়।
একবার দাওনা দেখা মিলি, পড়ছি দুপায়।

১,০৪২ বার দেখা হয়েছে

৯ টি মন্তব্য : “রোমিও”

মওন্তব্য করুন : রাহাত (২০০০-২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।