অমর্ত্য আঁধার

সন্ধ্যার অন্ধকার, সতর্ক বেড়ালের মত এসে
কেমন বদলে দেয় পরিচিত শহরের ছবি।
গোধুলীর কনে দেখা আলো মিলে গেলে পর,
আকাশে থোকায় থোকায় ফোটা অসংখ্য তারাফুল,
নিশ্চল মেঘের ঢেউ আর ত্রস্তে ঘরে ফেরা পাখী;
ধোঁয়াটে ছাঁয়ার রহস্যে আচ্ছন্ন করে চারিদিক।
খোপের বারান্দায় মূর্তির মত বসে ধ্যানী কবুতর,
আরামকেদারায় কিছু দূরে আমি; যখন মগ্ন হই
আজানের শব্দঘেরা গম্ভীর অমর্ত্য আঁধারে,
পথে পথে নামে যেন পরিচিত মৃতের মিছিল,
চারিদিক ভরে ওঠে এক অদ্ভুত বিরহ বিষাদে।
মনে হয়, কতনা না বলা কথা বুকে চেপে নিয়ে,
অলক্ষ্যে চলে গেল আহা আরেকটি চিত্রল দিন!
জীবনঘড়ির কাঁটা চুপি চুপি বদলায় ঘর,
গোরস্থানের বুকে গাঁঢ় হয় ঝিঁঝিঁ’দের ডাক,
সন্ধ্যার আলোছাঁয়া মিশে যায় রাতের কালোয়।

১,৬৭৭ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “অমর্ত্য আঁধার”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    ভাইয়া, দারুণ লাগল।

    মনে হয়, কতনা না বলা কথা বুকে চেপে নিয়ে,
    অলক্ষ্যে চলে গেল আরেকটি চিত্রল দিন!

    দারুণ লাগল এই অংশটা। :thumbup:

    অঃটঃ ভাইয়া, "নিশ্চল মেঘের ঢেউ আর ত্রস্তে ঘরে ফেরা পাখী"- পাখী কি ইচ্ছে করে এই বানানে লিখেছেন?

    জবাব দিন
  2. আন্দালিব (৯৬-০২)

    আমার তো শিরোনামটাই দুর্দান্ত লাগলো! পুরোপুরি কবিতাটা পাঠ করছি। একেবারেই অন্যরকম কবিতাটা, বার বার পড়তে ইচ্ছা করছে।
    আপনি এমন কবিতা আরো লেখেন সাজিদ ভাই। আমার পড়তে খুবই ভালো লাগে! 🙂

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : নীলপদ্ম (১৯৯৩-১৯৯৯)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।