টুশকি ৩২

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২০] [২১] [২২] [২৩] [২৪] [২৫] [২৬] [২৭] [২৮] [২৯] [৩০] [৩১]

১. দেশের অনেক এলাকায় দর্জিকে বলা হয় খলিফা। একটি ভর্তি পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় প্রশ্ন আসল,”চারজন খলিফার নাম লিখ”। একজন লিখল, “হাজী খলিফা, সামাদ খলিফা, সিকদার খলিফা এবং মৌ টেইলার্স এর খলিফা”।

২. ক্লাসরুমের টেবিলের উপর হাজার বিতং লেখা দেখে তার পাশেই জনৈক ব্যক্তির লিখিত মন্তব্য, “টেবিল কি লেখার জায়গা? বান্দর পোলাপানের কাম কারবার যত্তসব। টেবিলে লেখা একদম ঠিক না। আমি কিন্তু কিছুই লিখলাম না”।

৩. ইজ্ঞিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় কোন এক ছাত্রীর খাতায় পাওয়া গেল, “….কি লিখব? লিখতে লিখতে স্টক সব শেষ। কিছুই লিখার পাচ্ছি না। বোরিং লাগছে। আচ্ছা, আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন? আমার মোবাইল নম্বর ০১xxxxxxxxx”।

৪. উপর তলার এক কিউট পিচ্চি পোলা বাসায় বেড়াতে এলে কনফিউজড হয়ে আমার চাচা জিজ্ঞেস করলেন, “আরে এটা ছেলে না মেয়ে”? শুনে আঁতে ঘা লাগল পিচ্চির – ঘাড়টা কাত করে বলল, “আমি কিন্তু লম্বা ুু দিয়ে পিশাব করি”।

৫. ইজ্ঞিনিয়ারিং এর সেমিস্টার পরীক্ষায় বন্ধু কর্তৃক ভালোভাবে পড়িয়ে দেয়া সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে খারাপ করার কারণ হিসেবে জবাবদিহি করছে একজন, “আর বলিস না রে – আমার কিছুই মনে থাকে না। পরীক্ষার দিন সকালে হলের চারতলা থেকে নামার সময় তিন তলায় আসলে বইয়ের নাম ভুলে যাই। দুইতলায় আসলে ভুলি বাপের নাম। আর এক তলায় আসতে আসতে নিজের নামটাই ভুলে যাই – তাই পরীক্ষা খারাপ হয়”।

৬. ইউএন এর কোন একটা মিশন এলাকায় কমপক্ষে ৪৪টা দেশের প্রায় দেড় শতাধিক কর্মীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে একটা বিশাল হলরুমের মধ্যে। কমন বাথরুমে শাওয়ার সেরে সবাই নূন্যতম শালীনতা বজায় রেখে যার যার স্থানে ফেরত আসে। একমাত্র ব্যতিক্রম উত্তর ইউরোপের একটা দেশের দুজন (একজন পুরুষ, একজন নারী)। তাদের মনেই থাকে না যে এটা একটা কমন প্লেস, আর এখানে সবার সামনে উদোম হয়ে গা দলাই মলাই করা যায় না। সবচাইতে সিনিয়র সদস্যের অনুরোধক্রমে তারা কিঞ্চিত শালীনতা শেখে – কিন্তু সপ্তাহ পেরুতে না পেরুতেই যেই লাউ সেই কদু। অন্যান্যরা আপত্তি তুললে নাইজেরিয়ান সেই সিনিয়র সদস্য মৃদু হেসে বলেন, “ধুর – বাদ দাও। ওরা এটাকে নাক, কান, গলা মনে করে”।

৭. কিছুদিন আগে হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়েছিল। বউ বলল, “তোমার পড়াশোনার লোডটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। একটু ব্রেক নাও”। আমার কোর্স চলছে বলে তার চিন্তাও যায় না, “ইস্ – তোমার পায়ে ব্যথা, পড়া বুঝতে নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হবে”।

********
কৃতজ্ঞতা: কোর্সের কলিগদের প্রতি।

৪,৫২৯ বার দেখা হয়েছে

৪৭ টি মন্তব্য : “টুশকি ৩২”

  1. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    হাহাহাহা, ব্যাপক মজা পাইলাম :)) :))
    টুশকি ইজ ব্যাক :thumbup: :thumbup:
    দোস্ত পুরা :pira: :pira:
    আছোস ক্যামন? ব্যাপক বিজি??

    আমি হলের নীচতলা থেইকাই পরীক্ষার হলের দিকে রওনা দিতাম। পরীক্ষার হল থেইকা বাইর হইবার পরও সব মনে থাকতো। কিন্তু নাম্বার পাইয়া ভুইলা যাইতাম খাতায় তো অনেক কিছু লেখসিলাম। যে মাস্টার খাতা কাটতো সেই মনে হয় নাম্বার দিতে ভুইলা যাইতো 🙁


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  2. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    # ৬. :pira: :khekz: :khekz: :khekz:
    # ৭. ভাবীর সূক্ষ রসবোধ দেখে বড়ই আনন্দিত হইলাম! উনি ঠিকই বুঝতে পারছেন কাদের জানি হাঁটুতে মগজ থাকে :khekz: :khekz:
    সায়েদ ভাই, আগে থাইক্যাই :frontroll: :frontroll: :frontroll:


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  3. তানভীর (৯৪-০০)

    সায়েদ ভাই, আবার ফাটায়ে দিলেন টুশকি দিয়ে। চ্রম হইছে, চ্রম। হাসতে হাসতে পিরা গেলাম। :khekz: :khekz: :khekz:
    ভাবীর রসবোধের প্রশংসা করতেই হয়। 😀

    আমাদের টুশকি মামনি কেমন আছে?

    জবাব দিন
  4. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    প্রায় ১২/১২ বছর পর টুশকি... x-(
    জটিল!! 😀 😀 😀

    এইবার পড়াশুনা রিলেটেড বেশি। সায়েদ ভাই, পড়াশুনার চাপ বেশি যাচ্ছে নাকি?? ;;)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  5. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)
    কিছুদিন আগে হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়েছিল। বউ বলল, “তোমার পড়াশোনার লোডটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। একটু ব্রেক নাও”। আমার কোর্স চলছে বলে তার চিন্তাও যায় না, “ইস্ – তোমার পায়ে ব্যথা, পড়া বুঝতে নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হবে”।

    :tuski: :tuski: :tuski:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  6. রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

    :boss: :salute: :boss:


    আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
    ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
    ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
    সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
    ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
    আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

    জবাব দিন
  7. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    আরে এই টুশকি সিরিজ এ্যাদ্দিন আমার চোখেই পড়েনাই।
    আজ একটানে বেশ কয়েকটা সিরিজ পড়ে ফেললাম।
    কয়েকটা রেখে দিলাম দুঃসময়ের জন্য.. 🙂
    হাসাইতে পারোও তুমি।
    হাসতে হাসতে কাইত হয়ে গেলাম।
    অসাধারণ রসবোধ তোমার।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : ইফতেখার (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।