পেশকি-৪ (মোল্লা স্যার স্পেশাল)

খেলাধুলায় ভাল মইনুলকে মোল্লা স্যার খুব পছন্দ করতেন। মোল্লা স্যারের পছন্দের মাত্রা আরো বেড়ে গেলো যখন মইনুল লাথি দিয়ে দুই দুইটা ফুটবল ফাটিয়ে ফেললো।
*****************************
মইনুলের বিধ্বংসী গুনের কারনে আমরা তাকে গন্ডার, বুলেট ইত্যাদি নামে আদর করে ডাকতে থাকলাম। একদিন প্রেপে ওকে একটু বেশী গন্ডার বলা হয়ে গিয়েছিলো, ওই দিন প্রেপ গার্ড ছিলেন মোল্লা স্যার, মইনুল রেগে মোল্লা স্যারের কাছে নালিশ দিতে যাচ্ছিলো। মোল্লা স্যার মইনুল কে গট গট করে আসতে দেখে দূর খেকেই আদূরে গলায় বলল, “এমন গন্ডারের মত ভাইংগা চুইড়া কই যাইতেস?”
******************************
খেলাধুলায় মইনুল যতটা ভাল ছিলো তার গানের গলা এবং সুর ছিল ঠিক তার বিপরীত। সে এটা ভালভাবে জানতো বলেই বাথ্রুম ছাড়া অন্য কোথাও গান গাইতোনা। একবার বাথরুমেই এক জনপ্রিয় গান তার স্বকীয় সুরে গাইতে শুনে বললাম এইটা তুই কি গাচ্ছিস! তার উত্তর, এইটা তুই বুঝবিনা, এইটা হইলো “নিম্নাংগ সংগীত, উচ্চাংগ সংগীতের বড় ভাই”।
*********************************
এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে শোনা, মোল্লা স্যার তাদের প্রথম ক্লাসে পরিচিত হওয়ার জন্য বলল, ” আমার নাম নুরুজ্জামান মোল্লা”। “আমি একটি ছড়া বলবো” মোল্লা স্যার কে ২য় লাইন বলার সুযোগ না দিয়ে পেছন থেকে কে একজন বলে ফেলল।
**********************************
একবার আমাদের কলেজে , হাউস গুলোতে সাডেন ইনস্পেকশান হলো। স্বভাবতই অনেক অবৈধ যিনিস টাকা, ওয়াক ম্যান, খাবার, সিগারেট ইত্যাদি ক্যাডেট দের লকার থেকে পাওয়া গেলো। কয়েক জনের লকার থেকে গাজা এবং মদ ও পাওয়া গেলো। মোল্লা স্যার কতিপয় ক্যাডেট দের এই নৈতিক অবক্ষয় দেখে যারপর নাই হতাশ নিজ মনে বলে যাচ্ছিলেন, ” আল্লারে ক্যাডেটগো লকারে মদ, গাজা থাকে, কয় দিন পর তো লকার খুললে মাইয়া মানুষ লাফ দিয়া বাইর হইবো।”
*******************************
আমাদের ক্যাম্প ফায়ারে, লটারী তে মোল্লা স্যারের ভাগ্যে এসেছে গান গাইতে হবে। মোল্লা স্যার আর গান…………কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে স্যার গাইতে শুরু করলেন,” ক্যায়সে বানী, :awesome: ক্যায়সে বানী, :guitar: ” সাথে তার নাচ…………………সহসা স্যার যেন যৌবনে ফিরে গেলেন।

২,৯২৫ বার দেখা হয়েছে

৫১ টি মন্তব্য : “পেশকি-৪ (মোল্লা স্যার স্পেশাল)”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    মোল্লা স্যার হলো পুরা কিংবদন্তি, উনার কাহিনি বলে শেষ করা যাবে না।
    নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হয় এই ভেবে যে মোল্লা স্যার আর আখতার স্যার(বাংলা) এর হাতে কখনো থাপ্পড় খেতে হয় নাই...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. রিয়াজ (১৯৯৭-২০০৩)

    মোললা স্যারকে একবার মেডিকেল অফিসার স্টুল টেস্ট এর জন্য স্যাম্পল আনতে বলছিল।
    পরেরদিন স্যার একটা পলিথিন এনে হাসপাতালের হাশেম ভাই এর হাতে ধরিয়ে দেয়।
    হাশেম ভাই স্যারকে জিজ্ঞাসা করে, স্যার ভিতরে কি?
    উত্তরে স্যার বললেন,ভিতরে ু।

    জবাব দিন
  3. রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)

    :thumbup: :khekz: :thumbup:


    আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
    ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
    ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
    সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
    ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
    আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

    জবাব দিন
  4. জাহিদ (১৯৯৯-২০০৫)
    আল্লারে ক্যাডেটগো লকারে মদ, গাজা থাকে, কয় দিন পর তো লকার খুললে মাইয়া মানুষ লাফ দিয়া বাইর হইবো।

    সেই সব দিনের কথা মনে করায় দিলেন গো দাদা :dreamy: :dreamy:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেশাদ (৮৯-৯৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।