চমৎকার সময়

আজকে সকালে উঠে হঠাৎ মনে হল, আমরা আসলে খুব সুন্দর একটা সময়ে বাস করছি। ট্র্যাফিক জ্যাম, তীব্র গরম, ইলেক্ট্রিসিটি শুন্যতা, মাথাহীন রাজনীতি সব ছাড়িয়েও এই সময়টা সুন্দর, কারণ ঠিক এই চলমান সময়ে পৃথিবী একটা নতুন কনসেপ্টের সাথে পরিচিত হচ্ছে, আর সেটা হলো ওপেন সোর্স কনসেপ্ট। আমাদের জীবনের অনেক সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়েও পৃথিবীটা আসলে এগিয়ে যাচ্ছে সভ্যতার দিকে, যেটা আমাদের চোখে স্পষ্টত দৃশ্যমান না, কিন্তু খুব ধীরে ধীরেই পরিবর্তনটা আসলে ঘটছে। হয়ত দুশ বছর পর এই পরিবর্তনকে কোন একটা ‘ইজম’ নামে আখ্যায়িত করা হবে।

ওপেন সোর্স নলেজ বা মুক্ত জ্ঞান কে যদি আমরা একটা ফিলোসফি হিসেবে ধরি, তবে এর সংজ্ঞা সম্ভবত হবে, আমি এটা শিখেছি, এবং তোমাকেও শিখাতে চাই, কারণ এতে তোমার, আমার আর আরও অনেকের ভালো হবে। যারা পরিবর্তনের কথা বলতে বলতে এবং শুনতে শুনতে টায়ার্ড হয়ে গেছি, তারা যদি নিজেই পরিবর্তন আনতে চাই, তাহলে পরিবর্তনের জন্য যেই শিক্ষা এবং প্রযুক্তি প্রয়োজন, তা নিজে অর্জন করে অন্যেদের মাঝে বিলিয়ে দিলেই কাজটা হয়ে গেল। বাকিটুকু ভোক্তা নিজেই করে নেবে। উইকিপিডিয়া, খান একাডেমী, টেড ইত্যাদি অসংখ্য উদাহরণ এখন আমাদের হাতে, যেখানে দোকানদার বিনামূল্যে ভোক্তাকে পণ্য দিতে শুধু আগ্রহী না, অত্যন্ত আগ্রহী। এবং মজার ব্যাপার হলো, দৌড়ে এই দোকানররা এখন একা নয়। এটা কি কখনও কল্পনা করা গিয়েছিল কয়েক দশক আগেই, যে, মানুষ মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবে? এরই মাঝে দুশো তিরাশিটি ভাষায় উইকিপিডিয়ার এডিশন আছে, আর্টিকল আছে সব মিলিয়ে বিশ মিলিয়নের মত। টেড এর শুধু ওয়েবসাইটেই আছে এগারোশর বেশি টক, আরও চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কত আছে কেউ জানে না। কি যন্ত্রণা, এরা সবাই যে আপনাকে জ্ঞান দিতে উঠে পরে লেগেছে! আপনি শুধু রাজামশাইএর মত ইচ্ছে করুন, কোন দিকে আপনি যাবেন।

আসলে এরকম মানুষ যুগে যুগেই আছে। ইন্টারনেটের যুগে আমরা এদের খুঁজে পাই চোখের সামনে। এজন্যই একজন ক্যামেরুন সিনক্লেয়ার রাশভারী এলিট আর্কিটেক্টদের মধ্যে থেকেও দুম করে ওপেন সোর্স আর্কিটেকচারের জন্ম দিয়ে বসেন। তার অসাধারণ আর বিখ্যাত টেড টকটি দেখতে পারেন এখান থেকে। আর তাছাড়া, তাবত ইন্টারনেটটাই তো বলা চলে ওপেন সোর্স। ওপেন সোর্স সফটওয়ার দিয়ে এই এখন আমি লিখছিই…অভ্র। এছাড়াও ওএস আছে লিনাক্স।

গতকালই এত চিন্তা করে ঘুমিয়েছি, আর সকালে উঠেই পেয়ে গেলাম এই ভিডিওটা। রাব্বানী স্যারের এ ভিডিওটি যারা দেখেননি, তারা অবশ্যই সময় করে দেখে নেবেন। প্রফেসর কে. সিদ্দিক-ই রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এবং টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। সিসিবির দুষ্টজনেরা এখনই নড়ে চড়ে বসলেন? জ্বিনা, আমার লেজের ডিপার্টমেন্ট বলে গুণ গাইতে আসি নাই। রাব্বানী স্যার বাংলাদেশের জন্য একখানা জলজ্যান্ত লেজেন্ড। নেট এর ‘স্লো মোশনের’ কারণে যারা দেখতে পাবেন না, তারা সচলায়তনের এই লেখাটা পড়ে আসতে পারেন।

সব মিলিয়ে আমার কাছে ওপেন সোর্স এইই-

-আমি কষ্ট করে কিছু তথ্য জানতে পেরেছি, এগুলো তোমার কাজে লাগলে আমি খুশী হবো।
-তুমি গতকাল যে তথ্য গুলো আমায় দিয়েছিলে, সেগুলো সাজিয়ে এই অনুকল্পটি বের হয়েছে। দেখ তো, কেমন?

কদিন আগে আমার খুব প্রিয় একটি জুনিয়র ছেলে চমৎকার একটা কথা বলেছে, পৃথিবীর মহৎ কাজগুলো প্রতিযোগিতায় না, সহযোগিতায় হয়েছে। আমি এমন একটা পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, যেখানে মানুষের জন্য মানুষের সহযোগিতার হাত বাড়ানোই থাকবে সবসময়, যেমন ফায়ারওয়াল থাকে উইন্ডোজে (বিল্ট ইন আরকি :p)। আমি স্বপ্ন দেখি এমন একটা পৃথিবীর, যেখানে মানুষ ‘ভাল’র জন্য, সত্যের জন্য কাজ করবে। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ নিজের কাঁধ এগিয়ে দিবে পাশের মানুষের জন্য।

তাহলে অবশ্য সমস্যা, সারাদিন পাশের মানুষের কাধে মাথা দিয়ে রাখতে হবে, নিজের কাধে আরেক মানুষের মাথা নিয়ে।

আমার অবশ্য এই মধুর সমস্যায় পরতে কোন সমস্যা নাই 😀

২,৭৩৩ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “চমৎকার সময়”

  1. নাফিজ (০৩-০৯)

    আপু খুব চমৎকার একটা লেখা, খুব পরিষ্কার চিন্তাভাবনা নিয়ে লিখেছেন ... আশাবাদী লেখা পড়তে ভালো লাগে... 🙂

    ওপেনসোর্স বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর প্রযুক্তি ও ইনফরমেশনের সবচে বড় উৎস। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোর কিছু মানুষজন বাদে ওপেনসোর্সের উপকারিতাটা খুব কম মানুষই পাচ্ছে- ঠিকভাবে বলতে গেলে, বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধাটাই পাচ্ছেনা। আপনি- আমি ted, wiki থেকে যে সুবিধাটা পাচ্ছি, সেটা এই অজ্ঞ লোকগুলোর কাছে "নিজের বেগার খেটে" পৌঁছে দেয়া উচিত আমাদের। সেটা নিজের মত করে বই লিখে হোক, কিংবা ভিডিও পৌঁছে দিয়ে হোক। যাদের তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা নেই, যেকোনভাবে তাদের কাছে ওপেনসোর্সের জ্ঞানটা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদেরই নেয়া উচিত। যেমন ধরুন খান অ্যাকাডেমীর ভিডিও বাংলা অনুবাদের উদ্যোগটা খুব প্রশংসনীয়।

    আবার বলি, অসাধারণ আশাবাদী লেখা :thumbup: :thumbup: :thumbup:


    আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।

    জবাব দিন
  2. জিহাদ (৯৯-০৫)

    আহেম। তোমার কাঁধে মাথা রেখে আগায় যেতে চাইলে হয়রানাবীর আবার মাইন্ড করবোনা তো? 😀

    ওপেনসোর্স কনসেপ্টটা আসলেই কী দারুণ! ভবিষ্যতে আমরা আরো বেশিরকমের মানুষ হবো, নাকি আবার বানরে বিবর্তিত হবো - তার উত্তর সম্ভবত নির্ভর করছে এই কনসেপ্টটাকে কিভাবে গ্রহণ করছি বা করবো তার ওপর।

    পৃথিবীর মহৎ কাজগুলো প্রতিযোগিতায় না, সহযোগিতায় হয়েছে।

    অসাধারণ উক্তি।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ভিডিওটা আগেই দেখেছিলাম, ধরনের ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মানুষদের দেখলে নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হয়, কারন খাওয়ার বেলায় সব কিছু চেটেপুটে খেয়েও ঘরের মোষটাও ঠিকমত তাড়াচ্ছি না, বনের মোষ তো অনেক দূরের কথা।

    অসাধারন লাগলো লেখাটা, পাঁচতারা :hatsoff:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. রকিব (০১-০৭)

    ওপেন সোর্সের পূর্ণায়ন কিংবা সর্বস্তরে বাস্তবায়ন এখনো বেশ দূরের ব্যাপার; তবে সুখের বিষয় পুরো ব্যাপারটাই মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করছে। পুঁজিবাদিদের জন্য যদিও এটা বেশ চিন্তার ব্যাপার, কারণ পুঁজিবাদের গোড়ায় গিয়ে ওপেন সোর্স গুঁতো দেয়। কেন জানি ওপেন সোর্স আইডিয়াটাকেই আমার কাছে সাম্যবাদ সাম্যবাদ লাগে; সবাই সমান সুযোগ পাবে। উপরে নাফিজের এই মন্তব্যটা খুব ভালো লেগেছে-

    " আপনি- আমি ted, wiki থেকে যে সুবিধাটা পাচ্ছি, সেটা এই অজ্ঞ লোকগুলোর কাছে “নিজের বেগার খেটে” পৌঁছে দেয়া উচিত আমাদের। সেটা নিজের মত করে বই লিখে হোক, কিংবা ভিডিও পৌঁছে দিয়ে হোক। যাদের তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধা নেই, যেকোনভাবে তাদের কাছে ওপেনসোর্সের জ্ঞানটা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদেরই নেয়া উচিত।"

    অফটপিকঃ

    আমার লেজের ডিপার্টমেন্ট বলে গুণ গাইতে আসি নাই।

    এই ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারিনি। একটু ব্যাখ্যা করলে ভালো হতো সামিয়াপু 😀


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  5. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)
    পৃথিবীর মহৎ কাজগুলো প্রতিযোগিতায় না, সহযোগিতায় হয়েছে

    ওপেন সোর্স টেকনোলজির সংজ্ঞায়নটা কী ভুল হলো?

    আমি এটা শিখেছি, এবং তোমাকেও শিখাতে চাই, কারণ এতে তোমার, আমার আর আরও অনেকের ভালো হবে। আর, এতে আমি কিন্তু পয়সা চাচ্ছি না।

    একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। ওপেন সোর্স আর ফ্রি এক জিনিস না।

    সফটওয়ারের কথা যদি ধরি, অনেক ওপেন সোর্স সফটওয়ার আছে যেগুলো টাকা দিয়েই কিনতে হয়। কিন্তু গতানুগতিক সফটওয়ারের সাথে এদের মূল পার্থক্য থাকে, কোডটা উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে কোডটি নিজের মতো করে, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু ইটসেলফ আসল সফটওয়ার কিনতে গেলে তোকে পয়সা দিতেই হবে। একই সাথে ওপেন সোর্স ফ্রি সফটওয়ারও আছে।

    টেকনোলজির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। যেমন ধর ওরডুইনো কথা। ওরা কম্পিউটারের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য সিস্টেম তৈরি করে। সিসটেমটির তৈরি সকল তথ্য যেমন হার্ডওয়ার, সফটওয়ার সব উন্মুক্ত করে দেওয়া আছে। কিন্তু একটা ওরডুইনো বোর্ড যদি তুই কিনতে চাস, তাহলে সেটা কিন্তু পয়সা দিয়েই কিনতে হবে। ডেভেলোপাররা সেখান থেকে লাভও রাখবে।

    মোর সাসটেইনেবল, তাই না?

    জবাব দিন
  6. আন্দালিব (৯৬-০২)

    লেখাটা পড়তে পড়তে আবার সেইদিনের টকগুলোর কথা মনে পড়ল। অদ্ভুত ভাল লেগেছে, অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি ওইদিন। আমার আশেপাশের সমাজ নিয়ে একটা নেতিবাচক হতাশা কাজ করত সবসময়, সেটা অনেকটাই কেটে গেছে। এখনো স্কেপটিকভাবে দেখি, তবে হতাশ হই না। কার্যকারণ দেখতে পাই। 😀

    ওপেনসোর্স জিনিসটা যত বেশি মানুষের মধ্যে ছড়ানো যাবে, ততবেশি টেকনোলজি ছড়াবে। এজন্য আসলে মানুষের ইগোসিস্টেমে বুস্ট দেয়া দরকার। যেমন- 'তুমি এইটা বানিয়েছ, এইটা সবাই ইউজ করলে তো তোমারই নাম ফাটবে। কী দারুণ হবে, তাই না?' আর যারা এমনি এমনিই কাজ করে, তারা তো করবেই!

    জবাব দিন
  7. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    "ওপেন সোর্স" অনেকটা "প্যাটেন্ট" এর বিপরীত জিনিস। অনেকটা বললাম, কারন পুরো ধারনাটা এখনো নেই।

    ইকনমিক্স আলাদা সাবজেক্ট। তবে একটা কথা মাথায় রাখা জরুরী, "নাথিং ইজ ফ্রী" । এটা সম্ভব নয়। কাউকে না কাউকে টাকা দিতে হবে। অনুদান হোক বা দাম, সোর্সিং থাকতে হবে।

    কতটুকু তা নিয়ে কথা হতে পারে। ৬০ টাকার সল্যুশন প্যাটেন্ট করে ৬০০ টাকায় বেচলে আপনি আর মানুষ থাকলেন না। পুজিপতি হয়ে গেলেন। বা আপনার খর্চার টাকা উঠলে আপনি বিনা পয়সায় বিলানো শুরু করতে পারেন। মানবতাবোধ থেকে।

    সমস্যা বলি বা যাই বলি, টাকা একটা ফ্যাক্টর। রাব্বানী স্যারেও টাকার দরকার হয়, থিসিসের জন্য। তো, এটা আসবে কোত্থেকে? সরকার থেকে। সরকার যদি না দেয়? অন্য সোর্স থেকে। অন্য সোর্স যদি লাভ খুজে? তখন তো তাই করতে হবে যাতে এট লিস্ট খরচাটা উঠে আসে, তাই না। প্যাটেন্ট বলে, এটা আমার, গবেষনাও আমি করবো, আজীবন আমিই এখান থেকে টাকা কামাবো, ওপেন সোর্স তা বলে না, বরং বলে, আমি এটুকু করেছি, দেখ তুমি আরও নতুন কিছু করতে পার কিনা।

    রায়হান আবীর সংক্ষেপেই বলেছে, ওপেন সোর্স ফ্রী নয়, এখন পর্যন্ত তো নয়ই। (সম্পাদিত)


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  8. তানভীর (২০০১-২০০৭)

    আপু আপনার বিষয় নির্বাচনে ১০০ তে ১১০ দিব।
    চমৎকার। কিছু শিখলাম ও বৈকি। আবার ফ্রন্ট রোল দিতে বলেন না, আমি মক্রা ক্যাডেট :boss: :boss: :boss: :boss:

    সব মিলিয়ে আমার কাছে ওপেন সোর্স এইই-

    -আমি কষ্ট করে কিছু তথ্য জানতে পেরেছি, এগুলো তোমার কাজে লাগলে আমি খুশী হবো।
    -তুমি গতকাল যে তথ্য গুলো আমায় দিয়েছিলে, সেগুলো সাজিয়ে এই অনুকল্পটি বের হয়েছে। দেখ তো, কেমন?


    তানভীর আহমেদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রেজা শাওন (২০০১-২০০৭)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।