ঘুড়ি ২৯

…u can not make people listen to u, they are so busy preaching their own religion..interestingly u are not hearing too, coz, u hav your own.

সব মানুষকে মনের কথা খুলে বলা যায় না…মানুষ তার নিজের মনের কথাটা শোনাতে এত ব্যস্ত থাকে যে, তোমার কথা গুলো তার মাঝে হারিয়েই যাবে। তার বক্তব্যের চাপে তোমার সহজ সরল অভিজ্ঞতা গুলো, ভুল প্রমাণিত হয়ে মিথ্যে হয়ে যাবে। তুমি অবাক হয়ে দেখবে, তোমার ঘটনা আসলে ঘটেই নি, সে মিথ্যে ছিল। তুমি চোখের পাতি ফেলে, চোখ রগড়াতে রগড়াতে ভালো করে খুজে দেখবে, দেখবে আর কোথাও নেইই ঘটনাগুলো, যেন তারা কোনদিন ছিল না।

তুমি দেখবে তুমিই সবচেয়ে ছোট, আসলে সবাই অনেক জ্ঞানী, আসলে সবাই অনেক শক্ত সমর্থ, সবাই অনেক মহৎ। তাই সন্ধ্যেবেলা, প্রথম সুযোগে, তুমিও হয়ে উঠবে অনেক জ্ঞানী, শক্তিশালী আর মহৎ। তোমার চমকে চমকিত হয়ে যাবে সব্বাই, আর তুমি, ঠিক তক্ষুনি… খুজে বের করবে, আসলে সেই জ্ঞান, শক্তি আর মহত্ব, ঘোরলাগা চমকই কেবল। জ্ঞান বলে কিছু আছে? জোর যার, জ্ঞান তারই…জোর যার, দৃঢ়তাও তারই, তাকেই মানবে সকলে। তুমি কে? তুমি কেউ নও…তুমি প্রতিযোগিতায় টেকো নি? তোমার তকমা নেই? তুমি মুছে গেছো…তুমি মুছে গেছো পৃথিবীর সৌন্দর্য থেকে…তুমি মুছে গেছো জ্ঞান, বিজ্ঞান, সাহিত্য, শিল্পকলা থেকে…তুমি এমনকি মুছে গেছো মানুষের মনের আঙ্গিনা থেকেও…তুমি কেউ নও, কেউই নও।

……………………………………………………………………………………………

আমার বুকের ভেতর বাসা বেঁধেছে কাক…আমার ভেতরের রঙটা টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসতে চায় তারা, আমার হিংস্র শিরাগুলো, বাঘিনীর মত ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত টানটান হয়ে থাকা মাংসের পিন্ডগুলো…কিছুই বাদ যায়নি কাকেদের কবল থেকে…আমি একরাশ মানুষের সামনে বড় বেশি নির্লজ্জ হয়ে যাই, হৃৎপিন্ড হৃত হয়ে।

আমি হৃৎপিন্ড হারা মানুষ, সব মানুষের ভীড়ে হেঁটে যেতে যেতে সকলের ঘৃণা কুড়াই, আমি মাথা ঝাঁকিয়ে তাদের অভিবাদন জানাই, তাদের ঘৃণাদেরও, তাদের শিরায় লুকিয়ে থাকা তিরস্কার আমার শিরার জন্য… আমি অভিবাদন জানাই। আমি অভিবাদন জানাই আমার ফিরে আসা দিনগুলোকে, সেই বিদ্যুৎ চমকানোর দিনগুলোকে, রাতের আঁধারে একরাশ পাতার মাঝখান দিয়ে, আমি অভিবাদন জানাই।

মিথ্যের ঝুলি দিয়ে আবৃত করা আমার দেহের সভ্যতাকে কাকেরা খুঁড়ে খুঁড়ে বের করে ফেলার পর, আমি শহরের রক্ষক হয়ে যাই। আমি সকলকে মাথা ঝুকিয়ে অভিবাদন জানাতে থাকি, আমি ঘৃণাকে দেহের প্রতিটি আনাচে কানাচে জড়িয়ে নিতে থাকি; আমার নির্লজ্জ শরীরে…আমি ঘৃণাকে পোশাকের মত করে জড়িয়ে নিতে থাকি।

আমি আর একবার বুঝে যাই, আমি কেউ নই, কেউই নই।

৬,১৭৭ বার দেখা হয়েছে

৬৭ টি মন্তব্য : “ঘুড়ি ২৯”

  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    জিহাদ আর আদনান ভাই হয়তো লিখায় তোমার মন খারাপের জায়গাটা ধরতে পারছে। আমি নিম্ন বুদ্ধির প্রাণী। শুধু এটুকু বুঝছি এটা মন খারাপ করা লেখা। যে কারণেই হোক মন খারাপটা কেটে যাক এই কামনা রইলো।

    জবাব দিন
  2. রাব্বী (৯২-৯৮)

    উরেব্বাস! লোকজন ব্যাপক হাইভোল্টেজ কথাবার্তা কয়! যাউজ্ঞা, মানুষ স্বার্থপর প্রাণী এইটাই হলো ব্যাপার। নিজেরেই শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতেই সব্বাই ব্যস্ত থাকে। মোদ্দাকথা হইলো, দেখ সবাই আমি কি কুল! এইটা বুঝতে পারাই ব্যাপারস -

    আমি কেউ নই, কেউই নই


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  3. রিয়াজ (৯৮-০৪)

    মানুষ তার নিজের মনের কথাটা শোনাতে এত ব্যস্ত থাকে যে, তোমার কথা গুলো তার মাঝে হারিয়েই যাবে
    আমি আর একবার বুঝে যাই, আমি কেউ নই, কেউই নই।
    (সম্পাদিত)


    জানি সত্য নয়,শুধু কল্পনায়...ইচ্ছের ঘুড়ি আমরা ওড়াই...স্বপ্ন গুলো সত্যি হবে তারি অপেক্ষায়

    জবাব দিন
  4. তাইফুর (৯২-৯৮)
    …u can not make people listen to u, they are so busy preaching their own religion..interestingly u are not hearing too, coz, u hav your own.

    ক্রিং ক্রিং ... হ্যালো
    দোস্ত, তোর সময় আছে ?? কথা বলতে পারবি ??
    হ্যা ...
    তাইলে শোন ...
    :grr:


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমিও আমিনের দলে, কিছুই বুঝি নাই, খালি বুঝছি মন খারাপ... তাড়াতাড়ি মন ভাল হয়ে যাক


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  6. তাইফুর (৯২-৯৮)

    সামিয়া ... মিয়া এ এ
    ওয়াক্কা ওয়াক্কা এ এ এ
    সামিয়া ... মিয়া জংগলে যা
    ঘুইরা আয় আফ্রিকা


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  7. আছিব (২০০০-২০০৬)

    সামিয়াপ্পির পুস্টের একটা চরম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে (মানে এতদিন বুঝতাম) 😛
    সহজ-সাবলীল ভাষায় ফ্যাক্ট তুলে ধরা। কিন্তু আইজকা ইডা পড়তে বইসা পুরাই জিলাপির রস কইমা গ্যাছে, ~x( আপনে ক্যান এত বুঝেন আর আমি ক্যান এত কম বুঝি :bash: :মাথা চুলকানোর ইমো:

    জবাব দিন
  8. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    আই ওয়েন্ট বেগিং পার্ডন... 🙁
    মাফ চায়া গেলাম... ~x(

    'ঘুড়ি' কি তোদের ফ্যামিলি টাইটেল নাকি?? (ঘুড়ি...ইচ্ছে ঘুড়ি...!!) 😛
    তোদের নেক্সট জেনারেশন শিওর বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন হইব...আর ঘুড্ডি উড়াইব... :dreamy:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  9. ফখরুল (০৪-১০)

    কিন্তু আপু একটা কথা, পোষ্ট এর নাম "ঘুড়ি ২৯" দেইখা ভাবলাম আপনি মনে হয় "মিগ-29" নিয়া কোনো টেকি পোষ্ট দিসেন ...যেখানে "ঘুড়ি" একটি রূপক যা আসলে বিখ্যাত "মিগ বিমান" কে নির্দেশ করছে :-B
    (এত বুদ্ধি নিয়া ঘুমাই কেমনে সেটা নিয়া ভাবতেসি)
    যাই হোক পোষ্ট এ ঢূইকা দেখি কেম্নে কি ??? 🙁

    জবাব দিন
  10. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    (চোখ কচলানোর ইমো)
    (মাথায় এন্টেনার ইমো)

    খাইছে, স্যাম এইটা কি লিখছে!! ওরে কি আন্দা রোগে পাইলো?? 🙁

    নাহ্‌, মেয়েটা আমার বড় হয়ে গেছে! ওরে এখন বিয়া দিয়া দিতে হইবো............ 😀


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  11. আন্দালিব (৯৬-০২)

    লেখাটা কিন্তু আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারণ আমি জানি এই পরিস্থিতিটা কতো বাজে। আশেপাশে লোকজন এমনভাবে বয়ান করে, আমি হতবাক হয়ে যাই। আমি তো কোনোকিছু নিয়ে এতো কনফিডেন্ট হয়ে কিছু বলতে পারি না! (কোন কিছু নিয়েই পারি না, এটা খুব অস্বস্তিতে ফেলে দেয় মাঝে মাঝে)

    দুনিয়ায় যতো কিছুর সংজ্ঞা আছে, তার চেয়ে ঢের বেশি অসংজ্ঞায়িত জিনিস রয়েছে। এমনকি যেসব জিনিস অলরেডি ব্যাখ্যা করা হয়ে গেছে, সেগুলোও ভেঙে-চুরে পড়ছে। সেখানে মানুষ কেমন করে এমন বয়ান ঝাড়ে?!

    আমার মনে হয়, এসব মানুষ খালি কলসির মতো। বেশি ঢ্যাংঢ্যাং করে। এগুলো কলসি নিয়ে বেশি ভেবো না। 🙂

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      থেঙ্কু আন্দা ভাই 😛 ।
      কলসিরা মাঝে মাঝে ঝাড়ি দিয়ে ডিব্বা বানিয়ে দিতে চায়, তখন ভয় লেগে যায়। একদম হাতে কলমে প্রমাণ করে দেখায়, তুমি তো ডিব্বাই, তার বেশি কিছু নও। 🙁

      জবাব দিন
      • আন্দালিব (৯৬-০২)

        করবা কি, ঝেড়ে দুইটা গালি দিবা। একেবারে ইমেজ বা পজিশনের কথা চিন্তা না করেই। হঠাৎ করে অমন গালি খেলে, কলসিরা হকচকিয়ে যাবে। তখন আবার শান্ত গলায় কথা বলে বুঝায় দিবা যে তুমি ডিব্বা না। বরং সে/তারা এক একটা কলসি, খালি পেটে ঢ্যাং ঢ্যাং করে বাজছে। বেশি ব্যাখ্যা করার দরকার নাই, কারণ তারাও জানে যে তাদের পেটে কোনো বিদ্যা নাই।

        অট- পৃথার কাছে কিছু কিছু কাহিনী শুনলাম। মনে হয় বুঝতে পারছি ঘটনাবলী। 😉

        জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সামিয়া (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।