পলাশীর পত্র..

অণুব্লগ লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে কয়েকদিন ধরে। আমিও ভাবছিলাম লিখবো কিছু নিয়ে। অনেক কিছুই দেখি আশেপাশে যা নিয়ে বিরক্ত বা চিন্তিত হই। কিন্তু আলসেমি করে লেখা হচ্ছে না। সেদিন মোকাব্বির ভাই বললেন- “মাঝে মাঝে কথা জমলে এইভাবে বাইর কইরা দিবা! তাইলেই হবে! বালটির মাঝে জমায় রাখার কোন মানে নাই! :P”
তাই ভাবলাম আর জমিয়ে রেখে লাভ নাই। কিছু প্যাঁচাল বের করে দেই। ভাল হোক মন্দ হোক যারা পড়বে তারা বুঝবে 😛

**মুঠোফোনে বদনজর

“বেশ কিছুদিন হল লেখালেখি থেকে দূরে চলে গেছিলাম। আজ হঠাৎ মনে হল কিছু একটা লেখা দরকার। কে যেন বলেছিল, ‘দেরি করলে লেট হয়ে যায়’। তাই দেরি করলাম না আর। বাস এ করে আসছিলাম মিরপুর থেকে। মোবাইল বের করেই লেখা শুরু করে দিলাম”।

-এইটুকু লিখেই লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারণ আর কিছুই না। পাশের সিটে বসা লোকটা বারবার মোবাইলের দিকে তাকাচ্ছিল। আমি কী লিখছি সেটা দেখার খুবই আগ্রহ দেখছিলাম তার মধ্যে। কেউ এভাবে তাকালে কি আর লেখা যায়?? মেজাজ খারাপ করে মোবাইল পকেটে রেখে দিলাম। মানুষগুলোর সেন্স হবে কবে তাই ভাবি। বাস এ পাশে বসা একজন অপরিচিত মানুষ তার মোবাইলে যা খুশি তাই লিখতে পারে, যাকে তাকে মেসেজ দিতে পারে। তার মধ্যে হয়তো পার্সোনাল কথাবার্তাও থাকতে পারে। কিন্তু এভাবে তাকিয়ে দেখা কোনদেশি আচরণ??

আমার পাশে বসে হয়তো কেউ ওভাবে মোবাইলে মেসেজ দিচ্ছে দেখলে আমি সবসময় চোখ ফিরিয়ে রাখি অন্যদিকে। লোকটি যাতে অস্বস্তিবোধ না করে তার চেষ্টা করি।
ভাল্লাগেনা; এরপরে যদি এরকম হয়, তাহলে কোন উল্টাপাল্টা ছবি ফোনে ডাউনলোড করে লোকটার চোখের সামনে ধরবো। জিজ্ঞেস করবো- “কী ভাই, চলবে নাকি?? আপনের ব্লু-টুথটা অন করেন তো”।

**ফুটপাতে উৎপাত

ঢাকা শহরে আগে এরকম ছিলনা। ইদানীং খুব শুরু হইছে। আপনি হয়তো শান্তশিষ্ট ভাবে ফুটপাত দিয়ে হাটছেন, হঠাৎ করেই পিছনে ভ্রুম-ভ্রুম, ভটভট শব্দে লাফিয়ে উঠতে পারেন। খুব বেশি ভয় পেয়ে গেলে পাশের নর্দমায় পরে যাওয়াও বিচিত্র নয়। নর্দমা থেকে উঠে দেখবেন এবড়োথেবড়ো ফুটপাত দিয়ে আঁকাবাঁকা, ত্যাড়াব্যাকা হয়ে কয়েকটা মোটরসাইকেল চলে গেল।

এইসব বাইক চালকেরা খুবই ভাল চালায়। এত বেশি ভাল চালায়, যে রাস্তা তাদের ভাল লাগেনা। তাদের দরকার থ্রিল, উত্তেজনা। এরা সারাদিন অফিস করে রাতে দেখে “ধুম থ্রি” কিংবা “ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস”। আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে প্র্যাকটিস করে কিভাবে “আমির খানের” মত স্টান্ট দেওয়া যায়। ঢাকা শহরে তো ওইসব ট্রেন, লরী কিংবা বিল্ডিং পায়না বাইক নিয়ে লাফালাফি করার জন্য, তাই তারা পায়ে হাঁটা আমপাবলিক আর ফুটপাতের হকারের দোকান টার্গেট করে। আর পাবলিকের উপরে “scare the shit out” বলে যে একটা phrase আছে, তার বাস্তবায়ন ঘটায়।

**ভর্তি বিড়ম্বনা

এখন দেশে চলছে ভার্সিটি এডমিশনের মৌসুম। কোচিং সেন্টারগুলোর রমরমা ব্যবসা, অভিভাবকদের টেনশন আর বাচ্চা পোলাপানদের হাসিখুশি মিলিয়ে গিয়ে বিষাদে ভরা চেহারা এখন সবখানে। ৪ বছর আগে আমিও এমনই টেনশনে দিন পার করেছি ভাবতেই মন খারাপ হয়ে যায়। ভর্তি পরীক্ষার এই ৫/৬ মাস থাকতে হয়েছে ফার্মগেটের এক বস্তাপচা হোস্টেলে। মাত্র ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়েছি তখন। অনেক বেশি আরাম-আয়েশে থাকার পরে কেউ যেন জোর করে আস্তাকুড়ে ফেলে দিলো। বাপ প্রচুর টাকা খরচ করছে জানতাম। তাই চেষ্টাও করেছি তাকে নিরাশ না করার। আল্লাহর রহমতে ভাল জায়গায় ভর্তি হলাম। এখন খুব একটা খারাপ নেই বলা যায়। কিন্তু ওইদিন গুলোর কথা মনে পরলে খুবই খারাপ লাগে। এত বেশি হতাশার মাঝে দিন কেটেছে তখন যে সেসব দিনের কথা মনে পরলে অজান্তেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।

যাই হোক, কথা সেটা না। কথা হচ্ছে- এই পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার। প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলেমেয়ে চলে আসে ঢাকায়। মৌসুমী হোস্টেল ব্যবসায়ীরা তাদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে যা খুশি তাই করে। এমনিতেই বাড়ি থেকে দূরে থাকে বলে তাদের মনের অবস্থা ভাল থাকেনা। তার উপরে প্রতিদিন ‘তেলাপিয়া মাছ’ এর ঝোল আর ‘হাস্যকর মুরগীর’ টুকরা খেয়ে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে।
দেশের সবকিছুই এখন ঢাকাকেন্দ্রিক। এই জিনিসটা কবে বন্ধ হবে কে জানে। কিছু একটা হলেই সবাই আসে। আমরাও এসেছি বাধ্য হয়ে। কোচিং হোক, আর ভার্সিটিই হোক সেগুলো কী সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায় না? হ্যাঁ, সারাদেশেও এখন ভার্সিটি করা হচ্ছে, কিন্তু তবু ঢাকার উপরে চাপ কমছে না। কারণ, কোয়ালিটি এক না। ঢাকার বাইরে শুধু প্রতিষ্ঠান বানালেই চলবে না। সেগুলোর শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মান যাতে ঢাকার প্রতিষ্ঠান গুলোর মতই হয়; ছেলেমেয়েরা যাতে নিজের শহরে থেকেই মানসম্মত শিক্ষা পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

একটা কথাই খালি মনে আসছে আমার- “পাতলা ডাইল আর আলুভত্তা খেয়েও স্বপ্ন দেখা যায়, কিন্তু তা স্পষ্ট দেখার জন্য যেন চোখে চশমা না দিতে হয়”।

২২ টি মন্তব্য : “পলাশীর পত্র..”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)
    সারাদেশেও এখন ভার্সিটি করা হচ্ছে, কিন্তু তবু ঢাকার উপরে চাপ কমছে না। কারণ, কোয়ালিটি এক না। ঢাকার বাইরে শুধু প্রতিষ্ঠান বানালেই চলবে না। সেগুলোর শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মান যাতে ঢাকার প্রতিষ্ঠান গুলোর মতই হয়; ছেলেমেয়েরা যাতে নিজের শহরে থেকেই মানসম্মত শিক্ষা পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

    যে কোন একটি ফ্যাক্টরের বিকেন্দ্রীকরণ করলে কোনদিন ঢাকার উপর চাপ কমবে না।
    ঢাকার বাইরে শিক্ষার মান খারাপ কেন? কেননা ভাল শিক্ষক এবং শিক্ষার অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অভাব।
    ভাল শিক্ষক এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার অভাব কেননা ঢাকার বাইরে ভাল শিক্ষকরা থাকতে চান না। চাইবেন কেন - বেতনের বাইরে অন্য কোথাও কনসাল্টেন্সি/প্রাইভেট ইউনিতে গেস্ট লেকচারার হিসাবে কাজ করা সুযোগ কম, তাছাড়া বাচ্চার লেখাপড়ার জন্য ভাল স্কুল-কলেজ নেই, পোশাক-পরিচ্ছদ কেনার জন্য ভাল শপিং সেন্টার নেই, এছাড়াও স্ত্রীর কেনাকাটা, পিৎসা হাট, আমেরিকান বার্গার, মুভ এন্ড পিক... নেই!
    সরকারী-বেসরকারী প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের হেড অফিস ঢাকায়। মন্ত্রণালয়, সচিবালয় কিংবা আর্মি, নেভী, এয়ারফোর্স, বিজিবি, পুলিশ, আনসার... সব হেড কোয়ার্টার ঢাকায়। এমনকি নামকরা দেশি-বিদেশি সব এনজিও'র হেড অফিসও ঢাকায়। এই কারনে সামান্য কাজের জন্যও মানুষকে দুর-দুরান্ত থেকে ঢাকায় দৌঁড়াতে হয়। তাহলে চাপ কমবে কিভাবে?

    দেশের সকল স্তরে, সকল পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ না হলে ঢাকার উপর জীবনেও চাপ কমবে না।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    শুনছিলাম চামড়া কারখানার (ভয় পাইয়ো না, অরিজিনাল চামড়ার কথা কইছি। আরে সবই তো অরিজিনাল চামড়া। গরু বকরির চামড়ার কথা কইতেছি) ঢাকার বাইরে কোথায় যেন নিয়ে যাইতে চাইছিল। ব্যবসায়ী সমিতি হাইকোর্টে রিট করে আটকায় রাখছে নাকি। (শোনা কথা)

    ঢাকার উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে চাকরি নিয়ে গিয়েছিলাম নীলফামারীতে। এ আরেক লেভেলের প্যারা। থাকা খাওয়ার সুবিধাটুকু ছাড়া আর কোন সুবিধাই নাই 🙁 একটু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে চাইলেও ঢাকায় আস্তে হয়। রংপুরেও কাজ হয় না। ফলাফল, আবারো ঢাকায়।

    আর মানুষের প্রাইভেসী সেন্স নিয়ে কি কইতাম? যে মানুষ স্বামী- স্ত্রীর কথার মধ্যে নাক ঢুকায় দেয় সেই মানুষ মোবাইলের দিকে তাকাবে না কি গাড়ির চাক্কা গুনবে???


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন
  3. সামিউল(২০০৪-১০)

    সবার মত আমারও ইচ্ছা ছিল ভাল জায়গায় পড়ার। তাই ঢাকায় আসতেই হয়েছিল। কারণ অন্যখানে ভাল মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব। বুয়েট ঢাকায় বলেই আমি এখন এই জঞ্জালে ভরা শহরে থাকছি বাধ্য হয়ে।
    অন্য কোন শহরে এটা থাকলে বা এর মত ভাল ভার্সিটি থাকলে কখনোই ঢাকায় থাকতাম না।
    চাকুরী করার ইচ্ছা ঢাকার বাইরে। অনেকদিন সহ্য করলাম, আর কত???
    বিকেন্দ্রীকরণ জিনিসটা কবে শুরু হবে কে জানে?? এখনকার মত মানসিকতা যদি আমাদের দেশের হরতাকরতারা ত্যাগ না করতে পারে তবে আগামী কয়েকবছরে আর এই শহরে থাকাই যাবেনা।
    এখনো টাইম আছে, তেনারা কবে বুঝবেন সেই আশাতেই আছি।


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  4. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    যাক লিখে ফেলেছ দেখা যায়! :clap:

    বাঙলা, বিহার উড়িষ্যার অণুনবাব ফয়েজ ভাই হারিয়ে যাওয়ার পর নতুন করে অণু আন্দোলন চালু করার আমাকে স্বর্ণপদক দেয়া উচিৎ! B-)

    এশিয়ার আরেকটি বদঅভ্যাসের ধাক্কা এখনেও সামলানো লাগে। গত পরশু আর মুখ সামলাইতে পারি নাই। কথা বলে ফেলসি। এখন দেখা হইলে বিরক্তিকর চোখ নিয়ে তাকায় অথচ আমি খারাপ কিছু বলি নাই। কাহিনী হইলো লিফটে করে নিচে নামলাম। দরজা খুলতেই দেখি একদম দরজার সামনেই আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ছাত্রেরা ভীড় জমিয়ে দাড়িয়ে আছে। "আগে নামতে দিন পরে উঠুন" এই কথাটা আলাদা করে আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়াতেই মনে হয় বলা লাগে। অবশ্য না বলে উপায় নাই। অসীম জনগণের মাঝে সসীম লিফট। আর এবারে মিশিগান টেক একদম "টেকাটুকা দিন পড়তে আসুন" পলিসিতে প্রায় ২০০ মত ভারতীয় ছাত্র নিসে। আমেরিকার উত্তরের এই মফস্বল যেন প্রায় ছোটখাটি একটি ভারতীয় গ্রাম।

    ফলাফলঃ এত্তবড় লিফটে আমাকে নামতে না দিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে গেল ৬-৭ জন। নামার সময় উল্টা ঘুরে বললাম, "Guys this is not India. It's the United States. You have plenty of space and plenty of time left here. No ones taking it. Show some respect!" বলে হাঁটা দিসি। x-(


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  5. সামিউল(২০০৪-১০)
    আর এবারে মিশিগান টেক একদম "টেকাটুকা দিন পড়তে আসুন" পলিসিতে প্রায় ২০০ মত ভারতীয় ছাত্র নিসে

    আম্রিকাও তাইলে টেকাটুকা নেয়...... 😛

    আমাদের ভার্সিটিতেও একই সমস্যা হয় প্রায়ই। বাস এ উঠার সময়েও একই অবস্থা। কিচ্ছু করার নাই। আপনাকে "অণুব্লগ রাজ্যের শেষ স্বাধীন নবাব" উপাধি দেয়ার জোর আবেদন জানাচ্ছি...... 😛 😛 😛


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
    • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

      আরে কি কউ, যদি বল টেকাটুকা দিব নিয়া নাও তাইলে নেয়ার মত বহু ভার্সিটি আছে আমেরিকায়। ভারতের গুলা স্টুডেন্ট লোন নিয়া আইসা পরে। ওদের দেশের স্টুডেন্ট লোন স্কীমটা খুব চমৎকার। আমাদের এরকম থাকলে অনেক ছাত্র ছাত্রী টেকাটুকা দিয়া আম্রিকান ভার্সিটিতে পড়ার সাহস দেখাইতে পারতো।

      আরে দেশে তো এরকম হবেই। মানুষ ৫০০ বাস ২টা পোলাপান যাবে কই? ২০ জন মানুষের ক্যাপাসিটি ওয়ালা একটা লিফটে আমি একা দাঁড়ানো নামতে চাইতেসি আর ওরা ৭-৮ জন হবে নগদে ঠেইলা ভিতরে ঢুইকা গেল। এমন না যে এইগুলা নতুন আমদানি। গত দুই বছর ধইরা এইগুলারে লাইব্রেরীতে দেখতাসি কিন্তু আবালগিরি বন্ধ হয় নাই! ~x(


      \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
      অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

      জবাব দিন
  6. সামিউল(২০০৪-১০)
    গত দুইবছর
    ধইরা এইগুলারে লাইব্রেরীতে দেখতাসি কিন্তু
    আবালগিরি বন্ধ হয় নাই!

    😛 😛

    ভারত, বাংলাদেশ সবই তো আগে একই দেশ ছিল। আমাদের জিনে মিশে আছে এসব। চাইলেও ছাড়তে পারা কঠিন।
    সব দোষ জিনের ভাই, জিনের... 😛


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  7. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    প্রাইভেসির ব্যাপারে আমাদের বেশিরভাগেরই নূন্যতম মাথাব্যথা নেই, অন্যের ব্যাপারে চোখ, নাক, বাম হাত দিতে সবস্ময় প্রস্তুত।

    ফুটপাতের বাইক চরম বিরক্তিকর জিনিষ, একবার পেছনের বাইকের হর্নে প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়ে উলটা ঘুরে বাইকের সামনে কিছু না বলে চুপচাপ মিনিটখানের উপরে দাড়ায় ছিলাম, সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট।

    সেই কলেজে যাবার পর থেকেই ঢাকায় আমি মোটামোটি অতিথি, ছুটিতে গিয়ে রাস্তায় বের হলে দম বন্ধ লাগে। আর অদূর ভবিষ্যতে বিকেন্দ্রিকরণের কোন সম্ভাবনাই আমি দেখছি না।

    বেশ লাগলো লেখা, চালিয়ে যাও :thumbup:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  8. সামিউল(২০০৪-১০)

    বিকেন্দ্রীকরণও হবে না, ফুটপাতে বাইক চলাও বন্ধ হবেনা।
    কয়েকবছর পরে ঢাকা শহর মাটির নিচেই চলে যাবে। কোন ঐতিহাসিক হয়তোবা মহেঞ্জোদারো বা হরপ্পার মত একে খুজে বের করবে.... 😛


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন
  9. তাওসীফ হামীম (০২-০৬)
    দেশের সবকিছুই এখন ঢাকাকেন্দ্রিক। এই জিনিসটা কবে বন্ধ হবে কে জানে। কিছু একটা হলেই সবাই আসে। আমরাও এসেছি বাধ্য হয়ে। কোচিং হোক, আর ভার্সিটিই হোক সেগুলো কী সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায় না? হ্যাঁ, সারাদেশেও এখন ভার্সিটি করা হচ্ছে, কিন্তু তবু ঢাকার উপরে চাপ কমছে না। কারণ, কোয়ালিটি এক না। ঢাকার বাইরে শুধু প্রতিষ্ঠান বানালেই চলবে না। সেগুলোর শিক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মান যাতে ঢাকার প্রতিষ্ঠান গুলোর মতই হয়; ছেলেমেয়েরা যাতে নিজের শহরে থেকেই মানসম্মত শিক্ষা পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

    খুব খুব জরুরী কথা। :clap:


    চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।