আমার পথ চলা-প্রথম খণ্ড

কাহিনি গুলো আমার নিজের জীবন থেকে নেয়া। so অনেকের কাছেই বিরক্তিকর লাগতে পারে। আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি :p

“আমার পথচলা, আমার পথে
যেন বেলা শেষে, আকাশ তারমনে………………”
“হঠাৎ করেই গানের লাইন গুলো মনে পড়ে গেল। একসময় ব্ল্যাক, আর্টসেল এদের গান শুনতে খুব ভাল লাগত। অনেকদিন পর আজ আবার সেই পুরনো স্মৃতি গুলো এসে জড় হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের সেই স্কুল-যেখানে আমি আমার শৈশব পার করেছি, কৈশোরে পা দিয়েছি, টাঙ্গাইলে সেই ক্যাডেট কোচিং-যেখানে প্রথমবারের মত টের পেলাম আমার হাতের লেখা নাকি সুন্দর, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের সেই অবিস্মরণীয় ৬ টি বছর-যা আমাকে পরিনত করেছে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-যেখান থেকে জীবনকে উপভোগ করতে শিখেছি। আর আজ আমি এক অজানা পথের পথিক…………”
“আমার জন্ম ১৯৯১ সালের ১৭ই জুন। মা বলে আর ১৫ মিনিট পরে জন্মালে নাকি ১৮ই জুন হয়ে যেত। ভাগ্যিস ১৫ মিনিট আগেই মায়ের পেট থেকে বের হয়েছিলাম। কারন জন্মদিনটা নিয়ে যে আমার অনেক গর্ব। ছোটবেলার একটা জিনিস আমার আজও মনে আছে- চারপাশে পানি, আমি একটা নৌকার মাঝে বসে আছি, আর আমার মা নৌকাটা বেয়ে চলেছেন। পাশেই আমার নানু বাড়ি। আমার দুই মামা আমার নানুকে উঠানে একটা চেয়ারে বসিয়ে বাতাস করছে। পরে বড় হয়ে জেনেছি- তখন নাকি আমার বয়স মাত্র দেড় বছর। এত ছোট বেলার কাহিনী কিভাবে মনে আছে তাই দেখে আমার মা যারপরনাই বিস্মিত। আর আমি আনন্দে আত্মহারা। কত্ত ছোট্ট ছিলাম আমি, অথচ সেই ঘটনা আমার মনে আছে! আহা! কি বাচ্চাই না ছিলাম তখন!”

“আমাকে নানুর বাড়িতে রেখে আমার আব্বু-আম্মু নারায়ণগঞ্জে ছিল অনেক দিন। আমি প্রতিদিন কাটাতাম আম্মুর কোলে আমার ছবি দেখে চোখ ভিজিয়ে। আশেপাশের বাড়ির কয়েকটা ছেলেকে বন্ধু ভেবে খেলতে গিয়ে মামার কাছে ধমক খেতাম। হঠাৎ একদিন আব্বু এল আমাকে নিয়ে যেতে। আমার খুশি দেখে কে! সবকিছু গুছিয়ে চলে এলাম বাসায়। বাসাটা খুব সুন্দর। পানির উপর একতলা একটা বাসা। কিন্তু বাসায় ঢুকে আমার অবাক হওয়ার পালা। আম্মুর কোলে পিচ্চি একটা বাবু। রাগ লাগল। আমাকে বাড়িতে ফেলে রেখে এখানে কোথাকার এক পিচ্চিকে কোলে নিয়ে বসে আছে। আব্বু বলল- “তোমার ছোট বোন, যাও আদর কর”। আমি বিস্ময়ে হতবাক। আমার বোন এল কোত্থেকে। রেগে ঘর থেকে বের হয়ে এলাম। পাশের বাসার দুটো আপু আমাকে জ্বালাতে লাগল। চার বছরের একটা ছেলের প্রথম পারিবারিক অভিজ্ঞতা- “আমি অনেক বড় হয়ে গেছি”।
আমার সেই ছোট বোন আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। কিন্তু সেই প্রথম দেখার মুহূর্তটা মনে পড়লে আজও হাসি পায়”।

“নতুন বাসায় এলাম। উত্তর মাসদাইর। আমরাই বিল্ডিং এর প্রথম ভাড়াটিয়া। নিচতলায় কয়েকদিন পরেই আরেকটা পরিবার এসে যোগদান করল। তাদের মধ্যেই খোঁজ পেলাম ইয়াসিন এর। আমার জীবনের প্রথম বন্ধু, যদিও আমার চেয়ে এক বছরের বড় ও। তার কয়েকমাস পরেই এল টিটু ভাইয়ারা। সে আরও বড়, কিন্তু বন্ধু। আমরা তিনজন একে অন্যের হরিহর আত্মা। সারাক্ষণ দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা, কমিকস কিনে পড়া, একজনের বাসায় বাকি দু’জনের হামলা- আরও কত কি। কেউ দেখে বুঝতে পারত না কার বাসা কোনটা। সেই বন্ধুদেরকে কত বছর দেখি না। “ও বন্ধু তোদের, মিস করছি ভীষণ”।

“হঠাৎ একদিন আব্বু বলল- “চল আজ তোমার পরিক্ষা”। আমি অবাক হলাম। কিসের পরীক্ষা আবার!!! বাবা-মায়ের সাথে গেলাম একটা স্কুলে। দেখি আমার বয়সি আরও অনেক গুলো বাচ্চা তাদের বাবা-মায়ের হাত ধরে দাড়িয়ে আছে। একজন লোক এসে আমাকে এবং আরও কয়েকটা বাচ্চাকে একসাথে নিয়ে গেল একটা বড় রুমে। তারপর একটা বেঞ্চে বসিয়ে হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল একটুপর। “যা যা পার, লিখ”। আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে পাশে দেয়া পেন্সিল দিয়ে কাগজটায় দাগাদাগি শুরু করলাম। লোকটা আবার এসে একটা ধমক দিয়ে নতুন একটা কাগজ দিল। তারপর কয়েকটা খালি ঘর দেখিয়ে লেখার কথা বলল। বুঝলাম এ লোক আম্মুর মত আমার পড়া ধরছে। যেগুলো পারি লিখে ফেললাম। যখন লেখা শেষ, আমি আমার গায়ের স্যুয়েটার টা খুলে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আব্বু-আম্মুর উদ্দেশ্যে নাড়তে লাগলাম। “আমি পাড়ছি। আর লিখবনা”। লোকটা এসে আমাকে আবার ধমক দিয়ে চুপ করাল।
আমার জীবনের প্রথম পরীক্ষায় আমার অবস্থান হল ৪৬। আব্বু-আম্মু নাকি অনেক খুশি হয়েছিল। অবশ্য ভাব দেখাত খুব রেগে আছে”।

“স্কুল-কলেজে কতবার এই জিনিসের সম্মুখীন হয়েছি- “তোমার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা”। সত্যি বলতে কি, আমার মনে নেই আমি প্রথম দিন কি করেছিলাম স্কুলে গিয়ে। শুধু মনে আছে আম্মু অনেক জোরাজুরি করেও ঢোকাতে পারেনি যতক্ষণ না একটা কমিকস কিনে দিয়েছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে প্রতিদিন। কমিকস কিনে না দিলে স্কুলে যাবনা, আবার কিনে না দিলে বাসায় যাবনা। কি পাজিই না ছিলাম আমি তখন। সেই বয়সেই গল্পের বইএর প্রতি অপরিসীম নেশা ধরে গিয়েছিল। প্রথম গল্পের বই টা পড়ি ৪ বছর বয়সে। আব্বু আমাকে নিয়ে পি.জি. হসপিটালে গিয়েছিল রক্ত পরীক্ষা করাতে। একটা বাচ্চাকে চিৎকার করে কাঁদতে দেখে আমার রক্ত দেয়ার ইচ্ছা শেষ। শেষমেশ একটা গল্পের বই কিনে দেয়াতে আমি রাজি হয়েছিলাম রক্ত দিতে। গল্পের বইটা পড়া অবস্থায় কখন যে হাত থেকে রক্ত নেয়া হয়েছে টের ই পাইনি। সেই থেকে শুরু। আজও গল্পের বই আমার দ্বিতীয় সহধর্মিণী।
স্কুলের শুরুর দিকে আম্মুকে প্রতিদিন গিয়ে আমার ক্লাসের লেখা গুলো লিখে আনতে হত। আমি একটা লাইন ও লিখতাম না। শয়তানের হাড্ডি আর কাকে বলে!”

“আমার নানু নাকি কার কাছে শুনেছিল আমার ৫ বছর বয়সের দিকে একটা ফাঁড়া আছে। সেটা কাটাতে পারলে নাকি আমি ১০০ বছর বাঁচব। শুনে খুব মজা লাগত তখন। কিন্তু সাড়ে ৫ বছর বয়সের দিকে সত্যি একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। আম্মু আর আমি রিকশায় করে স্কুলে যাচ্ছিলাম। কোত্থেকে যে ট্রাকটা এসে উদয় হল, টের ই পেলাম না। আম্মু আমাকে পাশের একটা খাঁদের দিকে ছুঁড়ে মারল, যাতে আমার কিছু না হয়। আর সে নিজে আহত হল গুরুতর ভাবে। চারিদিকে শতশত মানুষ জড় হল মনে হল। অথচ কারও সাহায্য করার মনোভাব নেই। একটু পরে আব্বুর কয়েকজন বন্ধু আব্বুকে সাথে নিয়ে এল। আম্মুর মাথা আর পা মিলিয়ে ৮ টার মত সেলাই দিতে হয়েছিল। অথচ আমার গায়ে কোন আঁচড় ও লাগেনি। এখন ভবিষ্যত বানীর পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় আছি”।

“ক্লাশ ওয়ান থেকেই আমি পর্যাপ্ত ট্যাটন ছিলাম। কিন্তু দুষ্টামির দিক দিয়ে না, রোমান্সের দিক দিয়ে। আমার সাথেই একটা মেয়ে ছিল, সোমা নামের। ওকে দেখে আমার এত ভাল লাগত, কি বলব। সেই বাচ্চা বয়সেই ঠিক করে ফেলেছিলাম সোমা ছাড়া অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাব না। সত্যিই, ক্লাশ ফোর এ ওঠার আগ পর্যন্ত স্কুলের অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনি। অবশ্য সোমার সাথেও কোন কথা হয়নি কখনো। দূর থেকে ওকে দেখতাম প্রতিদিন। স্কুল ছুটি হলে সবাই একসাথে হুড়মুড় করে বের হওয়ার সময় মাঝে মাঝে ওর ব্যাগ এর ধাক্কা খেলেই আমি কৃতার্থ হয়ে যেতাম। স্বপ্ন দেখতাম আবার কবে ধাক্কা খাব। ওইটুকু বয়সেই মনে হত অনেক বড় হয়ে গেছি। অথচ মেয়েটা কোনদিন আমাকে দেখেছে কিনা তার ই ঠিক নেই। এদিকে আমার ক্লাশ শুরু হত ওর মুখ দেখে, আর শেষ হত ওর ব্যাগ এর ধাক্কা খেয়ে। কিউপিড আমার ওপর ভর করলেও তার ছোঁড়া তীর প্রতিবার ই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। ওই সময় তো আর কেউ টের পায়নি যে ভেতরে ভেতরে একটি প্রেমিকের অরুণোদয় হচ্ছে”

“জীবনে স্বজন- হারানোর কষ্ট প্রথম পেয়েছিলাম ৫ বছর বয়সে। যদিও আমার জন্মের ১ বছর পরেই আমার নানা মারা যায়, কিন্তু তার কোন স্মৃতি না থাকায় কখনো তেমন কোন কষ্ট অনুভব করিনি।
মাঝরাতে একদিন ঘুম ভেঙ্গে দেখি আমার আম্মু, আব্বু আর আমার ১ বছর বয়সী ছোট বোন চিৎকার করে কাঁদছে। একটু পর খেয়াল হল কোথা থেকে জানি আমার চাচাত ভাই এসে হাজির। প্রথমেই যে কথাটা মনে হল, নিশ্চয়ই ভাইয়া আব্বুকে মেরেছে তাই সবাই কাঁদছে!!! পরে বুঝতে পারলাম যে আসলে আমার দাদা মারা গিয়েছে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা রত অবস্থায়। অল্পক্ষণের মধ্যেই বাসার সবাই রেডি হয়ে বের হয়ে আসলাম। জানিনা অত রাতে কোত্থেকে একটা ট্যাক্সি আসল। রাস্তাতেই আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙল অজস্র মানুষের কান্না ও কথাবার্তায়। মিরপুর-১ এ বড় চাচার বাসায় দাদার মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। মৃত্যুর মাত্র ২ দিন আগেই হাসপাতালে গিয়েছিলাম দেখা করতে। কেন জানি তাই দাদার মৃত্যুটা আমাকে স্পর্শ করছিল না। হয়ত ছোট ছিলাম বলেই। ভোরের দিকে একটা ট্রাক ভাড়া করে তাতে করে দাদার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হল গ্রামের বাড়িতে। তারপর দাফন হল, মিলাদ হল। এখন মনে পড়লে খুব কষ্ট লাগে, সে নাকি আমাকে তার নাতি-নাতনিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভালবাসত। অথচ তার মৃত্যুর সময় এক ফোঁটা চোখের জল ও ফেলিনি আমি। আল্লাহ, তাকে বেহেশ্ত-বাসী করুক”।
“নানুর বাড়িতে গিয়ে একবার এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বাচ্চা-পোলাপান কয়েকটাকে জোগাড় করে পুকুরে লাফালাফি করছিলাম। আম্মু এসে বকা দিয়ে নিয়ে গেল নদীতে- গোসল করাতে। সাথে আমার খালাও ছিল। নদীটা খুব বেশী প্রশস্ত না হওয়ায় প্রচুর স্রোত ছিল। দেখি একটা কলাগাছের গুঁড়ি ভেসে যাচ্ছে স্রোতে। খালাকে বললাম ওটা ধরে রাখতে। তারপর মনের সুখে এগিয়ে গেলাম খেলতে। হঠাৎ ই কোন রকম আগাম সংকেত না দিয়ে পায়ের নিচ থেকে মাটি উধাও হয়ে গেল। আমিও সাথে সাথে তলিয়ে গেলাম। সাঁতার না জানার দরুন ডুবে যেতে থাকলাম। আর স্রোতের টানে দূরে সরে যাচ্ছিলাম। কতক্ষণ পার হয়েছিল জানিনা, টের পেলাম কেউ আমাকে টেনে উঠাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারলাম খালা নাকি অনেক খুঁজে পরে শুধু আমার মাথার চুল দেখে টেনে উঠিয়েছে। সেদনিকার মত ভয় এরপর আর একবার ই পেয়েছিলাম”।

“ক্লাশ থ্রি তে সম্ভবত, (বয়স হয়েছে তো, মনে নেই 😛 ) একবার আব্বু নিজে থেকেই রাজি হল আমাকে ব্যাট কিনে দেবে। ছোট বেলা থেকেই আব্বু আম্মুর কাছে খেলনা আর গল্পের বই ছাড়া আর কিছুই চাইতাম না। তাই না চাইতেই ব্যাট পাওয়ার কথা শুনে আমি খুশিতে আত্মহারা। যেদিন কিনে দেয়ার কথা সেদিন খুশি মনে স্কুলে ঠুকতেই আমার ক্লাশের কয়েকটা ছেলে আমাকে ধরে মারতে লাগল। আজ ও জানিনা কেন তারা আমাকে মেরেছিল। একজন আমার পিঠের উপর উঠে লাফাতে লাগল। আমি ব্যাথায় চিৎকার করতে লাগলাম। কোত্থেকে জানি ইয়াসিন এসে হাজির হল। হাতাহাতির এক পর্যায়ে একজনের মাথায় আঘাত পাওয়ার ফল-স্বরূপ এক স্যারের বকুনির মাধ্যমে মারামারির পরিসমাপ্তি ঘটে। স্কুল শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সেই ছেলে আব্বুর কাছে আমার নামে নালিশ জানায় যে, আমি নাকি তাকে মেরেছি। আমার আব্বু আবার একটু বেশি আদর্শবাদী কিনা, তাই শেষমেশ দোষ না করেও মার গুলো আমার পিঠেই পরে। উপরি পাওনা হিসেবে ব্যাট কেনাও বাতিল ঘোষিত হয়। আমার জীবনে সেবার ই প্রথম কাউকে খুন করার স্পৃহা জেগে উঠে। শুধু দুর্বল ছিলাম বলেই ছেলেটাকে কিছু করতে পারিনি”।

“ক্লাশ ফোরে উঠেই ভর্তি হলাম স্কুলের ই এক স্যারের কোচিং এ। রশিদ স্যার ছিলেন আমাদের অঙ্কের শিক্ষক। কোচিং এর নাম দিলেন “অন্বেষা কোচিং ভিক্টরি”। প্রতিদিন স্কুলের পর ক্লাশ হত কোচিং এ। আমরাই ছিলাম প্রথম ব্যাচ। আমাদের ব্যাচ এ ছিল মাত্র ৩ জন ছেলে আর ১ জন মেয়ে। আমি, সাইদুর, বিপ্লব আর নীপা। কোচিং এ নীপাকে প্রথম দেখেই আবারো কিউপিড এর তীর খেলাম। যথারীতি কোনদিন বলা হয়নি ওকে। মেয়েটা সবসময় চুপচাপ থাকত। ইচ্ছে করেই একদিন ঝগড়া করে ওকে কথা বলানো শুরু করলাম। তারপর আস্তে আস্তে সে আমার খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কোচিং এর জনবল বাড়তে লাগল। একসময় সোমা ও এসে হাজির হল। আমি পড়ে গেলাম দোটানায়”।

চলবে (হয়ত!!! :p )

১,৭৯০ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “আমার পথ চলা-প্রথম খণ্ড”

  1. সামিউল(২০০৪-১০)

    চালায়া যা... ভাল লাগছে খুব। নীপা নাকি সোমা কার ভালবাসার জালে এবার ধরা খাবে আমাদের নায়ক অনন্ত জলিল, খুব জানতে ইচ্ছা করছে। 😛


    ... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।