জীবনের গল্প – ৩

জীবনের গল্প – [১] [২]

    সাগর

আমার সবচেয়ে কাছের একজন মানুষের কথা আজ বলব, যাকে সেই ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি। সঙ্গত কারনেই ছদ্মনাম ব্যবহার করলাম কারন আমিও ওর মতই ওকে কারো করুনার পাত্র বানাতে চাই না। প্রথম যেদিন ও কলেজে পা রাখল সেই দিন থেকেই ওর সাথে আমার খুব আন্তরিক একটা সম্পর্ক হয়ে দাড়াল, ঠিক কি কারনে জানি না একসময় আমরা প্রানের বন্ধু হয়ে দাড়ালাম। হয়তো এটাই আমার জন্য একটা বড় ভুল ছিল, না হলে নিজের চোখের সামনে একটা মানুষকে এভাবে জ্বলে পুড়ে দগ্ধ হয়ে যেতে দেখতে হত না।
ওর বাসা বরিশাল হওয়ায় প্রতি প্যারেন্টস ডে’তেই ওর বাবা,মা আসতেন, আর আমারও একটা সময় ওখানেই কেটে যেত। যখনই ছুটিতে যেতাম বা আসতাম ওদের বাসা হয়েই আমার পথ ছিল। কখনই অকে দেখে মনে হয় নি যে ও কোন সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ৯ম শ্রেনীতে ওঠার পর প্রথম এই ব্যাপারটা আমার চোখে পরে। একদিন প্যারেন্টস ডে’র পর জিজ্ঞাসা করতেই নিজেকে আর চাপিয়ে রাখতে পারল না, হয়ত ততদিনে আমাদের বন্ধুত্ব সেই রকম পর্যায়ে গিয়েছিল বলেই নির্দ্বিধায় আমাকে খুলে বলল তার জীবনের কথা।
ওর বাবা যখন পিরোজপুরের ফুড ইন্সপেকটর তখন ওর নানা গুদামের একজন ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। ওর নানা ছিলেন হিন্দু। কোন এক ভাবে ওর মা’র সাথে সেখানেই ওর বাবা’র পরিচয় এবং সেখান থেকে পরিনয়। সেটা টের পেয়ে ওর নানা চলে যান কুমিল্লাতে। কিন্তু ওর মা বাসা থেকে পালিয়ে চলে আসে ওর বাবার কাছে, ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করে ওর বাবাকে। বিষয়টি কারো কাছেই গ্রহনযোগ্য ছিল না তখন, বিশেষ করে ওর দাদির কাছে…। তিনি নাকি কুরআন মাথায় নিয়ে ওর মাকে মেনে নিবেন না বলে ঘোষনা দেন (আর তার যথার্থ প্রমান তিনি রাখেন ২০ বছরেও ওর মাকে মেনে না নিয়ে)। সাগরের বাবা ওর মাকে নিয়ে নিয়ে আলাদা ভাবেই সংসার করতে থাকে। তারা পরিবার থেকে এতই পৃথক ছিল যে সাগর নাকি ৮ বছর বয়সে প্রথম দাদা বাড়িতে গিয়েছিল যা ছিল ওদের বাসা থেকে ১৫ মিনিটের রিক্সার পথ।
সাগরের চাচা এবং ফুপুরাও কখনই এটা মেনে নেন নি। কিন্তু বড় ভাই অর্থাৎ সাগরের বাবার কাছ থেকে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে একটুও পিছপা হন নি তারা। আর সেই সাথে সাগরের বাবার কানে কুমন্ত্রনা আর বিষিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও তারা ছিলেন তৎপর। এবং একসময় তারা সফলও হলেন একটা ভাঙ্গনের মত সৃস্টি করতে। সাগরের বাবা আর মা’র ভিতরে দুরত্ব ক্রমশঃই বাড়তে থাকল। এক বাসায় বসবাস করেও নিজেদের ভিতর কথা হয় নি ৭ বছর। প্যারেন্টস ডে’তে দু জন দুই ট্যাক্সিতে আসতেন। বস্তেন একজ়ায়গায় কিন্তু দু জন দুই দিকে মুখ করে। এ এক অসহ্য যন্ত্রনাকর পরিবেশ। এর মধ্যেও সাগরের একটাই মোরাল ছিল, সে একটি মেয়েকে ভালবাসত। মেয়েটিকে সে অফার করেছিল যখন সে ৯ম শ্রেনীতে উঠল। মেয়েটি তাকে ভাল মন্দ কিছু না বলে বলেছিল ২ বছর অপেক্ষা করার জন্য। মেয়েটির বাসা ছিল চট্টগ্রাম, আর পারিবারিক সমস্যা এবং এই মেয়েটির কারনে কোন ছুটিতেই সে পুরো সময় বাসায় থাকত না। চল যেত চট্টগ্রামে। মেয়েটির পরিবার ছিল তাদের পারিবারিক বন্ধুর মত, যার ফলে মেয়েটির পরিবার সাগরের সব কথাই জানত।
এভাবেই পারিবারিক ভালবাসা আর বাবা মা’র আদর এবং স্নেহ বঞ্চিত হয়ে ৫১ একর জমির মাঝে বড় হতে লাগল সে। এস এস সি পরিক্ষাও দিয়ে ফেলল। এখনও মনে আছে, এস এস সি ছুটির পুরো ৩ মাসের মধ্যে মাত্র ১৮ দিন সে বাসায় কাটিয়েছিল। বাকি পুরটা সময় ঢাকায় , চট্টগ্রামে ক্লাসমেটদের বাসায় ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছে সে। তাও কোনভাবে চলছিল তার জীবন, কিন্তু ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় তার জীবনে নেমে এল নিকষ অন্ধকার। তার মা তার ছোট ছেলেটিকে নিয়ে ( যে সাগরের চেয়ে ৯ বছরের ছোট) বাসা ছেড়ে চলে গেলেন, উঠলেন তাদেরই এক পারিবারিক বন্ধুর বাসায়। যেহেতু তিনি ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন তাই তার বাবার বাড়ি ফির যাবার কোন উপায় ছিল না, তাই আশ্রয় নিয়েছিলেন সেখানে।
এর মধ্যেই তিনি কোনমতে একটা চাকরিও যোগার করে ফেললেন একটা আধা সরকারি কলেজ এর ইসলামি ইতিহাসের উপরে, আমার জীবনে দেখা এক অদ্ভুত মহিলা, যিনি হিন্দু ধর্ম থেকে মুসল্মান হয়ে ইসলামি ইতিহাসের উপর এম এ করে কলেজের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এখনো ভুলি নি সেই দিনটির কথা, ছুটি থেকে আসার পর সবাই একে অপ্রকে অনেকদিন পর দেখে কত উৎফুল্ল ছিল আর সাগরকে দেখেছিলাম বিমর্ষ নয়নে একবার আমার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ ব্যাগটি নিয়ে রুমে চলে গিয়েছিল। রাতে ডিনার এর পর যখন অর কাছে বসে ঘটনা শুনলাম, আমি কিছুক্ষন থ মেরে বসেছিলাম। ওকে সান্তনা দেবার মত কোন ভাষা আমার জানা ছিল না। পরবর্তী ছুটিতে ও অনেক চেস্টা করেছিল বাবাকে বুঝানোর, কিন্তু বাবা, দাদি, চাচা, ফুপু কেউই এই ব্যাপারে তাকে কোন্রকমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নি। এমনকি যাকে সে ৬ বছর ধরে ভালবাসত সেই মেয়েটিও তাকে কঠিন ভাবে বলে দিয়েছিল “ব্রোকেন ফ্যামিলিতে আমার বাবা মা আমাকে কখনও বিয়ে দেবেন না”। উদ্ভ্রান্তের মত সেই ছুটিতে সে ঘুরে বেরিয়েছিল এর কাছ থেকে ওর কাছে, বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম, চাচার বাসার থেকে ফুপুর বাসা, নিজের এবং নিজের পরিবারের ভাঙ্গন রক্ষার কোন প্রচেষ্টাই সে বাদ রাখে নি। কিন্তু খালি হাতে তাকে ফিরতে হয়েছে সব জায়গা থেকে। ওর মা’র চাকরি স্থায়ী না হবার কারনে বেতন ছিল অনেক কম, তাই একসময় সাগরের ছোট ভাইকে রাখাও সাগরের মায়ের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। সাগর অনেক চেষ্টা করেও ভাইয়ের জন্য বাবার কাছ থেকে টাকার ব্যাবস্থা করতে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত তার মা তার ছোট ছেলেকে বাবার হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন। সাগর তার ছোট ভাই এবং মায়ের কথা চিন্তা করে থেকে যায় তার বাবার কাছে, কিন্তু নিয়মিত মায়ের খোজ রাখতে ভুল করে না সে। তাও তার বুকের মধ্যে একটা ছোট্ট আশা বুক বেধে জমে থাকে যে একদিন না একদিন মাকে তার বাবা অবশ্যই ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু তা আর কখনই হয়ে ওঠে নি। সাগরের ইন্টারমিডিয়েট পরিক্ষার কয়েকদিন আগে ওর মা ওকে একটা চিঠি পাঠান, সেখান থেকে সাগর জানতে পারে যে ওর বাবা ওর মাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন এবং ওর পরিক্ষা চলাকালিন সময়ে তা কার্যকর হবে। এসব বোঝা মাথায় নিয়েই আমাদের ইন্টার পরিক্ষা শুরু হয়ে গেল। সাগরও পরিক্ষা দিতে থাকল কিন্তু কি ভাবে তা আমি খুব ভাল করেই দেখেছি। এর মাঝে ভুগোল ২য় পত্র পরিক্ষার আগে আমরা ৯ দিনের বন্ধ পেলাম, আর এই ছুটির মধ্যেই সাগর জানাল যে পরিক্ষার আগের দিন তার বাবা মায়ের ডিভোর্স হবে। শেষ পর্যন্ত হাউস মাস্টারকে ঘটনাটা জানাতে বাধ্য হল ও। এবং হাউস মাস্টার তাকে ১ দিনের জন্য ছুটির ব্যবস্থাও করে দিলেন। সাগর ছুটি নিয়ে আর বাসায় গেল না, ওর এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে সেখান থেকে বাবাকে ফোন দিল এবং এটা জানাল যে সে কলেজ থেকে পালিয়ে চলে এসেছে, এখন যদি সে তার মাকে আবার ঘরে ফিরিয়ে না নেয় তাহলে সে কলেযে ফেরৎ যাবে না আর পরিক্ষাও দেবে না। কিন্তু সাগরের বাবা তাকে এক কথায় না করে দেন। সারাদিন চাচা ফুপুর বাসায় ঘোরাঘুরি করে ব্যার্থ হয়ে সাগর হাল ছেড়ে দেয়। নিজের জীবনের প্রতি সব আশা হারিয়ে বসে সে। মনস্থির করে ফেলে যে কলেজ এ আর যাবে না, কিন্তু কিছু সংখ্যক সত্যিকারের বন্ধুরা তাকে ধরে এনে কলেজে নামিয়ে দিয়ে যায় রাত ৮ টার দিকে, পরদিন পরিক্ষাও দেয় সে শুধু এটা ভেবেই মনটাকে শক্ত রাখে সে যে তার ছোট ভাইকে সে মানুষ করবে, মায়ের দুঃখ ঘোচাবে। পরিক্ষা দিয়ে কলেজ থকে কোনরকমে বের হয় ছেলেটা। আর তার তিন দিনের মাথায় ঘটে যায় আরেকটি ঘটনা যার জন্য সে মানসিক ভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। তার মা একটা আলাদা বাসায় পেইং গেস্ট হিসেবে থাকতেন, একদিন সাগর ওর বন্ধুকে নিয়ে ওর মা’র বাসায় যাচ্ছিল, ওর বন্ধু ওকে কি যেন বলি বলি করেও বলছিল না, যখন ও বাসায় গিয়ে পৌছাল তখন ও জীবনের এক কঠিন দৃশ্যের সম্মুখীন হল। ওর মা’র কলেজের সব কলিগরা বাসায় উপস্থিত, কেমন একটা পরিবেশ, ওকে দেখে সবাই কেমন একটা শুকনো হাসি হাসল, দুই মিনিটের মধ্যেই বুঝতে পারল কি হতে যাচ্ছে এখানে, আজ ওর মা’র বিয়ে। হায় জীবন… একটা ১৮/১৯ বছরের ছেলের জীবনে এর চেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি আর কি হতে পারে, বেশীক্ষন দাড়াতে পারে নি সে ওখানে, বন্ধুটিকে নিয়ে সারারাত রাস্তায় রাস্তায় হেটে পার করেছে সে, আর মনে মনে ভেবেছি আর কি দেখানোর বাকি আছে বিধাতার। আসলেই আরও অনেক কিছুই বাকি ছিল, অনেক অনিচ্ছা সত্বেও আর্মির জন্য চেষ্টা চালাল আর টিকেও গেল। আমাদের সাথেই বি এম এ তে ঢুকল ও, কিন্তু আর ১০ টা ছেলের মত ওর জীবনটা এত মধুর ছিল না, কোনকিছুই ওকে আগের মত আকর্ষন করত না, জীবনের হাল সে ছেড়ে দিয়েছিল বিধাতার হাতেই, আর বিধাতাও তার সাথে রংগ রসিকতা করতে দ্বিধা করেন নি। বি এম এ’র সেই অসহ্য যন্ত্রনা বহুল দিনগুলোর মধ্যে একদিন সিটি পাস থেকে ঘুরে এসে আমার রুমে এল সে, কেমন ছল ছল চোখ দুটো দেখেই আমার মনে হল বিধাতা আরেকবার ওকে খেল দেখালেন বোধহয়, আসলেই আরেকটি ধাক্কা খেল সে, তার বাবা নাকি বিয়ে করেছে। যে ছেলে আর কয়েকদিন পর নিজের পায়ে দাড়াতে যাচ্ছে, যার নিজের জীবন নিয়ে চিন্তা করার সময় প্রায় চলে এসেছে সেই ছেলে যদি এরকম আকটা খবর পায় তাহলে আমি জানি না আমি কি করতাম, কিন্তু ও ঠিকই মানিয়ে নিল। বোধহয় একধরনের জেদ চেপে গিয়েছিল ওর মধ্যে, ঈশ্বরের উপর। এ জন্যই হয়ত বি এম এ’র পার্ট শেষ করে আজ একজন অফিসার হয়ে যেতে পেরেছে। মাঝে মাঝে কথা হয়, কখনও সুযোগ পেলে দেখাও করি, আর জিজ্ঞাস করি, কি করবি এখন? হাসে ও, যে হাসিতে কোন প্রান থাকে না, যে হাসি আমার বুকের মধ্যে গিয়ে বর্শার মত বাঁধে, আর বলে “ বিধাতাই জানে, আর কি কি খেলার বাকি আছে তার, আমি কিভাবে বলব ?”
আমি কিছু খুজে পাই না বলার।
ওর ভাই এখন ক্লাস ৭ এ পরে, এর মধ্যেই অনেক বিগড়ে গেছে, মা তার নতুন সংসার নিয়ে খারাপ নাই খুব একটা। বাবার সংসারে শান্তি নেই, নতুন বউ এর মধ্যেই ওর চাচাকে ঘরছারা করেছে, দাদিকেও শান্তিতে রাখে নি, ফুপুরা এখন আর বাসায় যায় না, ও ছুটি পেলে ঠিকই বাবার কাছে থাকে কিন্তু ওই মহিলার সাথে কথা হয় না, কারন সে তার ভাইয়ের প্রতি কোন যত্নই নেয় না। বাবার সাথে কথা হয় খুব কম, অনেকটা জড় পদার্থের মত বাস করে ও। জানি না কি করবে ও, তবে একটাই ভরসা, নিজের জীবনটাকে কোনমতে দাড় করিয়ে নিতে পেরেছে, ওর ভাইটা যেন মানুষ হয় সেটাই এখন ওর একমাত্র আশা, আমি সবসময় দোয়া করি ওর জন্য, আপনারাও দোয়া করবেন।

৫,৬২০ বার দেখা হয়েছে

৬৬ টি মন্তব্য : “জীবনের গল্প – ৩”

  1. তৌফিক (৯৬-০২)

    রেজওয়ান, খুব ভালো একটা সিরিজ শুরু করেছো। এই হার না মানা মানুষগুলোর গল্প আমাদের সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছ।

    আমি নিজে আমার এক বন্ধুর কথা বলতে পারি। ব্রোকেন না হলেও ডিসফাংশনাল ফ্যামিলির ছেলে। পা পিছলেছে ওর, আমরা বন্ধুরাও ওর পা পিছলানো দেখতে দেখতে ওর উপর হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ও ঠিকই উঠে দাঁড়িয়েছে।

    খুব ভালো লাগল সাগরের গল্প।

    জবাব দিন
  2. আমি এই সিরিজের খুব মনোযোগী পাঠক।
    এই হার না মানা মানুষ গুলির গল্প শুনলে মাঝে মাঝে নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়। এই জীবনে সব রেডিমেট পেয়েছি। এতোটা সাহস তাই কোনোদিন হবে না আমার।
    সাগরকে :boss:

    জবাব দিন
  3. রহমান (৯২-৯৮)

    রেজওয়ান, কি লেখব বুঝতে পারছি না। চোখ ঝাপসা হয়ে আসল তোমার লেখাটা পড়ে। সাগর নামের তোমার সেই বন্ধুর জন্য মন থেকে দোয়া ও শুভ কামনা করছি। আর কোন কষ্ট যেন তাকে পেতে না হয়।

    দারুন একটা সিরিজ শুরু করেছ। বাই দ্য বাই, তোমার মোরাল ডাউন কেন? এই সেদিন না প্রমোশন হলো

    জবাব দিন
  4. নাসির (৯৮-০৪)

    সবাইকে সালাম।
    এক কথায় চমৎকার লেখা।নিজে প্রায়ই সামান্য পান থেকে চুন খশলেই হা-হুতাশ করি।সাগরের মতন অবস্থায় পড়লে মনে হয় হেরোইন চোরাচালানী স্টার্ট করে দিতাম।সাগর এর জন্য রইল শুভকামনা এবং রেজওয়ান কে এই চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।আর আমাকে অনেক ভাল রাখার জন্য আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া।

    জবাব দিন
  5. তানভীর (৯৪-০০)

    রেজওয়ান, কি লিখব বল? কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। 🙁

    সাগরের জন্য রইল একবুক ভালোবাসা আর অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে :salute:

    তোমার এই সিরিজটা আমাদের সবার জন্য একটা বিশাল প্রাপ্তি।

    জবাব দিন
  6. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    একটা কথা মনে রাখিস রেজওয়ান,সাগরেরা কখনো হারে না।যত বাধাই আসুক,এরা ঘুরে দাঁড়ায়।দে কিপ কামিং ব্যাক টু ইউ নো ম্যাটার হাউ হার্ড ইউ ট্রাই টু স্টপ দেম।তোর সাথে ফোনে কথা বলার পর আমার মনে হচ্ছে,এই সাগরদের উদ্দেশ্য করেই রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেনঃ

    বজ্র যেমন বেগে
    গর্জে ঝড়ের মেঘে
    অট্টহাস্যে সকল বিঘ্ন-বাধার বক্ষ ছেঁড়ে-

    সত্যিই তো,সাগরদের রাখবে ধরে কে রে??

    তোর দু বছরের সিনিয়র এই আমি তোর লেখা থেকে আজ জীবনের অনেক বড় একটা শিক্ষা পেলাম।ছোট ভাই সাগরকে শ্রদ্ধা(ভালবাসা নয়,শ্রদ্ধা)প্রকাশ করছি অন্তর থেকে।

    সাবাস সাগ্র,চালিয়ে যা!

    জবাব দিন
  7. জুবায়ের (১৯৯৯-২০০৫)

    আমার নিজের একটা কারণে মন খারাপ ছিল। কিন্তু সাগরের(হোক না ছদ্মনাম) কথা পড়ে নিজেকে খুব ছোট মনে হল।আমরা কত ক্ষুদ্র কারণে মন খারাপ করি, হতাশ হই।সাগরকে অজস্র :salute:
    রেজওয়ান, সুন্দর একটা সিরিজ এর জন্য তোকেও :hatsoff: :hatsoff:

    জবাব দিন
  8. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    রেজ1
    তোমার এই লেখা পড়ে আমার একটা কবিতার একটা লাইন মনে পড়ল
    আপনি যদি মানুষ নামটি বোঝেন, বোঝেন এবং উচ্চারণ করেন তবে আপনি কাঁদবেন
    সত্যি মানুষের জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়। অসম্ভব পাণস্পর্শী লেখা। তুমি লিখে যাও।
    আমি দোয়া করছি সাগরের অন্তরালের মানুষটিকে


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন
  9. শার্লী (১৯৯৯-২০০৫)

    আমার কোন এক কারনে কিছুই ভালো লাগছিল না,মন খারাপ ছিল। নেটে সমস্যার কারনে সিসিবিতে বসা হয়নি কয়েকদিন। আজ এই লেখা পড়ে আর সাগরের(ঘটনাক্রমে আমার ভাইয়ের নামও সাগর) কাহিনি জেনে মনে হচ্ছে আমার মন খারাপ করার অধিকার নাই।

    জবাব দিন
  10. আছিব (২০০০-২০০৬)

    রেজওয়ান ভাই কে :hatsoff: ,সাগর ভাইকে সাপওর্ট দেয়ার জন্য,এমন ফ্রেণ্ড সবারি দরকার,তাইলে অ্যানিথিং ইজ পসিবল।আর সাগর ভাই এর জীবনে সুখ আসবেই,এই কামনা করি/ :salute:

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জাবীর রিজভী (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।