ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা

সময়ের ব্যাপ্তি টা ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল। আমার ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর সময়ের কথা। ঢাকা শহরের এ.জি.বি. কলোনীতে তখন থাকি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা এই বিশ্বকাপের সময় মনে পড়ে যাচ্ছে। সময়টা তখন অনেক ধীর গতিতে যেত বলে মনে হত। ঠেলা দিয়েও মনে হয় সময়কে পার করা যেত না। একটা দিন কিভাবে শেষ হবে এই চিন্তা। বাবা সরকারী চাকরী করত। অবশ্য কলোনীতে আমরা যারা থাকতাম সবার বাবাই সরকারী চাকরী করত। ৮ টার সময় অফিস চলে যেত, ২ টা ৩০ মিনিটে অফিস ছুটি। ৩ তার মধ্যে সবার বাসা ফেরা। আমরা বন্ধুরা মিলে স্কুলে যেতাম। ৭.৩০ মিনিটে স্কুল বসত। ১২ টার মধ্যে ছুটি। বাসায় এসে দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুম। ৩ টার সময় বিটিভি চালু হত। ঠিক চালু হবার পর থেকে টিভির সামনে ভাই-বোন সবাই বসে থাকতাম। “থান্ডার ক্যাটস” এর পর “এসো গান শিখি” র অনুষ্ঠান এ মিঠু-মন্টি এর ন্যাকামি দেখতে দেখতে বিকেল হয়ে যেত। বিকেলে আছরের আজান পড়লে নীচে গিয়ে মাঠে খেলা যেত। মাগিরবের সময় আবার বাসায় ফিরে আসতে হত। শুধু বন্ধের দিনে সকাল-বিকাল খেলতে পারতাম। শুক্রবার দিন সকালে আবার “কিসিফার” কার্টুন। আরো পরে “টিনেজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টেলস”। এই ছিল আমাদের বিনোদন।

এরকম এ একদিন স্কুল থেকে আসার সময় তিন বন্ধুর একজন আমাকে জিজ্ঞাসা করল, এই “তুই আবাহনী না মোহামেডান”? আমি বললাম, “মোহামেডান। তখনি তার ফোঁড়ন করে কবিতা, “ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা, বোয়াল মাছের দাড়ি, মোহামেডান ভিক্ষা করে আবাহনীর বাড়ি”। পাশের অন্য বন্ধু বলে উঠল, না এটা না, “আবাহনী ভিক্ষা করে মোহামেডান এর বাড়ী। বাকিটা পথ এই দুলাইনের কোনটা ঠিক তা নিয়ে ঝগড়া করতে করতে বাড়ি ফেরা। মোহামেডান –আবাহনীর সাথে পরিচয় সেই সময় থেকে।

সবার কাছে তখন বিভিন্ন সাইজের ফুটবল থাকলেও ৫ নম্বর সাইজের “মিকাসা” বল ছিল সবচেয়ে ভাল বল। জাপানিজ এই বলের দাম তখন ১৮০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে, তখনকার দিনে অনেক টাকা। সাদা-কালো বলের উপর সোনালো হরফে লিখা “MIKASA” লেখাটা এখনো মনের ভীতরে রয়ে গেছে। যেই বন্ধুর কাছে “মিকাসা” বল ছিল, সবাই তার সাথে মিশে খেলতে চাইত। সে যে পজিশনে খেলতে চাইত, সবাই রাজি। মিকাসা বল দিয়ে খেলতে পারাটা ছিল বিশাল ব্যাপার। তখন ফুটবল খেলাটা ছিল সারা বছরের। শুধু শীতের সময় পাড়ার বড় ভাইরা ক্রিকেট খেলত। তখন প্রতিদিনই মাঠে খেলার জন্য কাউকে না কাউকে পাওয়া যেত, শুধু ক্লাব ফুটবলের যেদিন খেলা থাকত সেদিন ছোট-বড় সবাই টিভি সেট এর সামনে। বিভিন্ন বাসায় তখন আবাহনী – মোহামেডান এর পতাকা উড়ত। এখনকার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা পতাকার মত। খেলা শেষে পাড়ার বড় ভাইদের বিজয় মিছিল। বিশেষ করে পরাজিত দলের বাসার সামনে দিয়ে, আর যে বাসায় সুন্দরী আপুরা থাকত। মাঝে মাঝে মারামারিও হত দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে। মেয়েরাও ক্লাব ফুটবল নিয়ে কথা বলত। ফুটবল তখন এতই জনপ্রিয় ছিল যে, বাংলা সিনেমা তেও এই নিয়ে গান আর গল্প ছিল… (এই লিঙ্কে পাবেন একটা জনপ্রিয় গান সে সময়েরঃ http://www.youtube.com/watch?v=DmE7LxVGzHI)। জাফর ইকবাল আর সুচুরিতার এই “ আবাহনী, আবাহনী… মোহামেডান” গান তখন সবার মুখেমুখে।

আমরা যারা মোহামেডান এর সাপোর্টার ছিলাম, সাব্বির, কায়সার হামিদ, মহসীন, আরো পড়ে কানন, এই নামগুলো মুখে মুখে। কার ভিউকার্ড কয়টা আছে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা। ওইদিকে আবাহনীর সাপোর্টারদের মুখে সালাউদ্দিন, চুন্নু, আসলাম, টুটুল সহ বিখ্যাতদের নাম মুখে মুখে। এখন মনে হয়, তখনকার দিনে, এই খেলোয়াড়েরা টাকার জন্য খেলতো না, ক্লাবকে ভালবেসেই খেলত। সাব্বিরকে কখনো মোহামেডান কিংবা আসলাম কে আবাহনী ছাড়তে কখনো দেখিনি।

আরেকটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে। একবার মোহামেডান এর সাব্বির এর পা ভেঙে গিয়েছিল। স্কুলে এর মধ্যে কে যেন বলল, আবাহনীর সাপোর্টাররা ষড়যন্ত্র করে হকিস্টিক দিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। আমরা তাই বিশ্বাস করলাম। ঐ বয়সে আর সত্যি-মিথ্যা যাচাই করা হয়নি। আরেক দিনের কথা। ঈদগাহ কলোনী মাঠে, কায়সার হামিদ সহ পুরা মোহামেডান টীম আসল খেলতে। দু’কলোনী পার হয়ে, মুরুব্বীদের চোখ এড়িয়ে পাকনা পাকনা বন্ধুদের সাথে গেলাম খেলা দেখতে। চোখের সামনে দেশের নামী-দামি খেলোয়াড়েরা খেলে যাচ্ছে। কি যে ভাল সময় গেল। প্রথম বড় কাউকে দেখতে পারা।

এ. জি. বি. কলোনী এমন এক জায়গা ছিল, সেখানে সরকারের সচিব থেকে শুরু করে ড্রাইভার সবাই থাকত। বোর্ডের প্রথম স্ট্যান্ড করা ছাত্র থেকে খুন করার মত মাস্তান সবাইকে পাওয়া যেত। ফাস্ট ডিভিশন ফুটবল থেকে ক্রিকেট সব ধরনের খেলোয়াড়দের কেউ না কেউ থাকতই এই বিখ্যাত এ. জি. বি. কলোনী থেকে। সেরকমই একজন ছিল মানিক ভাই। প্রথমে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলত। বাংলাদেশ সবুজ দলের হয়ে খেলেছিল। উনি আসলেই সবাই মিলে উনাকে ঘিরে ধরে কথা বলা। সব বারান্দায় মেয়েদের আনাগোনা বেড়ে যেত। কোথায় সেই সময় হারিয়ে গেল।

বাংলাদেশ লাল দল, সবুজ দল। পাল্লা দিয়ে খেলত একসময় সাউথ কোরিয়া আর জাপানের মত টিমের সাথে। আগা খান গোল্ড কাপ, প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপ; আরও পরে ডানা কাপ, গোথিয়া কাপে বখতিয়ারদের সাফল্য ফুটবল কে মানুষের আরো কাছে নিয়ে গিয়েছিল। বেগও ছিল, আবেগত ছিলই। আর ধারাভাষ্যকার খোদা বখশ মৃধা আর চৌধুরী জাফর উল্লাহ শারাফতের “কর্দমাক্ত আকাশ আর মেঘাচ্ছন্ন মাঠে”র সাথে পরিচয় ত এই ফুটবল থেকে। ক্লাস থ্রী তে বাংলা বইয়ে “ফুটবলের রাজা পেলে’ আর ক্লাস সিক্সে জসীম উদ্দিন এর লেখা “ফুটবল খেলোয়াড়” কবিতায় ইমদাদ হক এর কথা এখনো মনে আছে। সব জায়গা তখন ফুটবল কে জনপ্রিয় করার একটা চেষ্টা ছিল বলে এখন মনে হয়।

আরও পরের কথা। ১৯৯২ সালে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার পর, ক্লাস সেভেনে, কোন এক শুক্রবারে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ক্লাস টুয়েলভ তখন পরীক্ষা দিচ্ছে। আমাদের কে নিয়ে হাউসের সবাই সেই খেলা দেখছিল রিডিং রুমে। খেলায় আবাহনী জেতার পর কলেজ প্রিফেক্ট ফয়সাল বাতেন ভাই আবাহনীর ফ্ল্যাগ নিয়ে, পুরা প্যারেড গ্রাউন্ড চক্কর দিয়েছিল। ছয় বছরের বাকি সময় আর এই উম্মাদনা দেখেনি।
আগে লাইফবয় সাবান মানে খেলা শেষে, সালাউদ্দিন এর গোসল করা। আর এখন সাকিব আল হাসান, দিনে কয়বার হাত ধুতে হবে তা শেখায়। সময়ের সাথে সাবানও ফুটবল থেকে মুখ সরিয়ে ফেলেছে। ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী ম্যাঞ্জ এ্যাক্টিভ আলাফাজের হাতে না থেকে থাকে দাড়ি মুখো তামিমের হাতে।

মধ্যবিত্ত আগে ক্লাব ফুটবল নিয়ে মেতে থাকত, এখনো থাকে তবে বিদেশী ক্লাব ফুটবল নিয়ে। রিয়েল মাদ্রিদ, চেলসি, লিভারপুল, ম্যান চেস্টার ইউনাইটেড এর প্লেয়ার দের যেভাবে চিনে, আমাদের ন্যাশনাল টিমের ফুটবল প্লেয়ারদের সেভাবে চিনে না। ফেনী সকার, ইয়্যাংম্যান্স ফকিরের পুল নামে কিছু যে ক্লাব আছে অনেকেই হয়ত জানে না। পেপারে বিদেশী টিম আর প্লেয়ারদের ছবি যেভাবে দেখা যায় দেশী ফুটবলারদের সেভাবে দেখা যায় না। অথচ এই উপমহাদেশে বাঙ্গালীদের ফুটবলের একটা ঐতিহ্য ছিল। ইস্ট-বেঙ্গল, মোহনবাগান আরো পরে আবাহনী, মোহামেডান ক্লাব মধ্যবিত্ত কে বিনোদন দেবার মত কত মুহুর্ত দিয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতার সময় ছিল আমাদের স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিম। আজ সব ধূসর অতীত। ঠিক যেন আমার ছেলেবেলার দিন গুলোর মত…

২,৭৭২ বার দেখা হয়েছে

১৭ টি মন্তব্য : “ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা”

  1. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    আমার মত বাচ্চা পোলাপান ৯৬-৯৭ এর বিকালে রেডিওর দিকে দম আটকায় তাকায় থাকতাম। "আলফাজ এগিয়ে যাচ্ছে বিপদজনক ভাবে...." এরপরেরটুকু নীচের আপনার লাইনটায় স্পষ্ট বলে দেয়া! 🙁

    সময়ের সাথে সাবানও ফুটবল থেকে মুখ সরিয়ে ফেলেছে।


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
    • সাইফুল (৯২-৯৮)

      কি আর করা ভাই, আমাদের সব ভাল জিনিস গুলো কেন যেন হারিয়ে যাচ্ছে...

      আগে ভাই রেডিও বাংলাদেশ ছিল। তারা চেষ্টা করত, ফুটবলটাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। এখনও করে কিনা জানিনা। তবে অনেক বেসরকারি ষ্টেশন ত আছে। অনেক হাবিজাবি প্রচার করলেও দেশের ফুটবল নিয়ে কিছু করে কিনা আমার ডাউট আছে।

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)

        ফুটবল নিয়ে বড়জোর খেলার পাতায় দুইকলাম। এরবেশী মনে হয় না জায়গা আছে! আর যদি কালে ভদ্রে বিদেশের মাটিতে সোনা জিতে যায় তাহলে একটু গরম হয়। এই কয়দিন আগে হইল‌‌ো না খেয়াল আছে? সবাই হঠাৎ খুব ফুটবল কইয়া চিল্লাইলো। আবার সব ঠান্ডা! 🙁


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    :boss: :boss:
    তুমি আমার ৮ বছর পর ক্যাডেট কলেজে গেলেও প্রজন্মের হিসেবে আমরা একই কাতারে পড়বো --- কলোনী জীবন, থাণ্ডার ক্যাটস, আবাহনী-মোহামেডানের চির রেষারেষি এবং আরো নানান অনুষঙ্গ মিলিয়ে।

    সেই জীবন আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না।
    চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে আমি যে কলোনীতে থাকতাম, সেই একই কলোনীতে থাকতেন মনজুর মোর্শেদ ভাই (বুয়েটের কিংবদন্তী ছাত্র, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অত্যন্ত খ্যাতিমান অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানী) --- অবাক বিস্ময়ে দেখতাম মাঝেমধ্যে বিএনসিসির ক্রসবেল্ট লাগানো ইউনিফর্ম পড়ে রিকশায় যাচ্ছেন। পাশেই থাকতো --- আমাদের প্রিয় শিক্ষিকার ছেলে এবং স্কুল-মেডিকেলের বান্ধবীর ছোটভাই রাগিব -- আরেকজন কিংবদন্তী, বাংলাদেশের গর্ব। এদিকে সেদিকে ছড়ানো কয়েকজন সিনিয়র জুনিয়র ক্যাডেটও ছিলেন। মোটামুটি নিস্তরংগ সে জীবনে ফুটবল একটা বিশাল উন্মাদনা ছিলো, ক্রিকেটের সেখানে বলতে গেলে কোন জায়গা ছিলোনা।

    কিংবদন্তী ফুটবলার সালাউদ্দিনকে একবার দেখেছিলাম এফসিসিতে -- মজার ব্যাপার হলো, এসেছিলেন ক্রিকেট খেলতে, এফসিসি একাদশের সঙ্গে (উনি কোনপক্ষে, কাদের হয়ে এসেছিলেন মনে নেই)। আমরা ক্লাস সেভেন এইট বাউণ্ডারি লাইনের সে দিকটাতে বসেছিলাম -- উনাকে সেদিকে ফিল্ডিং করতে দেখে আমরা যেন পেয়ে বসেছিলাম। লাইফবয় সাবানের সেই জিংগল গেয়ে উনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। স্মিত হেসে আমাদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন -- কিছু একটা বলেওছিলেন। ক্রিকেটেও সেদিন তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত দেখেছিলাম --- পা দিয়ে একটা চার ঠেকালেন দেখে খুব আমোদ পেয়েছিলাম।

    জবাব দিন
    • সাইফুল (৯২-৯৮)

      ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

      আমি আপনি আমরা এক প্রজন্মেরই। পশ্চিমা ধারণায় যাদের “জেনারেশন এক্স” বলা যায় অনেকটা সেরকম ছকে ফেলা যায়। আমার মনে হয়, আমরা বাংলাদেশ এর দু’জেনারেশন এর ব্রিজ। যারা নেভাল লাইন বরাবর প্যান্ট পড়ত আর এখন যারা কোন রকমে প্যান্টটা ধরে রাখে। দু,জায়গাতেই যারা মানিয়ে যায়। যারা একান্নবর্তীতার শেষ দর্শক আর আত্ম-কেন্দ্রীকদের পথ প্রর্দশক।

      আসলেই ভাই সেই জীবন আর আসবেনা। ওয়ান ওয়ে টিকেট। আপনি ও কলোনীতে বড় হয়েছেন শুনে বেশ ভাল লাগল। আমার ফিলিংস্টা হয়ত পুরোপুরি ধরতে পেরেছেন। ভাই, কলোনীর গ্রেটদের কথা আর কি বলব? ড্রিম বয়েজ আর গার্লসদের মত। “পা ধুয়ে পানি খাওয়া” খোটা ত অনেকবার শুনতে হয়েছে এই জন্য। সে গল্প আরেকদিন এর জন্য রেখে দিলাম।

      আপনার কিছু সৃতি শেয়ার করায় আমরা কিছু জানতে পারলাম...

      আমাদের সালাউদ্দিন সাহেব ত অনেক দিন ধরে বাফুফে তে আছেন। জয় সাহেবও ছোট-খাটো মন্ত্রী হয়েছেন। দেখা যাক ঊনারা খেলার মাঠের মত কিছু করে কিনা ফুটবলের জন্য।

      জবাব দিন
      • মোকাব্বির (৯৮-০৪)
        যারা নেভাল লাইন বরাবর প্যান্ট পড়ত আর এখন যারা কোন রকমে প্যান্টটা ধরে রাখে। দু,জায়গাতেই যারা মানিয়ে যায়।

        :khekz: :khekz:

        নির্মম সত্যের কি ভয়াবহ উদাহরণ!


        \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
        অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

        জবাব দিন
      • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

        বলো কি, বাংলাদেশেও কোনরকমে প্যান্ট ধরে রাখা প্রজন্ম শুরু হয়ে গেছে! ইউএসএতে এসে এই জিনিস দেখে দেখে তো আমি টায়ার্ড। এত কষ্ট করে রাখারই বা কি দরকার তাও আমি বুঝিনা। আরো বুঝিনা, এরা চলাফেরা করতে যত অসুবিধা হয় সব সহ্য করবে কিন্তু ওই পর্যন্ত নামিয়ে রাখা চাই-ই চাই।

        জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    সাইফুল ভাই, একটু বোধহয় ভুল হয়ে গেছে। যতদূর মনে পড়ে 'এসো গান শিখি' শেষ হবার পর কার্টুন শুরু হত। কেননা ফেরদৌসি রহমান যখন 'এবার আমরা গান গাইতে গাইতে বাড়ি যাব' বলতেন শুনে আমাদের ঈদ লেগে যেত! 😀

    '৯৭ এর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন হবার আগ পর্যন্ত সবার ছোটবেলার খেলাধুলা সংক্রান্ত গল্পগুলো মনে হয় কাছাকাছিই হবে। :dreamy:
    লেখা পড়ে অনেক ভাল লাগল। :hatsoff:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • সাইফুল (৯২-৯৮)

      ভাই, আসলে ঐ লাইনটা লিখতে গিয়ে অনেক বার চিন্তা করেছি। ব্রেন এর “এফ ফাইভ” বাটনটা অনেক বার চেপেছি। ব্রেনটা বারবার একই সিগন্যাল দেয়াতে আর যাচাই না করে লিখে দিলাম। আমার এক বন্ধুও একই ডাউট নিয়েছে। হয়ত আমি ভুল লিখতে পারি।

      “ঈদ লেগে যেত...” মজা পাইলাম কথাটাতে। 😀

      জবাব দিন
  4. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    আমার ছোটবেলা পুরোটাই ফুটবলময়। আবাহনীর একটা ফ্লাগও ছিল, খেলার দিন সেটা উড়াতাম আর মোহামেডানের সাথে জিতলে সেটা খুলে নিয়ে মিছিল 😀
    জীবনে গান গাওয়ার চেষ্টা করিনি কিন্তু এসো গান শিখি দেখতে দেখতে গলা মিলাতাম, দু একটা গান এখনো মুখস্থ আছে, ঝড় এলো এলো ঝড়, গ্রীষ্ম, বর্ষা শরত হেমন্ত 🙂

    লেখা দারুন লেগেছে সাইফুল ভাই, আরো চাই :hatsoff:


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • সাইফুল (৯২-৯৮)

      তুমি ত গলা মিলাতে। আমাকে আবার বোনের সাথে বসে গানও গাইতে হইত। ঐ পার্টটা পেইন ছিল। শিশু একাডেমীতেও চান্স পেয়েছিলাম, যদিও গলার গ-ও নেই আমার। সোনা আর কুনো ব্যাঙ এখনো বসে আছে গলার ভিতরে। আমার এক খালার বিয়ের সময় মাঝখানে কয়েক সপ্তাহ মিস যাওয়াতে আর জীবনেও শিশু একাডেমী তে যেতে হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ্‌...

      ঐ গান গুলো আমারও মনে আছে। “গ্রীষ্ম, বর্ষা” গানটা কোন এক বাংলা পরীক্ষায় কোটেশনও দিয়েছিলাম ক্লাস এইটে... হা হা হা... শুধু “মুক্তো মালার ছাতি মাথায় বর্ষা এলোরে” গানটা ভুলে গিয়েছি। তোমার জানা থাকলে বলে দিও...

      ধন্যবাদ...

      জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        মুক্তো মাথায় ছাতি মাথায় বর্ষা এলোরে,
        সারা গায়ে গোলাপ(?) পানি ছিটিয়ে দিলোরে
        সা-রা গা-য়ে গোলাপ(?) পানি ছিটিয়ে দিলোরে

        এতটুকুই মনে আছে 🙁


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
  5. 🙂 খুব ভালো লিখা ! এখন লাইন দুটি একটু পরিবর্তন হইছে ঃ- "ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা, বোয়াল মাছের দাড়ি, ব্রাজিল সমর্থক ভিক্ষা করে আর্জেন্টিনা সমর্থকের বাড়ি”। =)) =)) দয়া করে ব্রাজিল সমর্থকেরা মাইন্ড খাইয়েন না।

    জবাব দিন
  6. মাহমুদুল (২০০০-০৬)

    ভাই , ভীষন ভালো লেগেছে। আপনি যে সময়ের কথা বলছেন সেই সময় 'বোধ হয়' দুধে আরো চিনি দিতে হবে বলে চিল্লাচিল্লি করতাম। 🙂

    আপনার লেখা ভীষন ভালো লেগেছে। চলতে থাকুক। :clap: :clap: :clap:


    মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাইফুল (৯২-৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।