২৩ টি ফৌজদারহাটীয় …

“চাপা মারা” আমাদের এই বাঙালি সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় একটা বিষয়। এটা কে কি ঠিক মিথ্যা বলা যায় কিনা সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু মিথ্যার খুবই ছোট ভাই কিংবা বোন হিসেবে এটা যে অপভ্রংশ হয়ে গেছে সে বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। তবে পাপ হচ্ছে কি হচ্ছে না তার চেয়ে বড় ব্যাপার আমার মতে এই “চাপা মারা” ব্যাপারটার বাঙ্গালী সমাজে দরকার আছে। বাঙ্গালীরা ভুল মেনে নিতে পারেনা, সত্য কথা হজম করতে পারেনা, সমঝদার হওয়ার ব্যাপারটা ত অনেক দূরের ব্যাপার। কখনো স্কুলে স্যারের অযাচিত মার থেকে বাঁচার জন্য অথবা, দেরী করে বাসায় আসার কারণে বাবার ঝাড়ি থেকে রক্ষা পাবার জন্য কিংবা বান্ধবীর অভিমান কমানোর জন্য হরহামেশাই আমরা এই কাজ করতে খুবই সিদ্ধহস্ত। সবাই মনে হয় এই ব্যাপারটা মেনেও নিয়েছে। আর এই “চাপা মারা” ব্যাপারটা ত যদি ক্যাডেট কলেজের প্রেক্ষাপটে হয় তাহলে ত সেটা আর চাপা হিসেবে থাকেনা, সেটা একটা শিল্প হিসেবে প্রকাশ পায়। জুনিয়র ক্যাডেটদের সিনিয়র কিংবা স্যারদের অকারণ রগড়ানি থেকে বাঁচার জন্য আর সিনিয়র হবার পর নিজেকে হিরো হিসেবে জাহির করার জন্য সকাল-বিকাল চাপা মারাটা একটা ডিফল্ট ট্র্যাডিশন হয়ে গেছে। শনিবার প্রিন্সিপাল প্যারেড এর পর ধীরে চলের মত করে এই চাপা মারা শুরু হয়, কেননা প্যারেড কিছু না কিছু আজব কাহিনী ঘটতই। আর সেটা পুরো সপ্তাহে আস্তে আস্তে জলদি চলের ছন্দে চলে যেত এবং বৃহস্পতিবার স্পেশাল ডিনারের আগে ত পুরো দৌড়ে তালে তালে অবস্থা। অন্তত আমাদের সময় সেরকম ব্যাপার হত।

আমার ধারণা আমাদের সময় ফৌজদারহাটে “চাপা মারার” স্বর্ণযুগ পার করে আসছে। সবার অবশ্য তাই ধারণা। সবার ক্যাডেট কলেজের সময় সবার কাছে সেই কলেজের স্বর্ণযুগ ছিল। আমাদের সময় বলার কারণ আরেকটা আছে, তা হচ্ছে সে সময় আমাদের এক এক্স ক্যাডেট বড় ভাই আমাদের টিচার ছিলেন। তাই ক্যাডেট-শিক্ষকের চাপার রেসোনেন্স হত ব্যাপক ভাবে, আর তা তখন ক্লাসিক মর্যাদা পেয়ে যেত। ক্যাডেটীয় চাপা গুলো সবার কাছে ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত স্থান ছিল ডাইনিং হল। ভূত থেকে ভূতে যেতে যেতে সেটার ডালপালা গজাতে থাকত। এই চাপা মারাটা বাড়ত মানে চরম পর্যায় যেত যখন রিইয়নিয়ন হত। সে সময় এক্স ক্যাডেটরা এসে কারেন্ট ক্যাডেটদের আফসোস বাড়িয়ে দিত তাদের সময় এই ছিল, ঐ ছিল; এই হত, ঐ হত বলে। আর রিইয়নিয়ন শেষে ক্যাডেটরা সেইগুলো মনে করে আফসোস করত, আবার অতি জনপ্রিয় চাপাবাজদের হাতে সেই কাহিনীগুলো গিয়ে আরও বেশী চাপা হয়ে যেত।

আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখি আমাদের সময়ের কিছু জনপ্রিয় চাপা কাহিনী কেমন ছিল। আমি সেগুলোকে চাপা বলতে রাজি নই। ফৌজদারহাটের প্রেক্ষাপটে হওয়া তে এদেরকে আদর করে নাম দিলাম “ফৌজদারহাটীয়”। আশা করি এই নিওলজিসম’টা চাপার প্রতিশব্দ হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে ক্যাডেট ডিকশনারিতে স্থান করে নিবে। ক্রমানুসারে দিয়ে গেলাম ২৩ টি ফৌজদারহাটীয়। প্রতিটি ফৌজদারহাটীয় এর আগে আমাদের, তোমাদের, উনাদের শব্দ গুলো ব্যবহার করা হয়েছে একটা স্টার্টার হিসেবে।

১। আমাদের সময় শহীদুল্লাহ হাউস পাহাড়ের উপর ছিল, আমরা আমাদের লিডিঙে সেটা কে ধরে নিচে নামাইছি।
২। আমাদের সময় আমরা পি.টি. এর সময় সাইকেলে করে “লিয়াকত উল্লাহ চত্বর” ১০ চক্কর দিতাম। সবার সামনে কলেজ প্রিফেক্ট সাইকেলের সিট এর উপর দাঁড়িয়ে থাকত আর কলেজ ডিউটি ক্যাডেট সেই সাইকেল চালাত।
৩। উনাদের সময় উনারা পি.টি. এর সময় হাউস কালারের মোজা পরতেন।
৪। আমাদের সময় কলেজে যারা স্মোক করত তারা সবাই আমার কাছে সিগারেট রাখত, আর আমি ম্যাচ রাখতাম স্যারদের কমন রুমে।
৫। কাল রাতে ফৌজদারহাটের আকাশে “ইউ এফ ও” দেখা গেছে। “ইউ এফ ও” তে করে ভিন গ্রহের গার্লস ক্যাডেটরা ফৌজদারহাটের ক্লাস টুয়েলভ এর সাথে দেখা করতে এসেছিল, কিন্তু নাইট ডিউটি মাস্টার দেখে ফেলায় তারা আর ল্যান্ড করতে পারেনি।
৬। আমাদের সময় ফৌজদারহাটের মেইন ড্রেনটা সাগরের সাথে লাগানো ছিল। তখন সেখানে জোয়ার-ভাঁটা হত। একবার জোয়ারের সময় একটা বড় মাছ এসে আটকে যায় শহীদুল্লাহ হাউসের পাশে, তখন মান্নান ষ্টাফ সেটার তেল দিয়ে তিতাস মলম বানায়, পড়ে সেটা জেমস জানতে পারলে, “মান্নান মিয়ার তিতাস মলম” গানটা লিখে।
৭। তোমরা ত এখন বৃষ্টির দিনে পি.টি. করনা। আমাদের সময় আমরা একাডেমী ব্লকে পি.টি. করতাম। একদিন পি.টি. এর সময় ৩০০ জন যখন একই তালে সাইড জাম্প করছিলাম তখন সামনের রেল লাইন দিয়ে একটা ট্রেন যাচ্ছিল। রেসোনেন্সের কারণে ট্রেনটা ট্র্যাক থেকে পড়ে যায়। এরপর থেকে আমরা আর বৃষ্টির দিনে পি.টি. করিনি।
৮। তোমরা ত এখন ষ্টাফদেরকে জমের মত ভয় পাও। আমাদের সময় ষ্টাফরা কলেজ প্রিফেক্ট কে জমের মত ভয় পেত। কলেজ প্রিফেক্ট তাদেরকে এক্সট্রা ড্রিল দিতে পারত।
৯। আমাদের সময় যেসব টিচার নতুন জয়েন করত তাদের সবাইকে নভিসেস ড্রিল করতে হত।
১০। তোমরা ত এখন গার্লস ক্যাডেটরা কলেজে আসলে দেখা করতে পারনা, আর আমাদের সময় গার্লস ক্যাডেটরা যখন কলেজে আসত তখন আমরা ক্লাস টুয়েলভ তাদের সাথে গেমস টাইমে বউচি, আর এক্কা-দোক্কা খেলতাম, আরা সারা কলেজ তা দেখত। কি যে ভাল যেত সেই সময়টা…
১১। আমাদের সময় একবার ইংল্যান্ডের ক্রিকেট টিম একবার কলেজে আসে। আমাদের সাথে তখন একটা প্রীতি ম্যাচ খেলে। আমাদের স্ট্রাইক বলারের রান আপ দেখে ওদের ওপেনারের প্যান্ট ভিজে জায়। কিন্তু গার্ড পড়া ছিল বলে পিচটা আর নষ্ট হয়নি।
১২। আমাদের সময় ড্রিল কম্পিটিশনের আগে শহীদুল্লাহ হাউস এক্সট্রা কিছু করার জন্য ব্যারেট এর জন্য নরমাল ফ্লুম ব্যবহার করি নাই। তার বদলে আমরা ৭৫টা রাতা মোরগ কিনে জবাই করে তাদের পালক দিয়ে ফ্লুম বানালাম। একেকটা ফ্লুম হল এক হাত। প্যারেড এর দিন আমাদের ফ্লুম দেখে প্রিন্সিপাল স্যার আমাদের প্যারেড ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে। পরে রাতের বেলা আমরা ঐ ৭৫ টা রাতা মোরগের বার বি কিউ পার্টি করি…
১৩। আমাদের সময় একবার ঘুর্ণিঝড়ের সময় একটা বিশাল জাহাজ উড়ে এসে কলেজ দীঘিতে পরে। পড়ে আমরা সেটাতে চাক্কা লাগিয়ে আবার সাগরে পাঠাই দিই।
১৪। আমাদের সময় আমারা সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ডের শিখার আলোতে কারেন্ট চলে গেলে পড়শোনা করতাম।
১৫। বয়েজ আমাদের সময় আমরা কলেজের ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস নাইনে থাকতে সিনিয়র পিটাই। তারপর থেকে হাউসের মশারীর স্ট্যান্ডগুলো সিইজ করা হইছে।
১৬। আমাদের সময় আমরা কালচারাল ফাংশনে প্ল্যানচেট করে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কে সবার সামনে হাজির করি। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের আত্মা এসে প্রিন্সিপাল স্যারকে রিকোয়েস্ট করে যাতে ক্লাস টুয়েলভ কে যেন ই.ডি. দেয়া না হয়। এরপর আমরা যতদিন কলেজে ছিলাম আমাদের ক্লাস টুয়েলভ কে আর ই.ডি. দেয়া হয়নি।
১৭। আমাদের সময় শহীদুল্লাহ হাউসের হাউস প্রিফেক্ট তার রুমে আইসক্রীম বিক্রি করত। (এটা সত্য)
১৮। আমাদের সময় প্যারেডের দিন এত জোরে জোরে আমরা পা ফেলতাম যে জুতার মেটালের ঘষায় প্যারেড গ্রাউন্ড ধোঁয়ায় ভরে যেত, পরে প্যারেড শেষে শহর থেকে ফায়ার ব্রিগেড এসে সে ধোঁয়া নিভাত। আর তোমরা ত এখন প্যারেড করনা। শুধু হেটে হেটে চলে যাও।
১৯। আমাদের সময় আমরা রাইফেল প্যারেড করতাম। একবার প্যারেড এর মাঝে রাইফেল থেকে গুলি বের হয়ে একটা কাকের গায়ে লাগলে সেটা মরে গিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের মাথার উপর পরলে ঊনি সিএমএইচে এডমিট হওয়ার পর রাইফেল প্যারেড বন্ধ কর দেয়া হয়। (রাইফেল প্যারেড এর ব্যাপারটা সত্য)
২০। আমাদের ব্যাচের অমুক ছিল কলেজের বেস্ট স্প্রিন্টার। ৬ বছর সে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রথম হয়েছিল। লাস্ট বার তার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হওয়া তে বেন জন্সনের যে মেডালটা অলিম্পিক কমিটি কেড়ে নিয়েছিল, সেটা তাকে দেয়া হয়।
২১। আমাদের সময় আমরা শুক্রবার দিন সকাল বেলা নিজেদের মশারী দিয়ে কলেজ দীঘিতে মাছ ধরতাম, যে সবচেয়ে বেশী মাছ ধরত, তাকে “কিং ফিশার অফ দা উইক” ঘোষণা করা হত।
২২। আমাদের সময় বছরে একবার বাংলা ছবির শুটিং কলেজে হত। আমাদের কলেজ প্রিফেক্ট কে সেখানে নায়কের ফ্রেন্ড হিসেবে অভিনয় করার সুযোগ দেয়া হত।
২৩। আমাদের সময় একবার পাকিস্তানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হকি টিম কলেজে আসলে, তারা তাদের যে হকিস্টিক দিয়ে ফাইনাল গোল করেছিল, তা কলেজ কে দিয়ে যায়। পরে তা কালক্রমে কলেজ ডিউটি ক্যাডেটের স্টিক হয়ে যায়।

(এই ব্লগটি ফৌজদারহাটের ৩৯ আর ৪০ তম ব্যাচের ছেলেদের জন্য উৎসর্গকৃীত)

১,৮৭০ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “২৩ টি ফৌজদারহাটীয় …”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বস এইটা কি দিলেন, খালি আসতেই আছি :khekz: :khekz: :khekz:

    এটাকে সিরিজ হিসেবে চালু করে দেন 🙂


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. মনজুর (৮৯-৯৫)

    অঅহ্ ..
    তোমরা বাইরে চাপা মাইরা, সত্য ঘটনা সব ব্রাকেটের মধ্যে লুকায় রাখো ? :O
    আমাদের কলেজে .. আমাদের সময় এইগুলি প্রায় সবকয়টাই সত্য ঘটনা ছিলো.. সাগরের থেকে কিছু আসে নাই, কিন্তু পদ্মা নদী তো ছিলো.. ;))
    আর আমরা ব্রাকেটের মধ্যে চাপা জাতীয় ঘটনা চাপা দিয়ে রাখতাম.. :gulti:

    জবাব দিন
  3. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    হা হা হা হা.....
    এত চাপা আমরা মারতে পারতামনা। 😀
    তবে এই সুযোগে একটা সত্যি ট্র‍্যাডিশনের গল্প বলি যেগুলো আমাদের সময়েই বন্ধ হয়ে গেছিলো। যেমন: আমরা ক্লাস এইট পর্যন্ত অডিটরিয়মে বড় পর্দায় প্রজেক্টরে মুভি দেখতাম।
    ক্লাসিক মুভির পাশাপাশি হাল আমলের বাংলা সিনেমাও দেখানো হতো। ওয়াসিম আর অলিভিয়া অভিনীত "The Rain"ও দেখেছিলাম।তো এমনি একদিন কোন একটা ইংরেজী মুভি দেখার জন্যে আমরা বৃহস্পতি বা শুক্রবার সন্ধ্যায় গিয়ে বসেছি অডিটরিয়মে।মুভি শুরু হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই সিনিয়রদের চাপা উল্লাস, কারো কারো শিস, সাথে হুংকার ক্লাস টেন থেকে নীচের সবাই ''look down"! ঘটনা আর কিছুনা, চোখের কোণা দিয়ে আমরা ক্লাস সেভেনও দেখে ফেললাম চরম অন্তরঙ্গ কিছু দৃশ্য। কিছুক্ষণ বন্ধ থেকে ফের শুরু হলো মুভি। কিন্তু উল্টাপাল্টা জিনিসের আধিক্যে ফের বন্ধ। এক পর্যায়ে ভূগোলের ইকবাল হাসান তালুকদার স্যার (মুভি নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন) প্রজেক্টরের সামনে হাতের তালু রেখে কিছুক্ষণ আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলেন, কিন্তু ফাঁকফোঁকর দিয়েই যথেষ্ট পরিমাণ দেখা যাচ্ছিলো সবকিছু, আমরা লুক ডাউন থেকেও বুঝছলাম কি অবস্থা।সে মুভি আর শেষ হয়নি।সেরাতেই আমাদের গণহারে পানিশমেন্ট হয়েছিলো লুকডাউন থেকেও যারা যারা (আসলে সবাই) উঁকি মারসিলো।আসলে তারা তো আরো বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড ছিলো মুভি শেষমেশ না চলায়। 😀

    জবাব দিন
    • সাইফুল (৯২-৯৮)

      নূপুর ভাই,

      ব্লগটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      যাক এই ব্লগের উসিলায় জানা গেল কবে বা কারা লাস্ট টাইম প্রজেক্টরে মুভি দেখেছিল। আপনারা ত ভাই অনেকেই লাকি ছিলেন। বড় পর্দায় মুভি দেখতে পেরেছিলেন। আমরা, আপনাদের এবং আরও আগের ভাইদের সুখ স্মৃতি মনে করেই দিন পার করে আসছি... :dreamy:

      বড় ভাইদের ফ্রাস্টু খাবার কারণে এর প্রতিক্রিয়া সব সময় জুনিয়রদের উপর দিয়েই যেত। আবার সিনিয়র হবার পর একই ট্র্যাডিশন মেইন্টেইন করে আসছিলাম। "খাব আর খাওয়াবো ক্যাডেট কলেজে, থাকিবে কেবল স্মৃতি..."

      (অফটপিকঃ আপনাকে আমেরিকা থেকে আসার আগে ফোন করার কথা ছিল। অনেক দৌড়ের উপর আসার আগের দু'মাস পার করে আসছি। সরি ভাই, ফোন করা আর হয়ে উঠেনি... :frontroll: )

      জবাব দিন
  4. সামীউর (৯৭-০৩)
    আমাদের সময় বছরে একবার বাংলা ছবির শুটিং কলেজে হত। আমাদের কলেজ প্রিফেক্ট কে সেখানে নায়কের ফ্রেন্ড হিসেবে অভিনয় করার সুযোগ দেয়া হত।

    :)) :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: :khekz: =)) =)) =)) =))

    জবাব দিন
  5. রুম্মান (১৯৯৩-৯৯)
    আমাদের সময় বছরে একবার বাংলা ছবির শুটিং কলেজে হত। আমাদের কলেজ প্রিফেক্ট কে সেখানে নায়কের ফ্রেন্ড হিসেবে অভিনয় করার সুযোগ দেয়া হত।

    :boss:


    আমার কি সমস্ত কিছুই হলো ভুল
    ভুল কথা, ভুল সম্মোধন
    ভুল পথ, ভুল বাড়ি, ভুল ঘোরাফেরা
    সারাটা জীবন ভুল চিঠি লেখা হলো শুধু,
    ভুল দরজায় হলো ব্যর্থ করাঘাত
    আমার কেবল হলো সমস্ত জীবন শুধু ভুল বই পড়া ।

    জবাব দিন
  6. রিদওয়ান (২০০২-২০০৮)

    মিলিটারি সাইন্স বা সামরিক বিজ্ঞান বলে একটা বিষয় ছিল ক্যাডেট কলেজগুলোতে, যার ক্লাস নিতেন অ্যাডজুট্যান্ট নিজে। সেই বিষয়ের প্রাক্টিকাল ছিল রাইফেল প্যারেড। সব ক্যাডেট কলেজেই ছিল এটা।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সাইফুল (১৯৯২-১৯৯৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।