ক্যাডেট আমি আমার কেন পাখির মত মন ….

আমার লেখা পড়ার হাতে খড়ি আমার মেজ মামার হাতে। মামার হাত ধরেই আমার শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে সেরা অর্জন-ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে পারা। গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশুনা করে ক্যাডেট কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারা বোর্ডে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। আমাদের এলাকায় খবরের কাগজ পড়ার অভ্যেস হাতে গোনা কয়েকটা পরিবারের মধ্যে ততদিনে গড়ে উঠেছে। তাও পাচ কিলোমিটার রাস্তা হেটে যেয়ে লঞ্চ ঘাটে সিরিয়াল দিয়ে বসে থেকে একটা খবরের কাগজ পাওয়া যেত। এভাবেই খবরের কাগজ পড়ে চলতি বিশ্ব সম্পর্কে নিজেকে জ্ঞানী করে তোলার প্রয়াস ছিল আমার।
বাড়ীর পাশে একটা পাঠাগার ছিল। কিন্তু মামার বারণ থাকার কারণে সেখান্টায় আমরা কেউ যেতাম না। কারণ ছিল অই পাঠাগারে দক্ষিনপন্থি দলের সমর্থক ,মৌলবাদের মদদপুষ্ট লোকজন তাদের প্রচার প্রসারে সহায়ক বই পুস্তক আর একটা বিশেষ পত্রিকা রাখতো। আর অই একই সময়ে মামা আমাদের ঘরের চারপাশে ঝুলাতেন চে র পোস্টার,সুকান্তের বাধাই করা ছবি,রবীন্দ্রনাথ,কাল মার্ক্স ,এঙ্গেলস আর লেনিনের পোস্টার। বস্তুবাদী মামার সাথে আমার সুফিবাদী বাবার তর্ক আমরা সবাই খুব দারুণ উপভোগ করতাম। ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার উপহার হিসেবে মামা আমাকে নির্মলেন্দু গুণের রাজনৈতিক কবিতার বইটি কিনে দেন। এছাড়াও আমাদের বাড়িতে মামার নামে মস্কো প্রগতি প্রকাশন থেকে বের হওয়া সমস্ত রাশিয়ান বই এর অনুবাদ নিয়মিতভাবে পেতাম। অনেক কিছুই বুঝতাম না । মামা আমাদেরকে পড়ার ফাকে অনেক ভারি ভারি কথা অনেক সহজে এত সুন্দর করে বুঝাতেন যে আমিও নিজে নিজে অইসব ভারি ভারি বই গুলা পড়তে শুরু করলাম। সেই থেকে আমার বই এর প্রতি কিছুটা অনুরাগ শুরু হল। যাই হউক এর মধ্যে ক্যাডেট কলজে ভর্তি হলাম। আমার মেজ ভাই তখন ক্লাস ইলেভেন এ পড়ে। আবৃত্তি,অভিনয় আর গানের প্রতি ছিল ওর প্রবল ঝোক। মামার আদর্শে বড় হবার কারণে ওর মানসিক বৃদ্ধি হয়েছিল বয়সের চাইতে অনেকটাই বেশি। সারাদিন ধরে ঘরে বাজতো সুমন ,অঞ্জন,নচিকেতা,শিলাজিতের গান। তারও আগে ভূপেন হাজারিকা আর প্রতুলের গান শুনে মনের ভিতর প্রবল উত্তেজনা ও আলোড়ন অনুভব করেছিলাম। অঞ্জন,নচিকেতা,শিলাজিতের গানে শব্দযন্ত্রের আধুনিকতা আর সুরের বৈচিত্র থাকায় অল্পদিনেই ভক্ত হয়ে গেলাম। যদিও অইটুকুন বয়সে অইসব গানের মর্ম উদ্ধার করার সাহস করাটাই বড় রকমের ঔদ্ধত্য ছাড়া আর কিছুই না।

ক্লাস এইট এ আমার মুখে বেসুরো গলায় শিলাজিতের কবর খোড়ার গান শুনে বন্ধুরা সবাই আচ্ছামত তিরস্কার করা শুরু করল। এখনো বন্ধুদের আড্ডায় সবাই আমাকে অই গান টা গাওয়ার জন্য নিছক কৌতুকের ছলে অনুরোধ করে। কিন্তু আমার বড় সাফল্য এই যে বন্ধুদের অনেকেই এই গানগুলার ভক্ত বানাতে সক্ষম হয়েছিলাম।

ক্যাডেট মাত্রেরই জানা যে, ক্লাস এইট থেকে নাইন এ উঠার বয়ঃসন্ধিক্ষণে সবাই নিজেকে ব্যতিক্রম হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য নানা ছলা কৌশল আর নানান রকম উদ্ভট সব কর্মকান্ড করতে থাকে। আমাদের বন্ধু জিন্নাত ক্লাস সেভেন থেকেই জিনিয়াস ছেলে হিসেবে পরিচিত ওর দুঃসাহসিক সব কর্মকান্ডের জন্য। ক্লাস সেভেনের নভিসেস প্যারেডের পর পিটি টাইমএ সাদার পরিবর্তে কাল রঙ এর পিটি সু পরে যাওয়ার ঔদ্ধত্য দেখানোর কারণে ৫টা ই ডি খেয়েছিল। ক্লাস নাইনে উঠার পর কে কার চাইতে কয়টা বেশি বই পড়েছে,নতুন গান শুনেছে,এক্স দেখেছে,কে কত কম পড়ে পরিক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েছে এসব তুমুল তর্কের মাঝখানে নিজেকে বেমানান মনে হত। ততদিনে উচ্চারণে আমার সংবৃত আর বিবৃত এর বিভ্রাট ঘুচে গেছে। উল্লেখ্য যে গ্রামের স্কুলে পড়ার কারণে উচ্চারণে সংবৃত আর বিবৃত এর তাল গোল পাকিয়ে আমাকে বেশ ভালরকম মানসিক যন্ত্রণা সইতে হয়েছিল অনেকদিন। আর তার শুরুটা ক্লাস সেভেনের ট্যালেন্ট শোতে সুকান্তের ছাড়পত্র কবিতা আবৃত্তি করতে গিয়ে,পাশাপাশি রাজাকারের অভিনয় করে প্রশংসাও কুড়িয়েছিলাম বেশ। সেই থেকে আমার প্রথম নিক নাম রাজাকার। ক্লাস নাইন যেন সুকান্তের আঠার বছর বয়সের কবিতার চাইতেও অনেক দুরন্ত অনেক দু;সাহসিক। নিয়ম ভাঙ্গাতেই যেন সমস্ত বীরত্ত্ব। ক্লাসের মধ্যে সারক্ষন একজনের সাথে আর একজনের স্নায়ুযুদ্ধ। কেউবা কবিতা লিখছে,কেউ গদ্য,সায়েন্সফিকশন ,কেউবা আবার বিজ্ঞানের অনেক নতুন তত্ত্ব আবিস্কারের চেষ্টা করছে। ইনকিলাব পত্রিকাকে রাজাকারের পত্রিকা বলার কারণে আমার কপালে জুটেছিল আরেকটা নিক নাম………বুদ্ধিজীবি,তিরস্কার অর্থে। তারপর ক্লাস টেন এ শুরু হল কার চাইতে কার বেশি প্রেম পত্র আসে সেই গল্প। বন্ধুদের একটা গ্রুপ ছিল যারা সাংকেতিক ভাষায় কি সব কথা বলত প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নতুন কোন মেয়েকে আবিস্কার করে। অন্যরা কেউ জানতে চাইলে খুব ভাব নেয়ার চেষ্টা। যেন ওরা ছাড়া আর কেউ স্মার্ট না। কেউ কেউ আবার সাহিত্য বিশারদ এবং সাহিত্য সমালোচক হিসবে আত্ম প্রকাশ করল। যেকোন বিষয় সম্পর্কে তাদের অগাধ জ্ঞান। এদের একটা বিশেষ প্রভাব ছিল ক্লাসের কালচারাল প্রোগ্রামগুলাতে। আমার মত প্রতিভাহিন ছেলেরা নীরবে দেখতাম আর খুব মজা পেতাম। কেউ একজন হয়ত গিয়ে বল্ল ,দোস্ত, আমাকে নাটিকাতে একটা পার্ট দিস,সেই জ্ঞানী সাহিত্য বোদ্ধা হয়ত ভুরু কুচকে বলে দিল না তোকে দিয়ে হবে না। বেচারা মনে কষ্ট নিয়ে অই প্রোগ্রামের দিন হয়ত সিক রিপোর্ট করে আর আসলোই না।
ক্লাস ইলেভেন। প্রিফেক্টশীপের মুলা অনেকের চোখের সামনে। কেউ কেউ অতিরিক্ত হাউস ফিলিংস দেখাতে গিয়ে ক্লাস মেটের সঙ্গে মারামারি। কেউ কেউ আবার স্টাফ,স্যার আর ক্লাস টুয়েল্ভের সাথে বিশেষ রকম সখ্যতা গড়তে শুরু করল। এই নিয়ে ক্লাস মেটদের মধ্যে কত ঝগড়া। আমাদের কয়জ়নের চরমপন্থিতার কারণে হাউসের নামের শেষে জ়ুড়ে দেয়া হল মাথা গরম হাউস। পরিক্ষা বাদ দিয়ে রাতভর বৈঠক। আমাদের মত প্রতিভাহীনদের পড়াশুনায় তখন প্রবল বিতৃষ্ণা। কেউ কেউ দেয়াল পত্রিকা,কারেন্ট এয়্যাফেয়ার্স টিম এ নাম লিখিয়ে পিটি গেমস থেকে অফ থাকতো। আসল কাজের সময় তাদের খুজে পাওয়া যেত না। একটা দল ছিল ভাববাদী। নিজদের গুণ থাকা সত্ত্বেও লাইম লাইটে আসত না। কিছুসংখ্যক ছিল যারা সবকিছুতেই দৌড়াদৌড়ি করত কিন্তু কাজ করত না।
ক্লাস নাইনের পর থেকে আমিও নিজে নিজে গ্যারিবল্ডি মাটসিনি হবার স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। সামান্য অসংগতিতে প্রতিবাদি ভাব, মুখস্থ সংলাপ জ্বালাময়ী ভাষণ এইসব ব্যর্থ প্রয়াস। ভাবের সাথে হাটতে হাটতে জীবনমুখী গানের কথা আউড়নো,সুকান্তের কবিতার লাইন বলে খুব ভাব নেয়া,রাত জেগে জোছনা খাওয়া,প্রেপ টাইম এ ভাবের সাথে আনমনে বসে থাকা…ফলাফল হিসেবে পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্ব দেখান শুরু হল………রাতের বেলা রুম্মেট মান্নার সাথে প্রতিজ্ঞা করা , অন্য ধর্মের বিধবা বিবাহ করব, সমাজ গড়ব, তবে সুন্দরি দেখে । প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলন করব…..বিপ্লব দীর্ঘজীবি হউক এর মত স্লোগান কিংবা লাখ শহিদ ডাক পাঠালো সব সাথিদের খবর দে সারা বাংলা ঘেরাও করে রাজাকারদের কবর দে..এইসব স্লোগান প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করত মনের গহিনে..।
বোর্ড ফইনালে খারাপ পরীক্ষা দিয়ে আসার পরও খুব ভাবের সাথে প্রশ্ন ছিড়ে ফেলা,পরীক্ষা সম্পর্কে কেউ আলোচনা করতে চাইলে হেসে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে এড়িয়ে যাওয়া…নিজেকে তখন অধ্যাপক গল্পের নায়কের মত মনে হত……..
বিদ্যালয়ের পরিক্ষায় অবতীর্ণ হইয়া জগতের পরিক্ষায় যাহারা উত্তীর্ণ হইয়াছে আজ যেন আমি তাহাদের ই একজন………। এরকম একটা ভাব।
বাস্তবতার সাথে ভাব বাদের একটা বিরোধিতা আছে এটা অনুভব করলাম, বাইরের জগতে এসে। ভীষণ মধ্যবিত্ত আর ছাপোষা জীবনের সরল দোলকের দোলন সইতে না পেরে এক সময় সব ই ফ্যান্টাসি মনে হয়………………।

আমার গ্যারিবল্ডি মাটসিনি হবার স্বপ্ন ভেস্তে গেল। সান্ত্বনা খুজি রবি ঠাকুরের এক রাত্রি গল্পের নায়কের মতো।
আমাদের মত প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারুপ কল্পনা করিতে পারে মাত্র, অবশেষে পশ্চাতে লেজ মলা খাইয়া দুইবেলা দুই পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে,লম্ফে ঝম্ফে আর অধিক উৎসাহ থাকে না।

আজ বিদেশ বিভুইয়ে অনেকদিন পর আবার সেই ছোটবেলার একটা ভাব ফিরে পাওয়ার প্রবল আকাংখা..আমার ল্যাপ্টপে মরুভুমির নীরবতাকে ভেঙ্গে শিলাজিতএর কন্ঠে বেজে উঠে………………বেদুঈন মন যেন ওয়েসিস চায়, প্রেম যেন ওয়েসিস…….প্রাণ হল আরব সাগর………প্রিয়তমা দূরের ই নগর…………

আমার মধ্যবিত্ত মন গেয়ে উঠে……………
পলকে পাখনা মেলে উড়ে এলো রুপসি তারা
জংলা গাছের ভিড়ে,লুকোচুরি খেলা শেষ করে
পলক পরে না সোজা,তাকালো সে হেসে ভালবেসে
তা হাসুক,ভালবাসুক,কাছে আসুক সে ছায়াপথ বেয়ে
কিন্তু যে সেটা হঠাত ,তোমার মুখ হয়ে যাবে কে তা জান তো

স্বপ্ন মেশানো হাসি,ভালবাসি,ভালবেসে
রাত জাগা ফুলের সুবাস,বাতাশ ভরে আবেশে
ঝি ঝি দের গান বাতাসে সিম্ফনি মেশায়
ফুর ফুরে হাওয়া খালি গায়ে চুমু খায়
তা খাক,মন নাচাক,মাদল বাজাক বাতাস বুক জুড়ে
কিন্তু যে সেটা হঠাত ঝর হয়ে যাবে কে তা জানতো

দুরন্ত সে তুফানে দুরু দুরু টল টলে মুখ গেল কেপে
কিসের টানে কে জানে সে কেন সে পরল এসে এই বুকের উঠোনে
পরুক সে টিপ,যেমন প্রদীপ আগুনের ই প্রেমে পোড়ে জ্বলে
রেখেছি আদর করে ,ফিরে গিয়ে পরাবো তোমাকে
রেখেছি আদর করে ,সে আগুনে পুড়াবো আমাকে
রেখেছি আদর করে………………………………………………।।

৪,৫৭৯ বার দেখা হয়েছে

৪৯ টি মন্তব্য : “ক্যাডেট আমি আমার কেন পাখির মত মন ….”

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    কমেন্ট অফ ছিল দেখে এত দারুণ একটি লেখায় মন্তব্য করতে দেরী করে ফেললাম।সাইফ ভাই, অসাধারণ হয়েছে আপনার বর্ণনা।কলেজ জীবন যেন পাখির চোখের দেখার মত দেখে নিলাম একটানে-সুখ আর দুঃখ মিলিয়ে ঝিলিয়ে।"উঠল কি বেজে সময়ের ঘড়ি? এসো তবে আজ বিদ্রোহ করি!"-সুকান্তের এ লাইন দুটি যখন আমাদের কিশোর মনে নাড়া দিত,সে সময়টি দক্ষ শিল্পীর মত করে তুলির অল্প কয়েকটি সূক্ষ্ণ আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি।অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  2. রাতের বেলা রুম্মেট মান্নার সাথে প্রতিজ্ঞা করা , অন্য ধর্মের বিধবা বিবাহ করব, সমাজ গড়ব, তবে সুন্দরি দেখে ।

    ফাজিল কোথাকার। তোরেও চিনি, মান্নারেও চিনি। তোদের কাছে কোন মেয়েই নিরাপদ না। যেখানেই বিয়া করতে যাস, আমি আগে গিয়া ওই মেয়ের বাপরে না কইরা আসুম যাতে তদের কাছে মেয়ে বিয়া না দেয়।

    হারামি, মেইল করিস না কেনো?

    জবাব দিন
  3. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    পড়ে মনে হল এ তো আমারই কথা, আমারই গল্প। আমিও তো এমনটা করেই কলেজের সময়টা পার করে এসেছি।
    ভাই সাইফ,
    "প্রেম যেন ওয়েসিস"...একজ্যাক্টলি তারপরের লাইনটা কি তুমি জান? শিলাজিতের গানে আমি এই লাইনটা উদ্বার করতে বহুত পরিশ্রম করেছি কিন্তু লাভ হয় নাই :-B ।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
    • সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

      এইবার কিছু একটা বোঝা যাচ্ছে। "ট্যাকুইলা" - অন্য কোথায় কোথায় পাওয়া যায় জানি না, তবে সম্ভবত মেক্সিকোর সবচাইতে গরম জিনিস (মদ) 😉 ।
      থ্যাংকস।


      Life is Mad.

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        ভাইজান আমি ছুডু মানুষ একটু বেয়াদবি করি-টাকলা মাকান হইল গিয়া একটা মরুভূমির নাম,সম্ভবত আফ্রিকান কোন দেশে।প্রেমেন মিত্তিরের ঘনাদার একটা গল্পে পড়ছিলাম-কেলাস ৫/৬ এর সামাজিক বিজ্ঞান বইতেও আছিল।এইবার মুনে হয় অর্থ কিলিয়ার হইতেছে-অয়েসিস যেহেতু মরুদ্যান,উত্তপ্ত মরুভূমিতে তার দেখা পাওয়া প্রেমে পড়ার মত মিষ্টিই হয়ার কথা।

        বড়দের কথার মইধ্যে নাক গলাইলাম মাপ কইরা দিয়েন।

        জবাব দিন
        • সাইফ (৯৪-০০)

          মাসরুফ,আমার অজ্ঞতার জন্য আমি দুঃখিত,আর তোমাকে অস ং খ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে জানানোর জন্য.........।।গানটাতে আসলে এই শব্দটা এত পিকুইলিয়ার ভাবে উচ্চারণ করে অনেকবার শোনার পরেও ধরতে পারা খুব কঠিন............টাকালা মাকান

          জবাব দিন
            • সাইফ (৯৪-০০)

              মাসরুফ,takla makan is a desert of china not from africa...............
              Takla Makan Desert is China's largest desert, situated in the middle of the largest Basin, Tarim in Xinjiang Province. This is reputed to be the world's second largest shifting-sand desert covering an area of over 33, 700 square kilometers (over 13 square miles).

              In Uigur language, Takla Makan means 'you can get into it but can never get out' and the desert has another name 'the Sea of Death'. The desert is regarded as being very powerful among the people; no wonder the name connotes fear. But there was an interesting legend about the origin of the desert. It was said that there was a Supernatural Being, who saw the hardship being faced by the people in this area and thought that he could help them by using the two magic objects in his possession namely the golden axe and the golden key. He gave his golden axe to the Kazakh, so they split the mountain Altai and diverted water from the mountains to the fields. The Supernatural Being planned to give the golden key to the Uigur so that they could open the door of the treasure-house of the Tarim Basin, but unfortunately his youngest daughter lost the key. This angered him so much that he held her a captive in the Tarim Basin and thus the Takla Makan Desert was formed.

              Continuous sand dunes in this large Takla Makan Desert are usually over 100 meters high (over 109 yards) and some are even higher than 300 meters (about 328 yards). Because of the wind, the sand dunes are always moving forward and statistics suggests that each year they move about 150 meters (about 164 yards), which seriously threatens the existence of oasis and the survival of the local populace. For the past 50 years, the Chinese Government has made great effort to plant trees to reduce the encroachments of the sandstorms. With the help of experts, local people planted diversiform-leaved poplars, rose-willows, pomegranate trees, mulberries and built windbreak belts as corrective measures and in some places, people even cultivate corn. There is an improvement in the living condition of the local people, thanks to the increase in vegetation. Now there are over 80 species of birds' resident in the interior desert and the precipitation is increasing as well.

              The Takla Makan Desert is also rich in natural resources, buried under it vast expanse are resources such as groundwater, oil and oil gas. During the oilfields' opening up, people encountered the problems of transportation. Thus the idea of building a highway came to people's mind. In the year 1995, a desert-road of 522 kilometers (more than 324 miles) was completed and opened to traffic. Construction work has commenced on the second desert-road in June, 2005 and it is to be completed by the end of 2007.

              We strongly believe as time goes on, people will be more capable of conquering deserts and at the same time, make full uses of its rich natural resources for the benefit of humanity.
              pics of takla makan desert.......silky road

              জবাব দিন
  4. তারেক (৯৪ - ০০)

    আলদীন,
    তুই মোটামুটি অল্পের ওপর অনেক কথা বলে দিলি। ভাল মন্দ মিলিয়ে এত সব কথা, আমাকে পিংপং বানিয়ে বেশ খানিক্ষণ টেবিল টেনিস খেললো!
    শিলাজিৎ নিয়ে কোন কথা হবে না। অন্তত আমার কখনো শিলাজিৎ শোনাই হতো না, যদি না তুই ওর সিলেক্টেড গানের দুইটা ক্যাসেট গিফ্ট করতি। আমি অবশ্য একটু দেরিতে তোর কৃপাদৃষ্টি পেয়েছিলাম, 🙂 ভার্সিটিতে এসে। তবে গানগুলো আমার মারাত্মক প্রিয়, এখনো বা সবসময়ের জন্যে। সামহোয়ারে যখন লিখতাম, তখন একটা লম্বা সময়ের জন্যে আমার ব্লগের টাইটেল ছিলো, তুমি যা জিনিস গুরু আমি জানি আর কেউ জানে না!
    🙂


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
    • সাইফ (৯৪-০০)

      তারেক দোস্ত,অনেকদিন পর হাসছি,তোর কৃপায়,.........।।কাজের চাপে মেজাজ খুব খিট খিটে হয়েছিল,প্রতিদিন ভোর ৪টায় ডেজার্টে যেতে যেতে ভাল কিছু সুখের স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করি,তার অধিকাংশ সময় জুড়ে কলেজের স্মৃতি............।আমাদের শিশুতোষ কান্ডগুলার কথা খুব বেশী মনে পড়ছিল,মাথায় শব্দজট খেলে না,এক্সপ্লোসিভ আর বিভিন্ন ধরণের AMMUNITION আর fuse এর মেকানিজম নিয়েই অনেকটা সময় কেটে যায়.........কখন যে সাদ্দামের ফেলে যাওয়া এইসব munitions er সাথে উড়ে ্যাই............।।

      জবাব দিন
  5. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    অসাধারণ। এতো সুন্দর করে কলেজ জীবনের কাহিনী কজনেই বা লিখতে পারে। আপনার জীবনে অবশ্য লিখার মত আছেও অনেক কিছু। খুব ভাল লাগল।

    আমাদের মত প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারুপ কল্পনা করিতে পারে মাত্র, অবশেষে পশ্চাতে লেজ মলা খাইয়া দুইবেলা দুই পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে,লম্ফে ঝম্ফে আর অধিক উৎসাহ থাকে না।

    এইখানে একটু নিজের মতটা বলতে ইচ্ছে করছে। নিজেকে আসলেই প্রতিভাহীন মনে হয়। কিন্তু, আমার মনে হয় বিষয়টা প্রতিভার না। জগতে যাদের খাওয়া-পড়ার দুশ্চিন্তা নেই তারাই সংস্কৃতির চর্চা করে। আমরাও কিন্তু ঐ দলে পড়ি। মৌলিক চাহিদার কোন অভাব নেই। তাই নিছক জীবিকার বাইরেও আমাদের করার অনেক কিছু থাকতে পারে। এর মধ্যে কবিতা, গান, দর্শন, রাজনীতি সহ অনেক কিছুই পড়তে পারে। সত্য কিনা জানি না, তবে এটাকেই এখন সত্য বলে মনে হচ্ছে। হয়তোবা চাকরি জীবন শুরু করিনি বলে।

    জবাব দিন
  6. জগতে যাদের খাওয়া-পড়ার দুশ্চিন্তা নেই তারাই সংস্কৃতির চর্চা করে।

    তাইলে বিনা চিকিতসায় কবিরা মারা যায় কেনো? শিল্পীকে কেনো বেচে থাকার জন্য অন্যের কাছে সাহায্যের হাত পাততে হয়?

    জবাব দিন
  7. জিহাদ (৯৯-০৫)

    সাইফ ভাই, অতি জটিলস্য লেখা। ছবির মত। পড়তে ক্লান্তি লাগেনা।

    খারাপ লাগসে খালি একটা জিনিসই। আমার শিলাজিত এর গান এখনো ঐভাবে শোনা হয়নি। 🙁


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  8. সিরাজ (৯৪-০০)
    আমার ল্যাপ্টপে মরুভুমির নীরবতাকে ভেঙ্গে শিলাজিতএর কন্ঠে বেজে উঠে………………বেদুঈন মন যেন ওয়েসিস চায়, প্রেম যেন ওয়েসিস…….প্রাণ হল আরব সাগর………প্রিয়তমা দূরের ই নগর…………
    মামু কি সাহিত্য............(তুমি যা জিনিস গুরু............
    জবাব দিন
  9. সিরাজ (৯৪-০০)

    হালার খাইষ্টা পোলাপাইনের কাছে কে মেয়ে বিয়া দিব।

    শালার ভাইয়েরা.........৪টা বিয়া কইরা দেখাবি......আমি ৪০০০ বিয়া ক্ইরা গিনিস বুক এ নাম উঠামু এ ব্যাপারে তোগোরে মোটেও চিন্তা করতে হইব না...।।

    সাইফ তোর বিয়ায় তো বর যাত্রী হিসাবে মরুভুমির উট আর দুমবা ছাড়া আর কিছুই যুটবে না...

    আর কেম এর বউ ভাগাইয়া আনতে হইবো না বিয়ার আসরে আমারে যখন ভাবী দেখবে তখন বলবে(আহারে কেন যে তোমার সাথে ৫ মিনিট আগে দেখা হইল না )তাহলে একটা বড় রকমের ভুল থেকে নিজেকে সরাইয়া আনতে পারতাম.।।...তখন কেম এর চেহারা ...।।বাকিটা সবাই কল্পনা করে নে.।।...।

    জবাব দিন
  10. মঞ্জুর (১৯৯৯-২০০৫)

    ''বন্ধুদের একটা গ্রুপ ছিল যারা সাংকেতিক ভাষায় কি সব কথা বলত প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নতুন কোন মেয়েকে আবিস্কার করে। অন্যরা কেউ জানতে চাইলে খুব ভাব নেয়ার চেষ্টা''
    একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া......

    জবাব দিন
  11. তারেক (৯৪ - ০০)

    তবে আমি এইখানে একটা ডিসক্লেইমার দিতে চাই। এই পোস্টে আলদীন ভাব নিয়া অনেক কথা বলছে, ব্যাপারটা এমন যে সে সবসময় নির্যাতিত ও নিপীড়িতদের দলে ছিলো। ঘটনা কিন্তু তা না। আলদীন জীবনেও প্রতিভাহীনদের গ্রুপে ছিলো না। ভাইসাব খুব ভাল ফুটবল খেলতো, হাউস টিমের গর্বিত সদস্য- একদম জুনিয়র গ্রুপ থেকেই, সিনিয়র গ্রুপে তো বলাই বাহুল্য। ক্রিকেটে আর ভলিবলেও একই কাহিনি। আলদীন কি শেষমেষ হাউস গেমস প্রিফেক্ট হইছিলি? মনে করতে পারতেছি না, কিন্তু সম্ভবত তাই।
    তারপরে কালচারাল দিকেও আলদীন খুবই একটিভ ছিলো, আমাদের ক্লাশের গন্যমান্য সাহিত্যবোদ্ধাদের একজন।
    এথলেটিক্সে আলদীন সম্ভবত আমাদের ক্লাশের সর্বাধিক মেডেলধারীদের একজন। ওর হপ-স্টেপ জাম্প কলেজ বিখ্যাত ছিলো, দৌড়াইতোও সেইরকম।
    আলদীনের ইংরেজি বেসিক খুব ভাল ছিলো। আমার সামনের ডেস্কে বসতো আলদীন, ইংরেজি নিয়া ওরে বহুৎ জ্বালাইছি একসময়।
    রাজনৈতিক সব আলাপ ওর সাথে খুব জমতো। আমাদের চিন্তাধারায় ভাল মিল ছিলো এই জায়গাটায়। ওর যেই মেজ ভাইয়ের কথা বললো ( আলদীন, তিতাস ভাইই তো নাকি রে? চবি?) আমি নিজেও ওনার গ্রেট ফ্যান আছিলাম। সুতরাং রাজনীতি সংক্রান্ত ক্লাশ-আলাপে তুই একা ফাইট দিতি, এই কথা কইলে কুয়েত গিয়া তোরে পিটাইয়া আসুম। (আমি একা না, মান্না আর রানা-রেও নিয়া আসমু লগে)।

    তো ভাইসকল, আসল কাহিনি হইলো- আলদীন এইখানে যাহা লিখিয়াছে- এইটা মোটেও তার নিজের জীবন কাহিনি নহে। এইটা হইলো তার হইলেও-হইতে-পারতো জীবন কাহিনি, যেটা হয় নাই বলিয়া সে ঠিকমত সমাজের উপরে ঝাল ঝাড়িতে পারিতেছিলো না, এক্ষণে এইখানে চান্স পাইয়া ঝাড়িয়া লইলো। 🙂


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
    • সাইফ (৯৪-০০)

      তারেক,শালা,জীবনে মঞ্চে উঠি নাই বইলা কি আমারে এম্নে বাশ দিবি,আর আমি সারাজিবনে বলে এক্টাও লাথি দেই নাই,তুই কি ভরা মজলিসে আমারে মফিজ বানাইলি?গরিব রে মাইরা কি মজা !

      আমি যা কইছি সেইটা নিপীড়ন নির্যাতন এর কথা না,এইটা সাধারণভাবে সব ক্যাডেট এর একটা উপলব্ধি........................।।আজ এত বছর পর অইগুলা মনে পড়লে মজা পাই এই যা..................

      জবাব দিন
  12. সিরাজ (৯৪-০০)
    এই কথা কইলে কুয়েত গিয়া তোরে পিটাইয়া আসুম। (আমি একা না, মান্না আর রানা-রেও নিয়া আসমু লগে)।

    বস মারতে যাবার আগে আমারে...সাথে নিস...নিজ খরছে কুয়েত যামু ওরে মারতে............।

    জবাব দিন
  13. আদনান (১৯৯৪-২০০০)

    আলদীন !! তারেক তোরে এইভাবে আলপিনের খোঁচা দিল ।
    দোস্ত তুই দারুন লিখছিস, অনেক জায়গায় নিজেকে দেখতে পেলাম । ভাল থাক আরো লিখ ।
    নীচের লিংকটা সবাই পরে দেখুন কিছু করা যায় কিনা,
    http://www.somewhereinblog.net/blog/shanthroblog/28845222

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : সায়েদ উল হাসমত

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।