ইয়েস্টারডে ওয়ানস মোর

হাজার বছর আমি পথ হাটিতেছি পৃথিবীর পথে
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশিথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার
তখন, আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার
তখন,মুখোমুখি আমি আর শৈশব
মাঝখানে ব্যবধান-কুড়ি অথবা তিরিশ অথবা চল্লিশ অথবা…..?

আজ অনেকদিন পর আমি আর শৈশব এসে মুখোমুখি দাড়িয়েছি।মনে পড়ছে আমার সেই ছেলেবেলার কথা।একা একাই আমরা সবাই পথ চলে যাই আর নিজের সাথে কথা বলে যাই।আজো একা একা কথা বলতে গিয়ে অনেক কিছুই চোখের সামনে ভেসে উঠছে স্মৃতিপটে।ছেলেবেলার সেই স্মৃতিগুলো আজ নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হয়,মনে হয় রুপকথার মত,স্বপ্ন দেখার পুর ঘুম থেকে জেগে যেমন মনে হয়,আমি যা দেখেছি তা কি আসলেই সত্যি?আবার মনে হয়,ইস যদি সত্যি হত তাহলে কি চমতকার ই না হত জীবন।কিন্তু সত্যকার অর্থে জীবন স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর এবং রঙ্গিন।অতীতচারিতা মানুষের মধ্যে সহজাত একটা ব্যাপার।আধুনিকতা কিংবা যান্ত্রিকতা যাই বলি না কেন তার ভিড়ে আমরা জীবন ও জীবিকার অন্বেষণে পুরনো দিন গুলোকে হারিয়ে ফেলি।সবকিছুই কেমন যেন ঘোলাটে হয়ে আসে স্মৃতিপটে।অতীতের অনেক কিছুই অবিশ্বাস্য মনে হয়,মনে হয় কল্পনায় ঘটে যাওয়া অনেক গল্পের মত।কিন্তু সেই অবিশ্বাসের ঋণ বেড়ে চলে দিন দিন,আর তাই অতীতের অনেক সোনালী মূহূর্ত গুলো আমরা সহজেই অব লীলায় হারিয়ে বসি।আর জীবনের একটা পর্যায়ে এসে সব ফ্যাকাশে মনে হয়,অনেক কিছু অর্জন করেও জীবনের অর্থ নিরর্থক মনে হয়,ভীষণ একাকিত্বে ভুগি।অনেক কিছু পেয়েও মনে হয় কিছুই নেই।জীবনের সেই সময়টাতে একাকিত্বের সঙ্গি হিসেবে এক্টুখানি সুখের ছোয়া দেয়,সংগ দেয় আমাদের সেই অতিতের দিনগুলো,ছেলেবেলার এক টুক রো স্মৃতি।
১।আমার স্কুলে ভর্তি হওয়ার ঘটনাটির কথা মনে পড়লে আমি আজও অনেক মজা পাই।আমরা যারা গ্রামে কিংবা মফস্বলে বড় হয়েছি,তাদের কাছে প্লে গ্রুপ,নার্সারি,কেজি ওয়ান,কেজি টু কিংবা স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান এইসব শব্দগুলো সুদুরপরাহত এবং অজানা বলতে পারেন,অন্তত আমার কাছে ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।আমরা বড় ওয়ান আর ছোট ওয়ান বলতাম।তারপর ক্লাস টু,থ্রি এইরকম।আদর্শ লিপি,শিশু শিক্ষা,বাল্যশিক্ষা এইসব বই ই ছিল আমাদের হাতে খড়ীর উপকরণ।টূইঙ্কল টূইঙ্কল লিটল স্টার কিংবা অন্য সব ইংরেজি ছড়া যেগুলা গভমেন্ট ল্যাব,উদয়ণ,উইলস লিটল ফ্লাওয়ার এইসব স্কুলে ভর্তি হতে গেলে লাগে সেগুলো আমি অনেক বড় হয়ে শুনেছি,শিখেছি।আমাদের বাড়ির পাশে পুকুর আর তার ওপারেই ছিলো আমাদের স্কুল।প্রথমদিন আমাকে যখন আমার মামা স্কুলে নিয়ে যান ভর্তি করানোর জন্য সেদিন আমার স্কুলে ভর্তি হবার বয়স হয়েছে কিনা তা যাচাই করার জন্য আমার স্কুলের হেড স্যার আমাকে বলেন ডান কান স্পর্শ করে মাথার উপরে ঠিক মাঝখান দিয়ে ডান হাত রেখে বাম কান স্পর্শ করতে,স্বাভাবিক ভাবেই আমি স্পর্শ করতে ব্যর্থ হই।সাথে সাথেই হেড স্যার না করে দিলেন যে আমার বয়স হয়নি।আমার মামার অনুরোধে হেড স্যার আমার কাছ থেকে অনেকগুলো ছড়া মুখস্থ শুনলেন।আর ইংরেজি এ্যালফাবেট দিয়ে বিভিন্ন শব্দ বানানো ও তার অর্থ শুনে অবশেষে হেড স্যার আমাকে সরাসরি বড় ওয়ানের বার্ষীক পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে দিলেন।বছরের শেষের দিকে আমাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ায় আমি সরাসরি বার্ষিক পরিক্ষায় অংশগ্রহন করি।আমাদের বাড়িতে হরি দাস নামে এক মিস্ত্রি কাজ করতেন। তাকে দুপুর বেলা চিড়া , গুড় আর দুধ দিয়ে খাবার দেওয়া হত।আমি তার পাশে বসে কাঠের টুকরা নিয়ে খেলতাম,সে কেন গরু খেতনা এই নিয়ে আমি তাকে অনেক প্রশ্ন করতাম।হরি কাকা হাসতেন আমার কথা শুনে।ছোট বেলায় অন্য ছেলেদের কাছ থেকে শুনে একটা সাম্প্রদায়িক বুলি শিখেছিলাম।সেটা আমি হরি কাকার সামনে সারাক্ষন চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে আওড়াতাম।সেটা হলো এরকম
হরি বলে রাম রাম
রাত পোহাইলে গরু খাম।

এইটা শুনে হরি কাকা শুধু হাসতেন।অবশেষে একদিন মায়ের হাতে মার খেয়ে সেই বুলি আওড়ানো বন্ধ করলাম।পরে যখন বুঝতে শিখেছি তখন এই বুলিটার কথা মনে পড়লে নিজে নিজে অনেক লজ্জিত হতাম আর অপরাধবোধ কাজ করত।এই ঘটনাটা ক্যাডেট কলেজে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।ক্লাস সেভেন এইট এ ক্লাস মেট রা একে অন্যের সাথে অল্পতেই টুক টাক ঝগড়ায় জড়িয়ে পরতাম।কে কাকে কিভাবে নতুন নাম ধরে ডাক তে পারে সেই প্রতিযোগিতা চলত।আমাদের এক বন্ধুর সাথে ঝগড়া হলে অনেক বন্ধুরাই ওকে ক্ষ্যাপানোর জন্য কিংবা নিজের রাগ ক্ষোভ মেটানোর জন্য ওকে ড্যাডাই বলে ডাক তো।এই শব্দটা আমার কাছে অনেক আপত্তিকর হিসেবে ঠেকতো,দুই একজন কে এই শব্দ ব্যবহার করার জন্য নিষেধ করেও লাভ হয় নি ঊল্টো আমি অই বন্ধুর দালাল হিসেবে গন্য হলাম।অবশ্য পরে যখন সবাই আমরা অনেক ম্যাচিউর হলাম আর কাউকে আমি সেই শব্দ ব্যবহার করতে শুনি নি।্যাই হউক সেই হরি কাকার কাছে প্রতিদিন আমি একটা আবদার করতাম আমাকে একটা নাটাই বা লাটাই বানিয়ে দেয়ার জন্য।অবশেষে স্কুলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সুবাদে আমার ভাই এর নির্দেশ ক্রমে হরি কাকা আমাকে একটা বিশাল সাইজের রঙ্গিন নাটাই বানিয়ে দিলেন,সেই নাটাই দিয়ে আমি ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত রঙ বেরঙ্গের ঘুড়ি উড়িয়েছি,ঘুড়ীর সাথে উড়েছি রঙ্গিন স্বপ্ন লোকে কল্পনার পাখা মেলে।ঘুমের মধ্যে মাঝে মাঝে আমার ঘুড়ী কেটে যাচ্ছে দেখে চিতকারে ঘুম ভেঙ্গে যেতো,স্বপ্নের সেই ভয়াবহতা থেকে পরিত্রানের জন্য মায়ের কোলে নিরাপদ আশ্রয় খুজতে মুখ লুকোতাম।আজ মাও নেই,ভয়ও নেই,ঘুড়ি কেটে যাবার ভয় এর চাইতে অনেক বড় বড় ভয়ও আজ আমাকে পেরেশান করে তুলে না।

২।ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরিক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে ক্লাস সিক্সে উঠেছি।আমাদের পাশের বাড়ীতে আমাদের নবীনগর সরকারি কলেজের বাংলার এক স্যার ভাড়া থাক্তেন।তার দুই ছেলে ছিল সাচী আর জ্যোতি নাম।সাচী আমাদের এক ক্লাস উপরে আর জ্যোতি আমাদের দুই ক্লাস উপরে পড়ত।খেলার সূত্রে দুইজন ই বন্ধু ছিলো।পহেলা বৈশাখে নদীর পারে মেলা জমত,সাতদিন পর্যন্ত সেই মেলা চলত।পায়ে হেটে বিকেল বেলা সবাই মিলে সেই মেলায় যেতাম।মেলা থেকে চাক্কু কেনা,প্লাস্টিক এর বন্দুক কেনা,বাশি কেনা ,গাড়ি কেনা এবং সে গুলো দিয়ে খেলা ছিলো আমাদের বিণোদন।সাচি ছিলো অনেক দুষ্টু।একদিন সাচীর মাথায় এলো সে আমাদেরকে পুতুল নাচ দেখাতে নিয়ে যাবে।পুতুল নাচ…নিশ্চয় ই অনেক মজার ব্যাপার।কাজেই শোনামাত্র সবাই ঔতসুক হয়ে উঠলাম।৭/৮ জন বন্ধু মিলে মেলায় গেলাম পুতুল নাচ দেখতে।শারীরিক অবয়বে বয়সের চাইতেও অনেক ছোট বলে প্রথমে আমাদের ঢুক তে দেয়া হলো না,ধমকের সাথে গেট ম্যান আমাদেরকে মার দেবার ভঙ্গিতে তাড়িয়ে দিলো।সাচী অনেক বুদ্ধিমান ছেলে,তাই ও আমাদের সবার কাছ থেকে ২ টাকা করে বেশি চাদা নিয়ে গেট ম্যান কে ম্যানেজ করে ফেল লো কিছুক্ষনের মধ্যেই।শুরু হলো পুতুল নাচ।অনেক ভিড়ের মধ্যে অনেক বড় বড় লোকদের মাঝখান দিয়ে ফাক ফোকরদিয়ে চলে গেলাম একবারে সাম্নে।বিস্ময় এর সাথে ছেলে পুতুল আর মেয়ে পুতুল এর কথোপোকথন এর মজা উপভোগ করতে থাক লাম।মিনিট পাচেক পর পর্দা টেনে দেয়া হলো।হঠাত করে পর্দা সরে গেলো।আমাদেরকে চমকে দিয়ে লাইট অন হওয়ার সাথে সাথে পুতুল মানবীর স্থলে আবির্ভুত হল জলজ্যান্ত ষোড়শি এক মানবী।দেখতে পুতুলের চেয়েও অনেক সুন্দরি ছিলো।প্রায় নগ্ন স্বল্পবসনা সেই মেনকা দেবী আমাদের সামনে নূপুরের ঝঙ্কার দিয়ে শুরু করলো তার নাচ……সাথে হারমোনিয়াম তব লায় আর বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে টুপি পরা এক লোক গেয়ে চল্ল,মেহবুবা মেহবুবা…আর সেই মেঙ্কা দেবীর উদ্দাম উত্তাল নৃত্য এর সাথে সবাই শিস দিয়ে নাচতে শুরু করলো,মেঙ্কা দেবী কাছে আসা মাত্র কেউ কেউ আবার তার দিকে ইশারায় অনেক কিছুই ছুড়ে দিচ্ছে, কেউ বা আবার এক টাকা, দুই টাকা খুশি হয়ে তার গোপন বুক পকেটে ছুড়ে দিচ্ছে হিমালয় দেখার আবদার নিয়ে।তারপর একে একে ঝিমি ঝিমি,আজা,আজা,ডিস্কো ড্যান্সার ,ক্যায়সে বানি,আজানা……এইসব গানের সাথে প্রায় এক ঘণ্টা আসর মাতিয়ে সেই মেঙ্কা দেবি নাচে সবাইকে পাগল করে তুল্ল।আমরা শুধু অবাক হয়ে বুঝে না বুঝে মন্ত্রমুগ্ধের মত দেখে চল্লাম সেই পুতুল রুপি জলজ্যান্ত মানবীর নাচ গান।ক্যাডেট কলেজে যখন ক্লাস এইটে উঠলাম তখন ছুটী থেকে ফেরার পর যখন গল্প শুরু হত তখন আমি এই গল্প বলে যেতাম আর কলেজের অনেক বন্ধুরা বিশেষ করে তিতাস হাউসের ছেলেরা সেই গল্প অবাক বিস্ময়ে বসে বসে শুন ত।এরপর থেকে যখুনি আমি ছুটি থেকে ফিরতাম অনেকেই এসে বলত দোস্ত এইবার এই ছুটিতে কি কি দেখলি..আমি সত্য মিথ্যা মাখিয়ে অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক গল্প শোনাতাম।নিজকে বস বস মনে হতো।কিন্তু ক্লাস নাইনে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই প্রিজন ভ্যানের মত খাচাবন্দি স্কুল ভ্যানে করে মা মনির আচল লুকোনো আমার অনেক বন্ধুরা অনেক নতুন নতুন গল্প নিয়ে আবির্ভুত হতে থাক্লো।প্রেপ টাইম এ কিংবা ছুটির দিনে সবাই আগ্রহ ভরে সেই সব গল্প শুনতে থাক্লাম।ততদিনে রসময় এর সাহিত্য রস এ সবাই নতুন করে মগ্ন হওয়া শুরু করলাম।বাকি সব ত ইতিহাস……লাইব্রেরি তে বইয়ের পাতা কাটা,পত্রিকার ছবি কাটা,চাদা দিয়ে স্টার ডাস্ট,ফিল্ম ফেয়ার ম্যাগাজিন কেনা,নীল ক্ষেত থেকে চাদা দিয়ে প্লে বয় ম্যাগাজিন কেনা,তারপর সেইটা দেখা ও পড়ার জন্য সিরিয়াল দেয়া নিয়ে ঝগড়া মারামারি….।।…।হা হা হা।

আজ জীবন জীবিকার ব্যস্ততার ভিড়ে অনেক কিছুই হারাতে বসেছি,বন্ধুদের আড্ডা,খেলার মাঠ কিংবা অঞ্জনের বেলা বোসের গান।এখন ঘরে বসেই হয়ত অবসরে বিনোদনের অনেক কিছু হাতের কাছে পাই,কিন্তু সেই প্রাপ্তি আর এই প্রাপ্তির ব্যবাধান অনেক।সেই শৈশবের প্রাপ্তিটা আজো সুখ দেয়,আনন্দ দেয় । সেই দিনের বেলা বোসের গান,পুতুল নাচের নায়িকারা শুধু সুখ দিয়েই হারিয়ে যায় নি,মনের গহিনে একটা পোক্ত স্থান করে নিয়েছে।আজকের টূয়াইলাট এর বেলা কে দেখে থিয়েটারে খোয়া যাওয়া পয়সা ওসুল হয় ঠিক ই কিন্তু মনের ভেতর সে পোক্ত করে দীর্ঘস্থায়ী আসন গাড়তে পারে না।সেই স্মৃতি খুজে পেতে প্রতিদিন ই আমি রাতে একবার করে carpenters এর yesterday once more গান টা শুনি।আমার কাজের ফাকে ব্যস্ততার ভিড়ে সমস্ত যান্ত্রিকতার যন্ত্রনার সঙ্গী হিসেবে অন্য অনেক গানের পাশা পাশি আমার কানে বাজে….।।…।
When I was young
Id listened to the radio
Waitin for my favorite songs
Waiting they played Id sing along
It made me smile
Those were such happy times
Lyrics downloads from www.SuperLyrics.net
And not so long ago
How I wondered where theyd gone
But theyre back again
Just like a long lost friend
All the songs I loved so well
(*) every sha-la-la-la
Every wo-wo-wo
Still shines
Every shing-a-ling-a-ling
That theyre starting to sings
So fine
When they get to the part
Where hes breakin her heart
It can really make me cry
Just like before
Its yesterday once more
Lookin back on how it was
In years gone by
And the good times that I had
Makes today seem rather sad
So much has changed
It was songs of love that
I would sing to then
And Id memorize each word
Those old melodies
Still sound so good to me
As they melt the years away
Repeat (*)
All my best memories
Come back clearly to me
Some can even make me cry
Just like before
Its yesterday once more
Repeat (*)

২,৮২২ বার দেখা হয়েছে

৪০ টি মন্তব্য : “ইয়েস্টারডে ওয়ানস মোর”

  1. রকিব (০১-০৭)
    কিন্তু ক্লাস নাইনে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই প্রিজন ভ্যানের মত খাচাবন্দি স্কুল ভ্যানে করে মা মনির আচল লুকোনো আমার অনেক বন্ধুরা অনেক নতুন নতুন গল্প নিয়ে আবির্ভুত হতে থাকলো।

    হায়রে আমার নানা রঙ-এর দিনগুলি।
    ভাইয়া বর্ণনাভঙ্গি খুব ভালো লেগেছে।
    প্রিয়তে টুকে নিলাম।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    একা একা পথ চলা
    একা একা কথা বলা
    হাজার মানুষের ভীড়ে মিশে
    ভোরের কোলাহল, ঘুমের শেষে
    দু'চোখ আজও খুঁজে ফিরে
    ফেলে আসা ছেলেবেলা............


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    অসাধারন লেগেছে বস :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:

    নিজেকে সবসময় খুব ভাগ্যবান মনে হয় ঢাকা শহরে থেকেও মীরপুরের মত আধা মফস্বলে থাকার কারনে শৈশবটা অসাধারন কাটিয়েছি, সেই সাথে এখনকার সময়ের মত পড়াশুনার যুগ ও সেটা ছিল না। স্কুল শেষ মানেই দিনের পড়াশুনা শেষ... তারপর শুরু হত রাস্তায় রাস্তায় গুল্লি(মার্বেল), লাটিম এমনকি ডাংগুলি আর বিকাল হলে ফুটবল...

    আহ আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  4. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    😀

    ওই ব্যাটা পুতুল নাচের কথা এত লম্বা কইরা ক্যান কইছো? কেস কি?

    স্মৃতিময় লেখা আমার সবসময়ই ভালো লাগে। স্মৃতি ছাড়া তেমন আর কোন অর্জন নেই মনে হয় আমার। 🙁


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাশেদ (৯৯-০৫)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।