বেলুন ফিয়েস্তা – চলো আকাশে উড়ি

মুক্ত নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে, কার না স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছা করে সেখানে সাদা মেঘের মত ভেসে বেড়াতে? অন্তত আমার করে। অনেক ছোট বেলা থেকে করতো। এক সময় ভাবতাম বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়ে এই সুযোগটা গ্রহন করবো, কিন্তু বাবা-মাকে অতটা দুঃখ দিতে মন চাইলো না – এক মাত্র ছেলে হবার কিছু অসুবিধাও আছে। চট্টগ্রামে নব্য সৃষ্ট ফ্লাইং ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম – এই ধারনা নিয়ে যে অন্তত পি,পি,এল লাইসেন্সটা থাকলে মাঝে মাঝে হয়তো সখ করে উড়তে পারবো। স্বাধীনতার যুদ্ধে সব বদলে গেল। এক বিমানবালার প্রেমে পড়লাম – হয়তো মুক্ত বিহঙ্গের মত সেও আকাশে উড়ে – এই কল্পনা করে। অনেক চেষ্টার পর তার মন জয় করে শেষ পর্যন্ত তাকে বিয়ে করে মাটিতে নামিয়ে আনলাম – কিন্তু আমার আর উড়া হল না।

আমেরিকার আলবাকারকি শহরে বদলি হয়ে আসার পর প্রথম জানলাম এখানকার ‘বেলুন ফিয়েস্তার’ কথা। বেশ অবাক হলাম যখন জানলাম পৃথিবীর সব চাইতে বড় বার্ষিক বেলুন উৎসব হয় এই শহরে। পৃথিবীর নানান দেশ থেকে বেলুন প্রেমিক মানুষ এখানে এসে জড় হয় অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহের নয় দিন ব্যাপী এই বেলুন ফিয়েস্তা উৎসবে। ‘ফিয়েস্তা’ একটি স্প্যানিশ শব্দ – মানে হচ্ছে ‘পার্টি করা’ বা ‘ফিস্ট করা’। আমেরিকান ‘গ্রিঙ্গো’রা ‘এদেশ’ (নিউ মেক্সিকো) দখল করার আগে এখানকার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতো – সে সংখ্যা কমে এখন ৪২ ভাগে দাঁড়িয়েছে। তবে এ সংখ্যাটাও খুব একটা কম না। ফলে এখানকার ভাষা ও সংস্কৃতিতে স্প্যানিশ প্রভাব অনেক। ইংরেজী ‘J’-কে এখানে ‘হ’ উচ্চারন করা হয়। ফলে আমাকে যখন বন্ধুরা ‘হেমেজ মাউন্টেনে’ বেড়াতে যাবার কথা বলল, তখন আমি আর ম্যাপে সেটা খুঁজে পেলাম না। এমনি ভাবে ‘Juan tabo’ লেখা রাস্তাতে আমি ‘হুয়ান টাবো’ খুঁজে খুঁজে হয়রান হতাম। এখন অবশ্য বেশ অভ্যস্ত গেছি। যে মেয়ের নাম জুলিয়া, তাকে হুলিয়া ভাবতে খারাপ লাগে না।

প্রায় ৪০ বছর আগে প্রথম শুরু হয়েছিল এখানে ‘বেলুন ফিয়েস্তা’। হিসাব করে দেখলাম আমিও ঐ সময় প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলাম বেলুনে চড়ে আকাশে উড়ার। আমি তখন সিলেটের এক চা বাগানে কাজ করি। প্রকৃতির অপূর্ব সুন্দর ঘন সবুজের সমারোহের মধ্যে বাস করি। কিন্তু আমি তখন বড় একাকী। আমার প্রিয়তমা তখন তার চাকরী ছেড়ে আমার সাথে ঘর বাধাঁর কথা চিন্তা করছে না। প্লেনে করে সে তখন ঢাকা, করাচী, কাটমুন্ডু, ক্যান্টন, রেঙ্গুন ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমি তখন আমার একাকী সময় কাটাতে ‘লং প্লেয়ারে’ গান শুনতাম আর বেহালা বাজাতাম। সেই সময় আমার এক প্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ছিল ‘এঞ্জেল বার্ড হাম্বারডিংক’, এবং তার একটা গান শুনে প্রথম বেলুনে উড়ার কথা মাথায় এসেছিল। গানের লাইনগুলি এখনো মনে আছে আমারঃ

Would you like to ride in my beautiful balloon
We could float among the stars together, you and I
For we can fly we can fly
Up, up and away
My beautiful, my beautiful balloon

আলবাকারকি বেলুনে উৎসবে ৫০০ থেকে ১০০০ বেলুন এক সাথে আকাশে উড়ে। বিভিন্ন রংয়ের ও আকারের বেলুন যখন এক সাথে আকাশের নীলে ভাসতে থাকে, তখন যে অপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয় – তার বর্ণনা দেবার ক্ষমতা আমার নেই।

বেলুন ফিয়েস্তার প্রায় সব বেলুন হচ্ছে ‘গরম বাতাস বেলুন’ (Hot Air Ballon), অর্থাৎ বেলুনের ভিতরের সাধারণ বাতাস যখন গ্যাস বার্ণারের তাপে গরম হয়ে বাইরের বাতাসের চাইতে হালকা হয়ে যায়, তখন বেলুন উড়তে আরম্ভ করে। এই বেলুনগুলি অবশ্য আকারে অনেক বড়। আকারে এক একটা বেলুন ৫ তলা বিল্ডিং-এর সমান হতে পারে। সাধারনত ৩ থেকে ৫ জন যাত্রী ও পাইলট বহন করতে সক্ষম এই বেলুনগুলি। যার ফলে এর নীচে লাগানো ‘গন্ডোলা’ সহ এটা সহজে আকাশে উঠতে পারে। গন্ডোলা বা বাসকেট বা ঝুড়ি তৈরী হয় বেত জাতীয় এক প্রকার ‘উইকার’ (wicker) বস্তু দিয়ে। এর ফলে বেলুন যখন মাটিতে নামে তখন ধাক্কা খেলেও গন্ডোলা সেই ধাক্কা বেশী সহ্য করতে পারে। সাধারনত দুই-তিন জন বা আরও বেশী একসাথে গন্ডোলাতে চড়ে উড়তে পারে। এক সাথে ১৬ জন উঠতে পারে এমন গন্ডোলাও আছে।

বেলুন সাধারনত শুধু উপরে উঠতে পারে বা নীচে নামতে পারে। উপরে উঠাতে গেলে বার্ণার থেকে আগুনে গ্যাস ছাড়া হয় বেলুনের ভিতরে বাতাস আরও গরম করার জন্যে। নামাতে গেলে বেলুনের পাইলট একটা দড়ি ধরে টেনে বেলুনের উপরের একটা ভালব কিছুটা খুলে দিয়ে গরম বাতাস বের করে, ফলে বেলুন নামতে থাকে। এছাড়া কিছু কিছু স্থান আছে, যেমন পাহাড়ে ঘেরা এই শহর, যেখানে উপরের বাতাস উচ্চতা অনুসারে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। হয়তো দেখা গেল ৫০০ ফিট উচ্চতায় বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে আবার ১৫০০ ফিট উচ্চতায় বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূর্বে। এই বাতাস প্রবাহের দিক পরিবর্তন অনুসরণ করে পাইলটরা বেলুনের দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। সধারণত বাতাস প্রবাহের গতিবেগ ১০ নটের কম হলে বেলুন চালানো সম্ভব হয় না। আলবাকারকি শহর এমনিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক মাইল উচ্চতায়। এখানকার বাতাস বাতাস এমনিতে হালকা। এসব মিলিয়ে বলা হয় বেলুন উড়াবার জন্যে সব চাইতে উপযুক্ত স্থান এটি।

বেলুন যে শুধু গোলাকৃতি বা বেগুনের আকারে হতে হবে এমন কোন কথা নেই। সাধারনত বেলুনের আকারকে বলা হয় ‘inverted tear drop’ বা ‘চোখের পানির উল্টা ফোটা’। এছাড়াও অনেক বিচিত্র আকার ও প্রকারের বেলুন দেখা যায় বেলুন উৎসবে। এদের মধ্যে আমার প্রিয় হচ্ছে জোয়ি ও লিলি – এরা দুজনেই মৌমাছি বেলুন এবং একসাথে থাকে সব সময়। আকাশে উঠার পর মাঝে মাঝে এদেরকে জড়াজড়ি করে একে অপরকে চুমা দেবার চেষ্টা করতে দেখা যায়। খুবই রোমান্টিক এরা।

প্রথম যখন বেলুন উৎসবে যেয়ে বেলুন দেখলাম তখন আবার আমার চা-বাগানের পুরানো স্বপ্নটা ফিরে এলো। খোঁজ নিতে গেলাম একটা বেলুন কিনতে কত টাকা লাগতে পারে। আমি ভেবছিলাম নাইলনের কাপড়ের তৈরী আর গরম বাতাস ভরা বেলুন – কতই বা তার দাম হবে। যখন শুনলাম ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ ডলার পরবে একটা বেলুনের দাম – তখন বাতাস চলে যাওয়া বেলুনের মতই চুপসে গেলাম আমি। এ ছাড়াও আরো খরচ আছে। প্রতিবার বেলুন উড়াতে প্রায় ২০০ ডলার খরচ হয় বার্ণারের গ্যাসের মুল্য হিসাবে। এছাড়া উদ্ধার কাজের জন্যে রাখতে হয় ‘চেইজ টিম’ – যারা বেলুন নামার সময় বেলুনের পিছে পিছে ট্রাক চালিয়ে ধাওয়া করে। বেলুন চালাবার পারদর্শিতার জন্যে লাইসেন্স / পারমিট ইত্যাদি নিতে হয়। আসলে বেলুন উড়ানো শুধু বড়লোকদের হবি। সাধারনের জন্যে শুধু টিকেট কেটে বেলুন ফিয়েস্তা মাঠে যেয়ে দেখা ছাড়া গন্ত্যান্তর নেই। ফিয়েস্তা মাঠের পাশে একটা বড় বেলুন মিউজিয়াম আছে। সেখানে বেলুন ভ্রমণের ইতিহাস ও নানা রকম দ্রষ্টাব্য শোভা পাচ্ছে। একটা ‘বেলুন স্কুল’ও আছে সেখানে।

গত শনিবার থেকে ২০১০ সালের বেলুন ফিয়েস্তা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৫০,০০০-এর বেশী মানুষের সমাগম হয়েছে। এরা সবাই টিকিট কেটে ঢোকা লোক। ফিয়েস্তা উপলক্ষে এই সময় আরও অনেক অনুষ্ঠান হতে থাকে এই শহরে। হ্যাম রেডিওর একটা বুথ হয়েছে শুনলাম যখন সকালের ‘রেডিও নেটে’ গাড়ী চালাতে চালাতে কথা বললাম অফিস যাবার পথে। বন্ধুরা অনুরোধ করল আমি যেন সেই বুথ দর্শন করে ওদেরকে উৎসাহ দিয়ে আসি। অফিসে যেয়ে ই-মেইল পেলাম আমাদের কোম্পানী (এখানকার একমাত্র বিদ্যুত সরবরাহকারী) থেকেও ফিয়েস্তার মাঠে একটা বুথ খোলা হয়েছে এবং এই বৃহস্পতিবারে সেখানে যাবার জন্যে ফ্রি টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৫ টা থেকে সেখানে ফ্রি কফি ও চকলেট-মিল্ক পাওয়া যাবে এবং ৭টার পর ফ্রি ব্রেকফাস্ট। এখনো ঠিক করিনি যাব কিনা। তবে না যাবার সম্ভাবনা বেশী।

কিছু দিন আগে খোঁজ পেয়েছিলাম যে এখানে একটা প্রতিষ্ঠান আছে যারা কিছু টাকার বিনিময়ে ঘন্টা খানেকের বেলুন ভ্রমনের সুযোগ করে দেয়। তারা বেলুন চালাবার জন্যে পাইলটও দেবে – ভ্রমণকারীর ভুমিকা শুধু দর্শকের। খুবই আগ্রহ ভরে কথাটা পারলাম আমার প্রিয়তমার কাছে। ভাবলাম আমার এত দিনের স্বপ্ন এবার সফল হতে যাচ্ছে। আমার কথা শুনেও না শোনার ভাব দেখিয়ে সে বললো – “পিছনের মাঠের ঘাস অনেক বড় হয়ে গেছে, অন্য বাজে কাজে সময় নষ্ট না করে তুমি বরং ঐ সময়ে ঘাসটা কেটে রাখো।”

আমার ভাগ্যে আর কতদিন শুধু ঘাস কাটা আছে, কে জানে?

৩,৫৯১ বার দেখা হয়েছে

৩০ টি মন্তব্য : “বেলুন ফিয়েস্তা – চলো আকাশে উড়ি”

  1. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    সাইফ ভাই,
    আমার তো এখুনি বেলুনে চড়তে ইচ্ছে করছে।আপনার বর্ণণা অসাধারণ।
    ধরেই নিয়েছিলাম শেষের দিকে আপনার বেলুন চড়ার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাটুকু শুনতে পাবো, তা না কপালে ছিলো ঘাসকাটা।
    একটু চড়ে আসেন না কেনো ঘাসকাটা ফাঁকি মেরে!
    গানটা শুনিনি। লিংক পেলে ভালো লাগতো।
    ভালো থাকবেন।

    জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    বেলুনের ছবি দেখতে পাচ্ছি না 🙁

    আচ্ছা লেখাটা প্রথম পাতায় দেখি না কেন?


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

      ফয়েজ,

      উপরে জবাব দিয়েছি। আসলে এটা সচয়ালতনের জন্যে লেখা - অলখ আমেরিকা সিরিজের। ওখানে ছবি দেখা যাচ্ছেনা দেখা এখানে কপি দিয়েছিলাম অন্য ফল হয় কিনা জানার জন্যে। তখন আগের এক খোড়াখাতার পাতাতে ঢুকিয়ে ছিলাম - জানতাম না যে আগের তারিখ চলে আসছে।

      তোমার 'অবজারভেশন-'এর তারিফ করতে হয়।

      জবাব দিন
  3. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    ছবিগুলো দেখতে না পেয়ে মন খারাপ। অন্য ব্লগেও দেখলাম একই সমস্যা। তবে আপনার আগ্রহের বিষয়গুলো যেভাবে একে একে বেরিয়ে আসছে তাতে বিষ্মিত হচ্ছি। মনে-প্রাণে এখনো আপনি দারুণ তরুণ। হ্যাম রেডিও'র কথা আগেই জানতাম। এবারে বেলুনে উড়া। লেখাটা সুখপাঠ্য হয়েছে সাইফ ভাই।

    কিন্তু লেখার শেষে এভাবে রসভঙ্গ আশা করিনি। ভাবী পারলেন আপনার সঙ্গে এমন আচরণ করতে! আসলে ভীষণ হাসি পেয়েছে। ভাবীকে শুভেচ্ছা জানাবেন, আর বলবেন আমরা ছোট ভাইরা আপনার পক্ষে আছি। আমরা প্রয়োজনে আন্দোলন করবো! মিছিল করবো, শ্লোগান দেবো! :goragori:


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  4. ওয়াহিদা নূর আফজা (৮৫-৯১)

    সাইফ ভাই বেলুন ফিয়েস্তার সাথে পরিচয় হলো। এটা দেখার জন্য একবার নিও মেক্সিকো যেতে হয়। তবে শেষের দিকে আশা করেছিলাম আপনি সত্যি সত্যিই বেলুন চড়বেন। শুধু শুধু ভাবিকে ভিলেন বানিয়ে দিলেন। এ ব্যাপারে নির্ঝরের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন যে সে কিভাবে সপ্তাহে ৪/৫ বার প্রতিবারই ১/২ ঘন্টা করে হাইকিং করার সুযোগ পায় কী করে। একটা কারণ বলতে পারি সেটা হলো ঘাসহীন বাড়িতে থাকা।
    আপনার আর ভাবির সেই ফ্লাইং ক্লাবের দিনগুলো নিয়ে একটা পোস্ট আশা করছি।
    অলখ আমেরিকা নামটার মধ্যে নতুনত্ব আছে।


    “Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
    ― Mahatma Gandhi

    জবাব দিন
    • সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

      শান্তা,
      মাত্র আধা ঘন্টার বন্দীমুক্তি? বেচারা নির্ঝর - কবে যে 'নির্ঝরের স্বপ্নভগ্ন' হবে... :shy:

      এবারতো ফিয়েস্তা প্রায় শেষ, মাত্র ৪ দিন বাকী। সূযোগ পেলে পরের বছর আসার চেষ্টা করো - এটা একটা দেখার মত জিনিস - বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্যে আরও মজার।

      আমার বেলুনে চড়ার স্বপ্ন এখনো আছে ... একা যে কোন সময় চড়তে পারি... কিন্তু সেটাতো আমি চাইনি।

      জবাব দিন
  5. সাব্বির (৯৫-০১)

    সাইফ ভাই কোন ছবি দেখতে পেলাম না, আরেক বার চেষ্টা করবেন, প্লীজ। ছবি গুলো অসাধারণ, লেখা পড়েই তা বেশ বুঝতে পারছি।
    লেখা পড়ে ভীষন ইচ্ছে করছে বেলুনে চড়ার।

    জবাব দিন
  6. শিবলী (১৯৯৮-২০০৪)
    খবরদার কোন মিছিল না। তা হলে বাড়ী ছেড়ে আমাকেও ‘হোমলেস’ হয়ে রাস্তায় রাস্তায় কাটাতে হবে।

    :)) :))
    পড়া শেষ করার পর যতটা না বেলুন দেখে ভাল লেগেছিল তার চেয়ে আপনার জন্য বেশি খারাপ লাগছিল.........
    কিন্তু ভাবীর এটা কেমন অবিচার ??? বেলুনে ওঠার বদলে ঘাস কাটা ?? =((

    জবাব দিন
    • সাইফ শহীদ (১৯৬১-১৯৬৫)

      শিবলী,

      জানি না তুমি ইতিমধ্যে মালা বদল করেছ কিনা। আসলে তোমাদের ভাবী আমাকে খুব ভালবাসে, না হলে এতদিন ধরে বাস করতো না আমার সাথে। সে জানে যে আমার হার্ট অপারেশনের পর কিছু কিছু রিস্কি এডভেঞ্চারে আমার না যাওয়া ভাল।

      আর ঘাস কাটা - এখানে সবাইকে মোটা মুটি করতে হয়। সম্প্রতি অবশ্য তোমাদের ভাবী তার টাকায় এক মালী (ল্যান্ডস্কেপার) ঠিক করেছে যে মাসে এক-দুই বার এসে ঘাস কেটে দিয়ে যায়।

      আমার জন্যে তোমাদের এই ভালবাসা দেখে ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা রইল।

      জবাব দিন
  7. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    ভাবির ব্যান চাই।
    সাইফ ভাই এগিয়ে চলেন
    আমরা কেক-কুক খেয়ে আসতেছি 😛


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আহসান আকাশ (৯৬ - ০২)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।