কলেজ পালিয়ে

অডিটোরিয়াম

অডিটোরিয়াম

একেবারে শাদামাটা একটা ক্লাশ ইলেভেন কাটাচ্ছিলাম। ম্যাড়মেড়ে, নিস্তরঙ্গ। সেই কাক ভোরে ওঠোরে, পিটি করোরে, ব্রেকফাস্ট, ক্লাশ, মিল্কব্রেক, ক্লাশ, লাঞ্চ, আফটারনুন প্রেপ, টি, গেইমস, প্রেয়া্‌র, প্রেপ ডিনার, টিভি, রাত দশটা, লাইটস অফ, ঘুম।
এই যদি হয় জীবন তাহলে ইলেভেনে উঠলাম কেন? প্রতিবছর ক্লাশ ইলেভেন কত কিছু করে ! ইলেভেন্থ ইনটেকতো দেয়ালে চিকা টিকা মেরে কলেজ থেকেই বেরিয়ে গেলো। শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাঁচজনকে কলেজ ফিরিয়ে আনেনি। এই অকালীন বহিষ্কার তাদের ইমেজে এতটুকু দাগ ফেলতে পারেনি। বরং তাঁরা বীরের মর্যাদায় ঠাঁই পেয়েছেন আমাদের হৃদয়ে।
আমাদেরতো কিছুই হলোনা। আন্দালীবের সাথে দু’একদিন হাউসের ছাদে সিগারেটে টান দিয়েছি। স্টার সিগারেটের কড়া তামাকে, মাথা ঘুরে উঠেছে, কাশতে কাশতে চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে পড়েছে, তাতে শ্লেষ যতটুকুই থাকুক শ্লাঘা কিছু কম নয়। একদিন এই মুখাগ্নির আসরেই মনে হলো, লুকিয়ে চুরিয়ে সিগারেট খাওয়ায় তেমন কোন বীরত্ব নেই। সত্যিকারের বাহাদুরি দেখাতে হলে দেয়াল টপকে শহরে যাবার বিকল্প নেই। তবে বাইরে যাবার সমস্যা অনেক। মাথার চুলে বাটি ছাঁট, পকেট গড়ের মাঠ, ধরা পড়লে কলেজের দরজা চিরকালের জন্যে শাট।
কলেজে নগদ টাকা রাখা গুরুপাপ। ১০ টাকার কুপনে মাস চলে। চালাক চতুর যারা লুকিয়ে চুরিয়ে দু’ দশ টাকা নিয়ে আসতো, তাদের কাছ থেকে সব কিছু টাকা জোগাড় করা হল। মাথার বাটি ছাঁট ঢাকতে গলা, মাথায় মাফলার জড়ালাম। ডিনারের পর, ডাইনিং হলের ওয়েটারদের মত পাজামার সাথে ক্যানভাসের জুতো পরে, কলেজ মস্কের পূব দিকের পাচিল ডিঙ্গিয়ে যখন রওনা দিলাম, আকাশে তখনও চাঁদের দেখা নেই।
ক্রস কান্ট্রি রেসের সময় বেশ কয়েকবার এই পথে দৌড়াতে হয়েছে। চাঁদ হীন রাত সে সব মনে করতে দিচ্ছিলো না। কলেজের পশ্চিম সীমানায়, মেইন গেটের কাছে রাস্তা বরাবর একটি খাল আছে জানতাম, সেটা যে দক্ষিণে বাঁক নিয়ে কলেজের দক্ষিণ সীমানা দুর্লংঘ্য করে তুলেছে তা বুঝলাম কাদাপানিতে মাখামাখি হবার পর। জুতোর তলায় একসাথে অনেক খানি কাদা আটকে যাওয়ায়, হাটা চলা দূ্রুহ হয়ে গেল। জুতোর তলা ঘাসে মুছে। খাল পাড়ের চিকন রাস্তা দিয়ে ঝিনাইদহ কুষ্টিয়া রাস্তা ধরে শহরের দিকে রওনা দিলাম। শহরে কেন যাচ্ছি তার কোন ঠিক নেই। একবার মনে হয়েছে ছবিঘরে (ঝিনাইদহ শহরের একটি সিনেমা হল) ঢুঁ মেরে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে ফেরত যাবো। একবার মনে হলো মেলা (সেই আমলে শীতের শেষে প্রায় প্রতিটি মহকুমা শহরে সরকারি উদ্যোগে মেলা বসত) দেখতে যাবো।
ক্যাডেট কলেজের শেষ সীমানা থেকে শহরের দূরত্ব খুব কম নয়। আমরা ঢিমে তেতালা গতিতে হাইওয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে শহরের দিকে এগোচ্ছি। হঠাৎ আমাদের উল্টো দিক থেকে কাছে এসে একজন জিগ্যেস করলেন, ‘তোমরা কই যাও?’ তাঁকে চিনত পারছিলাম না। তবে খুব যে অপরিচিত, তাও মনে হচ্ছিল না। আমরা আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম ধরা পড়লে বা কেউ জিগ্যেস করলে আমরা সঠিক পরিচয় দেবোনা। ততক্ষণে আগন্তুক কে চিনতে পেরেছি। দুই একদিন এডজুটেন্টের অফিসের সামনে দেখা হয়েছে। ওই অফিসের দপ্তরি, নাম আইনুদ্দিন। বললাম, শহরে যাই, মেলা দেখতে। তয় আপনার কী?আপনি জিগান ক্যা?
– তুমরা ক্যাডেট কলেজের না?
– না (সরাসরি অস্বীকার করলাম)
– আমি কিন্তু তুমারে চিনতে পারসি। তুমি স্যারের অফিসের সামনে দাঁরায় ছিলা, তুমার নাম সাইদুল না?
আমরা খুব কনফিডণ্টলি বললাম, ‘আমরা ক্যাডেট কলেজে পড়িনা। আমাগের বাড়ি মুরাদ্দ্যা
(মুরারীদহ)’।আইনুদ্দিন বিশ্বাস করলেন না। বললেন, ‘গরমের মধ্যি যিবাভে মাফ্লার গলায় জড়াইছাও, তাতেই বুঝতে পারছি, তুমরা লুকাল (স্থানীয়) না, মুরাদ্দায় আমার বাড়ি, মুরাদ্দার পুলাপানগের আমি চিনি’।
হেমন্তের আগেই মাফলারে কান মাথা ঢাকার ভুলটা বুঝতে পেরেও ‘নতুন দা’র মত নতজানু না হবার সিদ্ধান্তে অটল থাকলাম। আইনুদ্দিনকে উপেক্ষা করে এগোতে থাকলাম। তিনি আমাদের পিছন পিছন কয়েক কদম এলেন। বললেন, ‘আমি তুমাগের চিনতি পারছি। কলেজে ফিরে না গিলি কিন্তু আমি এখন যাইয়ে রিপোট করবো’।
ভেতরে ভেতরে ঘাবড়ে গেলেও, আইনুদ্দিনের কাছে নিজেদের অ-ক্যাডেট প্রমানের আপ্রাণ চেষ্টা করতে করতে আমরা এগোতে থাকলাম। আইনুদ্দিন হাল ছেড়ে ফিরে গেলেন। তবে রিপোর্ট করার হুমকি আমাদের উৎসাহে খানিকটা আশঙ্কা যোগ করে দিলো। আমি দুর্বল চিত্তের মানুষ। নিজেকে হিরো প্রমানের বোকা বুদ্ধি আমাকে এডভেঞ্চারে ঠেলে দিয়েছে। আন্দালীবকে বললাম, ‘দোস্ত উনি গিয়ে রিপোর্ট করে দিতে পারেন’। তখন আমরা আমরা আরবপুরের কাছাকাছি এসেছি। মূল শহর আরও দূরে। ফিরতে পারছি না, পাছে লোকে কিছু বলে দোষে (বন্ধুদের মধ্যে যে দু’এক জন জানে তারা যদি হাসাহাসি করে!)।এগোতে পারছিনা আইনুদ্দিন ভাই’র কথা ভেবে। শেষ পর্যন্ত কামিনী রায়কে দূরে ঠেলে, কলেজের পথ ধরলাম। এবার পথ ঘাটে খুব একটা অসুবিধা হলোনা। পাচিল টপকে হাউসের পেছন দিয়ে হাউসে ঢুকতে ঢুকতে দেখি, হাউসের সামনের রাস্তায় পুরো কলেজ ফল ইন (সারি বেঁধে দাঁড়ানো) হয়ে আছে। এডজুটেন্ট, ডিউটি টিচার আর আইনুদ্দিন ভাই বদর হাউসের দিকে।
যা বাবা! তার মানে রিপোর্ট হয়ে গেছে! ফলইনে যাবার আগে হোয়াইট ড্রেস (সেই আমলের রাতের ইউনিফর্ম (!) শাদা প্যান্ট, শাদা জামা আর টাই) পরতে হবে।
তার আগে কাদা মাখা জুতো, মাফলার, জামা পাজামার একটা গতি করতে হবে।
হাত পায়ের কাদা ধুতে হবে।
বদর হাউসের সামনে থেকে আমাদের হুনাইন হাউসের সামনে আসতে এডজুটেন্টের খুব বেশি হলে লাগবে ১০ মিনিট। অল্প সময় অনেক কাজ। এদিকে স্টাফরা (ড্রিল শেখানোর মিলিটারি ওস্তাদ) বারান্দায় ঘোরাঘুরি করছে। আমাদের মাথা খারাপ হবার জোগাড়।
রুমে ঢোকার আগেই কাদামাখা জুতোগুলি হাউসের পেছনের জঙ্গলে ফেলে দিলাম। কাদা মাখা জামা, পাজামা একটি আলমারির পেছনে সেঁধিয়ে আলমারিটাকে দেয়ালের দিকে এমন ভাবে ঠেলে দিলাম যেন আলমারি আর দেয়ালের মাঝামাঝি জায়গায়, চাপাচাপিতে তারা যেন ভালো থাকে।
নিয়ম ভেঙ্গে বিপদে পড়লে, প্রমান সরাতে মানুষ অনেক হাস্যকর কাজ করে। একফালি হালকা গোঁফ সে বয়সে আমার ঠোঁটের উপর উঁকি ঝুকি দিত, আমি ছাড়া অন্য কারো কাছে সেই প্রায় দৃশ্যমান গোঁফের কোন গুরুত্ব ছিলোনা। আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কবে সেগুলি গন উইথ দ্য উইন্ডের ক্লার্ক গেবলের মত হবে ভাবতাম। সে মুহুর্তে সেই অকিঞ্চতকর গোঁফকেও শত্রু মনে হলো। এডজুট্যান্ট প্রতিটা লাইনে আইনুদ্দিনকে নিয়ে ঘুরছেন। আইনুদ্দিন যদি ঠিক মত খেয়াল করে থাকেন, তাহলে গোঁফ কামালে ধন্ধে পড়বেন। তাঁর সাথে যে আমাদের আধো-অন্ধকারে দেখা হয়েছিলো, ভালো করে অনেক কিছু মনে থাকার কথা না। সেসব মনে থাকলো না। হাত- পায়ের কাদা ধুয়ে গোঁফ কামাচ্ছি, এমন সময় হাজির হলেন হাবিলদার মোশাররফ। তিনি আমাদের হাউসের ড্রিল শিক্ষক, ক্যাডেটদের ডিসিপ্লিনের দেখভালও তাঁকে করতে হয়। আমাকে দেখে বিস্ময়ে তাঁর চোয়াল ঝুলে গেল। শুধু বলতে পারলেন সাইদুল তুমিও!
আমার কানে সেটি “Et tu, Brute?” র, মত শোনালো। যেন নিজে শৃঙ্খলা ভেঙে তাঁকে শেকলে বেঁধে ফেলেছি ! ব্রুটাসের মত বিশ্বাসঘাতক।
স্টাফের কথার উত্তর না দিয়ে আমি ফল ইনে যোগ দিলাম। একটু পরে এডজুটেন্ট আমাদের সামনে এলেন। আইনুদ্দিন পিছন থেকে ইশারা করছেন। রাস্তা থেকেই দেখতে পাচ্ছি ডিউটি টিচার মিঃ এনামুল হক আমাদের রুমে ঢুকছেন। আলমারি টালমারি তল্লাসী করে তিনি এডজুটেন্টের কানে কানে কিছু বললেন। ফলইন ভেঙ্গে সবাই ফিরে গেলো হাউসে, আমাদের স্কোয়াডের সামনে দাঁড়িয়ে এডজুটেন্ট বললেন, ‘আই নো হু আর দোজ… (গালি)…, হোয়েনেভার আই গেট দ্যা প্রুফ, দ্যাট উইলবি দেয়ার লাস্ট ডে ইন দ্যা কলেজ। মনে হল, অথরিটি খানিকটা বিব্রত অবস্থায় পড়েছে। যাদের নামে অভিযোগ তাঁরা কলেজে, আলমারিতে সন্দেহ জনক পোশাক আশাক নেই। এমন কী কাদা মাখা জুতো গুলোও পাওয়া যাচ্ছেনা। ঘটনাটি বুঝেও তারাকিছু করতে পারছেন না। মনে মনে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম, আর দিলাম মোশাররফ স্টাফকে। মোশাররফ স্টাফের সাথে আমার সেনাবাহিনীতে পরে আবার দেখা হয়েছিলো সেই গল্প আরেকদিন।
প্রকৃ্তি আমাদের সাথে নানান ভাবে খেলে। আমাদের দিয়ে অনেক কিছু বারবার করিয়ে নেয়। বারো তেরো বছর পর এই ঘটনারও পূণরাবৃত্তি হয়েছিলো। আমি তখন পাবনা ক্যাডেট কলেজের এডজুটেন্ট। ক্লাশ ইলেভেনের ছয়টি কিশোর এডভেঞ্চারে বেরিয়ে এডজুটেন্টের হাতে বমাল ধরা। আমি এডজুটেন্ট হিসেবে তেমন জাঁদরেল ছিলাম না। ছেলেগুলিকে কলেজ ছাড়তে হয়নি।
অধ্যক্ষের আশীর্বাদ ছিলো, আর পরিচালনা পর্ষদ আমার প্রস্তাবকে স্বাগত না জানালেও মেনে নিয়ে ছিলেন

ফেস বুক থেকে

৩,৭৯২ বার দেখা হয়েছে

৩৩ টি মন্তব্য : “কলেজ পালিয়ে”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    অনেক দিন পর যেনো আপনার লেখা পড়লাম। নিজেই অবশ্য আসছিলাম না নিয়মিত।
    আমার একখানা কলেজ পালাবার গল্প আছে। আপনার লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হলাম। একদিন লিখবো আশা করি এই ব্লগের জন্যই।
    বরাবরের মতোন পড়বার আনন্দটা পেলাম। আপনার অনবদ্য লেখনীর গুনে।

    জবাব দিন
  2. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    ১) তারেক স্যারও (এডজুট্যান্ট) মানুষটা আপনার মতই ছিলেন। আমি নিশ্চিত, উনিও চাচ্ছিলেন না যে কোন প্রমান ধরা পড়ুক। আর সবাই নিরাপদে ফিরলো কিনা, হয়তো এটা জানাই ছিল তাঁর ঐ অনুসন্ধানের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি বকাঝকা করে ভবিষ্যতে পালানোর যে কোন এটেম্পট নিরুৎসাহিত করা ছিল কোল্যাটারাল বেনিফিট।
    ২) সেদিন খুব বড় কোন ঘটনা আর ঘটেনি বলে পুরো ব্যাপারটা ভাল করে মনে নাই। তবে এডজুট্যান্টের পিছন পিছন আইনুদ্দিন ভাইয়ের ঘুরে ঘুরে আসামি লোকেট করার দৃশ্যটা মনে আছে। আইনুদ্দিন ভাইয়ের এক ছেলে তো মনে হয় এক্সক্যাডেট। সেকি এই ব্লগে আছে? জানি না।
    ৩) এই ঘটনার পর ক্যাডেট-মহলে আইনুদ্দিন ভাইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে আসে। আমরা যখন ক্লাস টুয়েলভে, অন্যদের কাছে টুকটাক ব্যক্তিগত সহায়তা চাইলেও ওনাকে "অথরিটির দালাল" জ্ঞান করে সবসময়ে এভয়েড করি সবাই। এতে উনি মনঃকষ্টে ভুগতেন। (ক্যাডেটদের আউট অব দ্যা ওয়ে কিছু করাটা যে ওনাদের জন্য একটা আনন্দের বিষয় ছিল, সেটা এখন বুঝি।) একবার কেউ একজন ওনাকে বলেই বসেছিল, "আপনাকে বিশ্বাস নাই। সব তো এডজুটেন্টকে বলে দেবেন (বা এ জাতীয় কিছু একটা)।" উনি খুব দুঃখ পেয়েছিলেন। বলেছিলেন, "উরা যদি কতো বেড়াতি যাছছি, আমি নিজিই তো সাথে কইরে নিয়ে যাতাম, নিয়ে আসতাম। উরা কলো ক্যান যে উরা ক্যাডেট না। যদি কিছু হ'তো (দুর্ঘটনা অর্থে) এডজুটেন্ট স্যার কি আমারে কতো না 'আইনুদ্দিন তুই ওগে ফিরায় আনতি পারলি না?' - আমি তখন কি কতাম?" - তাঁর এই কথাগুলো আমাদের স্পর্শ করেছিল। আমরা আবার তাঁকে নিজেদের মানুষ ভাবা শুরু করেছিলাম।
    ৪) সাইদুল ভাই, দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ফিরলেন। আপনাকে মিস করছিলাম। এর মধ্যে যে এক সুনামি ঘটে গেছে সিসিবির উপর দিয়ে, লক্ষ করেছেন নিশ্চয়ই? এ সম্পর্কে আপনার বক্তব্য জানতে পারলে ভাল লাগতো 🙂 🙂 🙂


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন
    • সাইদুল (৭৬-৮২)

      ১। সহমত। তারেক স্যার সম্পর্কে আমার ধারণা একই রকম। স্যারের চাকরির শেষ দিন গুলিতে স্যারের সাথে আমার ভালো সখ্যতা হয়েছিলো। এখনও আমাদের দেখা হয়। কথা হয়

      ২। আইনুদ্দিন ভাইয়ের ছেলের কথা জানিনা।

      ৩। আইনুদ্দিন ভাইয়ের উপর আমার ব্যক্তিগত কোন রাগ বিদ্বেষ নেই। এই মানুষ গুলি শুধু কলেজকে নয়, ক্যাডেটদেরও ভালো বাসতো
      ৪। তোমার লেখা পড়ার পর নুপুরের লেখাটা পড়লাম। কী হয়েছে একটু আন্দাজ করেছি। আর একটু পড়তে হবে। অনেক দিন যাবত সিসিবিতে আসছিলাম না।


      যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

      জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    সাইদুল ভাই,
    যথারীতি সুখপাঠ্য! 😀

    বিঃদ্রঃ লেখার ফরম্যাটিং এ মনে হয় একটু সমস্যা হয়েছে।
    সব লেখা ছবির ক্যাপশনের মত এসেছে। ছবির পর একটু স্পেস দিলে মনে হয় ঠিক হয়ে যাবে।


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    "তাতে শ্লেষ যতটুকুই থাকুক শ্লাঘা কিছু কম নয়" - ব্রাভো, ব্রাভো!
    "মাথার চুলে বাটি ছাঁট, পকেট গড়ের মাঠ, ধরা পড়লে কলেজের দরজা চিরকালের জন্যে শাট।" - চুকে যাবে ক্যাডেট কলেজে পড়ার পাট!
    "শেষ পর্যন্ত কামিনী রায়কে দূরে ঠেলে, কলেজের পথ ধরলাম" - কামিনী রায় এর কবিতাটা যারা জানে, তারা কথাটা খুব উপভোগ করবে।
    "যেন নিজে শৃঙ্খলা ভেঙে তাঁকে শেকলে বেঁধে ফেলেছি ! ব্রুটাসের মত বিশ্বাসঘাতক।" - চমৎকার অভিব্যক্তি!
    "মোশাররফ স্টাফের সাথে আমার সেনাবাহিনীতে পরে আবার দেখা হয়েছিলো সেই গল্প আরেকদিন।" - সেটা শোনার অপেক্ষায় রইলাম। আসলে ক্যাডেট কলেজের স্টাফদের (ওস্তাদদের) মধ্যে অনেককেই এমন পাওয়া যেতো। তাদের আচরণ অধিকাংশ সময় যমের মত হলেও, তা্রাও মাঝে মাঝে কোমল হৃদয়ের পরিচয় দিতেন। তারাও হয়তো পিতা ছিলেন, নিজেদের ছেলেমেয়েদের দুষ্টামির কথা ভেবে অনেক সময় ছাড় দিয়ে দিতেন, তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে নয়।
    "আমি এডজুটেন্ট হিসেবে তেমন জাঁদরেল ছিলাম না। ছেলেগুলিকে কলেজ ছাড়তে হয়নি।
    অধ্যক্ষের আশীর্বাদ ছিলো, আর পরিচালনা পর্ষদ আমার প্রস্তাবকে স্বাগত না জানালেও মেনে নিয়ে ছিলেন" - এমন এডজুট্যান্টই ক্যাডেট কলেজগুলোতে চাই।

    জবাব দিন
  5. মুজিব (১৯৮৬-৯২)

    হুনাইন হাউসের দেয়ালে না সাটানো কাবার্ড আর মোজাইক করা ফ্লোরে ছিল আমার আজন্ম ঈর্ষা


    গৌড় দেশে জন্ম মোর – নিখাঁদ বাঙ্গাল, তত্ত্ব আর অর্থশাস্ত্রের আজন্ম কাঙ্গাল। জাত-বংশ নাহি মানি – অন্তরে-প্রকাশে, সদাই নিজেতে খুঁজি, না খুঁজি আকাশে।

    জবাব দিন
  6. রাব্বী (৯২-৯৮)
    আমি তখন পাবনা ক্যাডেট কলেজের এডজুটেন্ট। ক্লাশ ইলেভেনের ছয়টি কিশোর এডভেঞ্চারে বেরিয়ে এডজুটেন্টের হাতে বমাল ধরা। আমি এডজুটেন্ট হিসেবে তেমন জাঁদরেল ছিলাম না। ছেলেগুলিকে কলেজ ছাড়তে হয়নি।

    সাইদ ভাই, তখন আমি ছোট ক্লাসে পড়তাম, কিন্তু মনে আছে এখনো। দ্বাদশ ব্যাচের ঘটনা খুব সম্ভবত।


    আমার বন্ধুয়া বিহনে

    জবাব দিন
  7. মোকাব্বির (৯৮-০৪)

    ফেইসবুকে পড়তে গিয়ে ভাবলাম নিশ্চই সিসিবিতে আছে লিখাটা! এসে দেখি তাই! ঘটনা সব কলেজের সব ব্যাচেরই কম বেশী থাকে। সেগুলো গুছিয়ে লিখার মানুষের সংখ্যা খুব কম। অন্তত আপনি নিশ্চিত ভাবে তাদের একজন! :hatsoff:


    \\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
    অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\

    জবাব দিন
  8. সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

    অনেকদিন পর তোমার দেখা পেলাম সিসিবিতে, ভাইয়া। আশাকরি ভাল আছো। অনেক মিস করছিলাম তোমাকে।

    হেমন্তের বিকেলে তোমার মুচমুচে লেখা পড়তে বেড়ে লাগলো।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।