অচেনা চীনে

সদাই পাতি ১

কেনাকাটার জন্যে চীনের চেয়ে ভাল জায়গা সম্ভবতঃ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। পশ্চিমারা অবশ্য চীনের এই খ্যাতিটাকে সন্দেহের চোখে দেখে। বিদেশি একটি ওয়েব সাইট শেঞ্ঝেনের সবচে বড় ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট এসইজি সম্পর্কে লিখেছে ‘এখানে ১০০ ডলারের আইপড ১০ ডলারেও পাওয়া যায় তবে কেনার আগে বুঝে নিতে হবে জিনিষটি কাজ করে কী না কারণ চীনের এদিকটায় ঠগ বাটপাড়ের অভাব নেই।’ শুধু পশ্চিমে নয় এশিয়ার অনেক দেশেও চৈনিকরা ঠগ হিসাবে পরিচিত। ২০১১তে কুয়ালালামপুরে এক চীনা ক্যাব ড্রাইভার পেট্রোনাস টাওয়ারে যাবো শুনে প্রায় ৩০ মিনিট গাড়ি চড়িয়ে ৩০ রিঙ্গিত বিল নিয়ে চলে যাবার পর বুঝতে পারলাম আমরা পেট্রোনাস টাওয়ারের পাশ থেকেই ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম। আমার পরিচত এক বাংলাদেশি শুনে বললেন “বুঝে শুনে ট্যাক্সিতে চড়বেন না! চীনাদের মত ঠগ আর জোচ্চর পৃথিবীতে আর আছে নাকি?’ তাকে আর বললামনা দুবাইতে এক ভারতীয় ট্যক্সিওয়ালা আমার সাথে আরও বড় জোচ্চুরি করেছিল। সিটি সেন্টারের যাবার জন্যে ট্যাক্সিতে ঊঠেছিলাম সিটি সেন্টারের কাছ থেকেই। তার কল্যাণে প্রায় পুরো দুবাই ঘুরতে হয়েছিল ট্যাক্সিতে, খুচরা ফেরত দেয়ার সময় ১০০টাকার নোটের বদলে ১০টাকা ধরিয়ে দিয়ে ছিল। আমি তাড়াহুড়োয় বুঝতে পারিনি।

গঞ্জের হাট

গঞ্জের হাট

চীনে আসার পর আমার মনে হয়েছে বিদেশে যাই করুক চৈনিকরা চীনে সজ্জন। সমস্যা হয় ভাষার কারনে। এরা ১০ ডলারে আইপড বিকোয় ঠিকই, তবে ১০০ ডলারেরটি নয়। চীনারা শুধুযে প্রযুক্তিতে এগিয়েছে তাই নয়, বিভিন্ন ধরণের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা মাথায় রেখে পণ্য প্রস্তুতের টেকনিকটাও তারা রপ্ত করেছে। বাজার দখলের জন্যে একই পণ্যের বিভিন্ন রকম ভার্সন তারা বাজারে ছাড়ে। বাংলাদেশেই চীনের আইফোন বিক্রি হতে দেখেছি মাত্র ৫০০০ টাকায়। তাও এক বছরের ওয়ারেন্টি সহ। কেঊ যদি মনে করেন তিনি এই ফোন দিয়ে জীবন কাটিয়ে দেবেন সেটি হবে তার কল্পনার সীমাব্দধতা। এক বছরের পর তার ওই ফোন কটকটির দোকানে বিকোবে কীনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে।চীনকে সস্তার দেশ মনে করে অনেকেই এই ভুলটা করে।চীনে সস্তার দোকান যেমন আছে দামী জিনিষের দোকানেরও অভাব নেই। কেনা কাটা খুবই আনন্দদায়ক এবং লাভজনক হয় যদি আপনার প্রয়োজনটা দোকানিকে বোঝাতে পারেন। আমার মত ভাষাকানা মানুষের জন্যে সেটা ছিল প্রায় অসম্ভব।

বিকেলে রোদ কমে এলে প্রায় প্রতিদিনই আমি হাটতে বেরুতাম। স্বাস্থ্য সচেতন বলে নয়্‌, লোঙ্গাগের অলি গলি চেনা আর সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা বোঝার আশায়। চাকচিক্যহীন কমদামী দোকান থেকে কেনাকাটার ইচ্ছাটাও এক্ষেত্রে অনুঘটক হিসাবে কাজ করত। পথের ধারে অবিন্যস্ত দোকানের সারি, ফুটপাতে নিজের খামারের সবজি,ফল মূলের পসরা সাজিয়ে বসা সাদাসিধে দোকানি, ঠেলা গাড়ি কিম্বা ভ্যনের মধ্যে খাবার স্টল চীনে খুব অপরিচত দৃশ্য নয়।এসব জায়গায় ঘুরে ঘুরে হাটুরে মানুষ দেখা আর তাদের সুখ দুঃখ বোঝার বাতিক আমার অনেক পুরনো। আমি নতুন কোথাও গেলে সবচে আগে চেনার চেষ্টা করি মানুষ। আমার ধারনা মানুষকে পরিপূর্ণ ভাবে বুঝতে গেলে ভাষার দরকার হয় বটে তবে সাধারণ মানুষের আনন্দ, বেদনা বোঝার জন্যে দরকার হয় অনুভূতির। হোটেলের কাছেই একটা কাঁচা বাজার আছে। সেখানে বিভিন্ন টাটকা শাক সবজি, আর ফলের ঝুড়ি নিয়ে বসে সম্ভবত গ্রামের মানুষ। তাদের বেশভূষা নিত্যদিনের চেনা মানুষদের চেয়ে আলাদা।

গ্রামের বাজার

গ্রামের বাজার


ফূটপাতে দড়ি অথবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে বিক্রি হয় মেয়েদের টপস স্কার্টসহ হাতে তৈরি পোষাক আশাক। ওভার ব্রিজের উপরে ঘড়ি থেকে শুরু করে নানা রকম খেলনা পাতি ফুটপাতেও চাদর বিছিয়ে বসে কেউ কেউ। বেশির ভাগ রাতেই সে সব জায়গায় বিজলী বাতি থাকে না। দোকানিরা বসে চার্জার লাইট জ্বালিয়ে। রাস্তার প্রশস্ততা বেশি আর জনঘনত্ব কম হওয়ায় অসহনীয় মনে হয়না ভীড়ভাট্টা। তবে আমার শুধু দেখে যাওয়াই হত সার।
যাবার সময় ছোট মেয়ে একটা লিস্টধরিয়ে দিয়েছিল হাতে। আমার হাত ব্যগেই সেটা থেকে যাচ্ছিল অমলিন।কেনাকাটায় পছন্দের পরেই আসে দাম। বড় শপিং মলে দাম জানতে কষ্ট করার দরকার হয়না এমনকি চীনের ফুটপাতের ঝুড়িতেও অনেক সময় প্রাইস ট্যাগ থাকে, তবে শেঞ্ঝেনের এই দিকটায় দরাদরি করার অনেক সুযোগ আছে। বলাযায় এক দামে বিকোয়না কিছুই।

অন্যান্য দেশে ইংরেজি জানুক আর না জানুক দাম কত জিজ্ঞাসা করলে ইংরেজিতে সংখ্যাটা বলে। চীনে প্রথমে নির্বাক তাকিয়ে থাকে, তারপর আশে পাশের মানুষ ডেকে আনে। এরপর দুই বা ততোধিক চীনা নিজেদের মধ্যে কথা বলেতে থাকে বিদেশি ক্রেতা হয়ে যায় দর্শক। দুয়েকজন ইংরেজির সাথে হাত পা মিলিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে বটে, সংখ্যা বলার সময় তাল গোল পাকিয়ে ফেলে। পৃথিবীর তাবৎ শব্দের প্রতিশব্দ আছে চীনা ভাষায়। আমার কাছে মনে হয়েছে চীনাদের সাথে যোগাযগের সেটিই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। বিদেশি শব্দের প্রয়োজন হয়না বলেই ভিনদেশিদের সাথে তাদের যোগাযোগও কম। অনেকে অবশ্য বলেন চীনারা ইচ্ছা করে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বলেই চীনা সংস্কৃতি কিম্বা আচার আচরন এখনও নিষ্কলুষ রয়েছে।যে যাই বলুক চীন সরকার এখন ইংরেজির মাহত্য বুঝতে পেরেছে। স্কুলে পাঠ্যভুক্ত হয়েছে ইংরেজি। বানিজ্য কেন্দ্র গুলিতেও ইংরেজি জানা লোকের কদর বেড়েছে।
চলবে

৩,৩২৪ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “অচেনা চীনে”

  1. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    চীনারা আমার হিসাবে খুব চালাক।
    ব্যবসায়িক জাতি।
    টাকা ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  2. কাজী সাদিক (৮৪-৯০)

    নিউ ইয়র্কের চায়না টাউনেও কিন্তু অবিকল এই পরিবেশটা দেখা যায়। মজার ব্যাপার, এখানেও দেখেছি কোন কোন দোকানী ইংরেজীতে দাম বলতে না পারায় সোজা ক্যালকুলেটরে সংখ্যা টিপে দেখিয়ে দেয়!

    জবাব দিন
  3. টিটো মোস্তাফিজ

    ভাল লাগলো ভাই। ছোটদের বিশ্বকোষে পড়েছিলাম পঞ্চাশ/ষাট হাজার শব্দ জানলে চীনা ভাষায় কথা বলা যায়। আর চীন অনেক বছর যাবত পৃথিবীর কারখানা। সস্তা শ্রম ও স্থিতিশীল পরিবেশের কারণে বিশ্বের সব বড় কোম্পানী চীনে কারখানা স্থাপন করেছে। পণ্যের মান যেমন চাইবেন তেমনই ওরা করে দিতে পারে। ২০০২ সালে দেখেছিলাম জাপানের বাজার চীনা পণ্যে সয়লাব। মানসিকতার পরিবর্তন আনলে বাংলাদেশেও ও রকম শিল্পায়ন হতে পারে।


    পুরাদস্তুর বাঙ্গাল

    জবাব দিন
  4. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    সাইদুল ভাই, আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে।
    গঞ্জের হাটটা সুন্দর, বাংলাদেশের হাটের মত লাগে। "বিভিন্ন ধরণের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা মাথায় রেখে পণ্য প্রস্তুতের টেকনিকটাও তারা রপ্ত করেছে" - খুব ভালো বলেছেন, এটা মার্কেটিং-এর একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। "কেঊ যদি মনে করেন তিনি এই ফোন দিয়ে জীবন কাটিয়ে দেবেন সেটি হবে তার কল্পনার সীমাব্দধতা" - এটাও যথাযথ বলেছেন, এটা অনেকেই বুঝতে চায়না, যেমন পেমেন্ট সার্ভিসটাও তো অমনই হবে। ইংরেজী জ্ঞান বিষয়ে বলি, ১৯৮৯ সালে আমি যখন প্রথম দেশের বাইরে গেলাম, আমি খুব অবাক হয়েছিলাম যে পৃথিবীর বহু দেশের ছেলেময়েরাই ইংরেজী জানেনা। আমার ধারনা ছিলো ইংরেজী ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ পৃথিবীর সবাইই ওটা জানে। ইংরেজী না জানার তালিকায় সেদিন চীন, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকার অনেক দেশ ছিলো। দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে তারা কেউ জানতো স্প্যানিশ, কেউ ফ্রেঞ্চ, কেউ আবার কিছুই না। তবে ২০০০ সালের দিকে ব্যাপক পরিবর্তন দেখেছি, সব দেশই ইংরেজী রপ্ত করতে শুরু করেছে। যে ভিয়েতনামীরা ইংরেজী জানতোই না তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের দেখেছি বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের চাইতে ভালো ইংরেজী বলতে। ইংরেজী জ্ঞানে আমরা দিন দিন পিছিয়েই যাচ্ছি।

    জবাব দিন
    • সাইদুল (৭৬-৮২)

      চমতকার বলেছো রমিত l আমার ঊপলব্ধি হল প্রতিটা জাতিই, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে টিকে থাকার জন্যে নিজেদের কে প্রস্তুত করছে l আসলে সংষ্কৃতি রক্ষার নামে গো ধরে বসে থাকার দিন শেষ


      যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

      জবাব দিন
  5. ড. রমিত আজাদ (৮২-৮৮)

    চীনাদের কয়েকটা বৈশিষ্ট আমি লক্ষ্য করেছি - ১। খুব চালাক, কিন্তু ওরা বুঝতে দেয়না যে ওরা চালাক, ২। অন্য ভাষা জানা থাকা সত্বেও অনেক সময় ভান করে যে, সে ভাষাটা জানেনা, ৩। খুব কর্মঠ, ৪। ওদের কালচারে অন্য কালচারের সংমিশ্রণটা ওরা পছন্দ করেনা, ৫। চীনা মেয়েদের বিদেশী ছেলেদের সাথে প্রেম বা ঘোরাঘুরি খুব খারাপ চোখে দেখে, ৬। সমাজটা অনেকটাই গুটানো, বাইরের প্রভাব পড়তে দিতে চায়না, ৭। ব্যবসায় খুব আগ্রহ, ৮। চীনারা নিজেদের মধ্যকার ঝগড়া-ঝাটি নিজেদের মধ্যেই রাখে, বাইরে প্রকাশ করেনা, বাইরে থেকে চাপ আসলে পুরো কম্যুনিটি সংঘবদ্ধভাবে তা প্রতিরোধ করে।

    জবাব দিন
    • সাইদুল (৭৬-৮২)

      চীনাদের জীবন সম্পর্কে তোমার অব্জারভেশন গুলোর অনেকটাই আমার দেখা চীনাদের সাথে মিলে যায়। তবে চীন ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে। তরুন চীনারা অন্যদেশ সম্পুর্কে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ইংরেজি বা অন্য কোন ভাষা সম্পর্কে তাদের পারদর্শিতা দেখাতে চেষ্টা করছে। আর বানিজ্যের বেলায় ওরা প্রফিটটা মাথায় রাখছে সব চেয়ে বেশি।


      যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

      জবাব দিন
  6. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    "কেঊ যদি মনে করেন তিনি এই ফোন দিয়ে জীবন কাটিয়ে দেবেন সেটি হবে তার কল্পনার সীমাব্দধতা। এক বছরের পর তার ওই ফোন কটকটির দোকানে বিকোবে কীনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে" - চমৎকার, চমৎকার!
    "আমি নতুন কোথাও গেলে সবচে আগে চেনার চেষ্টা করি মানুষ। আমার ধারনা মানুষকে পরিপূর্ণ ভাবে বুঝতে গেলে ভাষার দরকার হয় বটে তবে সাধারণ মানুষের আনন্দ, বেদনা বোঝার জন্যে দরকার হয় অনুভূতির" - পুরোপুরি একমত।
    "গঞ্জের হাট" এর ছবি দেখে ছোটবেলায় দেখা নিজ দেশের গঞ্জের হাটগুলোর কথা মনে পড়ে গেল!
    বরাবরের মতই আকর্ষণীয় লেখা!

    জবাব দিন
  7. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    এই একটা ব্যাপারে মিল পেয়ে উদ্বেলিত হয়েছি । আমিও যে কোনো দেশে গেলে ওখানের পথে পথে ঘুরে সাধারণ দোকানীদের সাথে কথা বলে তাদের অনুভূতি আর দর্শনটুকু বোঝার চেষ্টা করি খুব ।
    চীনারা আদ্যোপান্ত ব্যবসায়ী । তাদের দৃষ্টিভংগীটাই ভিন্ন । একবার এক কারাখানার উতপাদন সম্ভাব্যতা আর পুঁজি উঠে আসার হিসেব নিয়ে আকাশ পাতাল ফারাক দেখে চীনাদের জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের হিসেবে এতো কম উতপাদন আর তারা আতো বেশী উতপাদন হিসেব করছে কভাবে । পরে আবিষ্কার হলো যে আমরা হিসেব করেছি ৮ শ্রম ঘন্টায় দিন । আর ওরা হিসেব করেছে ২৪ শ্রম ঘন্টায় দিন। কারখানা একবার চালু হলে তা ২৪ ঘন্টা না চললে পোষাবে কি করে ! ওদের অবাক অভিব্যাক্তি ... বছরে একবার বন্ধ হবে দু থেকে চার সপ্তাহের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতি কাজের জন্য ।
    আর সেই ১০০ ডলারের জিনিস ১০ ডলারে পাওয়া যায় তো সেই মতো চাহিদার কারণে । যে চাইছে সে ই তো না বুঝবার দোষে দোষী ।

    অপেক্ষায় রইলাম । বিনে খরচায় বিশ্ব ভ্রমণের একটা মওকা পেয়ে গেছি আপনার ট্রাভেলগ পড়ে পড়ে ।

    জবাব দিন
  8. সাইদুল (৭৬-৮২)

    ধন্যবাদ। দিয়ে দেবো আর এক কিস্তি। এতদিন জায়গা পাচ্ছিলামনা। বিড়ালটা জায়গা আটকে রেখেছিলো। সিসিবির সমস্যা। অন্যকেউ না লিখলে তোমাকেও বসে থাকতে হবে না লিখে। অবশ্য এটা যে খুব খারাপ নিয়ম তা বলছিনা। তবে ধারাবাহিক লেখার মেজাজটা নষ্ট হয়


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
  9. মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

    নিগূঢ় পর্যবেক্ষণ।

    দেশ হলো কঙ্কালসর্বস্ব এক দেহের নাম, মানুষ হলো তার শিরায়-ধমনীতে প্রবহমান রক্তের স্পন্দন। তাই মানুষ না দেখে যারা দেশ দেখতে চান, তাদের দেখা দেহের গণ্ডি পেরিয়ে অন্তরের সুলুক সন্ধান করতে পারে না। আপনার এমন প্রয়াস আমাকে আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে।


    দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : লুৎফুল (৭৮-৮৪)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।