বাংলা সিনেমা নিয়ে হালকা চালে গভীর ভাবনা-১

[লেখাটা আমার দুইজন প্রিয় বন্ধু টিটো আর কামরুলকে উৎসর্গ করলাম।যে দুজন মানুষের সাথে আমি চলচ্চিত্রের অনেক ভাবনা শেয়ার করেছি,তা ভেবে অনেক স্বপ্ন্ব ও দেখেছি।তা অতীতের কথা কিন্তু এখনও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি,এই দুজন একসময় মহৎ কোন শিল্প তৈরী করবে।আর এই লেখাটা নিয়ে নানান হা-হা,হি-হি আর ইমোর মাঝে ভাবনার খোরাক যোগাক,এটাই আসল কথা। 😉 ]

বাংলা সিনেমা নিয়ে লোকে নাক সিঁটকায়,এ আর নতুন কিছু নয়।কোন ভালো গল্প নেই,ভালো চিত্রনাট্য নেই,টেকনিশিয়ানরা দক্ষ নন,সঙ্গীতের অবস্থা খুবই সঙ্গীন,অভিনয় যাচ্ছেতাই,গুণী পরিচালকের অভাব-এরকম বিস্তর অভিযোগ।কিন্তু তারচেয়েও একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে-তথাকথিত রুচিশীল দর্শক বলে নিজেকে যারা উন্নত মনে করেন,তারা কি ভালো চলচ্চিত্রের কোন চাহিদা বাজারে তৈরী করতে পেরছেন?এওতো সত্য যে,দিনশেষে চলচ্চিত্র একটি পণ্য,যার ভিত্তি পুঁজির উপর দাঁড়িয়ে কিন্তু অন্য আর দশটা অর্থনৈতিক পণ্য থেকে এটি একটু আলাদা করা যায়,কারন এর একটা শিল্পগুণ রয়েছে যার সাথে কিছুটা সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে।তাই এই পণ্যটিকে বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে শুধু যোগানদাতার দোষ খুঁজলে হবেনা,চাহিদার দিকটাও দেখতে হয়।

প্রথমেই আলোচনা করব সিনেমার নাম নিয়ে।এই যেমন একদল গাল-মন্দ করেন কীসব নাম রাখা হয় বাংলা সিনেমার?এতো বিকৃত রুচি!পারলে ধর,খাইছি তোরে,কাজের বেটি রহিমা,ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ,বউ-শ্বাশুড়ীর যুদ্ধ ইত্যাদি। কিন্তু একটু ভালো করে খেয়াল করুন স্টিভেন স্পিলবার্গ যখন ছবির নাম দেন Catch Me If You Can তখন লোকে বাহবা দেয়,কিন্তু এর বাংলা নাম করে ‘পারলে ধর’ নাম দিলেই জাত গেল জাত গেল রব উঠে।ঠিক এমন করে হার্ক সুইয়ের We’re Going to Eat You হলে কোন সমস্যা চোখে পড়ে না কিন্তু ‘খাইছি তোরে’ নাম দিয়ে পরিচালকের কত গুষ্ঠি যে উদ্ধার পেল,তার কোন হিসেব নেই।একইভাবে রবার্ট লুকেটিকের Monster-in-Law কে বউ-শ্বাশুড়ীর যুদ্ধ, ,জেরী বুটেনের Brother’s War কে ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ নাম দিলে তথাকথিত রুচিশীলরা তাতে রুচির চরম অবনতি খুঁজে পান।আর যারা এটাকে নকল,চুরি ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করে পান্ডিত্য সুখ লাভ করেন,তাদের জন্য বলা-অনুকরণ বা অনুসরণের মধ্যে দিয়েই তো অনেক শিল্পের মাহাত্ন্য প্রকাশ পায়।আর সে জন্যই রবিঠাকুর করলে বলবেন অনুপ্রাণিত আর সিনেমা ব্যাবসায়ীরা করলে চুরি।এতো রীতিমত অবিচার!

আরেকটু খোলাশা করে বলতে গেলে বেশীদূর নয়,আমাদের পাশের দেশ ভারতের ছবি কিন্তু সবশেণীর কাছেই কম-বেশী আকাংখিত।আর তাদের সর্বকালের অন্যতম একটা ব্যাবসাসফল ছবি Dilwale Dulhania le Jayenge।এবার এর বাংলা করে কোন পরিচালক যদি ছবির নাম দেন-‘হৃদয়বান তার স্ত্রীকে নিয়ে যাবে’,নাম শুনেই লোকে বলত-গেল সব গেল!অথচ হিন্দী ছবিখানা দেখেননি বাংলাদেশে খুব কম মানুষই আছেন!এর একটা বড় কারন হল,ভাষাগত সমস্যা।অনুবাদের ক্ষেত্রে ভাষা অনেক ক্ষেত্রেই তার আবেদন হারায়।তাইতো বাংলায় আজো Sexy শব্দটার কোন শালীন অর্থ তৈরী হয়নি।এরকম বহু শব্দ বাংলা করতে গেলে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে ফেলে।

তারপর ধরুন জেসি নেলসনের I am sam ছবিটার কথা।এখন আমাদের এফডিসির কেই যদি এর অনুকরণে ছবির নাম দেন ‘আমি সামসু’,তখন লোকে মনে হয় দলবেঁধে পরিচালককে গাল দিবেন।অথচ দেখুন,স্যাম নামটি উন্নত দেশে খুবই সাধারণ নাম,যেমনটি আমাদের সামসু।কিন্তু এটি ছবির নাম হলেই তখন আমাদের মধ্যবিত্তের উন্নাসিকতা প্রকাশ পায়। তেমনি কিম কি-ইয়ংএরThe Housemaid ছবি দেখে আমার যেসব বন্ধুরা বাহবা দেন,ঠিক তাদের ঘরেই একদিন কাজের লোক অনুপস্থিত থাকলেই নাওয়া-খাওয়ার বারোটা বেজে যায়,কিন্তু ছবির নাম কাজের বেটি রহিমা হলেই তাদের জাত যায়!
আর এ প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহারের লেখা থেকে কিছু ধার করা কথা শুনুন-
‘ যারা বিকৃতির অভিযোগ তুলছেন তারা তাদের রুচিকেই অবিকৃত রুচির শাশ্বত আদর্শ ধরে নিয়েছেন, যা আসলে একটি বিশেষ শ্রেণীর রুচি কেবল।…সাধারণত ‘শিক্ষিত’ মধ্যবিত্তরা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সিনেমাকেই ‘রিকশাওয়ালাদের ছবি’ মনে করে। ছবিগুলোর প্রতি তাদের শ্রেণীগত ঘৃণা এতো প্রবল যে, একে নিন্দা করবার জন্যই তারা জিহ্বা খোলে, নইলে নয়।
রুচির পার্থক্য বা দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকা শ্রেণীগত কারণে স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো এটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যখন সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কিংবা তাদের ভালো লাগাটাও, সচেতন ও প্রগতিশীল বলে নিজেদের যাঁরা দাবি করেন, তাঁদের কাছে ন্যূনতম কোনো অর্থ বহন করে না। সাধারণ জনগণের ভালোমন্দ লাগার প্রতি অহংকারী উপেক্ষার মধ্যে আমাদের সাংস্কৃতিক ভাবনার অন্তঃসারশূন্যতাই প্রমাণিত হয়। এই অন্তঃসারশূন্যতা আতংকের সৃষ্টি করে।’

বাংলা সিনেমাকে তাই অন্যদের মত নামের কাঙ্গাল বলতে আমার মোটেও দ্বিধা নেই।এই যে কোপা সামসু নামে একটা সস্তা কথা বাজারে এতটাই চলছিল যে এই নামে ছবির পেটেন্ট নিয়ে রীতিমত দুই পরিচালক ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলেছিলেন।কারন আর কিছুই নয়,এই নাম পাবলিক খাবে সেটাই আসল কথা।আর এতো চরম সত্য দিন শেষে পুঁজি ঘরে ফিরেছে কিনা,এই নিয়েই ভাবেন সব সিনেমা ব্যবসায়ীরা।পুঁজির মুনাফা দিয়েই বড় কর্পোরেট হাউসগুলো যেমন Corporate social responsibility নামে আরেকধরণের বিজ্ঞাপন আর প্রচার-প্রসারণের রাস্তা বের করেছে,তেমনি মূলধারার চলচ্চিত্রের লাভের মুনাফাই বিকল্পধারা নামের চলচ্চিত্রের প্রসার নিশ্চিত করতে পারে।এটা লোকে স্বীকার না করলেও প্রযোজকরা কিন্তু এমনটিই ভাবেন।কারণ,আপনি অন্যের অর্থ নিয়ে আর যাই হোক মশকরা করতে পারেননা!আর তাই আগে ভাবতে হবে সমাজের বড় অংশটা কী এখনও যথেষ্ট প্রস্তুত হয়েছে একে বরণ করে নিতে?ফরহাদ মজহারের লেখা থেকে এ বিষয়ে আবার কিছু কথা-‘আমি যেটা আসলে বুঝতে পারি না তা হলো পুঁজিতান্ত্রিক সমাজে ব্যবসার উদ্দেশ্য ছাড়া সিনেমা তৈরি করা যায় কীভাবে? একদিকে অন্য ব্যবসায় টাকা কামিয়ে অন্যদিকে জনগণের রুচি নির্মাণের মহৎ কাজে লেগে পড়া যায়। কিন্তু তাহলে দু’রকম ধান্দা সামাল দেয়া লাগে, সেটা তো মুশকিলের। যারা শুধু ছবিই করতে চান, আর কোনো ধান্দা নয়, তারা দুই ধান্দার প্রস্তাবে গররাজি হবেন অবশ্যই। কী করা?’ কথাটা আপাতত নিষ্ঠুর মনে হলেও চরম বাস্তব।

১২,১৭২ বার দেখা হয়েছে

১১৭ টি মন্তব্য : “বাংলা সিনেমা নিয়ে হালকা চালে গভীর ভাবনা-১”

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    একটা উদাহরণ দেবার লোভ সামলাতে পারছিনাঃ আমাদের অনেক সংগীতবোদ্ধাই(বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের) মিলার যাত্রাবালা অথবা মমতাজের "সোনা বন্ধু তুই আমারে ভোঁতা দাও দিয়া কাইট্টা লা" শুনলে নাক সিঁটকান অশ্লীলতার ধুয়া তুলে-কিন্তু অকথ্য খিস্তি খেউড়ে ভরা ইংরেজি র‌্যাপ গান তাঁদের কাছে হয়ে যায় পশ্চিমা সমাজের নিপীড়িত কালো মানুষের বঞ্চিত হৃদয়ের বানীবদ্ধ অশ্রু।"ওরা ওখানের ঘেটো(বস্তি)তে থাকে,তাই ওদের ওই ভাষাই স্বাভাবিক,এই ভাষাতেই ওরা মনের কথা তুলে ধরে..."-র‌্যাপ গানের "অশ্লীল" লিরিকসকে যাঁরা এভাবে ডিফেন্ড করেন,তাঁদের কাছেই "সোনা বন্ধু তুই আমারে কাঁথা দিয়া জাইত্তা ধর,থার্মিটার লাগায়া দেখ গায়ে আমার কত জ্বর' টাইপের গান চূড়ান্ত রকমের অশ্লীল।

    সে আমেন টু হিপোক্রেসি!

    জবাব দিন
  2. মেলিতা

    দিলেন তো ভাইয়া মন খারাপ করে
    আজকে রবিবার
    এমন ছুটির দিনে দেশে থাকতে আমরা মা, খালা, বোন, কাজিন সবাই মিলে টিভির সামনে শুয়ে বসে বাংলা সিনেমা দেখতাম আর হিহিহিহি করতাম। নানা ভাই সিনেমার প্রথম ৫ মিনিট দেখে ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ, আব্বু ১০ মিনিট দেখে আমাদের পড়াশোনার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে পাশের ঘরে চলে যেতেন। ছোটভাই মারমারির অংশ গিলত আর বলতো এরা সুপারম্যানের মত মারপিট জানে না। ছোট বেলায় হারিয়ে যাওয়া নায়ক নায়িকা র শিশু সংস্করন দেখে আম্মু ঘন ঘন চোখ মুছতো। একটু পর অবশ্য বিকালের চা খাওয়ার অজুহাতে নানা ও আব্বু ফিরত আসতেন।সিনেমা সেই রকম হৃদয় স্পর্শী হলে তারা দেখেও ফেলতেন।
    🙂

    জবাব দিন
  3. আছিব (২০০০-২০০৬)

    ভাই,আপনার সকল মতের সাথেই একমত।
    কিন্তু,সিনেমার ডায়লগ,আর কাহিনী একের পর এক একরকম বানালে আর কয়টা সিনেমাই দেখা যায় বলুন?এককালে বাংলা সিনেমা দেখতাম,শাবানা-আলমগীরের একেক্টা সিনেমা হৃদয় ছুঁইয়ে যেত,সবাই মিলে দেখতাম,ইমোশনাল হতাম,আর এখন এরকম কলাকুশলী নেই............... 🙁

    জবাব দিন
  4. আজহার (২০০০-২০০৬)

    একটা কথা বলতে চাই। মাঝে বাংলা সিনেমায় অশ্লিলতা নিয়ে অনেক হইচই হল, এবং বলা চলে মোটামুটিভাবে এইটা বাংলা সিনেমা থেকে দূর হল।
    কিন্তু হলিউড বা বলিউড সবখানেই ন্যুডিটিকে একটা পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক বিখ্যাত সিনেমাই আছে, যেখানে ন্যূডিটি বিদ্যমান। এবং আমরা যখন সেসব সিনেমা দেখি, তখন কিন্তু চিন্তা করি না যে, এইটা অশ্লিল। কিন্তু বাংলা সিনেমা হলেই তখন আমরা শ্লিলতার সংজ্ঞা টানি। ইংরেজি বানিজ্যিক মুভিগুলাতে অনেক ভয়ংকর মাত্রার ভায়োলেন্স,সেক্স থাকে। এবং সেগুলা আমাদের দেশে সহজলভ্য। কিন্তু সেগুলা নিয়ে আমরা শংকিত হই না। আমরা শংকিত হই,যখন বাংলা সিনেমায় ন্যুডিটি আসে।

    (এই কমেন্টটা পড়ে কেউ প্লিজ ভাববেন না যে,আমি অশ্লিলতার পক্ষে।
    আমি শাহাদাত ভাইয়ের মতই বলতে চাই, বাংলা সিনেমায় আছে বলেই খারাপ, আর ইংরেজি বা হিন্দি সিনেমায় আছে বলেই ভাল-এরকম একমূখী চিন্তাধারা বর্জন করা হোক। )

    জবাব দিন
  5. ফখরুল (১৯৯৭-২০০৩)

    অফটপিকঃ মান্না ভাই আপনার বাসা কি টাংগাইল? আমি দেখছি টাংগাইলের পোলাপানের হেভি বাংলা সিনেমাপ্রীতি আছে। কিছুদিন আগের স্বর্ণযুগটা চলে যাওয়ায় তারা খুব হতাশ। তারা কেও আপনাকে ইনফ্লুয়েন্স করে নিত পোস্টটা দিতে?

    জবাব দিন
  6. মশিউর (২০০২-২০০৮)
    স্টিভেন স্পিলবার্গ যখন ছবির নাম দেন Catch Me If You Can তখন লোকে বাহবা দেয়,কিন্তু এর বাংলা নাম করে ‘পারলে ধর’ নাম দিলেই জাত গেল জাত গেল রব উঠে।ঠিক এমন করে হার্ক সুইয়ের We’re Going to Eat You হলে কোন সমস্যা চোখে পড়ে না কিন্তু ‘খাইছি তোরে’ নাম দিয়ে পরিচালকের কত গুষ্ঠি যে উদ্ধার পেল,তার কোন হিসেব নেই।

    সহমত । চরম সহমত ।
    অফ টপিক : আমার ওমর সানি রে খুব ভালো লাগে । আমার মনে হয় ওমর সানি বিশ্বের সেরা নায়ক ।

    জবাব দিন
  7. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    ফরহাদ মজহার লোকটারে পছন্দ না। তাঁর কোন ভালো কথারও মুল্য নাই আমার কাছে।

    একটা হিন্দী ছবি দেখলাম কয়দিন আগে। রণ (rann)। দেখিস, ভালো ছবি।

    বেঁদের মেয়ে জোসনা নিয়া একটা লেখা দেয়ার কথা ছিল তোর।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  8. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    সিনেমা মানেই যে নাচা-গানা আর মারপিট থাকতে হবে সেটা আমরা কেউই মানি না। তবুও এই টিপিক্যাল বাংলা সিনেমা স্টাইল থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারছি না। আজকাল কিছু সুন্দর বাংলা সিনেমা তৈরী হচ্ছে যা অবশ্যই আশাব্যাঞ্জক। সিনেমার মানের পাশাপাশি সিনেমা হলে মান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন থেকে যায়। বড় বড় শহরে কিছু মানসম্মত হল থাকলেও মফস্বলে হলের মান খুবই নিম্নমানের। এইসব হলে ভাল সিনেমার মধ্যেও কাটপিস জুড়ে দেওয়া হয়। এই দায় কিছুটা দর্শকদের উপরেও বর্তায় কারন আশানুরুপ দর্শক না পেয়ে হল কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা অবলম্বন করছেন। তবে দর্শকদের কেও এককভাবে দায়ী করা যায় না। আমাদের আসলে সামাজিক সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে, তা না হলে অনেক ভাল ভাল উদ্দ্যোগ বৃথা হইয়ে যাবে।

    জবাব দিন
  9. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    বিষয়বস্তু ও তার বিশ্লেষন খুবই ভালো লেগেছে (পাঁচতারা)।

    অফটপিক- বেদের মেয়ে জোছনা'র একটা দারুন রিভিউ পড়েছিলাম বিডিনিউজ২৪ এর আর্টস সেকশনে।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  10. সাজিদ (২০০২-২০০৮)

    ৯-এ থাকতে কলেজে ব্যাচেলর সিনেমাটা দেখসিলাম, দেখার আগে পোলাপান তখনকার সিসিপিরে গাইলা সাইজ করে দিসিল বাংলা সিনেমা দেখাবার জন্য কিন্তু দেখার পর সবাইত পুরা পান্খা... এরপর দেখসিলাম মাটির ময়না, ওইটাইমে যদিও টিভি রুমে দর্শক কিছুটা কম ছিল কিন্তু অনেকের কাসেই সিনেমাটা ভাল লাগসে। আর ১২তে দেখসি মহিলা হোস্টেল, ফায়ার আর মেশিনম্যান (পরের ২টা আবার মান্না ভাইয়ের সিনেমা) এগুলা অবশ্য নিজেদের ব্যবস্থায় দেখা 😛 পলি আপুকে তখন খুব ভাল লাগসিল :dreamy: ;;; আর সিনেমার নাম কিংবা সিনেমার কনটেন্ট মনে হয় পরিচালক/পরিবেশকেরা তাদের টার্গেট দর্শক ঠিক করেই নির্ধারন করে এবং এর প্রচারণাও করে সেইভাবে। এই জন্যেই মনে হয় খাইসিতোরে টাইপের সিনেমা নিম্ন আয়ের দর্শকদের মধ্যে ভাল চলসে আবার থার্ড পারসন সিন্গুলার কিংবা ব্যাচেলর টাইপের সিনেমা সিনেপ্লেক্স আর টিভি দর্শকদের মধ্যে ভাল চলসে :-B হয়ত ঠিকভাবে প্রচারণা করলে খাইসি তোরেও সিনেপ্লেক্সে ভাল চলত আর থার্ড পারসন সিন্গুলারো নিম্ন আয়ের দর্শকরা আরো বেশি দেখত, তবে এই ক্ষেত্রে নামটাও চেন্জ করতে হইত মনে হয় ... যেমন খাইসি তোরে তখন সিনেপ্লেক্সে চলত 'ভক্ষণ করেছি তোমায়' নামে আর ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ হইত 'ভ্রাতৃদ্বয়ের সংগ্রাম', আবার মনের মাঝে তুমিকে যদি চেন্জ করে 'কইলজার মইদ্দে তুই' নামে, ব্যাচেলরকে 'খাইসি ছ্যাক' নামে আর জাগোকে 'বাংলার ম্যারাডোনা' নামে মফস্বলের হলগুলিতে ছারা হইত তাহলে মনে হয় দর্শক বেশি হইত 😛 😛 আচ্ছা থার্ড পারসন সিন্গুলারের নাম তাইলে তখন কি হইত?

    জবাব দিন
  11. সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০)

    হালকা চালে ভালোই গভীর কথা লিখছো মান্না (ভাই)। :grr: :grr: :grr: আহারে....... বাংলা সিনেমা কতোদিন দেখি না!! এমনকি 'মনপুরা'ও দেখি নাই....... :(( আমি কি সুশীল বা আঁতেল হইয়া গেলাম?? ~x(


    "মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"

    জবাব দিন
  12. আহমদ (৮৮-৯৪)

    আমাদের সময়ের বাংলা সিনেমা 'ভেজা চোখ'-এর ইংরেজি নাম ছিল 'The Tears'. নামটা আমার এখনো সবসময় মনে পড়ে। ট্রান্সলেশন স্টাডিজ কোর্স পড়াতে গেলে টাইটেল অনুবাদ বোঝানোর ক্ষেত্রে আমি সবসময় এই একজাম্পলটা অন্ততঃ একবার হলেও দেই।

    লেখারা ধারাটা নতুন উদ্যোগ প্রমান করল। আমি বাংলা সিনেমা না দেখলেও লেখার বিষয়বস্তু পরিবেশনের স্টাইল ভাল লেগেছে।


    চ্যারিটি বিগিনস এট হোম

    জবাব দিন
  13. পোস্টটা অনেক পছন্দ হয়ছে মান্না ভাই।সালমান শাহ এর কোন সিনেমা বাদ দিই নাই।বিশেষ করে ১ম কিছু সিনেমা পুরো পরিবার একসাথে গিয়ে দেখছি।ওরে খুব ভালা পাইতাম। 🙁 🙁
    রিয়াজ আর ফেরদৌসরেও ভালা পাইতাম :shy: ।কিন্তু তারপর যে কি হয়লো,আর তো কোন কিছু দেখতেই পারলাম না।ইদানীং অবশ্য আবার অনেক ভালো মুভি হচ্ছে।আমার মনে হয় এর মাঝে হাতে গুনা কয়েকটা ছাড়া বাকি গু 😛 লা তেমন প্রচার পাই না।
    এফডিসিতে নতুন অনেক ছেলে মেয়ে আসছে এখন,এবং তুলনা মুলক ভালোই কাজ করতেছে।আশা করছি আজ থেকে ৫ বা ৭ বছর পর আমরা বাংলা ছবির সেই স্বর্ণালী দিন গুলো আবার ফিরে পাবো
    অফ টপিকঃভাইয়া আপনার নাম মান্না রাখার কারণেই কি মুভির প্রতি এত আগ্রহ??

    জবাব দিন
  14. ফখরুল (১৯৯৭-২০০৩)

    বাংলা সিনেমায় নাকি ধুম পড়েছে
    আহামরি সুন্দরী এক নায়িকা এসেছে
    কোমরের দোলায় নাকি সাগরেরই ঢেউ
    দেখেছিস নাকি তোদের মাঝে কেউ
    চল যাই চল যাই বাংলা সিনেমা দেখি
    সিনেমার নাম নাকি পরান পাখি।
    ১ম ২লাইন এক বন্ধুর এফবি স্ট্যাটাস বাকিটা আমরা ভরে দিয়েছি কমেন্টে।

    জবাব দিন
  15. ফখরুল (১৯৯৭-২০০৩)

    আমি আবার যায়যায়দিনরে ভাল পাই। এক্কেবারে ছুডুবেলা ৯৩থেকে মানে কিলাশ থিরি থিকা পড়তাম। এখন বিশেষ সংখ্যাগুলান মৌচাকে ঢিল নামে বাইর হয়। তয় আগের মতন আর জমে না। :((

    জবাব দিন
  16. টিটো রহমান (৯৪-০০)

    উৎসর্গের জন্য তোরে ধন্যবাদ দেয়া হইছিলো না। দারুণ লিখছিস..

    আমার একটা পুরান লেখার লিঙ্ক দিলাম পড়িস। আর পারলে বর্তমানের হিন্দি ছবির প্রবেম নিয়া একটা পোস্ট দিস..


    আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।