লুকিং ফর সন্ত্রাসীইজ

আমি বরাবর সর্প্শ কাতর বিষয়ে কথা বলার জন্য সমালোচিত হয়।আমি এটা কিছু মনে করিনা কারণ এটাই স্বাভাবিক।
আসুন ফিরে যাই ৯/১১ এই দিনে সারা বিশ্ব অবাক হয়ে দেখল আমেরিকার টুইন টাওয়ারকে মাটির সাথে মিশে যেতে।আর এর পরেই তদকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ সন্ত্রাসের বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।আর একটা নাম আলোচিত হল ওসামা বিন লাদেন।

ওসামা বিন লাদেন সৌদি আরবের রিয়াদে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা মোহাম্মদ বিন লাদেন একজন বড় ব্যাবসায়ী ছিলেন। তার জন্মের কিছু দিন পরই তার বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। ওসামা বিন লাদেন ইকোনমিক্স এবং ব্যাবসায় প্রসাশনের উপর পড়াশুনা করেন কিংন্স আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে পাশ করে ইন্জিনিয়ারং এর উপর পড়াশুনা করেন কিন্তু ৩ য় বছরে তিনি পড়াশুনা বাদ দিয়ে ইসলাম ধর্মের উপর গবেষনা করেন এবং লেখালিখি শুরু করেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন তার দীর্ঘ জীবনে তিনি ৪ টি বিয়ে করে এবং তার ২৬ সন্তানের বাবা তিনি। ওসামা বিন লাদেন বিশ্বাস করেন শরিয়া ভিত্তিক ইসলাম ধর্ম।মুহম্মদ আওয়াদ বিন লাদেন এর উত্থান চমকপ্রদ। অতি সাধারণ অবস্থা থেকে কোটি কোটিপতি হয়ে ওঠেন ঠিকাদারি সাম্রাজ্যের অধীশ্বর বিন লাদেন। সৌদি আরবের রাজ পরিবারেরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। সুদানে নির্মাণ এবং কৃষি প্রকল্পে বিশাল টাকা লগ্নি করলেন তিনি। আল কুদস আল আরবির প্রধান সম্পাদক আবদেল বারি আটওয়ানকে ওসামা বলেছেন, সুদানে তার দুশো মিলিয়ন ডলার লগ্নি করা ছিল। অকৃতজ্ঞ সুদান সরকার কিছুই প্রায় তার ফেরত দেয়নি। তিনি বিশ্বাস করেন ধর্ম, শরীয়া এবং গনতন্ত্র। ওসামা বিন লাদেন মনে করেন আফগানিস্তান হল পৃথিবীতে এমন একটা দেশ যা এক মাত্র মুসলিম দেশ।আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী এই পরিচয় লাভের আগে পর্যন্ত ওসামা বিন লাদেন ছিলেন আমেরিকারই ঘনিষ্ঠ মিত্র। আফগানিস্থানে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য তাকে প্রয়োজন ছিল মার্কিনীদের। তারাই প্রশিক্ষণ দিয়ে, সমর্থন দিয়ে তৈরি করে তাকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর মার্কিনীদের যাবতীয় হিসাব নিকাশের ছক যায় পাল্টে। মিত্র লাদেন পরিণত হন শক্রতে । লাদেন তার শক্র মোকাবিলায় বেছে নেন সন্ত্রাসের পথ। তিনি মনে ইসলাম ভিত্তিক দেশ সমস্ত মিডিল ইষ্ট আমিরিকার প্ররোচনায় আজ মুসলিম দেশ গুলোতে অন্যায়, নারীদের পর্দা , হোমো সেক্স, একে অপরের শত্র“তে পরিনিত হয়েছে। তিনি ইসলামের শত্র“দের উপর যুদ্ধ ঘোষনা করেন। ইসলামের শত্র“দের জন্য তিনি আল-কায়দা প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে আমেরিকার কাছে একটা অতঙ্ক। ওসামা বিন লাদেন টেকনোলজী প্রিয় মানুষ তাই তিনি তার সংঘটনে সব সময় মেধাবীদের জায়গা করে দেন। তিনি মনে করেন বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে মেসিনারী এবং টেকনোলজীতে এগিয়ে যেতে হবে। ওসামা বিন লাদেন কিং ফাহাদ এবং আরো অরব নেতাদের সাথে দেখা করেছেণ এবং তাদেরকে নন মুসলিম বিশেষ করে আমেরিকানদের কোন সাহায্য না নিতে এবং না করতে। আফগান যুদ্ধ চলাকালীন অন্তত চল্লিশবার গোলাবর্ষণের মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন ওসামা। একবার তার কুড়ি গজের মধ্যে একটা স্কাড মিসাইল ফেটেছিল। একবার বিষাক্ত গ্যাস আক্রমণে প্রায় মারা পড়েছিলেন ওসামা। এখনও যার ফলে মাঝে মাঝে গলার ব্যথায় ভুগতে হয় তাকে। একবার কান্দাহারের ঘাটি থেকে খোশতের দিকে রওনা দেন ওসামা। কান্দাহারের পাচকদের মধ্যের এক চর সিআইএকে খবর দেয়। যে সময় ওসামার খোশতে থাকার কথা, সেখানে বিমান হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু ওসামা, কেউ জানে না কেন হঠাৎ পথ পরিবর্তন করে কাবুল চলে যাওয়ায় বেঁচে যান। আর ২০০১ এর সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ারের পতনের পর এক বিধ্বংসী বিমান আক্রমণ হয় তোরা বোরায় বা ঈগলের গুহা নামে খ্যাত আফগানিস্থানের পাহাড়ি ডেরায়। সেবারও অল্পের জন্য বেঁচে যান ওসামা। কিন্তু এক্ষেত্রে সম্ভবত তাকে খবর দিয়েছিল পাকিস্থানের আইএসআই-এর কোনও বন্ধু। পরের জানুয়ারিতে যখন আলজাজিরার পর্দায় দেখা যায় তাকে তখন তার বাঁ কাঁধটা ব্যান্ডেজ থাকার দরুন ডান কাঁধের থেকে উচু দেখায় এবং বাঁ হাতি হওয়া সত্তে¡ও দেখা যায় বাঁ দিকটা তিনি একদম নাড়ছেন না। পরে ওই বছরই আর একটি টেলিভিশন সম্প্রচারে দেখা যায় ইচ্ছে করেই বাঁ হাত নাড়িয়ে জানিয়ে দিচ্ছেন ওসামা, তিনি সেরে উঠেছেন। বাঁ কাঁধে গোলার টুকরো লেগেছিল তার। খুব সম্ভবত জওয়াহিরি, যিনি একজন পাস করা শল্যচিকিত্সক, টুকরোটা বের করেছিলেন। বর্তমানে তিনি ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যদ্ধ করে যাচ্ছেন। তার বাহিনী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে যা কিনা আজ একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে নাম করে নিয়েছে।
কিছু প্রশ্ন আমাকে আজও তাড়া করে ফেরে সেটা হল

আমেরিকার মত এত শক্তিশালী গোয়েন্দা জাল যাদের তারা কিছুই জানতে পারলনা এই হামলা সর্ম্পকে ? নাকি পার্ল হারবারের মত এটাও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বলি দিয়েছে নিজের দেশের নাগরিক?

ওসামা বিন লাদেন তো ধনী পিতার সন্তান ছিলেন ইচ্ছা থাকলে আরাম আয়েশে জীবন কাটাতে পারত তাহলে এই পথে কেন?

আর মুসলিমদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যে মানবতা বিরুদ্ধ কাজ হচ্ছে সেটা কি সন্ত্রাস, না সেটার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়াটা সন্ত্রাস?

লাদেন জিহাদ ঘোষণা করে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করেছে সে সন্ত্রাসী।আর আমেরিকা যে ক্রুসেড ঘোষণা করে সন্ত্রাস রুখতে যেয়ে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করেছে সেটা কি?

২,১৮৩ বার দেখা হয়েছে

২৮ টি মন্তব্য : “লুকিং ফর সন্ত্রাসীইজ”

  1. রাশেদ (৯৯-০৫)

    সাদিক স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা বলা খারাপ না কারণ কাউকে না কাউকে তো বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে হবে তবে কথা হচ্ছে কথা হচ্ছে উপযুক্ত প্রমাণ, যুক্তি এইসব নিয়ে কথা বলা ভাল।
    প্রথম যে প্রশ্নটা করছ এটা নিয়ে বহুত কন্সপায়েরেসি থিউরী আছে সেগুলা সত্য মিথ্যা যাচায়ে না গিয়ে একটা কথা বলি খালি, ইতিহাসে বহু ইন্টিলিজেন্স ফেলিউরের নজির আছে সুতারাং এটা নতুন কিছু না।
    পরের প্রশ্নের ব্যাপারে কথা হল, আম্রিকান কাজ কর্ম যেমন সমর্থন করি না ঠিক তেমন করে সমর্থন করি না নিরাপরাধ লোকদের হত্যা করা। একটা খারাপ কাজ কে জায়েজ করতে আরেকটা খারাপ কাজ আমার মতে কখনোই উদাহারণ হতে পারে না।


    মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

    জবাব দিন
  2. মরতুজা (৯১-৯৭)

    একটু সাইড টপিকে বলি, এ পর্যন্ত প্রচুর বাংগালী দেখেছি যারা আমেরিকায় থাকে, এখাঙ্কার সকল সুবিধা ভোগ করে, কিন্তু গালি দেবার সময় এক পায়ে খাড়া। তোমার যদি এতই আমেরিকা এলার্জি তাহলে এ দেশে আসা কেন বাপু।

    দেশেও যারা সব কিছুতেই আমেরিকা ষড়যন্ত্র খুজে পান তারাই আবার ডিভী পেলে লাফিয়ে চলে আসেন। বুঝিনা কেন এত হিপোক্রেসি। বলার সময় সবাই বলবেন, "নাহ, আমি ডিভি পেলে কখনও ওই বিশ্ব সন্ত্রাসী দেশে যাব না"। মুখ পাল্টাতে সময় লাগে না যখন প্রতি বছর অ্যাপ্লাই করা এই সব হিপোক্রেটরা সত্যিকারে ডিভি পায়। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যে যার মত অস্বীকার করতে পারেন নিজের হিপোক্রেসি কে।

    জবাব দিন
    • সাদিক (২০০০-২০০৬)

      ভাইয়া ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড একটা অনুষ্ঠান দেখাই মানুষ বেচে থাকার তাগিদে অনেক কিছু করতে পারে আর আমি জানিনা আপনি আমেরিকায় থাকেন কিনা।আমার একটা অভ্যাস বা নেশা বলতে পারেন সাইকোলজি নিয়ে ঘটাঘাটি করা।বিশেষজ্ঞদের মকে আমেরিকানরা জাতিগত ভাবে বর্ণবাদী।ওখানে যারা ডিভি নিয়ে যান তাদের ঘুম ভেঙে যায়।বরং আমেরিকার ব্যাপারে আমরাই ঘুমিয়ে আর জেগেও লাভ নেই।

      জবাব দিন
    • মইনুল (১৯৯২-১৯৯৮)

      বস, প্রথমেই বলে রাখি, আমি বিন লাদেনের সমর্থক না।
      তবে আমেরিকার উন্নত প্রযুক্তি বা উন্নত জীবন যাপনের স্টাইল পছন্দ করি দেখে ওদের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে গালাগালি করতে পারবো না এটা মানতে পারছি না। ব্যাপারটা এমন হয়ে যাচ্ছে না যে, "আমি ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক ভালো জিনিস দিচ্ছি। সুতরাং আমি কোনো সলিড কারন ছাড়া একটা দেশ আক্রমন করে পঙ্গু বানায়ে দেবো, আরেকটা জাতিকে পয়সা আর বন্দুক দিয়ে অন্য আরেকটা জাতিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করবো, একটা দেশ পাহাড়ি বলে কার্পেট বোমা দিয়ে সমান করার চেষ্টা করবো --- তোমরা কিন্তু কেউ কিচ্ছু বলতে পারবা না ...... "

      আর বস, বাংলাদেশ থেকে যারা ডিভি বা অন্য ব্যবস্থাতে আমেরিকাতে যায়, তারা ওই দেশে সামাজিক সুবিধাগুলোর লোভেই যায়। আর আমেরিকার সিভিল সুবিধাগুলো যারা নিচ্ছে তারা ট্যাক্সের পয়সা গুনেই এই সুবিধাগুলো নিচ্ছে। আপনি নিজেও একজন আমেরিকান ট্যাক্সপেয়ার। সুতরাং কত পয়সা দিয়ে কত সুবিধা রিটার্ন পাচ্ছেন আমার চাইতে আপনি ভালো বুঝবেন। আর আমেরিকার বাইরে আমরা যারা আমেরিকান পণ্য ব্যবহার করি, তারা পয়সা আর ট্যাক্স দুইটাই কড়ায় গন্ডায় পুষিয়ে তারপরে ব্যবহার করি। ওরা আমাদের কোনো কিছুই ফ্রি দিচ্ছে না। সুতরাং ওদের কাছে খুব বেশি কৃতজ্ঞ হয়ে থাকার কোনো কারন আছে কি?

      (সম্পাদিত)

      জবাব দিন
      • মরতুজা (৯১-৯৭)

        ভাইরে, আমি তো বলি নাই আমেরিকার পলিসি ভাল বা ওরা সন্ত্রাসী না। আমার কথা হোল তুমি যদি এতই আমেরিকারে সন্ত্রাসী মনে কর তাহলে এই দেশে আসা কেন? এ দেশের আরাম আয়েসের লোভে? আমার বক্তব্য সেটাই। আমেরিকা ভাল না খারাপ সে বিতর্কে যাবার ইচ্ছা আমার নাই।

        এরা এখানে মসজিদে মসজিদে আমেরিকা বিরোধী খুতবা দেয়, কিন্তু তাদের ট্যাক্সের টাকার ফিলিস্তিনে ইরাকে বোমা মারা হয়। তোর যদি এতই ইস্লামের প্রতি প্রেম থাকে তাহলে এখান থেকে বের হয়ে এর প্রতিবাদ করা উচিত, এখাঙ্কার আরামে থেকে হিপোক্রেসি করে না। আমার বক্তব্য এটুকুই।

        জবাব দিন
  3. আন্দালিব (৯৬-০২)
    আর মুসলিমদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যে মানবতা বিরুদ্ধ কাজ হচ্ছে সেটা কি সন্ত্রাস, না সেটার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়াটা সন্ত্রাস?

    আর মানবতাবিরুদ্ধ কাজ ঠেকাতে গিয়ে নিরীহ মানুষ মেরে ফেলা খুব যৌক্তিক? বুদ্ধিমানের কাজ?
    ওসামা একটা নোংরা প্রজাতির সন্ত্রাসী। মরে গেছে, খুশি হইছি। সে মুসলিমদের কোন উপকার করে নাই বরং ক্ষতিই করেছে। এটা বুঝার মতো বুদ্ধি অনেক মুসলমানের নাই - এটাই আফসোস।

    জবাব দিন
  4. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    আগেই বলছি পোস্টের ব্যাপারে আমার কোন সমস্যা নাই। এ জাতীয় বিষয়গুলো উঠে আসুক এবং সেটা নিয়ে সবার ভিউ পয়েন্টও শোনা দরকার।
    এবার তোমার পোস্টের বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করি। ব্যাক্তিগত জীবনে লাদেন কি ছিলেন সেটা নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবিত না। অনেক কুখ্যাত লোকও ব্যাক্তিক জীবনে তাদের ভালোত্বের নমুনা দিয়েছেন। তাই সেটাকে আপাতত তুলে রাখি ।
    বরং তুমি যে প্রশ্ন তুলেছ সেটা নিয়ে আলোচনাটাই বেশি জরুরী। প্রথমে তুমি বিখ্যাত কনসপিরেসি থিউরীতে চলে গেছো। বাংগালি কনসপিরেসি থউরি খুব খায়। তোমাকে আমি বরং একটা প্রশ্ন করি, ২২ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা আওয়ামী লীগ করেছিলো ইস্যু তৈরির জন্য, সমর্থন করো কি করো না? যদি তোমার প্রশ্নের উত্তর হ্যা হয় তাহলে আমি আর আলোচনায় গেলাম না। যদি না হয় তাহলে এবার দুটোকে মিলাও। আর বুঝার চেষ্টা করো তুমি যা বলছো সেটা কতো অসম্ভব।

    ওসামা বিন লাদেন তো ধনী পিতার সন্তান ছিলেন ইচ্ছা থাকলে আরাম আয়েশে জীবন কাটাতে পারত তাহলে এই পথে কেন?

    এই কথা দিয়ে কি বুঝাতে চাইলে ? তোমার সবার আগে একটা কথা বুঝতে হবে , সেটা হলো আমরা সবাই মানুষ কেউ অতিমানব নয়। এবং সকলের প্রার্থিত সাফল্যের ডিফাইনিং ও এক না। কারও কাছে ধন সম্পত্তি কারো কাছে খ্যাতি কারো কাছে ক্ষমতা ইত্যাদি। তাই আরাম আয়েশে কাটন নি এটা তাকে মহিমান্বিত করে না। যেমন আমি বলতে পারি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া বিদেশে চলে গেলেই পারতেন। সেখানে বাকি জীবন আরামে কাটাতে পারতেন। তার জায়গায় জেলের পথ বেছে নিলেন কেন?? কারণ ক্ষমতা। তার কাছে আরাম আয়েশের চেয়ে ক্ষমতা বড় হয়ে উঠেছে। লাদেনের ক্ষেত্রেও ড্রাইভিং ফোর্সটা হয়তো আমাদের প্রচলিত চিন্তার বাইরে।

    আর মুসলিমদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যে

    মানবতা

    বিরুদ্ধ কাজ হচ্ছে সেটা কি সন্ত্রাস, না সেটার বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়াটা সন্ত্রাস?

    লাদেন জিহাদ ঘোষণা করে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করেছে সে সন্ত্রাসী।আর আমেরিকা যে

    ক্রুসেড

    ঘোষণা করে সন্ত্রাস রুখতে যেয়ে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করেছে সেটা কি?

    খুব খেয়াল করে পড়ো। আমি জানি না তুমি কিভাবে বলতে চেয়েছো। কিন্তু এখানে মুসলিম শব্দটা রিডানডেনট। কিন্তু পোস্টে এই শব্দটির ব্যবহার বক্তব্যকে ঘোরালো করে ফেলেছে। মানবতা বিরোধী যে কোন কাজ নিন্দনীয়। কিন্তু তোমার কাছে সেটা বেশি তাৎপর্যপূর্ণ মনে হচ্ছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে বলে তাই না??

    লাদেন মুসলিম দের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী কাজের প্রতিবাদে অস্ত্র তুলে নিয়েছে এই মহান সত্য তোমাকে কে জানাইলো ভাই। লাদেন যা করছে সেটা হলো আমেরিকার সাথে তার বনিবনা না হওয়ার ঝাল ঝাড়তে ধর্মের পতাকায় আশ্রয় নিছে। এমনকি আমেরিকার অভিযানে নিরপরাধ মানুষ দের( সে মুসলিম হোক বা নন মুসলিম হোক) মৃত্যুর পরোক্ষ কারণও এই লাদেন।

    আর হ্যা লাদেন যা করছে তা হলো বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়( সংখ্যা লঘু বলতে যে কোন একটি দেশের প্রেক্ষিতে, মূলত পাশ্চাত্যে) এর জীবনে নানাবিধ উটকো ঝামেলা তৈরি করেছে, ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তি নাই করে দিছে। আর আরো কিছু অভাবী এবং ব্রেইনওয়াশড মানুষের জীবন নাশ করছে।

    লাদেনের স্থান আমার কাছে বাংলা ভাই এবং শায়খ আব্দুর রহমানের মতই। পার্থক্য হলো ঐ ব্যাটারা করছিলো ক্ষুদ্র পরিসরে আর এই ব্যাটা সারা বিশ্বজুড়ে।

    শেষবেলায় আড়েকটা কথা বলবো। তোমার পোস্টের নামকরণ আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে।থালকা রসিকতাচ্ছলে খেলো নামকরণ করে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে আলোচনা আমার কাছে ভালো লাগেনি। আর তোমার লেখার বোটম লাইন কী দাঁড়ালো, লুকিং ফর সন্ত্রাসীইজ করে কী পেলা???

    জবাব দিন
  5. সাদিক (২০০০-২০০৬)

    আমিন ভাই আপনার লেখা আমার খুবই ভাল লাগে।আমি মুসলিমদের কথা এই কারণে বলছি যে মুসলমানরাই দায়ী হচ্ছে বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসের জন্য দায়ী।কিন্তু কেন একজন মানুষ সুইসাইড বম্বার হচ্ছে।ক্ষমতার লো্ভে আমার বুদ্ধি তো বলে না।হ্যা এটা হতে পারে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
    আর ইরাকে,বসনিয়া,আফগানিস্তানে যা হচ্ছে তা কি মেনে নেওয়া যাই। আর ভাই আমি বলছি বসনিয়া আর ফিলিস্তিনে মুসলমানরা যে যুদ্ধ করছে সেটা।অনেকের ভাষ্যমকে সেটা তো সন্ত্রাস আর তাদের যে ইসরাইল গৃহহীন করেছে সেটা কি?

    আর লাদেনকে আমি মোটেও ভাল মানুষ মনে করিনা আমার কথা হল কেন ওদের দল ভারি হচ্ছে কারণ আপনার সংখ্যালঘু মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে । মুসলিমরাতো আর সুপা্র পাওয়ার না তাদের যাওয়ার বা বিচার চাওয়ার কোন জায়গা নেই তাই তারা বাধ্য হচ্ছে লাদেনদের প্ররোচনায় পড়তে।

    আর ভাই এই নাম হল আমাদের বাবর সাহেবের কথা ।এথন যা হচ্ছে তা হাস্যকর তাই না (সম্পাদিত)

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : আছিব (২০০০-২০০৬)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।