আমরা জেগে উঠি

আমি সকালে কি খেয়েছি আমার মনে নেই।কারন আমি জানি দুপুর এমনকি রাতেও আমার জন্য বাসায় খাবার তৈরী থাকবে।আমার নিজের এমন অনেকদিন হয়েছে বার্গার অর্ধেক খেয়ে উঠে পড়েছি।আমরা হর হামেশাই এরকম করে থাকি।আমার বন্ধু.সিনিয়র,জুনিয়র যারা আছনে,তাদের বলছি আমরা কি কখনো এমন ভয়ে থেকেছি এখন তো খেলাম আবার কখন খাবো?
অনেকের কাছে অত্যন্ত হাস্যকর প্রশ্ন।আমি বিধাতাকে সবসময় ধন্যবাদ দিই এই কারেন যে আমার ক্ষুধায় তিনি খাবার দিচ্ছেন।কিন্তু আমাদের এই চেনা পৃথিবীর বুকে অনেক মানুষ আছে যাদের অনেকেই ভুলে গেছে খাবারের স্বাদ কেমন হয়

আমরা কত ভাগ্যবান আমরা পৃথিবীর এমন একটা অংশে জন্মগ্রহণ করেছি,যারা জানিনা ক্ষুধার কষ্ট কেমন হয়।আমরা জানিনা নিজের চোখের সামনে ক্ষুধা,তৃষায় নিজের সন্তান তিলে তিলে শেষ হয়ে গেলে এক পিতার এক মায়ের বুকে কি রকম হাহাকার ওঠে।কিন্তু আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর বুকেই অনেক মায়ের কোলে ক্ষুধায প্রাণ হারাচ্ছে তারই নাড়ী ছেড়া ধন।

আমরা অনেকেই ভাবি কত কস্টে আছি আর যদি একটু থাকত ভাল হত।সত্যি কথা বলছি আমি সুখী আমার যা আছে তাই নিয়ে।আমি বিধাতাকে ধন্যবাদ দিই আমাকে কোন আপনজনকে এভাবে হারাতে হয়নি।

আমি জানি আমারা অনেক কিছু চাই করতে কিন্তু আমাদের সার্মথ্য নাই।আর কিছু না পারি আসুন একটু প্রার্থনা করি।

আমাদের অনেক সিনিয়র আজ পিতা।নিজের সন্তানের জন্য জীবন দিতে পারেন।মামণি হয়ত ওটা একটু খেতে পছন্দ করে যত দামই হোক কিনে আনতেই হবে।এই শিশূটিকে দেখুন আর অনুভব করুন এর কষ্ট আর ভাবুন এই জায়গায় আপনার সন্তান থাকলে ভাবা য্য়না ………..

picture51

আমি একটু সময় নিয়ে গোসল করতে পছন্দ করি।আমর অনেকেই করি।দোকানে কিছু খেলও ফিল্টার পানি খাই।আমি প্রার্থনা করি অসহায় এই শিশুটিকে যেন আর এভাবে পানি খেতে না হয়।

picture61

শিশুরা জীবনের প্রতীক তাদের হাসিতে আমরা সব কষ্ট ভুলে যাই।তারা নিয়ে আসে নতুন দিনের আশা।

camb4a87cay2p8skca6lslt5carnnmzsca4cfnf3cagjh5k8cab7fd0gca5qpm3lcan1herrca7exn19cacarkzdcal0svc0ca4sv5z3can5f2iwca3v04sfcaxoxb0aca5z0tobca01ubstcaxyip6zcao5esbe

আমি জানি বাস্তবতা খুব নির্মম হয়।আমার এক বন্ধু নিচের ছবিটি আমাকে পাঠিয়েছিল।এমন একটা সময়ে যখন আমি বাচতে চাইতাম না ।ও আমাকে বলেছিল বিধাতা তোকে ভাল রেখেছে
এদের জন্য বেচে থাক।জানি কথাটা অনেক কাব্যিক কিন্তু সেদিন থেকে আমি ভেবেছি আমাকে কিছু করা লাগবে।আমার জন্ম বৃথা কেন যেতে দেব।

picture81

আমি জানিনা আমি কতটুকু করতে পারব বা আদেও পারব কিনা।কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমাদের ক্যাডটদের মধ্যে অনেক রত্ন লুকিয়ে আছে।আমরা অনেকে হয়ত ইচ্ছা করলে কিছু করতে পারি।একদিন হয়ত আমরা পারব।আমার বিশ্বাস আমরা মানু্‌ষ।আমাদের একটা হৃদয় আছে যা অন্যের দুঃখে কাদে।একা কিছু করা আসলেই কঠিন।কিন্তু আমরাতো অনেক ভাই আমাদের সবার শক্তি মিলিয়ে অনেক শক্তি।আসুন আমরা কিছু করি।
আমার এই লেখা ব্লগে আসবে কিনা জানিনা।কারন এর আগেও লিখেছিলাম আসেনি।তবে আমি এগিয়ে যাব আমি জানি আমি একা না।

১,৫৭১ বার দেখা হয়েছে

১২ টি মন্তব্য : “আমরা জেগে উঠি”

  1. মেহেদী হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    আসলেই নির্মম... আল্লাহ আমাদের যা দিয়েছেন তা নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং আমাদের নিচের দিকে তাকাতে হবে... তাহলে আমরা প্রকৃত সত্য আনুভব করতে পারবো...।।

    জবাব দিন
  2. রকিব (০১-০৭)
    আমাদের সবার শক্তি মিলিয়ে অনেক শক্তি।আসুন আমরা কিছু করি।

    :boss: :boss: :boss:
    দারুন বলেছেন সাদিক ভাই; আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  3. হিমুর বই থেকে একটা দারুণ আইডিয়া পেয়েছিলাম। হিমু একবার তার বড়লোক খালুসাহেব কে আইডিয়া দেয়, শীতের রাতে ৫০০ টা কম্বল কিনে ফুটপাতে শীতে কাঁপতে থাকা কারো গায়ে ছুঁড়ে দিয়ে পালিয়ে যাবার আইডিয়া। তারপর আড়াল থেকে সেই লোকগুলোর উচ্ছ্বাস দেখা।

    ট্রাই করে দেখতে পারিস। তখন বুঝতে পারবি যে হুমায়ুন আহমেদ মিছা কথা লেখে নাই।

    জবাব দিন
  4. পাভেল (১৯৯৩-৯৯)

    আশা করি আবেগটা যখন কমে আসবে ইচ্ছাটা সেদিন মারা যাবেনা (যেমন আমাদের অনেকের গেছে)। এই লিংকটা দেখতে পারো। এদের সাথেই involved হতে হবে এমন কথা নাই। ইচ্ছাটা ধরে রাখতে পারলে অনেক পথ নিজেই খুজে পাবা।

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : অরপিয়া (২০০২-২০০৮)

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।