অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা কতখানি সত্যি

আমাদের বয়সের অথবা আমাদের থেকে একটু যারা বড় আছেন ছোট্ট বেলায় ঝড়-বৃষ্টির রাতে অথবা সন্ধ্যায় দাদা-দাদী,নানা-নানীর কাছে ভুতের গল্প শুনেনি এমন মানুষ মনে হয় নেই।ছোট্টবেলায় আমাদের কল্পনা জগতের একটা বড় অংশ দখল করে ছিল এই রূপকথার দৈত্য-দানব ,ভূত-প্রেত।আমাদের মধ্যে আজও অনেকেই আছেন যারা এই অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা গুলো বিশ্বাস করেন।আবার অনেকেই আছেন যারা এই বিষয় গুলো হেসেই উড়িয়ে দিই।আজকে একটু জানার চেষ্টা করা আক আসলে কারা ঠিক বিশ্বাসীরা না অবিশ্বাসীরা।
আমাদের বিজ্ঞান মূলত তিনটা প্রধান জিনিস এর উপর চলে -পর্যবেক্ষণন,বিশ্লেষণ,ফলাফল।এ ছাড়া বিজ্ঞান কিছু বিশ্বাস করেনা।সেই দিক থেকে চিন্তা করলে বিহ্জান এই সব অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা বিশ্বাস করেনা।এই একটা থিওরি দিয়ে পরা বিষয়টা ভুল প্রমাণিত করা যায়না কারণ খোদ বিঞ্জানেই অনেক কিছু আছে যার কোন অস্তিত্ব নেই কিন্তু আমরা তা ধরে কাজ করি যাকে আমরা বলি হাইপোথিসিস(hypothsis)।তাহলে বিঞ্জান নিজের প্রয়োজনে এমন কিছু জিনিষ ব্যাবহার করছে যার কোন অস্তিত্ব নেই।তাহলে শুধু বিঞ্জানের দোহাই দিয়ে এতদিনের একটা বিশ্বাসকে অমূলক বলা যায়না।বিঞ্জানতো আল্লাহ(GOD) এর অস্তিত্বতে বিশাবাস করেনা কিন্তু তার অস্তিত্ব তো প্রমাণিত।তাহলে কি সব সত্যি??????????
মানুষ কখনও থেমে থাকেনা মানুষ অজানাকে জানার চেষ্টা করে।এই ঘটনাগুলো যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে সাইকোলজির একটি শাখায় যাকে
আমরা বলি প্যারাসাইকোলজি(parapscycology)।আমাদের দেশে একটা খুব সাধারন এধরনের সমস্যা হল ভূতে ধরা,জিনে ধরা।তারপর ওঝা দিয়ে ঝারা আমাদের পুরোন রীতি।আজ এই ভূতে ধরার ফরেনসিক টেস্ট হযে যাক।
প্রথমেই দেখি ভুতে ধরার রোগী কারা?
আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলেই ভূতে ধরা রোগী বেশি দেখা যায়।এধরনের ভূতে ধরার কাহিনী যারা শুনেছেন একটা জিনিস কখনো খেয়াল করে দেখেছেন কিনা জানিনা গ্রামের মেয়েদের ভূতে ধরে বেশি,শুনেছেন কোন ছেলে কে ভূতে ধরেছে?
ভুতে ধরার প্রধান লক্ষণ হল এমন কিছু ব্যবহার করা যা সাধারন অবস্থায় ঐ মেয়েটার পক্ষে করা সম্ভব নয় যেমন পুরুষের গলায় কথা বলা,কারণে-অকারণে হাসা।সবচেয়ে মজার বিষয় হল এইসব ঘটনা হওয়ার পর অধিকাংশ
ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটি অঞ্জান হয়ে যায়।
সাইকোলজিতে একটা রোগ আছে যাকে বলে দ্বৈত সত্ত্বা(dual personality)।এধরনের রোগীরা নিজেদের কোন অপারগতা থেকে,নিজের কোন বাধা থেকে
নিজের ভেতরে এমন একটি সত্ত্বা তৈরী করে যে এসব দুর্বলতা থেকে মুক্ত।সে সাধারন অবস্থায় যা করতে পারেনা এই সত্ত্বা তা করতে পারে।আর এই সত্ত্বার
যখন প্রয়োজন থাকেনা রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়,ওই সময়ের কথা মনে থাকেনা।
ভূতে ধরা রোগীদের ক্ষেত্রেও এই একই গটনা গুরো ঘটে।আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের মেয়েরা বিভিন্ন দিক থেকে নানা বঞ্চনার শিকার।তার বয়সী একটা ছেলে যা পারে তার কিছুই সে করতে পারেনা।তার মধ্যে একটা জিনিষ চলে আছে তাহলে বোধ হয় ছেলে হওয়াই ভাল ছিল।পারিবারিক অবহেলা তার এই কষ্টকে আরো বাড়িয়ে দেয়।একসময় সে নিজের ভিতরে একটা পুরুষ সত্ত্বা তৈরী করে নেয়।
আসলে আমি প্যারাসাইকোলজি নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছি।সাইকোলজি যুক্তি দিয়ে যে সব ঘটনার ব্যাখা দিতে পারেনা প্যারাসাইকোলজি তার একটা সন্তোসজনক ব্যাখা দেবার চেষ্টা করে,কোন সময় পারে আবার কোন সময় পারেনা।
আমাদের দেশে স্বপ্নে পাওয়া মহাঔষধ পাওয়ার ইতিহাস তো বেশ পুরোন।আমি এরকমন বেশ কিছু জায়গায় গেছি এবং অবাক হয়েছি মানুষ কত সহজে বিশ্বাস করে।
তাহলে প্রশ্ন আসে যায় তাহলে আমাদের যে বিশ্বাস গুলো এতদিন ধরে চরে আসছে সব মিথ্যা।আসলে সব উত্তর এর পরেও কিচু প্রশ্ন থেকে যায়।আমি নিজেই এরকম একটা ঘটনার মুখোমুখি হযেছি একবার।প্যারাসাইকোলজিতে যাদের এধরনের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা থাকে তাদের বলে সাইকিক।এরা নিজেরই বোঝে তারা সাধারন না তাই সবসময় নিজেকে লুকিয়ে রাখে।
একবার একলোক আমাকে খবর দিল কুমিল্লাতে এরকম একজন আছে যে অতীত ভর্বিষ্যত সব বলে দিতে পারে।ওখানে যেয়ে দেখি বিশাল ভিড় লোকজনের আমি ভাবলাম আর একটা ভন্ডের কাছে আসলাম।সাদারণত এসব জায়গা একটা ছোট্ট খুপরি ঘরের মত হয়।আগরবাতি জ্বেলে আরো একটা অপার্থিব পরিবেশ সৃর্ষ্টির চেস্টা করা হয়।ভিতরে যেয়ে অবাক হলাম,দুইটা জমজ ছেলে বসে আছে একজন আমার দিকে তাকিয়ে হাসল,আর একজন বলল
“আপনি তো কিছু বিশ্বাস করেন না কেন আসছেন।”
আমার অবাক লাগল এরা দুইজন কেন ?
পাশে ওদের মা ছিল সে বলল দুই ভাইয়ের একজন বোবা। কিছুই বলতে পারেনা,জন্ম থেকেই আমার অনেক সিনিয়র মেডিকাল পড়েছেন তারা হয়ত জানেন জমজদের ক্ষেত্রে জেনেটিক কোড একরকম হয় সেহেতু জন্মগত কারনে একভাই বোবা হলে একই সমস্যা আর একজনের ও হওয়ার কথা।এখানে তা হয়নি।
তারা আমার অনেক প্রশ্নের জবাব দিল।একটা জিনিষ আমার মনে হল,আমার প্রশ্নের উত্তর গুলো বোবা ছেলটা কারন আমার সাথে কথা বলার সময় বোবা ছেলটা দুইবার উঠে গেল এইসময কোন প্রশ্নের উত্তর আমি পাইনি।
আমি যখন চলে আমি ওই ছেলের মাকে বলেছিলাম আমি বোবা ছেলেটার সাথে কিছুক্ষন একা থাকব।অনেকক্ষণ বসে থাকলাম।যখন উঠে চলে আসব তখন আমি স্পষ্ট শুনলাম ছেলেটা আমাকে বলল বাড়ি যান আপনার বাড়িত কারো অসুখ।শোনার সাথে সাথে আমি ঘুরে দাড়াই দেখি তার ঠোটে সেই হাসি।
মজার ব্যাপার হল বাসায় এসে জানলাম আমার নানা খুব অসুস্থ।
আমি এই ঘটনার অনেক ব্যাখা দাড় করানোর চেষ্টা করছি।তবুও যখন ছেলেটার হাসির কথা মনে পড়ে মনে হয় কিছু হয়ত আছে যা আমরা জানিনা,জানতে পারবনা।
এরকমন সাইকিকদের ঘটনা প্রচুর আছে।আছে অনেক বিস্ময়
থাক আজ আর না আগামীর জন্য জমা থাক সে গল্প।

৩,৬৮১ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা কতখানি সত্যি”

  1. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    ইন্টারেস্টিং(বাংলা খুজে পাচ্ছি না 🙁 ) বিষয়... ছোটবেলা থেকেই এসব ঘটনা শুনে বেশ মজা পাই, বেশিরভাগ সময় আজগুবি আর ভন্ডামি বলে উড়িয়ে দেই এগুলো, কিন্তু যখন কেউ তোমার মত একদম নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলে তখন আর কোন ব্যাখ্যা খুজে পাই না... আশা করি এখানে অন্যান্যদের আলোচনায় কোন না কোন ব্যাখ্যা জানা যাবে...


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  2. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    লেখাটাতে আমরা প্রায় সবাই কিছু না কিছু সম্মুখীন হয়েছি এমন একটা বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়েছে-যেটা ভাল লাগল।জেসিসি নিয়েও অতিপ্রাকৃত বেশ কিছু ঘটনা শুনেছি ক্যাডেট কলেজে থাকতেই,এগুলো নিয়ে একদিন একটা ব্লগ লেখার ইচ্ছে আছে।

    তবে লেখা পড়ে মনে হল অলৌকিক এই বিষয়গুলোর প্রতি কিছুটা বিশ্বাস বা পক্ষপাত রয়েছে -আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যা খুবই স্বাভাবিক।তবে এ বিষয়গুলোর ফাঁকি ধরতে প্রবীর ঘোষের "অলৌকিক নয়,লৌকিক" বইটি পড়া যেতে পারে।লেখক প্রবীর ঘোষ তাঁর সারা জীবনের এইসব বুজরুকদের ভন্ডামি ধরিয়ে দেয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণ্না করেছেন চার খণ্ডের এই বইয়ে-যা একই সাথে অসম্ভব সুখপাঠ্য এবং ইন্টারেস্টিং।

    পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইল।নিউ মার্কেটে একটু খুঁজলেই পাওয়া যাবে।

    জবাব দিন
  3. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)
    বিঞ্জানতো আল্লাহ(GOD) এর অস্তিত্বতে বিশাবাস করেনা কিন্তু তার অস্তিত্ব তো প্রমাণিত

    প্রচণ্ড ভ্রান্তিমূলক উক্তি। প্রথম কথা ঈশ্বরের কোন প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞা নেই। একেক ধর্ম একেকভাবে সংজ্ঞা দেয়। যা কি জিনিস সেটাই জানি তা প্র্রমাণ করা যায় কিভাবে? দর্শন পড়ে আমার যতদূর মনে হয়েছে, ঈশ্বরের সবচেয়ে ভাল সংজ্ঞা হচ্ছে, "যা প্রমাণ করা যায় না।" ঈশ্বর যদি কোনদিন প্রমাণিত হয়ে যান তথা মানুষের বুদ্ধির কাছে ধরা দেন তবে তিনি আর ঈশ্বর থাকবেন বলে আমার মনে হয় না। কোন জিনিস প্রমাণিত হয়ে গেলে সেটা আর বিশ্বাসের প্রয়োজন থাকে না। ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে হয়, প্রমাণ এখানে অমূলক।

    আমি প্যারাসাইকোলজিতে বিশ্বাস করি না। প্যারাসাইকোলজিকে প্রচণ্ড ভুয়া একটা জিনিস মানি। এটার কোন বোধগম্য পদ্ধতি নেই এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা মুখরোচক গল্পকে সিরিয়াস ধরে মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করে। এটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ওঝা, কবিরাজ যদি হয় আদিম কুসংস্কার, তবে প্যারাসাইকোলজিকে বলতে হবে আধুনিক কুসংস্কার। এগুলোর প্রসারও খুব স্বাভাবিক, আমাদের মনে রাখতে হবে, সত্য সবসময় জনপ্রিয় হয় না এবং জনপ্রিয় সবসময় সত্য হয় না। পৃথিবীর সব মানুষ এবটায় বিশ্বাস করলেই সেটা ঠিক হয়ে যায় না। ব্রুনো যখন পৃথিবী ঘুরে বলে চেচিয়ে বেড়াতো তখন পৃথিবীর সবাই বিশ্বাস করতো, সূর্য ঘোরে। তাই বলে কি ব্রুনোর উচিত ছিল জনপ্রিয়টাকে মেনে নেয়া। জনপ্রিয় বুলি আর জ্ঞান এক জিনিস না।

    তোমার আরেকটা বিশাল ভ্রান্তি হচ্ছে বিজ্ঞানের সাথে বিশ্বাস গুলিয়ে ফেলা। বিজ্ঞানের কথা হলে বিশ্বাসের প্রশ্নই আসে না। বিজ্ঞান সত্যিকার অর্থেই সংশয়ী। সে পূর্বের সকল কিছুকে সন্দেহ করে, সন্দেহ থেকেই নতুন জিনিস আসে। প্রকল্প বিশ্বাস হতে যাবে কেন? প্রকল্প প্রকল্পই, এটাকে অন্য শব্দে বিশেষায়িত করার প্রয়োজন নেই কারণ প্রকল্পেরই সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। প্রকল্প যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে সেটা তত্ত্বের মর্যাদাই পাবে না। বিজ্ঞান বিশ্বাস বলে কিছুই নেই। বিজ্ঞানীরা যার যা ইচ্ছা বিশ্বাস করতে পারেন কোন অসুবিধা নেই, কিন্তু বিজ্ঞান কোনকিছু বিশ্বাস করে না। কিছুই না। নিউটনের গতিসূত্রও কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি না, সেটাকে একটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব হিসেবে জানি। জানা আর বিশ্বাস করা এক কথা নাকি? বিজ্ঞান কাজ করে জানা এবং প্রমাণের উপর, এখানে বিশ্বাস আসে না। বিজ্ঞান আল্লাহকে প্রমাণ করা তো দূরের কথা কোনদিন প্রমাণের চেষ্টাও করতে পারে না, সে ধৃষ্টতা তার নেই, সে ইচ্ছাও তার নেই, এটা বিজ্ঞানের ডোমেইনের বাইরে। ঈশ্বর দার্শনিকদের দর্শন, ধর্মবেত্তা ও ধার্মিকদের ধর্ম এবং অশিক্ষিত মানুষের কুসংস্কারের মধ্যেই টিকে থাকবে।

    জবাব দিন
    • সাদিক (২০০০-২০০৬)

      আসলে কি জানেন আমরা যি জানিনা তার অস্তিত্ব মানতে আমরা নারাজ।আর কেউ যদি বিশ্বাস করে চাঁদ নেই তাহলে কি তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
      মৃত্যুর পরে কি আছে আপনার বিজ্ঞান জানে।মনে হয় না।আসলেই জানেনা।আর একটা কথা বিজ্ঞান এমন অনেক কিছুই বিশ্বাস করে যার ভিত্তি নাই।আর কোন কিছু অস্তিত্বশীল এটা প্রমাণের জন্য বিজ্ঞানের সার্টিফিকেটের দরকার হয়না।আমি জানিনা আপনি প্যারাসাইকোলজি কতখানি পড়েছেন তবে বলল একটা কথা পৃথিবীতে অনেক কিছু আছে যার ব্যাখা নেই।আমি আমার ছোট্ট এই জীবনে এর পিছনে বহুত ঘুরছি।

      জবাব দিন
    • সৌমিত্র (৯৮-০৪)

      মুহম্মদ, আমি তোমার সাথে সহমত

      সাদিক, তুমি বিজ্ঞান আর অপবিজ্ঞানের পার্থক্যটা বোধহয় ঠিকমতো ধরতে পারোনি। আর 'ব্যাখ্যা না থাকা' আর 'অলৌকিকত্ব' মোটেই এক ব্যাপার নয়।

      জবাব দিন
  4. জিহাদ (৯৯-০৫)

    ইন্টারেস্টিং টপিক। কিন্তু বানান ভুলের পরিমাণ একটু বেশিই। ভুল বানানে বাংলা পড়তে ভালো লাগেনা। বোঝাই যাচ্ছে তুমি বাংলা টাইপিং এ নতুন। আরেকটু সচেতন হও। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।


    সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

    জবাব দিন
  5. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    সাদিক, লেখাটা পড়লাম বেশ মনযোগ দিয়ে। ব্যাক্তিগতভাবে আমি অতিপ্রাকৃত কোন কিছু বিশ্বাস করি না। এই রকম ঘটনা তোমার মত আমি যে শুনি নি তা নয় কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাপারগুলো এমন হয়েছে যে বুজুরুকি যে এটা বুঝা যায় কিন্তু ধরা যায় না খুব সুকৌশলে ফাঁদ বিস্তার করা যায়।সামনে থেকে দেখলেও বিশ্বাস করব এমন বলাও মুশকিল। তবে এরকম আরো কিছু অভিজ্ঞতা জানাও আর নাম ঠিকানা জায়গার নাম এগুলো শেয়ার কর।

    জবাব দিন
  6. পৃথিবীতে কোন কিছুই অলৌকিক নয়, সব কিছুই লৌকিক | আমাদের সীমিত তথ্য আর জ্ঞান ও বিশ্লেষনের অভাবে পর্দার আড়ালের সত্যটি উদঘাটন করতে পারিনা বলে, অলৌকিকতার চাদরে মুড়ে বিশ্লেষনের চেষ্টা করি | যা কখনোই বিজ্ঞান মন:ষ্কতার পরিচয় বহন করেনা |
    আপনার ঘটনার কিছু বিশ্লেষন দাড় করানোর চেষ্টা করেছি…
    প্রথম থেকে যেহেতু আপনি সংশয়বাদী তার উপরে প্যারাসাইকোলজিতে বিশ্বাসী, তাই আপনার ব্রেইন আপনাকে পরিচালিত করছিল, কিছুটা বিশ্বাস আর কিছুটা অবিশ্বাস নিয়ে | এরপর আপনি শুনলেন, এক ছেলে বোবা ! যাচাই কিন্তু করেন নি | আপনি বিজ্ঞান পড়ে শিখেছেন, বোবা হলে শুধুমাত্র এক ছেলে হবে কেন ? এই একটি প্রশ্নের উত্তর খুজে না পেয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রছন্দ মানষিক চাপ চলতে থাকে আপনার মাথায় | হয়তো ছেলেটি বোবা ছিল অথবা ছিলনা | যদি বোবা না হয়ে থাকে, তবে ব্যপারটি আগাগোড়া ভন্ডামী দিয়ে মোড়া আর যদি ছেলেটি বোবা হয়েও থাকে তবে আপনি যা শুনেছেন মনে হয়েছিল, তা আপনার সাব-কনসাস মাইন্ডের সৃষ্টি আর যেহেতু আপনার নানা অসুষ্ট তাহলে তিনি অবশ্যই বয়ষ্ক মানুষ ছিলেন | আর বয়ষ্ক মানুষের যে কোন সময় অসুখ হতে পারে | বাকিটা কাকতালীয়ভাবে মিলে যাওয়ায় আপনার অলৈকিক বিশ্লেষনের সৃষ্টি | এর চেয়ে যুক্তিপুর্ন লৌকিক ব্যাখ্যা আমার দ্বারা দেওয়া সম্ভব হল না |
    "অলৌকিক নয় লৌকিক"

    জবাব দিন
  7. বোবা ছেলে আপনার সাথে কি করে কথা বললো দাদা বুঝলা না তো ? যে কথা বলতে পারেনা তাকেই তো বোবা বলা হয় বলে শুনেছিলাম .
    লেখা ভালো হয়েছে . আমি এসব বিশ্বাস করি . আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে .

    জবাব দিন

মওন্তব্য করুন : বাহাউদ্দিন মাসুম

জবাব দিতে না চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।